ইজ্জতের ফালুদা, ডাক্তারবাড়ির সুন্দরীনামা এবং কেছকি মাছ

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: শুক্র, ১১/০১/২০০৮ - ১১:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রেটিং দেখে কেউ করিসনে ভয়,
আড়ালে তোর কিছুই হবে না ক্ষয়।
- জনগণ ছড়া লেইখা হুদাহুদুই এরশাদাচ্চুরে রেটিং-এ ঝুলাইয়া দেন। আমি এইটা করুম না। এই লেখার রেটিং-এর মানে হইলো এইখানে কিছু খাবার দাবারের উল্লেখ আছে যা দশ বছরের অনধিক পাবলিকের জন্য কেড়াবেড়া হইয়া যাইবে। ধন্যবাদ।

দুই তারিখে একটা খাইষ্টা সময়ে ডাক্তারের কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিলো। নির্ধারিত সময়ের পনেরো মিনিট পর লাল লাল চোখ, উষ্কোখুষ্কো চুল নিয়ে রিসেপশনের সুন্দরী সহকারীর দিকে কাগজটা বাড়িয়ে দিতেই বললো ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করতে। খানিকটা ঝিমিয়ে নেয়া যাবে, এই উদ্দেশ্য নিয়ে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা আর যথাযোগ্য গাম্ভীর্যতায় যেই না পা মেলে, গা এলিয়ে চোখ বুজেছি, অমি ডাক্তারের পুতুল পুতুল সহকারীনী এসে তাড়া দিলো। আমিও কার্টুন ছবির কোন চরিত্রের মতো ট্যাং ট্যাং করে তাকে ফলো করলাম।

আমাকে বদ্ধকুঠুরীর মাঝে পুরে, সোয়েটার, শার্ট, টি-শার্ট এমনকি আমার স্যান্ডো পর্যন্ত খুলিয়েও সে ক্ষান্ত হলো না। একখানা খালি বিছানা দেখিয়ে আমাকে সেখানে শায়িত হয়তেও নির্দেশ দিলো। আমি হতভাগা, এই পরবাস জার্মান দেশে এসে নিজের হাতেই নিজের ইজ্জতের এভাবে ফালুদা হওয়ার চাক্ষুস সাক্ষী বণার প্রহর গুণতে লাগলাম।

আমার শত গাঁইগুঁই উপেক্ষা করে সে কম করে হলেও কয়েক গ্যালন রক্ত নিয়েছে আমার নগ্ন বাহু থেকে। একবার ভেবেছি উঠে দৌঁড়ে বাঁচি এই অত্যাচার থেকে, কিন্তু বংশের মুখে চুনকালি মাখার কথা চিন্তা করে, নিরস্ত করলাম নিজেকে। ড্রাকুলার মতো চুকচুক করে কয়েক ড্রাম রক্ত নেবার পর কতোগুলো সাপের মতো লিকলিকে জিনিষের ফোঁসফোঁস করা মাথা গুলো চুম্বকের মতো আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফিট করে দিলো। কাতুকুতু লেগে আমি হেসে উঠতেই 'হুঁশ' করে নড়াচড়া না করে মরার মতো পড়ে থাকতে বললো। মিনিট পাঁচেক বাদে তার এই যন্ত্রণাদানের পরিসমাপ্তিতে আকর্ণ বিস্তৃত হাসিতে বললাম, 'ঈদ মোবারক'। ললনা পুতলা মার্কা একটা হাসি দিয়ে 'ডাংকে' বলে চলে গেলো। আমিও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম, 'ঈশ অল্পতে চোখটা বাচছে। ইজ্জত গেলে পাইতাম কই আমি!'

এক্সরে-র ব্যবস্থা না থাকায় পাঠিয়েছিলো অন্যখানে। ওখানে গিয়ে আরও ক্যাচালের শামিল। প্লাস্টিক চেহারার এক ললনা এসে আমাকে আধা-অন্ধকার ঘরে যে কি করলো কতোক্ষণ। ছিঃছিঃ, লজ্জায় আমার মাথা কাটা যায় এগুলা বলতে।

কালকে ছিলো ডাক্তারের কাছে ফিরতি অ্যাপয়েন্টমেন্ট। কৃতকর্মের ফলাফল জানানোর। আমাকে সামনে রেখে ডাক্তার বাবু এই ফাইল ঘাঁটেন, ঐ ফাইল ঘাঁটেন, খানিক কম্প্যুটারে উঁকি মারেন, কতোক্ষণ থুতনী খাউজান, আমার দিকে যখনই দেখেন আমি দাঁত বের করে একটা অসহায় গ্লুকোজ হাসি দিয়ে দেই। বেচারা খানিক্ষণ ঘটনাগুলোর লুপ চালিয়ে হঠাৎই 'গো-টু' কমান্ড ব্যবহার করে বসলেন। আমাকে বললেন, 'কোথাও তো কোন গ্যাঞ্জাম নেই। তাইলে সমস্যটা কি?'
খানিক ইতং বিতং করে যেই বললেন সিগারেট ছাড়লে ভালো হয়। অমনি আমি তাকালাম বাঁকা চোখে। নেহায়েৎ ভদ্রলোক তিনি, নিজেকে শুধরে নিলেন, 'না না আমি বলেছি রিডিউস করতে, ছাড়তে না!'

কানের পরে একগাঁদা উপদেশের বানী নিয়ে রিসেপশনের পুতুল পুতুল মুখ গুলোকে পুনরায় দেখা হবার আশ্বাস জানিয়ে বেরিয়ে এলাম। অনেক হলো, এবার কেছকি মাছ খাওয়ার প্রজেক্ট হাতে নেবার বাসনা পোষন করলাম।

পরিকল্পনা মোতাবেক মৎস কেনা হলো এবং রন্ধিত হলো। মোবাইলটা তখন হাতের কাছে না থাকায় রন্ধনপ্রণালীর সচিত্র বর্ণনা করা গেলো না। সেটা তোলা থাকলো খাদকায়তনের কম্পিটিশনে এবং পরবর্তী বারের জন্য।

ভক্ষণের অপেক্ষায় কেছকিভক্ষণের অপেক্ষায় কেছকি

কোলেস্টেরল বাড়ুক আর না বাড়ুক, গরু খাওয়া আপাতত বন্ধ। এই ক'দিন মৎসের উপর দিয়ে চালাবো কীর্তন। পরিশেষে জয় মা শাকসব্জি! ততোদিন পর্যন্ত খানিকটা মাংশাসী হয়েই থাকি না হয়!


মন্তব্য

সৌরভ এর ছবি

প্লাস্টিক চেহারার এক ললনা এসে আমাকে আধা-অন্ধকার ঘরে যে কি করলো কতোক্ষণ।

হ, কৈয়া দেখেন খালি।
কী যে করছে তাতো জানিই। ফটুক নিয়া ছাইড়া দিসে আর কি!

এতো ডাক্তারের কাছে যান ক্যান? কী হৈসে মিয়াভাই?



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনের তো মিয়া শরম ভরম নাই!
কি হৈছে সেইটা জানার লাইগ্যাই তো যাই। হালায় এত্তো দেখা দেখলো, কিছুই পায় নাই। ইসিজির সময় আমি জিগাই, আমার হার্টে কি ফাটল দেহা যায়? হালায় কয় না। আমি খুঁইজা পাইনা এত্তোগুলা ছ্যাঁকার ফাটা গেলো কই তাইলে?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কী এমন অসুখ হৈল যে আপনাকে কেচকি মাছ পথ্য দেয়া হয়? কি কর্ছেন, খোলসা করে কন।

নাইলে ঐ গানটার লিংক দিয়া দেন। ঐ যে - রাত বারটার পরে যাবি আম গাছের তলে---"

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

অসুখ ফসুখ কিছুই না। নার্স আফার সাথে ইটিশপিটিশ করার জন্যই এত ঘনঘন ডাক্তারের কাছে যাওয়া।


কি মাঝি? ডরাইলা?

সৌরভ এর ছবি

শরমের কথা।
এই পুলার তো বিয়া হইবো না। চরিত্র নিয়া টানাটানি।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনে এই কথা কৈলে তো আপনের মাইয়া বিয়া না হৈয়া বিধবা থাকবো। কথা এক্সপাঞ্জ করেন মিয়া গেইটলক!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

দ্রোহী এর ছবি

ঢা.বিতে পড়াকালীন আমাদের এক ক্লাশমেটও ধু.গোর মত ঘনঘন ডাক্তারের কাছে যেত।

একদিন দেখি সেই বন্ধু ঠিকমতো হাঁটতে পারে না। তাকে চাপাচাপি করেও ডাক্তারের কাছে পাঠানো যাচ্ছে না। ঘটনা দু পায়ের মাঝখানে আঁটকে গেছে। অনন্যোপায় হয়ে তার রুমমেট তাকে জোর করে ধরে নিয়ে গেল ডাক্তার দেখাতে। ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে রোগী জেদ ধরলো - সে একাই ডাক্তারের রুমে ঢুকবে।

রোগী বন্ধুটি ডাক্তারের রুমে ঢুকেছে। রুমমেট বন্ধুটি চেম্বারের ঠিক বাইরে বসে ডাক্তার রোগীর কথোপকথন শোনার চেষ্টা করছে।

ডাক্তার রোগীকে বললো, "খোলেন।" রোগী লজ্জার মাথা খেয়ে খুললো।

সবকিছু দেখে শুনে ডাক্তার রোগীকে প্রশ্ন করলেন, "মেয়েছেলের সাথে শেষ কবে মিশছেন?"


কি মাঝি? ডরাইলা?

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গল্পটা কি ধুসরের জন্য?

আমি তীব্র প্রতিবাদ জানালাম।

দ্রোহী এর ছবি

ছি ছি। আমি কি তাই বলেছি?? হাসি


কি মাঝি? ডরাইলা?

আড্ডাবাজ এর ছবি

আমি দ্রোহীর গল্পের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। রাজনৈতিক আলাপ নিষেধ বলে প্রতিবাদের ভাষা অনেকটা সুশীল করলাম। তবে ধুসর, ডাক্তারের পুতুল পুতুল সহকারীনীর আশায় ঘন ঘন ডাক্তার বাড়ী না যাওয়াই শ্রেয় হবে। হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমিও তাই কই।
এখন থাইকা কোন কোবরেজের বাড়ী যাওয়া ধরুম কিনা চিন্তা করতাছি।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

শেখ জলিল এর ছবি

কেছকি মাছের সাজানো প্লেট দেখতে আবার আসতে হলো ধু.গো.র ব্লগে।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ঝরাপাতা এর ছবি

যাক, এবার তাহলে মিস হয় নাই.... আরো খুইলা বলেন... জাফর ইকবালের সেই মাল্টিকালার জাঙ্গিয়ার ঘটনার মতো সরস কিছু.....


রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একবার সব খুইলাই লইজ্যা হইছে ফলেন। আরও খুলতে কন? আপনেতো মিয়া লোক সুবিধার না দেহি।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

রক্ত নিয়েছে আমার নগ্ন বাহু থেকে...

নাকি অন্য কিছু অন্য কোনও অঙ্গ থেকে? চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অমিত আহমেদ এর ছবি

কাঁচকি মাছ দেখতে তো বেশ উপাদেয় হয়েছে। এইবার নার্সের ব্যাপারটায় ঝেঁড়ে কাশেন দেখি?


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
কনফুসিয়াস এর ছবি

ইউটিউবে' ধুসর গোধূলী ও একজন নার্স' লিখে সার্চামু নাকি? পাওয়া যাইবো কিছু?
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- যেইহারে লোকজন খোলাখুলির দিকে মনোনিবেশ করছে, কিছু পাইয়া গেলেও অবাক হৈবো না কুংফু। তয় আপনে না আমার আপনা মানুষ। আমারে এমনে বেবাকের সামনে খুইল্যা ধরবেন? মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

থার্ড আই এর ছবি


এক ললনা এসে আমাকে আধা-অন্ধকার ঘরে যে কি করলো কতোক্ষণ। ছিঃছিঃ, লজ্জায় আমার মাথা কাটা যায় এগুলা বলতে।

ছিঃ ছিঃ লজ্জায় আমারও মাথা কাটা যায় , কি করে যে মন্তব্য করি !!
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

রেজওয়ান এর ছবি

আমিও কিছুটা খুনসুটি করি। আমার স্ত্রী পারতপক্ষে এখানে ডাক্তারের কাছে যেতে চায়না। কারন জার্মান পুরুষ বা মহিলা ডাক্তারই হোক প্রথম কথা হচ্ছে কাপড় খোল। যদিও জার্মানরা নগ্নতায় বিব্ত হয়না আমাদের কাছে এটি খুবই অস্বস্তিকর। এরপর সে এক পাকিস্তানী ডাক্তার পেয়ে হাফ ছেড়ে বেচেছে যে অন্তত: আমাদের মনমানসিকতা জানে।

কাজেই ললনাটি যাই করিল তা কি অবস্থায় সেটা অনুমান করা যায়।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

ধুসর গোধূলি এর ছবি
থার্ড আই এর ছবি

বোরখা পইড়া কি লাভ ? নার্সের কাছে গেলে সেই তো নগ্ন হতে হবে !!
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ, কথা সইত্য। কিন্তু খালি নগ্ন ব্যাপারটা কিরম জানি শোনায় তৃতীয় নয়ন। বলেন যে উর্ধ্বাংশ নগ্ন
এ, এইবার ভালো শোনায় দেখছেন। বোরখার লগে তাইলে একটা ঠুলি নিয়া গেলে কিরম হয়? আমাগোর বোরখা খুললেও সুন্দরী ললনার চোক্ষে দিমু ঠুলি পিন্দাইয়া।

বুদ্ধি হ্যাজ না আমার (তালিয়া)
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

হিমু এর ছবি

চর্ম ও যৌন রোগ কি গরুর মাংস খাওয়া বাদ দিলে সারবে? দুইদিন পরপরই গিয়ে নার্সের হাতে নাকাল হতে হবে। রক্ত যখন দিয়েছিস, আরো দিবি।

ভালো হয়ে যা। ভালো হতে পয়সা লাগলে ক্রাঙ্কেনফেরজিখারুং দিবে। পরের পয়সাও ভালো হওয়ার এই সুযোগ হেলায় হারাসনি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হিমুর মন্তব্যে (বিপ্লব)


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তোরে যদি ডাক্তার বাবু অর্শ-ভগন্দরের লাইগ্যা ইত্যাদি খাদ্য বারণ করতে পারে তাইলে আমারে চম্ম-যৌনের লাইগ্যা গরুরে দূরে রাখলে ক্ষতি কি রে শালা হাবশী।

ক্রাঙ্কেনফারজিশারুং-এর ভয়েই না একেকবার একেক কিসিমের সমস্যার কথা তোললাম। কিছু পায় নাই, আর আমি উন্টারসুখেন করতে কইছি, তাইলে মোটাবিলেরবাঁশ আমার পশ্চাৎদেশে প্রবিষ্ট করবো না? ভালো আর হওয়ার চান্স দিলো কই হালারা। মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আড্ডাবাজ এর ছবি

রুগীর জন্য পথ্য পাঠাতে না পারলেও বিনোদনের জন্য:

ধুসর গোধূলি এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।