ঘটনাটা ঘটলো দুদিন আগে।
শুনলাম পুরো প্রভিন্সে নতুন এক ভাইরাসের আগমন ঘটেছে। সারা শরীর কামড়ায়, অসহ্য লাগা, বমিচ্ছা প্রভৃতিকে উপসর্গ বলে গণ্য করা হলেও শেষ বিচারে মোদ্দা কথা দাঁড়ায় নতুন এক 'গ্রীপ্পে'। আমি ঠিক সেদিনই অন্য প্রভিন্স থেকে ফিরলাম। এবং ভাগ্যবরে যথারীতি আক্রান্ত হলাম নব্য এই ভাইরাসটির দ্বারা। উপসর্গ হিসেবে প্রচলিত শোনা কথাগুলো কোণাহীন ঠেকলো আক্ষরিক অর্থেই। কেউ আমাদের দেশের বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল ডেঙ্গু-র রূপ দেখে থাকলে বুঝবেন আমি কতো ধানে কতো চাল গুণছি!
তন্দ্রালু চেতনার জিমেইলে প্রকাশ কিম্বা এমএসএনে টোকা পাশ কাটিয়ে চল্লিশ ডিগ্রী উষ্ণ পানির শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে মনে হলো, 'এখনোতো বলা হলো না, বেলা যে বয়ে গেলো!'
ধোয়াওঠা একমগ ক্যামেলিয়া পাশে বসে গেলাম লেখতে, জানাতে, বলতে। কিন্তু গোল বাধালো, কোত্থেকে শুরু করি!
খুব সাদামাটা একটা স্বপ্নের কথা দিয়েই শুরু করি বরং। বাটারফ্লাই; একটা ফোটফোট নীল রঙা প্রজাপতিকে ঘিরে গড়ে উঠবে একটি বাগান। প্রজাপতির বাগান। হাজার রকমের প্রজাপতির আনাগোণা থাকবে সেখানে। থাকবেনা কেবল সেই হাসিটি, যে হাসিটি একসময়ে নিজের স্বপ্নকে ছাপিয়ে ভালো লেগে গিয়েছিলো।
ক্লান্তি ক্ষমার অভিপ্রায়ে কেডস পরে পাতায়ার পাতায় অবিরত জলধারাকে সাক্ষী রেখে মাথামোটা হুজুরের মাথাটাকে আরেকটু মুটিয়ে দেবার ক্ষীণ দুষ্টুমি মাথাচারা দিয়ে ওঠে কোন এক রেইনি ডে' তে।
লোকদেখানো ফর্মালিটিসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কারো মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টাটা বিফলে যায়নি। অসংখ্য জানা-অজানা বন্ধুবান্ধব আজ এই পদ্ধতিটা অনুসরণ করে। আর্চিসে আর ঢোকা হয় না, কচুক্ষেত - ইব্রাহিমপুর - তের নাম্বার মোড়- জায়গাগুলো পরিণত হয় এক স্বর্গীয় তীর্থভূমিতে।
কোনএক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় শপিং মলের ভিক্টোরিয়া'স সিক্রেট জোনে আড়চোখ রেখে লোকভয়ে সেখান থেকে দৌঁড়ে জুতার সেকশনে ঢুকে মনেহয়, 'কিছুই তো কেনার নেই আমার। বিকিকিনির কোন কথাই নেই অবশিষ্ট আজ!' ভিজে যাওয়া সড়কে বেলারুশীয় ছিপছিপে তরুনীর মনহরকরা কিঙ্করীর ছন্দে হাবুডুবু খাওয়ার সন্ধিক্ষণেই তারা জানান দেয়, ভুল পথে, ভুল জায়গায়, ভুল মানুষের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলো!
বৃষ্টির জলধারায় নিজেকে আশীর্বাদীত হওয়া থেকে রহিত করে ঘরে ফেরা হয়, বুকের ভেতর বয়ে চলে কষ্টের নদী। আড়াল থেকে মোবাইল ভেবে টিভি রিমোটে চলে কথোপকথন। হঠাৎ কোন এক অপ্রত্যাশিত চিঠির গোলগোল অক্ষরগুলো চোখটা ঝাপসা করে দিয়ে যায়। কখনো মিসকল বুয়েরাং হয়ে ফিরে আসে গুডগার্লের সংগা কলগার্লে প্রতিস্থাপিত হয়ে। কখনো রুমাকে নিয়ে সোমার হাবির কাড়াকাড়ি দেখতে দেখতে আনমনে বুট, পিঁয়াজুতে আড়াআড়ি কামড়।
এমনি করেই দিনগুলো কেটে যায় হাপিত্যেস, সাফল্য, ব্যার্থতার জটিল সমীকরণে। আপাতো ঝামেলাগুলো খুব বড় হয়ে সামনে দেখা দেয়। অন্যের কারণে নিজেকে অবিশ্বাস হয়, অজান্তেই শুরু হয় নিজেকে ডিফ্রাগমেন্টের ছকে ফেলে দেয়া।
মোবাইলের ক্যালেন্ডারে ১৯ তারিখ এলার্ম দেয়া থাকলেও তার আগেই মনের 'টু-ডু' লিস্টে উঠে থাকে একটি অবশ্য করনীয় কাজ।
আনোয়ার সাদাত শিমুলের জন্মদিবসের ক্ষণ।
ইচ্ছাকৃত দেরী হওয়ার জন্য ছাদের কার্ণিশে কাক পুষতে চাওয়া শিমুল আশা করি আশাহত হবেন না। ভুলিনি কভু, ভুলিতে পারি নাও কভু!
ভালো থাকবেন সুহৃদ।
মন্তব্য
আপনিও বিষণ্ণ-বিষণ্ণ লেখা শুরু করলেন? সচলায়তনে তো এই জাতীয় লেখারই প্রাধান্য। নাকি এটা আপনার অসুস্থতার ঝুলনমায়া?
সুস্থ থাকুন। অসুখ-টসুখ থেকে ১০০ হাত দূরত্ব বজায় রাখুন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- বিষণ্ণ লেখা লেখলাম কই বস? এখানে যা পড়েছেন সবই তেনার কৃপা!
কালকে ঘটনাক্রমে ছাদের কার্ণিশে কাকটা হঠাৎ কা কা ডেকে উঠলো। সরণের মতো একটা ডিসকার্ডেড ইমেইল ট্র্যাশে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছে কীনা!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এমনি করেই দিনগুলো কেটে যায় হাপিত্যেস, সাফল্য, ব্যার্থতার জটিল সমীকরণে। আপাতো ঝামেলাগুলো খুব বড় হয়ে সামনে দেখা দেয়। অন্যের কারণে নিজেকে অবিশ্বাস হয়, অজান্তেই শুরু হয় নিজেকে ডিফ্রাগমেন্টের ছকে ফেলে দেয়া। ...আজকাল আমারও এমন হয়।
যাই হোক সব ভুলে আজ জানাই- শুভ জন্মদিন আনোয়ার সাদাত শিমুল। ধু.গো.কেও ধন্যবাদ।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
- মামু, আমার ইচ্ছে ছিলো শিমুলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট মারবো (চামে চামে নিজের পোস্টের সংখ্যা বাড়ানো আরকি)! হয়ে উঠলো না কালো গাউনের জন্য। দুষ্কে পরান ফাডি যায় গো মামু।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অসুস্থ? ঠিকাছে। বিশ্রাম নিন। ভালো হলে সেরে যাবে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
- জুবায়ের ভাই, আপনি আমার কুশল জিজ্ঞেস করেছেন, আধেক ভালো হয়ে গেলাম বুঝি
অবস্থা আসলেই করুন। মাথা ধপধপ করছে, ঘুমানোর কথা বেঘোরে, কিন্তু ঘুমাতে পারছি না। পুরা ফাউল অবস্থায় পইড়া গেছি জুবায়ের ভাই।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পরথমে শিমুলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।।
আর এর পর, কুচক্ষেত ইব্রাহিমপুর দেইখা বুকটা মোচর দিয়া উঠলো।। ওরে গোধূরে, এই জায়গা কেন কইলে রে ভায়া!!
====================
অবিরাম ছুটে চলায় হঠাৎ থমকে যাওয়া
'
=========================================
নিজেকেই নিজে চিনি না, পরকে চেনার মিছে বাহানা
অগাস্টে ইট মেরে এবার পাটকেল খাওয়ার ভয়ে ছিলাম। আপনার নীরবতায় টেনশনও ছিল। কী নাকি কি আসে আবার!
যাক, আপনি আমার শ্বশুরের বড় জামাই, লোক খারাপ হইলেও মানুষ ভালো।
শুকরিয়া, কৃতজ্ঞতা। আপনিও ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ জলিল ভাই, প্রিয় মৃন্ময়।
নারে ভাই, মানুষ খারাপ হইলেও এত্তো খারাপ তো না।
দুঃখিত হতে ইচ্ছে করে, অসুখটাই বিলম্বিত করে দিলো যে!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন