ভ্যালেন্তিনাঃ যাকে কেবলই দেখি- যে আমাকে কেবলই দেখে

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: শুক্র, ০২/০৫/২০০৮ - ১:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেয়েদের যে দুইটা জিনিষের প্রতি আমার চোখ বেশি আকৃষ্ট হয় কিংবা ঘোরাফেরা করতে থাকে তার একটা হলো চোখ।
কারো সঙ্গে কথা বলি আর না বলি, একশো আশি ডিগ্রী কৌণিক দূরত্বে চোখের রং, ঢং, আকৃতি সব দেখে ও চেখে ফেলার চেষ্টাটা অন্তত করি।

বছর দেড়েক আগে মেয়েটাকে যখন এমএসএনে দেখতে চাইলাম, অনেক গাঁইগুঁই করলো। কারো সাথে ভিডিও চ্যাট করে না, ভিডিও অন করলে অস্বস্তি হয় ইত্যাদি নানান হ্যাপার কথা বলে চললো। করবে না করবে না করেও শেষ পর্যন্ত সে ভিডিও অন করলো। আমার মনিটরে দেখা মিললো কিঞ্চিৎ কোঁকড়ানো চুল, প্রশস্ত কপাল আর গোলগাল একটা মুখ। খানিকটা জড়তা নিয়ে আড়ষ্ট হয়ে আছে। আমার ক্যামেরা অন করার ডিমান্ড করলো। বাইম মাছের মতো পিছলে ছুটে আসলাম। পরিণামে, বন্ধ হয়ে গেলো তাৎক্ষণিক সম্প্রচার।

মেয়েটার সঙ্গে শহরের কোথাও না কোথাও হঠাৎ দেখা হয়ে যায়। আগে কোথাও দেখেনি বলে আমাকে চিনতে পারেনি কখনোই। কিন্তু দেখা হলেই কেমন করে যেনো তাকাতো, সোজা চোখ বরাবর। কখনো ট্রাম স্টপে, কখনো ম্যাকডোনাল্ডসে, কখনো ভাইনাখ্ট মার্কটে কখনো বা বাসে উঠতে গিয়ে- আমার দেখা হয়ে যেতো ভ্যালেন্তিনার সঙ্গে।

হ্যাঁ, মেয়েটির নাম ভ্যালেন্তিনা। যুগোস্লাভিয়ার মেয়ে। খুব ফুটফুটে অবয়বে সামান্য কোঁকড়ানো চুল।

তার সঙ্গে আমার কদাচিৎ দেখা হয়। সেদিনও হলো, আগে যেমন হতো তেমনি, হঠাৎ। ও সাধারনতঃ যেভাবে তাকায় এবারও সেভাবেই তাকালো, একেবারে চোখের গহীনে। অপরিচিত চাহনীতে জিজ্ঞাসা নিয়ে তাকাই আমি। ও চোখ সরিয়ে নেয়।

আমি ভ্যালেন্তিনাকে চিনি। মনের ভেতরের চোখ দিয়ে তাকে দেখি আমি পরিচিতের দৃষ্টিতে। কিন্তু সে তো আমাকে আজও দেখে অপরিচিত এক পথিকের দৃষ্টিতে।


মন্তব্য

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আমি ভ্যালেন্তিনাকে চিনি। মনের ভেতরের চোখ দিয়ে তাকে দেখি আমি পরিচিতের দৃষ্টিতে। কিন্তু সে তো আমাকে আজও দেখে অপরিচিত এক পথিকের দৃষ্টিতে।

মেয়েরা নাকি তাদের প্রিয় মানুষদের প্রত্যেকবার নতুন ভাবে দেখে ।.।.।. দেখতে চায়।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
পরিবর্তনশীল এর ছবি

অপ্রিয় মানুষ তার কাছে সবসময় আটপৌরে।.।.।. প্রথম দেখার দিন থেকেই। মন খারাপ
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
পরিবর্তনশীল এর ছবি

ওনার কাছে আপনি প্রত্যেকবার নতুন
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
খেকশিয়াল এর ছবি

কথা বার্তা শুরু করেন একদিন দেঁতো হাসি

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কবি তো ঐ এক জায়গাতেই নীরব!
আটলান্টিক ও শুকায়া যায় পন্ডিত জ্বী। মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

খেকশিয়াল এর ছবি

আরে একদিন বিনয়ে বিগলিত হইয়া গিয়া কথা বলা শুরু করেন, কথা বলতে হাত পা কাঁপাকাঁপি টাইপ রোগ থাকলে ( যেইটা আমার আছে ) উষ্টা খাইয়া পড়েন ওর উপর, এই প্রাগৈতিহাসিক সিনেমাটিক ব্যাপারটা আসলেই কার্যকরী ( যদিও এইটাও আমার দ্বারা হয় না ), মনে সাহস আনেন, বিসমিল্লাহ বইলা আগায়া যান, কি আসে জীবনে !

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আসল সমস্যাই তো ঐখানে। মাইয়াটা এমনে তাকায় যে ডরে আমার কইলজা শুদ্ধা শুকায়া যায়গা। শুকনা কইলজায় বিনয় পামু কই? কতোদিন ট্রাই দিছি। বুকডন পেটডন দিয়া ঠিক করছি আইজকা কথা কমুই কমু। দেখা হইলেই কার্টুন ছবির মতো টুশ কইরা চুপশাইয়া যাইগা বাল। মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

খেকশিয়াল এর ছবি

এক কাম করেন, দূরের থিকা আগে লোকেট করেন কই আসে, চোখের দিকে তাকায়েন না, আস্তে আস্তে আগায়া যাইবেন দেন উষ্টা সহকারে পতনের চেষ্টা করেন কাছে আইসা

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- উষ্টাই যদি খাইতে পারতাম পন্ডিত জ্বী, তাইলে জীবনে কম করে হলেও হাজার খানেক 'সাগরিকা' শ্যুটিং হয়ে যেতো!
_____________________
<সযতনে বেখেয়াল>

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

- আসল সমস্যাই তো ঐখানে। মাইয়াটা এমনে তাকায় যে ডরে আমার কইলজা শুদ্ধা শুকায়া যায়গা। শুকনা কইলজায় বিনয় পামু কই? কতোদিন ট্রাই দিছি। বুকডন পেটডন দিয়া ঠিক করছি আইজকা কথা কমুই কমু। দেখা হইলেই কার্টুন ছবির মতো টুশ কইরা চুপশাইয়া যাইগা বাল।

অনেকক্ষণ একা একা হাসছি। শালার আশেপাশেও কেউ নাই যে মজাক শেয়ার করি। মন্তেব্যের শেষ শব্দের ভেতরের জ্বালার প্রতি সমবেদনা (!) রইল।

মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গরীবের দুঃখে মজাক করেন মিয়া ভাই? মন খারাপ
কী লেখতে নিলাম কী লেখলাম!
কী লেখলাম, আর আপনে কী ভাবেন।

দুঃখ থুই আমি কোন সিন্দুকে? মন খারাপ
____________
<সযতনে বেখেয়াল>

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

প্রথম পরামর্শ : হাটু কাঁপলে সংক্ষিপ্ত মিলিটারি ট্রেনিং নিতে পারেন, ওদের হাঁটু কাঁপে না।
দ্বিতীয় পরামর্শ: মনের দুঃখে যে আটলান্টিক শুকাইয়া ফালাইছেন, সেইখানে দুঃখ বুনতে পারেন। যা খাদ্যাভাব কয়দিন পরে দুঃখে কেবল মন না পেটও ভরাতে হবে। তখন কাজে লাগবে।
ঘোষণা: আগে মজনু হন, তারপর দেখেন কত সমবেদনা ঢালি।


মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হাঁটু তো কাঁপে না, কাঁপে কইলজা।
আর আপনে কন ক্ষেতি করতে, আরে শুকানি কি যেমন তেমন শুকায় নাকি? একেবারে কাঠফাটা। এখন এই লোডশেডিং বাজারে ডিপটিউবঅয়েল যে চালাইয়া মাটি ভিজাইবেন সেই সুযোগ কই?
ডিজেলে চালাইবেন জনাব? তাইলে আপনের আশায় উলু।

তাইলে সবার শেষে কী মানে দাড়াইলো? খাদ্য সংকট সহসা ঘুচবে না! মরো বাঙালি, ভাতেই মরো।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

একেবারে প্রথম প্যারার প্রথম লাইনে 'দুইটা জিনিষ' বিষয়ে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে, সেটার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বাকী লেখায় করা হয় নি। প্রথম প্যারায় অর্ধেক করা হলেও - বাকী অর্ধেক বাকী রয়ে গেছে।

পাঠক হিসাবে প্রতারিত বোধ করছি।

নোটঃ কাউয়া খেদানোর একটা বয়েস আছে, সময় আছে। সব বয়েসে কাউয়া খেদাইতে যাওয়া ঠিকনা।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শিমুল ইজ অনেকাংশে রাইট।
আমার সাধরণতঃ লাজ শরম কিঞ্চিৎ কমই আছে। অন্তত ভাব ধরি সেরকমই। কিন্তু মেঘের আড়ালে বেলা বেড়ে যাওয়ার যে হ্যাপা, সেইটাই হাতে-পায়ে-কণ্ঠে শেকল পরিয়ে দেয়।

প্রথম প্যারার ব্যাপারে বলিতে চাই মাননীয় পাঠকপক্ষ, আমারে ব্যান খাওয়ানোর হীন চেষ্টার তেব্র নেন্দা জানাই। চোখ টিপি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আমিও তেব্র নেন্দা জানাই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ট্রামে ফের দেখা হলে এভাবে শুরু করা যেতে পারে, "আমি ভালো হাত দেখতে পারি।" ....

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তখন যদি হোম টাস্ক আমার গালে দিয়া দেয় তখন?
জাম্বাক ডলবো কে? আপনে? মন খারাপ

খালি ডলা খাওয়ানের বুদ্ধি!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কি কয়!
হোমটাস্ক গালে দিয়া দিলে এমএসএনে গিয়া ধরবা। মাইর খাওয়া দুইটা জিনিসে স্ট্যাটাস আপগ্রেডে কামে দেয়। ১) পলিটিক্স - উঠতি নেতা টু ত্যাগী নেতা, ২) প্রেমপ্রীতি - বখাটে টু অনুশোচনা টু প্রশ্রয় টু হাইহ্যালো টু জানেরজান। ঠিকঠাক লাইগা থাকলে আপগ্রেড অনেক কুইকলি হবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনের কথায় একটা গল্প মনে পড়লো।

কয় ছমিরণ এখন রঘু মিয়ার দুই বাচ্চার মা। বড়ই সুখের সংসার।
কথা হইলো, তাগো পরিচয় হইছিলো ক্যামনে!

হইছিলো কি, একবার ছমিরণ রঘু মিয়ারে ঘটাশ কইরা গালে ডুই দুইখান চড় দিছিলো ভরা মজলিশে।

গল্প শেষ।

আমার লাগবো না! মন খারাপ
_________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এইডা অণুগল্প সঙ্কলনে থাকা উচিত।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নতুন আরেকটা গুঁড়াগল্পের সংকলন বাইর হইতাছে নাকি?
শ্যামদেশীয় সম্পাদক সাহেব কী বলেন!
________________
<সযতনে বেখেয়াল>

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এইটা কেনো সংকলনে গেলো না, শম্পা-দকের ফাঁসি চাই ।

খেকশিয়াল এর ছবি

ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা
দেখলে ও চোখ আমি বোবা

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বোবা আর তব্দা কি একই জিনিষ?

আমি তো বোবা হইনা, তব্দা খাই। তাও তেরেসকোভার শীতবস্ত্রের ত্যাড়া কাভার দেইখা না, ডরে!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

খেকশিয়াল এর ছবি

ওকে, থুক্কুমুক্কু ফিরের থিকা !

ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভা
দুচোখ যেন সুপারনোভা
দেখলে পরে তব্দা খেয়ে
ডুবতে খুঁজি জংলা ডোবা

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জংলা ডোবা ছাড়া অন্য কিছু নাই পন্ডিত জ্বী।
এই ধরেন, লেগুন, হৃদ, লেক, নিদেন পক্ষে সুইমিং পুল- এইরকম টলমলে পানিওলা কিছু দেন।
অখনি ডুবুম গিয়া! মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এইরকম বাইম মাছের মত পিছলাইছেন আরো কতজনের কাছ থিকা...সবিস্তারে আমরা জানতে চাই।
ছাই কি কারো কাছেই ছিলো না?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এইযে একজন আইছে, মৎস্য বিশেষজ্ঞ!
এখন শাইখ সিরাজের মতো, কালো ছালিতে মাছ চিপ্যা ধরতে আরাম নাকি সাদা ছালিতে সহজ- তার ছালিময় বয়ান শুনবেন জনৈক শ্রীমতি ছালা পাগলনীর দরবার হইতে তোবারক নিয়া আসা ছিমুলা বিবি।

সবাই বলেন, ইয়া খুদা রক্ষা করো! মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এই বাইম মাছের জন্য মৎস্য বিশেষজ্ঞ হইতে হয় না।
ছাই বা ছালা কোনটারই দরকার নাই।
মাথার ওপর তুলে একটা আছাড় মারলেই...
সবাই বলেন, ইয়া হাবিবি !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আছাড় মারবেন আপনে, আর ইয়া হাবিবি কইবো সবাই?
ক্যান এত্তো শখ ক্যান?

হয় আপনে একলা ইয়া হাবিবি কইবেন, নাইলে সবাইরে একবার কইরা আছাড় মারতে দিবেন।

বাবা গোধু, পলা....!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হা হা হা
'সবাইরে একবার কইরা আছাড় মারতে দিবেন।'
আজকাল বাইম মাছের শরীরে কইমাছের প্রান থাকে নাকি?
একটা সিনেমার কথা মনে পড়লো..
পালাবি কোথায়...

........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শোনেন,
পয়লা আছাড়েই বাইম মাছ শ্যাষ। মানে পটল ক্ষেতি শুরু করে দিবে। তারপর আপনে দশটা আছাড় মারেন আর দশ হাজার মারেন, ডাজন্ট মেক এনি ডিফারেন্স।

তাইলে হুদাকামে জনগণরে দিয়া ফাও ফাও ইয়া হাবিবি কওয়াইবেন ক্যান!

তয় সাবধান কইলাম, জনগণ কিন্তু বাইমের পরে, বোয়াল, রুই, কাতল, টেংরা, পুটি, খইলশা, চাউন্দা, টাকি, মাইলানি, মলা-ঢেলা সব আছাড় মারা ধরবো। সাধুরা সব সাবধান! চোখ টিপি

ইয়া হাবিবি
________
<সযতনে বেখেয়াল>

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হুমম
আমার উপদেশ বলি:
১) আপনি এরকম না কথা বলে বেশি চোখাচোখি করতে থাকলে হীত এ বিপরিত হতে পারে। ও আপনাকে স্টোকার ভেবে ভয়ে ধারের কাছেও পরে আর আসবেনা।
২) এমনকি আপনাকে ফলো করা দেখলে পুলিশেও খবর দিতে পারে। ইয়ে, মানে... একবার অপছন্দ হয়ে গেলে পরে কিন্তু আর চ্যান্স নাই।

সমাধান: আপনি নেট এ ওকে বলেন যে দেখা করতে চান। ফরমালি ওকে ডেট এ আস্ক আউট করেন ভালো কোথাও দেখা করার জন্য। আপনি তো জানেনই ও দেখতে কেমন তাই আপনি ওলরেডি এক সিড়ি ওপরে, আর ওখানে গিয়ে কথা বললে তো বসেই বলবেন তাই টেবিলের নিচে হাটু কাপাকাপি ও খেয়াল করবেনা। হাটুর বদলে গলার সর যেন আবার কাপাকাপি না শুরু করে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তবে একটা জিনিস, ফুল নিতে ভুলবেন না। আর খাবার দাবারে কিপটামি করা যাবেনা, এটলিস্ট প্রথম ডেট এ তো অবশ্যই না।

গুড লাক। দেঁতো হাসি

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মানুষের গরমে মাথা আউলা হয়, আর তোমার দেখি হয়েছে ভয়ানক ঠান্ডায়।

যাও মাথায় গরম পানি ঢালো গিয়ে।

টাকলা আইছে মাথার চুলের গুণাগুণ বর্ণনা করতে!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমার বয়ফ্রেন্ড নাই দেখেকি আমার মতামতের কোনও মূল্য নাই ?? মন খারাপ
যান যান আর কখনও কিছু বলবনা, এজন্যই বলে কারো গায়ে পরে কারো উপকার করতে নেই।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তোমার (এবং তোমাদের) চিন্তা ভাবনা এতো ধ্বংসাত্বক কেনো বলতো।

একজন চায় তুলে আছাড় দিতে আর তুমি চাও গায়ে পড়তে, এগুলা কি? আমি কি সরকারী খাস জমি নাকি? মন খারাপ
_________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আসেন তো মুমু, এইটাকে একটু সাইজ করি !
মেয়েদের কথা পাত্তা দেয় না, কত্তোবড় কলিজা !!
মেয়েদের সব কথায় বলতে হয়, 'ইয়েস ম্যাম'
নাইলে মেয়েরা বশীভূত হইবে কেমনে?
কিচ্ছু শিখলো না...
...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মুশফিকা মুমু এর ছবি

শিমুল দেখেন আমাকে কত বড় ইনসাল্ট করল ওঁয়া ওঁয়া
এইটাকে সাইজ করতেই হবে । ওঁয়া ওঁয়া

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সাইজ করা শুরু করেন। কত্ত বড় সাহস!
গোধু আবার "আমি ত সাইজ হইতেই চাই" বলে বাংলা সিনেমার ভিলেনের মত ডায়লগ শুরু করে না দেয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভিলেনের মতো ডায়লগ নাহয় দিলাম, চোখ টিপি
কিন্তু আপনে আমার আপন লোক হইয়া আক্রমনকারীনির দলে যোগ দিলেন যে! মন খারাপ
_____
<সযতনে বেখেয়াল>

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

রহস্য ফাস করা কি উচিত হইবো? চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

অবশ্যই অবশ্যই মুমু!
আমার মনের মতো কাজ !!

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পাবলিক যেমন কিছু হইলেই লোক ইজারা কইরা নিয়া বিআরটিসির বাস পোড়ায়, আমারে 'সাইজ' করার লাইগাও দেখি জনবল সংগ্রহ করা হইতাছে।

বলি আমি কি বিআরটিসি'র লাল লাল দোতলা বাস নাকি, যে সাইজ করবেন বেবাকে মিল্যা? মন খারাপ

__
<সযতনে বেখেয়াল>

খেকশিয়াল এর ছবি

হায় হায় কান্নাকাটি করেন কেন ? ধুগো রে সবাই মিলা বইকা দিমুনে ইয়ে, মানে...

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

শেখ জলিল এর ছবি

তার সঙ্গে আমার কদাচিৎ দেখা হয়। সেদিনও হলো, আগে যেমন হতো তেমনি, হঠাৎ। ও সাধারনতঃ যেভাবে তাকায় এবারও সেভাবেই তাকালো, একেবারে চোখের গহীনে। অপরিচিত চাহনীতে জিজ্ঞাসা নিয়ে তাকাই আমি। ও চোখ সরিয়ে নেয়।

..এভাবে দেখার ভাগ্য কয়জনার?

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এটাকে ভাগ্য কি বলা যায় মামু?
আপনি দেখছেন, আপনি চেনেন তাকে- কিন্তু বলতে পারছেন না। পরিচিতের মতো কথা বলতে পারছেন না। বড়জোর কয়েক মুহূর্তের চোখাচোখি।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এইখানে নানান মন্তব্য জমায়েত হবে... নানান তরিকা আত্মস্থ করিয়া আমাদের ধূ-গোদা গা ঝাড়া দিয়া উঠিবে... মনে মনে শপথ লইবে- যা থাকে কপালে... আজকা পুষ্প হাতে সামনে গিয়া খাড়াবই খাড়াবো...
অতঃপর তিনি সারা রাইত ধরিয়া মাঞ্জাইবেন... পুষ্প কিনিবেন... তাহা লইয়া দুরু দুরু বক্ষে ভ্যালেন্তিনার সম্মুখে যায়া হাজির হইবেন... কিন্তু দুই কদম আগায়া থাইমা যাইবেন... দেখবেন মিস ভ্যালেন্তিনা হাঁটিতেছে অন্য কাহারো হস্তগত হয়ে।
অতঃপর ধূগোর দুঃখে বনের পশুপাখি ক্রন্দিত হইবে... বায়ু থমকায়ে যাবে... আসমানে আর মেঘ উড়িবে না... খোদা তায়ালা বজ্রকণ্ঠে বলিবে- ওরে গোধূ... বড্ড দেরি করে ফেলেছিস রে... বেটার লাক নেক্সট...

কিন্তু তাহার নেক্সট আর বেটার লাক হয় না... পরবর্তীতেও তার কেবলই দেরিই হয়ে যায়...

এইভাবে এইভাবে অবশেষে তার সকল দেরির সময়ও ফুরিয়ে যায়...
ধুর মিয়া... এত ডরানের কি আছে? কইয়া ফালান... পরিবর্তনশীল আছে পিছনে...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এক্কেবারে কড়ায় গণ্ডায় কয়েছেন দাদা।
আমার পরিবর্তনশীলের কপাল প্রায় এক। হাতের ধনকে ঠেলিয়া দূরে পাঠাইয়া দিয়া এখন একজন ললনা ভজঘটে আছে আরেকজন ইনফিনিটি টু দি পাওয়ার আলফার চিন্তায় অস্থির।

তবে লোকমুখে শোনা যায়, আপনার একখানা শালিকা বিদ্যমান। আমি কি জনাবের নিকট চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যায়িত সাট্টিফিকেটখানা সাবমিট করিবো? চোখ টিপি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

না রে ভাই... শালিকা জুটে নাই কপালে... এমনকি চাচতো খালাতো শালিকাও নাই...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মিছা কথা কইলে কইলাম 'শালিকাডা' পড়বো আপনের উপর। এইটা ঠাডার চাইতেও জা'ঝাময় কইলাম।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হের ধু.গো. কুঞ্জবনে উড়ে উড়ে মধু খাওয়া আর কতো? ভ্যালেন্তিনার সঙ্গে ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করার সাহসই নেই, আর ব্লগে এসে শুধু হাঙ্কি-পাঙ্কি! ছিঃ ছিঃ ছিঃ! ... মন খারাপ
---
অফটপিক: ব্রিটিশ সেনা বাহিনীতে ভেতো বাঙালিদের ভর্তি করা প্রায় হতোই না।

তো একদিন এক বাঙালি বাবু প্যান্ট-শার্ট পরে খুব স্মার্টলি এসে গোরা মেজর হুইটকে সালাম দিয়ে বললো, স্যার, আমাকে আর্মিতে নিন। আমি বাঙালি হলেও আমার খুব সাহস।

মেজর হুইট বললেন, পরীক্ষা হয়ে যাক। হাঁক দিলেন, সিপাহী, হেলমেট লাও!

ওই বাঙালির মাথায় লোহার হেলমেট চাপিয়ে মেজর হুইট রিভলবার থেকে তার মাথা বরাবর গুলি ছুঁড়লেন। বুলেট হেলমেট ছুঁয়ে বের হয়ে গেলো।

কী আশ্চর্য! বাঙালি বাবু তখনো ঠায় দাঁড়িয়ে, নট নড়ন-চড়ন।

মেজর তো সাহসের বহর দেখে মুগ্ধ। তিনি আবার হাঁকলেন, সিপাহী! আরেক হেলমেট লাও!

আবার হেলমেট বদল করে আবারও ফায়ার!

ফলাফল একই। বাঙালি বাবু তখনও একেবারে ধীর-স্থির, নট নড়ন-চড়ন!

মেজর সাহেব আবারও মুগ্ধ। তিনি আবারও হাঁকলেন, সিপাহী! আউড় এক হেলমেট লাও!

এবার বাঙালি বাবু সিপাহীর উদ্দেশ্যে খাস বাংলায় চিঁচি করে বলে উঠলেন, ওরে, সঙ্গে একটা প্যান্টেলুনও আনিস! চোখ টিপি


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জনাব মধু আর খাইতে পারলাম কই!
প্যান্টেলুন বদলাতে বদলাতেই দিন কাবার।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দুইটা প্রশ্ন মাথায় জাগছিলো। একটা তো শিমুল ভাই অলরেডি জিগাইছে। দুইটা জিনিসের প্রতি নাকি আপনার চোখ আকৃষ্ট হয়, একটা বলছেন, আরেকটা বলেন নাই! চোখ টিপি আর আরেকটা প্রশ্ন হইল, এই লেখা পড়তে হইলে চাচামিয়া হইতে হইব কেন! মন খারাপ আমি তো নিয়ম ভাইঙ্গা পইড়া ফেলাইলাম! খাইছে

গোধূদা, আপনে বিসমিল্লাহ বইলা একদিন কথা শুরু কইরা দেন তো! এত ডরাইলে চলে! রাখে আল্লাহ মারে কে! আল্লা ভরসা! যায়া বলেন, আই ওয়ান্ট টু সুইম ইন ইয়োর আইজ, প্লীজ লেট মি, অর অ্যাট লিস্ট লেট মি ড্রাউন! দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শেষের লাইনটা শেষ করার লগে লগে দেখুম আমারে রাইনে নিয়া ঠেইলা ফালাইয়া দিয়া আইসে।

ইস্ট ইয়োরোপীয়ান ললনাগোরে আমি এমনিতেই ডরাই। একবার তো এক মহিলা তার মাইয়ার লগে কিঞ্চিৎ টাংকিবাজী করার অপরাধে আমারে ঝাঁটা দিয়া দৌঁড়ানি দিছিলো! মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

সত্যি !
আহা, এইরকম আনন্দের সংবাদ এতদিন শুধু নিজের কইরা রাখছিলেন !!

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

মেয়েটির চোখ ভারি সুন্দর
পুকুরের মতো স্বচ্ছ
ওদিকে তাকিয়ে দেখেছি সেখানে
আমি একা নই মত্স্য হো হো হো

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

জটিল! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পুষ্করিনীর নিচের মাটি ফাঁক হইছে?
হইলে কইয়েন, ঢুইকা যামুগা মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রেমিক প্রেমিক ভাব
শুধু সাহসের অভাব।
আহ!

--- ফেরারী ফেরদৌস

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার নামটা বড়ই পরিচিত জনাব।
আপনি কি কোনোভাবে আমার পরিচিত? আপনি কি কোনোভাবে 'ভূষা' সম্পর্কিত!

আপনাকে পড়া এবং ঐতিহাসিক ছন্দটার অবতাড়নার জন্য শুক্রিয়া। বলেন, ইয়া হাবিবি।

_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

রায়হান আবীর এর ছবি

গোধূ দা, ভুলেও কোনদিন তাকে নিজের পরিচয় দিয়েন না...এভাবেই চলুক জীবন...আপনি তাকে দেখুন মনের চোখ দিয়ে এক দৃষ্টিতে আর সে দেখুক অচেনা পথিক হিসেবে...কত সুন্দর ফিলিংস...কথা বলা শুরু করলেই সে হয়ে যাবে অতি সাধারণ একজন। অন্য সবার মতো...

এই ধরণের জিনিস রেখে দেবার মাঝে অনেক আনন্দ লুকিয়ে রয়েছে। মাঝে মাঝে আমার আপন কোন বন্ধুকে অনেক কাছে পেতে ইচ্ছা হয়...কিন্তু সেই ভাবনাটাকে আমি মনেই ধামাচাপা মারি। কি দরকার অন্য কিছু হবার। এই তো বেশ আছি। এই যে চাওয়াটা এইটা নিয়েই আমি বাঁচতে চাই...

কি থেইক্কা কি কইলাম আল্লাই জানে।

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মাথা খাররাপ!!
পরিচয় দিয়া মাইর খাওয়ার প্রোবাবিলিটি বাড়ানোর কোনো ইনটেনশন আপাততঃ নাই আমার। দেঁতো হাসি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

নজমুল আলবাব এর ছবি

একটা হইল চোখ আরেকটা? অন্য কমেন্ট পড়িনাই। তাই ইতিমধ্যে বলে ফেললে দেখা হয়নি।

লেখাটা ভাল লাগলো। কিন্তু তোর আচরণটা খাইস্টার পর্যায়ে গেছে। একটা মাইয়ারে ফুসলাইয়া তার ফটুক দেইখা নিজেরে গোপন করা ঠিক হইলনা। তারউপর আবার এখন আড়ালে আবডালে তুই তারে দেখস কিন্তু সে তরে চিনেনা... ঠিক হইতাছেনা কইলাম।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বাউল ভাই, ঈমানে কই আমার শরম করে। আমার শরমটা আবার আলবিলাতি টাইপের। যেখানে করা দরকার নাই সেখানে করে, যেখানে করা দরকার সেখানে করে না! মন খারাপ

সেদিন কী হইলো বলি। ওয়েদার মোটামুটি ভালো। একদম সামার না। ইট্টু ঠান্ডা ঠান্ডা আছে। মাথায় রৌদ্রখাদক চশমা নিয়ে বসে আছি একজনের সাথে। এমন সময় ঐখানে এক ললনা আসলো। এসে টুক করে বসলো সামনের চেয়ারে। আমি কেমনে জানি টুক কইরা কইয়া বইলাম, ওয়েদারটা কেমন না? ললনা কয়, হ। এই কইয়া সারা সপ্তার একটা মোটামুটি ফোরকাস্ট দিলো আমারে। আমি কইলাম, বৃষ্টি হইবো এই কথাটা বলার আগে আমার কইলজায় ভোঁতা ছুঁরি দিয়া একটা পাড় দিতা! ললনা অসম্ভব সৌন্দয্য একটা হাসি দিয়া কয়, আমি কই নাই। রেডিও কইছে।

এমন সময় লগের জনের কাজ শেষ হইয়া গেলো। আমারে কয়, তুমি কথা কও আমি বাইরে গিয়া বিড়ি খাই। আমি কই মাথা খারাপ, আমিও যামুগা। এই কইয়া ঠাশ কইরা উইঠা আইসা পড়ছি। তবে ললনাটার মুখ দেইখা মনে হইছিলো ওর হাতে খানিক সময় আছে আর এই সময়টা সে নির্জন সেই গেস্ট রুমে আমার লগে প্যাচাল পাড়তে চাইতাছিলো। কিন্তু ঐযে, আমার শরম! এই শরমের লাইগ্যা আর ঐখানে থাকাটা হইলো না আমার। মন খারাপ

আইসা অবশ্য বেবাকটা রাস্তা ললনাটার লাইগা আমার কইলজাটা পুড়ছে এই বালের শরমের লাইগা জীবনে বুঝি কিছুই হইলো না আমার!

এইবার কন, আমি সামনে গিয়া কেমনে কথা কমু এই ছেমড়ির লগে? মন খারাপ
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

থাক
আগেই কথা কওনের দরকার নাই।
বড়ই শারমিলা ধুসর গোধূলির জন্যে একখান ইসপেশাল বস্তার..থুক্কু..বোরখার বন্দোবস্ত করা হইতেছে। সেইটার মইধ্যে ঢুইকা নাহয় আবার চেষ্টা কইরা দেখতে পারেন।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

জাহিদ হোসেন এর ছবি

নজমুল আলবাব এর সাথে একমত। ব্যাপারটা ঠিক হচ্ছেনা। আপনি তাকে দেখেন, কিন্তু সে আপনাকে দেখে না (মানে চিনে না)। অনেকটা বোরখাওয়ালীরা যেমন নিজেকে ঢেকেঢুকে আরামসে বোরখার ভিতর থেকে ছেলে দেখে সেইরকম হয় গেল না জিনিসটা?

পয়লা তওবা করেন, এবং তারপর তার কাছে নিজেকে উন্মুক্ত করুন। রয়েসয়ে অবশ্যই।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অনিন্দিতা এর ছবি

গো.ধু আপনি এত কিছু লিখতে পারেন আর একটা মেয়ের সাথে কথা বলতে ভয় পান?আসলেই মুমু, শিমুলের কথা মতো আপনাকে সাইজ করা দরকার।
শালীর চিন্তা বাদ দিয়ে ভ্যালেন্তিনার কথা ভাবুন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনাদের সাইজ করার কথা শুনে তো এখন মনে হচ্ছে, ভ্যালেন্তিনার কথা ভাবাও ছাড়তে হবে! চোখ টিপি
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি কি তাইলে এখানেই থেমে গেলেন?
-নিরিবিলি

তারেক এর ছবি

ইয়া হাবিবি!!
গুরু, শেষ্পর্যন্ত আপনে সান্ধাইলেন বুরখার আড়ালে? দুস্ক পাইলাম খুব।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পর্দা করা সকল মুমিন পুরুষের কর্তব্য। যেই হারে বেগানা নারী মানুষ পুরুষের ইজ্জতের দিকে ফ্যাল ফ্যাল কইরা চায়া থাকে, পর্দা না কইরা উপায় আছে নি হালায়!
___________
<সযতনে বেখেয়াল>

স্বপ্নাহত এর ছবি

গুরু, উপরের সব মন্তব্য টন্তব্য পড়ার টাইম পাইতেসিনা আপাতত।

খালি একটা অবজেক্টিভ প্রশ্ন ছিল। বোধহয় আগেই কয়েকবার বিস্তারিত আলোচনা হয়া গ্যাসে।আমি যেহেতু মন্তব্যগুলা পড়িনাই সো দয়া করে অবজেক্টিভ প্রশ্নের অবজেক্টিভ এনসার পাইলে বড়ই কৃতার্থ বোধ করিতাম।

এক নাম্বারটা না হয় বুঝলাম, দুই নাম্বার জিনিসটা কি??

কানকথাঃ বেশি শরমিন্দা হইলে ফেসবুকের দেয়ালে মুখ ঠেকিয়ে একটু ফিসফিসানি দিয়েন।আমিও আস্তে করে না হয় শুনে নিব চোখ টিপি

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
স্বপ্নাহত এর ছবি

আমি কই কি আর আমার সারিন্দা বাজায় কি?? ইয়ে, মানে...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নাহ, গুরু আমি ভালো হইয়া গেছি।

বেগানা নারী নিয়া আর কোনো খারাপ চিন্তা মনে পুষুম না। আপনেও ভালো হইয়া যান।

আসেন, কৃতকর্মের লাইগা তওবা পড়ি।
___________
<সযতনে বেখেয়াল>

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি


কুত্তার লেনজা কুনোদিন সোজা হইছে !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

স্বপ্নাহত এর ছবি

তওবা করার বুদ্ধিটা খারাপ না।

একেবারে ফ্রেশ হয়ে আবার নতুন উদ্যমে শুরু করা যাবো।

কি কন গুরু? চোখ টিপি

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সৌরভ এর ছবি

এই পোলায় ভাব ধরছে, কইমাছ উল্টায়া খাইতে জানেনা।
আসলে তো গল্পের খালি প্রথম অংশটায় পুস্টাইসে। বাকিটা ঝাইড়া কাশেন, বাপজান। শীগগিরই।
ব্যান খাওয়ার চিন্তা নাই, মডুয় ধরলে আমি জামিন লমু।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমি কৈ মাছ রানছি এইটা আপনে জানলেন ক্যামনে? চিন্তিত

বাকিটা ঝাইড়া কাশতে তো কোনো সমইস্যা নাই। আগেতো কাশি পাইতে হৈবো নাকি!
___________
<সযতনে বেখেয়াল>

অতিথি লেখক এর ছবি

গোধূলি আমার মনে হচছে আপনি বলতে পারবেন না, আপনি লাজুক মানুষ কিন্ত লিখতে পারবেন।
একটা সিরিজ লিখতে রেডি হয়ে যান।

বুকটা ফাইটটা যায় -- ভ্যলেনটিনা য্খন অন্য এর বউ হইয়া হাইটটা যায়
মেট্রও তে হঠাত দেখা দশ বছর পর
আমার স্বপ্ন এর ভ্যলেনটিনা আর তিন বাচচার গরবিত মা ইত্যদি ইত্যদি।

মিলিয়্ন ডলার এর আইডিয়া free দিলাম। সুনীল এর মতো আপনার নীরা কে নিয়ে অনেকে আবার স্বপ্ন দেখবে।

ইয়ে, আমার কাচকীর দাওয়াতটা রুইয়ে কনভারট করা যায় না ???

তানবীরা

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এই কমেন্টে জাঝা ।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়া হাবিবি!!
একি ধোগুদা??!! ফায়ার আন্ড শুট! হুদা মুদা চোখের দিকে চাইয়া লাভ আছে নাকি? কিছু মিছু কইয়া ফালান! দেঁতো হাসি

আর দুইটা জিনিসের দ্বিতীয়টা কি??

---
স্পর্শ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ধোগুদা'র এখন খালি গু'ই ধুতে হইবে। কিছু মিছু যে কমু, কারে কমু?
এই লেখা লেখোনের পর থাইকা ভ্যালেন্তিনারে আর দেখিনা বাল! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হা হা, ধো-গু।

দ্রোহী এর ছবি

হা হা, ধো-গু

একটু উল্টেপাল্টে লিখলে দাড়ায়

হাগু ধোহা ...... মোটামুটি চলে। ধুসর ভুল কয়নাই আসলেই..........


কি মাঝি? ডরাইলা?

দ্রোহী এর ছবি

কি সমাচার? আবার ফুসকুড়ি হইছে নাকি? জ্বলে ক্যান?


কি মাঝি? ডরাইলা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমার জ্বলে?
আসল কথা কমু জনগণের সামনে? এতোদিন যে কই ছিলেন, সেইটা কইলে কইলাম সেন্টু খাইয়েন না। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

কই ছিলাম? চ্যালা কাঠ কিনতে গেছিলাম বাজারে।


কি মাঝি? ডরাইলা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঐটাই তো স্যার বললো।
খাল কাটছেন নিজে, সেই খালে একটা কুমীর আইনা ছাড়ছেন হেরপরে সেই কুম্বরেই আপনের পিডে কালা কালা দাগ ফেলাইছে, এইখানে ভাবীর অবশ্য কোনো অবদান নাই। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

হ কথা ঠিকই। তবে পিঠটা নাকি ধুসর রংয়ের ছিল।


কি মাঝি? ডরাইলা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

১০১ নম্বর কমেন্টে শুভেচ্ছা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।