'রবিন ভ্যালোর মেডিক্যাল কলেজে পড়তে যাচ্ছে' - বাবা আমার সম্বিৎ ফিরিয়ে আনলেন। 'তাই নাকিরে, তুই ডাক্তার তবে হয়েই যাবি'? আমি তাকাই চশমার পেছনের রবিনের চোখ দুটোর দিকে। কথাটার পেছনের ঘটনা মনে করে রবিন বোধহয় একটু লজ্জা পায়। আমাদের স্কুলে টিকা দিতে আসা সুন্দরী তরুণী ডাক্তারকে দেখে রবিনের ডাক্তার হওয়ার ভূত চেপেছিলো ঘাড়ে।
নানান কথার মাঝে রবিন হঠাৎ বলে উঠলো চল একটু বাইরে যাই। ওর ইঙ্গিত বুঝলাম, আমার ঘরে এসে ওয়্যারড্রোব থেকে বেনসন লাইটের প্যাকেট আর গত বার্থডেতে শান্তার দেয়া জিপ্পোটা নিয়ে দুজন উঠে গেলাম ছাদে।
ফ্ল্যাশব্যাক থেকে শুরু হলো আমাদের কথা। ডাব চুরি, পুকুরে পুঁটি মাছ ধরতে গিয়ে কদাচিৎ একটা তেলাপিয়া বরশীতে গেঁথে গেলে সে কী উচ্ছ্বাস ছিলো আমাদের! একেএকে স্মৃতিচারণ হলো বাকীদের। ছোটবেলার মাটির কাঁচা রাস্তা আস্তে আস্তে বাঁক নিলো বড় নেলার হাইওয়ের দিকে। রবিন তার এফেয়ারের কথা শোনালো। কেমন করে তার অর্ণার সাথে দেখা হলো, কথা হলো, একে অপরকে ভাবতে শুরু করলো, আর তারপর একদিন, কুট্টুশ করে একজন আরেকজনকে 'ছুঁয়ে দিলো'! আমি সিগারেটের ধূয়া দলা পাকিয়ে ছাড়তে ছাড়তে শুনি রবিনের কথা, বলতে পারিনা কিছুই। আমি রবিনের মতো এফেয়ারে এতোটা বিশ্বাস করতে পারিনা, সম্পর্কের শুরু আরেকটা সম্পর্ক দিয়ে শুরু করতে চাই না আমি। কারো প্রতি বিশ্বাস আনার আগে নিজেকে বিশ্বাস করতে হয়, সেটাই আমার নেই। আর বিশ্বাস না থাকলে সেখানে কোন সম্পর্ক কিংবা সম্পর্কের আগের ফেইজ, এফেয়ার থাকবে কী করে?
রবিন কিছু বলতে চায় আমাকে। আমার ধারণা যদি সত্যি হয় তবে আমি জানি ও কি বলবে। আর উত্তর কি দেবো সেটাও আমি জানি। বাই ডিফল্ট সেই উত্তর কতোটা মীন করবো সেটাও বুঝি। আমার অনুভূতি কতোটা ড্রাইভ করবে এটাও টের পাই- তাই এতো আগের একটা ব্যাপারকে নিয়ে এখন, এই মুহুর্তে কথা বলাটা উপেক্ষা করতে চাইছি।
পঞ্চম রাউন্ডের শেষ পর্যায়ে ছাদে 'সুধন্যা' এসে হাজির। আমাদেরকে নিচে ডেকে পাঠানো হয়েছে। মিহি কণ্ঠ শুনে ঘার ঘুরে তাকাতেই শুনি, 'ভাইয়া তুই আবার সিগারেট খাইছিস'? ...
রবিন আলগোছে নেমে যাওয়ার পর টের পেয়েছিলাম আবছা অন্ধকার ছাদে বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গের অস্তিত্ব!
মন্তব্য
জিপ্পো কে দিছিল??? গররররররর
_________________________
'আজকে না হয় ভালোবাসো, আর কোন দিন নয়'
ছিলা কৈ ?
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
- সবাই খালি পারসোনাল খাজুর পারে, কেউ লেখার কথা কিছু কয় না রে!
আঁই সেন্টু খাঁইয়ুম।
জিপ্পো কে দিছে সেইটা দিয়া শিমুল কি করবো কন তো! আমার তো মনেহয় বিরি সিগারেট কিছুই শিমুল খায় না।
হাসিব ভাই এমনভাবে আমারে খুঁজতাছে যেন মনে হয় হেয় শালীদায়গ্রস্ত দুলাভাই হইয়া গেছে। আইচ্ছা এতই যখন পিরোবলেম তাইলে যান রাজী হইলাম আপনের শালির একটা গতি করার লাইগ্যা।
আর কে কে শালিদায়গ্রস্ত দুলাভাই আছেন সাউন্ড দেন। পরে কইলাম আমারে রিকোয়েস্ট করলেও আর পাইবেন না। স্লট এখনো খালি আছে।
বিদ্র : কেউ ঠেলাঠেলি করবেন না। সবার শালিই আমি লমু। সবাই একটু লাইনে খাড়াইয়েন জনাবেরা।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কারে ভাইয়া কৈল?
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
- কারে আবার, হের ভাইয়ারেই ভাইয়া কইলো।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লেখা ভাল লাগে নাই ততটা। (খাইছে, এ কি কইলাম...)
-----------------------
জানেনিতো, ইহা নিতান্তই নিজস্ব মতামত
নতুন মন্তব্য করুন