যে গল্পটা লেখা হতে পারতো অন্যভাবে - যেখানে সমাপ্তি টানা যায়

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: শুক্র, ০৬/০৬/২০০৮ - ৯:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


টীমমেট এন্থনি পিরী, জ্যাকি চয়, টীমলিডার ডেভিড জেনকিন্স, বেন মেসন- সবাই দৌঁড়ের ওপর। স্যাম জানালো হানড্রেড এণ্ড ফাইভ পার্সেন্ট অকুপেন্সী। সিজারেরও কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হলো কোনো কিছু বুঝার আগেই। গেস্টকে গ্রীট করা, চেক ইন করা এবং সুযোগ বুঝে গেস্টকে ওপরে নিয়ে তার রুমের খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দেয়া- এই করতে করতে ভয়ানক ব্যস্ততার ঘন্টাখানেক সময় হুঁশ করে চলে গেলো। তখনই ঘটলো ঘটনাটা।

জলবিয়োগ শেষে শিষ বাজিয়ে লবিতে ঢুকার মুহূর্তেই সুন্দরী স্যাম সিজারকে ডেকে বললো, "যদি কিছু মনে না করো, তাহলে এই গেস্টত্রয়কে তাদের রুমে নিয়ে যাবা? এইটা একটা প্লীজ!"

তাদের দিকে একবার তাকিয়ে সিজার হাসি মুখেই রাজী হয়ে যায়। দোতলার দুশ ছত্রিশ নাম্বার রুমে স্ট্রাইপ কী পাঞ্চ করে, ঘরের খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দেয়। কীভাবে সেফ কাজ করে, কোথায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, কীভাবে সেটা চালাতে হয়, উইনিক ভ্যাকুয়্যাম সিসটেমে টয়লেটে একটু শব্দ হয় ফ্ল্যাশ করলে, হার্টের রোগী কেউ থেকে থাকলে যেনো ভয় না পায়... ইত্যাদি ইত্যাদি।

দুশ ছত্রিশের স্পেশালিটি হলো, এর সাথে লাগোয়া একটা বড়, খোলা বারান্দা। সেখানে সূর্যস্নান করার জন্য রাখা আছে কাঠের কয়েকটা চেয়ার। সেকথা বলতে বলতে সিজার তিনজনের একেকজনের মুখের দিকে তাকায়। দুজনের বয়স পঞ্চাশ পেরোনো বলে ধারণা হয়। এদের একজন খুব কথাপাগল। সেই তখন থেকেই নানা কথা জিজ্ঞেস করে যাচ্ছে সিজারকে। এলিভেটরে, করিডোরে, এমনকি রুমে ঢুকেও। নেমপ্লেট থেকে নাম জেনে নিয়ে সরাসরি নাম ধরে সম্বোধন করছে। দ্বিতীয়জনও কথা বলার দিক দিয়ে প্রথমজনের প্রায় কাছাকাছি। তৃতীয়জন আপাতত ঘুরে ঘুরে রুমটা দেখছে, একদমই কোনো শব্দটি ছাড়া।

মুখে একগাল হাসি এনে অ্যান নিজের পরিচয় দিলো। হাত মেলালো। তার ননদ মারিয়া'র জন্মদিন উপলক্ষ্যে সিডনী বেড়াতে এসেছে একদিনের জন্য। মারিয়া'র দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো সিজার, জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালো হাসিমুখে। অ্যান বললো, তুমি খুব ভালো ছেলে সিজার, এসো আমার মেয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই। সিজারের এতোক্ষণ মনে হচ্ছিলো সঙ্গের প্রীতিজিনটা সদৃশ মেয়েটি হয়তো কথা বলেনা কিংবা বাদামী চামড়ার সিজারকে অবহেলা করতে চাচ্ছে আরদশজন অজিললনার মতো। অ্যানের আমন্ত্রণে একটু ইতস্ততঃ বোধ করে বললো, খুব সম্ভবত তোমার মেয়ে একটু একা থাকতে চাইছে। আর আমাকেও তাড়াতাড়ি নিচে ফিরতে হবে। আমি আশা করছি তোমাদের অবস্থান আনন্দময় হবে আমাদের সঙ্গে! সিজার মুখে এক চিলতে প্লাস্টিক হাসি ঝুলিয়ে চলে যেতে উদ্যত হলে দুশ ছত্রিশ নাম্বার ভরে ওঠে রিনরিন শব্দে।

: আমি আমেন্ডা!
সিজারের দিকে বাড়িয়ে দেওয়া একটা হলদেটে হাত, মুখে ঝুলানো বুদ্ধিদীপ্ত এক হাসি।
: আমি কথা একটু কম বলি এমনিতেই। কিছু মনে করোনা, প্লীজ! তাছাড়া তুমি কথা বলো খুব সুন্দর করে, তোমার কথাই শুনছিলাম তাই মন দিয়ে।

: যাক, কথা বললে শেষ পর্যন্ত। নাহলে হয়তো এই ধারণা নিয়েই আমি চলে যেতাম যে তুমি হয়তো কথা বলোনা!

হেসে উঠলো সবাই।
: আমার মেয়েটা সুন্দর না অনেক, সিজার?
আমেন্ডা মা-আ-ম বলে মায়ের দিকে কপট রাগের ভঙিতে তাকায়।
: তাতে কোনো, সন্দেহ নেই। আমি মনে করেছিলাম আকাশ থেকে নেমে আসা কোননো নিম্ফ!
দাঁত বের করে সিজার জবাব দেয়।
অ্যান হাসতে হাসতে সিজারের বাহুতে হালকা চাপড় দেয়, "ইউ আর সো নটি!" মারিয়া যোগ করে, "আই শ্যুড রাদার সে, স্মার্ট ওয়ান"।

এবার বিদায় নিয়ে চলে আসে সিজার। সন্ধ্যের দিকে আবার ব্যস্ততা বাড়ে। অন্য অনেক ঘটনার মতো দুশ ছত্রিশ নাম্বারের কথাও ভুলে যায় সিজার।

একই দিন, সন্ধ্যাবেলা
হোটেলের লবি

ব্যস্ততা কমলে ডেভিড কাছে এসে বলে তোমাকে ঐ মেয়েটা খুঁজে গেছে! সিজার অবাক হয়, কোন মেয়েটা?
: ঐযে, যাকে ওপরে নিয়ে গেলে!

সিজার বুঝতে পারে ডেভিড মজা করছে তার সঙ্গে। শুধু ডেভিড না। তার টীমমেটদের প্রায় সবাই খুব মজা করে ওর সঙ্গে। এমন কি ম্যানেজাররাও যোগ দেয় তাতে অনেকসময়। ২১ বছর বয়সেও স্টিল-ভার্জিন, শুকর না খাওয়া, মদ না খাওয়া এসব ব্যাপারগুলো তাদের কাছে দারুণ ইন্টারেস্টিং। প্রথম ডিকে হেসে উড়িয়ে দিলেও আস্তে আস্তে কালচারাল পার্থক্যটা বুঝাতে পেরেছে সে টীমমেটদের। এখন বেশ আগ্রহ নিয়েই তারা জানতে চায় অনেক কিছু। প্রথমদিকের মতো খোঁচামারা মজা আর করেনা কেউ। কিন্তু যে ডেভিড নিজেকে সিজারের বড়ভাই বলে পরিচয় দেয়, সে কেনো আজ এরকম মজা করছে। সিজার বেশ ভালো করেই জানে তাকে কেউ খোঁজেনি!

জ্যাকি চয় ছিলো কাছে। ডেভিড তাকে ডেকে আনলো। জ্যাকিও সায় দিলো কথায়। এবার সিজার বুঝতে পারে, ঘটনাটা পুরোটাই সাজানো। সেও মজা করতে থাকে তাদের সাথে...। এর মধ্যে বার থেকে লবি হয়ে বরিয়ে যাওয়ার সময় চারজনের একটা গ্রুপ থেকে আধামাতাল একটা মেয়ে হঠাৎ করে সিজারের হাতে এক গোছা গ্যাস বেলুন ধরিয়ে দিয়ে বলে এগুলা তোমার জন্য, রেখে দাও! বেলুনগুলো উড়িয়ে না দিয়ে, ঘরে ফেরার সময় সিজার সেগুলো গাড়ির পেছনে বেঁধে নিয়ে যাবে বলে ঠিক করে রেখেছে।

হোটেলটা দাঁড়ানো সিডনী হার্বারের এক পরিত্যাক্ত পীয়ারে। লবির এক পাশে আট ফুট বাই আট ফুট একটা গ্লাস ফ্লোর আছে যার মধ্য দিয়ে তাকালে নিচে নানারকম মাছের ঝাঁক দেখা যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে আছে সিজার। রিসেপশন ডেস্কে গ্রেস একা, কোনো কাজ নেই। খুব সম্ভবত মেইল চেক করছে। তার পাশেই ডেভিড কথা বলছে ম্যানেজার ট্রেভরের সঙ্গে, ট্রেভর অবশ্য রিভলবীন চেয়ারে একবার ডানে আরেকবার বামে ঘুরছে। লবিবার-এ জ্যাঁ আর জেইসনের মুখ হা হয়ে গেছে ড্রিংক সার্ভ করতে করতে। এমন সময় সিজার তার কাঁধে কারও স্পর্শ অনুভব করলো। পেছন থেকে কেউ হয়তো তাকে চমকে দেবার জন্য এমনটা করে থাকবে। ও ঘুরে মারাত্বক একটা কার্সিং ওয়ার্ড বলতে গিয়েও থেমে গেলো।

সিজার অস্বস্তি মেশানো হাসি দিয়ে বলে,
: আরে আমেন্ডা, তুমি! তোমার মা-ফুফু কোথায়!
: ঐযে বারে, ড্রিংক করছে।
: তুমি করোনা?
: নাহ্, জানো আমরা নৌকা করে সিডনী হার্বারে সারাটা সন্ধ্যে ঘুরেছি।
: বাহ্, তোমরা নিশ্চই অনেক মজা করেছো তাহলে।
: হুমম, তা করেছি। আমি তোমাকে খুঁজেছিলাম বাইরে যাওয়ার আগে।
: তাই নাকি!
: কেনো, বলেনি কেউ!
: হ্যাঁ বলেছে। কিন্তু বিশ্বাস করিনি।
: আমি আসলেই তোমাকে খুঁজেছি সিজার...
- আমেন্ডা এমনিতেই আস্তে কথা বলে। এই কথাটা সে অনেকটা ফিসফিস করে কানের কাছে এসে বললো। মনে হলো, ও কাঁপছে। এই কাঁপুনীর সঙ্গে সিজারের পরিচয় আছে। ও চারদিকে তাকাতে গিয়ে দেখে ফ্রন্ট ডেস্ক থেকে কয়েকজোড়া চোখ খুব উৎসাহ নিয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। সিজারের আরও অস্বস্তি হতে শুরু করলো। ও নিজেকে একটু সরিয়ে নিয়ে বললো,
: জানো, তোমার জন্য আমার একটা উপহার আছে।
আমেন্ডা এবার খুশীতে ঝলমলিয়ে উঠে হাত সামনে বাড়িয়ে দিয়ে বললো, "সত্যি!! দাও তাহলে।"

সিজার লক্ষ্য করলো আমেন্ডার হাত কাঁপছে। তার নিজেরও শরীর কাঁপছে কোনো এক অজানা কারণে। মনে হচ্ছে কান দিয়ে সমানে ধোঁয়া বের হচ্ছে। নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,
: তুমি রুমে যাও, আমি নিয়ে আসছি।
: তুমি আসবে তো!
: হ্যাঁ, আমার আরেকটু পরেই ছুটি হবে, আমি বেরিয়ে যাবার আগে তোমার রুমে নক করে উপহারটা দিয়ে যাবো।
: ঠিক আছে। আমি তোমার জন্য অপেক্ষ করবো!

এলিভেটর ধরে আমেন্ডা চলে গেলে। যারা এতোক্ষণ তাকিয়ে ছিলো, তাদের দিকে হাত নেড়ে "কী ব্যাপার, কী দেখছো!" ভঙি করে সেখান থেকে সরে যায় সিজার।

রাত এগারোটা
হোটেলের করিডোর

সিজার আস্তে করে নক করে দুশ ছত্রিশের দরোজায়। ভেতর থেকে কারও ছুটে আসার ধুপধাপ আওয়াজ পায়। দরজা খোলা আমেন্ডাই। খুলেই হাত বাড়িয়ে ধরে, আমার উপহার কই?
পেছন থেকে অন্যহাত ঘুরিয়ে এনে বেলুনের তোড়াটা আমেন্ডার সামনে ধরে। আমেন্ডা অনেক খুশী হয়। ভেতর থেকে অ্যান ও মারিয়া হাত নাড়ায়। হাউজকিপিংএর বুড়ো ডানিয়েল অতিরিক্ত বিছানা বানিয়ে দিচ্ছে। এর পরের কয়েক মুহূর্ত কেটে যায় নিঃশব্দে, দরজার চৌকাঠের সীমানায় দাঁড়ানো দুজনের। সিজার বরফ ভাঙে।
: কী করবে এখন, ঘুমাবে?
: নাহ্, খুব সম্ভবত টিভি দেখবো। ঘুম আসবে না। তুমি কী করবে!
: আমি এখন বাড়ি যাবো, তারপর জানি না।

আবারও চুপচাপ। আমেন্ডা পায়ের নখ দিয়ে কার্পেট খুঁটছে, সেটা সিজারের দৃষ্টি এড়ায় না।
: তুমি কি বাইরে যেতে চাও?
: তুমি নিয়ে যাবে আমাকে?
: তুমি যেতে চাইলে, অবশ্যই!
আমেন্ডা মনেহয় এমন একটা কথার জন্যই অপেক্ষা করছিলো এতোক্ষণ।
: তুমি একটু দাঁড়াও, আমি আমার জ্যাকেটটা নিয়ে আসি।
এক দৌড়ে ভেতরে গিয়ে জ্যাকেট নিয়ে এলো হাঁপাতে হাঁপাতে।
: চলো।
: ঠিকআছে। তুমি মেইন লিফট ধরে লবিতে যাও। আমি স্টাফরুমে চেঞ্জ করে আসছি। প্রধান ফটকের সামনে থেকে তোমাকে ডেকে নেবো!
: আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো...

ফাস্টফোরোয়ার্ডের মতো চেঞ্জ করতে করতে সিজার চিন্তা করার চেষ্টা করলো কী হতে যাচ্ছে। এর আগে তো কখনোই এমন হয় নি। ও কি "ডেট" এ যাচ্ছে! সেটা কী করে সম্ভব! উঁহু, এটা হতে পারে না। সামথিং মাস্ট বি রং।

প্রধান ফটকের সামনে এসে সিকিউরিটি অ্যালান কে সিজার অনুরোধ করলো লবিতে দাঁড়ানো মেয়েটিকে তার কথা বলতে। অ্যালান থতমত খেয়ে জিজ্ঞেস করলো, সিজার নিশ্চিত কীনা। কারণ কোনো গেস্টকে উত্যাক্ত করার অপরাধে তার নিজের চাকরিও চলে যেতে পারে। সিজার অ্যালানকে আশ্বস্ত করলো, জাস্ট গো এন্ড টেল হার দ্যট আই এম হিয়ার!

অ্যালান কে হা করিয়ে রেখে আমেন্ডা হাসি মুখে বেরিয়ে এলো। তারা হাঁটতে শুরু করলো হার্বার সাইড ধরে। ব্রীজ পেরিয়ে, হায়াত হোটেলের সামনের কাঠের জায়গাটুকু পেরিয়ে সার্কুলার কী, ফেরী ওয়ার্ফ পেরিয়ে যায় তারা একে একে। সিজার অবাক হয়, অস্ট্রেলিয়ান হয়েও মদ আর সিগারেটের প্রতি মারাত্বক অনীহা আমেন্ডার। আরও আশ্চর্য হয়ে গেলো যখন বললো, "সিজার আমি তোমাকে পছন্দ করে ফেলেছি।"

সিজার তখন বিষম খেয়ে বোকার মতো প্রশ্ন করে বসে, "কী!! আমি ই কেনো!"
আমেন্ডা হাসে, "সেটা তো বলতে পারবো না। শুধু জানি আমার অনুভূতি বলছে যে আমি তোমাকে পছন্দ করে ফেলেছি!"
সিজার এবার বলে,"হ্যাঁ আমিও তোমাকে পছন্দ করে ফেলেছি আমেন্ডা"
কথাটা বলে সিজার বুঝতে পারে না সে সত্যি বললো না মিথ্যে। তার কোনো অনুভূতিই কাজ করছে না এখন। মাথা পুরো ফাঁকা মনে হচ্ছে। কিছুই নেই, সব ফকফকা।

আমেন্ডা সিজারের একটা হাত তুলে নিলো তার হাতে। খুব সন্তর্পণে সেই হাতটা নিজের বুকে চেপে ধরলো। সিজার আমেন্ডার বুকের উষ্ণতা টের পেলো, আঙুলের মাথায় উঁচু মাংসপিন্ডের অস্তিত্ব টের পেলো সে। তার সারা শরীর ঝাঁকা দিয়ে গেলো। সিজারের আর কোনো বোধশক্তিই অবশিষ্ট নেই। যেকোনো মুহূর্তে ঠাশ করে পরে যাবে বুঝি! এ কোন যন্ত্রণা হলো। কী বলছে তা সে নিজেই শুনতে পাচ্ছে না।

রাত বারোটা নাগাদ,
অপেরা হাউজ, সিডনী হার্বার

অপেরা হাউজের একদম উপরের ব্যালকনিতে রেলিং ঘেঁষে দুজন দাঁড়িয়ে কথা বলছিলো। হঠাৎ আমেন্ডা সিজারের ধরে থাকা হাতটা আস্তে করে ছেড়ে দেয়। সিজার বুঝতে পারেনা। সিজার তার হাত ধরতে গেলে আমেন্ডা বলে, "আমি ঠিক আছি। এভাবেই ভালো লাগছে।"
সিজার বুঝতে পারে কোনো গোলমাল হয়েছে। আস্তে আস্তে তার স্বাভাবিক সম্বিত ফিরে আসতে শুরু করে। কিছুক্ষণ আগের কথোপকথন মনে করার চেষ্টা করতে থাকে। নাহ্, খুব খারাপ কিছু বলেছে বলে তো মনে পড়ছে না তার! এভাবেই কথা চলতে থাকে কিছুক্ষণ। আমেন্ডাই হঠাৎ বলে ওঠে, "হোটেলে ফেরা প্রয়োজন।"
সিজার অবাক হয়, একটু আগেও বলছিলো সারারাত বসে কাটিয়ে দেবে হার্বারে, সিজারের সঙ্গে। অথচ এখন ফিরে যেতে চাইছে। সিজার আবারও জিজ্ঞেস করে, সব ঠিক আছে কীনা!
আমেন্ডা হেসে মাথা নাড়ায়! সিজারের সন্দেহ দূর হয় না।

রাত, বারোটা চল্লিশ
ওয়লশ বে, পিয়ার ওয়ান, সিডনী হার্বার

হোটেলের সামনে এসে এবার সিজার সামান্য জোর করে।
: কী হয়েছে বলো আমাকে। এক ঘন্টার ব্যবধানে তোমাকে চিনতে অসুবিধা হচ্ছে আমার।
: আই এম ফাইন সিজার। ইটস ও-কে!
: তুমি কি আমার কোনো কথায় কষ্ট পেয়েছো?
আমেন্ডা মাথা নিচু করে চুপ করে থাকে। সিজার জানতে চায় আবারো। আমেন্ডা চোখ তুলে তাকায়, তার চোখ লাল, টলমল করছে পানিতে। চকিতে সিজারের একটা হাত তুলে নিয়ে, তারায় চুমু খেয়ে দৌড়ে হোটেলে ঢুকে যায়। হতভম্ব সিজার তাকিয়ে থাকে সেদিকে, অনেক্ষণ।

পরিশেষ

- এর পরের ঘটনা আমরা আর জানি না। সিজারের সঙ্গে আমেন্ডার আর দেখা হয়েছিলো কীনা তাও জানি না আমরা। সিজার পরদিন খুব ভোরে সার্কুলার কী-তে ম্যাকডোনাল্ডসের সামনের ফুলের দোকানটা থেকে এক গোছা ভিন্নবর্ণের ফুলের তোড়া নিয়ে দুশ ছত্রিশ নাম্বার রুমের দরজায় নক করেছিলো কিনা তা জানা যায় নি। কোয়ান্টাসের বিভিন্ন মিটিংএ বসে আমেন্ডা সিজারকে একটার পর একটা এসএমএস করেছিলো কিনা তা আমরা জানি না। এই ঘটনার কিছুদিন পর সিজার নতুন গাড়ি কেনে। হোন্ডা সিভিক ৯২। ভালোবাসা দিবসে অনেক কষ্টে আমেন্ডার ঠিকানা যোগাড় করে সেই গাড়ির পেছনের সীট বোঝাই করে ফুলের তোড়া নিয়ে সিজার আমেন্ডার ঠিকানায় হাজির হয়েছিলো কিনা তা জানা যায় নি। সিজার অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে আসার খবরে আমেন্ডা ফোন করেছিলো কিনা, কিংবা করলেও কী বলেছিলো সেটাও থেকে যায় আমাদের অজানা। আমরা জানি না সেদিন অপেরা হাউসের সামনে কোন কথাকে মনে ধরে আমেন্ডা গুটিয়ে নেয় নিজেকে। আমরা জানি না সিজার ও আমেন্ডা একে অপরকে সত্যিই পছন্দ করে ফেলেছিলো কীনা!

এথেন্সে রৌদ্রস্নানরত সেই যুবক উঠে যায়। পকেট থেকে নীল রঙের বিশ ইউরোর একটা নোট বের করে হাতের গ্লাসটা দিয়ে চাপা দেয় চেয়ারে। কালো চশমাটা নেড়ে ঠিক করে এগিয়ে যায় অদূরে থামিয়ে রাখা ছাদখোলা লাল মাজদার দিকে। গাড়ির ইঞ্জিন ঘরঘর শব্দে চালো হয়ে পেছন দিকে কিছু ধূসর ধোঁয়া ছড়িয়ে দেয়। রাস্তার ডান দিক ধরে গাড়িটি এগিয়ে যেতে থাকে সিনডাগমার দিকে। পেছন থেকে গাড়িটির গতি অনুসরণ করতে করতে আমরা ওপরে উঠে যাই সময়ের সিঁড়ি বেয়ে। আমাদের কানে ভেসে আসে এরকম

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

একটা সঙ্গীত। আমরা জানি না, উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের যুবকটির আসল গন্তব্য কোথায়...!

***** ****** ******* ******** ********

উৎসর্গের ডিসক্লেইমারঃ

ধুসর গোধূলি'র কোনো একটা পোস্টে,
বুধবার, ২০০৮-০১-০২ এই তারিখে,
১৭:০৮ - এই সময়ে
আনোয়ার সাদাত শিমুল (বলেছিলেন):

উদ্ধৃতি
গল্পটাতো অন্যভাবেও লেখা হতে পারতো!

আমি কিছু কবো না।

সেদিনের সেই অন্যভাবে লেখা হতে পারার গল্পটাই এটা। সেদিন থেকেই ভেবে রেখেছিলাম, কখনো লিখতে পারলে শিমুলকেই উৎসর্গ করা হবে, এবং সেটা পরিষ্কার দিলেই। হাসি


মন্তব্য

রায়হান আবীর এর ছবি

গুরু বাসায় যাই। আগামীকাল পড়ে আবার কমেন্ট দিবো। টাটা। হাসি

---------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি
রায়হান আবীর এর ছবি

হোমওয়ার্ক এর মতো জমে ছিল এই গল্পটা পড়া। রুমে নেট নাই। ভদ্র পোলার মতো কম্পুসেন্টারে বসে বসে সচল পড়ি।
গল্পটা ভালো লাগছে খুব। অনেক।।

ব্রাক ইউনিভার্সিটি ভালোই আছে মনে হয়।
---------------------------------

অতিথি লেখক এর ছবি

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমার একবারও মনেহয়নি এটা কোনো লম্বা গল্প। খুব ভালো লেগেছে। এক টানে বসে বসে পড়ে গেলাম। সাথে ছিলো এক কাপ গরম চা। আপনার গল্প পড়া শেষ হলো, এখন ভাবছি আরেক কাপ চা খাবো। আমার আবার বেশি কথা বলা আর চা খাওয়া - এই দুটো নেশা আছে।

পরশ পাথর

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গরম চা ভালো জিনিষ। তবে এক সঙ্গে দুইকাপ খেয়ে পরে রাতে ভেঁড়ার লোম গুণতে হবে। তার চাইতে বরং অন্য তরলে মনোনিবেশ করুন চোখ টিপি

আপনার পরশপাথরীয় মন্তব্য ধন্যবাদের সহিত গৃহীত হলো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তীরন্দাজ এর ছবি

প্রথম থেকে শেষ অবধি এক নি:শ্বাসে পড়ে গেলাম। একটি বিষাদের ছায়া ভর করলো ভেতরে, হয়তো অকারণেই! হয়তো এর ভেতরেই লুকিয়ে এই গল্পের সার্থকতা।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার মন্তব্য, সবসময়ই যথেষ্ট উদ্দীপনাদায়ক তীরুদা। অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার ক্লেশ স্বীকার করে মন্তব্য দিয়ে বাধিত করেছেন বলে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

টীমমেট এন্থনি পিরী, জ্যাকি চয়, টীমলিডার ডেভিড জেনকিন্স, বেন মেসন- সবাই দৌড়ের ওপর। স্যাম জানালো হানড্রেড এণ্ড ফাইভ পার্সেন্ট অকুপেন্সী। সিজারেরও কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হলো কোনো কিছু বুঝার আগেই।

প্রথম তিন লাইনের একটা শব্দেরও মাথামুণ্ডু না বুঝে ভাবছিলাম- দুর বাদ
পরে আবার ঢুকে গেলাম
আর একটানে চলে এলাম শেষ পর্যন্ত

গল্প আর রিপোটিংয়ের দারুণ সমন্বয়

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মন্তব্যের শেষের লাইনটুকুর জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ লীলেন ভাই।

গল্পটা আসলে গল্প হিসেবে লেখার ইচ্ছে ছিলো না। শেষমেশ অবশ্য কিছুই হয়নি, যা হয়েছে তা জগাখিচুড়ি বলা যেতে পারে। হাসি

প্রথম দিকে একটু ধোঁয়াটে লাগার কারণ বোধহয় আগের পর্বের অনুল্লেখতা। সেটা শুরুতে যোগ করে দিয়েছি এখন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্পর্শ এর ছবি

'ভালবাসা' ব্যপারটা আমার মাথায় কাজ করেনা তেমন। কেমন যেন ন্যাকা ন্যাকা ব্যপার গুলো! কিন্তু এই গল্পটাতে কোন ন্যাকামি নেই!!
সিম্পলি অসাধারণ লেগেছে। চলুক
কিন্তু শেষটা এমন কেন? মন খারাপ

----

২১ বছর আর এমন কি? আমিতো ভার্জিন থাকার ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করুম! হে হে হে! মন খারাপ
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গল্পটায় ভালোবাসা নামক ন্যাকামীর ফ্লেভার পেয়ে গেলেতো এই অধমের অপারগতা প্রিয় টাচ! চোখ টিপি

আমার এক বন্ধু আছে। ব্যাটাকে ফোনে ধরে জিজ্ঞেস করলেই হৈছে, কীরে খবর কী? ঐ ব্যাটা ক্যাসেট প্লেয়ারের মতো একই জবাব দেয় সবসময়, "কী আর- ইশটিল ভার্জিন!"

আমাদের মধ্যে অবশ্য একটা কথা প্রচলিত ছিলো একসময়, "মটরোলা কান্ধে ফালাইয়া স্বর্গে যাবি নাকি হালায়?" দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্পর্শ এর ছবি

তা ভাইজান আপনার স্টাটাস কি? চোখ টিপি
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হুমম কষ্ট লাগল, তবে সিজারের জন্য না খাইছে ডেভিডের জন্য, ডেভিডের সামনে আপনি অস্ট্রেলিয়ান সুন্দরিকে নিয়ে ডেট এ চলে গেলেন আর বেচারা তাকায়ে তাকায়ে দেখল। মন খারাপ

আমেন্ডা সিজারের ধরে থাকা হাতটা আস্তে করে ছেড়ে দেয়। সিজার বুঝতে পারেনা।

আমিও আমেন্ডার মতলব বুঝলাম না। ঘোরের মাঝে সিজার আবার আরেক মেয়ের নাম বলে নাইতো?

ভালোবাসা দিবসে অনেক কষ্টে আমেন্ডার ঠিকানা যোগাড় করে সেই গাড়ির পেছনের সীট বোঝাই করে ফুলের তোড়া নিয়ে সিজার আমেন্ডার ঠিকানায় হাজির হয়েছিলো কিনা তা জানা যায় নি।

হায় আজ পর্যন্ত "ভালবাসা দিবসে" একটা ফুলও পাইলাম না মন খারাপ তোড়ার কথা না হয় বাদই দিলাম .....

আপনার "সিজার" অস্ট্রেলিয়ায় আর কত রমনির হার্ট ভেংগে জার্মান চলে গেল সেগুলিও লিখে ফেলুন, আমরা শুনি দেঁতো হাসি
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ডেভিডের সামনে আমি অস্ট্রেলিয়ান সুন্দরী নিয়া গেলামগা? দিবাস্বপ্ন দেখা ধরছো নাকি মুমু বিবি?

তবে তোমার জন্য যাও ডেভিডকেও একটা অস্ট্রেলিয়ান সুন্দরী ধরিয়ে দিলাম। ধরে নাও তার নাম এমা। এমা ফার্গুসেন। তারা খুব ডীপ রিলেশনে আছে এবং সেটা অনেক বছর আগে থেকেই।

এবার ডেভিডের জন্য মায়া কমিয়ে কী করে ভালোবাসা দিবসে ফুল এনক্যাশ করা যায় সে প্ল্যান করো! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুমন চৌধুরী এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গত এপ্রিলে আপনার লেখা পড়ে ঘোষণা দিয়েছিলাম, একমাস আর গল্প লিখবো না। দেড় মাসেও লিখিনি আর। এটা পড়ে ভাবছি, আর লেখা আদৌ ঠিক হবে কিনা।

জা'ঝা বিপ্লব গুল্লিতে কুলাবে না। আপনাকে চিলি'জে নিয়ে যাওয়া দরকার। এদিকে আসলে আহার কিংবা মন্ত্রা। হাল্কা হালাল বিয়ারও খাইতে পারেন ওসুবিদা নাই।

ভাইরে, আমাকে উত করে স্বর্গে পাঠাইলেন এ গল্পে, সেইটা শুরু থেকে শেষে এতবার বলে কয়ে সাদা দিলে, বদদোয়া না দিলে হইতো না। বুঝলাম, গরীবের পেটে সবাই লাত্থি মারে। ঃ(

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভদ্রলোকেরা এইসব ঘোষণার ধার দিয়েও যায় না, আশা করবো আপনিও যাবেন না। যার মানে দাঁড়ায়, ফাঁকিবাজি চুলায় রেখে কনভেনশনাল শিমুল হিসেবে লেখা দিবেন, এবং খুব শীঘ্রই- এটা একটা প্লীজ।

উৎসর্গ করেই ঠিক করে রেখেছিলাম লেখাটা শেষ করে এই ডিসক্লেইমারটা দিবো। এটা ধুসর গোধূলি স্টাইল দেঁতো হাসি
লেখার আর কোনো জায়গায় এই ডিসক্লেইমার ব্যবহার করেছি নাকি? চিন্তিত
__________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ঠিকনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্প কথকের বলার ধরনে গল্প আর গল্প হয়েই থাকে নি। কোথাও যেন তার নিজস্ব একটু কষ্টও ঝিকিয়ে উঠছিলো তার অনুভূতির বিকীরণে। খুব ভালো লাগলো।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হাহাহা

ধন্যবাদ জুলিয়াস সিজার হাসি
(এই লেখায় নামটা কিন্তু আপনার থেকেই মেরে দেয়া)
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিন্দিতা এর ছবি

এত মন দিয়ে পড়ছিলাম! হঠাৎ কী হলো শেষে?লেখক হয়ে আপনি এদের মতিগতি না জানলে চলবে?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার মনোনিবেশে ছেদ ঘটিয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মন খারাপ
গল্পের লেখক আর লেখার লেখক যা-ই বলেন, চরিত্রগুলোতো আমার কথা শোনে না, তাদের কথাও আমাকে শোনায় না। আউলা লেখক দেখেই বোধহয় তারা কেউ বেইল দেয় না আমাকে। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিন্দিতা এর ছবি

এখন থেকে যারা বেইল দেয় তাদের কথা লিখবেন ঠিক আছে?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কথাতো একই হলো। মন খারাপ

তাদের কথা লিখতে গেলে তারা হবে চরিত্র, আর আমি সেই একই- চরিত্রগুলোর আউলা লেখক। তখনতো তারাও আর বেইল দিবে না। জ্বালা কি আর একটা! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍টীমমেট এন্থনি পিরী, জ্যাকি চয়, টীমলিডার ডেভিড জেনকিন্স, বেন মেসন- সবাই দৌঁড়ের ওপর। স্যাম জানালো হানড্রেড এণ্ড ফাইভ পার্সেন্ট অকুপেন্সী। সিজারেরও কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হলো কোনো কিছু বুঝার আগেই। গেস্টকে গ্রীট করা, চেক ইন করা এবং সুযোগ বুঝে গেস্টকে ওপরে নিয়ে তার রুমের খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দেয়া...

ইংলিশের এক্সেস ইউজ হয়ে গেল না চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তা হয়েছে বৈকি!
কিন্তু উল্লিখিত অংশগুলোকে ডাইরেক্ট বাংলা করে ফেললে দেখেন কেমন কেমন জানি শোনায়। ঘটনার বর্ণনা আর শ্রুতিমধুরতার সুবিধার্থে ওই অংশগুলোকে ওভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে, যেমনটা ঘটনায় সাথে মানায়।

আপনাকে ধন্যবাদ সন্ন্যাসী জী! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

হিমু এর ছবি

সিজারকে হয়তো অস্ট্রেলিয়ার ব্যথিতহৃদয় যুবকদের দৌড়ানি খেয়েই দেশান্তরী হতে হয়েছিলো, কে জানে!

আপাতত পাঁচতারা। সিজারের মতিগতি পর্যবেক্ষণে রাখা হলো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আসলেই আমেন্ডা কি চেয়েছিল বলেন তো?
এইরকম রহস্যময় আচরণের মানে কি?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমেন্ডারে জিগাইলে পাওয়া যাইতো... কিন্তু বেটিরতো কোনো টিকিটি লেখায় দেওয়া নাই। খুঁজুম কুতায়?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তারেক এর ছবি

পড়িয়া ফেলিলাম দুই পর্বই! ল্যাখেন ক্যামনে এইরকম? বেশি জোস চলুক
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পড়িয়া ফেলিলেন? কাম সারছেন...!
কেমনে আর ল্যাখি বস, এর চাইতে ভালোতে তো আর উঠতে পারি না। মন খারাপ

এখন আমার ডর কর্তাছে। আবজাব জিনিষ খাইয়া না আবার আপনের পেট খারাপ করে। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অমিত আহমেদ এর ছবি

লেখা পড়ার সময় মনে হয়েছে লেখকের বেদনার ছিটেফোঁটা কিছু গল্পে চলে এসেছে। আসলেই তা কি-না তা পরের কথা। কিন্তু এই যে এই ভাবটি আপনি পাঠককে দিতে পেরেছেন এতেই লেখক আপনার সার্থকতা। পড়ে ভালো লেগেছে।

অন্যকথা / অস্ট্রেলিয়ান ইংরেজি অন্যরকম সেটি গিয়ে খেয়াল করেছিলাম। মাঝে মাঝে এমন কিছু ফর্মেশন আর শব্দ ব্যবহার করে যেগুলোর ব্যবহার কানাডাতে নেই, বা অন্য ভাবে আছে। এই যে "নিম্ফ" শব্দটি - গ্রিক মিথ বাদ - নর্থ আমেরিকাতে স্ল্যাং হিসেবে ব্যবহৃত হয় (আরবান ডিকশনারি বলে a woman who craves as much good sex as she can get)। এখানে কোনো মেয়েকে বললে চড়-থাপ্পড় খাবার সম্ভাবনা আছে।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ অমিত।

অস্ট্রেলিয়ান ভাষার (সেটা ইংরেজী কিনা এই নিয়ে তাদেরও যথেষ্ট সন্দেহ আছে) বেশিরভাগই স্ল্যাং।

কানাডায় কাউকে আদর করে নিম্ফও ডাকা যাবে না দেখি। সিলেটে যেমন পুরীর দোকানে গিয়ে পুরী চাইলে সেইরম ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা আছে খাদকের জন্য! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।