বধুয়া

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: রবি, ১৬/১১/২০০৮ - ৪:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

: ঘুমাচ্ছিস বুঝি...! তোর হাতটা একটু ধরি?
আমার আজন্ম সাধ তোর হাতটা ধরার, তোকে একটু ছুঁয়ে দেয়ার- আলতো করে।

: ক্যান, হাত ধরবি ক্যান!
চোখ বন্ধ রেখেই তুই ঝলমলিয়ে উঠলি। কিন্তু পরক্ষণেই আমার ঘোলা দৃষ্টির কথা ভেবেই কী না তুই মৃদু করে হাসলি। বললি,

: আমি ঘর হইতে বাহির হইয়া জোছনা ধরতে যাই, হাত বাড়াইলেই চান্দের আলো, ধরতে গেলেই নাই...

আমি পুরোপুরি বুঝতে পারলাম তোকে। সম্ভবতঃ এই প্রথমবারের মতো। হাত বাড়িয়ে দিলাম তোকে ছুঁয়ে দেবার জন্য। তোকে স্পর্শ করলাম। বিশ্বাস কর একদম বাস্তব, সত্যি ছোঁয়া। তোর উষ্ণতা আমার হাতের আঙুলে লেগে গেলো। তোর স্পর্শ এখন আমার অস্তিত্বে। কিন্তু আমি জানি তুই এসবের কিছুই অনুভব করিসনি। জোছনার মতোই তোর হাত গলে অনুভবহীন আমার স্পর্শ গড়িয়ে পড়ে গেলো!

: তুই আগে বলতিস। একটা ডোরাকাটা মাছ হয়ে সূর্য্যের আলোয় ঝিলমিল করতে থাকা শান্ত নীলাভ পানিতে সাঁতরে বেড়াতে ইচ্ছে করে খুব তোর। এখন করে না?

: করে তো, এখনো করে। কিন্তু নীল রঙটা কেমন একটু ফ্যাকাশে ঠেকে এখন। আগের সেই উজ্জ্বল আবহটা কেমন যেনো নাই হয়ে গেছে রে। তোরও তো একটা নীলরঙা পাখি হয়ে নীল পাহাড়ে বৃষ্টির পর রঙধনুর উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো!

: আমার তো রঙধনুর উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার ইচ্ছেটা এখনো করে!

আমি জানি আমার পাখি হবার সেই বাসনা কখনো শেষ হয়ে যাবে না, যেমনটা শেষ হয়ে যাবেনা তোর আশেপাশে ঘুরঘুর করার, তোকে একটু ছুঁয়ে দেখার অন্তঃপ্রাণ ইচ্ছেটা। কখনো শেষ হয়ে যাবে না আমার বুকের মধ্যে বৈশাখের ঝড়, তোর জন্য!

: জানিস, আমি সেদিন একটা তাঁতের শাড়ি কিনেছি। কালো জমিনে সোনালী পাড়। খুব সুন্দর। এখনো পরিনি, ভাজ গুলোও খুলিনি।

: শাড়িটায় তোকে খুব সুন্দর লাগবে বুঝতে পারছি। এখন পরবি নাকি! যা পরে আয়, আমি দেখি।

: তুই আসলেই একটা পাগল। এখন পরবো ক্যামনে, আমি ঘুমাচ্ছি না...?

: হ্যাঁ, তাইতো। তুই তো চোখ বন্ধ করে ঘুমাচ্ছিস!

: আর এখন শাড়িটা পরবোও না। সামনে একটা প্রোগ্রাম আছে। ওখানে শাড়িটা পরবো, ছবি তুলে তোকে দেখাবো...।

: ঠিক আছে, তাই হোক তাহলে।

আমি জানি এটা সম্ভব না। তুইও জানিস। হয়তো বিশ্বাস করছিস না। বিশ্বাস আমিও হয়তো করছি না। থাকুক না আমাদের বিশ্বাসটুকু এই মুহূর্তের জন্য তোলা হয়ে। আমরা ভেবে যাই যেমনটা আমরা ভাবতে চাই। এখন... এই মুহূর্তে... দুজন পাশাপাশি...।

: তোর কালো টিপ আছে না?
: আছে তো।

: কতো বড়ো!
: তোর না প্রশ্নের কোনো মাথামুণ্ডু নাই। টিপের আবার বড়-ছোট-মেঝো কি। আমার কড়ে আঙুলের মুখের সমান হবে!

: নাহ্, অতো বড় না। তোর সঙ্গে এতো বড় টিপ যায় না। তুই পরবি একদম ছোট টিপ। মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষায় যে সাইজের বৃত্তগুলো ভরাট করতে হয়, ওরকম আকারের টিপ।

: হাহাহা... তুই আবার টিপ বিশেষজ্ঞ হলি কবে?

: এগুলো হলো টেস্ট মাদাম, বিশেষজ্ঞের ব্যাপার না। ও হ্যাঁ, হাতে চুড়ি পরবি ঝিনুকের, সোনালী অবশ্যই। তোর আছে আমি জানি।

: বাহ্ তুই তো দেখি আমার কাবার্ডের ভেতরের জিনিষের ব্যাপারেও ধারণা নিয়ে বসে আছিস।

: হাহাহা... তা তো আছিই! তোর কাবার্ডের কোন ড্রয়ারে কোন জামা রেখেছিস সেটাও জানি আমি। কোন ড্রয়ারে শাড়ি আর কোন ড্রয়ারে অন্তর্বাস আছে বলি...?

: না...! একদম না!! তুই থামবি!!! তোর সব ব্যাপারে মহাজ্ঞানী হওয়ার কোনো দরকার নেই। আপনার সুমর্জি হলে কিছু কিছু ব্যাপার নাহয় আমার উপরেই থাকুক মহারাজ!

আমি তোর রিনিঝিনি হাসি অনুভব করলাম। তুইও কি করলি একইভাবে আমাকে? তোর বাম গালে ছোট্ট টোলটা দেখতে পাচ্ছি আমি। ঈশ, তুই জানিসও না তোর গালের ওই ছোট্ট টোলটা দেখার জন্য আমি শতাধিকবার নশ্বর হতেও রাজী।

: তুই কি আমাকে ভাবিস?
: হুম, ভাবি।

: কী ভাবিস!
: ভাবি, তুই কেনো অমন করে সেদিন আমাকে কিছু না জানিয়ে পালিয়ে গেলি? কী করে পারলি তুই!

: তোকে অনেক ভালোবাসি যে!
: এ কেমন তোর ভালোবাসা...!

: তুই বুঝবিনা।
: বুঝবো, তুই বল।

: শোন, আমার অনিশ্চয়তার সঙ্গে তোকে জড়িয়ে ফেলতে চাইনি। যখন রিপোর্টগুলো হাতে পেলাম আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিলো যেনো। নিজের শরীরের এতোটা খারাপ অবস্থা, অনেকটা অজান্তেই ছিলো আমার। আমার সামনে তখন দুটো পথ খোলা ছিলো, দামী চিকিৎসায় নিজেকে সমর্পন করে ভাগ্যের হাতে নিজেকে সঁপে দেওয়া অথবা সব পেছনে ফেলে বাকী ক'টা দিন নিজের মতো করে বেঁচে থাকা। আমি দ্বিতীয় পথে হেঁটে গেছি। এই পথে তোর কোনো স্থান নেই যে! এই পথটা কেবলই আমার একার। মায়ার জালে জড়িয়ে গেলে তখন ছেড়ে যেতে অনেক কষ্ট হতো রে, ছেড়ে দিতে তোর ও অনেক কষ্ট হতো!

: (তোর হাসি হাসি মুখটা আর নেই) এখন কি খুব সুখ হচ্ছে বলতো! তুই কি জানিস তোকে আমি কতো খুঁজেছি। সারাটা শহর তন্নতন্ন করে চষে বেরিয়েছি তোর খোঁজে। তুই ছিলি না। তোর সঙ্গে যোগাযোগের কোনো পথই তুই খোলা রেখে যাসনি। একেকটা দিন আমার কি বিষাদে কেটেছে তুই জানিস না! তোর কষ্টে বুকের ছিঁড়ে যাওয়া একেকটা ধমনী কী করে জোড়া লাগিয়ে এখনো বেঁচে আছি, তুই বুঝিস...!

তোর গালের টোলটা মিলিয়ে গেছে সেই কখন। একি, তোর চোখের কোণা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে! তুই কাঁদিস না প্লীজ।
আমার ওখানে অনেক অন্ধকার। তুই জানিস, আমি অন্ধকারে থাকতে পারি না। অস্বস্তি হয়। তোকে ছাড়া থাকতে খুব কষ্ট হয়। তোর হাসি, গালের টোল দেখতে চলে আসি তাই। তোর চুলের গন্ধ আমাকে বেঁচে থাকার স্বাদ যোগায়। বিশ্বাস কর, তোকে কষ্ট দেয়ার জন্য আসি না। আমি যে তোকে ভালোবাসি, এখনো।
আমি জানি আজ তুই ঘুম থেকে উঠে কতোক্ষণ জানালা দিয়ে বিষণ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবি। তারপর তৈরী হয়ে তোর নতুন তাঁতের শাড়িটা ভাজ ভেঙে পরবি। কপালে কালো রঙের ছোট্ট টিপ দিবি, হাতে সোনালী ঝিনুকের চুড়িগুলো গছাবি। তারপর কিছু না খেয়েই বেরিয়ে যাবি। শাহবাগ থেকে আমার পছন্দের গোলাপ-গেন্দা-রজনীগন্ধার একটা তোড়া নিবি। একটা সিএনজি ডেকে বলবি, "মহাখালি বাসস্ট্যাণ্ড!" ভাড়া বেশি চাইবে, তুই কিছুই বলবি না, চুপচাপ উঠে বসবি। কিছুক্ষণ পরে তুই টাঙ্গাইলের বাসে চেপে বসবি। তোকে আজ অন্যরকম লাগবে। একদম অপরিচিত কেউ। বাসের জানালা দিয়ে আসা বাতাস তোর চুলগুলো এলোমেলো করে দিবে। তুই কাঁদবি, কিন্তু কেউ তোর কান্না দেখবে না। টাঙ্গাইল নেমে তুই যাবি ভবনটেকি গ্রামে। ওখানে একটা পরিত্যক্ত জায়গায় ক্ষয়ে যাওয়া বাঁশের চাইয়ে ঘেরা একটা কবরের পাশে ফুলের তোড়াটা রেখে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকবি অ-নে-ক-ক্ষ-ণ। গোধূলি বেলায় তুই আবার ফিরে আসবি। ফেরার পথে হয়তো দেখবি কোনো এক নীলরঙা পাখি উড়ে যাচ্ছে কোথাও! সাঁঝের আলতো বাতাসে তুই মুখ বাড়িয়ে বসে থাকবি, আর ভাববি বাতাস হয়ে বুঝি আমি তোর চুলে আদর করে দিয়ে যাচ্ছি। তুই ফিরে যাবি আমাকে অন্ধকারে একা রেখে। আমি জানি, তুই আবার আসবি, আবারো। কারণ তুই যে আমার বধুয়া!


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বাহ বেশ।

কল্পনা আক্তার এর ছবি

আচ্ছা, এই লেখাটার ক্যাটগরী রাজনীতি/দেশচিন্তা/চাচামিয়া হয় কিভাবে!!!

এতো ভালো লিখেন কি করে! আমার তারকা দেয়ার অধিকার নেই, থাকলে, যতগুলো তারকা দেয়া সম্ভব হতো তার সব গুলোই দিতাম। হাসি

সাংঘতিক রকমের ধার আছে আপনার লেখনিতে "ঈমানে কইতাছি" (কপিরাইট আপনি দেঁতো হাসি )।

.............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ক্যাটাগরীটা হলো ধুগো স্টাইলে করা। দেঁতো হাসি

আগে ইত্যাদিতে দেখতাম চিঠিপত্র পাঠ করে হানিফ সংকেত সমস্যার কথা "যথাযথ কর্তৃপক্ষ"কে জানিয়ে দিতেন। আপনার তারকা দেবার ব্যাপারটাও "যথাযথ কর্তৃপক্ষ"কে জানিয়ে দিলাম। হাসি

আপনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটা গান শোনাই আপনাকে। গল্পটার শেষের দিকে ব্যাকগ্রাউণ্ডে যদি এমন একটা গান যোগ করা যায় তাহলে কেমন হতো বলেন তো!

share your files at box.net
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কল্পনা আক্তার এর ছবি

আমার নেট ভয়ংকর রকমের স্লো হওয়ার কারনে এখনো গানটা শোনা হয়ে উঠেনি মন খারাপ ,

.............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

নিবিড় এর ছবি

হুম...... পুরা ডেঞ্জারাস লেখা চলুক । তবে ক্যাটাগরী দেখে আর লেখাটা পড়ে একটু প্যাচায়ে ফেলছিলাম । যাই হোক গত কিছু দিন ধরে খালি প্রেমের লেখা লেখতাছেন কার শালী কে ধরলেন চোখ টিপি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ধন্যবাদ বস।

কারো শালীকে ধরি নাই বলেই তো আপনার ভাষায় 'ডেঞ্জারাস' কিছু লেখতে পারতাছি। কাউকে ধরে ফেললে তো খালি মানপত্র আর প্রশংসাপত্র রচনা করতে হবে! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

০১.
সকালবেলায় গল্পটি পড়ে বেশ বিষন্ন হলাম। বিষাদও ছুঁয়ে গেল। মৃত্যু একদম সহ্য হয় না। পারত পক্ষে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি মারা গেছে এমন বাড়ি, কবরস্থান, চিতা ইত্যাদি। বিষাদ ছুঁয়ে যাওয়া গল্প ভালো লেগেছে।
০২.
কিন্তু ধূগোদা এইটা কার শালী।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার বিষণ্ণতার পুরো দায়ভার আমার কাঁধে নিয়ে নিলাম বস। কিন্তু 'কারো শালী' নিজের স্কন্ধে নেয়ার সাহস আপাততঃ করলাম না! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

AVIMANNU [অতিথি] এর ছবি

আমি ঘর হইতে বাহির হইয়া জোছনা ধরতে যাই, হাত বাড়াইলেই চান্দের আলো, ধরতে গেলেই নাই...

এ কথায় অসাধারণ ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমার মনে হয় "ঘটক ফাঁকী ভাই"রে হায়ার করা জরুরী হয়ে পড়েছে। অমুকের শালী, তমুকের শালী বলে ধুগো-কে অনেক ঘোল খাওয়ানো হয়েছে। বেচারা সহ্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে দেখছি! সুতরাং আর দেরী নয়। "ঘটক ফাঁকী ভাই"-এর বিলাতে ব্রাঞ্চ আছে বলে শুনেছিলাম। প্রয়োজনে জর্ম্মন দেশেও ব্রাঞ্চ খুলতে বাধ্য করা হবে (জর্ম্মন দেশে যে পরিমান এই দেশী কাস্টোমার আছে তাতে তার ব্যবসা লালে লাল হয়ে যাবে)।



তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঘটক ফাঁকী ভাই জর্ম্মন দেশে বাণিজ্য শুরু করলে তার ভালোই হবে। আর কারো গতি করতে পারুক বা না পারুক জর্ম্মন দেশের অধিবাসীরা মিলে তার নিজেরই একটা গতি করে দিবে, এইটা মোটামুটি কনফার্ম! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অসাধারণ...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কীর্তিনাশা এর ছবি

খুব খুব খুব ভালো লাগলো গোধুলি ভাই। চলুক

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

থাম্বস আপ। সেরম হইছে!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

খেকশিয়াল এর ছবি

লেখাটা দাবানল হইছে !

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হাহাহা

আপনারেও ধন্যবাদ পূর্বক একটা গান শোনাই পণ্ডিত জী। এই গানটা লেখাটার কোন অংশের সঙ্গে যায় বলেন তো...!

share your files at box.net
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কুচ্ছিত হাঁসের ছানা [অতিথি] এর ছবি

কিছু বলতে পারছি না, এত ভাল কি করে লিখেন?

একটা গানের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে

"আমি আগের ঠিকানায় আছি,
সময় করে এসো একদিন
দুজনে কিছুক্ষণ,
বসি, পাশাপাশি..."

নাহ, আর কিছু বলব না, অনুভূতিটা থাক আরো কিছুক্ষণ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গানটা অসাধারণ অ আমার হাঁসের ছাঁও!
আমার খুব পছন্দের একটা গান।

থাকুক অনুভূতিটা আরো কিছুক্ষণ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিন্দিতা এর ছবি

দারুণ।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হুমমম আসলেই ইদানিং ধু-গো ভাই বেশ কাব্য চর্চা করছেন, চিন্তিত কে যেন একবার বলেছিল প্রেমে পড়লেই নাকি ভুর ভুর করে হাই কোয়ালিটির কাব্য রচনা করা যায়। ড্যেফিনেটলি উনি প্রেমে আক্রান্ত। এই 'তুই' টা ক্যাডা ছবি সহ নাম ডিটেইলস জানান, জনগন জানতে চায় দেঁতো হাসি
লেখা খুবি সুইট, হুমায়ুন আহমেদের ঐ গানটা অসাধারন লাগে।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তোমার মন্তব্য পড়ে ধুগো- ভাইয়ের কাব্যচর্চা নিয়ে সন্দেহ গাঢ় থেকে গাঢ়তর হলো। চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

বিবাহ ছাড়া ধূ গো দাদার আর গতি নাই ইয়ে, মানে...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

পড়লাম ... মন খারাপ করে দেয়া লেখা মনেহয় বেশি চোখে পড়ছে ক'দিন ধরেই।
তবে লেখাটা খুব ভাল হয়েছে, অনেকদিন পর আপনার থেকে এমন লেখা পেলাম ধুগোদা।

--------------------------------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বলেন কি, সবাই খালি মন খারাপ করিয়ে দিচ্ছে নাকি ইদানিং? এটাতো বড়ই চিন্তার বিষয়! চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ধুসর গোধূলির লেখা পড়ে যদি চোখে পানি চলে আসে, তাহলে ক্যামনে কি?
লেখাটা অদ্ভুত অদ্ভুত এবং অদ্ভুত সুন্দর হয়েছে।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ধুসর গোধূলিকে লেখার সাথে কয়েক বস্তা পুরান টিস্যু সাপ্লাই দেওয়ার বিনীত অনুরোধ জানানো হোক!

আপনাকে অদ্ভুত * 3 ধন্যবাদ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

দুর্ধর্ষ!
আপনার লেখা প্রথম পড়লাম। অকপটে ব'লে যাই- বহুত-ই মুগ্ধ হইসি দাদা।
খুবই ভালো লাগলো। হাসি

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দুর্ধর্ষ! বলেন কী!!

আপনার অকপট মুগ্ধতায় বিশ্বাস রাখলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে গরীবের লেখা পড়ায়। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

কী যে বলছেন দাদা! চোখ টিপি

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

দময়ন্তী এর ছবি

এমন তীব্র প্যাশনেট, রোমান্টিক একটা লেখার ক্যাটেগরী ওরকম হাহা-হোহো-হিহি করে রেখেছেন কেন?

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

রাজনীতি /দেশচিন্তা নিয়া ভাবলাম এক রূপক লেখা ------ শেষ করে দেখলাম ছাক্কা প্রেমপত্র -------। বিষয়টা কি?

তবে অসম্ভব ভাল লাগার।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বিষয়টা কিছুই না, ধুগো টাইপের ট্যাগিং। দেঁতো হাসি

আপনাকে ধন্যবাদ। এতো অনিয়মিত কেনো, পিসির জন্য একজন সার্বক্ষণিক ন্যানী ঠিক করে নিন না। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তানবীরা এর ছবি

অসাধারন।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

স্বপ্নাহত এর ছবি

গুরুরও দেখি হাত ধরা রোগে ধরসে। ক্যামনে কি??

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঘটনা কিছুই না, ছোট ভাইগো হাত ধরা রোগটা একটু জায়েজ করি আরকি!
যাতে ঝড়ঝাপ্টা আসলে বড় ভাইগো উপর দিয়া আগে যায়! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পরিবর্তনশীল এর ছবি

গুরু এমন অসাধারণ লেখা খুব একটা পড়া হয় নাই জীবনে। কেমন যেন লাগলো! অদ্ভূত সুন্দর একটা লেখা। অদ্ভূত।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

বিপ্লব রহমান এর ছবি

অসাধারণ!
---
লেখায় (বিপ্লব)


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আলমগীর এর ছবি

৫তারা দিলাম, লেখা পড়ার সময় ধৈর্য/সময় নাই, পরে পড়ুম, গান শুইনাই পাগল এখন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লেখা না পড়েই পাঁচতারা জুটিয়ে দিলেন! হাসি

লেখায় উল্লেখিত প্রথম গানটা এখানে some where over the rainbow
এবং দ্বিতীয় গানটা এখানে বধুয়া

ধন্যবাদ আলমগীর ভাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আলমগীর এর ছবি

গানের লাইগা দিছি। পরে লেখা পইড়া আরো পাচঁতারা দিমু। পর-পরবাসে আছি। নেটের সময় সীমিত।

লিংকের জন্য আবার পাবলিকলি ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করলাম হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- "আমি ছোট মানুষ, আমাকে মারবেন না" বেবীটেক্সির পিছনে লেখা পড়েন নাই? আমি তো এমনিতেই 'ছোট', ধন্যবাদ দিয়ে আর কতোইবা ছোট করবেন বলেন! চোখ টিপি

আপনি লেখাটা পড়ার কথা বলেছিলেন, একটা ফিডব্যাকও পাবো আশা করেছিলাম। কিন্তু আপনি তো দেখি টাকি মাছের মতো পিছলায়ে চলে গেলেন। কাজটা কি ঠিক করলেন (হইলেও তো হইতে পারতেন ভায়রা) ভাই! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

s-s এর ছবি

বধুয়া =বঁধুয়া? না'কি বধূ?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বঁধু ---> বন্ধু
বধু ---> বধুয়া ---> প্রিয়তমা

ঊ-কারের ব্যাপারে আমি শিউর না (দীর্ঘ ঊ-কার হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি)। হাতের কাছে বাংলাবিধান নেই বলে দেখে নিতে পারলাম না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

jara এর ছবি

আমি জানি এটা সম্ভব না। তুইও জানিস। হয়তো বিশ্বাস করছিস না। বিশ্বাস আমিও হয়তো করছি না। থাকুক না আমাদের বিশ্বাসটুকু এই মুহূর্তের জন্য তোলা হয়ে। আমরা ভেবে যাই যেমনটা আমরা ভাবতে চাই। এখন... এই মুহূর্তে... দুজন পাশাপাশি...।
আমার চোখে জল টলমল করছে। অসাধারন_______________।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার টলমল করা চোখের জলের জন্য অসীম শ্রদ্ধা।

লেখায় কষ্ট পেয়ে থাকলে আরেকটু দেই। নিচের গানগুলো শুনে দেখুন লেখাটার ব্যাকগ্রাউণ্ডে।

১।

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA


২।

share your files at box.net

৩।

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ jara।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৌরভ এর ছবি

ঘটনা কী? কার্লগে?


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অসম্ভব
এটা বানিয়ে লেখা হতেই পারে না

আলাদা পোস্টের সময় হয়ে গেছে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঠিক।
এটা মোটেও বানিয়ে লেখা না মওলানা। এইটা আমার নিজের কাহিনী। আমি তো মরে গেছি। পড়ে আছি ভবনটেকি নামের সেই 'সম্পূর্ণ গ্রামে'র এক কবরের নিচে।

যাই, এবার আলাদা পোস্টটা পড়ে আসি। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

একজন ভক্ত এর ছবি

খুব মন-ছোঁয়া একটা বিষন্ন লেখা। অসম্ভব ভাল লাগল। মনে পড়ল এই গানটা:

"বঁধূয়া আমার চোখে জল এনেছে হায়, বিনা কারণে
নীলাকাশ থেকে একি বাজ হেনেছে হায়, বিনা কারণে
দিনে দিনে মূল্য বিনে, সে যে আমায় নিল কিনে
এ মনে যতন করে বিফল প্রেমের বীজ বুনেছে হায়
আমি তো খুঁজি কারণ, মন আমায় করে বারণ
বলে কেন এমন মরণ, বিনা কারণে
আমি বাদী আমি বিবাদী কোথা উধাও অপরাধী
কেন সেই রূপের আগুন বুকে জ্বেলে আছি বেঁচে হায়"

শুনেছেন হয়ত আগেই, তবুও আপনার জন্য:

Bodhua Amar Chokhe...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শ্রীকান্তের এই গানটা অসম্ভব সুন্দর, শুনেছি তো বটেই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এখানে গানটা ভাগাভাগি করার জন্য।

"রঙধনুর উপর দিয়ে নীলরঙা পাখি উড়ে কোথাও" আর "বধুয়া" গান দুইটা সুন্দর না?

আপনার নাম দেখে মজা পেয়েছি। "একজন ভক্ত"। মানে ধুসর গোধূলি'র পাংখা। উলটে পড়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তুলিরেখা [অতিথি] এর ছবি

"সখী, কেমনে ধরিব হিয়া-
আমারই বঁধুয়া আনবাড়ী যায়,
আমারই আঙিনা দিয়া।"
রাধা গাইছেন। সখীর কাছে বিলাপ। বঁধুয়া এক্ষেত্রে প্রিয়তম (কৃষ্ণ)।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- "সোনা বন্ধে আমারে দিওয়ানা বানাইল..."
এখানে বন্ধে মানে হলো প্রিয় বা প্রিয়া, প্রচলিত বন্ধু অর্থে নয়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আপনিও এরকম লেখা লিখতে পারেন?
ভীষণ অবাক হলাম!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখাটা পড়সি সেইদিনই, এখন পড়লাম আরেকবার। বস, কী বলব বুঝতে পারতেসি না। আসলেই আপনি যে এরকম একটা লেখা লিখবেন, তা ভাবিনি। আপনার লেখার প্রতি আমার বরাবরই মুগ্ধতা ছিল, এইটার পর তা বেড়ে গেল বহুগুণ।

অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা চলুক

লেখাটা পড়ে মন খারাপ হইসে অনেক- কিন্তু এরকম লেখা পড়ে মন খারাপ হলেও, হাজারবার পড়তে চাই...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কিছু মন্তব্য পড়ে হাতপামাথা গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া আর কিছু করা যায় না। আপনার মন্তব্যটা সেরকম কিছু একটা একটা হয়েছে। তাই কেবল একটা ধন্যবাদ দিয়েই কেটে পড়ি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খাইসে! আমার তো দেখি অনেক প্রতিভা, আমি যে 'এরকম' কমেন্ট করতে পারি তা তো জানতামই না! চিন্তিত

তবে সিরিয়াসলি, ধন্যবাদ বস্ আপনার পাওনা। হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একটা ছোট্ট দিয়াশলাইয়ের কাঠি কি জানে তার মুখের উশখুশ করা বারুদটুকুতেই জ্বলে যেতে পারে পুরো একটা ট্রয়!

ধন্যবাদ নিতে চাই না, এটা পাঠক হিসেবে আপনারই থাকুক অন্য সকলের সঙ্গে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নিঝুম এর ছবি

এইটা প্রিয় পোস্টে না রাখলে ... আর চলে না
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

ধুসর গোধূলি এর ছবি
কুরুবক [অতিথি] এর ছবি

মাঝে মাঝে এসে বধূয়াটা পড়ি।

তবে গুরুচন্ডালী ১৩ বলতেছে চিত্ত এবার সত্যি বিক্ষিপ্ত। ললনায় কাজ হচ্ছে না।মানে দেশকে মনে পড়তেছে।কি আর করা.........মুড়ি খান খাইছে

আপনার পাংখার সংখ্যা তো কম না.........কেন জানি ৩২ দাত বের করা হাসি কিছুতেই বন্ধ করতে পারতেছিনা।

বধূয়া গানটা শোনার ইচ্ছা কয়েকদিন ধরেই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মাঝে মাঝে এসে পড়েন জেনে অধম ধন্য বোধ করছে!

দেখি, বিক্ষিপ্ত চিত্ত নিয়ে মুড়িই খেতে হবে। উপায় নাই গোলাম হোসেন।

আমার পাংখা সংখ্যায় যেমন তেমন, তবে একেকটা মাস্টার পিস। নিজে ঘুরার বদলে আমাকেই বন বন করে ঘুরায়! এতে ৩২ কেনো, লাগলে আরো কিছু দাঁত ধার করে লাগিয়ে হলেও হাসতে পারেন আপনি। মন খারাপ

শ্রীকান্তের গানটার কথা বলেন? হুমম, দারুণ গান।

ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আলমগীর এর ছবি

স্বপ্ন শেষে বালক কী দেখল তার বিবরণ অনুপস্থিত। বালকের হাতসহ বিভিন্ন অংগের অবস্থান কোথায় ছিল, ঘরের তাপমাত্রা তার কোন তথ্য নেই। বর্ণনায় যদি কোন বাস্তবের রেশ থাকি তবে আগেই ক্ষমা চাই।

পাহাড় বেয়ে উঠলাম দুজনা, দেখি চূঁড়ায় থাকার জো নেই।
হাত ধরেই কি নামব নাকি, ছেড়ে দিয়ে বলব হেইইইইইই?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বাস্তবের ছিটেফোঁটাও নেই। কিন্তু কিছু কাকতাল আছে, এইমাত্র লক্ষ্য করলাম। হাসি

সংক্ষেপেঃ 'বধুয়া'কে ভিজ্যুয়ালাইজ করলে দেখা যাবে ঘুমন্ত বধূয়া'র পায়ের দিকে একটু উঁচু অবস্থান থেকে বালকের দৃষ্টি। কথোপকথন চলতে থাকবে। এরই মাঝে দৃষ্টিটা আস্তে আস্তে নেমে আসবে, স্থির হবে ঘুমন্ত বধূয়া'র শিয়রের কাছে। বালক হাত বাড়াবে, কিন্তু এইখানে সিক্যুয়েন্সটা নিয়ে আমি চিন্তিত- বালক বধূয়া'র অযত্নে পড়ে থাকা হাত স্পর্শ করবে নাকি আলুথালু চুল গুলো সরিয়ে দেবে কপাল-মুখের উপর থেকে, গালে-ঠোঁটে আলতো করে স্পর্শ করবে! (এর বেশি কিছু করা যাবে না, সেন্সরবোর্ড আটকায়া দিবে দেঁতো হাসি )

এখানে একটু ষ্পেশাল এফেক্ট আছে। স্পর্শ করার সময় চুড়ির রিনিঝিনি মতো একটা মৃদু শব্দ হবে আর যেখানে স্পর্শিত হলো সেখান থেকে তারার মতো কিছু জিনিষ ছুটকে বেরুবে, সফ্টলী। অথবা পুরো স্পর্শটাই হবে সাদা ঝলমলে কোনো কনটেক্সটে।

শেষের টুকু নিয়ে আমি কনফার্মড। সিক্যুয়েন্স, দৃশ্য, কোরিওগ্রাফী- সব মাথায় গিজগিজ করতেছে! শেষের শ্যুটটা হলো আলোহীন অবস্থায়। সূর্য ডুবছে এমন সময়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কল্পনা আক্তার এর ছবি

শেষের শ্যুটটা হলো আলোহীন অবস্থায়। সূর্য ডুবছে এমন সময়।

ধুসর গোধুলী বেলায় চোখ টিপি

.............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

রানা মেহের এর ছবি

এতো সুন্দর লেখা
আগে কেন পড়লামনা??????
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আগে পড়েননি সবার শেষে সুন্দর একটা মন্তব্য করবেন বলে!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

পড়লাম, প্রিয়তেও নিলাম! আগেই বিষন্ন ছিলাম, আর তৈরী ছিলাম বলে পনার বিষন্নতার পুরা ঝটকাটা লাগলোনা [ভাগ্যিস!] ... ধুগো, বিষন্নতা একটি ব্যধী, আর ব্যধী ছড়ানো কি ভালো কাজ?

অন্যরকম চমৎকার একটা লেখার সন্ধান দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ, কিন্তু কেন জানিনা, মনে হচ্ছে গল্পের আরও কিছু বাি আচছে, হয়তোবা এটাও ধুগোরই ফাঁকি! হাসি

--------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হুমায়ুন আহমেদের একটা লেখা নিয়ে তাঁর নিজের কথা পড়েছিলাম। নিজের লেখা পড়ে কষ্টে বাথরুমে গিয়ে কেঁদেছে দুইহাতে মুখ ঢেকে। আজকে এই লেখাটা পড়তে গিয়ে আমার হুমায়ুন আহমেদের সেই লেখাটার কথাই মনে হচ্ছে কেবল! মনে হচ্ছে আমি একটা আন্তঃমাত্রিক দরোজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। দরোজার ঠিক ওপারেই সেদিনের অনুভূতিগুলো, যেদিন এই লেখাটা লেখা হয়েছিলো। একদম জীবন্ত, যেনো হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে! ছুঁয়ে দেখতেও ভয় হচ্ছে। যদি হুড়মুড়িয়ে চলে আসে, যদি ভয়ঙ্কর তাণ্ডব লাগিয়ে দেয়!

এই লেখা আসলে আমার লেখার কথা না, একদমই না।

ধুগো'র ফাঁকি ধরে ফেলেছেন, তারপরেও আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটি আরেকবার পড়ার সাহস যোগানোর জন্য।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ধুগো, হুমায়ুন আহমেদের কথা যখন বললেন তখন উনার বই থেকেই একটা উদাহরন দেই। উনার একটা বই আছে, 'বৃষ্টি ও মেঘমালা', আমার খুব প্রিয়। বইটার যতবার পড়েছি ততবারই আমার মনে একটা হাহাকারের সৃষ্টি হয়েছে... কেঁদেছিও অনেক! বধুয়া আবার পড়েও অনুভূতিটা সেরকমই হলো!

তবে একটা কথা, হুমায়ুন আহমেদের সাথে আমার আলাপ পরিচয় নাই, তাই ইচ্ছা থাকলেও উনাকে কিছু কথা বলতে পারবোনা। যেহেতু সুযোগ আছে সেহেতুই আপনাকে বলি, পাঠকমনে যে হাহাকার তৈরী করতে পেরেছেন আপনি, আপনারই কি উচিৎ না সেটা মেটানোর জন্য কিছু করা? বধুয়ার পর্ব নামান আরেকটা, আমাদের মুখে হাসি ফোটান ধুগো, গল্প থেকেও আর দুঃখ পেতে ভালো লাগেনা...

----------------------------------------
আমার দাবী, আমার দাবী, মানতে হবে, মেনে নাও!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

এই লেখাটা অনেকবার পড়লেও পুরনো মনে হয়না। খুবই অদ্ভুত ব্যাপার !
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

জি.এম.তানিম এর ছবি

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অগ্নিশেয়ালের ট্যাবে রেখে দিয়েছিলাম লেখাটা। যতবার শুরু করেছি, হয় অন্য একটা কাজে চলে গেছি নয়তো মনে হয়েছে এখন পড়বার অবস্থায় নেই। প্রতিবার শুরু করেছি প্রথম থেকে। আজকে শেষ করলাম।

অসম্ভব... অসম্ভব রকমের ছুঁয়ে যাওয়া লেখা। আবেগটাকে এত সুন্দর করে, এত আলগোছে সাজিয়েছেন কথার পরতে পরতে, মুগ্ধ হয়ে রইলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটা লেখার জন্যে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ঝিনুক [অতিথি] এর ছবি

অদ্ভুত সুন্দর লেখা।
পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। তবে এরকম একটা লেখা পরে মন খারাপ হলে, মন খারাপ হওয়াটাও সারথক বলে মনে হয়।
ধূগো দা এত ভাল লিখেন কিভাবে?!!

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ঝিনুক [অতিথি] এর ছবি

ওজনদার লেখার ওজনদার মন্তব্য।
দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মৃত্তিকা এর ছবি

সেই 'অন্যরকম সুন্দর' একটি লেখা, অসম্ভব ভালো লাগলো। শেষের প্যারাটি পড়তে পড়তে সব দেখতে পাচ্ছিলাম। এসব লেখা আমাকে ভীষণ ছুঁয়ে যায়। লেখায় পাঁচ তারা। হাসি
ইস্নিপ্সের গানগুলো শুনতে পেলাম, সুন্দর। কিন্তু বক্স নেটের গুলো বাজছেনা।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এই লেখাটার সাথে যে দুইটা গান কল্পনা করেছিলাম সেগুলো হলো—
এটা এবং
এটা

লেখাটার মান যাই-ই থাকুক, লেখাটা পড়ার সময় প্রতিবারই আমার নিজেকে নিজের দেখা হবে, জানা হবে নিজের থেকে ঠিক কতোটা দূর গিয়েছি আমি। অনেকটা জিরো পয়েন্টের মতো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মৃত্তিকা এর ছবি

ধন্যবাদ দুটি অসাধারণ গান শোনাবার জন্য! এলবাম নামিয়ে ফেললাম! আর ইস্রাইল কে খুঁজতে যেয়ে তাকে দেখে তব্দা খেলাম! অথচ গান বানিয়েছেন অসামান্য!
থ্যাংস.........

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ধন্যবাদ মাটির মানুষ!

ইস্রাইল ভাইকে দেখে আমিও তাব্দা খেয়েছিলাম। তারও বেশি তাব্দা খেয়েছিলাম যখন শুনেছিলাম তিনি বহু আগেই ইহজগতের মায়া ত্যাগ করেছেন। গানটা বোধ'য় সে কারণেই অনেকটা বেশি আবেদন তৈরী করেছিলো...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

এই লেখা আগে পড়ি নাই কেন আমি? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি
নিঃসঙ্গ গ্রহচারী [অতিথি] এর ছবি

অসাধারণ...

মেঘা এর ছবি

অপূর্ব লেখা! একেবারে মন ছুঁয়ে গেলো দাদা! খুব বিষণ্ণ লাগছে!

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।