ধূসর বর্ণের ধূসরতা

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/১২/২০০৮ - ৯:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
কতোদিন ধরে এমনটা হচ্ছে। কিছু লিখতে ইচ্ছে করে। এডিটর খুলি, কার্সরটা অনবরত ব্লিঙ্ক করতে থাকে, লেখাটা শুরু করা হয় না, কতোক্ষণ ভ্যাবলার মতো হা করে তাকিয়ে থেকে এপাতা-ওপাতা করে শেষে বেরিয়ে যাই। এই যেমন এই এডিটরটা গত চারদিন যাবৎ খোলা, একটা দাগও দেয়া যায় নি। এখনও, এক লাইন লিখে বিশাল বিশাল একেকটা পজ্ নিয়ে নিচ্ছি।

ডিসেম্বরের বিষাদময় আবহাওয়ার বিস্বাদ অনুভূতি যেনো সব গ্রাস করে নিচ্ছে। বরফপড়া দেখতে ভালো লাগে, কিন্তু তার উপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালো লাগে না। গাছগুলোকে পাতাহীন নগ্ন দেখলে মনে এসে দমকা হাওয়ার মতো বিষণ্ণতা ভর করে বসে। অকারণে মেজাজ খারাপ হতে থাকে...।

২.
ক্রিসমাস মার্কেট বসেছে শহরের সব জায়গায়। প্রতি বছরই বসে। শহরের কেন্দ্রে ঢুকার সবগুলো রাস্তার মুখে আলোকসজ্জা করে রাস্তার নামটা লেখা। রাস্তায় ঢুকলে একটু পরপর তারকার আদলে আলোকসজ্জা। পুরো শহরের কেন্দ্রটাই ঝলমল করে। মার্কেটের এখানে সেখানে লোকজন গিজগিজ করে। কেউ ছেলেমেয়েকে নিয়ে আসে, কেউ বুড়ো বাপকে, কেউ বা হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসে বৃদ্ধা মা'কে, কেউ আসে বন্ধুদের সঙ্গে আর কেউবা প্রেমিক-প্রেমিকার সঙ্গে। একটা ফুটফুটে বাচ্চা কখনো দৌড়ে এসে বুড়ো দাদীকে দাদার কিনে দেয়া কাঠের খেলনাটা দেখায়। দাদী মুখে হাসি ফুটিয়ে একটু ঝুঁকে নিচু হয়ে নাতনীর গোলাপি টুপিটা ঠিক করে দেয়, নাতনীর যেনো ঠাণ্ডায় অসুবিধা নয় হয়।

ফ্রিডেন্সপ্লাৎসে বিভিন্ন স্টলের পাশে বড় বরফের রিং বসে। ওখানে লোকজন স্কেটিং করে। বেশিরভাগই বাচ্চা বাবু। তখন এই জায়গাটাতে সন্ধ্যার সময় গেলেই আমার সেরেণ্ডিপিটি'র কথা মনে হয়। একটা খালি বেঞ্চ খুঁজে নিয়ে বসে থাকি। বাচ্চাদের দেখি, তাদের বাবা-মা'দের দেখি, উৎসাহী গ্র্যাণ্ডপ্যারেন্টসদের দেখি। উঠে চলে আসার সময় একটু কষ্টও বুঝি হয় কোথাও। ছোটবেলা থেকেই বছরের এই সময়টা সবসময়ই জমকালো থেকেছে আমার জন্য। বছরের শেষে পরিজনের সঙ্গে হৈ হুল্লোরে কেটেছে সবসময়। প্রবাস আমার জীবন থেকে সেই হুল্লোর গুলো কেড়ে নিয়েছে নিদারুণ নিষ্ঠুরতায়...।

৩.
ফেসবুকে আমার এ্যাক্টিভিটিজ এখন অনেক বেড়েছে। ডাকবাক্সে সোৎসাহ উঁকি দেবার জন্যও ফেসবুক খোলা থাকে আলাদা ট্যাবে। কে কোথায় কী করছে, দেখে বেশ মজা পাই। আবার কেমন জানি একটা ভোঁতা অনুভূতিও হয়।

প্রায় এক বছর ধরেই প্ল্যান আগাচ্ছিলো উলম হয়ে মিউনিখ ঘুরে আসার। সু-জন সচল তীরন্দাজ বারবার তাগাদাও দিচ্ছিলেন। কিন্তু কাসেলপুরের সাথে বনের সময়ের বাদানুবাদের কারণে সেটা হয়ে উঠছিলো না। আগের সপ্তাহান্তে প্ল্যান চূড়ান্ত করেও বাতিল করতে হয়েছে। তাই গেলো সপ্তাহান্তে আর পেছানোর কোনো কারণ পাওয়া গেলো না। কাসেলপুরী হুজুর যখন জানালেন, "আর পিছামু না", আমার কেনো যেনো বেশ কনফিডেন্টলীই মনে হলো, "আর পেছানো ঠিকও হবে না"।

খালাতো ভাইয়ের ওখানে যেতে হয়েছিলো। জরূরী তলব। সপ্তাহান্ত কাটিয়ে চলে আসার পর খোঁয়াড়ে পৌঁছে যখন ফোন দিলাম, "পৌঁছেছি"- ভাস্তি ফোন নিয়ে বলে, "চাচা আই মিস ইউ...!"

৪.
আকাশ ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয় ফেসবুকে। অনেক পুরাতন কথা মনে পড়ে। অলিম্পিকে আইবিএম এর হয়ে কাজ করা আমাদের টিমটার কথা মনে পড়ে। জো' ছিলো মনাশ ইউনিভার্সিটির ছেলে। অসম্ভব রকম ভালো একটা বাডি। টিমলিডার কনি মলয়। প্রথম দিকে একদম সহ্য করতে না পারলেও পরে বেশ সদ্ভাব হয়ে গিয়েছিলো তাঁর সাথে। টেবিল টেনিসে ব্রুনোর কাছে হেরে রানার আপ হিসেবে আইটি ম্যানেজার ইউজিনের কাছ থেকে পাওয়া অলিম্পিক পিনটা আমার কালেকশন বাড়িয়েছিলো বটে! সেই পিনগুলো কোথায় আছে কে জানে। সেই আমিই বা আজকে কোথায় আছি, সেটাও বোধহয় ভাবতে চাইনা!

সারাজীবনই গেলো ইয়েমারার উপরে। সবকিছু গুছিয়ে আনার পরেই আবার সব ওলটপালোট হয়ে যায়। একেকবার চরম হতাশায় যে পেয়ে বসে না এমন না। 'আমার তো ক্যাপাবিলিটি, এ্যবিলিটি, পসিবিলিটি সবই ছিলো, তাও কেনো আমি সাকসেসফুল মানুষ হলাম না!' এই প্রশ্নটা জ্বালাতে থাকে ভেতরে। আমি জ্বলতে থাকি, পুড়ে যেতে যেতে একটা দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে একটা কথাই বেরিয়ে যায়, "দাস লেবেন গেট ভাইটার"... "দ্য লাইফ গোজ অন..." "জীবন হালায় বহমান..."

জমে যাওয়া ঠাণ্ডায় একা একা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দুই হাতের আঙুল চুলের পরে চালিয়ে দিই। পেছন দিকের খানিকটা জায়গা নিয়ে আঙুলগুলো খাবলা দিয়ে ধরে মাথার চুল। মাথাটা ষাট ডিগ্রীতে বাঁকিয়ে উঁচু করে আকাশ দেখি, শীতের পরিষ্কার আকাশে অনেক দূরের ধূসর চাঁদ দেখি, নীলচে তারাগুলো দেখি, ভালো লাগানোর চেষ্টা করি কিন্তু... ... ...

share your files at box.net


মন্তব্য

বিপ্লব রহমান এর ছবি

সারাজীবনই গেলো ইয়েমারার উপরে। সবকিছু গুছিয়ে আনার পরেই আবার সব ওলটপালোট হয়ে যায়। একেকবার চরম হতাশায় যে পেয়ে বসে না এমন না। 'আমার তো ক্যাপাবিলিটি, এ্যবিলিটি, পসিবিলিটি সবই ছিলো, তাও কেনো আমি সাকসেসফুল মানুষ হলাম না!' এই প্রশ্নটা জ্বালাতে থাকে ভেতরে। আমি জ্বলতে থাকি, পুড়ে যেতে যেতে একটা দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে একটা কথাই বেরিয়ে যায়, "দাস লেবেন গেট ভাইটার"... "দ্য লাইফ গোজ অন..." "জীবন হালায় বহমান..."

---
হুমম...স্বপ্নাতয়ন: ধূ. গো.র ধুতিহরণ পর্ব লেখার সময় এসেছে দেখছি! গড়াগড়ি দিয়া হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অনেকখানিই মিল পেলাম। ডিসেম্বরে এসেই কেনজানি কোন কিছুই করতে ইচ্ছে করছেনা। পড়তে ইচ্ছে করছেনা, পড়াতে ইচ্ছে করছে না, বাইরে ঘুরতে ইচ্ছে করলেও প্রকৃতির জন্য তাও হচ্ছেনা। বরফ পড়া শুরু হয়নি এখনো তাতেই তাপমাত্রা -১০ এ নেমে গেছে। এটা কোন বিষয় না, তবুও সবকিছুতেই ঘুম ঘুম একটা ভাব চলে এসেছে।


সবকিছু গুছিয়ে আনার পরেই আবার সব ওলটপালোট হয়ে যায়। একেকবার চরম হতাশায় যে পেয়ে বসে না এমন না। 'আমার তো ক্যাপাবিলিটি, এ্যবিলিটি, পসিবিলিটি সবই ছিলো, তাও কেনো আমি সাকসেসফুল মানুষ হলাম না!' এই প্রশ্নটা জ্বালাতে থাকে ভেতরে।
কী আশ্চর্য, গতকালই ভাবছিলাম কিছুই করতে পারলামনা এপর্যন্ত, না ভাল বাংলা লিখতে পারি, না পারি ইংরেজী লিখতে। কোন কিছুতেই কিছু করতে পারলামনা। বৈরাগী হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ানোও এখানে সম্ভব না!

দেশ যেতে ইচ্ছে করে কিন্তু ট্যাক সায় দেয়না। আর দেশে গিয়েই বা কী করবো, সবকিছুর যা খরচ তাতে ঘুরে বেড়ানোও সম্ভব হবেনা!

সৌরভ এর ছবি

বস, আমার ভাত মাইরেন্না। আপনেরা বিষন্ন লেখা লিখলে, আমার লেখনের কোনকিছু থাকে না তাইলে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

স্বপ্নাহত এর ছবি

বস, আমার ভাত মাইরেন্না।

আপ্নে জাপানে থাকেন না?

বলেনঃ বস, আমার ফ্রায়েড রাইস মাইরেন না। হাসি

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

স্বপ্নাহত এর ছবি

গাছগুলোকে পাতাহীন নগ্ন দেখলে মনে এসে দমকা হাওয়ার মতো বিষণ্ণতা ভর করে বসে।

এরকম নগ্নতা দেখে মনের মধ্যে যে আর কিছু এসে ভর করেনা তাতেই স্বস্তি। হাসি

জীবন হালায় বহমান..

হোয়াট আ ডায়লগ! গুরু গুরু

ভালৈ আছেন তাইলে?

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

হিমু এর ছবি

কেন যেন সন্দেহ হচ্ছে দোস্তো ... কোন খাচ্চইরা পাওনাদারের বদ্দোয়ার আছর পড়সে তোমার উপর। কেউ আবার ২৪ ইউরো পায় না তো তোমার কাছে?


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শুরুর কথাগুলো মনে হল যেন আমার হয়েই লিখে দিলেন।

বিষন্ন এই লেখাটা পড়ে অসম্ভব... অসম্ভব মন খারাপ হল। দীর্ঘশ্বাস! সকাল থেকেই মন খারাপ, এখন যখন পড়লাম আপনার লেখাটা, একটা গান শুনতেসিলাম, সব মিলায়া আরো খারাপ লাগল। লেখাটা বিষন্ন হলেও খুউব ভাল লাগসে। বর্ণনা এত সুন্দর যে, মনে হল, চোখের সামনে দেখতে পেলাম আপনার কষ্টমাখা বিষন্নতা... মন খারাপ

সেরেন্ডিপিটি আমার বেশ পছন্দের একটা সিনেমা। আর আমি যে গানটা শুনতেসিলাম, আগেই বলে দেই- হিন্দী গান, যদি একবার শুনে দেখতে চান, [url=http://www.apunkabollywood.net/browser/download/get/30227/15%20-%20Maula...(ApunKaBollywood.com).html]এখান[/url] থেকে একটু নামায়া নেন, আপনার তো নেট স্পীড ভাল। লিন্কটা চেক করে দিলাম না যদিও, তবে আশা করি, ঠিক গানটাই দিলাম...

বধূয়া-র পর আপনার এই কোনও লেখা পড়ে এতটা খারাপ লাগল। ভাল থাইকেন বস.. চেষ্টা কইরেন ভাল থাকার...


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

সবজান্তা এর ছবি

ইংরেজীতে একটা শব্দ আছে, Winter Blues। আমি নিজেও এটার শিকার হই। শীতকাল মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে এই কারণে। আকাশ ছাই রঙের, ঠাণ্ডা একটা হাওয়া আর সবকিছু নীরব।

নিশ্চয়ই সবকিছু একদিন ঠিক হয়ে যাবে হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

আলমগীর এর ছবি

এই পোলা গেছে মন খারাপ
আমি আরও চিন্তা কইরা একটা ভাল টাইটেল বানাইলাম।
হুদা পরিশ্রম।

অভ্রনীল এর ছবি

বস লেখা ভালো হইসে... কিন্তু কথা হইল গিয়া... আপনার কাছ থেকে মন খারাপ লেখা ভালো লাগেনা...

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ধূসর লিখিয়াছেন , এজন্যই পঞ্চতারকা দিলাম ।
এখন পড়ছি , পরে মতামত দিমু । হাসি

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

এরকম লিখলে তো আপনার লেখা পোস্ট পড়া ছেড়ে দিতে হবে ।
আপনি যে চমৎকার পোস্ট দেন, কমেন্ট করেন এগুলো কি আমরা সবাই পারি?
হয়ত আরো অনেক কিছু পারেন যা জানি না বা অনেকে পারি না।
এত চিন্তা করবেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে।
ভাল থাকবেন।
আপনারা এত গানের লিংক দেন কিন্তু নেটের কারণে কিছু শুনতে পারি না।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এইটা কী লিখলেন স্যার?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

উইন্টার ব্লুজে আমিও ভুগছি। সিমেস্টারের আর ২ সপ্তাহ বাকি। মেক-অর-ব্রেক সময় এখন। তবু ভাল লাগে না কিছু। এর মধ্যে সর্দি-জ্বর। পরীক্ষার হলে গিয়ে জিজ্ঞেস করে লিখেও শেষ করতে পারলাম না। মেজাজ খারাপ লাগে।

ঘুরে-ফিরে সেই প্রশ্নগুলো আমারো মাথায় ঘুরে ইদানিং। কেপাবিলিটি, অ্যাবিলিটি, পসিবিলিটি সবই ছিল। জীবনের প্রথম অংশটুকু তো কোথাও না ঠেকেই পার হয়েছি। কোথায় গেল সেই উদ্ধত দিনগুলো, কোথায় গেল সেই সাফল্যের ধারা। জানি না এটা বয়সের লক্ষণ, নাকি বার্ধক্যের।

লেথারজিক একটা দিনে তেমনই একটা পোস্টে আপনারই বলা কথাটা তুলে দেই। ঐ যে গেট ওয়েল সুন জাতীয় কী লিখেছিলেন আমার ফেসবুকে স্টেটাসে। পড়তে গেলে যেটা ুতে বেশি রঙ টাইপ কিছু শোনায়। চোখ টিপি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বস... এইটা বুঝতে হবে যে আপনে সুশীল না... আপনে হইলেন যাত্রাশিল্পী... এইসব বিষাদের উপ্রে হাজার পাওয়ারি রং মারতে হবে... তারপর ফাইজলামি করতে হবে... এইটা জনতার দাবী...

এইসব লেখা আমি পড়ি না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রেনেট এর ছবি

হুমম... দেশে যাচ্ছি রে ভাই, দেশ থেকে ঘুরে এলে বছর দুয়েক আবার খুশিমনে ইয়েমারা খাওয়া শুরু করব।
মন ভালো করেন।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সুমন চৌধুরী এর ছবি

...বরং ধারণা করো সফল মানুষ বৈলা কিছু নাই...



অজ্ঞাতবাস

তানবীরা এর ছবি

ধূসর, ডিসেম্বর - ফেব্রুয়ারী চলে গেলে, মার্চ থেকে নতূন পাতা আসবে গাছে, রোদ উঠবে, টিউলিপের কুড়ি মনকে অনেক খানি চাঙ্গা করে দিবে। ডিসেম্বরে ভালো থাকার উপায় হলো প্রচুর কাজ করা, যাতে বাইরের দিকে তাকানোর আর ডিপ্রেস হওয়ার সময় না পাওয়া যায়।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অনিকেত এর ছবি

আমাদের সকল সচলের মাঝে যে অল্প কয়জন লোক 'সদানন্দ' খেতাব পাবার যোগ্যতা রাখে---ধু গো তাদের অন্যতম।

আমাদের এখানে দুই পাড়া---আনন্দ পাড়া আর বিষাদ পাড়া। মাঝেই মাঝেই এ পাড়ার লোক ওপাড়ায় বেড়াতে যায়।তবে ধু গো কে আমি ঠিক 'পাড়া-বেড়ানো' টাইপ বলব না। সে তার আনন্দ পাড়ার ভারপ্রাপ্ত মহা-সচিব।

আজ হঠাৎ দেখলাম, সদা প্রানোচ্ছ্বল ধু গো পথ ভুলে আমাদের পাড়ায়!

আমাদের এই বিষাদ পাড়ায় ধু গো কে 'ইক্কে বারে মানাইসে না রে'

তাড়াতাড়ি এই বিষাদ জ্বর কেটে যাক----এই কামনা!

দ্রোহী এর ছবি

গঠনা কী?

সেদিনের সেই গোপন প্রেমিকার পরিচয় মিললে আজ ধুসর অন্য কিছু লিখতো।


কী ব্লগার? ডরাইলা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একজন জানালেন, এই যে এতোগুলো মানুষের ভালোবাসা আমি পাই, তারপরে আর সাকসেস লাগে কেনো!

ভালোবাসাটা বুঝি, তাতে সিক্ত হতেও জানি, আঁকড়ে ধরি এই ভালোবাসাটাকেই- সবসময়, সাকসেসটাকে না। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় এ্যম্বিশন বোধহয় এইটাই।

সব্বাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। যারা ধুগো'র পোষ্ট বলে পাশ কাটিয়ে গেছেন তাদেরও। দেঁতো হাসি

এখন অনিকেতদা'র বলা আসল 'মহাসচিব' কে খুঁজে বের করতে হবে। ব্যাটা আমার কাঁধে মহাসচিবের 'ভার' রেখে নিজে কোথায় হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছে কে জানে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অন্যরকম...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

.. কিন্তু ভাই গানতো বাজেনা। এতবার চেষ্টা করলাম, কোনো লাভ হলোনা!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বলেন কী! বাজে না? প্লে করে ট্যাগ লাইনে একটু খোঁচামোচা দিয়ে দেখেনতো বাজার তো কথা! চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তাইতো, প্লে দিয়ে গুতাগুতি করতেই দেখি বাজা শুরু করলো!

নজমুল আলবাব এর ছবি

এই ধুসরকে আমি চিনি না। চিনতে চাই না।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

কল্পনা আক্তার [অতিথি] এর ছবি

এই সব আর একবারও যদি লেখছেন তয় আপনেরে "বয়কট" করা হইবেক....মনে থাকে যেন...

.............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধূসরকে আমরা সর্বদা উজ্জ্বল দেখতে চাই।

তুলিরেখা এর ছবি

ধূসর গোধূলি,
বড় মনভোলানো মন খারাপ করিয়ে দিলেন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

রানা মেহের এর ছবি

বিষন্ন সুন্দর লেখা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

আপনের লেখার বিষয়বস্তু এইরম ধূসর হইলে বালা পাই না মন খারাপ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধূগোদা, আপনি শুধু মাস্তি লোক না। আপনে মানুষ, আপনের দুঃখ-কষ্ট আছে, এই লেখা পড়ে হলো! ভালো কাটুক আপনার দিন।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

বেশ ভালো লিখেছেন। যদিও অনেক প্রসঙ্গ-অনুসঙ্গই এখানে বেশ অজানা অচেনা এই গরীবের, তবু ছুঁতে পারলো ধূসরতার এই সবুজ বিবরণ।
উইশ রইলো, আপনার জন্য সেরেন্ডিপিটি'র। হাসি

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।