খবরটা প্রথম আলোর। নববর্ষ উদযাপন করতে গিয়ে গাড়ী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। তারপর ফুটপাতে উঠে গিয়ে দুই নৈশপ্রহরীকে চাপা দিয়ে তাৎক্ষণিক যমের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তাঁরাই বা একা যাবেন কেনো? তাঁদের সঙ্গী হয় গাড়ীর এক আরোহী, স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবার পুত্র তানভিনের এক ইয়ার দোস্ত। তো তারা তিনজনেই একযোগে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা আর নতুন বছরের যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের প্রতি সম্মান রেখে চলে যান পটল ক্ষেতে। তাদেরকে হাত নেড়ে 'টাটা-বাইবাই' জানায় গাড়ির অপর দুই আরোহী। এদের একজন আবার বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। বুঝাই যায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবার টাকার পাহাড় আছে। কিন্তু সমস্যা হলো যারা পটল ক্ষেতে পটল তুলতে চলে গেলো তাদের দু'জনকে নিয়ে।
পেশায় নৈশপ্রহরী ছিলেন তাঁরা, থাকতেন এক বস্তিতে। নেত্রকোণার গ্রামের বাড়িতে হয়তো পুত্র-কন্যা-দারা কিংবা বৃদ্ধা অসুস্থ মা অপেক্ষায় থাকেন মাস শেষে কখন বেতনের খানিকটা তাদের হাতে গিয়ে পড়বে। সেটা দিয়ে তাঁর বউয়ের মাসটা চালাতে হবে, ছেলে-মেয়ে গ্রামের স্কুল-কলেজে পড়াশুনা করলে তাদের খরচ যোগাতে হবে। বয়ষ্ক শ্বাশুড়িকে হয়তো ঐ টাকা থেকেই অষুধ কিনে দিতে হবে। নিজের ছোট ছোট চাওয়াগুলি হয়তো অনেক আগেই বিসর্জন দিয়ে রেখেছেন, একজন নৈশপ্রহরীর বউয়ের খুব বেশি চাওয়া থাকতে হয় না যে! গাড়িচাপায় মৃত ব্যক্তিদ্বয় যদি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে এই একেকটা পরিবারের এখন কী অবস্থা হবে তা হয়তো খোদ ঈশ্বরও ভাবতে গিয়ে শিউরে উঠবেন!
শালার চাষাভুষার দেশে আবার ইংরেজী বর্ষবরণ উদযাপন, 'ছোহ্!' যারা ঠিকমতো বাংলা-ই ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারে না, যারা একুশে ফেব্রুয়ারী কী জিনিষ সেটাই জানে না, যারা বিজয় দিবস আর স্বাধীনতা দিবসের মাহাত্য বুঝেনা তারা ইমপোর্টেড মদের বোতলের ছিপির সশব্দে খুলে যাওয়া উত্তর ফেনায়িত তরলে গলা সিক্ত করে মেতে ওঠে ইংরেজী 'নিউ ইয়ার ইভ' উন্মাদনায়। আর তার সাধারণ বলি হয় হজরত আর নুরুজ্জামানের মতো অতি তুচ্ছ নৈশপ্রহরীরা। এই ডিজ্যুস বাঙ্গাল নামের কূলাঙ্গারগুলা এটাও বুঝতে চায়না যে একেকজন হজরত কিংবা একেকজন নুরুজ্জামানের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা একটা পরিবার। তাঁরা না থাকলে সেই পরিবারটার কী হবে!
রাগে, দুঃখে, শোকে, অভিমানে মেজাজ খিচড়ে যায় বারবার, প্রতিবার এই দিনটা এলেই। যে দেশের লোকজন ফুটপাতে ঘুমানোর ন্যুনতম নিশ্চয়তাটুকু পায় না, সেই দেশেই পার্টি করে মদ খেয়ে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে তা তুলে দেয় খেটে খাওয়া মানুষের উপর। ধিক্কার এমন মানুষের প্রতি, ধিক্কার এমন বাপ-মার প্রতি, ধিক্কার এমন সমাজের প্রতি।
মন্তব্য
যে চালাইতেসিলো গাড়িও নাকি তার না... মাতাল ছিল নাকি জানি না, তবে রেকলেস ড্রাইভিং যে সে ব্যাপারে সন্দেহ নাই।
__________________________
I think , therefore i am - Descartes
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
- থার্টিফার্স্ট নাইটে, ঐরকম কিছু ছেলে রেকলেস ড্রাইভিং করেছে এবং সুস্থ অবস্থাতেই, এটা কী করে মানি!
ড্রাইভিংটা যাদের জানা আছে তাঁরা মাত্রই জানেন কখন 'রেকলেস ড্রাইভিং' হয়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্র-আলোর রিপোর্টে মদ খাওয়ার কথা বলা নেই।
আপনি কি শিউর, খালেদ চৌধুরী মদ খেয়ে গাড়ী চালাচ্ছিলো?
নেশার ঘোরে গাড়ি চালিয়েছে, তাই দূর্ঘটনা ঘটেছে । একটা কার্য কারন পাওয়া গেল ।
কিন্তু নেশা ছাড়াই গাড়ি চালিয়ে মানুষ মেরেছে - এটা তো ভয়াবহ ব্যাপার । এরকম লোক তো পুরা মানবজাতির শত্রু ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ভাই এনকিদু, তাহলে গাড়ী চালিয়ে মানুষ মারা, এবং সাথে নিজে মরা এইরকম ঘটনা - নেশা করা ছাড়া হয় না? এই পর্যন্ত যতগুলো এক্সিডেন্টে পথচারী এবং চালক মারা গেছেন, তাদের সব ক্ষেত্রেই চালক মাতাল ছিলো? মাতাল না থাকলে, তাও মানব্জাতির শত্রু? কী শোনাইলেন!!!
আমারই আসলে উচিৎ ছিল আগের পোস্টে ঐ প্যারাটা আরেকটু লম্বা করে লিখা । তাহলে আমি যা বলতে চেয়েছি বুঝতে হয়ত ভুল হত না ।
ঢাকায় আজকাল রাস্তায় রেসিং খেলা হয় জানেন কি ? যদি গুলশান, উত্তরা, বনানী ইত্যাদি অভিজাত এলাকার রাস্তায় ইদানিং কালে রাত দশটার পর চলাফেরা করে থাকেন তাহলে হয়ত নিজের চোখেই দেখেছেন । আমি কিন্তু হাইওয়ে গুলার কথা বলছিনা । মাঝারি বা ছোট রাস্তা এই যেমন গুলশান দুই নং এলাকা অথবা বনানী ।
এরা যে কী ভয়ানক ভাবে গাড়ি চালায় আপনি দেখলে অবাক হয়ে যাবেন । তাও আবার আবাসিক এলাকার মধ্যে । রিক্সা বা পথচারী যেন কোন ইস্যুনা । ভিডিও গেম এর চরিত্র, শাঁই করে এসে চাপা দিয়ে চলে গেলে পয়েন্ট পাওয়া যাবে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ধন্যবাদ ।
আমি নিজেও বেশ কয়েকদিন এরকম দেখেছি। ধানমন্ডি ২৭ এও।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমার এক্স-কলীগ এই ধরণের রেসিং-এ অংশ নিত, নেয়। সে উত্তরাতে থাকে।
- না শিউর না শিমুল। প্রথম আলো আরো অনেক কিছুর কথাই বলে নাই। গাড়িটা ঠিক 'কী কারণে' ফুটপাতে উঠে গিয়ে দু'জন নৈশপ্রহরীকে হঠাৎ চাপা দিয়ে বসলো! আমার জানতে খুব ইচ্ছে হচ্ছেরে ভাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধু-গো, আপনিও শিউর না। ফুটপাতে উঠে গিয়ে দু'জন নৈশপ্রহরীকে হঠাৎ চাপা দেয়ার ঘটনা একেবারে নতুন বা অসম্ভব কোনো কিছু নয়। কিন্তু এর সাথে পার্টি করে মদ খাওয়াকে 'শিউর না হয়ে' যুক্ত করা কি ঠিক হলো?
একেবারে শেষ বাক্যে বলা, "ধিক্কার এমন মানুষের প্রতি, ধিক্কার এমন বাপ-মার প্রতি, ধিক্কার এমন সমাজের প্রতি।"
আপনি শিউর না দূর্ঘটনার আসল কারণ কী। কিন্তু আপনার ধিক্কার পেলো মৃত খালেদ, তার বাবা-মা।
ব্যাপারটা মানতে পারলাম না, বস্!
- প্রথমে ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
না, ঐ রকম ঘটনা একেবারে নতুন বা অসম্ভব কোনো কিছু আমি বলিনি। কিন্তু যে যে কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে সেটা নিয়ে বলতে পারি। ২টা কারণ আপাতত মাথায় আসছে।
১. গাড়ির যান্ত্রিক জটিলতা,
২. চালকের অসাবধানতা।
কোনটা ধরবো আপনি বলেন! প্রথমটা ধরি?
গাড়িটা আসছিলো ফ্লাইওভার থেকে, এয়ারপোর্টের দিকে তার গন্তব্য। সামনে বিশাল বিস্তীর্ণ এয়ারপোর্ট রোড রেখে গাড়িটাকে রাস্তার পাশের ফুটপাতেই উঠে যেতে হলো কেনো? (এটা 'ক')
এখানে একটা কথা খেয়াল করুন, "প্রবল বেগে" আসছিলো গাড়িটি। এই রাতের বেলা গাড়িটির এই মাত্রারিক্ত গতিকে কোন সমীকরণে ফেলবেন শিমুল? (এটা 'খ')
ধরে নিলাম গাড়িটি ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় যান্ত্রিকভাবে বিকল হয়ে পড়ে। আর তখনই হঠাৎ করে গাড়িটি তীব্র গতি প্রাপ্ত হয় (এটা হবার সম্ভাবনা কতোটা সেটা নিজে ড্রাইভ করে থাকলে বুঝবেন)! চালকের হাতের কাছে যে 'হ্যাণ্ডব্রেক' বলে জিনিষটা আছে সেটা ব্যবহার করে ঐ অবস্থায় গাড়িটিকে ফুটপাতে না তুলেও থামানো যেতো। (এটা 'গ')
ধরে নিলাম গাড়িটি আগে থেকেই বিকল ছিলো। তাহলে সেটা ফ্লাইওভারে উঠলো কী করে? আর যদি বিকলই থাকবে তাহলে বিকল গাড়ি নিয়ে ছেলের রাস্তায় বের হবার অনুমতি মিললো কেনো? এমন ফিটনেসলেস গাড়ি রাস্তায় চলা এই সমাজ এলাউ করে কেনো?
ক, খ, গ- কে কোন পর্যায়ে ফেলা যায় আপনিই বলেন।
তর্ক বাড়াতে চাইলে আরেকটু সামনে যাওয়া যায়। কিন্তু আমার মনেহয় না আনোয়ার সাদাত শিমুলের সঙ্গে এর চেয়ে বেশি বলার প্রয়োজন আছে। সবাই যে সবকিছু মানবে, এমন দিব্যি কেউ দেয়নি বস।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কমেন্ট পড়ে একচোট হাসলাম। মুগ্ধ হলাম, আপনার যুক্তির এবং দৃশ্যকল্পের ক্ষমতায়।
মুহুর্তের যান্ত্রিক ত্রুটিতে দূর্ঘটনা পতিত গাড়ীকে ফুটপাথে না তুলে হ্যান্ডব্রেক কেনো থামানো হলো না, সে প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। 'প্রবল বেগে'র ডান পাশে আরেকটি 'প্রবল বেগে'র গাড়ী ছিলো, সামনে সি এন জি ছিলো, বেখেয়ালী পথচারী ছিলো; এমন হাজার সিচুয়েশন আমি আপনার কথার বিপরীতে দাড় করাতে পারি। কিন্তু সেটা করবো না। কারণ, এর নাম দূর্ঘটনা, নিয়ন্ত্রণে থাকে না তাই আমার ডানহাত থেকে গ্লাস পড়ে ভেঙে যায়, আমি উত্তর দিতে পারি না - কেনো আমি বাম হাত দিয়ে পড়ে যাওয়া গ্লাসটিকে ধরলাম না, কেন আমি পা দিয়ে উপরে আবার গ্লাসকে শুন্যে ভাসিয়ে ডান অথবা বাম হাত দিয়ে গ্লাস লুফে নিলাম না। কারণ, আমি জানি এ কেবল মুহুর্তের ব্যাপার। সব সেন্স ঠিক মতো কাজ করে না। তাই এর নাম এক্সিডেন্ট।
আর মৃত খালেদ এবং অসংখ্য দূর্ঘটনা-মৃত ড্রাইভার কী জবাব দিবে আমি জানি না।
প্রতিদিন ঘটে যাওয়া এসব দূর্ঘটনার সংবাদ পেপারে পড়ি। মাঝে মাঝে মন খারাপ করি। এরপর সচলে আপনার পোস্টে তর্ক জমানোর বা বাড়ানোর ইচ্ছে বা চেষ্টা কি আমার ছিলো? কারণ, আনোয়ার সাদাত শিমুল যখন দেখে একজন মৃত মানুষ এবং তার বাপ-মা'কে কিছু অনুমানের উপর ভিত্তি করে ধিক্কার দিচ্ছেন ধুসর গোধুলী, তখন তর্ক নয়, প্রশ্ন তুলতে হয়। 'ধিক্কার' বড়ো কঠিন শব্দ, প্রিয় ধুসর গোধুলী।
- আপনার মুগ্ধতায় থাকলো প্রিয় শিমুল।
কমেন্টের বাকী অংশ নিয়ে (আপনাকে) বলার কিছু নেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শুওরের বাচ্চাগুলার কি বিচার হবে? না কি অধুনা বাংলাদেশে সেই আশা করাও ভূল?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আপনার কথায় মনে হলো এইসকল শুওরের বাচ্চাগুলার বিচার বাংলাদেশ হরহামেশাই হতো কিন্তু অধূনা বাংলাদেশে বিচার হওয়া তো দূরের কথা, বিচার আশাও করা যাবেনা ।
এনিওয়ে ' অধূনা বাংলাদেশ ' বলতে কি নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশ বুঝা্লেন? কোন কারনে কষ্ট পেয়েছেন বুঝি নির্বাচনী ফলাফলে?
- সুবিনয় খুব সম্ভবত অন্যকিছু বুঝাতে চেয়েছেন, আপনি যেভাবে নিচ্ছেন সেভাবে না রমাকান্তকামার। ধন্যবাদ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"শালার চাষাভুষার দেশে আবার ইংরেজী বর্ষবরণ উদযাপন, 'ছোহ্!'"
বাংলাভাষী দেশে ইংরেজি নববর্ষ পালন করা যাবেনা এই মনোভাবটি এবং নিজেদের চাষাভুষা শ্রেণীর মনে করে (এমন নয় চাষা হওয়াটা খারাপ কিছু, আমাদের বেশিভাগ মানুষই অর্থনৈতিক নিম্নবর্গীয় ) হীনমন্যতা কেন? চাষাভুষা অথবা ডিজ্যুস- সবাই নিউ ইয়ার পালন করতে পারা উচিত, তাই না? ইংরেজি নিউ ইয়ার তো অবশ্যই, এটি আন্তর্জাতিক। এটি যে যে যার যার মত পালন করতে পারা উচিত, ছোহ্ বলছেন কেন?
"তারা ইমপোর্টেড মদের বোতলের ছিপির সশব্দে খুলে যাওয়া উত্তর ফেনায়িত তরলে গলা সিক্ত করে মেতে ওঠে ইংরেজী 'নিউ ইয়ার ইভ' উন্মাদনায়। আর তার সাধারণ বলি হয় হজরত আর নুরুজ্জামানের মতো অতি তুচ্ছ নৈশপ্রহরীরা। "
এই অংশটুকু কোথায় পেলেন? মদের কথা তো কোথাও দেখলাম না ! উন্মাদনা নিন্দার্হ তো বটেই, সেটি বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে দু,জান মানুষকে মেরে ফেলায়, যে কোন সময়েই। সেখানে মানুষটি ডিজ্যুস বা স্বর্ণ ব্যবসায়ীর তনয় কি'না সেটি বিবেচ্য হওয়া উচিত কি?
আসুন সবাই একাট্টা হই নিরাপদ সড়কের জন্য, বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মানুষ মেরে ফেলার বিরুদ্ধে। ডিজ্যুসরাই তো বাংলাদেশের পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিলো, তাদের সব কাজকে খারাপ বলি কি করে? যেটা খারাপ, সেটাকে বলি, একটা পুরো শ্রেণীর নিন্দা করাটা আমার কাছে ভালো লাগলোনা।
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
আমাদের প্রজন্ম কোনদিন বলেনি "আমাদেরকে আজ থেকে ডিজ্যুস নামে ডাকা হোক" । ডিজ্যুস জিনিসটা মিডিয়ার তৈরী, আক্ষরিক অর্থেই কারন ডিজ্যুস হল একটা বানিজ্যিক পন্যের ব্র্যান্ড । বিস্তারিত পাবেন এখানে । একটা পন্যের নাম দিয়ে আমাদের পুরো প্রজন্মটাকে এরকম লেবেল মেরে দেয়াটা কি ঠিক হল ? আমরা কি এতই সস্তা আর খেলো ?
ভাই আমি জানিনা আপনি কোন প্রজন্মের, কিন্তু দূর্ভাগ্য যে আমি এই "ডিজ্যুস" লেবেল মারা প্রজন্মে জন্মেছি । ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি ভুল সময়ে পয়দা হয়েছি । পঞ্চাশ বছর আগে জন্মে ১৯৭১ সালে নিজের পরিপূর্ণ দৈহিক ও মানসিক সবলতা নিয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করতে পারলে জীবনে কিছু একটা করেছি বলতে পারতাম । লোকেরা আর আমাদেরকে ডিজ্যুস নামে ডাকার সুযোগটাও পেত না ।
আর ডিজ্যুস বলতে যাদেরকে বোঝান হয়, তারা গোটা প্রজন্মের প্রতীক কোনভাবেই না । বড় বড় মহানগরী গুলোর বিত্তবান বাপ-মায়ের সন্তান এরা । বিত্তে সবাই মিলে দেশের এক তৃতীয়াংশ সম্পদের উত্তরাধিকারীও হতে পারে তারা, কিন্তু প্রজন্মের মোট জনসংখ্যার তুলনা অতি অতি নগন্য । কাজেই এদেরকে আমাদের প্রজন্মের প্রতীভু মানাটা বিরাট ভুল ।
ডিজ্যূসদের অবস্থান শুধুমাত্র বড় বড় মহানগরী গুলোতে । পরিবর্তনের পক্ষে যেই তরুনদের রায় ভূমিকা রেখেছে তারা সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছেন । ঢাকার চট্টগ্রাম এই সব মহানগরীর বাইরে যান । বাংলাদেশ পড়ে রয়েছে মহানগরীগুলোর বাইরে - এটা ভুলে গেলে চলবে না । মফস্ব শহরগুলোতে যান, জেলা সদর, থানা সদর আর গ্রাম গুলোতে যান ।
ডিজ্যুসরা বাংলাদেশ নিয়ে দুইটা কথাও সারাজীবনে চিন্তা করেছে কিনা আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে । ডিজ্যুসরা সবাই সমাজের বিত্তবান অংশের নতুন প্রজন্ম । দেশের নতুন প্রজন্ম না, দেশের গায়ে যেই টুকটাক ঘা-পাঁচড়া গুলো আছে সেই ঘায়ে নতুন চুলকানি ।
খুব দুঃখ পেলাম আপনি ডিজ্যুসদের সাথে আমাদেরকে এক করে ফেললেন । আমরা কোনকালে ডিজ্যুস ছিলামনা, হবোও না । এবং এরকম করে সবাইকে ঢালাও ভাবে ডিজ্যুস নামে ডাকাটা ভীষণ অপমানকর ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
নিজেকে ডিজ্যুস প্রজন্মের একজন ভাবতে প্রচন্ড অস্বস্তি লাগে!
এনকিদু, তোমারে লাল সালাম।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
- কদু ভাইয়ের দেয়া ডিজ্যুস জেনারেশনের সংজ্ঞা আর আমার ডিজ্যুসের ডেফিনিশন এক। মন্তব্যে
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কদু ভাইয়ের দেয়া সংজ্ঞাটি অনেক বিস্তৃত, ব্যাপক এবং তাতে ব্যক্তিগত বেদনার ছোঁয়া আছে , সূক্ষ অপমানবোধের গ্লানি আছে, কিন্তু আপনার লেখাটিতে আছে কিছুটা এক্সট্রিম লেবেলিং। আর আপনার লেখার সংজ্ঞা নির্ধারণে আরেকজনকে মন্তব্য করে এমনকি যদি ডিসক্রিট ম্যাথ গুলে খেয়ে আপনি কি বলেছেন তা বোঝাতে হয়, তাহলে নিশ্চয়ই অন্তত: এটুকু মানবেন, যে আপনার লেখায় মানুষের ভুল বোঝার অবকাশ ছিলো। দেখুন, আবারও বলি, আপনার বেদনাটি জাস্টিফাইড, কিন্তু প্রকাশভঙ্গিটি আপত্তিকর। আমি আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন। তর্ক বাড়ানো মনে হয় অযথা। আপনি ভালো থাকবেন। শুভাশীষ।
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
- সচলে ডিজ্যুসের সংজ্ঞা মোটামুটি নির্ধারিত। কেউ বিত্তবান হলেই যে সে 'ডিজ্যুস', এমনটা ভাবার কোনো অবকাশ নেই। তবে হ্যাঁ, যারা সেটা ভাববে, তাদের কাছে অবশ্যই আমার প্রকাশভঙ্গিটি আপত্তিকর ঠেকবে, এটা আটকানো যাবে না। যারা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালের পড়ে, যারা বিত্তবান বাবার পোলাপান, তাদের মধ্য থেকেই এই ডিজ্যুসের উৎপত্তি। তাই বলে শহরের সব বিত্তবান কিংবা সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পোলাপানই এই ঐতিহাসিক 'ডিজ্যুস' সেটা বলার প্রয়াস এই লেখায় ছিলো না। সেক্ষেত্রে যদি ভুল বুঝাবুঝি হয়ে থাকে তাহলে ব্যাপারটা নিতান্তই দুঃখজনক।
শুভাশীষ আপনাকেও।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একটা পন্যের নাম দিয়ে আমাদের পুরো প্রজন্মটাকে এরকম লেবেল মেরে দেয়াটা কি ঠিক হল ? আমরা কি এতই সস্তা আর খেলো ?
এক্স্যাক্টলি এই কথাটিই আপনার লেখককে জিজ্ঞাসা করা উচিত। ডিজ্যুস জেনারেশন তিনি বলেছেন , আমি তার রেফারেন্স দিয়েছি মাত্র। এই লেবেলিং টা ভালো লাগেনি বলেই বিত্তবান বাবার রেফারেন্সটিও আপত্তিকর বলে মনে করি। লেখার মূল ফোকাসটি হওয়া উচিত ছিলো নিরাপদ ড্রাইভিং এবং সংযত আচরণ।
আমি কোন্ জেনারেশনের এই প্রশ্নের ধারাটি সম্পূর্ণই অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হলো।
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
- নিরাপদ আর সংযত ড্রাইভিং নিয়ে পরে কখনো লিখবো নে। আপাতত থার্টিফার্স্টের ঘটনাটা নিয়াই লিখি আপা।
আপনার কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হলেও আমার কাছে প্রাসঙ্গিক। খুব ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন, প্রতিবছরই এই তারিখে ঢাকার রাস্তায় এরকম কিছু একটা ঘটে। যারা ঘটনাটা ঘটায় তারা কিন্তু আপনার বা আমার বাপচাচার জেনারেশন না। এমনকি খুব সম্ভবতঃ আপনার জেনারেশনেরও না। একটা পার্টিকুলার বয়স শ্রেণীর পোলাপান। আর এদেরকে একটু ব্যবচ্ছেদ করলেও পেয়ে যাবেন ভেতরে কী আছে।
সারাবছরই সাধারণত যেমনটা ঘটে "ফুটপাতে দানব ট্রাক উঠে গিয়ে পথচারীর মৃত্যু"- এই খবরের কথা আমি এই পোস্টে বলছি না। সেটা বলার জন্য ইলিয়াস কাঞ্চন আছেন। আমি বলছি আমাদের দেশে থার্টিফার্সট নাইটের বেপরোয়া উদযাপন কতোটা ভয়াবহ হতে পারে। একবার বলেছি, আবারো বলছি- উদযাপনে কোনো সমস্যা নাই, মাগার সেইটার জন্য অন্য কেউ সাফার করলে সমস্যা।
প্রতি বছরই সাফার করায় এক কিসিমের পোলাপান। এদেরকে ট্যাগিং করলে সেন্টু খাইলে চলবে আপা! ঢাকার বনানী-গুলশান এলাকায় থার্টিফার্স্ট নাইটের উদযাপন আমার সচক্ষে দেখা। কিছু পোলাপানের ঔদ্ধত্য আর কথা বলার স্টাইল দেখে কানের লতির নিচে কষে একটা থাবড়া মারতে ইচ্ছা করছে ভীষন। এরাই সেই 'ডিজ্যুস', আমি, আপনি, অমিত, এনকিদু-রা না। এটা নিশ্চিত থাকেন। পোস্টে আমি কী বলতে চাইলাম, প্রকাশভঙ্গিটা না হোক অন্ততঃ সেটা যে বুঝতে পারছেন, সেইজন্যই এই অধম কৃতজ্ঞ আপনার কাছে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তর্কটা বাড়লই! শেম!
যারা ঘটনাটা ঘটায় তারা কিন্তু আপনার বা আমার বাপচাচার জেনারেশন না। এমনকি খুব সম্ভবতঃ আপনার জেনারেশনেরও না।
আবারও দেখছি, অর্থহীন ও অপ্রাসঙ্গিক রেফারেন্স। আমার জেনারেশন আপনার জেনারেশন বা বাপচাচার প্রসঙ্গটি কিছুটা অফেন্সিভ।
একবার বলেছি, আবারো বলছি- উদযাপনে কোনো সমস্যা নাই, মাগার সেইটার জন্য অন্য কেউ সাফার করলে সমস্যা।
একই কথা আবার বলা হচ্ছে! কেন? আমি তো আপনার সাথে এ ব্যাপারে প্রথমেই একমত প্রকাশ করেছি!! সার্কুলার রেফারেন্স হয়ে যাচ্ছে ব্যাপারটা।
এদেরকে ট্যাগিং করলে সেন্টু খাইলে চলবে আপা!
খুবই অফেন্সিভ ভঙ্গি, তাই এটার জবাব দেয়া থেকে বিরত থাকছি।
এরাই সেই 'ডিজ্যুস', আমি, আপনি, অমিত, এনকিদু-রা না। এটা নিশ্চিত থাকেন।
এজন্য তাদেরকে ঢালাওভাবে ট্যাগিং করা সমর্থন করিনা।
আসলে আমার মনে হচ্ছে আপনি অতি আবেগী হয়ে মৃত্যুর ভয়াবহতাটা কে নিয়ে কথা না বলে অহেতুক ডিজ্যুস ব্যাপারটি নিয়ে কথা বলছেন।
আমি আবারও বলছি, আবেগটা জাস্টিফাইড, কিন্তু প্রকাশভঙ্গী নয়, রানা মেহের এর কমেন্ট টা তে সহমত জ্ঞাপন করি।
এবং হিমুর কমেন্ট টাতে সহমত জ্ঞাপন করে বলছি তিনটি মানুষের
ভয়াবহ মৃত্যু হারিয়ে যাচ্ছে এই বিতর্কে, অহেতুক ত্যানা প্যাঁচানো মনে হচ্ছে।
আমি আমার বক্তব্য আগেই ক্লিয়ার করেছিলাম,কিন্তু এরপর থেকে মনে হয় সেটিতেও বিরত থাকবো, কারণ স্পষ্টত:ই আপনার লেখার ভঙ্গী অনেকেরই ভালো লাগেনি কিন্তু ওপরের কথাগুলো আপনি আমাকে উদ্দেশ্য করেই বলেছেন।
আমি এই পোস্টে কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকছি আপাতত:।
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
- আপনার প্রতি শ্রদ্ধা ও আপনার বক্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করেই সামান্য যোগ করি,
'যতো খুশি উদযাপন করুন। কিন্তু ভাই রয়েসয়ে। আপনার উদযাপন যেনো অন্য কারো কষ্টের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।'
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অবশ্যই রয়েসয়ে ধূসর গোধূলি। না জেনে কাউকে ডিজ্যুস, আবার কাউকে মাতাল বলে মৃত মানুষকে অসম্মান না করে। দেখুন, আপনার ক্ষোভের জায়গাটা ধরতে পারি, কিন্তু প্রকাশভঙ্গিটি, আবারও বলছি, ঢালাওভাবে সেই মানুষগুলোকেই দোষারোপ করছে ! আপনার বা আমার কারো উতসবই যেন অন্য কারো প্রাণহানির কারণ না হয়, সেটা তো আমি প্রথম মন্তব্যেই বলেছি, প্রকারান্তরে আপনিও তো একই কথা বলছেন!!!
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
লেখাটা পড়ে চোখে পানি চলে এল। এদেশের হজরত বা নুরুজ্জামানদের ঘুমের জন্য আমরা ঘরতো দিতে পারিইনি, ফুটপাতটাও নিরাপদ রাখতে পারিনি। ডিজ্যুস জেনারেশান নামের যে চিন্তাহীন-শিকরহীন জেনারেশান আমরা গড়ে তুলছি সেটা সত্যিই শংকার বিষয়।
অনেক ধন্যবাদ, চমতকার লেখার জন্য।
- ধন্যবাদ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কী আর বলব! প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। কবে এদের বোধ হবে?!
- হবে না।
প্রকাশ্য রাজপথে কাপড় উঠিয়ে পিটায়ে পাছা লাল করে দেয়া উচিৎ এদের।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এবারের ভোটে যুদ্ধ অপরাধীদের আমরা না বলতে পেরেছি।এদের না বলতে পারবনা?অর্থ অনর্থের মূল-প্রবাদটির পরিবর্তন আমাদেরই করতে হবে।
( জয়িতা )
- দুইটা মনেহয় দুই ইস্যু জয়িতা। এদেরকে না বলাটা কোনো সমাধান না। এদেরকে রাস্তায় আনাটা সমাধান। চীনের একটা উদাহরণ আমার খুব মনে ধরে। এদের মতো 'ঘাউড়া' জাতিকে যদি ডান্ডা দিয়ে লাইনে নিয়ে আসা যায় তাইলে আমরা কেনো লাইনে আসবো না?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আকাশ নীল, আবহাওয়া শুস্ক, বাতাস হিমেল, দেশটি বাংলাদেশ, চালকটি "ডিজুস জেনারেশান "..।...।
অতএব, মন্তব্য নিস্প্রয়োজন......
ব্যর্থ জন্ম আমার -জন্মেছি এই সময়ে...
- সবই তো বলা হয়ে গেলো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নিষ্ফল আক্রোশ আমার..........
গরীবের আবার সিগনেচার!!!
- কিছুই কি করার নাই...!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শিরোনামের "ডিজ্যুস জেনারেশন" আমার ভালো লাগে নাই। বয়স-অর্থনৈতিক অবস্থান ভেদে এভাবে ট্যাগিং করাটা খুব দৃষ্টিকটু।
সংবাদপত্র পড়ে যা বুঝলাম সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে। এইতো ক'দিন আগে ভোট দিতে যাওয়ার সময় যেমন দূর্ঘটনায় মারা গেলেন মানুষ। নিরাপদ সড়ক আমরা চাইতেই পারি, আমাদের অধিকার এটা। যে কোনো ধরণের দূর্ঘটনা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে, নিরাপদে বাহন চালিয়ে, সতর্ক থেকে। চালকের বাবার পরিচয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এগুলো তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।
ইংরেজী নববর্ষ কেনো পালন করা যাবে না জানতে চাই। আমরা গরীব দেশ বলে আমাদের আনন্দ করার মুরোদ নেই, নাকি? আর ছেলে যে মদ্যপান করেছিলো তার কী প্রমান? কথাও তো এমন কিছু লেখা নেই। তার বাবা-মা'রই বা কী দোষ? বাতাস থেকে এসব উপসংহারে আসা ঠিক না।
হজরত আলী আর নুরুজ্জামানের পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা আছে। অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হবে। হয়তো তারাই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ। কিন্তু সেই সাথে আমার সমবেদনা আছে খালেদ চৌধুরীর পরিবারের জন্যও। হয়তো সেই ছিলো বাবা-মার একমাত্র সন্তান; কিংবা হয়তো তার ছোট বোনটি ঘুম থেকে চমকে জেগে উঠবে মাঝ রাতে অনেকদিন। কোনো মৃত্যুই ছোট নয়। সব মৃত্যুর সাথেই বেদনা আসে। আসে পরিবর্তন।
আশা করবো এই নিয়ে সচেতনতা বাড়বে। নতুন বছরের শুরুতে কিংবা বছরের অন্য যে কোনো সময়েই অবহেলার কারণে - গাড়ি চাপা পড়ে, ট্রাক উলটে, বাস খালে পড়ে, লঞ্চ ডুবে, রেলগাড়ি লাইনচ্যুত কিংবা অন্য কোনো দূর্ঘটনায় অকালে প্রান হারাবেন না কেউ।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
- ইংরেজী কেনো, আরবী নববর্ষও পালন করতে পারি আমরা, কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে অন্যকারো জন্য ঝামেলাকর কিছু নিয়ে এলেই সমস্যা। বাধনের কথা মনে আছে অমিত?
ডিজ্যুস বলতে কাদের বুঝিয়েছি সেটা প্রকাশে যদি আমার অপারগতা থেকে থাকে তাহলে অনুরোধ করবো উপরে কষ্ট করে এনকিদু'র করা কমেন্টটায় চোখ বুলাতে। যেকোনো একটা কী-ওয়ার্ড ধরে যদি আপনিও কোনো উপসংহারে চলে আসেন তাহলে তো আমার প্রতিও খানিকটা অবিচার করা হয়ে যায়।
হ্যাঁ, সচেতনতা বাড়ুক। অন্ততঃ যে দিনগুলোতে অসচেতন হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। হজরত, নুরুজ্জামানদের সাথে যেনো খালেদ চৌধুরীদেরও মরতে না হয় সেটাই যেনো হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এনকিদুর বক্তব্যও খুব অপমানজনক। ডিজ্যুর প্রজন্ম নিয়ে তিনি বলেছে:
এরপরে তিনি তার নিজের বক্তব্য দিয়েছেন:
তার মানে - বড় শহরের ধনী বাবা-মার ছেলে হলেই এমন হতে হবে।
আমার কাছে শিরোনাম ভালো লাগে নাই কারণ, উপাত্ত যাচাই না করেই কাউকে ট্যাগ করা ঠিক না।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
০.
p => q
p : 'ক' একজন ডিজ্যুস
q : 'ক' বড় শহরের বিত্তবান বাবা-মা'র সন্তান
১.
আমি প্যারিসে আছি মানে আমি ফ্রান্সে আছি, কিন্তু আমি ফ্রান্সে আছি মানেই আমি প্যারিসে আছি বলা যায়না ।
- Kenneth H. Rosen
Discrete Mathematics and Applications
২.
আপনি আমার যেই অংশগুলো কোট করেছেন সেখান থেকে ...
অর্থাৎ, p => q
আমি বলিনি যে, " সমাজের বিত্তবান অংশের নতুন প্রজন্মের সবাই ডিজ্যুস "
৩.
আপনি মন্তব্যে বলেছেন,
অর্থাৎ, q => p
যা কিনা আমার দেয়া proposition p => q এর converse.
এই কথা আমি একবারো বলিনি, বা এমন কোন কিছু লিখিনি যার অর্থ এই দিকে যায় । ভুল বুঝলেন । এই ভুলটির নাম হল affirming the consequent
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এতো মকশো করে মন্তব্য দেয়ার দরকার ছিলো না। বললেই হতো আপনি বলতে চেয়েছেন "সব ডিজ্যুসই মহানগরের বিত্তবান বাবা-মার সন্তান, কিন্তু মহানগরের বিত্তবান বাবা-মার সন্তানেরাই ডিজ্যুস নয়।" যদিও আপনার মন্তব্য পড়ে এমন মনে হয়নি। এতো কথা বলে একটি পয়েন্ট বোঝানোর ব্যাপারটা অহেতুক ত্যানা প্যাঁচানো। তাহলে আমিও প্যাঁচাই।
আপনি বলেছেন তারা মহানগরে থাকে, তাদের বাবা-মা বিত্তবান। আর কিছু আপনার মন্তব্যে পাই না। তাহলে ডিজ্যুস প্রজন্মের সংজ্ঞা কী?
সব q যদি p না হয়, তাহলে নিশ্চই অন্য বৈশিষ্ট থাকবে যেগুলো থাকলেই কেবল q, p হবে। সেগুলো কী?
আপনি বলেছেন - ডিজ্যুসরা বাংলাদেশ নিয়ে দুইটা কথাও সারাজীবনে চিন্তা করেছে কিনা আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে।
যেহেতু আপনার সন্দেহ আছে তার মানে এটি ডিজ্যুস হবার কোনো বাধ্যতামূলক বৈশিষ্ট নয়।
একজন ডিজ্যুসের সাথে মহানগরের একজন বিত্তবানের সন্তানকে কিভাবে আলাদা করা যাবে?
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
- অমিত, এই ডিজ্যুস ট্যাগিংটা ব্যক্তিগত ভাবে নেয়ার কোনো দরকার দেখছিনা। অনেক আগে শিমুল তাঁর কোনো লেখায় এই ডিজ্যুস নিয়ে লিখেছিলেন। সেখানে স্পষ্টতঃই উল্লেখ ছিলো ডিজ্যুস বলতে আসলে কাদেরকে বুঝি, কাদেরকে বুঝা উচিৎ আমাদের। অন্য আরো অনেক লেখায় ও ব্যাপারটা এসেছে। সো বি কুল বাডি! লন বিড়ি খাইয়া আসি...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঠিকাছে বস... বিড়ি ধরাইলাম
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আমিও
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অমিত আহমেদের মন্তব্যের সাথে প্রবলভাবে একমত প্রকাশ করছি। দৃষ্টিকটু ট্যাগিং এটা।
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
- স্যরি, ক্যান্ট হেল্প ইট...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নিরাপদ ড্রাইভিং উল্লেখযোগ্য ব্যাপার। বাংলাদেশে কতজনের জেনুইন লাইসেন্স আছে সেটা খুব একটা ভাবনা চিন্তা না করেও ধারণা করা যায়। ক'দিন আগে বিআরটিএ'র এক কর্মকর্তার মন্তব্য স্মরণযোগ্য।
প্রসঙ্গ অনেক দূর গিয়েছে। আমি যা বলতে চাই এক কথায় তা হলো -- তুমি ইংরেজী নববর্ষে যা করবা করো, কিন্তু সেই উপলক্ষে ফুটপাতের মানুষ মরলে আমি একটু বেশি মন খারাপ করবো। নববর্ষে গাড়ি দূর্ঘটনা নিছক দূর্ঘটনা নয়, রাগিবের পরিসংখ্যার দেখলেই তা বোঝা যায়।
ভাল ভাল মুহুর্তে এরা এসে মিজাজটা খারাপ করে দেয়...
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
মদ খাওয়া অসুবিধার কিছু না। পকেটে পয়সা থাকলে মদ খাবে না ফুল কিনবে এটা যার-যার-তার-তার ব্যাপার। তয় মদ খেয়ে গাড়ি চালানোটা প্রচন্ডভাবে আপত্তিকর।
তবে এনকিদুর মন্তব্য নিয়ে আমার কয়েকটা প্রশ্ন ছিল।
"ভাই আমি জানিনা আপনি কোন প্রজন্মের, কিন্তু দূর্ভাগ্য যে আমি এই "ডিজ্যুস" লেবেল মারা প্রজন্মে জন্মেছি । ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি ভুল সময়ে পয়দা হয়েছি । পঞ্চাশ বছর আগে জন্মে ১৯৭১ সালে নিজের পরিপূর্ণ দৈহিক ও মানসিক সবলতা নিয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করতে পারলে জীবনে কিছু একটা করেছি বলতে পারতাম । লোকেরা আর আমাদেরকে ডিজ্যুস নামে ডাকার সুযোগটাও পেত না ।"-------
লোকজনদের আপনারা তাহলে সেই সুযোগ কেন করে দিচ্ছেন ?অন্য লুকজন কষ্ট করে একটা সময়কে বদলাবে আর আমরা সেই সময়ে পয়দালাভ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে সেই সময়ের প্রতিভূ হব, ব্যাপারটা কি ঠিক ? নিজেই সময়টাকে বদলে দ্যান না !
(যুদ্ধের মহত্ত্ব থাকে ইতিহাসের পাতায় বস।যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৯০%কে প্রশ্ন করে দেখতে পারেন। স্বেচ্ছায় কেউ যুদ্ধ চায় না। বাকি ১০% কে আবার কিছু জিগাইতে যায়েন না। উরা চুতিয়া ডিসিশনমেকার।)
"আর ডিজ্যুস বলতে যাদেরকে বোঝান হয়, তারা গোটা প্রজন্মের প্রতীক কোনভাবেই না । বড় বড় মহানগরী গুলোর বিত্তবান বাপ-মায়ের সন্তান এরা । বিত্তে সবাই মিলে দেশের এক তৃতীয়াংশ সম্পদের উত্তরাধিকারীও হতে পারে তারা, কিন্তু প্রজন্মের মোট জনসংখ্যার তুলনা অতি অতি নগন্য । কাজেই এদেরকে আমাদের প্রজন্মের প্রতীভু মানাটা বিরাট ভুল ।"-------
প্রজন্মের প্রতীভু ব্যাপারটা আসলে কিভাবে ঠিক করা হয় ? বিট জেনারেশনের সবাই কি কবিতা/গাঁজা/যুদ্ধের বিপক্ষে ছিল ? নাকি আমেরিকার গোল্ডেন জেনারেশনের সবাই ২য় মহাযুদ্ধ ফেরত ছিল? মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সবাই কি মুক্তিযোদ্ধা ? না কি ৮০র দশকের সবাই এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছিল ?
আপনারা যদি ডিজুস প্রজন্ম না হন তাহলে কি প্রজন্ম ?তোমাকেই খুজছে বাংলাদেশ প্রজন্ম ? আর ১০ বছর পর এই সময়টাকে কোন বিশেষ ঘটনা কি রিপ্রেসেন্ট করবে?
"ডিজ্যুসরা বাংলাদেশ নিয়ে দুইটা কথাও সারাজীবনে চিন্তা করেছে কিনা আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে । ডিজ্যুসরা সবাই সমাজের বিত্তবান অংশের নতুন প্রজন্ম । দেশের নতুন প্রজন্ম না, দেশের গায়ে যেই টুকটাক ঘা-পাঁচড়া গুলো আছে সেই ঘায়ে নতুন চুলকানি ।"---------
এরা আসলে কারা ? দেশের কথা এরা ভাবেনা এটাও বা আপনি ঢালাওভাবে কিভাবে বলতে পারলেন ?বিত্তবান বাপের পোলা হয়ে আমি যদি গাড়ি চালাই আর লেটেস্ট মডেলের ফোনসেট ব্যবহার করি আর বৈদেশি ডিগ্রী নিয়ে বৈদেশে বসবাস করি তাহলে কি আমি খারাপ ?নাকি আপনে ডিজুস প্রজন্ম বলতে চোরাকারবারি বাপের নাদুসনুদুস পোলা-মাইয়াদের কথা বুঝাইলেন ?
ডিজ্যুসের প্যাঁচালে হারিয়ে যাচ্ছে তিনজন মানুষের দুঃখজনক মৃত্যু। নতুন বছরে এই তিনটি মৃত্যু কাম্য ছিলো না কারোই। সমবেদনা রইলো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
অনেক কথা বলতে গিয়েও বলা হচ্ছে না। আসলে কী-ই বা বলতে পারি! শুধু এইটুকু বলি- ধূগো'দা, আপনার লেখার মূল বক্তব্য এবং লেখার সময়কালীন মানসিক অবস্থা অনুভব করতে পারছি জন্যই সমর্থন জানাচ্ছি।
লেখা সমর্থন করতে পারছিনা।
দুর্ঘটনার কথা জেনে খারাপ লাগছে।
তবে তার সাথে নিউ ইয়ার্স ইভ উদযাপনের সম্পর্ক নেই।
যারা ঠিকমতো বাংলা-ই ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারে না, যারা একুশে ফেব্রুয়ারী কী জিনিষ সেটাই জানে না, যারা বিজয় দিবস আর স্বাধীনতা দিবসের মাহাত্য বুঝেনা তারা ইমপোর্টেড মদের বোতলের ছিপির সশব্দে খুলে যাওয়া উত্তর ফেনায়িত তরলে গলা সিক্ত করে মেতে ওঠে ইংরেজী 'নিউ ইয়ার ইভ' উন্মাদনায়।
নিউ ইয়ার্স ইভে এমন অনেকেই মাতাল হন যারা বাকি সব আনন্দেও মাতাল হতে সময় নেবেন না। হয়তো বিজয় দিবসেও হবেন। কারণ এদিন টিও আনন্দের।
আপনি হয়তো লেখাতেই বলতে চেয়েছেন সাবধানে উতসব উদযাপন করার কথা। কিন্তু এমন ভাবে লিখেছেন, মনে হচ্ছে একজন গোড়া পশ্চিমা সংস্কৃতিবিরোধী কেউ কথা বলছে। আপনার ক্ষোভ যতটা না সেই মাতাল চালকের ওপর তারচেয়েও বেশী উতসব উদযাপনের ওপর। যে কথাগুলো আপনি মন্তব্যে ক্লিয়ার করেছেন, সেটা স্পষ্টভাবে লেখায় পরিস্কার করে বলা উচিত ছিল।
আর ডিজুস কাদের বলা হয় কাদের উদ্দেশ্য করা হয়না, এ বুঝতে তো এতো ব্যাখ্যা দেয়ার দরকার নেই। এ নিয়ে এতো বিতর্ক কেন, মাথায় আসছেনা।
সব মিলিয়ে আপনার অনুভুতির প্তি শ্রদ্ধাশীল ধুসর গোধুলী।
কিন্তূ লেখা ভালো লাগলো না
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ত্যানা প্যাঁচানোকে এক পাশে সরিয়ে রেখে দেখলে পরিষ্কার বোঝা যায়, ডিজ্যুস "জেনারেশন" কেবল একটি সময়ের মধ্যে বন্দী ছেলেমেয়েরাই নয়, বরং একটি ধারণার মধ্যে বন্দী। ঐ বয়সের সব ছেলেমেয়েই ডিজ্যুস, এ কথা যেমন কেউ বলছে না, তেমনি কেউ বলছে না যে বিত্তবানের ছেলেমেয়ে বাপমায়ের দোষে ডিজ্যুস। যেমন এক বছর বয়সী একটি জিরাফ এবং এক বছর বয়সী একটি গন্ডারকে আলাদা করে চিনতে কোন সমস্যা হয় না। গন্ডারকে গন্ডার বললে জিরাফ এসে কখনো বলে না যে ভাই, আমি কিন্তু গন্ডার প্রজন্মের কেউ নই!
ট্যাগিং নিয়ে অনেক উত্তেজনা দেখতে পাচ্ছি এই পোস্টের কমেন্টে। যে গোষ্ঠীর গায়ে ডিজ্যুস ছাপ্পরটা কৌশলে মেরে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে, তারা কি সচেতনভাবে এই ট্যাগিংকে গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পেরেছে? যদি না পারে, দে শুড পে ফর দেয়ার ইডিয়সি। যারা Thisকে dis আর thatকে dat লিখে মহা উল্লসিত, তাদের ডিজ্যুস ট্যাগিং করবো না তো কী করবো?
থার্টিফার্স্ট নাইটে কেউ ঘোলের শরবত খেয়ে রাফ ড্রাইভ করে না। খালেদ চৌধুরীর পোস্ট মর্টেম কি আদৌ হবে? যদি তার স্টমাকে অ্যালকোহল পাওয়া যায়, রাষ্ট্র কি নিহত দুই নাইটগার্ডের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের মামলা করার সুযোগ দেবে? আমরা সেগুলি নিয়ে ভাবছি না। আমরা ট্যাগিঙের বিরুদ্ধে জেহাদ করছি আর ডাকাত বাঁচাচ্ছি। নাইটগার্ড মারা না গিয়ে যদি আমাদের বাপচাচা কেউ মরতো, তখনও কি ট্যাগিঙের বিরুদ্ধে জেহাদী জোশ থাকতো আমাদের?
হাঁটুপানির জলদস্যু
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইয়ে, যখন দরকার হয়, তখন না ---- পা ব্রেক, হ্যান্ডব্রেক কিচ্ছুর কথা মনে পড়ে না ৷
মাইরী মাক্কালী!
আমার হাতে পড়লে গাড়ী অবশ্য কোথাও ওঠেটোঠে না হু হু করে নেমে যায় --- নালা নদ্দমা, পুকুর এমনকি বড়সড় খালের দিকেও নামিয়ে দেওয়ার রেকর্ড আছে আমার ৷
অন আ সিরিয়াস নোট: এইবারে পুণে আর ব্যাঙ্গালোরে পুলিশের তরফ থেকে ২ দিন ধরে সমানে এস এম এস করে বলেছে ৩১ রাতে মদ্যপান করে গাড়ী চালাতে গিয়ে ধরা পড়লে জেল হবে ৷ ২৯ আর ৩০ এই ২ দিন রাতে যেখানে সেখানে গাড়ী থামিয়ে ব্যপক চেকিংও হয়েছে ৷ তারফলেই বোধহয় এবারে এই দুটো শহরে অন্তত এরকম ঘটনা সম্ভবত: ঘটে নি , কারণ সংবাদপত্রে আসে নি দেখছি ৷
--------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এ-ত মন্তব্যের পরও কি কিছু বলা ঠিক হবে- ভেবে না পেয়ে, থাকতে না পেরে লিখলাম ...
ঠিক কইছেন ...
বড় দূঃখ হয়, বুঝলেন। আমাদের কী করা দরকার আর কী করছি ...
... নামহীন
কেন এই 'শব্দদুটি টাইপ ' -এর ঝামেলা ... ?
বিত্তবান কি বিত্তহীন ------- ধনীর মাতাল দুলাল না মাতাল ট্রাকের ড্রাইভার ------- দুইটাই সমান শয়তান। ইয়াং বয়সে কাচা পয়সা থাকলে কিছু ঝনঝনানি থাকবেই ----- কিন্তু তাই বলে মানুষ মারবে? কোনভাবেই মানা যায় না -------- মদ খাওয়া/বেপরোয়া ড্রাইভিং ইত্যাদি যা কিছুই চলতে পারে ইয়াং রক্তে ---- কিন্তু খুনের পর মাফ করলে তাতে খুনের রক্ত মিশে যায় -------- আর তা এ্যান্টিবায়োটিকের মত বাড়তেই থাকে------।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
ডিজ্যুস "জেনারেশন" ছেলেমেয়েদের Tag চুলের style আর ড্রেসে চেনা যায়।
নতুন মন্তব্য করুন