গুরুচন্ডালী - ০১৭

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: বুধ, ২১/০১/২০০৯ - ৭:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
এ বিচিত্র অনুভূতি এক। বিয়ের পর প্রথম বউ তার বাপের বাড়ি গেলে কেমন লাগে জানার খুব শখ হচ্ছে! অনেকদিন পর একাকীত্বের স্বাদ ফিরে পাওয়ার আনন্দে লাফিয়ে ওঠে মন। পুরনো (বাজে!) অভ্যাসগুলোর চর্বিত চর্বণের প্রত্যাশায় চকচক করে ওঠে চোখজোড়া। বউয়ের শাণিত শাসন, হুদাই হাউকাউ-কাউমাউ আর মুগুরের ভয়ে মারাত্মক রকমের নিয়মানুবর্তী হয়ে যাওয়া সৃষ্টিহীনতা থেকে বেরিয়ে পড়ার একটা উল্লাস কাজ করে। ঘড়ির কাঁটা ঘুরে কখন সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসে, তার চিন্তায় অধীর থাকে মন। রিক্সা করে কমলাপুর কিংবা বউয়ের বাবার বাড়িগামী বাসে তুলে দেবার আগে মিনিটে সোয়া সাতবার ঘড়ি দেখার সেই ক্ষণকে মনে হয় একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বরের মতোন। আর যখন 'পুঁ-ই-ই' শব্দ তুলে ট্রেন যাত্রা শুরু করে অথবা প্রবল হাইড্রোলিক হর্ণ বাজিয়ে বাসটা তার ডিপো থেকে বেরিয়ে পড়ে তখন মহানন্দে ডানহাত মুষ্টিবদ্ধ করে শূন্য থেকে নিজের দিকে টেনে এনে গলা দিয়ে বেরিয়ে যায়, "ইয়েসসস!"

বাস অথবা ট্রেনের জানালায় শান্ত চোখের বউয়ের চাহনি চোখে পড়ে কি পড়ে না, আপাত মুক্তির আনন্দে মেতে থাকা মনের দর্পণে। সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে ঘরে ফিরেই খট করে বিষাদ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। পরিপাটি করে সাজানো সবকিছুর উপরে একটা একাকীত্বের ছায়া। মনটা দুম করে খারাপ হয়ে যায়। যে একাকীত্ব লভের খুশীতে মন আনচান হয়েছিলো ঘন্টাকয়েক আগেও, সেই একাকীত্বই বুমেরাং হয়ে টুংটাং আঘাত করতে থাকে অনবরত। এ ঘর, সে ঘর পায়চারী, রিমোটে টিভি'র চ্যানেল পাল্টেও কোথাও শান্তির পরশটুকু পাওয়া যায়না এতোটুকুও! নরম উষ্ণ বিছানায় ক্লান্ত শরীরে ঘুম আসেনা সুন্দরী ঘুমপরীর ডানায় ভর করে। থেকে থেকে অস্থির মন কেবলই বলে ওঠে, "জীয়া ধাড়াক ধাড়াক, জীয়া ধাড়াক ধাড়াক, জীয়া ধাড়াক ধাড়াক যায়ে..."

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA


২.
একবছর হয়ে গেলো ডাক্তার বাড়ি থেকে ঘুরে আসার। আরেকবার শরীরটাকে আগাগোড়া পরীক্ষা করিয়ে নিলে মন্দ হয় না! এই ভেবেই গেলাম আবার ডাক্তার বাড়ি। ক্রিসমাস আর নিউ ইয়ারের ছুটি কাটিয়ে ডাক্তার বাড়িতে যখন সবে শোরগোল শুরু হলো তখনি ফোন করে দেখা করার একটা সময় নিয়ে নিলাম। এবারের অভিযোগ মহা গুরুতর! আমি ওজন হারাচ্ছি জার্মানী আসার পর থেকেই। ডাক্তার সাহেব মহা চিন্তিত। আমার ফাইলপত্র চোখের সামনে খুলে কতোক্ষণ গাল খামচে, থুতনী চুলকে টাকটাকডাকডাক করে কী সব জিজ্ঞেস করলো আমাকে, আমিও বাম ভ্রু কিঞ্চিৎ উপরে তুলে বেশ সিরিয়াস ভঙ্গিতে ডিংডং-ডংডিং জবাব দিয়ে গেলাম। ওয়েটিং রুমে বসলাম, একটু পর সুন্দরী সহকারী এসে ডেকে নিয়ে গেলো একটা ঘরে। সেখানে আরো দু'জন সুন্দরী। মনটাই ভালো হয়ে গেলো সাতসকালে এক সুন্দরী, দুই সুন্দরী, তিন সুন্দরী দেখে। পাশেই একটা চেয়ার দেখিয়ে বললো বসতে, বসলাম। ঘরে ঢুকার মুহূর্তে ভালো করে দেখে নিয়েছিলাম, কোথাও কোনো সিরিঞ্জ নেই। তার মানে রক্ত টক্ত নেবার ইন্তেজাম নেই। আমি মহা খুশী! শুধু পাশেই একটা স্টপ ওয়াচের মতো কী একটা জিনিষ রাখা। টিপ দিলে টুটটুট শব্দে ডিজিটগুলো বদলায়। বাহ্, বেশ মজা তো! কতোক্ষণ টিপাটিপি করলাম মনের সুখে। ওমা, এক সুন্দরী দেখি আমার কাছে এসে একটা ছোট্ট প্যাকেট থেকে সূইয়ের মতো কী বের করে। আমি তো 'থ! করে কী বেটি! আঙুল থেকে নাকি রক্ত বের করবে, ফাইজলামী নাকি? ইচ্ছে করলো উঠে দৌঁড় দেই। কিন্তু প্রেস্টিজ পাংচারের ভয়ে পারছিনা। সুন্দরী সূই খুলে বসে আছে, যতোই বলে এটা কেবলই একটা 'পিপস্ৎ', আমি হাত বাড়াই না। সুন্দরী কতো কিছু বুঝায়, আমি বুঝি না। আমার মাথায় তখন এক চিন্তা কী করে দৌঁড়ে বের হওয়া যায় এই ঘর থেকে! অবশেষে আর পারি না। সুন্দরীত্রয়ের জয় হয়। বাম হাতের মধ্যাঙ্গুলে একটা 'পিপস্ৎ' হওয়ার কয়েক মিলি সেকেণ্ড পর আমার 'টুঁই' করে এক গগনবিদারী চিৎকারের মধ্য দিয়ে তাদের দুই ফোঁটা রক্ত নেয়া মিশন শেষ হয়। আঙ্গুলে প্লাস্টার মেরে, ওজন মাপক যন্ত্রে আমাকে তুলে দিয়ে খাতায় কী সব আঁকিবুঁকি করে আবার আমাকে পাঠিয়ে দেয় ওয়েটিং রুমে। ডাক্তার সাহেব ডাকবেন আমাকে আবার। ডাকলেন কিছুক্ষণ পর। গিয়ে শুনলাম, তিনি আমার মূত্রে চিনির কিছুটা আভাস পেয়েছেন। রক্তে সেরকম কিছু পাওয়া যায় নি, ওজনও আগের চেয়ে বেড়েছে। কিন্তু যেহেতু মূত্রে খানিকটা পাওয়া গেছে তাই তিনি নিশ্চিত হতে চাইছেন। মানে আরো একবার বিশদ পরীক্ষার জন্য আসতে হবে। দুই ঘন্টা ডাক্তার বাড়িতে থেকে দুইবারে 'পিপস্ৎ' করতে হবে। এই দুই ঘন্টার মধ্যে নো নড়ন-চড়ন। হোক, তবে তাই হোক। পড়েছি ডাক্তারের হাতে, দিয়েছি রক্ত- আরও দিতে হবে বলার সাথে সাথে!



৩.
ইদানিং কী হয়েছে আমার কে জানে! যা দেখি, যা শুনি- তাই করতে ইচ্ছে করে নিজেরো। বদ্দার বিয়ের স্ট্যাটাস দেখে নিজের স্ট্যাটাস বদলে দিতে ইচ্ছে করে, ভাইয়ের বাবু দেখে ইচ্ছে করে নিজেরও একটা বাবু'র। কালকে ইচ্ছে করলো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবার! আমি কী করবো, ওবামা যেভাবে বউয়ের কোলে উঠে রাজকীয়ভাবে শপথ নিলো তাতেই তো আমার মাথায় ঐ খেয়ালটা এলো। আমাকেও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে হবে। তারপর হোয়াইট হাউসের সামনের বানানো মঞ্চে দাঁড়িয়ে শপথ পড়ানোর পর 'কংগ্রেচুলেশনস মিষ্টার প্রেসিডেন্ট' বলে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিবেন যিনি শপথ পড়াবেন তিনি। আমি জনসমুদ্রের দিকে হাত তুলে খাঁটি বাংলায় ভাষণ দিবো। জনগণ তুমুল করতালিতে ফাটিয়ে দেবে ওয়াশিংটনের আকাশ-বাতাস।

'৯৬এ আটলান্টা অলিম্পিকের উদ্বোধনে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের রাজকীয় ভঙ্গিতে মাঠের মধ্য দিয়ে হেঁটে আসা দেখে তখন একবার ইচ্ছে হয়েছিলো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবার। কিন্তু বয়স কম থাকায় সেই ইচ্ছেতে তাৎক্ষণিক গুলতি মেরে ঠিক করেছিলাম, প্রেসিডেন্ট হতে পারি বা না পারি অন্তত অলিম্পিকের মতো জমজমাট আসরের অংশ আমাকে হতেই হবে! এরকম করে রাজকীয় ভঙ্গিতে আমিও মাঠের ওপর দিয়ে হেঁটে যাবো সবার সামনে দিয়ে। সিডনী অলিম্পিকের হকি'র ফাইনাল খেলা যারা দেখেছেন আগাগোড়া, তারা হয়তো খেলার শেষের দিকে গ্যালারীর বিশেষ একটা জায়গায় ঐ স্টেডিয়ামের আইটি অপারেশনস টিমের নীল-সাদা পলো টিশার্ট পরা একজনকে জনাকয়েক কমলা রঙের জার্সী পরিহিত হল্যাণ্ডের সাপোর্টার পরিবেষ্টিত হয়ে দেখে থাকবেন। প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের মতো রাজকীয় ভঙ্গিতে মাঠের মধ্যে দেখা না যাক, কয়েকজন আমজনতা প্রায় রাজকীয় সম্মান দিয়ে ডানেবামে এসে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে 'ইয়ানসেন' 'ইয়ানসেন' (হল্যাণ্ডের গোল কীপার) বলে চিৎকার তো করেছে। এই চিৎকার আবার টিভিক্যামেরায় ধারণও করা হয়েছে। এই-ই বা কম কীসে! হাসি


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

দোস্ত এই গান্টা শুঞ্ছস?

Rat_12_Tar_Pore.mp...


হাঁটুপানির জলদস্যু

হিমু এর ছবি

নিজের পাছা নিজে থাবড়াইয়া হাস্তেছি ... অনবদ্য!


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দোস্ত তুমি দুষ্টু হইয়া যাইতেছো। আমার ন্যায় তোমার ও তওবা কইরা পরিশুদ্ধ হইয়া যাওয়া এখন ফরযে আইন হইয়া গিয়াছে। আইসো তোমারে তওবা পড়াই। কহিতে থাকো, আস্তাগফিরুল্লাহি...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অভ্রনীল এর ছবি

গাও গেরামের লোকগীতি... দেঁতো হাসি

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ভাইয়া খিয়াল কইরা দেখেন গলাডা হিমুদার মতই তো লাগতাসে ! খিয়াল করসেন ?

--------------------------------------

--------------------------------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অভ্রনীল এর ছবি

হিমুদার গলা তো বেশ মিষ্টি... মনেই হয়না কোন পুরুষ গান গাইতাসে... চোখ টিপি মাইরি বলছি... হিমুদার এলেম আছে দেঁতো হাসি
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
এটাকি আসলেই গান নাকি কোনো গানের প্যারোডি?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

কল্পনা আক্তার এর ছবি

লেখা মজারু হইছে। তয়, প্রথম পাঠে কি কইতে চাইতাছেন পুরা বুঝতারিনাই ইয়ে, মানে...

............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কিছু বুঝাই নাইতো! হয়না মাঝে মাঝে কিছু অনুভূতি? ঐটারেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলাম আরকি! এখন দ্রোহী মেম্বর আইসা হাসতে হাসতে না মইরা গেলেই হয়! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তুলিরেখা [অতিথি] এর ছবি

খাঁটি বাংলায় ভাষণ দেবেন!!!!! ওয়াশিংটনে !!!!!!
কন্কি????????????????????????????

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বস, বিয়ে কি তাহলে করতেছেন!
চোখ টিপি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আহা সময় দ্রুত যায়। ওজন কমের সমস্যা নিয়ে আপনার ডাক্তারের কাছে যাওয়া, কালো বিড়াল রোগের গুজব নিয়ে মজারও এক বছর হয়ে গেল চোখ টিপি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার ১ নম্বরের সাথে তো ৩ নম্বরের ব্যাপক মিল। ৩ নম্বর দিয়েই শুরু করি.. খেয়াল করে দেখেন আমেরিকার সর্বশেষ তিন প্রেসিডেন্টের কিন্তু সবারই মেয়ে বাচ্চা। তাই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রাথমিক ধাপ হলো কন্যা সন্তান। আর সেজন্যই মনে হয় আপনার মন চাইছে একাকীত্ব ঘুচিয়ে ফেলতে। কী ঠিক ধরলাম না? চোখ টিপি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হা হা হা - পিপিদা খালি রুটে গিয়ে ধরে ফেলেন! চোখ টিপি

মজার ব্যাপার হলো সিডনী অলিম্পিক দেখতে চেলসী গেছিলো। অরে আল্লাহ্ সে কী তুলকালাম কাণ্ড। লোকজনের হাউকাউ দেখে কে। আমাগো ঐখানেও গেছিলো। অর দাঁত বাইর করা ভেটকি দেইখা ডরের চোটে কোকের বোতলে চুমুক দিছি। ভাবলাম, কপাল ভালো কোকের বোতলের কোনো দাঁত নাই! দেঁতো হাসি

১ নাম্বারের ব্যাপারটা আসলে আপনে (কিংবা দ্রোহী বা আপনাদের মতো বউ বিরহে কাতর কেউ) এণ্ডোর্স করতে পারবেন। আমি তো কেবল আমার খুব প্রিয় একটা জিনিষরে মিস করতেছিলাম বলে ঐরকম করে বাতাস থেকে খাবালা দিয়া অনুভূতি আইনা লেখছি। চোখ টিপি

বলেন পিপিদা বলেন, আমার অনুভূতির সঙ্গে মিলাইয়া আপনার অভিজ্ঞতা বলেন। মিলাইয়া দেখি পাশ মার্ক পাই কীনা! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্পর্শ এর ছবি

১.
লক্ষণ সুবিধার না! ইয়ে, মানে...
২.
হায় হায়! ঐ দেশে তিনটা সুন্দরী আছে নাকি !!! এইখানে তো আজকাল আর দেখিনা একটাও মন খারাপ
৩.
চলেন আমেরিকা দখল করে ফেলি ! এর পর আপনারে বানাবো প্রেসিডেন্ট!! দেঁতো হাসি
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ১.
মন খারাপ

২.
কী কন! আগে তো ছিলো। আমি একবার ভিসার কারণে চোখের চেকআপ করাইতে গেছিলাম সেন্ট্রাল রোডে। মাশাল্লা ডাক্তার সাহেবের কন্যাদ্বয় বড়ই মিষ্টি ছিলেন দেখিতে! চোখ টিপি

৩.
হ, চলেন। আমাগো ভিক্ষা কল্যান সমিতির ছালা আর ফুটা থালা নিয়া যুদ্ধে ঝাপাইয়া পড়ি- যা আছে কপালে। আপনেরে ভাইস প্রেসিডেন্ট বানামুনে যান।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্পর্শ এর ছবি

২.
ঠিকানাটা ঠিক মত দেন মিয়া!! তবে আপনার সে তো অনেক কাল আগের কথা। আজকাল আর নাই। মন খারাপ
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সৌরভ এর ছবি

how is what?
(::ক্যাম্নে কী?)


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

কীর্তিনাশা এর ছবি

চিন্তিত

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নিবিড় এর ছবি

নাহ ধূগোদা আপ্নের মনে হয় শহীদ হওয়ার আর বেশি দেরি নায় চিন্তিত
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কী জানি! মনে হৈতাছে শহীদ না কপালে গাজী হওয়া আছে। যুদ্ধে মইরা না গিয়া আহত হইয়া বাঁইচা যামু। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দৃশা এর ছবি

আর কেমনে, আর কেমনে বুঝাবে সে! এতো ইশারা ইঙ্গিত দিতাছে, এতো চুখ টিপি মারতাছে, আর কত ভাঙ্গাইয়া বলবে এই ভদ্দরলুক? সচলের মুরুব্বীরা এমুন কইলজালেস কেমনে হইল? কবে থেইক্কা ভদ্দরলুক SOS সিগনেল দেখাইতাছে কেউ কুনো ব্যবস্থায় লইতেছে না। তাজ্জবের লীলা খেলা!!!
----------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ইশশ...
দৃশার কথা শুইনা দাঁত তো বত্রিশটা বাইর হইছে দেখি।
মনের আকুল-আবেদনসমৃদ্ধ লেখা দারুণ লাগলো। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ইসস সিরিন্জ আমারো প্রচন্ড ভয় লাগে ইয়ে, মানে... গতবছর গেলাম কি যেন ইন্জেকশন নিতে, ডাক্তারকে বললাম আমার খুব ভয় লাগে তাই ব্যাথা কম দিতে আর ডাক্তারো বলে কোন ব্যাপারই না ২মিনিটের কাজ। আমিতো হাত রেডি করে ভয়ে চোখ বন্ধ করে অন্যদিকে মুখ করে শক্ত হয়ে ছিলাম। এমন সময় শুনি উনি গুন গুন করে গান গায়। আমিতো অবাক। যাইহোক তারপর ইন্জেকশন দেয়ারপর বের করার সময় পাজি ব্যাটা কিভাবে যে বের করল, আমি নিজেই জানিনা পাশে তাকায়ে দেখি হাত বেয়ে অনবরত রক্ত পরেই যাচ্ছে। কি যে অবস্থা তুলাতেতো হচ্ছিলইনা, গাদা গাদা টিসু ধরেও থাকা যাচ্ছিলনা। আমি দেখে ভয়ে প্রায় ফিটই হয়েই গিয়েছিলাম। আর ডাক্তার কি যেন এক্সকিউস দিল মনে নাই ঠিক আমার আরটারিটায় চাপ বেশি না কিজানি, আমি মনেমনে বলি স্টুপিড তুমি নিজেই যানোনা কিভাবে ইন্জেকশন দিতে হয়। উলটা পালটা কাজ করে এক্সকিউস বানায়।
লেখা ভাল লাগল হাসি , তবে গানটা ভাল লাগল না মন খারাপ
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মুশফিকা মুমু এর ছবি

আপনার হিন্দি গানটা ভাল লাগল না

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ক্লাস সিক্সে পড়াকালে আমার একটা অপারেশন হইছিলো, তারপর আমার জীবন ডাক্তারহীন, অষুধহীন। ছোটখাটো জ্বর জারী হইলে চুপ কইরা রেস্ট মারি... ঠিক হয়া যায়... আর ইনজেকশন তো কাভী নেহি...
এর মধ্যে একবার রোড একসিডেন্ট করলাম... করলাম তো করলাম এক্কেরে একটা ক্লিনিকের সামনে। আমি কিছু বুইঝা উঠার আগেই দেখি লোকজন ধইরা ক্লিনিকে নিয়া গেলো। যাহোক ব্যান্ডেজ মারলো, সহ্য করলাম... তারপর জিগায় এটিএস (নামটা আমি শিওর না) লাস্ট কবে নিছেন? আমি বলি ঐটা কী জিনিস? কয় এটিএস নেন্নাই? এইটা তো সবারই ছয় মাস অন্তর অন্তর নেওয়া উচিত... আমি বললাম ভাইরে আমি সেই ছোটবেলার পর থেকে এই জীবনে আর কোনো অষুধ খাই নাই। তখন তারা জোর কইরা ধরলো আমারে ইনজেকশন দিবো। দিবোই। আমি অনেক কাকুতি মিনতি করি, আর তারা মজা পায়, শেষে বেবী নিডল দিয়া একটা মারলো। তাও গোটাছয়েক লোকে আমারে চাইপা ধইরা আর আমার চিক্কুর সহ্য কইরা।
তারপর তারা আমারে অষুধ দিলো এইটা সেইটা... আমি কিনলাম ভদ্রলোকের মতো। কিন্তু খাইলাম না।
শরীরের ডান পাশ নাড়াইতে পারতেছিলাম না। কী করা যায়? রাইতে হুইস্কি মারলাম বেশুমার... যখন দেখলাম ব্যাথা ম্যাথা টের পাই না, তখন এক্সারসাইজ... ব্যাস... ঠিকয়া গেলো... দেঁতো হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নজু ভাই, আপনের কমেন্টের রিপ্লাই পরে। আগে কন মিয়া এতোদিন কই ঘাপটি মাইরা ছিলেন! মিয়া আপনের তো ফাসী হইয়া যাবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এমন ড্যাশের উপ্রে আছি রে ভাই... মরারও টাইম পাইতেছি না।
আর কয়েকটা দিন বস... তারপর আবার জম্বে মেলা... আসতেছি বস...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ মিয়া।
আমরা আর ব্যস্ত দিন কাটাই না য্যান! আপনে আইতে আইতে আমি কবে সপ্তাসমানে উইঠা জাইগা তার ঠিক আছে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি তো ভাবছিলাম মিয়া ফেরত আইসা খবর পামু ধূগো মিয়া বিয়া কইরালাইছে... এখন দেখি আপনে আগের মতোই আছেন... ধূর মিয়া... আপনে হালায় কামের্না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অভ্রনীল এর ছবি

গুরু তো পুরাই দেওয়ানা দেখি! দেওয়ানবাগ হুজুরের কাছে ধর্না দেন... যদি আপ্নের দেওয়ানাপনের কোন সলুশন বাইর হয়...দেঁতো হাসি

তয় আমার কাছে সলুশন কইলাম আস্তাছে ... একখান না ... এক্কেবারে দুইখান! আপ্নের এই ব্যাড়াছ্যাড়া দশাকে "বিশেষ" ফর্মূলা দিয়া কনভার্ট কইরা আমি একখান দ্বিঘাত ইক্যুয়েশন পাইসি... যেইটারে এখন সাইজে আনার চেষ্টা-চরিত করতেসি...সাইজে একবার আস্লেই দুই-দুইখান সলুশন পাইয়া যাবেন। দেঁতো হাসি

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দেইখেন, সলুশনগুলো যেন রিয়েল হয় চোখ টিপি

অভ্রনীল এর ছবি

পিপিদা, ইমাজিনারি ভ্যালু আইলে আমি কি করমু কন... তয় ইক্যুয়েশনের ভাও দেইখা মন কইতাসে ইমাজিনারি এক্সিস টাচ করন লাগবোনা।। দেঁতো হাসি

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

পলাশ দত্ত এর ছবি

পড়ার সময় ভালো লাগছে।

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

এনকিদু এর ছবি

পড়ার পর ... ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুব ভাল লাগল লেখাটা। নিজের সাথে যুদ্ধে নামসেন দেখি, শুভকামনা থাকল হাসি


১.
বস, আপনার বাসায় এই লেখার একটা প্রিন্টআউট দিয়ে আসব? চোখ টিপি

গানটা আমার খুবই প্রিয়, রাহাত ফতেহ্ আলী খান আমার প্রিয় শিল্পীদের একজন।

২.
জিগলিন্ডে/আজ্জুরী ললনা, নাকি অন্য কারো চিন্তায় শুকায়া যাচ্ছেন? চোখ টিপি

নিতান্ত বাধ্য না হলে হাসপাতালে আমি যাই না। ভাল লাগে না। ফিনাইলের গন্ধে অসুস্থ বোধ করি। সিরিঞ্জ দেখলে আমারও অস্বস্তি লাগে। কিন্তু আপনার অবস্থা তো আমার চেয়েও ভয়াবহরকম বেশি খারাপ দেঁতো হাসি

৩.
নীল-সাদা পোলো টি-শার্ট পরা সেই ছেলেটাকে অভিনন্দন জানাই, স্বপ্নপূরণের দিকে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার জন্য। আর, আম্রিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে গেলে আমারে একটু মনে রাইখেন বস চোখ টিপি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঠিকই কইছেন বিডিআর ভাই। আম্রিকার মতো আমিও 'এ্যাট ওয়ার'! মন খারাপ

বাসায় প্রিন্ট আউটের দরকার নাই। তারা অনেক আগেই আমারে খরচের খাতায় লেইখা রাখছে। দেঁতো হাসি

সিরিঞ্জের কথা আর বইলেন না। আমারে কামান দিয়াও কেউ ডর দেখাইতে আসলে 'হুশ' কইয়া উড়াইয়া দিমু মনে হয়। কিন্তু একটা স্ট্যান্ডার্ড সাইজের সিরিঞ্জ নিয়া ধাওয়া করলে আমি মারিয়ানা জোন্সের ও আগে ফিনিশিং লাইন ক্রস করতে পারুম, ঈমানে কই।

মনে রাখুম মানে, আপনারে ডিফেন্স মিনিস্ট্রি দিমু তো। বিডিআর কি সাধে সাধে ডাকি নাকি মিয়া?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

"কামান ভার্সাস সিরিঞ্জ" প্রতিযোগিতায় কে জিতবে তা তো বুঝলাম, কিন্তু "ঈমান ভার্সাস ললনা"-এর ব্যাপারটা ঠিক পরিষ্কার হইল না দেঁতো হাসি

ঠিক আছে, আমি আম্রিকার পরবর্তী ডোনাল্ড ডাক থুক্কু রামসফেল্ড হইতে প্রস্তুত চোখ টিপি

কীর্তিনাশা এর ছবি

গুরু আমিও লাইনে আছি। আম্রিকার প্রেসিডেন্ট হইলে এই অধমরেও মনে রাইখেন এট্টু দেঁতো হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খাড়ায়া যান নাশু ভাই। মাগার ঠেলাঠেলি কইরেন না। সবাই ভাগে পাইবেন, এইটা ধুগোর ওয়াদা। আর আপনেরা না জানলেও আমি জানি ধুগো ওয়াদা'র খেলাপ করে না কৈলাম! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রানা মেহের এর ছবি

ধুসর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবে
কী সুখের কথা।
কতদিন পর বিশ্ব একটা মণিকা কাহিনী পাবে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

তারেক এর ছবি

কয়দিন আগে ক্রিকেট খেলতে গিয়া পায়ে ব্যথা পাইছিলাম। সেইটা ফুলে গেল। ডাক্তারের কাছে গেলাম। সে কয়, তেমন কিছু না। ছোট্ট কইরা একটু কাটাকুটি করা লাগবে। তারপর আমার হাতে সার্জিক্যাল ব্লেড কিনাইলো... ইঞ্জেকশন কিনাইলো। বাম হাতে, ডাইন হাতে, পায়ে সুঁই ফুটাইলো... তারপর কাটাকুটি করলো... ব্যান্ডেজ লাগাইলো... তারপর কইল কাইল আরেকবার আসেন... গেলাম। আবার সেইটা খুঁচাইয়া ড্রেসিং করলো... কইলো দুইদিন পর আবার আসেন... গেলাম। এইরকম ৬ বার মন খারাপ( মন খারাপ(
________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কী আর করবেন? যখন খেলাধূলা ধূমায়া করতাম তখন প্রায়ই হাড়ভাঙা চিকিৎসালয়ে নিয়া যাওয়া হইতো আমারে। ভাইরে, মাণ্ডার তেলের গন্ধ এখনো আমার নাকে ভাসে। মন খারাপ

আপনার পায়ের ব্যথা আশা করি ঠিক হয়া গেছে। না হইলে 'গুটে বেসারুং'।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

এনকিদু এর ছবি

একটা জিনিস খেয়াল করেছি, যারা সিরিঞ্জ ভয় পায় তাদেরই কেন জানি ইঞ্জেকশন নেয়ার দরকার হয় । আমার ছোট ভাইয়ের সিরিঞ্জের ভয় ছিল, তার ছোটকালে একটা কি জানি বিদঘুটে রোগ হল । মাসে একটা করে মোটা সিরিঞ্জের গুঁতা খেতে হল কয়েকমাস ধরে । এদিকে আমার সিরিঞ্জে ভয় নাই, কিন্তু কোন ডাক্তার ভুলেও আমাকে ইঞ্জেকশন দিতে চায় না ।

একবার ডেঙ্গুর মত কি একটা হইল, ভাবলাম যাক এইবার তাইলে ইঞ্জেকশন দিবে । কিন্তু কিসের কি, ডাক্তার বলে বাড়ি গিয়ে ঔষধ খেয়ে ঘুমাইতে - আমার নাকি ভাইরাস জ্বর ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সাধু এর ছবি

অপরিপক্ক কৌতুক, কিছুটা বালখিল্লতা আক্রান্ত, তেমন উপভোগ্য নয়, তাছাড়া কিছু কিছু মন্তব্য অশ্লীলতা দ্বারা সংক্রমিত ।

দময়ন্তী এর ছবি

আহারে বেচারা!
আশীর্ব্বাদ করি অ-চল আধুলি শীঘ্র শীঘ্র "শালীবাহন' হইয়া যাউন ৷ খোকাখুকুতে ওঁর ঘর, বারান্দা সিঁড়ি পূর্ণ হইয়া যাউক ৷
দেঁতো হাসি
দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ধুসর গোধূলি এর ছবি
একজন [অতিথি] এর ছবি

লেখা খুবই চমৎকার হয়েছে।
আচ্ছা গোধুলিদা, অতিথি লেখিকার বহুদিন ধরে কোন সাড়া শব্দ নাই কেন? কি হয়েছে কিছু জানেন?
আহারে এখন যদি তিনি থাকতেন !

অভ্রনীল এর ছবি

বস কি শেষের কথাটা পাশ কাটায়া গেলেন?? চোখ টিপি

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ইসস! বাপ মা যে পুলাপাইনের এসব কথা ক্যান বুঝতে চায় না। বিয়াডা হয়ে গ্যালে আর দুঃখ ছিল না। মন খারাপ
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
রেজওয়ান এর ছবি

এই রোগের একটাই অষুধ। দীল্লিকা লাড্ডু খাওয়া। পস্তাইতে যখন হইবেকই তাহা হইলে খাইয়া পস্তানোটাই উত্তম।

সাইড এফেক্ট হিসেবে শশুর বাড়ীর লোকজন ও বিভ্ন্নি প্রকারের ভাবীদের হাতে দাওয়াত খাওয়ার পরে পেটে পাঁচ ইন্চি সাইজ ফুটবলসহ ব্যাপক ওজন বৃদ্ধি ঘটিবেক।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দিল্লীকা লাড্ডু? দিল্লিতে বসেই লাড্ডু খেয়েছিলাম। আহামরি কোনো স্বাদ পাইনি কিন্তু আক্ষরিকভাবেই। তাই আমার মতে আপনার উল্লিখিত 'লাড্ডু' বরং না খেয়েই পস্তানো ভালো। তবে ছানার সন্দেশ হলে অন্য কথা! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তানবীরা এর ছবি

১. নম্বরটা শিমূলের বইয়ের জন্য রেখে দিলে পারতা। ভেতরে যে আগুন আছে সেটার স্ফুলিং বের হয়ে এসেছে।
২. খাও এখন গুতা খাও ঃ-}
৩. স্বপ্ন পূরন হোক, একদিন আমরাও ..।.।।.।....।.।।...।।...

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

বউরে বাপের বাড়িগমী ট্রেনে-বাসে তুইলা দিয়াই ইষ্টিশান-বাসস্ট্যান্ড থিকাই কতো বিবাহিত বন্ধু কত্তোবার আমারে ফোন কইরা আমার বাসায় মউজ করতে আসছে! তয় এইটাও সত্যি, অনেকেই এই অনভ্যস্ত স্বাধীনতা ঠিকমতোন হজম করতে পারে না বেশিদিন হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আনিস মাহমুদ এর ছবি

আমার কিন্তু খুব ভাল লাগে। যাই হোক, এইটা আবার বাসায় বলার দরকার নাই।

.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

কীর্তিনাশা এর ছবি

আনিস ভাই, বাঘকে বেশি ভয় পান না ভাবীকে ? হো হো হো

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ, আনিস ভাই ঠিক ঠাক কইরা বলেন ভাবী কি সচলায়তন পড়েন? পড়লে তো মনেহয় এই মন্তব্য দেবার 'জুররত' করতেন না। চোখ টিপি

বড় ভাই একবার মন্তব্যে বলেছিলেন যে তিনি নাকি খালের ঐ পাড় খাড়ায়া তারপর বলেন, তিনি ভাবীকে মোটেও ডরান না। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- 'পার্টিশন' নামে একটা সিনেমা আছে না সন্ন্যাসী দাদু?

জনগণ তো ইন্টিলিজেন্ট তাই মৌজ মাস্তি করে। আবার কিছু লুকজন আছে বেক্কল কিসিমের, মনেহয় তারাই এই 'স্বাধীনতা'টা ঠিক উপভোগ করবার পারে না। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

২০ দিন ধরে নতুন কোনো লেখা নাই ।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

২১ দিন ধরে নতুন কোনো লেখা নাই ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নিজেই লেখা হয়ে গেছি মিয়া ভাই। কবে জানি দেখবেন ব্যানারের কোণায় গরীবের ভেটকি দেওয়া এক ফটুক টাঙ্গানো। পাশে লেখা, 'বড়ই ভালো লুক আছিলো'।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।