মিউজিক্যাল র‌্যাট (আবারো ধূসরীয় আবঝাব)

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: রবি, ১৭/০৫/২০০৯ - ৭:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আবঝাব-১

শিরোনামটা হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা জাতীয় কিছু দিতে ইচ্ছে হচ্ছিলো, কিন্তু পাবলিকের গণপিটুনির ভয়ে সেই পথ আর মাড়ালাম না। একবার এই দুঃসাহস করছিলাম বছর কয়েক আগে। অবস্থানগত কারণে একবার এমএসেএনের স্ট্যাটাসে দিছিলাম লাগায়ে। ব্যস শুরু হয়ে গেলো, জায়গা বেজায়গা থেকে টোকা, কেউ জিগায় 'কাহিনী কী!' কেউ জিজ্ঞেস করে 'ঘটনা কী!' কেউ শুধায় 'হৈ মিয়া বাঁশী বাজাও নাকি?' কেউ হাঁকায়, 'হালার পো কদম্বতলের বংশী বাদক হইছো?' কেউ আবার এসেই একটা খাইষ্টা কথা বলে গালি দেয় যেটা কোনো ভদ্রসমাজে উল্লেখ করার মতো অভদ্রতা আমি দেখাতে পারতেছি না এই মুহূর্তে। উপায়ান্তর না দেখে আমি মনটা বাংলা ব্যঞ্জণবর্ণের পঞ্চম অক্ষরের মতো করে অবশেষে স্ট্যাটাসটা পালটেই ফেলি! যারে পাখি যাবি যদি যাআআআ...

ইদানিং অন্দর, বাহির উভয় মহলেই জোর গুঞ্জণ উঠেছে আমি নাকি বিশাল ফাঁকিবাজ হয়ে গেছি। কোনো মহলকেই বিশেষ কোনো দোষও দেই না। নিজেই বুঝি মোবাইল, ইমেইল, ফেসবুক এমনকি প্রিয় সচলায়তনেও কেমন যেনো অনিয়মিত হয়ে গেছি। ব্যস্ততা আছে কিন্তু খুব যে ব্যস্ত, ব্যাপারটা তেমনও না। তাহলে কী! কেউ কেউ হয়তো হাতের জামা গুটানো শুরু করেছেন ইতোমধ্যেই (ব্যাটা মশকারী করোস? আইজ তরে পাইছি, খাড়া তরে আইজ খাইছি...)। একটু থামেন জনাব। গরীবের কথাটা আগে শোনেন। কথা না, লন এই মিউজিকটা শোনেন।

এবার বলেন, এই বাঁশীটা যদি কানের কাছে অনবরত বাজে আর বাতাসে আসে নতুন পাতা, নাম না জানা ফুলের গন্ধ, কিংবা আকাশে যদি একটা ইয়া বড় চাঁদ উঠে পড়ে ভুল করে আপনার জানালা বরাবর- তখন কি আর ছাইভষ্ম, আবঝাব লিখে সচলের পাতা ভরতে ইচ্ছে হয়! কবি, লেখিয়ে হলেও নাহয় একটা কথা ছিলো। আমি তো কোনো গোত্রেরই না। আমি কেবল পারি মুগ্ধ হয়ে পারিপার্শ্বিকতা উপভোগ করতে, মনে মনে শত কথার জাল বুনতে- যে কথা কথাগুলো বলি বলি করেও কাউকে কখনোই বলা হয়ে ওঠে না, এমনকি যাকে বলার তাকেও না!

আবঝাব-২

বৃষ্টি আমার ভয়ানক প্রিয়। না, বলিউডি তিরছি নজর আর পাতলী কোমরওয়ালী নায়িকাদের সাদা শাড়িতে ভিজতে দেখে চিত্ত যেমন চুলবুলে হয় তেমনটা না। একটা স্নিগ্ধ ভালো লাগা। খুব সম্ভবতঃ আমার মনের গুটি কয়েক নিষ্কলুষ ভালো লাগার একটা। ঝড়ো পাগলাটে বৃষ্টি না, আবার ইলশেগুঁড়িও না। খুবই শান্ত আর চারদিক সাদা করে ঝিম ধরে নেমে আসা বৃষ্টি। 'জেন্টল রেইন'! খোলা আকাশের নিচে দাঁড়ালে মুহূর্তেই পটপট শব্দে ভিজিয়ে দেয় শরীর, মন। মাথার চুলগুলো সোজা হয়ে নেতিয়ে পড়ে। নেতিয়ে পড়া চুলের ডগা চুইয়ে ইষৎ উষ্ণ পানির একটা সরু ধারা নেমে আসে কপাল, চোখ, গাল, বেয়ে। না পাওয়ার যাতনা, না দেখার বিরহ, না ছোঁয়ার আক্ষেপ সব নিমিষেই যেনো মিইয়ে যায়। একটু একটু করে মন ভরে ওঠে অচেনা এক ভালো লাগায় 'ইন দ্য জেন্টল রেইন...'

আবঝাব-৩

জেন্টল রেইন যখন নামলোই, শরীর মন যখন ভিজিয়ে দিলোই অদ্ভূত এক ভালো লাগায়, তাহলে এর শেষটাও উপলব্ধি করে দেখি বরং। ঘটনাটা বেশ অনেক বছর আগের। তখন সবে গাড়ির স্টিয়ারিং-এ বসতে শিখেছি। নিজের গাড়িও কিনেছি একটা এক হাজার ডলারে। লাল রঙের। ফোর্ড, ফ্যালকন। নিন্দুকেরা বলতো, ঐটা এমনই গাড়ি যার চারটা চাকা ছাড়া আর কিছুই নেই। কারণ, খুব জোরে যদি একটা জেন্টল রেইনও হতো তাহলেও টুপটুপ করে গাড়ির রিয়ার ভিউ মিররের জায়গা দিয়ে পানি পড়তো গীয়ার বক্সের উপর। ক্যাসেট প্লেয়ার দূরে থাকুক, রেডিও ও বাজেনা তাতে সবসময়, তো কী হয়েছে! নিজের পয়সায় কেনা, নিজের বলে দাবী করা সর্বপ্রথম নিজের একটা গাড়ি! আমি ওটা নিয়েই অনেক খুশী। মাস কয়েক হলো হাইওয়েতে চালাতে শিখেছি। নতুন চালক হওয়া সত্ত্বেও দূর্ঘটনা শূণ্য। সাহস করে চলে গেলাম সম্পূর্ণ অপরিচিত জায়গা 'ক্যাঙ্গারু ভ্যালী' বেড়াতে। বিকেলে ফেরার পথে 'ফিট্জরয় ফলস' দর্শনে পরিচয় হওয়া এক বুড়ো দম্পতির পরামর্শে তাদের ওখানে রাত কাটিয়ে পরদিন সকালে রওনা দেই নিজের অস্থায়ী ঠিকানার উদ্দেশ্যে। এর মধ্যে রাতের বেলা হয়ে গেছে বেশ বড়োসড়ো একটা জেন্টল রেইন। রাস্তায়, পাশের গাছে গাছে সতেজ স্নিগ্ধতার ছোঁয়া। তাই দেখে দেখে পাহাড়ি পথ ধরে আসছিলাম। হঠাৎ একটা বৃষ্টি উদ্যান পড়লো সামনে। গাড়ি থামিয়ে নেমে হেঁটে নেমে গেলাম অনেক দূর। খুব স্বচ্ছ পানির একটা নালায় মুখ ছোঁয়ালাম, চুল ভিজিয়ে নিয়ে ঘাড়ে হাতের স্পর্শ রাখতেই কেমন শিউরে উঠলো শরীর। একটা গোলমতো পাথরে বসে ভ্যাবলার মতো নালার স্রোতের কলকল শব্দ কানে তুলছিলাম রবার্ট মাইলসের এই কোম্পোজিশনটার সাথে-

আবঝাব-৪

রবার্ট মাইলসের কথা যখন তুললামই, তাঁর আর দুইটা কম্পোজিশন এখানে উল্লেখ না করলে আমাকে রীতিমতো ফাঁসীতে ঝুলতে হতে পারে। কে যায় সেই ঝুঁকিতে!

এর মধ্যে 'ফ্রীডম'টা শুনলে ভেতরে কোথায় যেনো কী একটা লাফ দিয়ে ওঠে, মনে হয়, মনে হয়, মনে হয়... না থাকুক, কী মনে হয় সেটা আমার মনেই থাকুক বরং। তার চেয়ে 'মার্সিয়াস'টা (নাকি মেয়ারসিয়াস! পর্তুগীজে উচ্চারণটা কী হবে!) নিয়েই বলি। ব্রাজিলের সাও পাওলো'র সার্ফারদের জন্য স্বর্গ মার্সিয়াস। রবার্ট মাইলসের এই কম্পোজিশনটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ব্রাজিলীয় জংলি ছাপার বিকিনী পরা অগুণতি ললনা। বালুময় সৈকত ধরে কখনো স্লো মোশনে, কখনোবা হঠাৎ তীব্র গতিতে একেকজন হুট করে 'ফ্রেম'র এপাশ থেকে ওপাশ চলে যাচ্ছে, কখনো বা বীচ ভলিবলে মগ্ন কাউকে শূণ্যে লাফিয়ে উঠে, ভেসে 'সেইভ' করতে দেখা যাচ্ছে। তবে ব্রাজিলীয় ললনাদের মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্যের চাইতেও মার্সিয়াস যা প্রবলভাবে মনে করিয়ে দেয় তা হলো, একরাশ নীলচে জলরাশি, তার ওপর দিয়ে শিল্পীর তুলির আঁচড়ে আঁকা উঁচু, সাদা হয়ে থাকা ঢেউয়ের চূড়া। সেই চূড়ায় ভেসে থাকা সার্ফিং প্রেমী কেউ। এ পর্যন্ত এসে ভাবনায় ছেদ দিয়ে মার্সিয়াস শোনায় পুরো মনোসংযোগ করা উচিৎ। না হলে আমার মতো দুষ্টু মনের পাল্লায় পড়ে আবারো মনোযোগ ব্রাজিলীয় জংলী ছাপার কাঁচুলী পরিহিতাদের দিকে আলোর বেগে ধাবিত হতে পারে! সাবধান সাধু!!

আবঝাব-৫

এখানে এসে আর কিছু লিখার পাচ্ছি না। কিংবা হয়তো পাচ্ছি অনেক কিছুই কিন্তু লিখার ইচ্ছাটাই অনুপস্থিত এখানে। কাঠিন্য আরকি! দেখি ইসব গুলের ভূষিটুশি খেয়ে কোনও উপকার পাওয়া যায় নাকি! পাশাপাশি তিন স্বাদের তিনটা বাদ্য, যা তিন ভিন্ন সময়ে আমার ইন্দ্রিয়ের পুজা করে, উল্লেখ করি। এই তিনটা বাদ্যই হয়তো আমি যা লিখতে পারতাম এখানে তার চেয়ে ঢের বেশি বলে দিতে সক্ষম হবে...

10-Medicine Power ...




সচলায়তনে আমি কি খুবই অনিয়মিত হয়ে গেছি আসলে? ফেসবুক, মেইল কিংবা এসেমেসে প্রিয় কিছু মানুষ প্রায়শঃই একথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে! মন খারাপ


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আপ্নারে বলাই'দা কার নিক বলে সন্দেহ করতো...
ফিকজ!!!

পোস্ট পড়ে গান শুনে পরে আবার কমেন্টাবো ঃ)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বলাই'দা হলেন আমার পাতায় লতায় জড়ানো ভায়রা ভাই, সন্দেহ তিনি করতেই পারেন। মোঢিমুইমপিচিকরণ যুদ্ধে তিনিই একমাত্র সচল যিনি আমাকে সাপুট দিয়েছেন। অতএব, তাঁর সাতখুন মাফ বৎস্য! চোখ টিপি

গান শুনতে আর পোস্ট পড়তে এতো সময় লাগলে হবে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

বিপ্রতীপ এর ছবি

লেখা পড়ুম কি...প্রথম বাঁশির কম্পোজিশনটাই শুন্তাছি বারবার... চলুক
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আসলেই, লেখা পড়ার কিছুই নাই, মূল উদ্দেশ্যটা হলো বাদ্যগুলিমোর শেয়ার করা। হাসি

একটা গোপনীয় কথা আপনাকে বলে দেই কানে কানে, ধুগোর লেখায় আসলে তেমন কিছুই পাওয়া যায় না, কিছু ফেইদ্যা পেচাল ছাড়া। [ধুগো নিজেই তার নিজের লেখা পড়ে না চোখ টিপি ] তার চাইতে গান শুনেন। এবার দ্বিতীয়টাতে যান, আমি বাজী ধরতে পারি ওটাও ভালো লাগবে। না লাগলে পয়সা ফেরৎ! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ভুতুম এর ছবি

বড় ভালো হয়েছে। লেখাটাও আর সাথে সাথে মিউজিক এর চয়েসগুলোও।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

অনিকেত এর ছবি

আসলেই, ধু গো, তোমার ঘটনা কী রে ভাই??
একেবারে ডুব!!!

আমি সব সময় তোমার এই 'মিউজিক্যাল' পোষ্টগুলোর অপেক্ষায় থাকি।
এবারেরটাও চমৎকার। বিশেষ করে একেবারে প্রথম বাঁশীটা, অলিভার শান্তি আর রবার্ট মাইলসের প্রথম কম্পোজিশান খুউব ভাল লেগেছে।

বাঁশিটা কার বাজানো? হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়া? আর এর পর পরই যে সন্তুর আর বাঁশির যুগলবন্দী বাজল সেগুলো কার কার? চৌরাশিয়া আর শিবকুমার শর্মা?

তোমার লেখাগুলো কেমন যেন পালটে গেছে। অনেক আগে লিখেছিলাম--আমাদের সচলায়তনে দুইটা পাড়া আছে--- আনন্দ পাড়া আর দুঃখ পাড়া। দুঃখপাড়ার আমি স্বঘোষিত মোড়ল। আর আনন্দপাড়ায় তুমি! কিন্তু ইদানিং যে বড় তোমার নিজের পাড়া ছেড়ে আমাদের পাড়ায় বসে থাকো!

কি রে পাগলা, সব ঠিক তো?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- 'ডুব' ব্যাপারটা নিয়ে আমি নিজেও আসলে বুঝতে পারছি না অনিকেত'দা। আসলেই ঘটনা কী! চিন্তিত

এই পোস্টটা আপনার করা সেই ডিমাণ্ড থেকেই লেখা। হাসি কম্পিউটারের কোনো এক কানাগলিতে বাঁশি আর মিউজিক ফর রিলাক্সেশন ফোল্ডারদুটো খুঁজে না পেলে হয়তো লেখাটা সাজানো হতো অন্যভাবে। খুঁজে দেখি ক্ল্যাসিকেলের বিশাল এক কালেকশন জমে আছে পিসির কোণায়, বড়ই অযত্নে। সেদিন ভোর রাতে ঘুম আসছিলো না বলে শুনছিলাম, "নিদ্রাহ", কয়েক রকমের রাগ!

অলিভার শান্তির স্যাক্রাল নির্ভানাটা ভালো লাগে আমারো। রবার্ট মাইলসের ফ্রীডমের কথা তো লিখলামই। মাইলসের আরেকটা আছে না, 'ওয়ান এণ্ড ওয়ান', ঐটাও। এখানে সাঁটানোর সুযোগ পাই নাই এই যাত্রা।

বাঁশি আর তার পরের ট্র্যাকে যুগল বন্দীটার শিল্পীর নাম জানি না দাদা। শোনার পর আমার কাছে খুবই লেগেছিলো বলে তুলে দিয়েছি।

আমি যে আপনার পাড়ায় গিয়ে কবে তাফালিং শুরু করে দিয়েছি, টেরও পাইনি দেখি। কে জানে হয়তো হৃদয়ে টানে চলে গেছি আপনার ঐদিকে। সচলের প্রিয় মানুষেরাও সেদিকে পাড়ি জমাচ্ছেন বলেই বোধহয়! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

রবার্ট মাইলসের চিলড্রেন.. শুনছি ওটাই.. পুরা পোস্ট পড়ে আবার মন্তব্য দিবো।
.
.
.

আবঝাব ৩ শুনছিলাম চেয়ারে হেলান দিয়ে, কানে হেডফোন গুঁজে। একেবারে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। আবঝাব ৪ এর প্রথমটাতে এসে ঝাঁকুনিতে অবশ্য সেই ভাব ছুটে গেল। এরচে মার্সিয়াসটা বেশী ভালো লাগলো।

সঙ্গীত কখনো কখনো খুব দরকারি হয়ে পড়ে। এই মুহূর্তে আমার এরকম একটা প্লেলিস্টের দরকার ছিলো। বর্ণনা পড়ে, ঘর অন্ধকার করে, চেয়ারে আধাহেলান দিয়ে, হেডফোনে শুনতে বেশ লাগলো।

চলুক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তিন শোনার এর চেয়ে ভালো আর কোনো উপায় হতে পারে না পিপিদা। হাসি

আমার (প্রথম) গাড়িতে তো বলেছি ক্যাসেট প্লেয়ার ছিলো না। ল্যাপটপ সাথে নিয়ে ঘুরতাম। আর মজার ব্যাপার হলো ঐ যাত্রাটার সময় আমার ল্যাপটপে কেবল তিনটা গানের ট্র্যাক ছিলো। বাকি দুইটা হলো আদনান সামির ভিগি ভিগি রাতো ম্যায় আর ডিপ ফরেষ্টের সুইট লুলাবাই। যাত্রার পুরো সময়টা জুড়ে তিনটা-দুইটা-একটা ফরম্যাট ফলো করে শেষ পর্যন্ত বা পাশের সীটে রাখা ল্যাপটপে রবার্ট মাইলসই বেজেছিলো। বিশেষ করে ফেরার পথে, পাহাড়ি স্নিগ্ধ পরিবেশে!

আপনি যেভাবে শুনলেন, মনে হলো সঙ্গীতের শতভাগ রসাস্বাদনে সক্ষম হয়েছেন আপনি পিপিদা। চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এর সাথে দেশী একটা থাকুক, বেশ খানিকটা মিল আছে বলে দিলাম।

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

ধুসর গোধূলি এর ছবি
প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কার ভাবনায় বাবনা ভাবনা হয়ে গেলো ধু.গো.?
...............................
নিসর্গ

মূলত পাঠক এর ছবি

শুনে মন্তব্য করতে হয় বলে দেরিতে লিখছি, চমৎকার সব সুর। পরে আরো বার কতক শুনে বিশদে লিখবো, আপাতত এইটুকু। হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার একটা মন্তব্য পেতে পারি, ধারণা করেছিলাম। আপনার রাগ সংক্রান্ত পোস্ট গুলো পরেই খুঁজে দেখলাম, রাগে ভর্তি আমার কম্প্যু। হাসি
সেখান থেকেই কয়েকটা উঠে আসলো এখানে, ধন্যবাদ পাবেন তাই আপনি। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নজমুল আলবাব এর ছবি

ভালো আছো ভাই?

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

পোস্টের ভেতর "আমারে বিয়া করাই দেন" রোগের সিম্পটমগুলো প্রবলভাবে বিদ্যমান।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

প্রবলভাবে একমত। দেঁতো হাসি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

দ্রোহী এর ছবি

ভেটকি দিয়া লাভ নাই। বিয়া করতে কপাল লাগে। কপাল।

কীর্তিনাশা এর ছবি

মিউজিকগুলো শুনতে পারলামনা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে।

তবে লেখা পইড়া ব্যাপক আনন্দিত। আমগোর ধুগো ভাইরে ফিরা পাওয়ার আনন্দ হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

অসাধারণ ! আমি বাঁশি শুনেই কাইত। পরেরগুলো সময় নিয়ে শুনবো।
আর সচলায়তনে পুরোনো ধুগোকে সত্যিই মিস করি। এখন তো শুধু কোনোমতে হাজিরা দিয়ে যান। মন খারাপ

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপাতত ধুগোর ওপরে কিছুটা দাবি ছেড়ে দিলাম। সচলে পরে ফিরলেও চলবে, ফেসবুক পরে উলটালেও চলবে, এই সময়টা সে 'তাকে' নিয়ে পুরোপুরি সম্মোহিত হয়ে থাকুক।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আহা, আবজাব ১, ২ এইমাত্র শুনলাম। এরকম আবজাব আরো পোস্ট করতে হবে; তাড়াতাড়ি, যা আছে স্টকে। এই পোস্ট বুকমার্ক করলাম।

...............................
নিসর্গ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বুকমার্ক করার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। গরীবের পোস্টও তাইলে পিপিদার শোকেস-এ যায়! হাসি

স্টক নেহায়েত খারাপ না। পাঠক দাদার পোস্ট পড়ে পিসি'র অলিগলি খুঁজে দেখি বি-শা-ল সংগ্রহ। দিবো নে, মাঝে মধ্যে কানে কপালে এই মহাসাগর থেকে কোনোটা স্থায়ী হয়ে গেলে এখানে তুলে দিবো নে, আপনার খাতিরে। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এটা সচলের শোকেস না, এটা আমার আগুনেশিয়ালের শোকেসে-- পার্মানেন্ট। সচলের শোকেসে ৫টার বেশি রাখলে পুরানো গুলো মুছে যায়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

স্পীড নাই, গান শুনবো আগামীকাল

...........................
Every Picture Tells a Story

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মূলত পাঠক এর ছবি

শেষ থেকে তিন নম্বরটা শোনা গেলো না, কেন কে জানে, আপেলযন্ত্রই কারণ হবে বোধ হয়। কিন্তু সবচেয়ে ভালো লাগলো প্রথম দুটো। বয়েস হয়ে যাচ্ছে বোধ হয়, শান্তসুবোধ বাজনাই বেটার লাগে। হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপেলযন্ত্রে ইস্নিপ্স থেকে বাজে না? চিন্তিত

বয়স কি আর আমার কম হলো দাদা? তারওপর এই সময়ের অচল মানুষ। এইসব নিয়েই পড়ে থাকি সারাদিনমান।

বেলা পরিবর্তনের সাথে সাথে কখনো ধুমধাড়াক্কাও খারাপ লাগে না। তবে ধুমধাড়াক্কাগুলোও হতে হয় যথারীতি ধূসরীয়! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মূলত পাঠক এর ছবি

প্রথমটা ডাউনলোড করা যায়? ওটা যে এতো ভালো কাল বুঝি নি, একেবারে ভাসিয়ে দেওয়া ভালো! লিঙ্ক দিন না থাকলে। লিঙ্কমাস্টার প্রহরীভায়া কই গেলো?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লিঙ্কমাস্টার
হা হা হা। প্রথমটা আমি একটু আগেই ডাউনলোড করে শুনে ফেলেছি। এখন আপনাকে কীভাবে দেই বলুন তো? আচ্ছা, পূরবী রাগের পদ্ধতি অনুসরণ করি তাহলে, না কী বলেন? হাসি

এখুনি পাঠিয়ে দিচ্ছি।

আচ্ছা, এই লিংকটাতে দেখেন তো কাজ হয় কি না।

মূলত পাঠক এর ছবি

থাংকু লিঙ্কমাস্টার (নাকি বাংলা করে সূত্রধর বলবো?), পূরবীপদ্ধতিতেই কাজ হয়ে গেলো।
হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

প্রথমটার ঘোর থেকেই বের হতে পারলাম না। দারুণ আবঝাব দিলেন। হাসি

লেখাটা খুব ভাল্লাগল। প্রতিটা 'আবঝাব' মিউজিকের সাথে যেমনভাবে দৃশ্যকল্প উপস্থাপন করলেন, আসলেই দারুণ।

সবগুলা শুনতে পারলাম না। তবে না শুনেই বলে দিতে পারি, সবগুলাই ভালো লাগবে। আপনার পছন্দ বলে কথা হাসি

আর, কে আপনারে সন্দ করে বস, বলেন তো! পিটায়া তামা বানাই চলেন! দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনারেই বলতে হবে। নিজেতো আর তামা বানাতে পারতেছিনা আপাততঃ, কোবিরাজের কড়া নিষেধ আছে। আমি কিছু কইলে কোবিরাজের জরিবুটির মাইর একটাও মাটিতে পড়তো না। তাই ডরে ডরে ম্যান্দা মাইরা গেছি। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনার বাঁশির ইনস্ট্রুমেন্টালটা শুনে এখান থেকে আমার খুবই পছন্দের একটা ইনস্ট্রু শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না। আপনি আগেই শুনসেন। এইটা তাই বাকিদের জন্য।

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

তানবীরা এর ছবি

ধূগো আসলেই বদলে যাচ্ছো। অসাধারন মিউজিক হয়েছে। ডাউনলোড করে রেখেছি, বার বার শুনবো তাই।

শুধু বলবো, মরে গেলে ঝরে যায় আর বেচে থাকলে বদলায়, এটাই পৃথিবীর রীতি, বদলাচ্ছো বদলে যাও কিন্তু ভালো থেকো।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি
মামুন হক এর ছবি

ধুগো দুনিয়াবী কামে সাংহাই এসে আটকে গেছি, চতুর্মুর্খী ব্যস্ততা। কিন্তু এর মধ্যেও তোমার লেখেটা পড়লাম, বংশী শুনলাম, খুব ভালো লাগলো। মনটাই ভালো হয়ে গেলরে ভাই। অনেক ধন্যবাদ এত চমৎকার সব মিউজিক শেয়ার করার জন্য।
জয় বাবা ধুগোনাথ!!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ছোটবেলায় আমার খুব ইচ্ছে আছিলো, 'বড় হয়া আমি সাংহাই যামু!' দেঁতো হাসি
ব্যস্ততা শেষ করে চটজলদি ফিরে আসুন সচলের জমিনে। কথায় বলে, 'নাক বোঁচাদের মাঝে বেশিদিন থাকতে নেই রে মমিন... '
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রানা মেহের এর ছবি

প্রথমটা শুনেই নাই হয়ে গেছি
বাকিগুলো পরে শুনবো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কন্কী মমিন! নাই হয়ে গেলে ক্যামনে কী! চিন্তিত

আশাকরি পত্রপাঠ ধরাধামে পতিত হইবেন লোকনাথ বাবার মতো, তাত্তাড়ি...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

বিষন্ন এর ছবি

আমি এমনিতেই পেটরোগা মানুষ, একসাথে বেশী জিনিস খেতে বা হজম করতে পারিনে। দুটোর জায়গায় তিনটে আইটেম হ’লেই সমস্যায় পড়ে যাই। কোনটা খাবো আর কোনটাকে বাদ দেবো? একই নিয়ম পড়ার ক্ষেত্রেও। ছেলেবেলায় সত্যজিত রায়ের বই পড়তে গেলে সমস্যা হোত। ফেলুদা বা প্রফেসর শংকুর বইয়ের কাহিনী পড়বো নাকি ওনার আঁকা চমৎকার ইলাস্ট্রেশন দেখবো?

আপনার লেখাটি পড়তে গিয়ে একই ভাবে থমকে যাচ্ছি। একেতো ভয়ানক মায়া লাগানো একটি লেখা, আবার সেই সাথে কি চমৎকার সংগীতের সংযোজন।

আগেই বলে রাখা ভাল যে আমি সংগীত-পংগু (মিউজিক্যালি চ্যালেঞ্জড্‌) একজন মানুষ। ঈশ্বর আমাকে সংগীতের কানটি দেননি কোন এক রহস্যময় কারণে। তার ফলে ওপথ মাড়াইনে তেমন। গাড়ী চালানোর সময় সবাই গান শোনে, আর আমি শুনি টক-রেডিওর কচকচানি। কিন্তু আপনার দেওয়া সংগীত আজ আমাকে নড়িয়ে দিয়েছে। কি সুন্দর প্রথম বাঁশীটির সুর। বাজনাটি শুনলে শুধু চুপ করে থাকতে ইচ্ছে করে। আর দ্বিতীয়টি শুনলে মনে হয় যেন একটি কাঁচের ঘরের মধ্যে চুপ করে বসে আছি। বৃষ্টির ধারায় ধুয়ে যাচ্ছে দেয়াল। অস্পষ্ট দৃষ্টি যায়না বেশীদূর। বাজনার মাঝেমাঝে মেঘের আওয়াজটিও যেন সংগীত হয়ে ওঠে। ভারী চমৎকার!

লেখাটিও একই রকম মনকাড়া। এ লেখা পড়বার পর আর কোনকিছু বলতে ইচ্ছে করে না।

ভাল থাকুন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস, উল্লিখিত বাদ্যগুলা না যতোটা ভাসায়ে দিলো, তার চেয়েও ভাসায়ে নিয়ে গেলো আপনার মন্তব্য! এখন মনে হচ্ছে, আমি শালা মিউজিকগুলোরে ঠিকমতো ভাবতেই পারলাম না যেমনভাবে আপনি দেখলেন। পুরা পাংখা হয়ে গেলামরে ভাই। চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রেনেট এর ছবি

অফলাইনে থেকে চুটিয়ে কিছুদিন মিউজিকগুলো শুনলাম। জয় বাবা ধুগোনাথ!
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ধুসর গোধূলি এর ছবি
পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বয়স হয়ে যাচ্ছে, একটু জ্ঞানীও হয়ে যাচ্ছি বোধহয়। ফেসবুক-টেসবুক আর ভালো লাগে না। চোখ টিপি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- যাক, পান্থটা আগে জ্ঞানী থাকলেও অবশেষে 'বড়'টা হয়েই যাচ্ছে। এখন বোধহয় জায়গায় বেজায়গায় কম বয়েসী বালিকারা "এই যে ছোটভাই শোনো..." বলে হাঁকডাক পাড়ার আগে আড়াইবার ভাববে। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।