জোনাকির কবর
খুব ছোটবেলায়, আমাদের ঘরের পেছনটায় যেখানে একসারি আনারস গাছের অবস্থান ছিলো, সন্ধ্যা হলেই কিছু অদ্ভুত আলোর ঝলকানি দেখতে পেতাম। ঠিক নীল না আবার সবুজও না। বরং এই দুয়ের মিলিত একটা উজ্জ্বল রং, একটা আলো, একটা বাতি, ক্ষণে ক্ষণে জ্বলে উঠেই আবার নিভে যেতো। যেখানে নিভতো ঠিক তার কাছেই আবার জ্বলে উঠতো। শুরুটা হতো এভাবে। তারপর একটা, দুইটা, চারটা, ছয়টা, আটটা— এরকম গুনে গুনে একসময় আর যখন গুনতে পারতাম না, তখন আব্বাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এই জ্বলা-নেভা বাতিগুলো কী! আব্বা বললেন এক রকমের পোকা, জোনাকি পোকা, ফায়ারফ্লাইজ।
জোনাকি পোকার সাথে সেই আমার প্রথম পরিচয়। প্রতি সন্ধ্যাতেই দেখতাম তাদের। আনারস গাছের সারি থেকে টিউবওয়েলের পাড় হয়ে দরোজার সামনের কামিনী গাছটার গোড়ায় এসে দল বাঁধতো তারা পেছনের পুরোটা পথে আলো জ্বেলে জ্বেলে। আগের মতোই জ্বলে-নিভে জায়গা পরিবর্তন করে প্যাঁচিয়ে উঠে যেতো উপরে, সারে সারে, দল বেঁধে। ধরতে সাহস পেতাম না তখনো। ভাবতাম, হাতে তাপ লেগে পুড়ে যায় যদি!
আরও পরে, যখন আরেকটু বড় হলাম। বিদ্যুৎহীন কোনো এক সন্ধ্যায় সাহস করে আনারসের বাগানে গিয়ে খাবলা দিয়ে ধরার চেষ্টা করেছিলাম গোটা কয়েক জোনাকি। আলোর তাপে হাত পুড়ে যায়নি, কিন্তু কয়েকটা জোনাকি হাতের চাপে চ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছিলো। হাতের পুরোটা তালু জুড়ে তখন সবুজাভ-নীলচে রঙের ছড়াছড়ি। অন্ধকারে মনে হচ্ছিলো আমার হাতের তালুটাই যেনো একটা তারাজ্বলা রাত্রির পরিষ্কার আকাশ! উৎকট গন্ধের কারণে সুগন্ধি সাবান ক্ষয় করে হাত ধোয়া হয়েছিলো সেই সন্ধ্যায় আমার। হাতে লেগে থাকা জোনাকির গন্ধ চলে গেলেও আমার জোনাকি প্রীতি তাতে শেষ হয়ে যায়নি।
কাঁচের বয়ামে জোনাকি ধরে রাখতাম এরপর, পুষবো বলে। টেবিলের উপর জোনাকির বয়াম রেখে ঘুমিয়েও পড়তাম একসময়। সকালে উঠে চোখ মেলেই বয়ামের দিকে তাকিয়ে মনটা খারাপ হয়ে যেতো। সারারাত আলো জ্বেলে জ্বেলে আমার পোষা জোনাকিগুলো নিঃশেষ হয়ে শুকনো খসখসে ঘাসে পরিণত হয়ে পড়ে থাকতো কাঁচের বয়ামের তলায়। আমি কামিনী গাছের গোড়ায় গর্ত খুঁড়ে শুকনো, খসখসে জোনাকিদের কবর দিতাম, সেটসুকো'র মতো!
সময়ের তোড়ে আমাদের ঘরের পেছনের আনারসের সারি উজার হয়েছে। সেই কামিনী গাছটাও আর নেই। তার তলায় জোনাকিদের সারি বাধা কবরের উপরে কয়েক প্রস্থ মাটি এসে বসেছে কালের সাক্ষী হয়ে। জ্বলা-নেভা জোনাকিরাও হয়েছে নির্বাসিত, আমারই মতোন। আমাদের দেখা হয়না, যুগ পার হয়েছে সেই কবে। এখানে, যান্ত্রিক সময়ে কখনো একটু ফুরসৎ পেলেই তারাভর্তি আকাশের দিকে চোখ যায়। সবসময় না হলেও কখনো কখনো চোখের সামনে ভেসে ওঠে চার-পাঁচ বছরের একটা ছেলের মুখ। নাদুস নুদুস পায়ে চপ্পলের শব্দ তুলে জোনাকির পেছনে দৌঁড়াচ্ছে, আবছা অন্ধকারে। তার সামনে, পেছনে, ডানে, বায়ে হাজার হাজার জোনাকি। জোনাকির মেলা। মাটি থেকে প্যাঁচিয়ে প্যাঁচিয়ে উঠে যাচ্ছে উপরে। ছেলেটি সেই জোনাকিপুঞ্জের ভেতরে দৌঁড়ায় তাদের ধরে কাঁচের বয়ামে পুরবে, পুষবে বলে!
ঘুমের ঘোরে আমি অধিকাংশ সময়েই স্বপ্ন দেখি। একেবারেই র্যান্ডম স্বপ্ন। খুব টেনশনে থাকলেও দেখি, না থাকলেও দেখি। খুব মন খারাপ থাকলেও দেখি, না থাকলেও দেখি। কিছু কিছু স্বপ্ন দেখি বিশদাকারে। অথবা জেগে উঠে যখন স্বপ্নটা নিয়ে ভাবি তখন হয়তো সেটা বিস্তৃতি পায়। স্বপ্নে কচুরিপানা ফুলের বেগুনি রং আর তার পাপড়ির ওপরে হলদেটে ফোটাটাও চোখ এড়ায় না। কোনো জামার রংও পরিষ্কার মনে থাকে।
কোনো এক হাসপাতালের সাদা রঙা দালানের পাশে লাল রঙা 'ইমার্জেন্সী বিভাগ' সাইনবোর্ড, তার পাশ দিয়ে ফুটপাথ ধরে হেঁটে গেলে হাতের বাঁ দিকে একটা টালির ছাদের কুঁড়ে ঘরের আদলে বাড়ি, সেটা ছাড়িয়ে হাতের ডানে পলি ক্লিনিক, তাও ছাড়িয়ে গেলে 'কী একটা' কলেজ, হাতের বাঁ দিকে। সেখানে হরেক রকমের পোষাক পরা মানুষ। শাড়ি পরা অনেকেই। বৈশাখী আমেজ সবার মাঝে। আমি দূর থেকে আমাকে দেখি সেই আমেজের ভীড়ে মিশে যেতে। দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই এক সময় স্বপ্ন ভঙ্গ হয় আমার। চোখ খুললেই উপরে সাদা রঙের ছাদ দেখি। পুরো ঘরটাকে আমার 'সাদারঙা জরুরী বিভাগ' মনে হতে থাকে অনেকক্ষণ, যতোক্ষণ না নিদ্রাদেবী করুনা করে আমাকে তাঁর কোলে তুলে নেন। তার আগ পর্যন্ত আমি চোখ বুজে মনে প্রাণে ভাবতে থাকি, একবার শুধু একটাবার যদি আমি সেই পথটা ধরে হেঁটে আসতে পারতাম, যদি একটাবার আমি সেই জরুরী বিভাগে যেতে পারতাম!
আজব একটা রোগ হয়েছে। লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু লিখতে গেলেই সেই ইচ্ছেটা হাপিস হয়ে যায়। একবার ভাবলাম লেখাটা এখানে রেখে টি-ব্রেকএ চলে যাই। পরে আবার ভাবলাম এইটা জেনেশুনেবুঝে পিছটান মারা। কারণ এই লেখা জীবনেও আর দুই লাইন আগানোর মতো ক্ষমতা আমার নেই। তার চেয়ে যে কয়টা বাদ্য এখানে দিবো বলে ঠিক করেছিলাম, সেই কয়টা এখানে লটকিয়ে আমি সটকে পড়ি। বহুত কাজ। কাশ্মীরি কোরমা রান্না করছি, এখন কাচ্চিটা ট্রাই দিয়ে দেখি কী দাঁড়ায়! প্রথা বদলানো, দলছুট, প্রথার বাইরে গিয়ে গোত্রচ্যুত হওয়া এমনকি প্রথাগত 'হার্ট সং' না জানার কারণে ভালোবাসার গ্লোরিয়াকেও ফিরিয়ে দেয়া 'হ্যাপি ফিট'এর "মাম্বল দ্য হ্যাপি ফিট" হতে না পারি, আপাতত সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে "ধুসরম্বল দ্য হ্যাপি খাদক" হওয়ার চেষ্টাটা করে দেখি, কী হয়! আল্লা ভরসা।
শেষ করার আগে একটা ভিডিও। মন কেবল আমি একাই খারাপ করুম ক্যান। জামাতের সহিত সবার মন খারাপ করাইয়া ছাড়ুম!
মন্তব্য
গ্রেভ অফ দ্যা ফায়ারফ্লাইজ... কতদিন পর
আসলেই মনটা খারাপ করে দিলেন।
- মিয়াজাকি'র যেকোনো সিনেমাই কেমন তাব্দা লাগিয়ে দেয়। গ্রেভ অফ দ্য ফায়ারফ্লাইজ তাদের মধ্যে অন্যতম। মন খারাপ হওয়ার মতো সিনেমাই এটা আসলে। মাথার ভেতরে সেটসুকো বসে থাকে স্থায়ীভাবে। কখনো সখনো কথা বলে ওঠে, ঐ সময়টায় আর থাকা যায় না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বাংলাদেশে বসে এমবেড করা গান বা ভিডিও কোনটাই শান্তিমত দেখার উপায় নেই। তাই এই লেখার গান বা ভিডিও কিছুই দেখতে পেলাম না। তবে এতে আমার বিন্দুমাত্র আফসোস নেই। আপনি যে লেখা দিয়েছেন সেটাই যথেষ্ঠ। ছবি-গান ছাড়া এই বোবা-কালা লেখা পড়ে আমার কিন্তু মন খারাপ হয়নি। বরং আমার মনে হয়েছে কিছু কিছু মানুষ স্বপ্ন না হোক কল্পনাকে ঠিকই interpret করতে পারেন। আগেও দেখেছি, আজকেও দেখলাম আপনি অমন বিরল গুণের একজন মানুষ। এই গুণটার যত্ন নেবেন। গোটা লেখাটা পড়ার সময় আনারস বাগান, কামিনীফুলের ঝাড়, জোনাকীর আলো বা সাদা জরুরী বিভাগ সব কিছুই আমাকে ঘিরে ছিল। লম্বা বিরতি দিয়ে লিখুন ক্ষতি নেই - তবে এমন লেখাই লিখুন। ভালো থাকবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পান্ডবদা,
ভিডিওটা কপি করার জন্য এখানে পাড়ান।
- আমাদের দেশের নেট স্পিড নিয়ে দুঃখিত হওয়া ছাড়া আমার যে আর কিছু করার নেই পাণ্ডব দ্য সিক্সথ'দা।
এই লেখাটা লেখার পর, আপনার কমেন্টখানি দেখার আগ পর্যন্তও মনে হচ্ছিলো এটাই সময়, নির্বাসনে যাবার! কিংবা ধুসর গোধূলিকে লেখালেখি থেকে নির্বাসনে পাঠানোর।
আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"আজব একটা রোগ হয়েছে। লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু লিখতে গেলেই----------"____
ধন্যবাদ, ব্রেক নিয়ে এমন সুন্দর লেখাটা থেকে আমাদের বঞ্চিত না করার জন্যে।
এস হোসাইন
m.
----------------------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"
- অনেক ধন্যবাদ আবঝাব পড়ার জন্য বস।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অতীত স্মৃতিকাতরতায় ভরা লেখাটা ভাল লাগল। লেখাটা পড়ার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকা বিষাদ-মাখানো সূ্র অন্যরকম অবহের সৃষ্টি করল…। গ্রেভ অভ দ্য ফায়ারফ্লাইসের ছোট্ট ক্লীপটাও দেখলাম (অন্য ১৫টা ক্লীপও দেখা যাবে দেখলাম)। এই এনিমেশন ছবিটা দেখনি অবশ্য। দেখব তেমন ইচ্ছও এই মুহূর্তে নেই। দেখা উচিত কি?
- এই মুহূর্তে ইচ্ছে না হলে দেইখেন না বস। কিন্তু সময় করে কখনো দেইখেন। ঠকবেন না। অনেক ভেতরে প্রোথিত মানবিক গুণটা বের করে নিয়ে আসবে সিনেমাটা। এখন যারা মানবিকতার বড় বড় বুলি আউড়ায়, তারা মানবিকতাকে কীভাবে ধর্ষণ করেছে তার একটা প্রমাণ গ্রেভ অফ দ্য ফায়ারফ্লাইজ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মন খারাপ করার খুব সখ না থাকলে মিয়াজাকির এই ছবিটা না দেখাই ভাল। বেটা একটা চরম বজ্জাত। চোখের পানি ঠেকানোই যায় না।
- মোক্ষম অভিব্যক্তি দুর্দান্ত'দা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার লেখাটা পড়ে ছোট বেলায় একবার গ্রামে গিয়েছিলাম সেইটার কথা মনে পড়ে গেল। থাঙ্কু
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
- আর আমার পুরো ছোটবেলাটাই যে কেটেছে গ্রামে, জোনাকিদের সঙ্গে মাতামাতি করে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রথম মিউজিক টা ছেড়ে লেখাটা পড়তে গিয়ে মনটাই খ্রাপ হয়ে গেলো।
***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
- প্রথম মিউজিকটাই এমন। তৃতীয়টায় পুরো সিনেমাটাকে ধরা। এবার মাধুরীর কোনো দিল ধাক ধাক গান শুনেন, মন ভালো হয়ে উড়াল দেবে নিশ্চিত।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
স্বপ্ন নিয়ে কেমন যেন স্বপ্ন-স্বপ্ন-ছায়া-ছায়া মায়া ভরা লেখা---!!!
তোমার এই রূপটা দেখার জন্যেই আমরা হা পিত্যেশ করে বসে থাকি---
ভাল থাকিস পাগলা---
... অথচ এই রূপটাকেই আড়ালে রাখার আমার কতো প্রয়াস অনিকেত'দা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি কি বড়ো হয়ে যাচ্ছেন, ধুগো?
বড়ো হইয়েন না...
..........................
কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- বুঝি না। হঠাৎ বাস্তবতা এসে আমাকে চপেটাঘাত করে বললো, "আর কতো, এবার বড় 'হ"। সেই থেকে নিজেকে অনেক বড় বড় লাগে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমরা ছোটরা আজাকাল জোনাকি দেখি না ক্যান, তা আজ বুঝতে পারলাম। ধূগো দাদা সব জোনাকি বোয়ামে ভরে রেখে দিয়েছে। ধূগোদাকে নিন্দা জানাইলাম!
................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
- নিন্দা গ্র্যান্টেড উইদ কমপ্লিমেন্টস!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মন খারাপকরা লেখা পড়িনা
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
- আমিও মন খারাপ করা লেখি না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কাজটা কি ঠিক করলেন? জামাতের লোকজনের মন খারাপ যত খুশি করান। আমার মন কেনন কাখারাপ করালেন!
শেষের ভিডিওটা ছুয়েগেল খুব। আর কাশ্মিরি কোরমা খেয়ে আপনার দেহমন চনমনে হয়ে উঠুক সেই কামনা রইলো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
- বস, কাশ্মিরী কোরমা নিয়ে নিন্দুকেরা নানা কথা বলা শুরু করে দিছে। কেউ কয় ডিমের ঝোল, কেউ কয় নুনে কম হৈছে! আমার জীবনের পয়লা পর্থম চেষ্টাটারে কেউ ইয়ে করলো না! মনটাই স্যাডি স্যাডি হয়া গেলো।
আশা ছাড়ি নাই তবুও। কাচ্চি চুলায় আছে। দুই ডেগচির একটায় গ্যাঞ্জাম লাগায়া দিছি চুলার কারণে। কী অবস্থা হৈছে কইতে পারতেছি না। ঘন্টাখানের পরে পেটে চালান করার বুঝতে পারুম দেহমন চনমন হইছে কীনা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ব্যস্ততা খারাপ। নেট-স্পিডও আজকে খারাপ। তাই অডিওগুলা শুনিনাই। পরে কখনও ওইগুলা শুনে নেয়ার আশা রাখলাম।
ভিডিওটা দেখলাম কোনোমতে। সেটাও না-ও যদি দেখতাম, আপনার এই অবচেতন লেখাটাই যথেষ্ট, নির্বিচারে মন ভিজিয়ে না-মুছে-দিয়ে চ'লে যাবার জন্য।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
- ব্যস্ততা খুবই খারাপ জিনিষ বস। আপনের তো দেখাই পাওয়া যায় না! তাও সময় করে যে পড়ছেন সেইজন্যই অনেক ধন্যবাদ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গান ছবি দেখা শোনা হলো না, কেবল লেখাটা পড়ে গেলাম... দূর্দান্ত... আপনার লেখা যে কয়টা পড়েছি... তার মধ্যে অন্যতম সেরা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- কন্কী বস!? সেরা? হে হে ধন্যবাদ নজু ভাই।
আপনের নাটকটা মিয়া এখনও দেয়া হইলো না। বিডিব্রডকাস্টে এখনও তোলে নাই ওরা। অপেক্ষায় আছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূরো, আমার নাটক দেখার কী আছে?
কিন্তু আপনের এই পোস্ট পড়নের পর থিকা মাথার মধ্যে একটা গানের জোনাক পোকা ঢুকে আছে। সেই গানটা এখন কই পাই? এক জোনাকী দুই জোনাকী তিন জোনাকী উড়ে, তোমার লাগি বন্ধু আমার মন যে কেমন করে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- গানটা আমিও খুঁজি বস। পাইলে আমারে দিয়েন তো। অবশ্য আপনেরে কইয়া লাভ নাই। এর আগে বছর খানেক আগে কইছিলাম (চয়নিকা চৌধুরীর) একটা নাটকের ট্র্যাক যোগাড় করে দিতে। দুইটা দিনের টাইম নিয়া সেই যে গেলেন তো গেলেনই। আপনে মিয়া আমার চাইতেও খ্রাপ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার আজকাল ভীষণ জোনাকি দেখতে ইচ্ছে করে।
অথচ ছোটবেলার সব জোনাকি কোথায় পালিয়ে গেছে খুঁজেই পাই না।
ধুগো কেন এসব মনে করিয়ে দিলেন?
আপনাকে কঠিন শাস্তি দেয়া দরকার।
- এই লেখাটা লেখার সময় একটা জিনিষ খেয়াল করলাম, আমিও অনেকবছর ওদের দেখা পাই না। সম্ভবত বিবর্তনের ধাপে ওরাও বিলুপ্ত হয়ে গেছে, ঠিক আমাদের ফেলে আসা ছেলেবেলার মতোই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগোদা- সকালে একবার পড়ে মন খ্রাপ করে চলে গিয়েছিলাম। নেটের জন্যে গান শুনি নাই। ভাবলাম- পরে গান শুনে একবারে কমেন্টাবো। এবারো নামাও হলো না। মাঝখান দিয়ে ৫ নাম্বার প্যারাটা পড়ে আবার মন খ্রাপ হইলো...
ধুগোর মন খ্রাপ হওয়া মানায় না...
_________________________________________
সেরিওজা
"পাঁচ নাম্বার প্যারাটা পড়তে বা লিখতে কষ্ট হলেও কথাগুলো ভয়ানক সত্যি, আমাদের সবার জন্যই"— এইভাবে কমেন্টটা না লিখে একটু সুমেরিক বা ধুমেরিক চালায়া দিলে কেমন হয় সুহান?
আশাকরি স্বর্গে গেলে ভালো স্পিডের কানেকশন থাকবে সবার তখন। কারণ হুরপরীদের হাইরেজ্যুলুশন ফটুক ডাইন হৈতে তো ব্যাপক কামেল স্পিড লাগবো নাকি! তখন হুরপরীগো ফটুক দেখার ফাঁক দিয়া এই মিউজিকগুলা শুইনা নিয়েন।
ম্যান, চিয়ার আপ। ধুগোর মন খ্রাপ না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জোনাকি নিয়ে আমার লক্ষ লক্ষ স্মৃতি আছে; এখনো যখন গ্রামে যাই, তৃষাতুর চোখে জোনাকি খুঁজে বেড়াই। কিন্তু জানেন গুরু জোনাকিরাও নির্বাসনে যাওয়া শুরু করেছে...
অতীতমুখর লেখার একজন মুগ্ধ পাঠক আমি, এই লেখাটা বড় বেশি ছুঁয়ে গেল.
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
- আরে রাফি মিয়া যে!
জোনাকিরা কি এতোদিনে নির্বাসনে যাওয়া শুরু করেছে মোটে? আমি তো ভেবেছি সেই অনেক আগেই তারা চলে গেছে, রং নিয়ে দূরে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই লেখাটারে আবঝাব বলাটাই একটা বেশরিয়তী কাজ ধুগো
সংগ্রহে রাখার মতো মিউজিক সবগুলো।
আমার প্রিয় একটা গান, তোমার মতো জোনাকি পোকার জন্য
- হে হে হে
আমি তো বেশরিয়তি কাজই বেশি করি মামুন ভাই।
গানটা ভালো লাগছে, ধন্যবাদ আপনার প্রিয় গানটা শোনানোর জন্য।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো একটা খারাপ মানুষ কি সব বাদ্য আর ভিডু লটকাইছে এইগুলান শুনলে/দেখলে খালি কান্দোন আহে......... (কান্দোনের ইমো)
ধুগো মিয়ার বিচার হওয়া প্রয়োজন, বিচার চাই, করতে হবে।
......................................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
এয় দিলওয়ালী, রুখ যান-
এই গানটা শোনেন। গানটা ভালু লাগলে বিচারক হালার্পুতের কাছে আপীল কইরা অনির্দিষ্টকালের লাইগা মকদ্দমা মুলতুবি করার দাবী জানান। নাইলে কৈলাম রাজপথ বন্ কইরা দিমু!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মন খারাপ ক্যা? মিয়াজাকি শালার আর ভালো কিছু পাইলেননা? এই পাগলা বুড়া মন খারাপ করা এই একটাই মুভ্যি বানাইসে। বাকি সব ফকফকা।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- মন্তো খারাপ না শ্বশুর ড্যাডি। বাকিগুলা ফকফকা হলেও মিয়াজাকির সবগুলা সিনেমাই তো ঝাঁকায়, এইটায় বোধহয় একটু বেশিই গ্যাস দিয়া ফেলসে। ফোঁশ কইরা উঠে। এই পাগলা বুড়া একটা বস রে ভাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
- হহো বিডুরাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জোনাকি জ্বলা প্রহর ! চমৎকার লেখা হৃদয় ছুয়ে যাওয়া। ভাল লাগলো মিউজিক গুলো। বাশিটা কি আপনার বাজানো?
দিশা___
ধন্যবাদ।
হ, আমার বাজানো
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি প্রথম দিনই একটা কমেন্ট দিছিলাম,
আহে নাইক্কা।
ভালৈছে।
ভাই, আমার ছেলেবেলা বাড়ীতে কাটলেও আপনার মতো ইলেকটিকে কাটেনাই।
চিন্তা করেন দেখি।
-মজনু
- আরে মজনু ভাই যে, থাকেন কৈ আপনে। কোন মডুর ঘাড়ে কয়টা মাথা যে আপনের কমেন্ট ছাড়ে নাই! আলোচ্য মডুরে কইষ্যা মাইনাস!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার সেই ক্যাটাগরীর লেখা........
ভালো লাগলো খুব, মনে পড়লো ছোটবেলার অনেক কিছু........
যন্ত্রসংগীতগুলো ভালো লাগলো, সিনামাটা দেখা হয়নি।
- কখনো মন ভয়ানক খারাপ করার ইচ্ছে থাকলে দেখে ফেইলেন। তখন দেখবেন ছেলেবেলাটা কেমনে হুড়মুড়িয়ে ছুটে এসে আছড়ে পড়ে আপনার বর্তমানের উঠোনে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রথমেই আপত্তি হল আনারসের 'গাছে'। এই জিনিসের 'গাছ' হয় আপনাকে কে বলল? নাকি ৫ বছর বয়সে আপনার মাথার উপরে থাকত তাই তখন 'গাছ' মনে হত বলে এখোনো মনে হচ্ছে?
দ্বিতীয়ত,ধিক্কার ভোর ৫টার সময় জটিল একটা আলোচনার বিষয় তোলার জন্যে !
তৃতীয়ত, মামুন ভাইকে ধিক্কার আমার আগেই ফায়ারফ্লাইস গানটা পোস্ট করে দেবার জন্যে।
আর লাস্ট বাট নট দি লিস্ট, লেখাটা চরম হইসে। মন খারাপের কিছু নাই, মিয়াজাকি মনরে আউলা করে দেয়ার জন্যেই তো!
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন