বাবা বলেছেন দোলনকে এবারই স্কুলে ভর্তি করে দেবেন। স্কুলে ভর্তি হবার কথা শুনে দোলন খুব খুশি। তবে একটু ভয় ভয়ও করে মাঝে মাঝে। স্কুলে ভর্তি হতে হলে স্যারদের অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে হয়, ভাইয়া বলেছে। বই থেকে পড়ে শোনাতে হয়। যোগ, বিয়োগের অংক করে দেখাতে হয়। আরও কত কী!
দোলন তো পড়তে পারেই, নিজের নামও লিখতে পারে বাংলায়, ইংরেজীতে। যোগ বিয়োগও করতে জানে, বাবা শিখিয়েছেন। ৯ এর সাথে ৭ যোগ করতে হলে দশ থেকে গোণা শুরু করতে হবে ডান হাতের কড়ে আঙুলের সবচেয়ে নিচের কর থেকে। দশ, এগারো, বারো— এভাবে সাতটা ঘর পেরুলেই ৯ আর ৭-এর যোগফল পেয়ে যাবে দোলন।
ভাইয়া স্কুলে আর বাবা অফিসে চলে গেলে পরে দোলন মা'র আশপাশেই মূলত ঘুরঘুর করে। কখনো রান্নাঘরে, কখনো ভাইয়ার পড়ার টেবিলে তার চয়নিকা বইটা খুলে ছবি দেখে, পড়ার চেষ্টা করে। কখনো বারান্দায় তার সাদাকালো ছোপের বলে লাথি দেয়। এর মধ্যেই মা ছন্দ মিলিয়ে সুর করে ডাকেন।
"দোল-দোল-দোলন-আ,
কোথায় আমার বাবাসোনা!
বালতির পানিতে ডেটল,
দোলন সোনা করবে গোছল।"
দোলন বল রেখেই ছুট লাগায়। দুই কামরার বাসায় দোলন এ ঘর, ও ঘরে দৌঁড়ায় খিলখিল হাসতে হাসতে। তার পেছন পেছন মা-ও ছোটেন।
মা যখন বালতি থেকে মগে করে পানি তুলে দোলনের গায়ে ঢেলে দেন, দোলন শিউরে ওঠে। ছোট ছোট দাঁত বের করে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়া পানি মায়ের গায়ে ছিটিয়ে দেয় সে। মা কপট বিরক্তি প্রকাশ করেন, "দিলো, দস্যি ছেলেটা আমাকে ভিজিয়ে দিলো!" দোলন আবারও মায়ের গায়ে পানি ছিটিয়ে দেয় হাসতে হাসতে। এবার মা-ও হাসতে থাকেন দোলনের হাসির সাথে পাল্লা দিয়ে।
গোসল সারিয়ে সারা গায়ে তোয়ালে জড়িয়ে মা দোলনকে জাপ্টে ধরে নিয়ে আসেন ঘরে। টেবিলের ওপর দাঁড় করিয়ে গা-মাথা মুছে দেন। প্রথমে মাথা মুছে দিয়ে যখন মা দোলনের গা মুছতে থাকেন, দোলন তখন মায়ের গলা শক্ত করে জড়িয়ে থাকে, চুলের খোপা খুলে ফেলে। তারপর মায়ের ঘাড়ের উপর দিয়ে এলোচুলে মুখ ডুবিয়ে রাখে।
মা সারা শরীর মুছিয়ে গায়ে তেল দিয়ে দেন। সারা শরীরে তেল দেয়া হলে মা তাঁর দুই হাতের তালু দোলনের বুক আর পিঠে রেখে আলতো করে ঝাঁকি দিয়ে মালিশ করে দেন। মায়ের হাতের এই মালিশটুকু দোলনের অসাধারণ লাগে। সে মুখে একটা অদ্ভূত শব্দ করতে থাকে, ঝাঁকিতে সেই শব্দটা আরও অদ্ভূত লাগতে থাকে।
গা মোছানো শেষ হলে গায়ে তেল মাখিয়ে মা আলমারি থেকে হাতাকাটা গেঞ্জি বের করে দোলনকে পরিয়ে দেন। দোলনের সবচেয়ে পছন্দের গেঞ্জিটা হলো সাদা রঙের। তার বুকে ডোনাল্ড ডাকের একটা ছবি। মাথায় কেমন একটা চোখামতো হ্যাট পরা, গলায় স্কার্ফ, কোমরে ইয়া মোটা বেল্টের মধ্যে পিস্তলের থলে, পায়ে বেশ উঁচু বুট জুতো। দোলনের সাদা-নীলের প্লাস্টিকের চপ্পলেও অনেক রকমের ডোনাল্ড ডাকের ছবি। ডোনাল্ড ডাককে দোলনের খুব, খুব, খুব ভালো লাগে।
দোলনকে খাটে বসিয়ে এটা সেটা লিখতে দিয়ে মা এবার গোসল করতে যান। "মা গোসল করতে যাচ্ছে দোলনসোনা। খাট থেকে নামবে না একদম, আচ্ছা?" দোলন মাথা নেড়ে, খাতায় মনোযোগ দেয়।
মা গোসল সেরে এসে দোলনের জন্য খাবার আনেন। ডাল দিয়ে ভাত মাখিয়ে প্লেটের ঠিক মাঝখানে কয়েকটা "সাদা ভাত" রেখে দিতে হয়। এই সাদা ভাত না দেখলে দোলন কিছুতেই সেই প্লেট থেকে খাবার মুখে তোলে না। তার সামনে এনে সেই সাদাভাত মাখিয়ে তারপর মুখে তুলে দোলনকে খাওয়াতে হয়। এ সময় মা আর তার একান্ত কিছু কথোপকথন হয়।
"আচ্ছা দোলন, তুমি যে একা একা খাওনা। বড় হয়ে যখন মা'র থেকে অনেক দূরে থাকবে, তখন কে খাইয়ে দিবে তোমাকে?"
"কেনো তুমি!"
"বাঃ রে, তুমি আমার থেকে অনেক দূরে থাকবে না? অতো দূরে গিয়ে খাইয়ে দেবো কী করে!"
"আমি তোমাকে ছেড়ে কখনো দূরে যাবো নাতো!"
দোলন মায়ের কাছে ঘেঁষে বসে আরেকটু। শক্ত করে মায়ের বাহু জড়িয়ে ধরে রাখে। মা হেসে ওঠেন, "আচ্ছা যেও না। এখন জলদি খাওয়াটা শেষ করোতো দোলন সোনা!"
খাওয়া শেষ হলে দোলনকে ঘুম পাড়িয়ে দেন মা। দোলন এমনিতে দুপুরে ঘুমোতে চায় না। কিন্তু মা জোর করে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকেন, তেলাপোকার ভয় দেখান। "না ঘুমালে স্টোর রুম থেকে এখনি একটা তেলাপোকা হেঁটে এই ঘরে চলে আসবে দোলন। শিগগীর ঘুমিয়ে পড়ো!"
দোলন তেলাপোকা মোটেও ভয় পায় না। স্টোর রুমের তেলাপোকা সে দেখেছে। একটা তেলাপোকা হাঁটছিলো বেশ আয়েশ করে। দোলনকে দেখে নিজেই ভয় পেয়ে পালিয়ে গেছে। দোলন ভাবে, "তেলাপোকাগুলোকে স্টোর রুম থেকে তাড়াতে হবে!" ভাবতে ভাবতে একটু পর দোলন টুপ করে ঘুমিয়ে পড়ে মায়ের গলা জড়িয়ে।
ঘুম থেকে জেগে বিকেলে দোলন কোনোদিন মায়ের সাথে সেতারা খালাদের বাসায়, কোনোদিন রাজীবদের বাসায় আবার কোনোদিন সুষ্মিতাদের বাসায় যায়। কোথাও না গেলে সে বাসার সামনেই খেলতে যায়। দিদার, শরীফ, দীপক, শিমু- ওরাও আসে।
দিদারের মামা দিদারকে একটা বন্দুক কিনে দিয়েছে। সেটা নিয়ে দিদার খেলতে আসে, চোর-পুলিশ। একদল হয় চোর, তারা কেবল দৌঁড়াবে, লুকোবে পুলিশের কাছ থেকে। আর যে দল হয় পুলিশ, তারা চোর দলকে তাড়া করবে। খুঁজে বের করবে, আর পেছন থেকে "ঢিঁশুম-ঢিঁশুম" শব্দ করে গুলি করবে। দোলন লাঠি দিয়ে বন্দুক বানিয়ে 'ঢিঁশুম-ঢিঁশুম' করলেও দিদারকে দেখেছে কেমন গর্ব করে তার বন্দুকটা নিয়ে দৌঁড়ে যায়। দোলনের মাঝে মাঝে খুব শখ হয়, দিদারের মতো তারও একটা বন্ধুকের! বাবাকে বলবে বলবে করেও বলে না দোলন।
সেদিন শুয়ে শুয়ে মায়ের গলা জড়িয়ে দোলন মাকে জিজ্ঞেস করলো,
মা-মা-মা...
কী দোলনসোনা?
'এক সাগর রক্ত' কী মা?
কীসের এক সাগর রক্ত বাবা?
ঐযে খবরের সময় গান হয়!
দোলনের এই কথা শুনে মা হাসেন না। খুব ধীরে ধীরে বলেন, "বাংলাদেশের জন্মের জন্য অনেক মানুষ প্রাণ দিয়েছেন দোলন। ত্রিশ লাখ মানুষ। তাঁদের রক্ত যদি মাটি শুষে না নিতো তবে বাংলাদেশ একটা রক্তের সাগর হয়ে যেতো! তাঁদের রক্তের বিনিময়েই তুমি আর আমি আজকে কথা বলতে পারি, গল্প করতে পারি। আমরা যেনো তাঁদেরকে কখনো ভুলে না যাই সেজন্যই এই গান।"
দোলন এক লাখ পর্যন্ত হিসাব করতে জানে। এক-এর পর অযুত পরিমান শূন্য। দোলন লুকিয়ে আঙুলের কর গোণে। এক-এর পর পাঁচটা শূন্য হলে এক লাখ হয়। ত্রিশ লাখ হতে হলে কয়টা শূন্য হবে, দোলন মেলাতে পারে না।
"কারা মেরেছে তাঁদেরকে, মা?"
"তারা দেখতে মানুষের মতো হলেও আসলে তারা ছিলো তোমার ঠাকুরমার ঝুলির রাক্ষসের মতো, হিংস্র!"
দোলন ভয়ে সিঁটিয়ে যায়। মাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করে,
"তারাও কি আমাদের মতো কথা বলতো?"
"না বাবা, তারা আমাদের মতো কথা বলতো না। তবে তাদের কিছু চাকর ছিলো যারা আমাদের মতো করে কথা বলতো। এরাও তাদের মালিকদের মতোই হিংস্র ছিলো। কিন্তু এরা বেশ ভয়কাতুরে, অনেকটা তেলাপোকার মতো। তেলাপোকা যেমন তোমাকে দেখলে পালায়, তারাও তেমনি। তোমার মতো সাহসী ছেলেকে দেখলেই ওরা লেজ গুটিয়ে পালায়!"
দোলনের ভয় কমে আসে। এবার সে মা'কে দিদারের মতো বন্দুকের কথা বলেই ফেলে। মা হাসি দিয়ে দোলনের চুলে হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করেন, "বন্দুক দিয়ে কী করবে তুমি?"
দোলন বলে, "আমাদের স্টোর রুমে তো অনেক তেলাপোকা মা। আমি তেলাপোকা শিকার করবো।"
মা মুখে হাসি ধরে রেখেই বলেন, "তোমার বাবাকে বলবো অবশ্যই কিনে দিতে। আচ্ছা? এখন ঘুমাও তো দোলনসোনা!"
দোলন অনেক খুশি হয়। মাকে জড়িয়ে ধরে বন্দুকের লোভে চোখ বুজে থাকে। একসময় ঘুমিয়েও যায় দোলন। ঘুমের মধ্যে এক অদ্ভূত স্বপ্ন দেখে দোলন।
ঘরের আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা তেলাপোকারা বের হয়ে আসছে একে একে, শূঙ্গ নেড়ে নেড়ে। বাধ্য হচ্ছে তারা বের হতে। তাদেরকে দোলনদের বাসার সামনের মাঠে জড়ো করা হচ্ছে। চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে দিদার, শরীফ, দীপক, শিমু, দোলন আর তাদের মতো 'সাহসী ছেলেরা'। তাদের সবার হাতেই একটা করে কাঠবন্দুক।
মন্তব্য
রানাপুর কাঠঠোকরার পর এবার ধুগোদার কাঠবন্দুক...
দুর্দান্ত!!!
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
- রানাপু'র কাঠ ঠোকরা একটা অসাধারণ লেখা। সেটার সাথে তুলনায় কাঠবন্দুক ভিন্ন মেজাজ ও স্বাদের লেখা তিথীডোর।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাল্লাগছে ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
- ধন্যবাদ মানিক ভাই। আপনাকে "আপনার বাম্হাত"।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দোলন হতে হচ্ছে করে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
- কোবি বলেছেন, "ঘুমিয়ে আছে দোলনপিতা সব দোলনের অন্তরে"। আপনার ভেতরে যে দোলন আছে, তাকে জাগিয়ে তুলুন। ইচ্ছেপূরণ হয়ে যাবে বোধকরি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চমৎকার। এই শিক্ষাগুলোও খুব জরুরী। ছোটবেলা থেকে ন্যায়-অন্যায়, শত্রু-মিত্র চিনতে না পারলে বড় হয়ে নানা রকম ফতোয়ায় পড়ে সত্যটাকে বুঝতে পারবেনা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
- আমি আমাদের প্রজন্মের কাছে এটা খুব দৃঢ়ভাবে আশাকরি পাণ্ডব'দা। আমাদের প্রজন্মের মায়েরা তাদের দোলনদের আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাবে, বীরশ্রেষ্ঠদের গল্প শোনাবে, কোনো এক নাম না জানা মুক্তিযোদ্ধার গল্প শোনাবে, তাঁদের লড়াইয়ের গল্প শোনাবে। যেকোনো কল্পকাহিনীর চেয়ে আমাদের এই সত্যকাহিনীগুলো তো কোনো অংশেই কম না। আমাদের শিশুরা বেড়ে উঠবে আমাদের রক্তমাখা ইতিহাসের গৌরব বুকে নিয়ে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেকটা এরকম একটা কথা হেজিমনির শিরোমনিকে বলতে চাইছিলাম। ইতিহাসের প্রথম পাঠ নিজের পরিবারে।
- হেজিমোনির শিরোমনিকে আসলে এমন কথা কর্ণকূহরে গুঁতা দিয়ে বলেও লাভ নাই। তিনি এসবের বহু ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন।
আমি অনেকদিন থেকেই তাড়না বোধ করছিলাম শিশুতোষ কিছু লেখার। পাচ্ছি না কিছুই। এই লেখাটা এমন হওয়ার কথা ছিলো না যদিও। কিন্তু কেমন করে যেনো দুইটা প্লট এক সাথে মিশে গিয়ে একাকার হয়ে গেলো। কী জানি, হয়তো হেজিমোনি শিরোমনির 'হেজিমোনি'ও এর জন্য দায়ী!
এই লেখাটা লিখার সময় একটা জিনিষ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। শিশুতোষ কোনো লেখা তৈরী করা সাধারণ কাজ না। মোটেও সহজ না। কারণ শিশুদের মতো অতো সরল করে ভাবা খুবই কঠিন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
✡✡✡✡✡
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
লিখেছেন ভাল।
- ধন্যবাদ মেম্বর, প্রবাসিনী, সিরাত।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দারুণ লাগলো!! পাঁচ তারা।
এমন চমৎকার গল্পে বানান নিয়ে কথা বলাই অনুচিত হয়তো, তাও ঠিক করে দিলে আরো ভালো হয়, তাই বলছি: ছঁিটিয়ে আর শুঁষে কোনোটাতেই চন্দ্রবিন্দু লাগবে না।
- ধন্যবাদ মূলা'দা। আমি নিজেই বানানগুলো নিয়ে সন্দিহান ছিলাম যদিও!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাল্লাগলো...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অধুগোচিত...
_________________________________________
সেরিওজা
দুষ্টুবালিকা, সুহান- ধন্যবাদ জানবেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একটা কথা শুনেছিলাম- মানুষের আঠের পরবর্তী বেঁচে থাকা আঠের পূর্ববর্তী জীবনের একটি শ্যাডো( অন্য কি বলা যাবে ভেবে পাচ্ছি না)। আঠের পূর্ববতীএই সময়টাতেই আমরা অগ্রজদের কাছ থেকে পৃথিবীকে চিনতে শিখি, সত্যি-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়, নৈতিকতা ইত্যাদি শিখি। পরে সমস্ত কর্মমূলে তার প্রভাব থেকে যায়।
খুব ভালো লেগেছে। আপনার অন্যরকম লেখার একটি এটি।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
- আপনি খাঁটি কথা বলেছেন একেবারে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভালো লাগল৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
- অনেক ধন্যবাদ দন্তময়ী
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গল্প সুন্দর হয়েছে। তবে যেমনটা স্বীকার করেছেন, বাবুতোষ জিনিস লেখা সহজ নয়। তবে আরো কয়েকটা লিখলে আরো ভালো হবে সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত
- দেখি পিপিদা, আরও কয়েকটা মাথায় আছে। ওইগুলো ছকে ফেলতে পারলে লিখে ফেলবো বোধকরি।
আপনার উদ্ধৃতির লাইনটায় শব্দটা অন্যভাবেও বলা যেতো মনেহয়। কিন্তু অন্য যেকোনো ব্যবহারযোগ্য শব্দের পরিভাষা একজন বাবুর পক্ষে অনুধাবন করা খুব সহজ হতো না বলেই মনে হলো। তাই সবচেয়ে সোজা শব্দটাকেই গ্রহণ করলাম ওখানে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দারুণ
সেইরকম লেখা! দোলন বেড়ে উঠুক।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
প্রিয় পোস্টে।
আমারও দোলন হতে ইচ্ছে করে আজকাল...। খুব খুব...(
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
বিডিআর, আশরাফ মাহমুদ, রাফি— ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুসর গোধুলী
এরকম মিষ্টি একটা লেখা অনেকদিন পর পড়লাম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আহ! অনাবিল শৈশব!
চেতনার বীজ বোনার এই তো বয়স!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ইতিহাসে প্রথম পাঠ নিজের ঘরেই
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
- ধন্যবাদান্তে কৃতজ্ঞতা রানা মেহের, বুনোহাঁস ও বোহেমিয়ান।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শিল্পতরু থেকে প্রকাশিত বইটা কখনোই পাইনি
- সাম্য ভাই আমাকে ম্যানেজ করে দিয়েছিলেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন