প্রায় এক বছর আগে ২০০৯-এর জুন মাসের ১৬ তারিখে পিপিদা একটা পোস্ট দিয়েছিলেন বিএসএফ আটক করেছে দৃকের শহিদুল আলমকে শিরোনামে। শহিদুল আলমকে পরে ছেড়ে দেয়ো হলেও তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশি সীমান্ত থেকেই। বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে, বাংলাদেশেরই একজন নাগরিককে বিএসএফ উঠিয়ে নিয়ে গেলো কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই।
বিএসএফের জন্য এটা নতুন কিছু না। প্রায়ই তারা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নাগরিকের উপর নিজেদের শ্যুটিং দক্ষতা প্রয়োগ করে। তাদের শ্যুটিং প্র্যাকটিসের কারণে টপাটপ পড়ে যায় জলজ্যান্ত একেকজন বাংলাদেশির লাশ। আশংকা করি শহিদুল আলমের ব্যাপারেও একই ঘটনা ঘটতো যদি না তিনি বিএসএফের শ্যুটিং এর স্বীকার হওয়া অন্য বাংলাদেশীদের মতোই সাধারণ একজন গ্রামের বাসিন্দা হতেন বা খুবই সাধারণ একজন পর্যটক হতেন।
গতকালও দিনাজপুর সীমান্তে একজন বাংলাদেশীকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। এর মাত্র ৪ দিন আগেই সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বিএসএফ গুলি করেছেবাংলাদেশীদের ওপর ।
নতুন দিল্লিতে বিডিআর-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন শেষ হওয়ার তিন দিনের মাথায় বিএসএফ-এর গুলিতে আহত হয় কমপক্ষে ১৯ জন বাংলাদেশী।
খবর-১: সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে বিডিআর বিএসএফ মুখোমুখি
খবর-২: বিএসএফ'র গুলিতে নিহত বাংলাদেশির লাশ ফেরত
খবর-৩: সিলেট সীমান্তে বিডিআর-বিএসএফ গোলাগুলি
খবর-৪: তেঁতুলিয়ায় বি,এস,এফ এর কান্ড
খবর-৫: আবারো ২ বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে বিএসএফ
খবর-৬: রাজশাহী সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে এক বাংলাদেশী নিহত
— এরকম আরও অনেক খবর উপস্থাপন করা যাবে যেখানে বিএসএফ-এর গুলিতে বাংলাদেশীরা নিহত হচ্ছে। কারণ যা-ই হোক, বাংলাদেশের নাগরিককে গুলি করে, হত্যা করে বিএসএফ আসলে কী প্রমাণ করতে চাচ্ছে! কী উদ্দেশ্য নিয়ে বিএসএফ বারবার একই ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে! দুইটি রাজনৈতিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি? যদি তাই হয়, তাহলে এখনই সময় সেটা বন্ধ করার।
আমাদের ভারতীয় ব্লগার/সচল বন্ধুদের আহ্বান জানাবো এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার জন্য । আপনারা স্ব স্ব অবস্থান থেকে দয়াকরে বিষয়টা নিয়ে জনমত গড়ে তুলুন। বাংলাদেশের তুলনায় ভারতে ব্লগ/অনলাইনের অবদান বিশাল। বিএসএফ- এর এ জাতীয় কার্যকলাপ বন্ধে সেই বিশাল অবদানকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন প্লিজ। একের পর এক নিরীহ বাংলাদেশি হ্ত্যা করে বিএসএফ নির্ভয়ে, বিনা সমালোচনায় পরবর্তী বাংলাদেশীকে টার্গেট করবে, এটা তো কোনো সুস্থ মননের মানুষ সহ্য করতে পারার কথা না।
মন্তব্য
ধন্যবাদ ।
সময়োপযোগী পোস্ট ।
আমার এক বন্ধুর কাছে শুনা কতটুকু সত্য জানি না ।বাংলাদেশে যেমন পোড় খাওয়া কর্মকর্তাদের খাগড়াছড়ি –বান্দরবানে পোস্টিং দেয়া হয় তেমনি বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়োগ করা হয় যতসব লাল কালির দাগ খাওয়া উগ্র বদমেজাজি বিএসএফ জওয়ানদের ।এদের বেশিরভাগই পাঞ্জাবী –মাথায় থাকে বাধাকপি ।দুপুর বেলার গরমে তাদের মাথা এমনিতেই খারাপ হয়ে যায় ।ভদ্র ও ভালো মনমানসিকতার জওয়ানদের নিয়োগ দেয়া হয় চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে । নেপাল ,ভুটান সীমান্তে তেমন একটা পাহারা লাগে না ।মিয়ানমার সীমান্তে জনবসতি নেই ।
কিন্তু বিএসএফের যে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সীমান্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিনি মনে হয় পুরোদস্তুর বাঙালিই। দিল্লীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে ডঃ মিত্র নামের এই আপাত মাখনের মত ব্যবহারকারী ভদ্রলোকের সাথে আলাপ হয়েছিল। ইনি একাধিকবার ঢাকায় বিএসএফের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সুতরাং এটা স্রেফ রগচটা পাঞ্জাবীদের ব্যাপার নয়, বরং রগঠাণ্ডা অপাঞ্জাবী নাটের গুরুদের অত্যন্ত শীতল মস্তিষ্কজাত রক্তহিম খুনে ক্যালকুলেশনের ফসলেই হচ্ছে এসব হত্যাযজ্ঞ। তাছাড়া, মাথা গরম জওয়ানের হঠকারিতায় এক/আধটা বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনা হয়তো ঘটে যেতে পারে, কিন্তু উচ্চমহলের নির্দেশনা ছাড়া এই রকম নিয়মিতভাবে ব্যাপক স্কেলে এমন ঘটনা স্রেফ অসম্ভব।
কর্তায় ইচ্ছায় কর্ম । দুটো পরিসংখ্যান দেই,
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এটা হয়তো সত্য যে কিছু ঘটনা ঘটে যেখানে মানুষ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই (হয়তো বেশীরভাগ) বাংলাদেশের ভেতর থেকে নাকি ওরা মেরে লাশ নিয়ে যায়। আমি জানিনা বিডিআর কী করে ঐ সময়? অবশ্য বিডিআর আর কী করবে-- বিডিআরের চাকরী বাঁচাতে হবে তো।
- বিডিআর যদি বিএসএফ-এর মতো করে জবাব দেয়/দিতো তাহলে সীমান্তে এতোদিনে বিশাল যুদ্ধ লেগে যেতো! বিডিআর এখানে প্রবল ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিএসএফ-এর বারংবার উষ্কানীতে এই ধৈর্য্য কতোটা ধরে রাখতে সক্ষম হবে বিডিআর, আল্লাহ মালুম।
আশা করবো পরিস্থিতি সেই পর্যায়ে পৌঁছুবার আগেই বিএসএফ-এর কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে ভারতীয় বন্ধুরা এগিয়ে আসবেন দু'দেশের মধ্যকার সু-সম্পর্ক রক্ষার্থে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রৌমারীতে তো বিডিয়ার সেরকম মাইর দিয়েছিল একটা...
ভারতীয় মিডিয়ায় নিহত বাংলাদেশিদের সাধারণত গরু ব্যবসায়ী বা পুশ-ইন হিসেবে সনাক্ত করা হয়। খালি আইওয়াশ আর আইওয়াশ। কে যে সত্যি বলে বোঝা দুষ্কর।
আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নপুংসক ধরনের। যখন বিদেশে কোন গিয়ানজাম হয় তখন বাংলাদেশ কেবল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। সীমান্তের ব্যাপারেও তাই।
বছরের পর বছর ধরে শুনছি বিএসএফ সীমান্তে বিনা উস্কানিতে বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে থাকা মানুষদের গুলি করে লাশ টেনে নিয়ে যায়। বিডিআর বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ আর দুয়েকটা ফ্ল্যাগ মিটিং ছাড়া কখনো কিছু করেছে বলে শুনিনি। এই সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে মনে পড়ে না।
সচলে ভারত থেকে যারা লেখালেখি করেন তারা বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক জনমত গড়ে তোলার কাজটি শুরু করতে পারেন। তবে দুই দেশের সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে সমস্যাটির একটি সম্ভাব্য সমাধানের জন্য। যেহেতু বাংলাদেশের ক্ষতি বেশি হচ্ছে সেহেতু বাংলাদেশ সরকারকেই এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
নতজানু না হয়ে আর কি করা যাবে। এক বার সোজা হয়ে উত্তর দিয়ে তো বিডিআর প্রধানের চাকরি গেল আর তারপর তো পুরা বিডিআর শেষ। আর কি চাই?
ভাবা যায়না এরকম কাজ করে কেউ অপরাধী(!) হয়। নতজানু, নতমস্তক পররাষ্ট্রনীতির গুষ্টি কিলাই।
আসলে বিডিআরের কিছু করার নাই। নিশ্চয়ই ধরে নিতে পারি না যে ভারতীয় সরকারের নির্দেশেই বিএসএফ হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। কিন্তু খেয়াল করে দেখুন নির্দেশ অমান্য করে অপরাধ করার পরও বিএসএফের সদস্যরা ভারত সরকারের ব্যাকআপ পাচ্ছে।
আর বাংলাদেশে কী ঘটছে দেখুন, আপনি নিজেই বললেন-একবার উত্তর দিয়েই বিডিআর প্রধানের চাকুরি গেল।
মূল সমস্যা আমাদের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতিতে। প্রতিবারই মিটিং শেষে ভারত থেকে ফিরে এসে আমাদের প্রতিনিধিরা বলেন সফল মিটিং করে এসেছেন। অথচ তার তিনদিন পরেই আবারো লাশ পড়ে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কোন ফলপ্রসু উদ্যোগ অচিরেই গৃহিত হবে এমন স্বপ্ন আমি দেখি না।
কি মাঝি, ডরাইলা?
- বাংলাদেশ সরকার অগ্রণী ভূমিকা নিয়েও কিছু হচ্ছে না মেম্বর ভাই। পোস্টে উল্লেখিত লিংকটা আবারও এখানে দিলাম।
বিডিআর-বিএসএফ মিটিং এর পরে বিএসএফ কথা রাখে নি। এমতাবস্থায় দুইটা ব্যাপার হতে পারে। হয় তারা বিডিআরকে পাত্তা দিচ্ছে না নয় তারা গাছের গোরা কেটে উপরে পানি ঢালা পদ্ধতি অবলম্বন করছে।
এখন বিডিআর যদি বিএসএফ-এর প্রত্যুত্তরে পাল্টা গুলি চালায়, তখন পরিস্থিতি কোনো পক্ষের জন্যই হয়তো সুখকর হবে না। এইটা বিডিআর আঁচ করতে পারলেও বিএসএফ কোনো কারণে আঁচ করতে পারছে নয় বোধ'য়।
তাদেরকে এই আঁচ করানোটা জরুরী।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার ধারণা আমরা প্রতিনিধি হিসাবে যাদের পাঠাচ্ছি তারা ভারতীয়দের কাছ থেকে কিছু আদায় করার মত দক্ষ নন। এ কারণেই ফলপ্রসু কিছু হচ্ছে না। নেপাল, ভুটান যদি ভারতের কাছ থেকে সমীহ আদায় করতে পারে আমরা কেন পারছি না?
আরেকটা ব্যাপার। আমার ধারণা বিএসএফ ঠিকই আঁচ করতে পারে। কিন্তু তারা সুনিশ্চিতভাবেই জানে যে অপরাধ করার পরও তারা রাষ্ট্রীয় ব্যাকআপ পাবে। তাছাড়া তারা বছরের পর বছর ধরেই দেখে আসছে এপাশ থেকে কখনো গুলি ফেরত যায় না।
ওই কৌতুকটার কথা মনে আছে না? করিম রহিমকে বলছে, আরেকটা লাথি মার দেখি। তোর আইজকা খবর আছে!
তখন রহিম করিমকে আবার লাথি মারলো। করিম লাথির বেগ সামলাতে না পেরে একটু পিছিয়ে গিয়ে আবারো বললো, আরেকটা লাথি মার। এইবার তোরে খাইছিই খাইছি!
রহিম আবারো লাথি মারলো। করিম এবার সহ্য করতে না পেরে ভ্যা করে কেঁদে দিল।
আমাদের অবস্থা হচ্ছে করিমের মত। আমাদের একটাই কথা, আরেকটা লাথি মার, এক্কেরে খাইয়ালামু।
কি মাঝি, ডরাইলা?
- আমাদের অবস্থা মোটেই করিমের মতো না। বিডিআর কখনোই বলে নাই, 'আরেকটা গুলি চলুক খালি, খাইয়াইলামু এক্কেরে'। তারা চেয়ে এসেছে একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান। কেনো, কে জানে!
বিএসএফ বরাবরই প্রতিটা মিটিং-এর সিদ্ধান্তকে ভায়োলেট করেছে। তারা যদি সরকারী ব্যাকআপ পেয়েই থাকে তাহলে তো এখানে ভারতীয় সরকারের অংশগ্রহণটাও নিশ্চিত। ভারতীয় সরকার কি চাচ্ছেই যাতে সীমান্তে পরিস্থিতি খারাপ হোক? তা না হলে, মিটিং-এ সমস্যা সমাধানের কথা বলে বিএসএফ-এর শ্যুটিং প্র্যাকটিসকে কেনো ব্যাকআপ দিয়ে যাবে!
আমাদের পররাস্ট্রনীতি নতজানু তাতে কোনো সন্দেহ নাই। আমরাই তো নতজানু, আমাদের পররাস্ট্রনীতির আর কী-ই বা দোষ। আমরাই মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকি পাছে ভারতীয়রা 'কিছু মনে করে ফেলেন'- এই ভয়ে। তো আমাদের পররাস্ট্রনীতি তো আমাদের ভাবনাকেই প্রতিফলন করবে নাকি!
ধুমাধুম কয়েকটা বিএসএফ-কে সীমান্তে ফেলে দিলে, কিংবা ভারতের ভেতরে ঢুকে গিয়ে গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে আসলে হয়তো জটিলতা কমতো। নিদেনপক্ষে ভারতের তথাকথিত গুরুগম্ভীর বিবেকবান চরিত্রের অবসান হতো। কিন্তু সেটা করা হয়তো কোনো কারণে বিডিআর ভালো প্র্যাকটিস মনে করছে না। আর সেটাকেই হয়তো ভারত সরকার-বিএসএফ বাংলাদেশ-বিডিআর'এর দুর্বলতা মনে করছে, করিমের মতো ভাবছে, কে জানে!
কিন্তু আমার মনে হচ্ছে না খুব বেশিদিন বাংলাদেশ তথা বিডিআর করিমের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে সক্ষম হবে। আমি চাইছি সেদিনটা যেনো না আসে। সেকারণেই চাই সরকারের বাইরে আমাদের মতো আমজনতার ব্যাপক সচেতনতা তৈরী করা, প্রয়োজনে উভয় পক্ষেই। এটা না করতে পারলে ভবিষ্যতে যেকোনো ক্ষেত্রেই বিবেকের চরিত্রে নেমে অভিনয় করাটা আমাদের ঠিক মানাবে না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খুব সময়োপযোগী পোস্ট। ধন্যবাদ লেখাটার জন্যে। গত ফেব্রুয়ারির ঘটনার পরে আবার বিডিআরের কাছে অস্ত্র দেয় নাই, বিডিআর-কে প্রহরা দিয়ে রেখেছে পুলিশ! সাহস বাড়ছে আরো অন্যপক্ষের ল্যাং মারতে। সুষ্ঠু বিচারকার্যে দেরি করাটা হল আগাগোড়াই আমাদের সব প্রশাসনের আরেক বৈশিষ্ট্য।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
"কালকে সীমান্তের ওপার থেকে বিনা প্ররোচনাতেই বিডিয়ার ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে, জবাবে বিএসএফ পাল্টা গুলি চালায়... সংঘর্ষবিরতির পরে দুদেশের মধ্যে ফ্ল্যাগ বৈঠক হয়...'
"নদীতে স্নান করতে আসা যুবকের প্রতি বিনা প্ররোচনায় বিডিয়ার গুলি চালালে যুবকের মৃত্যু..."
ইত্যাদি খবরে প্রায়ই শোনা যেত। এখনও যে মাঝেমধ্যে যায় না তা নয়। আর আমরা কি কখনও অন্যায়ভাবে গুলি চালাতে পারি? আমরা গান্ধীর দেশ না? আমরা শুধু বেআইনি অনুপ্রবেশকারীগুলোকে একটু সমঝে দিই মাত্র।
এই আজকেই তো টেলিগ্রাফে খবর বেরিয়েছে, যে বিএসএফ এক বেআইনি অনুপ্রবেশকারী পরিবারকে বিডিয়ারের হাতে তুলে দিতে গেছিল, কিন্তু বিডিয়ার ঢাকার নির্দেশ দেখিয়ে, শুধু বাবা-মা-কে ফেরত নেয়, নিজেদেরই লোক হওয়া সত্ত্বেও বাচ্চাদুটিকে ফেরত নেয় নি। এখন তারা ভারতের জুভেনাইল হোমে বাবা-মা-কে ছাড়াই দিন কাটাচ্ছে।
এরকম নিত্যদিন প্রচার হতে থাকলে আর কি? এখন অবশ্য দেখছি কিছুদিন হল কাগজগুলোয় বিএসএফের কোলে ঝোল টানার অভ্যাসটা কমেছে, তারা গুলি চালিয়ে লোক মারলেও সেটা খবর হয়।
এপার দেখায় ওপারের দোষ, আর ওপার এপারের। মাঝখান থেকে মরে যত বেচারারা।
"তাছাড়া তারা বছরের পর বছর ধরেই দেখে আসছে এপাশ থেকে কখনো গুলি ফেরত যায় না।" - এদেশের কাগজ পড়ে তো সেটা মনে হয় না। আমার নিজের ধারণা, অহেতুক গোলাগুলি দুই পক্ষই চালায়।
বলে রাখা ভাল, ভারতীয় হিসাবে আমি বিএসএফের পক্ষপাতিত্ব করতে চাইছি এমন না। বর্ডারের মাথামোটা সিপাইদের আমিও দেখেছি, এবিষয়ে বিপ্লবদার কথাটা ভুল না। তাদের কাছে নিজেদের আমজনতার মর্যাদাও বেশি নয়, তো আবার বিদেশি। এই ঘটনাগুলিও আমি সমর্থন করছি না।
কৌস্তভ'দা, আমার কথাগুলো সংসপ্তক আগেই বলে দিয়ে গেছেন। এ কথা পুরোপুরি সত্য যে আমাদের দেশের পত্রিকাগুলোতে বিডিআরের হাতে ভারতীয় নাগরিক নিহত শিরোনামে কোন খবর প্রকাশিত হয় না।
হাসিব ভাই যেভাবে বিএসএফের হাতে নিহত বাংলাদেশি নাগরিকের একটা পরিসংখ্যান দেখালেন আপনি কি একটু কষ্ট করে এ ধরনের একটা পরিসংখ্যান তুলে দিতে পারবেন? একটু জানতে চাই এ পর্যন্ত বিডিআরের হাতে কতজন ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
ফর দা সেইক অফ ডিস্কশান যদি ধরেও নেই বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের বেপার... দুনিয়ার কোন দেশ নাই যে এভাবে গুলি চালায় এই অজুহাতে...
বিডিয়ারের হাতে নিহত ভারতীয় নাগরিকের কোন স্ট্যাট দেখাতে পারবেন কি? প্রকৃত চিত্র টা তাহলে বোঝা যেত। হাসিব ভাইয়ের তথ্য অনুযায়ী ৫ বছরে ৪৩৭ জন বাংলাদেশি কে হত্যা করেছে বিএসএফ।
একই সময়ে বিডিয়ারের হাতে নিহত হয়েছে কতজন ভারতীয়? না জেনেই বলছি, আমার ধারনা সংখ্যাটা এর ধারে কাছেও হবে না।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
ভাই পুরো দুনিয়াটাই চলে "জোর যার মুল্লুক তার" নীতিতে। আমাদের গায়ে যদি বল থাকতো কষে কয়েকটা চটকানা দিতে পারতাম, তাইলে সীমান্তে "লালকালির দাগ খাওয়া"
বিএস,এফ জওয়ানদের আর ভারত সীমান্তের মোতায়েন করতো না।
"বি,এফ,এফ এহেন কর্মকান্ডের ব্যাপারে ভারত সরকার কিছু জানেনা" এইটা বোধকরি
আজকের যুগে রাষ্ট্রনীতির সবচে বড় রসিকতা।
রৌমারী সেই ঘটনার পর বাংলাদেশের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রীকে ২১ বার ফোন করে ক্ষমা চাইতে হইছে। অপরদেশের লোক মরলে জানিনা, শুধু নিজের দেশের বদমায়েশ বি,এস,এফ মরলেই হুশ হয়।
"জোর যার মুল্লুক তার" - এর বেশি কিছু ব্লার নাই।
ধুসর গোধূলি এই লেখাটা ইংরেজী করে কিছু পরিসংখ্যান (বেশী না কাজেরগুলো বা সাম্প্রতিক) দিয়ে ভারতের রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রক,বিএস এফ ডিজি, ঢাকার ড। দীপুমনির ইমেইলে পাঠালে কাজ হবে মনে হয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
বিএসএফ মাথা গরম করে গুলি করে এর চেয়ে ফালতু কথা আর হয় না। উপরের নির্দেশেই তারা গুলি করে, নোম্যান্স ল্যান্ডে কাটা তারের বেড়া দেয়, সার্চ লাইট লাগায়। আমার ধারণা ছিল ট্র্যানজিট, গ্যাস রপ্তানিসহ আরো কিছু সুবিধা পেতে চাপ দেয়ার জন্য ভারত এ কাজটা করত। ট্র্যানজিটের সুরাহা হওয়ার পরও কেন করছে বোধগম্য না। ভারতীয় সচলদের মনোভাবটা জানতে পারলে ভাল হতো।
এতো যে জঘন্য ইজরাইলীরা তারাও পেলেস্টানী বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি রাবার বুলেট ছোড়ে।
রৌমাড়িতে তেরো বছরের যে মেয়েটা বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় সে কাশফুল সংগ্রহ করতে গিয়েছিল, তাও আবার বাংলাদেশী সিমান্তে।
গান্ধিবাদী অহিংস তরিকায় ভারত প্রতিবাদ করবে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরোদ্ধে। আমাদের মতো দুর্বল প্রতিবেশীদের জন্য জাতপাতের চিন্তা করতে হয় না। আমাদেরকে মারলে শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার কোন আশংকা নেই।
দুনিয়ার যতো নিয়ম কানুন সব কেবল দুর্বলকেই মেনে চলতে হবে। সবলরা মারলে কেবল মাঝে মাঝে নিয়মের ব্যাতিক্রম ঘটে। সেটা কোন অপরাধ না। বাংলাদেশী বেসামরিক নাগরিক ভারতে অনুপ্রবেশ করতে চাইলোতো কোন কথাই নেই। অনুপ্রবেশকারী বেসামরিক নাগরিককে গুলি করে হত্যার সংসদীয় আইন মনে হয় বিশ্বের সব চেয়ে বড় গনতান্ত্রিক দেশটা আজীবনের জন্য পাস করিয়ে নিয়েছে। বিশেষত বাংলাদেশীদের বিরোদ্ধে।
জয় হোক গান্ধীবাদের।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
দাদা আমি প্রতিবাদ করলে হয়তো আমাকেও গুলি মেরে দেওয়া হতে পারে !!!!! । এই মেয়েটির কাহিনী দেখে বিশ্বাস করুন দু চোখ দিয়ে শুধু টপটপ করে জল ঝড়ছিল। ভাবছিলাম আসলেই আমরা মানুষ ... কতটা অসভ্য হয়ে গেছি আমরা, কতটা পিশাচ আমরা
ডাকঘর | ছবিঘর
ঐ পক্ষ থেকে অজুহাত দেয়া হয় অনুপ্রবেশকারী/চোরাচালানীকে গুলী করা হয়েছে।
অনুপ্রবেশকারী/চোরাচালানী হলেই গুলী করে মেরে ফেলা যায়- এই আইন পৃথিবীর কোন দেশে আছে?
এই প্রশ্ন ভারতের কাছে উত্থাপন করবে কে? আমাদের সরকার? হাহ- যে সরকার নিজেই বিনাবিচারে নিজের নাগরিক হত্যা করতে দ্বিধা করেনা
আফসোস লাগে- এই দেশে এতোকিছু হলো- মানবাধিকারের একটা শক্ত প্লাটফর্ম গড়ে উঠলোনা যারা সরকারের রাঙ্গা চোখে চোখ রেখে জবাবদিহী চাইবে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনি তো আগে এসব নিয়ে লিখতেন। এখন খুব ব্যস্ততা যাচ্ছে মনে হয়? সাম্প্রতিক কয়েকটা ক্রসফায়ারের ঘটনায় সেসব কাহিনী বের হয়ে আসলো তাতে বেশ খারাপ লেগেছিল।
ব্যস্ততার চেয়ে বেশী বোধহয় মানসিক নিস্পৃহতা ভর করেছে। তথ্য স্বাধীনতার যুগে সবাই সবকিছু জেনে যাচ্ছে কিন্তু বদলাচ্ছে না কিছুই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সেটাই
ধুগোদা'কে ধন্যবাদ সময়োপযোগী পোষ্টের জন্য।
বিএসএফ এর কার্যকলাপ দিন দিন আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে। এটা নিয়ে এখনই কোন ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিশ্চিত নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে।
আমি মনে করি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের পাশাপাশি বিডিআর এর নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরী। আমার স্বল্প অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যেসব সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানী একটা ওপেন সিক্রেট, বিডিআর এবং বিএসএফ এর মধ্যে একটা অলিখিত চুক্তি থাকে। চোরাচালানী মূলত এরকমঃ এপার থেকে যাবে বিস্কিট, সেমাই বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য আর ওপার থেকে আসবে গরু, চিনি, পেঁয়াজ, তেল ইত্যাদি। নির্দিষ্ট পরিমান লেনদেনের জন্য বিডিআর এবং বিএসএফ একটা ভাগ পাবে। কোন কারণে সে চুক্তি অনুযায়ী ভাগবাটোয়ারার কম-বেশি হলেই বিএসএফ একটা ঘটনা ঘটায়। আর আমাদের নিরীহ বিডিআর এর দৌড় থাকে ফ্ল্যাগ মিটিং পর্যন্ত।
বিডিআর এর এ্যাবিলিটি নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই, তাদের শুধু দরকার আরেকটু শক্তিশালী ক্ষমতার ব্যাকআপ।
একই অনুরোধ রইল।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ধূগো।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাল প্রসঙ্গে লিখেছেন।
তবে এর আদৌ সমাধান, অন্তত অদূর ভবিষ্যতে হবে কি? ভূরাজনীতিতে আমরা যে চুনোপুঁটি।
যাহোক, তাও, এওয়ারনেসের ব্যাপার আছে। ভারতীয় দৈনিকে চিঠি লিখে দেখা যেতে পারে।
বাংলাদেশ ভারতের এই সমীকরণটা অসমতায় দুষ্ট ... এটাকে যে কূটনীতি বা পাল্টা আক্রমণ দিয়ে মোকাবেলা করা যাবেনা সেটা স্পষ্ট।
এখানে ম্যাসিভ গনসংযোগ, জনসচেতনতা তৈরী করতে হবে। ভিকটিম যেহেতু আমরাই, আমাদেরই শুরু করতে হবে।
আমাদের দেশে স্মরণকালে এই সমস্যা নিয়ে তেমন বড় কোন সমাবেশ হয়েছে? তেমন কোন সংগঠন কি আছে যারা সমস্যাটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে? আমাদের পত্রিকাগুলো এই সমস্যা নিয়ে কিছু করছে? টিভিগুলো? শুধু সীমান্তের এই হত্যা সমস্যাটা নিয়ে কোন টিভিতে একটা ফোকাসড অনুষ্ঠান হতে দেখিনি!!
আমরা নিজেরা কিছু না করে ভারতীয় সদস্যদের কিছু করার আহবান জানানোটা কার্যকর হবেনা।
আমরা নিজেরা আসলে কিছুই করছিনা, শুধু ভোটের আগে সমস্যাটা নিয়ে রাজনীতি হয়, একদলের সাপোর্টারদের দরদ একেবারে ঝরে ঝরে পড়ে, আর অন্যপক্ষ থেকে তখন অবৈধ অনুপ্রবেশ টাইপের আজেবাজে যুক্তি উঠে আসে। প্রশ্নটা নিবিড় আর মোর্শেদ ভাই করে দিয়েছেন,
"অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য গুলী করে হত্যা করা কোন্ সভ্যদেশের আইনে পড়ে?"
আমার মটে এটার ওষুধ একটাই, ভারত রাষ্ট্রের এই সন্ত্রাসী চেহারাটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা; তখন বানিজ্যিক স্বার্থেই দিল্লী নড়েচড়ে বসবে।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
এই জাতীয় ব্যাপারগুলো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের লোকজনের চোখে পড়ে না কেন কে জানে!
কি মাঝি, ডরাইলা?
এমনেস্টির আসলে কোন নির্বাহী ক্ষমতা নেই। শুরুটা দেশের ভিতর থেকে হতে হবে। বিষয়টাকে যদি দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো একটা ইস্যু হিসেবে দাঁড় করাতে পারতো তাহলে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো মনোযোগ দিতো।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সেটাই।
আচ্ছা, আমাদের দেশীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর খরচ আসে কোথা থেকে?
কি মাঝি, ডরাইলা?
- দাদা, এমনেস্টি'তে এই জাতীয় খবরের লিংকগুলো পাঠালে কিছু হতে পারে?
একবার খালি চোখ বুলান, নিজেই শিউরে উঠবেন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
- বাংলাদেশ সীমান্তের নানা পয়েন্টে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশিদের ওপর গুলি চালানো ছাড়াও নানা উষ্কানীমূলক কর্মকাণ্ডের তারিখ ওয়ারী বিবরণ সংরক্ষিত হচ্ছে এখানে।
পত্রিকার নতুন, পুরাতন খবর (ক্রমান্বয়) নিয়ে প্রতিদিনই আপডেট হচ্ছে সাইটটা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আচ্ছা ধুগোভাই, এরকমই কোন ইংরেজী ব্লগ তৈরি হয়েছে কি? ঐটা শেয়ার করতে চাই। ইংরেজীতে হলে আন্তর্জাতিকভাবে সচেতনতা তৈরিতে সুবিধা হয়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
- আংরেজীতে আলাদাভাবে তো তেমন কিছু চোখে পড়ে নি। তবে যেটা দেখলাম, এখানেই বাংলা খবরের পাশাপাশি আংরেজী খবরগুলোও জায়গা নিচ্ছে আস্তে আস্তে।
যে বা যাঁরা করছেন এটা, সশ্রদ্ধ সালাম থাকলো। অনেক কষ্টসাধ্য কাজ বুঝাই যায়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চাপাইনবাবগঞ্জের সিং নগর সীমান্তে আরও দুজন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে বিএসএফ।
বিডিআর যথারীতি মার খেয়ে 'চিঠি' দিয়েছে বিএসএফ এর 'দুষ্টামী'তে। এই লাভলেটার আদানপ্রদানের সংস্কৃতি রেখে বিএসএফ এর পোঙ্গায় একটা দোনলা বন্দুক রেখে 'ফায়ার' বলার সময় বোধ'য় এসেছে এখন। সোজা আঙুলে কবে, কোথায় ঘি উঠেছে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার এক বন্ধুর বন্ধু এক ঘরোয়া আড্ডায় বলছিলেন তার নেতৃত্বে কিভাবে বিডিআর বিএসএফকে রাম-প্যাঁদানী দিয়েছিলো যাতে দিল্লি পর্যন্ত খবর হয়ে গিয়েছিলো। বন্ধু বিএসএফএর মেশিনগানের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন এবং পরে দেশে ও বিদেশে নিয়ে তাকে চিকিৎসা করতে হয়। এখনও তিনি আর্মিতে আছেন।
বিডিআর পারে কিন্তু দেখায় না। আর বিডিআরের এই ভদ্রতার সূযোগ নেয় বিএসএফ।
আমি ১৯৮৬ সালে সাতক্ষীরার গগা সীমান্তে গিয়েছিলাম। সীমান্ত থেকে ২০০ মিটার দুরে একটা নির্মানাধীন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২ দিন ছিলাম। তখন দেখেছিলাম পাট খেতে হাগু করছিলো এমন দুজন গ্রামবাসীর উপর বিএসএফ গুলি চালালো। যদিও কেউ হতাহত হয়েছিলো না।
আবার দেখি সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশী ষ্টার রেটেড চোরাকারবারীদের বিএসএফ দেখলে সালাম-কালাম দেয়, কুশল জিজ্ঞেস করে।
রাতঃস্মরণীয়
কিছু বালপাকনা এসে বিএসএফ এর সাফাই গায়, সীমান্তের ওপাড়ে 'দোষী' বাংলাদেশীদের মারলে সেইটা ঠিকাছে। এইবার তো কোনো চোরাকারবারী না, একজন কৃষক চাষ করতে গেলে তাকে গুলি করে বিএসএফ। আর এই কৃষক লুঙ্গির তলে ট্যাংক লুকিয়ে নিয়ে সেটা দিয়ে জমি চাষ করতে ভারতের সীমানার ভেতরে যায় নাই।
লিংক এইখানে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ছাগল শুধু বাংলাদেশে জন্মে - এ ধারণা হল কেন আপনার?
কি মাঝি, ডরাইলা?
বিএসএফ এখন জামাতি স্টাইলে বাংলাদেশীদের "রগ কাটা" শুরু করেছে।
সম্ভবতঃ এবারেই আমাদের বিডিআর তথা বর্ডার গার্ড একটা পতাকা বৈঠক ডাকবে। সেখানে বিএসএফ আসবে বা আসবে না। তারপর আবার এই ইস্যুও ধামাচাপা পড়ে যাবে।
বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি চাই বিডিআর, বিএসএফ এর প্রতিটা পাটকেলের জবাব দশ নম্বরী ইট দিয়ে দিক। পতাকা বৈঠক তো হলোই এতো বছর, আর কতো! ভারতের লোকজনও মনে হচ্ছে এটাই চায়। যে বিডিআর, বিএসএফের বর্বর জোয়ানদের (এবং অবশ্যই বিএসএফ স্টাইলে সাধারণ ভারতীয় নাগরিক ধরে এনে) ধরে পশ্চাৎদেশে লাঙ্গলের ফলা ঢুকিয়ে সেটা দিয়ে এক কমপক্ষে বিঘা জমি চাষ করুক।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শীর্ষনিউজ ডট কমের একটা খবর চোখে পড়লো এক বন্ধু মারফত। খবরটা আমাদের জাতীয় কোনো দৈনিকে (ইনক্লুডিং বিডিনিউজ) দেখি নি। প্রকাশিত হলেও খবরটা হয়তো আমার দৃষ্টি এড়িয়ে গিয়ে থাকবে। কিন্তু যদি তা না হয়ে থাকে, তাহলে এইটা একটা পেরেশানির খবর! বাংলাদেশে এগজিস্টিং ফাকিস্তানী দালালের সাথে দিন দিন পাল্লা দিয়ে ভারতীয় দালালরাও মাথাচারা দিয়ে উঠছে কি না!
যদি তাই না হবে তবে সংবাদ সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক রমন শ্রীবাস্তব বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা নিরপরাধ কোন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করছে না। এই কথাটা চুদির্ভাই শ্রীবাস্তব কেমনে বাংলাদেশের বাঘা বাঘা সাংবাদিকদের সামনে উচ্চারণ করার সাহস পায় বাংলাদেশে বসেই?
সিলেটের জৈন্তাপুরে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ জমি দখল করে নেয়া সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে শ্রীবাস্তব বলেন, বিষয়টি নিয়ে দু'দেশের জয়েন্ট সেক্রেটারি পর্যায়ে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
— আচ্ছা বাঞ্চোৎ তো দেখি হালার্পুতে। বাংলাদেশী নাগরিক নো-ম্যানস ল্যান্ডে গেলে তাদেরকে গুলি করা জায়েজ আছে। মাগার বিএসএফের সহায়তার ভারতীয়রা খাসিয়ারা বাংলাদেশের নিজস্ব জমিতে নিজের দখল ফলাতে চাইল তখন জয়েন্ট সেক্রেটারি পর্যায়ের মিটিং?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঢাকায় বিএসএফ বিশাল সম্মেলনে করে বেশ ঘটা করে বলে গেলো সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা করা হবে না; কয়দিন হলো?
এর মধ্যেই আবারও বিএসএফ-এর জিঘাংসার শিকার দুই বাংলাদেশী।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার জন্য বিএসএফ-কে বিচারের সম্মুখীন করা এইবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ'এর দাবী। এতোদিন তো নাহয় বুঝলাম, পাপিষ্ঠ বাংলাদেশীরা সাক্ষাৎ দেবদূত ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাইছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবরণের পর দেখা যাক এইবার দেখি মুরুব্বীরা কী বলেন!
মূল খবরঃ বিডিনিউজ২৪ ডট কম
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
৭ তারিখের সংবাদটা দেখুন - প্রথম আলোতে
১২ বছরের ফেলানীকে হত্যার পরে -
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আজকের প্রকাশিত খবর থেকে উদ্ধৃত করছি,
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যা বন্ধ হওয়ার কথা ছিলো। ভারতীয় উপরওয়ালা বাঞ্চোতরা এই সেদিনই এই মর্মে বেশ কেঁদেকেটে স্যরি টরি বলে গেলেন। কিন্তু কী হলো?
আজকে, ২রা জুন ২০১১, সকালেও জয়পুরহাট সীমান্তে ফজলুর রহমান নামে চল্লিশ বছরের এক বাংলাদেশী নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ'এর মথুরাপুর ইউনিট।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সেপ্টেম্বরের শেষে ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনে বিএসএফ প্রধান রমন শ্রীবাস্তব বলে গেলেন, "হত্যার উদ্দেশ্য আমাদের নেই এবং এটা উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে।"
অথচ দেড়মাস যেতে না যেতেই গতকাল (১৯ নভেম্বর ২০১১) সীমান্তে আবারও বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করলো মাদারচোদ বিএসএফ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সচলেরই পাতায় একদা কে কে যেনো বিএসএফ'এর এইসব বাস্টার্ডদের পক্ষ নিয়ে বেশ উঁচু গলায় কথা বলেছিলেন। তারা নিশ্চয়ই এই ভিডিও দেখে পরম তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন আজকে! জয় হোক আপনাদের জাতীয়তাবাদ, জয়ী হোক আপনাদের বড় গলা!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কি আর কইবো? কইবো ভাগ্যিস নেংটা কইরা মাইর দিসে। জানে তো আর মারে নাই। এই না কত জন্মের ভাগ্যি।
প্রথমেই জানাই আমি একজন ভারতীয় । আমদের এখানে, পশ্চিমবঙ্গে, আনন্দবাজার পত্রিকার একটি ওয়েবসাইটে ঘটনাটি সম্বন্ধে কিভাবে লেখা হয়েছে সেটা দেখুন এই লিংক এ ।
এখানে অনেকেই বলেছেন এব্যাপারে জনমত গড়ার কথা । আমি এটুকু বিশ্বাস রাখি যে আমাদের দেশের বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ এর তীব্র বিরোধিতা করবেন । তবে যাঁরা অসাধারণ (পড়ুন নেতা-নেত্রী) তাদের ব্যাপারে আমি বলতে পারব না ।
আমি এই ঘটনার প্রেক্ষিত বা নিহতের জাতিগত পরিচয়ের ঊর্ধে উঠে একজন মানুষ হিসেবে একজন মানুষের ওপর কিছু অমানুষের অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাই । আর আমার বাংলাদেশের বন্ধুদের জানাই আপনাদের প্রতিবাদে আপনারা একা নন আমরাও আছি আপনাদের পাশে ।
দুঃখিত আমার আগের পোষ্টটিতে ভুলবশত নিহত লেখায়, ওটি আহত হবে।
আমার এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্যে ক্ষমা করবেন ।
আসলেই সাধারণ মানুষ কোনদিন এই নৃশংস হত্যার পক্ষে থাকেনা। আম ভারতীয়রা এই হত্যার পক্ষে থাকেনা... কিন্তু লাশের রাজনীতি...!!!!
ডাকঘর | ছবিঘর
জানিনা এই রাজনীতি কবে শেষ হবে । কবে মনুষ্যত্বের এই অযথা অপমান বন্ধ হবে । তবু আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে, স্বপ্ন দেখতে হবে শান্তির । যদিও আমি ক্লান্ত তবু হাল ছাড়তে পারব না । কারণ ঐ স্বপ্ন দেখা ছাড়া আর কতটুকুই বা ক্ষমতা আমার । কিছু পোষ্ট, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে কিছু লিংক শেয়ার, চায়ের আড্ডায় একটু গলা ফাটানো, নিজের ভেতর একটু খারাপ লাগা আর পাঁচ বছরে একটা ভোট । তবু ভাবি হয়ত এভাবেই একদিন সুদিন আসবে ।
তাপস শর্মা, আপনিই তো সেদিন কোনো এক পোস্টে রামছাগলের মতো ম্যাৎকার জুড়ে দিয়েছিলেন আমার মন্তব্যের নিচের সিগনেচার দেখে। তীব্র জাতীয়তাবাদের বলে বলীয়ান হয়ে সেদিন বেশ জোর গলায় আওয়াজ তুলেছিলেন আপনাদের ভারতীয় আর্মি জগৎ সেরা। তারা কোনো অপকর্মই করতে পারে না। আমি সিগনেচারে কোনো একটা ব্লগের লিংক ঝুলিয়ে রেখে শুধু-মুধু আপনাদের পাকসাফ, নান্নামুন্না বিএসএফ তথা আর্মির নামে কূৎসা রটিয়ে যাচ্ছি। আর আজকে আপনে আসছেন এইখানে যাত্রাপালার বিবেকের মতো ভাষণ চোদাইতে!
আপনে এই ভাষণ অন্যদিকে গিয়া চোদান। আর ভাষণ চোদানোর আগে আপনাদের দুধে ধোয়া বিএসএফ এর করা ১২ মিনিটের ভিডিওটা দেখে নিয়েন। কোনো মাদারচোদ, শুয়োরের বাচ্চাও বিএসএফের পক্ষ নিয়ে একটাও কথা বলতে পারার কথা না এই ভিডিও দেখার পর।
ভিডিওর লিংকটা এইখানে দিলাম না। আমার রুচিতে বাঁধছে। আপনাদের মতো আবালদের কারণেই সীমান্তে এই রকম মাদারচোদগুলা বাংলাদেশীদের উপর অত্যাচার চালায়, নির্বিচারে হত্যা করে। কারণ এরা ঠিকই জানে, এদের এপোলজিস্ট হয়ে আপনারা এগিয়ে আসবেনই। আর আমরা শালার আমাদেরই সীমান্ত রক্ষীদের মতো। এইসব কৃতকর্মের জবাবটা ঠিকমতো দিতে চাই না। ভদ্রতার মুখোশ লাগিয়ে ভদ্র ব্যবহার করে যাই।
আপনাদের মতো সুশীলচোদা রামছাগল এবং আপনাদের পোষা বিএসএফ- কেউই এই ভদ্র ব্যবহার ডিজার্ভ করেন না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুসর গোধূলি , আপনার রাগ এবং যন্ত্রনার যৌক্তিকতা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই । এটাও দাবি করব না যে নিজের দেশের মানুষ অত্যাচারিত হলেও (তাও আবার অন্য দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে) কারও সংযত আচরণই সর্বত্র স্বাভাবিক । আর এটাও স্বীকার করছি, যে আগের পোষ্টের ব্যাপারে আপনি বলেছেন সেটাও আমি দেখিনি । শুধু এটুকুই বলব আপনি যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তাকে সমর্থন করতে পারছি না । আপনি সচলায়তন এর একজন অনেক পুরোন সদস্য এবং এখানে যে মানের লেখা প্রকাশিত হয় তার সাপেক্ষে আপনার ভাষা (বক্তব্য নয়) এই ক্ষেত্রে বেমানান লাগে । সচলায়তন এর 'অ্যাডমিনিস্ট্র্যাটর' হিসেবে নয়, আমার সে যোগ্যতাও নেই । অতি সাধারণ মানের পাঠক হিসেবেই একথা বলছি । আমার এই মন্তব্যের পর আপনি আমাকেও একই রকম ভাষায় সম্বোধন করে আক্রমণ করতে পারেন, কিন্তু তাতে আমার বক্তব্য ম্লান হবে না । আর দয়া করে এর মধ্যে ভারতীয় জাতিসত্তা খুঁজবেন না । তাপস শর্মার জায়গায় যে কেউ থাকলেও আমি এটা বলতাম । আবার এটাও বলছি না আমি কোনদিন কোঁথাও ঐ ভাষা ব্যবহার করিনা । শুধু একটাই কথা, সুচিন্তিত ভাবে লেখা একটি মন্তব্য যা সচলায়তনের মত একটি অসাধারণ মানের লেখক সম্মেলনে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তার ধার ঐ ভাষা ব্যবহার না করেও আরো ধারালো করার ক্ষমতা বোধহয় আপনি রাখেন ।
"যে আগের পোষ্টের ব্যাপারে আপনি বলেছেন সেটাও আমি দেখিনি "
সেটা না দেখলে এই ভাষা ব্যবহারের কারণ বুঝতে পারার কথা নয়।
ফারহানা, আপনি আংশিক ভাবে ঠিকই বলেছেন । সেকারনেই আমি ঐ কথাটি উল্লেখ করেছি । যদি সেই পোষ্টের লিংক কেউ দেন তবে ভাল হয় । তবে যদি সেক্ষেত্রে তাপস শর্মাও আপত্তিজনক মন্তব্য (যাতে এ জাতীয় জঘন্য কাজকে আড়াল করার চেষ্টা হয়) এবং আরো বেশি কদর্য ভাষা ব্যবহার করে থাকেন তবে ওঁকেও জবাব দেওয়া উচিত । কিন্তু কখনই সেই একই স্তরে নেমে গিয়ে নয় ।
------------------------------------------------------------------------------------------------
আমাদের এখানকার (পশ্চিমবঙ্গের) সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদপত্র আনন্দবাজার পত্রিকার আজকের সম্পাদকীয় বিভাগেও এই ঘটনার স্পষ্ট ভাষায় প্রতিবাদ করা হয়েছে । এখানে সেই
লিংক টিও দিলাম ।
এখানে পোস্টটার লিংক দিলাম যার মন্তব্য সেকশনে কথা হয়েছে। নতুন পাঠকদের জন্যে পোস্ট আর মন্তব্য সেকশনের আলোচনা এমনিতেও বেশ কাজের।
বিএসএফের কার্যকলাপ আর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এমন আরও দুই-একটা পোস্টের লিংকও দিলাম, আগ্রহ থাকলে মন্তব্যগুলো ফলো করতে পারেন কেউ।
www.sachalayatan.com/maskwaith/33774#comment-347368
www.sachalayatan.com/himu/37121#comment-388440
আরও কিছু পোস্ট আছে, খুঁজে দেখতে পারেন নিজেরাও। সবখানেই পোস্ট, মন্তব্য, অন্যান্য লিংকে অনেক কিছু নিয়েই অনেকের মতামত এসেছে। কে, কী ভাবছেন জানা থাকা ভালো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ওহ! আজকের লেটেস্ট খবর - http://www.bdnews24.com/details.php?id=216523&cid=2
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । ঠিকই বলেছেন "কে, কী ভাবছেন জানা থাকা ভালো ।"
১. সেই পোস্টটি আগে দেখুন। তারপর আমার রাগ এবং যন্ত্রণার যৌক্তিকতার প্রশ্ন তো বটেই, সীমান্তে কোনো একটি দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে প্রতিবেশী দেশের সাধারণ মানুষ, আই রিপিট, সাধারণ মানুষকে হত্যা, রগ কাটা, আবু গারিব স্টাইলে অত্যাচার করার প্রতিবাদটা কেবল 'অত্যাচারিত দেশের' মানুষকেই করতে হবে- এটা নিয়েও কথা বলা যাবেনে।
২. বিএসএফ এর হত্যা-অত্যাচারের সাফাই গাইতে গিয়ে যখন বাংলাদেশীদের 'লুঙ্গির নিচে ট্যাংক থাকতে পারে বলে বিএসএফ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়', আমার সিগনেচারে ব্যবহৃত লিংকটি 'নিরপরাধ বিএসএফ এর নামে কূৎসা রটিয়ে দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নষ্টের কারণ' অথবা 'সীমান্তে তো কেউ পাসপোর্ট নিয়ে চলাফেরা করে না, আর বিএসএফ'এর হাতে যেহেতু অস্ত্র আছে এবং এদের উপর ভারত সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই তাই এরা বাংলাদেশীদের অত্যাচার করে'- জাতীয় বাণী চিরন্তণী সচলায়তনের পাতায় দেখি তখন কেবল সচলায়তনের লেখার মানের সাপেক্ষেই না, বরং 'মানবতা' বলে যে একটা শব্দ প্রচলিত আছে, সেটার সাপেক্ষেও বড় বেমানান লাগে!
আপনি, বুঝা যায় অনেকদিন থেকেই সচলায়তন পড়েন। কিন্তু এই বেমানানগুলো বোধ'য় আপনি এড়িয়ে গিয়েই থাকবেন, কেবল আমার ভাষাটা বাদে।
আমার বেমানান ভাষাটা নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই। কিন্তু অন্যত্র মানবতার তুবড়ি ফোটানো এইসব মৌসুমী মানবতাবাদীদের মানবতা যখন সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার সময় মুখ ঘুরিয়ে অন্য রাস্তা মাপে, তখন সেই বেমানান ভাষাটা সেইসব মানবতাবাদীদের প্রাপ্য হয়ে যায়। এজ সিম্পল এজ দ্যাট।
৩. ভারতীয় জাতিসত্তা আমি খুঁজবো কেনো? আপনি নিজেই তো দিয়ে রেখেছেন উপরে। আনন্দবাজারের একটা লিংক দিয়েছেন, আমিও একটা দেই। আপনি জনমত গড়ার কথা বলছেন, আমি দেখছি 'ভিডিও ছড়ানোতে আইএসআই'এর হাত' খুঁজে বের করার চেষ্টা।
সীমান্তে ফি মাস বিএসএফ অত্যাচারের কাহিনি জন্ম দিয়ে চলেছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে, তার কেবল একটার ভিডিও 'ছড়ানোতে' পশ্চিমবঙ্গের স্বনামধন্য পত্রিকাটি ঘটিত ঘটনা সমূহের প্রতিবাদ/দুঃখ প্রকাশ ব্যতিরেকে খুঁজে বেড়াচ্ছে 'কে ছড়ালো এই ভিডিওটি'! এবার বলুন, ভারতীয় জাতিসত্তা কি আমাকে কষ্ট করে খুঁজতে হবে আপনাদের 'আবাপ' থাকতে!
৪. আপনি 'ভুল করে' 'নিহত' লিখে ফেলায় পরে সংশোধনী দিয়েছেন 'আহত' হবে বলে। যেনো এই একটাই ঘটনা ঘটেছে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক! কিশোরী ফালানীর গুলিবিদ্ধ দেহ যে সীমান্তের কাঁটাতারে লটকে ছিলো একাধিক দিন, সেটা বোধ'য় আপনি গণনাতেই আনেননি। বা আনার মতো গুরুত্ব সেটা বহন করেনি আপনার কাছে।
কিন্তু, তথাপি প্রতিবাদে আপনি বাংলাদেশের বন্ধুদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন সেজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন। অনুরোধ করবো, আমার সিগনেচারের লিংকে গিয়ে একটু চোখ বুলিয়ে আসবেন স্থান-কাল-পাত্র সম্বলিত বিএসএফ কর্তৃক প্রতিটা জিঘাংসার। প্রতিটা ঘটনা একটু উপলব্ধি করার চেষ্টা করবেন ১২ মিনিটের ভিডিওটার সাপেক্ষে। তারপর ভেবে দেখবেন, আপনার ভেতরের মনুষ্যত্ব কী বলে! বিএসএফ এর অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে হলে আপনাকে বাংলাদেশের সীমানার ভেতরেই জন্মগ্রহণকারী হতে হবে কীনা!
আমার ধারণা আপনি, কে, কেনো নির্বিচারে হত্যা, অত্যাচারের স্বীকার হচ্ছে সেটা বিবেচনায় না রেখেও কেবল হত্যাকারী ও অত্যাচারী হিসেবেই বিএসএফ'এর ধারালো প্রতিবাদ করতে সক্ষম। আমার মন্তব্যের ভাষার বেমানান দিকটা নাহয় অন্য সময়েই ধরলেন!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার জবাব পেয়ে ভাল লাগল । আমি অপেক্ষায় ছিলাম ।
১) যেকোন দেশের যেকোন সুস্থ এবং সংবেদনশীল নাগরিক এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাবেন । সেটাই স্বাভাবিক এবং কাম্য । আপনার সাথে আমি একমত । ঠিক এই কারনেই বলেছিলাম "জাতিগত পরিচয়ের ঊর্ধ্বে" ওঠার কথাটা ।
২) এটাও আপনি ঠিক বলেছেন । এই ধরণের কথা সোজা কথায় মানবতা বিরোধী ।
তবে এটা ভুল যে আমি অনেকদিন ধরে সচলায়তন পড়ি । আপনি পুরোন সদস্য সেটা আপনার প্রোফাইল এ সচল হবার সময়কাল দেখে জানতে পারি । আমি পড়ছি সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ হল । আর তাই, এর আগের কোন পোষ্টে আমার কোন মন্তব্য নেই। কিন্তু ভবিষ্যতে থাকবে সেটা নিশ্চিত ।
৩) আমি "ভারতীয় জাতিসত্তা" কথাটা বলেছিলাম এটা বোঝাতে যে, আপনার ভাষার প্রতিবাদ করছি মানে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবাদ করে তাপস শর্মা কে সমর্থন করতে, তা নয় সেটা বোঝাতে । কারন তাপস শর্মা একজন ভারতীয় । আশা করি বোঝাতে পারলাম ।
আর আপনার লিংকটির ব্যাপারে আমার মত ও একই । এটা আনন্দবাজার পত্রিকার দুমুখো নীতি । যদিও ওঁরা বলতে পারেন, সম্পাদকীয় ওঁদের মতামত আর খবর হল যেটা ঘটছে তা ।
তবু ঐ সম্পাদকীয় টা আমার ভাল লেগেছে । তাই লিংকটা দেওয়া ।
৪) গণনা তে আনার মত গুরূত্ব অবশ্যই বহন করেছিল । তখন আমি সচলায়তন এর ব্যাপারে জানতাম না । আমার পরচিত মহলে এর প্রতিবাদে কথা বলায় বেশিরভাগ মানুষ আমাকে সমর্থন করলেও কারও কারও কাছ থেকে এমন কথাও শুনতে হয়েছে যে, আমার পূর্বপুরুষের দেশ বলে আমি বাংলাদেশ কে সমর্থন করছি । তবে আশার কথা যাঁদের পূর্বপুরুষের দেশ বাংলাদেশ নয় তাঁরাই এর জবাব ঐসকল মৌসুমী মানবাতাবাদী (আপনার থেকেই ধার করলাম) এবং মৌসুমী জাতীয়তাবাদীদের দিয়েছেন ।
আর "নিহত" কে "আহত" বলে সংশোধনী দেওয়াটা শুধু এই ঘটনার সাপেক্ষেই, কারণ আমি এই ঘটনার ব্যাপারেই বলছিলাম । কোনভাবেই সামগ্রিকভাবে বি,এস,এফ এর কর্মকাণ্ডকে লঘু করে দেখাবার হীন প্রয়াসে নয় । আর সেই ভুলটিও হয়েছিল নিরন্তর হত্যার খবর শুনতে শনতে ।
পরিশেষে বলি আমি ছদ্ম জাতীয়তাবাদীর মুখোশ এটে কখনই কোন পরিপ্রেক্ষিতেই এই ঘটনাতে বি,এস,এফ এর বা ভারত সরকারের পক্ষে একটা কথাও বলা তো দূরের কথা ভাবতেও পারিনা । আমি ভারতবাসী হিসেবে গর্বিত । কিন্তু তা বলে সেই গর্ব রক্ষা করার জন্যে এই নোংরামোকেও সমর্থন করে যাব তা কখনই নয় । তাতে আমার দেশকেই অপমান করা হবে । অন্যকে ছোট করে নিজে বড় হওয়া যায় না । যে সকল ভারতীয় ভারতীয়ত্ব প্রকট করতে গিয়ে ভারতবর্ষের অপমান করেন তাঁরা নিজের দেশকেই ভালবাসতে জানেন না, তো অন্য দেশের ব্যাপারে কী বলবেন !! এরকম মানুষ মানবতার এবং যে দেশে বসবাস করেন সে দেশেরই লজ্জা ।
আর হ্যাঁ প্রতিবাদ করতে আমি অবশ্যই সক্ষম এবং আমার স্বল্প ক্ষমতার মধ্যে দিয়ে আমি তা সম্পূর্ণ ভাবেই করব ।
কিন্তু ধুসর গোধূলি, আপনার ভাষার বেমানান দিকটা আমার সত্যিই বেমানান লেগেছে আর সেটুকুই জানিয়েছি । আশা করি আপনি বুঝতে পারবেন ।
আমি কী সেই পোষ্টে আপনার সাথে সেই ব্যবহার করেছিলাম। তখন আমি সচলায়তনে নতুনও ছিলাম। হ্যাঁ এটা ঠিক যে তৎকালীন সময়ে আপনার এই সিগনেচার দেখে আমার খারাপ লেগেছিল খানিকটা , কিন্তু সেই পোষ্টেই কী সেই বিষয়টা আমি ক্লিয়ার করিনি, আমার ভুল ছিল সেটা বলিনি। আর একটা মানুষের মধ্যে জাতীয়তা বোধ থাকা কি খারাপ জিনিষ। এমন কি আমার সমস্ত কথার ক্লিয়ারিফিকেশন পর্যন্ত দিয়েছিলাম। দেইনি ?? নাকি আপনাকে আপনার উপরিউক্ত ভাষায় আক্রমণ করেছিলাম। আর আমি যে ' সুশীলচোদা রামছাগল ' তা আপনি প্রমাণ করেন দেখি। সচলায়তনে আমার এতদিনের অ্যাটিটিউডে এর প্রমাণ ছিল কী ?
ডাকঘর | ছবিঘর
আমার ঐ জায়গায় করা দুটো মন্তব্য ছিল এই রকম
প্রথমটাঃ
দ্বিতীয়টাঃ
আর ধুসর বাবু আপনি দিলেন এইটা এখনঃ
নিজেই দেখুন। আমি ভুল করেছিলাম তাও আমি বারবার বলেছিলাম ঐ লিঙ্কে তাইনা। এরপরও আপনি আমার উপর এভাবে ব্যাক্তিগত রাগ ঝারছেন তাই না । স্যরি আপনার ভাষা আমার কাছে চমৎকার লাগলো । আমি কী বিএসএফকে সমর্থন করে কোথাও কিছু একবারের জন্যও বলেছিলাম ?
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনি ভুল করেছিলেন সেটা 'বারবার' বলেছিলেন? কবে, কোথায়? আর আপনার উপর ব্যক্তিগত রাগ ঝাড়বো কেনো? জমি নিয়ে আপনার সাথে আমার বিরোধ আছে? আপনার সাথে যতোদূর মনে পড়ে, সেই পোস্টে তো বটেই, কোথাও কোনো তর্কে জড়াইনি সঙ্গত কারণেই। কিন্তু আপনিই আমার একটা পোস্টে উল্লেখ করেছিলেন যে আমার কিছু কথা নাকি আপনার ভালো লাগতো না! সেই কথাগুলো কী তাপশ শর্মা? বিএসএফ'এর হত্যাকাণ্ডকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে মন্তব্য করা?
বিএসএফ'কে সমর্থন করে না হোক, বিএসএফ'এর কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করা যদি আপনার ঐ মন্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত না হয় তাহলে আমার যে ভাষার কথা আপনি কোট করলেন এখানে, সেটার প্রমাণ কী?
জাতীয়তাবোধ থাকা দোষের কিছু না তাপস শর্মা কিন্তু সেই জাতীয়তাবোধ যদি মানবিকতাবোধকে ছাড়িয়ে যায়, সেটা অবশ্যই দোষের। আপনার ক্ষেত্রে এটাই হয়েছে।
আমার ভাষা আপনার কাছে চমৎকার লাগলো নাকি বিদঘুটে লাগলো, সেটা ভেবে কি আমি কথা বলবো?
আর, এখানে তৈলাক্ত এবং ভাজামাছ চিনতে না পারা জাতীয় প্যানপ্যান করার আগে নিজে কোথায় কী বলেছেন সেটা ভুলে গেলে কেমনে হবে বৎস্য! এইখানে দেখেন তো চিনতে পারেন কিনা নিজের কথাগুলো!
আপনাকে খুব ভালো করে বলি, মন দিয়ে কপি করে রাখেন। আর আমি গান্ধীবাদের অনুসারী না। গৌতম বুদ্ধও আমার গুরু নন। কেউ আমাকে, আমার দেশ নিয়ে, আমার মানুষ নিয়ে চিমটি কাটলে আমি তাকে ঘুরে কানসা পাতালি কসে চটকানা লাগাবোই। সবাই তেল দ্রবীভূত হয় না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনাকে তেল দিতে যাবো কোন দুঃখে। মারাত্মক কথা !!!! আপনি বলছেন আমি বলেছি যে আপনার অনেক কথা আমার ভালো লাগতো না , কিন্তু তারপর কি বলেছি সেটা বলেন নি। উপরন্তু নিজেই বলে দিচ্ছেন পছন্দ না করা ব্যাপারটা আমার বিএসএফকে সমর্থন করা!!!!
আমার জাতীয়তাবোধ মানবিকতাকে ছারিয়েছে । কোথায় আমার মানবিকতাহরণকারী সুলভ মানসিকতা দেখেছেন?
শুধু অদ্ভুত সরলীকরণ করে ফেলছেন আপনি। আমার আর কিছুই বলার নাই। আমি একবারের জন্যও দেশ নিয়ে , কিংবা বিএসএফ এর কাজ নিয়ে সমর্থন করিনি। করে থাকলে আমার বক্তব্য আপনি কোট করতে পারেন।
এইবারও দেখুন আপনি আমাকে কি বলেছেন.........
আমি আবারও বলছি সন্দেশের যে পোস্টটাতে আমি প্রথম কথাগুলি বলেছিলাম সেই প্রথম মন্তব্যটাতে আমার কথায় অবশ্যই দোষ ছিল। কিন্তু এর ক্ল্যারিফিকেশন আমি বারবার দিয়েছি।
আমি আপনাকে কোট করেছি কারণ আপনি যেটা করেছেন সেটা ব্যাক্তিগত আক্রমণ। আমি যে কথা গুলি বলিনি আপনি তা নিজের খুশি মত গড়ে নিচ্ছেন।
আর যে পোস্ট এর লিঙ্ক আপনি দিলেন সেখানে আমার বক্তব্যের প্রেক্ষিত টোটাল আলাদা। এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে মন্তব্যকারীর জন্য আমার পরের কমেন্টসও আশা করি দেখেছেন।
ডাকঘর | ছবিঘর
বিয়াফক বিনুদন। গড়াগড়ি দিয়া হাশ্তেছি...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রিয় ধুসর গোধূলি,
আপনার আপত্তিকর বক্তব্যগুলো:
সহ সচল এবং অতিথির প্রতি এহেন আক্রমন সচলায়তনের রীতিবিরুদ্ধ। অভব্য ভাষায় গালাগালি করা কারনে আপনার একাউন্ট কেন বন্ধ করা হবে না এ বিষয়ে আপনাকে কারণ দর্শাতে বলা হল। এই মন্তব্য প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে আপনার ফর্মাল বক্তব্য contact এট সচল বরাবর কিংবা এখানে মন্তব্যে প্রকাশিত না হলে আপনার একাউন্ট বন্ধ করা হবে।
আমার 'আপত্তিকর বক্তব্যগুলো' ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ ক্যাপ্টেন। আশাকরি, যথাসময়ে আমার 'ফর্মাল বক্তব্য' পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গত মাসের সতেরো তারিখে ৪জন খুন। এক মাস ব্যবধানে আরও একটি।
তারিখটা পাল্টেছে, ভেন্যুও পাল্টেছে। পাল্টায়নি কেবল হত্যাকারী বিএসএফ'এর চুতিয়ামি এবং 'নিহত হওয়া বাংলাদেশী'র নিজ নিজ অবস্থান। বাংলাদেশীর ওপর বিএসএফ'এর আবু গারিব স্টাইলের অত্যাচারের ভিডিওর রেশ মিলে যাওয়ার আগেই যশোরে লাশ পড়লো আরেক বাংলাদেশীর। পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যপত্র আনন্দব্যাজার নিশ্চয়ই এবার আইএসআই ছাড়িয়ে মোসাদকে খুঁজে পাবে এই কাজে।
লিংক থাকলো, এইখানে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বাংলাদেশী নাগরিক হাবিবুরকে বিবস্ত্র করে পশুর মতো পেটানো এবং তার পুরুষাঙ্গে পেট্রোল ঢেলে দেয়ার ঘটনায় ৮ জন বিএসএফ সদস্য 'সাময়িক বরখাস্ত' হওয়ার পর গত দশ দিনে বিএসএফ হত্যা করেছে ২ জন বাংলাদেশীকে এবং ধরে নিয়ে গেছে ৮ জনকে।
গতকাল, ৩০-০১-২০১২ (সোমবার) বাংলাদেশের ভেতর থেকেই ধরে নিয়ে গেছে ৭ জনকে। এবং মজার ব্যাপার হলো, "বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) শ্রীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা এগিয়ে গেলে বিএসএফ বাংলাদেশ অভ্যন্তরের ২০০ গজ এলাকায় অবস্থান করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শ্রমিকদের নিয়ে গেছে বলে জানায়।"
বাংলাদেশের ভেতর থেকে বাংলাদেশীদের ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে!
বিএসএফ স্বয়ং বাংলাদেশ সীমানার ২০০ গজ ভেতরে অবস্থান করছিলো!
আমাদের বিডিআর/বিজিবি আর কতো ভালোমানুষী দেখাবে কে জানে! আর কতো বাংলাদেশী নাগরিককে নিজেদের ইচ্ছামতো ধরে নিয়ে গেলে, লেংটা করে গরুর মতো পিটালে, হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে বা পদ্মায় ফেলে রাখলে মাদারচোদ বিএসএফ-এর টেটনামীর সমুচিৎ জবাব দিবে, কে জানে!
আমাদের সম্মানিত মন্ত্রীরা সীমান্তে আর কতো বাংলাদেশীর লাশ পড়লে 'সীমান্তের হত্যা নিয়ে চিন্তিত' হতে বলবে সরকারকে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাস্ট্রদূত পঙ্কজ সরণ আজকে (১২ জুন, ২০১৩) জাতীয় প্রেসক্লাবে 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে দাবী করেছেন এই বছর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যার সংখ্যা শূন্য, অর্থাৎ 'জিরো'।
সরণ সাহেবকে কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ ধরিয়ে দিলে তিনি 'দিল্লী বহুত দূর হ্যায়' জপে মৌনব্রতে চলে যান। তো, আমরা তাঁর মৌনব্রতে কাবাব ম্যায় হাড্ডি না হয়ে বরং একটা তাছবির উনার জিগার কি পাস না হোক, অন্তত নজর কি সামনেই পেশ করি। আশাকরি, বাল্যকালে শেখা শতকিয়া সরণ সাহেব স্মরণ করতে পারবেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন