ব্যানার বানানোর ইতিবৃত্ত

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: বুধ, ২০/১০/২০১০ - ৭:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মিউজিক্যাল র‌‌্যাট লেখার তাড়না অনুভব করছি বটে। কিন্তু এরকম একটা লেখা নামাবার জন্য যে পরিমান ফিলিংস আর ইয়ের সম্মিলিত হাদুমপাদুমের দরকার হয় সেইটা এই মুহূর্তে বায়ুমণ্ডলে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ভিন্ন পথে (কল্কির) নাও ছেড়ে দিলাম। আল্লাহ ভরসা।

'ব্ল্যাপ'। মানে, সোজা ভাষায় বললে, ব্লগের ফ্ল্যাপ। এইটা বাংলা ব্লগাতিহাসের নতুন সংযোজন।

 চিন্তা করে দেখলাম, আমার তো আর ইহজীবনে বই-টই বের করার কোনো সম্ভাবনা নাই। (থাকলেও কেউ কোনোদিন আমার বইয়ের ফ্ল্যাপ লিখতে আগ্রহী হতেন কি-না, এটা একটা বিরাট গবেষণার বিষয়।) কিংবা কোনো বই বের করনেঅলা দরদী ভাইও (বোনও হতে পারেন, তবে সম্ভাবনা ক্ষীণ) অনুরোধ করে দিনের পর দিন গুটকে খোঁচা মেরে তাঁর বইয়ের জন্য ফ্ল্যাপ লিখে দিতে বলবেন না। কিন্তু আমারও তো ইচ্ছা করে ফ্ল্যাপ লেখার, না-কি!

 তো, দুঃখীর দুঃখে আসলে দুঃখীকেই লুঙ্গী কাছা মেরে নামতে হয়। আমার হাতের কাছে দুঃখী বলতে পেলাম একজনকেই। আমার মূলা ঝুলানো ভায়রা ভাই, দুর্নীতিবাজ মেম্বর দ্রোহী। আমাদের দুজনকে দিয়ে কেউ ফ্ল্যাপ লেখায় না, কেউ লিখেও দেয় না। তাই ঠিক করেছি, আমরা নিজেদের লেখাতে আমরা নিজেরাই ফ্ল্যাপ লিখবো, আই মিন 'ব্ল্যাপ'। এখন মেম্বর তো নয় মণ খাঁটি গব্যঘৃত না হলে লিখবেন না বলে ঠিক করেছেন। তাই আমার আর ব্ল্যাপ লেখা হচ্ছে না সহসা। ইতিহাসের শুরুটা করতে হচ্ছে মেম্বরকেই। কিন্তু কোথায় তিনি! চান্সুরুজ সাক্ষী, আমার এই লেখায় মেম্বর ব্ল্যাপ না লিখলে, তেনার খবরই আছে। 

 বলছিলাম ব্যানার বানানি নিয়ে। যদিও এই লেখাটা সচলায়তনের বাঘা ব্যানারুদের কাছ থেকে আসার কথা ছিলো। কিন্তু তাঁদেরকে যথাসাধ্য খুঁচিয়েও কোনো এ পথের ত্রিসীমানায় আনা গেলো না। এপাশে খোঁচা দিলে ঘ্যাঁশ ঘ্যাঁশ করে পেট চুলকে অন্যপাশ ফিরে আবার নাক ডাকেন তাঁরা। তাদের অত্যাধুনিক বাজুকা না পেয়ে বাধ্য হয়ে আমার গুলতি নিয়েই মাঠে নেমে পড়তে হলো। ইয়া হাবিবি।

 কথা অনেক হয়ে গেছে। এবার সোজা ফিল্ডে নেমে যাই।

 প্রথমেই যেটা করতে হবে, তা হলো— "কী" বানাতে চান সেটা ঠিক করতে হবে। আমি এখানে উদাহরণ হিসেবে "শারদোৎসব" নিচ্ছি। এবং ব্যানারের ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে শরৎ কালের আকাশকে রাখতে চাই। অন্যকিছু না। [জোড়া দেয়া ছবিতে আমি সুবিধা করতে পারি না বলে একরঙা ব্যাকগ্রাউন্ডের দিকে আমার নিক্তি ঝুঁকে থাকে সবসময়েই। তবে আপনি চাইলে কিছু কাশফুলের ছবিও নিতে পারতেন।] 

 যোগাড় করলাম সেরকম একটা আকাশের ছবি।

স্টেপ ০- ফটোশপে নতুন একটা জমিন খুলতে হবে ৯৬৫ X ১৫০ সাইজের।

স্টেপ ১- আকাশের ছবিটাকে ফটোশপে ওপেন করে, পুরোটা সিলেক্ট করে তারপর একটু আগে খোলা খালি জমিনের আলের মধ্যে এনে ফেলতে হবে। এরপর ব্যাটাকে ইচ্ছেমতো ডানে-বামে-উপরে-নিচে সমানে কোপাতে থাকেন। অর্থাৎ টেনেটুনে ব্যানারের সাইজের খালি জমিনে ফেলে দেখতে হবে কোন্ দৃশ্যটা ভালো লাগে।

banner_durgapuja1

 স্টেপ ২- শারদোৎসবের ব্যানারে দেবী দূর্গা থাকবেন না, তা কী করে হয়! কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রয়োজন হালকা একটা মনোগ্রাম, যা দেবী দূর্গার উপস্থিতি নিশ্চিত করবে। পুরো প্রতিমা এখানে যাবে না। তাই বহুল প্রচলিত সেই অবয়বটুকুই ফটোশপের আলাদা ট্যাবে খুলে, তারপর 'কুইক সিলেকশন টুল' ব্যবহার করে শুধু 'মনোগ্রাম'টা কপি করে নিয়ে শরতের আকাশে ফেলে অবস্থান ঠিক করে নিলাম। 

banner_durgapuja2

 স্টেপ ৩- এবার ব্যানারটার জন্য একটা বক্তব্য ঠিক করতে হবে। যেহেতু শারদোৎসবকে তুলে ধরছি, তাই শুরু থেকেই রবি বুড়ার 'শারদোৎসব' নাটকের কিছু ডায়ালগ আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো। তবে আবছা আবছা। স্কুলে পড়েছি বলে খুব বেশি করে কিছু মনেও পড়ছিলো না। শরতের আকাশ নিয়ে কয়েকটা লাইন ছিলো, কিন্তু সেটা একটু বেশিই কাব্যিক হয়ে যায় আমার করা ব্যানারের ক্ষেত্রে। একটু মজার কিছু চাই।

নেট বাবাজীর ঘাড়ে সওয়ার হতেই মিলে গেলো। লক্ষেশ্বর বলে একটা চরিত্র ছিলো সে নাটকে। ছেলেরা তাকে ক্ষেপাতো "লক্ষ্মীপেঁচা" বলে। ছেলেরা একটা ছড়াও কাটতো তাকে নিয়ে, সেই ছড়াটা পেয়ে গেলাম— "কাক লেগেছে লক্ষ্মীপেঁচা, লেজে ঠোকর খেয়ে চেঁচা"।

ব্যস, লাগিয়ে দিলাম সেটা ব্যানারে।

 স্টেপ ৪- এবার তো ব্যানারে "সচলায়তন" লেখাটা লিখতে হবে। শ্লোগানটা এক্ষেত্রে ঐচ্ছিক রাখছি, কারণ এমনিতেই টেক্সট বেশি হয়ে যাচ্ছে। সচলায়তন লেখাটা যেকোনো ফন্ট বা রঙে লেখা যায় ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে মানিয়ে। আমি নিজে একটু রঙচঙা (কালারফুল) জিনিস বেশি পছন্দ করি তো! তাই ব্যানারের ফন্টে তো বটেই, পারলে আমার আশেপাশের মানুষজনকেও বার্জার কালার ব্যাংকের রঙের পুকুরে গোসল করিয়ে দেই।

 তো সেই মোতাবেক "সচলায়তন" লিখে "লক্ষ্মীপেঁচা"কে টেনেটুনে যেখানে ভালো লাগলো, সেখানে বসিয়ে দিলাম নিচের মতো করে। [মনে রাখবেন, এক্ষেত্রে ফন্টের আকার, আকৃতি, রঙ, অবস্থান- সবকিছুই নির্ভর করবে আপনার উপর। যেখানে, যেভাবে আপনার কাছে দেখতে ভালো লাগে!]

banner_durgapuja3-4

 স্টেপ ৫- ব্যানার বানানি প্রায় শেষ। এ পর্যায়ে এসে কেমন জানি 'খালি খালি' লাগছিলো ব্যানারটা। "শারদোৎসব" কথাটা লেখা থাকলে ব্যানারটা আরেকটু ভালো হতে পারতো দেখতে! এমনটা মনে হচ্ছিলো। তো শারদোৎসব কথাটা লিখে যে সমস্যা খেয়াল করলাম তা হলো, "শারদোৎসব"কে কোথায় বসানো যায়!

 অবশেষে লেখাটাকে আনুভূমিক অবস্থান থেকে উলম্বাবস্থায় রূপান্তর করে [ফটোশপের টেক্সট টুলসেই আছে, বাঁ দিকে] সর্ববামে টেনে নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দিলাম নিচের ছবির মতো করে।

banner_durgapuja5

 স্টেপ ৬- এই জিনিসটা ব্যানারায়তনে মেইল করার আগে একবার ভাবলাম, মুর্শেদ খালি গ্লাস টেক্সট ইফেক্টের কথা বলে। দেখি তো সেরকম কিছু একটা করার চেষ্টা করে! একটু এদিক-সেদিক করে শেষমেষ ব্যানারটা যা দাঁড়ালো তা নিম্নরূপ।

 তবে গ্লাস টেক্সট নিয়ে কাজ করার মতো যুতসই বাংলা ফন্টের অভাব বোধ করলাম বেশ।

banner_durgapuja_final

 পরিশিষ্ট- ফটোশপে আমার জ্ঞান ক-অক্ষর গো মাংস। সুতরাং এর খুঁটিনাটি জিজ্ঞেস করলে কিছুই বলতে পারবো না। তারপরেও চেষ্টা করবো আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতোটুকু সম্ভব, ব্যানার বানানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করার। শুরুতেই হয়তো মুস্তাফিজ ভাই, উজানগাঁ কিংবা নজু ভাইয়ের মতো দৃষ্টি নন্দন ব্যানার হবে না। তবে আমি নিশ্চিত বাজী ধরে বলতে পারি, সচলের যে কেউ ব্যানার বানানো শুরু করলে সেটা ধুগোর ব্যানারের চেয়ে কমপক্ষে দশগুণ সুন্দর হবে।

 তাহলে আর দেরি কেনো! শুরু করে দিন মজার মজার আর সুন্দর সুন্দর সব রঙ-বেরঙের ব্যানার বানানো। পাঠিয়ে দিন ব্যানারায়তনের ঠিকানায়। আপনাদের সবার করা ব্যানারে সচলায়তন সেজে উঠুক নতুন সাজে, ঝলমল করে উঠুক নতুন রঙে, প্রতিদিন।

 সবাইকে শারদোৎসবের শুভেচ্ছা।

 


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এসব স্টেপ পড়েও আমার সেন্স আসলো না।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার ব্যর্থতা ক্যামনে হইল? আমি তো বুঝলাম কেমনে কি করতে হবে। এই টিউটোরিয়াল আমি যদি ফলো করি তো সবগুলো ব্যানার একই রকম হবে। তার মানে আমার কোন সেন্সই নাই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আপাতত একটা বানান। পরেরটা দেখবেন অটো চেঞ্জ হয়ে গেছে। আর সচলায়তন তো আপনার কাছে ব্যানায় পাওয়া হয়ে আছে পিপিদা। এরম করেন ক্যা! মন খারাপ



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

সাফি এর ছবি

লেখার প্রথম অংশের ফন্টে কোন সমস্যা হয়েছে মনে হয় বস। ব্যানার খানা খাসা হয়েছে হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ফন্টে সমস্যা হয় নাই মিয়া। ছোট করে লিখছি। ঐখানে ইনফ্যাক্ট মেম্বরের লেখা "ব্ল্যাপ" আসার কথা। কিন্তু মেম্বর লা-পাত্তা। তেনারে হারিক্যান বাত্তি দিয়াও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মন খারাপ



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

তৌফিক হাসান [অতিথি] এর ছবি

বড়ই শিক্ষামূলক পোস্ট।
তবে সচলে যে মানের ব্যানার হয়, ওই মানের ব্যানার বানাইতে গেলে যে শিল্পী মন থাকতে হয় তা আমার নাই রে ভাই। তারপরেও দেখি একটা চেষ্টা নিমুনে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সাইফ তাহসিন এর ছবি

টিউটোরিয়াল ভালু পাইলাম, কিন্তু আমার ফুটাশপে বাংলা লেখা যায় না, আপনার ফুটাশপের ভার্ষন কত গুরুদেব? গিম্পে কাম করতে গেলে জানালাতে বাংলা লেখা যায় না। উবুন্টুতে গিম্প পাংখা কাম করে। আপনার ফুটাশপে কি ইউনিকোড সাপুর্ট করনের লাইগা আলাদা কিছু ঝুলাইছেন্নি?

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

কৌস্তুভ এর ছবি

মুর্শেদ ভাইয়ের একটা পোস্ট ছিল, দেখেন...
http://www.sachalayatan.com/mahbub/31616

সাইফ তাহসিন এর ছবি

থেন্কু, এইটা কেমনে মিস করছিলাম জানি না, কামে আইবো

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এখন তো সিএস-৪। তবে আমি ফটোশপ-৭ এও ব্যানার বানানের জুররত করতাম ডাগদর ভাই। তবে তখন কাগুর উপর নির্ভর করতে হতো জটিল বর্ণের জন্য।
কৌস্তভ তো লিংক দিলো, দেখেন ইউনিকোডেও সম্ভব এখন যেকোনো বর্ণ লেখা।

ইয়া হাবিবি



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

cs5 ঝুলামু আইজকা বাসায় গিয়া যদি টরেন্টে আইসা থাকে, দেখা যাক, কোথাকার পানি কোথায় গিয়া দাড়ায়। ইউনিকোড সাপোর্ট পাইলে এক গামলা ইনসুলিন রেডি করুম কাগুর ইয়েতে দেবার জন্যে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

কৌস্তুভ এর ছবি

কাগজের উপর পেন্সিল দিয়ে আঁচড় কাটলেই যে ছবি আঁকা হয়, সে থিওরি তো জানি, কিন্তু তাই বলে কি আমি সুজন্দার মত ছবি আঁকতে পারি? ব্যানারের ব্যাপারেও তাই হবে...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

হে হে হে
ব্যানারের ব্যাপারে সুবিধা হইলো কোনো আঁকাআঁকি নাই। তবে কাঁপাকাঁপি আছে। মানে হাত কাঁপে আরকি! আর আঁকাআঁকি থাকলে দেখায়া দিতাম ব্যানার কারে কয়! দেঁতো হাসি

আপনে ফটোশপ খোলেন, একটা ফটুক নেন। তারপর যা যা কৈলাম সেই মোতাবেক "কিছু একটা" করেন। দেখবেন একটানে কী তামশা একটা ব্যানার হয়া গেছে। না হইলে পয়সা ফেরত, যান।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

স্পর্শ এর ছবি

আমি নিজে একটু রঙচঙা (কালারফুল) জিনিস বেশি পছন্দ করি তো! তাই ব্যানারের ফন্টে তো বটেই, পারলে আমার আশেপাশের মানুষজনকেও বার্জার কালার ব্যাংকের রঙের পুকুরে গোসল করিয়ে দেই।

আসেন বুকে আসেন। আপনার সাথে কোলাকুলি করি! দেঁতো হাসি

স্টেপ ৫ এর যেটা আউটপুট

সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগসে। ৬ নং ধাপে গ্লাস ইফেক্ট দেওয়াতে রংচং একটু কমে গেছে। ইয়ে, মানে...

সেই যেদিন ব্যানার বানানোটা পাবলিক ডোমেইন, মানে ওপেনসোর্স, করে দেওয়া হলো সেদিন থেকেই একটা ব্যানার বানাবো বানাবো করতেসি। যাক এখন আপনি যেহেতু শিখিয়ে দিলেন। একটা সুপারমাস্টারপিস ব্যানার বানিয়েই ফেলবো। যা আছে কপালে। ইয়া হাবিবি!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

না, অখন কোলাকুলি করুম না। একটু বিজি আছি। দেঁতো হাসি

গ্লাস ইফেক্টের কাহিনিটাই এমন। ওপাসিটি কমানো। রঙ গুলারে ম্যান্দামারা বানাইয়া দিছে। আরে, ব্যানার হবে ঝকঝকা, ঝলমলা। এই নির্মেদ সত্যটা আমাদের ভিক্ষা কল্যান সমিতির সদস্য ছাড়া আর কে বুঝবে, কন? শুরু কইরা দেন, যা আছে (ব্যানারের) কপালে। ইয়া হাবিবি।

আমি ঠিক্কর্ছি, আপনেরেই বাঁশিপুরের ধুগো ইঞ্চার্জ নিয়োগ দিবো। জিয়েমটিরে নিয়া বিশ্বাস নাই। খালি বালিকাদের (মতান্তরে মহিলাদের) হাত ধরতে চায়। কোম্পানির স্বার্থে কিছুই করে না!



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ওস্তাদ, অক্ষণি বসলাম হাতা গুটায়া, ব্যানার বানামুই।
... কিন্তু শালিটালির ছবি পাইতে আছি না- ছবি দ্যান। নাইলে কলাম ন্যান্সি আজ্রাম্রে দিয়াই ব্যানার বানায়ালামু...

_________________________________________

সেরিওজা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

ছালির ছবি পামু কই? বিডিআররে ধরেন। সেদিন দেখলাম বিডিআর, মেম্বর আর ইশতি মিল্যা এক 'নাউযুবিল্লা' বালিকার ফটুক নিয়া আলাপ করতাছিলো। সবগুলা ভ্রষ্ট হৈয়া গেছে! ঈমান আকিদার পথে একটাও নাই। মন খারাপ



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

সোহাগ [অতিথি] এর ছবি

উবুন্টুতে গিম্প দিয়া ক্যামনে ব্যানার বানায়, হেইডা কেউ কী কইতে পারেন?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

হেইডা যে কইবো হেয় এই মুহূর্তে ইঙ্কস্কেপ নিয়া মহা ব্যস্ত আছে!
অনুগ্রহ করে পরে আবার ডায়াল করুন। টিংটং... নেক্সট...



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

গ্লাস ইফেক্টের চাইতে ইফেক্ট ছাড়াটাই ভাল্লাগতেসে ...


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

দশ কথার এক কথা।
কিন্তু গ্লাস ইফেক্ট দেয়াটায় আমার মনে হচ্ছে শরতের আকাশটাকে কিছুটা হলেও ধরা যাচ্ছে। অন্যটায় আকাশের চেয়ে লেখাটায় চোখ পড়ে যাচ্ছে বেশি।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

নৈষাদ এর ছবি

শিখলাম। কনসেপ্ট ব্যাখ্যা করে স্টেপের বর্ণনা ভাল লাগল।

ব্যানারটাও ভাল লেগেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রংচং এর দারুণ ভক্ত আমি। ব্যাখ্যার পরও বলতে হয় আমার পাঁচ নম্বরটা বেশি পছন্দ হল।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কানে কানে বলি, ৫ নাম্বারটা আমারও বেশি পছন্দ হয়েছে নৈষাদ'দা। চোখ টিপি

স্টেপের বর্ণনাগুলো আসলে কতোটা পরিষ্কার হয়েছে বুঝতে পারছি না। রঙে রঙে ভরিয়ে দিতে কেউ একটা ট্রাই দিলে বুঝতে পারতাম, সমস্যা গুলো কোথায়!



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

সিয়াম এর ছবি

ব্যাকগ্রাউন্ড "যুইতের" হলে গ্লাস টেক্সট খারাপ লাগে না।
একটা গ্লাস ইফেক্টের টিউটোরিয়াল দিয়েছিলাম অনেক আগে, দেখতে পারেন- http://potasiyam.deviantart.com/art/Vista-aero-effect-tutorial-88661128
পরে অভ্র ৫-এ স্প্ল্যাশের টেক্সটেও এই ইফেক্টটা দিয়েছি।

দ্রোহী এর ছবি

এই বছর তো শেষ! নতুন বছরে ব্ল্যাপ লেখুমনে।

আমি পটুশপ পারি না। মন খারাপ


কাকস্য পরিবেদনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আপনেরে পটুশপ পারতে কে কৈছে? আপনে ব্ল্যাপ ল্যাখেন মিয়া। মনে রাইখেন, আপনেরে দিয়া এই আমারে ছাড়া আর কেউ ব্ল্যাপ বা ফ্ল্যাপ কিছুই ল্যাখাইবো না। সুতরাং, আমার কদর করেন। বাড়িতে ডাইকা নিয়া দুইটা বিড়ি, চা-চু খাওয়ান। ভাবীর হাতে একখান খিলাল পান খাওয়ান। মিয়া, গুণী আত্মীয়ের কদর করতে শিখেন।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপনার পটুশপ নিয়ে টিউটোরিয়াল কিন্তু ওভারডিউ হয়ে গেছে দ্রোহীদা। এইবেলা ভালোয় ভালোয় ছাড়েন!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

উদোর টিউটোরিয়াল লেখার ভার ভূতোর ঘাড়ে চাপাচ্ছেন যে বড়!

ইঙ্কস্কেপ নিয়া সচলে টিউটোরিয়াল লেখার মানুষ একজনই আছে। তারে লিখতে বলেন।


কাকস্য পরিবেদনা

জি.এম.তানিম এর ছবি

চাল্লু জিনিস হইসে একটা!

৫ নম্বরে ৫ দিলাম!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজনের করা ব্যানার সচলে দেখতে চাই। তার মধ্যে আপনি হলেন একজন। আমাকে পঁচিয়ে, না পাঁচিয়ে একটা ব্যানার করে ফেলেন। আমাদের কোম্পানির মুখ উজ্জ্বল করেন বস।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

বাউলিয়ানা এর ছবি

দেখি একদিন আমিও...

ধুসর গোধূলি এর ছবি
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

টিউটোরিয়াল আসতে অনেক দেরি হল মনে হয়! দেখি এবার আমিও মাঠে নেমে পড়ব, cs5 টা যোগাড় করে নেই, আপাতত বাংলায় লেখার কষ্টে আছি। মন খারাপ
টিউটোরিয়াল ভালো হয়েছে। দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সুবহানাল্লাহ!! দেরি আর কি!

নেমে পড়েন, পত্রপাঠ। তারপর ওয়ার্ল্ড রেডি কম্পোজার দিয়ে ফাটায়ে বাংলা লেখেন। আর পারলে বৃন্দা ফন্টটাকে ইউজ কৈরেন না। এই বেটি মোটেও সোন্দর্য না দেখতে।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

কালকে মনের আনন্দে ফটুশফ ছাড়াই একটা বানায়ে ফেলে পাঠায়ে দিছি। আজকে cs5 হাতে পাইছি। এখন আপ্নের টিউটোরিয়াল নিয়া গুঁতাই। দেঁতো হাসি
আর বৃন্দারে আমিও বালু পাই না।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

একদিন আমিও! মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মুস্তাফিজ এর ছবি

অনেককিছু শিখলাম, দেখি একটা ব্যানার বানাইতে হইবে।
বৃটিশ আমলে ফটোশপের উপর একটা টিউটোরিয়াল লিখেছিলাম (ভার্সন ৩)। নুতন করে আবার লিখবো নাকি ভাবছি।

...........................
Every Picture Tells a Story

ধুসর গোধূলি এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।