১৫ মার্চ ভারত বনধ- ভিডিও

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/০৩/২০১২ - ৫:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মার্চের এক তারিখে আমরা ঘোষণা দিয়ে ভারত বনধ পালন করেছি। অনেকেই এর সাথে মতৈক্যে আসেননি, আবার অনেকেই তীব্র সমর্থন জানিয়েছেন। সচেতনতা তৈরী করেছেন। ভারত বনধ পালনের কারণ, সীমান্তে বিএসএফ এর বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা এবং এই ব্যাপারে ভারতীয় সরকারের রহস্যজনক নীরবতা- প্রচার করেছেন।

যারা ভারতের পণ্য, সেবা এবং বিনোদনকে 'না' বলতে পেরেছেন, তাঁরা সেটা করেছেন নিজের জন্যই। নিজের বিবেকবোধ, বিচারবোধ আর আত্মসম্মানবোধ থেকেই।

যারা সেটা করেননি, করতে চাননি, তাঁদের এইসব বোধে স্পষ্টতই পার্থক্য রয়েছে। আজকে মার্চের ১৩ তারিখ। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সংগ্রহে থাকা খবর গুলোর দিকে এক নজর তাকাতে অনুরোধ করি তাদের, গত ১৩ দিনে সীমান্তে বিএসএফ এর ছোড়া ককটেলের আঘাতে আহত হয়েছে সর্বমোট ৫জন, এদের মধ্যে পরে বিএসএফ রড আর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে একজনকে, সাথের দুইজনকে করেছে আধমরা, ধরে নিয়ে গেছে সীমান্তের কাছে জমিতে কাজ করতে থাকা একজন কৃষককে, প্রথমে গুলি করে আহত করে তারপর অপহরণ করে নিয়ে গেছে দুই বাংলাদেশীকে।

যারা ভারতের পণ্য, সেবা এবং বিনোদনে নিমজ্জিত আছেন এবং তাই থাকার নানা বাহানা খুঁজে চলেছেন, এই সংখ্যাগুলো তাদের কাছে হয়তো কেবলই কিছু সংখ্যা। আশা করতে দোষ নেই, তাই করি। একদিন আপনাদেরও বিবেক জাগ্রত হবে, বিচার করার ক্ষমতা হবে এবং সর্বোপরি আত্মসম্মান নামক বস্তুটার অস্তিত্ব টের পাবেন নিজের ভেতরে। সেদিন হয়তো বুঝতে পারবেন, সীমান্তে বিএসএফ এফ অত্যাচার-হত্যার শিকার হওয়া 'সংখ্যা'গুলো আপনার মতোই রক্তমাংসের মানুষ ছিল। আমরা সেইদিনের অপেক্ষায় থাকলাম, আপনাকেও ভারতীয় পণ্য, ভারতীয় সেবা এবং ভারতীয় বিনোদন বর্জনের আন্দোলনে সাথে পাবো বলে!

সীমান্তে বিসিএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যা এবং নির্যাতন সংক্রান্ত আমার আগের পোস্টের সাথে একটা ভিডিও দিবো বলেছিলাম, সেটা সম্ভব হয়নি মাত্রাতিরিক্ত ব্যস্ততায় পড়ে যাওয়ার কারণে।

১৫ মার্চ ভারত বনধ-কে সামনে রেখে একটা ভিডিও তৈরী করে দিয়েছেন সচল যাযাবর ব্যাকপ্যাকার। ভিডিওতে ব্যবহৃত তথ্য উপাত্ত সন্নিবেশের দায়িত্বে ছিলেন সচল দ্রোহী। ভিডিওচিত্রে ব্যবহৃত বাদ্যটি সহসচল রাহিন হায়দারের করা 'একাত্তর থিম'।


মন্তব্য

সাই দ এর ছবি

এই ভিডিও ফাইলটা কি ফেসবুকে শেয়ার করতে পারি

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

ভিডিও'র জন্য যাযাবর ব্যাকপ্যাকার, দ্রোহী, রাহিন হায়দার এবং ধুগো দা'কে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই তেরো দিনের পরিসংখ্যান দেখে তো শিউরে উঠলাম!
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের অনাচার বন্ধ হোক।
১৫ মার্চ ভারত বনধ সফল হোক!

বৃষ্টির রঙ এর ছবি

আমরা আছি।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক অনেক ধন্যবাদ এটা তৈরির জন্য।

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

চলুক

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার হয়েছে ক্লিপটা। নির্মাণের সাথে যাঁরা জড়িত ছিলেন সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং সাধুবাদ। ফেইসবুকে শেয়ার দিচ্ছি।

ভেজাল এর ছবি

এই ভিডিওটাকি শেয়ার করতে পারি?ফেসবুকে এবং অন্য ফোরামে?
ক্যাপচাতো দেখি না তাহলে এটা আসে কেন??
""To complete this form, please complete the word verification below.""

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ভিডিও-র শেষে ব্যবহৃত পোস্টার দুইটা যথাক্রমে সচল স্যাম ও সচল মুস্তাফিজ ভাইয়ের তৈরি। তাদেরকে ধন্যবাদ।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

shafi.m এর ছবি

ধন্যবাদ।

স্যাম এর ছবি

ধুগোদা গুরু গুরু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

যাঁরা শেয়ার করার বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য বলি, অবশ্যই শেয়ার করবেন। কোনো কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করতে হবে না। যতোটা পারা যায় ছড়িয়ে দিন ১লা মার্চের ডাক, ১৫ মার্চের আহ্বান, সর্বোপরি ভারত তথা বিএসএফ-এর হিংস্র জিঘাংসার খবর। আমরা ভারতের বাজারও হবো, আবার তাদের হাতে নির্বিচারে পাখির মতো মরবোও- সেটা কেনো মেনে নিবো আমরা? আমাদের কি নিজের মেরুদণ্ড নাই! দাঁড়াতে পারি না আমরা?

নির্ঝরা শ্রাবণ এর ছবি

ধুগোদা,

শুধু স্টার প্লাস আর সনি এই দুইটা চ্যানেল বন্ধ করাইতে পারলেই মোটামুটি আমাদের দেশে ভারতের কাপড়ের ব্যবসা লাটে উঠবে, সেইসাথে দেশীয় বুটিক হাউসগুলোরও প্রসার ঘটবে।

আমরা খুব সহজেই ভারতীয় কোলগেট এর বদলে স্কয়ার এর হোয়াইট প্লাস, সুপার ম্যাক্স এর বদলে বিদ্যুৎ ব্লেড, ডারমি কুল ঘামাচি পাউডার এর বদলে দেশি আইস কুল পাউডার ডাবর হানি এর বদলে দেশী মধু, ভারতীয় তেল এর বদলে দেশে উৎপাদিত যেকোনো তেল ব্যাবহার করতে পারি। এ ব্যপারে সবাইকে সচেতনও করছি।

কিন্তু অনেকেই যখন প্রশ্ন করে ভারতীয় পিয়াজ, তুলা ছাড়া চলবে কি করে কিংবা টাটা গাড়ি (বড় বাস) বা মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর এর বিকল্প কি আছে তখন আটকে যাচ্ছি ।

সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি তা হল ঢাকা-চট্টগ্রাম এর মত যানজটের নগরীতে পালসার, হিরো হোন্ডা এর বিকল্প কি আছে। কারণ, চায়না জনশেন বা বাংলাদেশের ওয়াল্টন এর মটর সাইকেল মানে-গুণে এদের সমকক্ষ এখনো হয়ে উঠেনি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১। ভারতীয় বড় বাস, ট্রাকের শুধু বিকল্প না অনেক বেশি ভালো বিকল্প আছে। ভারতীয় নতুন বাস-ট্রাকের চেয়ে জাপানী রিকন্ডিশন বাস-ট্রাক মানে উন্নত, দীর্ঘস্থায়ী, দামও সুবিধাজনক। এমনকি জাপানী পুরনো গাড়িও বেশ ভালো। জাপানের বিকল্প দক্ষিণ কোরিয়াতেও আছে। আমাদের কর্তারা সেই যে কবে আমদানী নীতিতে এক প্যাঁচ কষে রেখেছেন তাতে ছোট প্রাইভেট কার আর দামী এসইউভি ছাড়া বাকি সব যানবাহনে বাংলাদেশে ভারতের একছত্র বাজার বানিয়ে রেখেছে। এতবার সরকার পালটায় কিন্তু এই নীতি আর পালটায় না। বিপুল সম্ভাবনার 'প্রগতি'কে ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে রাখা হয়েছে। একবার উদ্যোগ নেয়া হলো 'প্রগতি' 'হিন্দুস্তান মোটরস'-এর কাছ থেকে 'বেডফোর্ড'-এর গাড়ি কিনবে। কেন? প্রগতি নিজে সরাসরি বেডফোর্ড থেকে কিনতে পারে না! জলপাই আমলে মঈন উ'র ভাই ভারত থেকে শত শত বাস এনে বিআরটিসি'তে সাপ্লাই দিয়েছে। এই হিসাবগুলো বুঝতে হবে।

২। মোটর সাইকেল বা স্কুটারের ক্ষেত্রেও উপরের কথা প্রযোজ্য। তাছাড়া গণচীন খারাপ মানের মোটর সাইকেল বানায় এই ধারণাটিও ঠিক না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

তুলার ব্যাপারে সাম্প্রতিক ভারতীয় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিলো এখানে, হোলো না। যাইহোক, আপাতত ভারতীয় পণ্য/ সেবার যে বিকল্পগুলো আমাদের হাতের কাছেই আছে সেগুলো দিয়েই শুরু করি না কেনো? তুলা, পেঁয়াজ টা নহয় পরেই হোক।

কিন্তু ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলের তো কোনোই আবশ্যকতা নাই কোনো দিক দিয়ে।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনার কাজ আপনি করে যান, ফলের আশা না করে। ভবিষৎ এর জন্য দলিল হয়ে থাকবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।