ডিসক্লেইমারঃ শিরোনামটা নিয়ে ভাবছিলাম, কী হতে পারে! অথবা কী দিতে পারি! খানিকক্ষণ ঘিলুহীন মাথা ঘাটানোর পরেও কোনো ধনাত্বক সিদ্ধান্তে আসতে না পেরে শুরু করে দিলাম। এরমধ্যে যুতসই একটা শিরোনাম খুঁজে পেলে টানিয়ে দেবো, আর না পেলে, সম্মানিত পেয়ারের পাঠক (এবং ততোধিক পেয়ারের পাঠিকা), আপনাকে একটু কষ্ট করে শিরোনামটা চিন্তা করে নিতে হবে।
আরজ গুজার- জনাবে আলা আল ধুগো।
মাননীয় খাজাবাবা-হেডকের্দান, ধুগো ইন্টারন্যাশনাল
ফ্রেন্ডস টিভি সিরিজটা প্রথম দেখেছি সেই টিভিতে। তারপর অনেক কালের গ্যাপ। ফ্রেন্ডস নামে একটা টিভি সিরিজ ছিলো, বা আছে, কিংবা থাকতে পারে- এমন তথ্যই গাপ করে দিয়েছে আমার ঘিলুহীন মস্তিষ্ক! গাপ করে রেখেছে, আনটিল... দ্য ইয়ার টু থাউজেন্ড এন্ড ফোর। সেবার ফ্রেন্ডস-এর দুয়েকটা পর্ব দেখা হয়ে যায় অনেকটা হঠাৎ করেই। তারপরে আবার বেশ লম্বা একটা গ্যাপ।
সিরিজ দেখতে শুরু করলে সেটা একেবারে শেষ না করার পর্যন্ত অন্য কিছু করার ইয়ে থাকে না বলে সাধারণত আমি সিরিজ দেখা শুরু করি না। যদি না সামনের বেশ কয়েকদিন শুয়ে শুয়ে নিশ্চিন্তে ঠ্যাঙ নাচানোর নিশ্চয়তা পাওয়া যায়! এমনি এক সময়ে, আবার ফ্রেন্ডস দেখা শুরু করেছিলাম, মাস কয়েক আগে। কিন্তু, গরীবের কপালে কি আর সুখ সয়! টানা কিছুদিন দেখার পরেই নিশ্চিন্তে ঠ্যাঙ নাচানো অধ্যায়ের যবনিকা ঘটে। ঘরে ফিরে-ই কিংবা ঘর থেকে বের হওয়ার ঠিক আগ পর্যন্ত- সময়গুলোতে আমি ফ্রেন্ডস দেখতে থাকি। যেহেতু অনলাইন চ্যানেলে দেখি, তাই এরকম করে করে প্রায়ই কিছু পর্ব বারবার দেখা হয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু শেষ আর হচ্ছিলো না। শেষের পর্বগুলো আর দেখা হয়ে উঠছিলো না।
অবশেষে, অনেক অধ্যবসায়ের পরে ফ্রেন্ডস-এর শেষ পর্বটা দেখতে পেলাম। যেকোনো ভালো সিরিজই অনেকদিন চলার পরে যখন শেষ হয়ে যায় তখন কেমন জানি একটা অস্বস্তিকর, ভোঁতা অনুভূতি হয় বুকের মধ্যে। খুব প্রিয় কিছুকে হারিয়ে ফেলার পর খা-খা অনুভূতি!
এই খা-খা অনুভূতিকে প্রশমন করার জন্য উপায় একটাই। নিজের মধ্যে খা খা ভাবনা জাগিয়ে তোলা। 'আই ইট, হোয়েন আই অ্যাম আপসেট'- গুরুর এই বাণীকে নিজের জীবনের একমাত্র প্রয়োগযোগ্য মটোতে পরিণত করে নেমে গেলাম ময়দানে। খা খা ভাবনা দিয়ে বুকের ভেতরের খা-খা অনুভূতিকে দমন করার মিশনে।
শতভাগ সাফল্যগাঁথা এই মিশনের সচিত্র বর্ণনা থাকবে এই লেখায়। সেই পর্বে যাওয়ার আগে একটা গান শুনতে থাকুন। মিশনে নামবেন, মুডের একটা ব্যাপার স্যাপার আছে তো! তো সেই মুডের উপর ভিত্তি করে দুই রকমের গান দিলাম। যাঁরা সিরিয়াস মুডে আছেন, তাঁরা এইটা শোনেন...
আর, যাঁরা একটু হালকা-পাতলা মুডে আছেন, তাঁরা পোস্টের সাথে সেমি-রিলেটেড এইটা শুনতে পারেন...
মূল মিশনে নামতে মশলা সেক্টরে আপনার প্রধান যে সব অস্ত্রপাতি লাগবে তার তালিকা আগে নিচ থেকে টুকে নিন-
১) হলুদ গুঁড়া - ২) জিরা গুঁড়া -
৩) ধনিয়া গুঁড়া - ৪) লবঙ্গ -
৫) দারুচিনি - ৬) এলাচি -
৭) তেজপাতা - ৮) গরম মশলা -
৯) মাংসের মশলা - ১০) বিরিয়ানি মশলা -
আদা-রসুন-মরিচ সেক্টরে যা যা লাগবে আপনার-
১১) রসুন (৫-৬ কোয়া), আদা (ইট্টুহানি), লবন (এইটার পরিমান পরে বলতেছি), তেল (সয়াবিন এবং সরিষা), কাঁচামরিচ (ঝাল কেমন সহ্য করতে পারেন, সেটার উপর সংখ্যার রেঞ্জ ৫-২০), ঘি (হইলে ভালো হয়, না পাইলে বাটার)।
সবজি সেক্টরের উপাদান-
১২) মিক্সড ভেজিটেবলের প্যাকেট।
১৩) পরিষ্কার নতুন আলু।
মূল পদাতিক ডিভিশনে যা না হইলে আপনি মিশনেই নামতে পারবেন না-
১৪) চাউল (কালিজিরা হইলে চরম)।
১৫) মশুরের ডাইল।
চলেন এইবার যুদ্ধে যাই-
প্রথমেই চাল-ডালের অনুপাত মোটামুটি ফিফটি-ফিফটি করে খাবলা খাবলি করে মিশিয়ে ফেলুন রাইস কুকারের পাত্রে। তারপর ভালো করে সুন্নতি ধোয়া দিন। অর্থাৎ, মিনিমাম তিনবার। তারপরেও যদি দেখেন চাল-ডালের পানি স্টিল ডাবের মানির মতো, তাইলে আরও একবার সুন্নতি ধোয়া দিন। তবে এই পর্যায়ের ধোলাইগুলো সুন্নতের খাতায় না পড়ে নফলের খাতায় গিয়ে যোগ হবে।
এইবার মোটামুটি স্ট্যান্ডার্ড সাইজের একটা পেঁয়াজ নিয়ে খুব যত্ন করে, আত্মি করে, আস্তে আস্তে নির্দয়ের মতো ফালা ফালা করে ফেলুন। চিকন ফালি করার দরকার নেই। একটু পুরু হলেই বরং ভালো। ফালিগুলো এবার পাত্রের চাল-ডালের মিশ্রণের উপর খুব সুন্দর আর শৈল্পিকভাবে ছড়িয়ে দিন। ও ভালো কথা, পেঁয়াজের কথা উপরে অস্ত্রপাতির লিস্টে যোগ করতে ভুলে গেছি মনেহয়। একটু কষ্ট করে যোগ করে নিন যেকোনো সেক্টরে।
আদা ব্যাটার ছাল ছিলে কুচিকুচি করে উপুর্যপরি ইয়ে করে ফেলুন চপবোর্ডে ফেলে। তারপর ধরুন রসুনকে। কোয়াগুলোর উপর হাতের ছুরিটা পাতালি রেখে হাতের তালু দিয়ে একটু চাপ দিলেই দেখবেন টশ করে শব্দ করে কোয়া'র ইয়ে মারা সারা হয়ে গেছে। তারপর রসুনের কোয়াগুলোকেও চপবোর্ডে ফেলে উপুর্যপরি ইয়ে করে ফেলুন। এইবার আদা-রসুনের কুচিকে পেঁয়াজের চেয়েও শৈল্পিকভাবে পাত্রের উপর ছড়িয়ে দিন।
মিক্সড ভেজিটেবলের প্যাকেট থেকে আমার নাম নিয়ে কিছু সবজি ঢেলে দিন। সাথে খুব ছোট করে কেটে রাখা আলুকেও ফেলে দিন পাত্রে। খেয়াল রাখবেন, যেনো চাল-ডাল আর সবজি-আলুর সম্মিলিত মিশ্রণ আপনার পাত্রের তিন ভাগের দুইভাগ হয় সর্বোচ্চ।
এবার সবগুলো গুঁড়ামশলা একটু একটু করে ঢালুন। বেশি ঢাললে ক্ষতি নাই, কিন্তু কম ঢাললে কিংবা 'খুব' বেশি ঢেলে ফেললে স্বাদের তারতম্য হবে, আগেই বলে রাখি। ৪-৫ টা এলাচি তুলে নিয়ে পাত্রে ফেলুন। সাথে সমসংখ্যক লবঙ্গ।
দারুচিনির ব্যাপারে বলি, মোটা হোক চিকনা হোক, কড়ে আঙুলের দৈর্ঘ্যের সমান দুইটা স্টিকই যথেষ্ট।
এবার পাত্রে তেল মারুন। প্রথমে সয়াবিন, তারপর অল্প পরিমানে সরিষার তেল। এতে সরিষার তেলের ঝাঁজ আপনার খাবারে আলাদা মাত্রা যোগ করবে। হাতের তালুতে একটুখানি লবন নিয়ে ফেলে দিন পাত্রে।
তারপর, জামার হাতা গুটিয়ে ইয়ালি বলে ঝাঁপিয়ে পড়ুন পাত্রের উপর। না না, ছিঃ ছিঃ, পাত্রের শ্লীলতাহানী করতে তো বলিনি। বলেছি, পাত্রের মধ্যে যেসব পদার্থ আপনি এতোক্ষণ অপদার্থের মতো যোগ করেছেন সেগুলো খাবলা খাবলি করে ভালো মতো মিশিয়ে ফেলুন। এই কাজটা করতে হবে পেয়ারসে। নাইলে চালের অবস্থা বানচাল হয়ে যেতে পারে আপনার খাবলাখাবলিতে। কাজেই, খুব সাবধান... খুউব সাবধান...।
মিশ্রণকার্য সম্পাদনের সময়ে যে ঘ্রাণ এসে আপনার নাসিকরন্ধ্রে ক্রমাগত কড়া নাড়তে থাকবে তাতে মনে হবে, "কী দরকার আর রান্ধোনের, কাঁচাই খায়া লাই, কী আছে জীবনে হালায়!" ঘ্রাণের কারণে এরকম অনুভূতি না হলে বুঝতে হবে, হয় আপনার পেট ভরা নাইলে কোথাও ঝামেলা করছেন! আপনারে নিয়া যুদ্ধে যাওয়া যাবে না।
যাইহোক, পেয়ারসে মেশানোর পর আপনার মিশ্রণসহ পাত্রটা অনেকটা এইরকম হবে দেখতে-
আপনার মিশ্রণ এইরকম বা এর কাছাকাছি হলে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু অন্যথা হলেই বুঝতে হবে গিয়ানজাম পাকায়ে ফেলছেন কোথাও, খুব সম্ভবত মশলা মারার সময়ে। বেশি হইলে কিছু করার নাই, আর কম হয়ে থাকলেও বেটার লাক নেক্সট টাইম। বড় হয়ে আপনে জলিল ভাই হইতে পারবেন না। নায়ক হইতে হইলে কড়া করে ইনস্ট্রাকশন ফলো করতে হয়, আপনে সেটা করতে অপারগ।
তো, এইবার পাত্রে পানি যোগ করুন। আলোচ্য পরিমানের ক্ষেত্রে পানির পরিমান পাত্রের কান্দা থেকে কয়েক মিলিমিটার নিচে হওয়া আবশ্যক। এর বেশি নিচে নেমে গেলে ব্যাড়াছ্যাড়া লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পানির পরিমান কিঞ্চিৎ বেশি হলেও অসুবিধা নেই। ল্যাটকা খিচুরির মূল স্বাদই নির্ভর করে পানিতে। ভালো কথা, বুঝেছেন নিশ্চই আমি এতোক্ষণ ধরে ল্যাটকা খিচুরি রাঁধার কথা বলছিলাম।
এবার পানির উপরে হাতের একটা আঙুল চুবিয়ে মুখে দিয়ে দেখুন লবন ঠিকমতো হয়েছে কিনা। না হলে লবন যোগ করে আবার টেস্ট করে দেখুন। কাজটা চামচ দিয়েও করতে পারেন। তবে যেভাবেই করেন, হাইজিনের দিকে একটু নজর রাইখেন আরকি!
কাঁচামরিচ ফালি করে ছড়িয়ে দিন পানির উপর। টমেটো হাতের কাছে থাকলে সুন্দর করে নৌকার মতো ফালি করে তাও যোগ করে দিতে পারেন। টমেটোকে নৌকার মতো ফালি করতে আপনার আপত্তি থাকলে ধানের শীষের মতো করুন। অথবা লাঙ্গলের ফলার মতো, কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু দাঁড়িপাল্লার শেইপ দিতে যাইয়েন না। তাইলে সেই খিচুরির দায় দায়িত্ব আপনাকেই বহন করতে হবে। লেখকের উপর কোনো দায় চাপানো যাবে না।
পাত্রটাকে রাইসকুকারে চড়িয়ে সুইচ অন করে দিন।
প্রায় ৪০ মিনিট রান্না হবার পর পাত্রের ঢাকনা খুলে এইরকম একটা কিছু দেখতে পাবার কথা-
এর উপরে এবার আরামসে ঘি ছড়ায়ে দিন। ঘি না থাকলে আর কী করবেন, বাটারের একটা টুকরা কেটে নিয়ে পাত্রের ঠিক মাঝখানে গেঁথে দিয়ে পাত্রের মুখটা আবার ঢেকে দিন।
গরমের চোটে বাটার যখন গলতে থাকবে, আপনি তখন মনের আনন্দে শীষ বাজাতে বাজাতে কড়কড়া করে ডিম ভাজি করুন, এইরকম করে-
ঘরে তৈরী রসুন কিংবা জলপাইয়ের আচার দিয়ে গরম গরম খিচুরি কড়কড়া ডিম ভাজি দিয়ে খান। আমিও খাই। পুরাই অমৃত। পেট ঠাণ্ডা, দিল ঠাণ্ডা, মনও ঠাণ্ডা।
গুটেন আপেটিট।
মন্তব্য
পোস্টের মতই ছবির নামগুলান ভালু পাইসি, "রেডি টু বোর্ড", "ফাইনাল কাউন্টডাউন", "ভোতা দাও দিয়া কাইট্যালা"
সকাল শুরু হৈল খিচুড়ি দিয়া, অতি উত্তম। রাইতে বিরানি পাকান...
..................................................................
#Banshibir.
না, বিরানি পাকানির টাইম আপাতত নাই পীর বাহাদুর। তবে, নিয়ত আছে, সামনে। খাসীর মাংস কিন্যা আনছি। সব কিছু ঠিক থাকলে শুভস্য শীঘ্রমই চিত্র সমেত (কাচ্চি) বিরানির পোস্ট আসতে পারে। দোয়া রাইখেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শুকুর আলহামদুলিল্লা।
..................................................................
#Banshibir.
দেখতে বেশ ইয়াম্মী হইছে। কিন্তু খাইতে (সেই সকালে খালি পেটে অফিস এসেছি)
বউকে ফোন করে বলতেছি কুছকুছ, রাইতা, মোরগার গোস্তের ফ্রাইড রেডি রাখতে। বাসায় গিয়ে বানিয়ে জম্পেস এক্কান খাওয়া হবে
--ফ্রুলিক্স
এইসব কুছকুছে কুছ নেহি হোতা হ্যায় ফ্রিলিংকস। আমি যেই জিনিসের রেসিপি দিলাম, সেইটার মাত্র দুইটা ভার্সন এই বিশ্বভ্রহ্মাণ্ডে বিদ্যমান। প্রথমটা জীবিতাবস্থায় ধুগোর ডেরায় আর দ্বিতীয়টা মরার পরে, বেহেশ্তে। রেসিপি ঠিকঠাক ফলো করতে পারলে তিন নাম্বার ভার্সনটা আপনের রঁসুই ঘরেও তৈয়ার হইতে পারে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
'ধূসর গোধূলির রঙিন খিচুড়ি' মানে শিরোনামটা চিন্তা করে নিলাম আর কি ।
খিচুড়ি , ডিমভাজি, জলপাইয়ের আচার ,আহ, স্বর্গের স্বাদ।
বহুত কষ্ট করছেন। আপনের কষ্টের কথা ভাইবা নিজেই নামটা সাইজ কইরা দিলাম, গুণী লোকের কথা স্মরণে আইনা। এইবার কন, নামটা কীরাম হৈছে!
আর, আচারের কথা কইয়েন না। এই মরার আচারেই আমারে দিয়া মাঝরাইতে খিচুরি রান্ধাইছে। না খোলা বয়ামটা সরায়ে রাখতেছিলাম। পরে নাকের কাছে হাত যাইতেই পেটের ভিতরে কে জানি পল্লীগীতি গাইয়া উঠলো। এই ঘ্রাণ নাকে যাওয়ার পরে খিচুরি না খাইলে সাক্ষাৎ পাপ হবে! তাই, পাপের ভাগী না হইতে চাইয়া শুরু করে দিলাম কুদাকুদি। ফলাফল তো এখন আপনের চোখের সামনে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাম ভাল হইছে তয় আমারটা বেশী ভাল ছিল।
আচার জিনিসটা যে আবিস্কার করছে তারে নোবেল দেয়া উচিৎ। নোবেল দিলে অবশ্য ঝামেলাও আছে নোবেল আলা লোকজন কেন জানি খালি নিজের দেশরে বাঁশ মারে। আমি কিন্তু কোনও ব্যাংক আলারে কিছু বলি নাই, ভুলেও ভুল বুঝবেন না।
মাত্র খিচুরী আর ডিম খেয়ে ডিনার সারলাম। সচল খুলে দেখি আপনার খিচুরী পোস্ট :)। একটা কথা কইতে চাই ইয়ে মানে আনকুকড খিচুরীর চেহারা কুকড খিচুরীর চেয়ে ভালো হয়ছে।তয় ডিমভাজা আমার মনের মত হয়েছে।। আমি আবার গোল করে ডিম না ভাজলে খেতে চাইনা। আমার মা যদি ভাজ করে ডিম ভাজছে তাইলেই সারতো আমি সেই ডিম নিয়ে ব্যাপক যন্ত্রণা করতাম।কিন্তু রানলেন খিচুরী, বিরিয়ানীর মসলা উপকরনে রাখলেন কেন এটা কিন্তু বুঝতে পারলাম্না ।
ঢাকার মুড়ির টিন বাসে উঠছেন না? নানা রকমের গিয়ানের কথা লেখা থাকতো সেগুলোতে। তার একটার উপরে রিমিক্স চালাইয়া বলা যায়, 'খোমায় নয়, স্বাদেই (খিচুরির) পরিচয়'।
হাজীর বিরানী খাইছেন না! কথিত আছে, সেই বিরানীতে বিরানীর মশলা ছাড়াও আরও নানা পদের মশলা যোগ করা হয়। নাইলে এই স্বাদ হইতেই পারে না! তো, আমার এই বেহেশ্তী ভার্সন খিচুরির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। হুদা গরম মশলা মেরে কি আপনার ধারণা আমার রচিত খিচুরি বেহেশ্তী পর্যায়ে উঠতে পারতো! পারতো না। দিলাম, আমার রেসিপির গোঁপন কথা ফাঁস কইরা।
আর, ঈমানে কই, এই খিচুরির স্বাদের জন্য আমারে যদি কেউ দেড়দিন না খায়া থাকার কথাও বলে, থাকতে পারুম এনশাল্লা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রাইসকুকারটা মনে হয় আপনার ঘরে আসার পর থেকে ডিশওয়াশারের ছোয়া পায় নাই
"আনকুকড খিচুরীর চেহারা কুকড খিচুরীর চেয়ে ভালো হয়ছে" একমত
ফটুকটা তোলার পরেই এই জিনিসটা খেয়াল করছিলাম। ছায়া পড়ে পাত্রের খোমার বারটা বেজে গেছে। কিন্তু আসল কথা হইলো, আমার পাত্রের অবস্থা এতো করুণ না। বেশ ঝকঝকাই। আমার জামা কাপড়ের হাল সহী না হইলেও পাত্রপাত্রীর অবস্থা আর চেহারা মাশাল্লা ভালোই। দেখি, কখনো সুযোগ হৈলে খালি পাত্রের ফটুক পোস্টামুনে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো, বেশ উপাদেহ হয়েছে মনে হল। ডিমের সাহচর্যে আসলে খিচুড়ি মাত্রেরই রূপগুন খোলতাই হয়।
***
সামারকান্দে 'প্লোভ' নামে একটা জিনিস খাইছিলাম। কাচ্চির দাদাতো ভাই হবে। রান্নার পদ্ধতি তোমার খিচুড়ি থেইকা টুকলিফাই করেছে বলে মনে হইল। ইউটিউবে উজবুক ফকরুদ্দিনের ভিডিউ পাইলাম। দেখো। (স্লো ভিডিও সিরিজ, টাইনা দেখতে হইতে পারে, তবে ফ্রেন্ডস সিরিজের কিছু এপিসোডের চাইতে উচ্চতর বিনোদন )
খিচুরির লগে আরেকটা জিনিস হইলো পুরা লারেলাপ্পা। সেইটা হইলো, আলুর ঝুনা ভাজি। তার লগে জলপাইয়ের আচার! ঝুনা আলুভাজিটা আয়ত্বে আনতে পারলেই কেল্লাফতে। বেহেশ্তে গিয়া কী করুম কন!
তবে, এই রেসিপিটা আপনে, মানে হল্যান্ডবাসীরা ট্রাই দিয়ে দেখতে পারেন। ডয়েশল্যান্ডের কাছে যে ধরাটা খাইলেন। হে হে হে, এই খিচুরিই পারে একমাত্র সেই দুঃখ ভুলাইতে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এতোক্ষণ ভাবছিলাম খিচুড়ি রাঁধবো। এখনি যাই, শুরু করি !
লেখা জব্বর হইসে। হলুদ এর গুঁড়া কখন দিলেন? পাইলাম না।
লেখার শিরোনাম দিতে পারেন- 'জগাখিচুড়ি' কিংবা 'ধুগো-খিচুনী' ও দিতে পারেন
প্রথম গানটা খুব ভালো লাগলো। ডাউনলোড করে নিলাম। পরেরটা পরে শুনবো।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
পরেরটা বেশি জোশ... প্রথমটাও...
কড়িকাঠুরে
মার্ক নফলার, এইটা শুনে দেখেন এইবার
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
এইটার শুরুটা পুরাই মাথা নষ্ট করা
Tunnel of love
কড়িকাঠুরে
আহা ডায়ার স্ট্রেইটস! সেই ছোটবেলা থেকে বড় ভাইদের সূত্রে মার্ক-ডেভিডদের সাথে পরিচয়!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
সব গুঁড়া মশলাই একলাইনে ঢাইলা দিছি তারানা বেগম। খিচুরির ঘ্রাণের চোটে দেখি আপনার চোখের জ্যোতি কইমা গেছে! আপনে সেদিন আমার নামে জনসন্মুখে গীবত করছেন, আমি নাকি আপনেরে আমার বেহেশ্তী খানার রেসিপি দেই নাই। এইবার নেন, ইচ্ছামতো পিরাকটিশ করেন।
প্রথম গানটা যেহেতু আপনের ভালো লাগছে, তার মানে আপনে সিরিয়াস মুডে আছেন। তাইলে এই গানটাও শোনেন। চোখমুখ বন্ধ কইরা, কাইঞ্জ্যা মাইরা পড়ে থেকে এই গানটা শুনলেও ভালো লাগার কথা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সিরিকাস মুডে ছিলাম না। এই জীবনে সিরিকাস হওয়া হৈল না। এই গানটাও খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ। এমন যত গান আছে সব দ্যান! অবশ্য আপনার কাছে তো কিছু চাইলে আর সেইটা পাওয়া যায় না! পাইলেও ১ মাস পর। এক মাস পর পোস্টে ঢু দেবানি।
আর কাইঞ্জ্যা মেরে পড়ে থাকাটা আবার কী?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
কাইঞ্জ্যা মেরে পড়ে থাকা হলো, এক সুরুতে পইড়া থাকা, নট নড়ন চড়ন। ত্যারা হয়ে থাকলে ত্যারা, ব্যাকা হয়ে থাকলে ব্যাকা, সিধা হয়ে থাকলে সিধা- অবস্থাতেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য থোম ধরে পড়ে থাকাকেই কাইঞ্জ্যা মেরে পড়ে থাকা বলে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
উরি আল্লাহ্ মাবুদে এলাহী ! সেইরকম চখাম হয়েছে লেখা
ফটোগুলো পুরাই গজব
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
খালি লেখা না, খিচুরিটাও চখামের উপরে মখাম হইছে। পুরাই ঠাডাআআ...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নিরামিশ খিচুড়িতে আমিষ মশলা কেন্...
কুনোদিন যদি মুঞ্চায় রান্ধুম্নি(যুদি খেমতা অয়)...
কড়িকাঠুরে
তোমার নাম দেখে অনেকদিন পর লগাইলাম। একটু খানি ক্ষিদা ক্ষিদা ভাব ছিলো। ভাবছিলাম এইটা পড়ে শেষ করে ছানা-পোনা নিয়ে একটু মলে যাই। রথদেখা ও কলাবেচা একসাথেই হবে। দিলা তো তুমি মাডার কইরা! এখন খিচুরী রান্না করে না খাওয়া পর্যন্ত তো আর কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। দাড়াও খেয়ে এসে তারপর বাকী কমেন্ট টা করছি।
--------------------------------------------------------------------------------
চিন্তা করতেছি, আপনের লগে খিচুরি রান্ধার কম্পিটিশনে নামুম। আমি জগতে মোটে দুইটা কাজই ভালো করে করতে পারি। এক. খিচুরি রান্ধা আর দুই. গাড়ি চালানি। এর বাইরে আমি আর কোনো কামেরই মানুষ না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বিদেশি চুলায় না- খাঁটি বাঙলা কেদার চুলায় কেমনে রান্ধুম...
কড়িকাঠুরে
এই তো ডুবাইলেন! কোবি তো চুলার ব্যাপারে কিছু জানে না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা হা ...
খিচুরি রান্না করেছিলাম তোমার রেসিপি হুবাহু ফলো করে। শুধু কালিজিরা চাল ব্যবহার করিনি। (এই জিনিসটাকে আমি খুব ভয় পাই, এটা দিয়ে রানতে গিয়ে দুইবার বেইজ্জতি হইছি। একবার জাউ হয়ে গিয়েছিলো, পরের বার ভেতরে সিদ্ধ হয়নি।)
খেতে খুবই ভালো হয়েছে তবে একটা জিনিসের কমতি মেহসুশ হচ্ছিলো, সেটা হলো মাংস! এইটা খিচুরি না। সবজি বিরিয়ানি। অথবা ধুগো সবজি বিরিয়ানি।
খিচুরির ফর্মুলা ছাইরা বিরিয়ানির ফর্মুলা ধরলে তোমার লগে আমি কেমতে কম্পিটিশনে নামুম? আগে ফর্মুলা সাবমিট করবা, তারপর কম্পিটিশন। আগামি সামারে তোমাদের ওদিকে আসার প্লান আছে তখন দেখা যাবে।
না রে ভাই গাড়ি চালানোর মধ্যে আমি নাই। আমি হইলাম পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ ড্রাইভার। আড়াই বছরের মধ্যে চারটা এক্সিডেন্ট! অবশেষে গাড়ি টোটাল! হে হে হে!!
--------------------------------------------------------------------------------
ল্যাটকা খিচুরির সাথে মাংসের চেয়ে ভালো হইলো ঝুনা আলুভাজি আর কড়কড়া ডিম ভাজি। ভুনা খিচুরির সাথে মাংস মাস্ট। আপনে আসলে আপনারে আমার স্পেশাল ভুনা খিচুরি খাওয়াবোনে। তখন কইয়েন, কম্পিটিশনে নামতে চান কীনা!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার সীটে বসে স্টিয়ারিং ধরার মধ্যে দুরত্ব সম্পর্কিত টিপসটা খুবই কাজের। ওটা সবসময়ই এ্যাপ্লাই করি।
নিরামিষ খিচুরিতে আমিষ মশলার কাহিনিটাই তো এইখানে আসল তেলেসমাতিরে ভাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মিয়াভাই কী গ্রম কর্তে কী গ্রম কর্লেন? পুস্ট সুস্বাদু হইছে যদিও
রান্না কর্লে আমার মাথা ঠাণ্ডা হয়। পরীক্ষিত।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনের মাথা ঠাণ্ডা হয় রান্না কর্লে, আর আমারটা ঠাণ্ডা হয় খাইলে।
কিছু কিছু জিনিস গরম করার চাইতে দূর থেকে দেখাতেই মঙ্গল রে ভাইটু। তবে, এইযাত্রা গরমটা নাহয় খিচুরির উপর দিয়াই গেলো! পরেরবার, কওন যায় না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কি রে ভাই, ধুগোর লেখার মধ্যে দেখি খাবার দাবারের ছবি। আচ্ছা ক্ষিদা লাগলে পড়বোনি (মানে, পরে এসে পড়বো)।
নাহ্, এই পিপিদা'টাও দুষ্টু হয়ে গেলো! ধুগোর লেখার মধ্যে ললনাদের ফটুক আশা করে! যুব সমাজের এহেন অবক্ষয়ে খাজাবাবা ধুগো নিতান্তই পীড়িত, ব্যথিত ও মর্মাহত!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এখন পড়ছি ললনা লিখছেন, সকালে অফিস থেকে লাদেন পড়লাম মনে হল
বুঝছি, আপনারে তওবা পড়াইতে হবে। প্রায়োরিটি নাম্বার ফোর তওবা। এর নিচের তওবায় কাজ হবে না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, এখন সব আমার দুষ।
আপনার লেখা পড়ে খিচুড়ির গন্ধ আবার নাকে লেগে গেলো। আমার গিন্নিও এই রান্নাই বেশ পটু। এই মুহূর্তে আমরা একটু দূরে আছি। নাহলে আজি দুপুরে এক দান মারা যেত সাথে সরষে ইলিশ ।
আপনার কথা শুনে মনেহচ্ছে, আপনি আমারই মতো খিচুরিপ্রেমিক। আপনারে ।
আরে, উইকএন্ড আছে না, খিচুরি রাইন্ধা ফাটায়ে ফেলেন ভাই। কড়কড়া ইলিশ কিংবা সর্ষে ইলিশ, দুইটাই লা-জওয়াব খিচুরির সাথে। বন আপেতিত
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে খিচুড়ি ভাল পাইলাম। ঢাকায় মেঘলা আবহাওয়ায় দুপুরে, আলুভাজি, বেগুনভাজি, ডিমভাজি, শুকনামরিচ-পেঁয়াজ-সরিষারতেলের সালাদ, আচার সহকারে খিচুড়িভোজন শেষে আপনার পোস্টটা পড়লাম।
কেন জানিনা, বাঙালি মানসিকতায় বর্ষার সাথে খিচুড়ির একটা অলিখিত সম্পর্ক আছে, নয়কি ?
ভাল থাকুন। আনন্দে থাকুন।
অবশ্যই।
ভাজিও লাগে নাই, জলপাইয়ের আচার দিয়ে হুদা খিচুরিই দেড় বাসন মেরে দিয়ে এখন বসে বসে ভাবতেছি লাইফ ইজ বিউটিফুল, ভেরি ভেরি বিউটিফুল।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
beautiful world
কড়িকাঠুরে
ইউনি জীবনে আমারও একখানা পেটেন্ট রেসিপি ছিল খিচুড়ির। তবে সেটা শর্ট কোর্স। আপনারটার মত এত কিছু ছিলোনা। ক্ষুধা পেটে সেটাই অমৃত ঠেকত। নিজের গুণে নিজেই মুগ্ধ হয়ে যেতাম। এইরকম রেসিপি তখন পেলে কি ভালই না হত।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
শর্টকোর্স দিয়াই শুরু করছিলাম। ইম্প্রোভাইজ করতে করতে এই হালতে আইসা পৌঁছাইছে। আর জিব্বা তো একটা মাশাল্লা আছে। খালি ভালোমন্দ খাইতে চায়! কয়, মরলে হালায় খাইয়াই মরুম (ডায়লগের প্যাটেন্ট- বদ্দা)।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পিজ্জা খেয়ে খেলা দেখতে বসেছি। এখন এই পোস্ট পড়ে আবার খিদে পাচ্ছে
টুইটার
তাইলে রবিবারে জার্মানীর খেলা দেখতে বসার আগে এই বেহেশ্তী খিচুরি খাইয়া বইসেন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দারুন হয়েছে!
ধন্যবাদ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কোন মশলা ভুল করে বাদ পড়ে নি তো?
সবই তো দিয়ে দিয়েছেন মনে হয়
লন্ডনে এসে খিচুড়ি রান্না করে দিয়ে যান
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আউটপুট দিয়া হইলো কথা! গুণীজনের কদর করা কেউ শিখলো? খালি ধরে প্যাচ!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খালি একখান খবর দিলেই তো এক্টা মিটফারে উড়ে চলে আসতে পারতাম!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হ, তোরে খবর দেই আর তুই তোর নিখিল পূর্ব ইউরোপ ললনা সংঘ লইয়া হানা দেস আমার বাড়ি!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জিরা হলুদ আর প্যাকেটের ছবিগুলা আপনি তুলছেন? এসব ছবি কেমনে তোলে শেখান।
এইটা একটা কথা জিজ্ঞেস করলেন পিপিদা!
আগে ঠিক করবেন, আপনি কোন ব্যকগ্রাউন্ডে ছবিগুলো প্রদর্শণ করতে চান। সচলে করতে চাইলে ছবির ব্যকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে (একটা সাদা কাগজের উপরে জিরা, হলুদ খাবলা দিয়ে রেখে তারপর ক্যামেরাতে ক্লিক করলেই হবে), কারণ সচলের জমিন সাদা। এরপর ফটোশপে একটু কাটাকুটি খেলে ছবি সচলে দিলে সাদায় সাদায় কাটাকাটি, হাতে থাকবে শুধুই ছবিটা। মশলার ছবিগুলো ঐ সিস্টেমের।
আমি আগে মশলা চিনতাম না। মানে কোনটার কী নাম, কী বৃত্তান্ত, বিশদে কিছুই জানতাম না। কোনটা রানতে কী লাগে, সেই ব্যাপারেও ক-অক্ষর গোমাংস ছিলাম। বিভিন্ন রেসিপি ব্লগে ঘুরতে ঘুরতে উপাদানের নামসহ খোমা খুঁজে পিসিতে রেখে দিতাম। যাতে রান্নায় যোগ করার সময় এক ঝলক দেখে নেয়া যায়! তো, সেখান থেকেই ফ্লিকার হয়ে এখানে লটকে গেছে কিছু ছবি। আর এতোদিন আগের বলে ঠিকঠাক মনেও করতে পারছি না কোনটা কোথা থেকে নেয়া। উৎসের নামগুলো সেকারণেই দেয়া গেলো না ইচ্ছে থাকা সত্বেও।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই রাত দেড়টায় আমি খিচুড়ি অহন কই পাই? এইটা একটা কাম করলেন মিয়া? এমনিতে আমি নাদুসনুদুস, অহন যদি ডিনারের পরে খিচুড়ি খাই তাহলে কেমনে কী?
আরে, কী যে কন! কে কয় আপনে নাদুসনুদুস? আয়নায় খোমাটা দেখছেন? হুকায়া ছাটনার হাড্ডি বাইরাইয়া গেছে! খিচুরি তো ডিনারের পরেই খাইবেন। দুইটা খাওয়ার জন্যই তো বাবা আদমের উছিলায় এই দুনিয়াতে আসা। নাইলে তো বেহেশ্তেই থাকা হইতো!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বাহ মনির হোশেন! এই লেখাটার পর বিয়ের বাজারে আপনার দাম তো চড়চড় করে বেড়ে গেল।
আবার !
facebook
'আবার' মানে কী হে পাপিষ্ঠ তাড়েকাণু! বলি, আমি কি ঢাকার শেয়ার বাজার নাকি! এই মন্তব্যে 'আই এ্যাম এ্যাকদম ফেডাপ'!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, সোনাদানার দামও পাল্লা দিয়া বাড়ছে মেম্বর। ছয় পঞ্চাশ হাজার ট্যাকা ভরি। আমারে ছয়পঞ্চাশবার বেচলেও এক ভরির দাম উঠবো না। অতএব, দামের চড়চড়ানি বাদ্দিয়া খিচুরিই খাই। আপনেও খান।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ওরে খিচুড়িরে
হ, কমিশনার।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হোস্টেলের "টোমেটু দিয়ে তেলেপ্রিয়া" আর "মিকস্ট বাজি (নামেই ভাজি আসলে শুধু পেপে আর ০০১% গাজর এর ঘন্ট)" খাই রোজ।
আপনার এই পোস্ট পড়ে মনের চক্ষুর জল গড়িয়ে পড়ল
ঈদে বাড়ি যেয়ে এই রেসিপি প্রয়োগ করব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করলাম।
ভালো থাকবেন।
মিকস্ট বাজির জন্য পেট পুড়েরে ভাই, পেট পুড়ে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহা! আলা খিচুড়ি লা ধুগোলিয়া।
কিন্তু রঙিল ভাই, আমি তো একটা জিনিস বুঝলাম না, আমাদের এইদিকে ল্যাটকা খিচুড়ি হলো যেইটা তরল তরল হবে, পানি বেশি থাকবে, একদম ল্যাটকা, মানে আংরেজীতে যাকে বলে sticky সে রকম হবে। আপনারটা তো শুকনা লাগে দেখে! নাকি আপনাদের ল্যাটকা শব্দের অর্থ আলাদা?!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই যে, আরেকটা আইছে, খালি দোষ ধরে! বলি, হই, ল্যাটকা হোক বা টাটকা, বিরানী হোক বা খিরানী- আমি কষ্ট কৈরা রানছি না? রেসিপি আমার, আমি যেই নাম দিমু তাই সই। আর কথায় বলে, "খিচুরি তোমার নাম কী?- আজ্ঞে, স্বাদে পরিচয়!"
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গান শুনে আর রেসিপি পড়ে মনটা ভাল হয়া গেল।
মজারু পোস্ট, কিন্তু ক্ষুদা পেটে পড়া বিপদজককক
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
একটু আগে ছানার মিষ্টি বানালাম। ছবি আপামু?
বাট স্কিপ ব্রেকফাস্ট/ লাঞ্চ অর ডিনার, হোয়েন আই ফিল আপসেট।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
নতুন মন্তব্য করুন