• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

শ্মশানে মূর্দাগো লগে বইসা বিড়ি টানতাছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/১১/২০০৭ - ৭:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শীতটা একটু আরামদায়কই মনে হইতাছিলো কাল রাতে। ঘরে যেহেতু বিড়ি খাওয়া জায়েজ না, তাই ভাবলাম যাই- মূর্দাগো লগে বইয়াই একটা আগরবাতি ফুঁইকা যাই।
জিন্সের জ্যাকেটটা গাও থাইকা খুইলা মাথায় ঝুলাইয়া বইলাম একটা সুন্দর শ্যাওলা লাগাইন্যা ওয়ালে। উইঠা বইতে কোন অসুবিধা হয় নাই, বেশি উঁচা না। কোমরের চাইতে ইট্টু বেশি বাট বুকের চাইতে কম। বিড়ি মুখে লাগাইয়া পকেট হাতড়াইয়াও একটা জ্বালানী পাইলাম না। হালার অসহায় যেদিকে চায়, দেয়াশলাই পর্যন্ত ডরে দৌড়ায়! সামনেই দেখলাম নানা পদের বিভিন্ন কবরে নানা রমের মোমবাতি জ্বলতাছে। হালারা ইহুদী-নাছারা হইলেও একটা কামের কাম করছে। আমার মতো অসহায়রা যাতে আরামছে বইসা ইট্টু বিড়ি টানবার পারে, সেই বন্দোবস্তটা বেশ ভালোই রাখছে। খুঁইজা খুঁইজা সুন্দর দেইখা একটা এপিটাফের নিচের মোমবাতি থাইকা বিড়িটা ধরাইয়া, হুশ কইরা একগাঁদা ধূমা ছাইড়া এপিটাফের দিকে চাইয়া দেখলাম লেখা- 'এন্ড্রু যোজেফ'।

আবার ওয়ালে আইসা আরাম কইরা বইসা বিড়ি টানতে টানতে হঠাৎ খেয়াল হইলো, ডাকি- বুইরা গোরেও ডাকি। কবরে কি না কি খায়, কি না কি বিড়ি টানে, আমার লগে বইয়া ইট্টু মার্লবোরো বিড়ি টাইনা যাউক।

ডাকলাম গলা ছাইড়া, ঐ সাধু বিড়ি খাবি? ঐ হালায় বুইড়া হাড্ডির দল, উঠলে উঠ না উঠলে যাইগা!

আৎকা দেখি একটা এপিটাফ সইরা যাইতাছে। ঐখান থাইকা কাশতে কাশতে এক বুইরা বাইর হইতাছে কুঁজা হইয়া। আমি আনন্দে বিড়িতে ধুমাইয়া একটা টান দিলাম। বুইরা গতরের ধুলা ঝাইড়া খাড়াইতেই দেখি আরেকটা এপিটাফ সরতাছে। তারপর আরেকটা, হেরপর আরও একটা! আমার প্যাকেটে বিড়ি আছিলোই সতরোটা, আমি টানছি দুইটা থাকে বাকি পনরোটা। মাথা গুইনা দেহি হালারা কুড়িজন (আসলে সংখ্যাটা ঊনত্রিশ হবে) হইছে। কইলাম, দাদুরা- লাইনে খাড়াও। দুইজনে এক বিড়ি। কোন ঠেলাঠেলি করবা না। করলে হেইটাও পাইবানা কইলাম। ওরা রাজী হইলো। বিড়ি ভাইঙা দুইভাগ কইরা টানা ধরলো। আমিও খুশি, অরাও সুখী!

বিড়ি টানি আর অগো সুখ দুঃখের কথা হুনি। আগের হ্যালোইন ডে টে কতো অপেক্ষা করছে একটা বিড়ির লাইগা, মাগার কোন হালায় নাকি দেয় নাই। আমারে কইলো আমি যদি ইলিকশনে খাড়াই তাইলে হেরাও আমারে ভোট দিবো। ভাইবা দেখলাম জিনিষটা মন্দ হইলো না। আধখান বিড়ি খাওয়াইয়া সংসদে গিয়া হাউকাউ করার স্বপ্ন দেখবার পারি তাইলে অখন।

হঠাৎ কী হইলো, পিছন থাইকা দেহি কেডা আইসা জানি আমার পিডে টোক্কা দিলো। আমি ফিরা চাইতেই খটাশ কইরা চড়। 'হারামজাদা, এইহানে মজমা বসাইয়া বিড়ি টানো? আর ঐদিকে যে আমাগোরে হমানে অপমান করতাছে হেই খেয়াল নাই? তোগো লাইগাই তো আমরা মরলাম, আর আমগোরে যারা মারলো তারা খালি বাঁইচাই নাই। অখনো গদি আঁটা চেয়ারে বইসা আমাগোরে দূর্নাম দেয়, কয় আমরা বলে হীন উদ্দেশ্যে যুদ্ধে গেছিলাম। এগুলা কি তোগো চোখে পরে না? তোরা কি আন্ধা হইয়া গেছস? এখন তো নিজেরেই ধিক্কার দিতে মন চায়, এই তোগো লাইগাই কিনা আমরা নিজের প্রাণ বাজী রাখছিলাম'!

আমারে এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বইলা হনহন কইরা হাইঁটা গেলোগা শ্মশান পাতালি। আমি ঐদিকে ফ্যালফ্যাল কইরা চাইয়া থাকি আর গালে হাত দিয়া ভাবি, আনোয়ার কাকায় আমারে চিনলো ক্যামনে? পরক্ষণেই মনে হইলো, উত্তরসূরীরে চিনতে কেউ ভুল করে না। চটকানাটা আসলেই আমার প্রাপ্য। আরও বেশি ই কিছু প্রাপ্য। একটা চটকানায় কিছুই হবে না আমার!


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

হেডিঙের লাইগা কপিরাইটের মামলা খাইতারো ..

আড্ডাবাজ এর ছবি

ধুসর,
কাজটা ভালই করছ। নিরাপদ কাজ করেছ। নিদেনপক্ষে আমাদের মতো জিন্দা মুর্দাদের সাথে আগুন ধরাও নাই!!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আরো বেশী বেশী চটকানা আছে কপালে ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অমিত আহমেদ এর ছবি

হুম!


ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

শিরোনাম ও লেখার জন্য জাঝা।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মন্তব্যের জন্য সবাইকে জাঝা!
এই গরীবের কথা অনেকই বুঝেনা। ভাবে হালায় তো বয়রা, অয় আর কি কইবো!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

সৌরভ এর ছবি

দেখছেন, চোরের মা'র গলা কতো বড়ো।
আমগো কপালে আরো কতো কিছু এখনো বাকি আছে।


আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

উড়া না ধুড়া কথা বুঝতেছিনা, তবে শুনলাম আপনে নাকি লেজ কেটেছেন?
হায় হায়, আমরা এখন শালীদেরকে কার কথা বইলা লোভ দেখাব? :(

সত্যি হইলে, প্রাণঢালা অভিনন্দন .... :)
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

সুমন চৌধুরী এর ছবি

অ্যা! খাইছে!



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মিয়া লোভ দেখাবেন নাকি ডর দেখাবেন?
'সালি সো জা, বারনা ধুসর আ জায়েগা'!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আসলে চটকানাটা আমাদের নিজেদেরকেই নিজেরা দেয়া উচিত। সেই মানুষগুলোর কি দায় পড়েছিলো আমাদের মত অকৃতজ্ঞ উত্তরসূরীদের জন্য জীবনটা দিয়ে দেয়ার!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।