বয়সে তরুণ না হলেও বলাই'দাকে যখন প্রথম দেখি, বেশ তরুণ তরুণ-ই মনে হয়েছিলো। আর্মি স্টাইলে মাথায় বাটি ছাঁট দেয়া, পরনে এডিডাসের ট্র্যাকস্যুট, পায়ে রিবুক-এর রানিং কেডস, কব্জিতে নীল-সাদা পট্টি (ঐ যে থাকে না টেনিস খোলোয়াড়দের!), কপালেও একই মডেলের পট্টি। দৌঁড় থামিয়ে হাঁপাচ্ছেন। সাথে থাকা বদ্দা পরিচয় করিয়ে দিলেন, "এই যে— এই হলো ধুসর, ধুসর গোধূলি, আর ইনি..." তখন অবশ্য বলাই'দাকে অন্য নামে চিন ...
একটা পোস্টার বানানোর খায়েশ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো সেই কবে থেকেই। কিন্তু ঘটনার জটিলতা আর বিষয়ের অভাবের কারণে হয়ে উঠছিলোনা কিছুতেই।
অনেক ভেবেচিন্তে ঠিক করলাম, সবাই মরা পোস্টার বানায়, আমি বানাবো জ্যান্ত পোস্টার। মানে আমার পোস্টার নড়বে চড়বে। তো সেটার জটিলতা হলো আরেক কাঠি সরেস। খালি মাথায় পোকা কিলবিল করলেই তো হবে না, ঘটনা ঘটানোর ক্ষ্যামতাও তো থাকতে হবে!
এখানে সেখানে খোঁচাখুঁচি...
ধিকিধিকি আগুন জ্বলে...
নাহ, বুকে ছাই চাপা আগুনের কথা বলছি না। দাবাণলে কোনো বন উজার হওয়ার খবর নিয়েও আসি নাই। বরং বন-এ গরমের চোটে নানান কিছু দেখতে দেখতে অতিষ্ঠ হয়ে যাওয়া চোখের কথা বলছিলাম আরকি! শুষ্ক বাতাসে, প্রচণ্ড তাপদাহে দুম করে বিষণ্ণতা ভর করে বসে মনে। কোনো একটা গানে শুনেছিলাম, দুপুরের রোদগুলো নাকি নীল হয়! কে জানে গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ হয়তো তেমনি কোনো এক রোদেলা দুপুরে কোনো এ...
[আমার ছেলেবেলা ডিলিটেড সীন, (পর্ব নাম্বারঃ কইতে পারি না)
টেক ওয়ান শট থ্রী এণ্ড ফাইনাল...]
এই সিরিজের লেখা নিয়ে ভূমিকা দেওয়া হয়েছিলো আগেই। আমার ছেলেবেলার ডিলিটেড সীনও খুব নামকরা সিনেমার মতোই, সম্পাদনার পর সিনেমা বাজারজাত করার সময় বাদ পড়ে যাওয়া কিছু দৃশ্য, যেগুলোর নাম দেয়া হয় ডিলিটেড সীন। মূল গল্প থেকে বাদ পড়ে যাওয়া কিছু 'গঠনা' নিয়ে জোড়াতালি মেরেই এই ডিলিটেড সীনের কাহিনী।
ডিলিটে...
শিরোনাম পড়ে যেনো কেউ ভাববেন না বাংলার স্বনামধন্য পোমো কোবির পেছনে ব্যাম্বো প্রদান করার চেষ্টায় আছি। তাইলে সেন্টু খাবো। কারণ এইটা নিতান্তই একটা নিষ্কণ্টক খাওয়া বিষয়ক পোস্ট!
নামের শানে নুযুল একটু পরেই টের পাবেন। এই রেসিপিতে এর আগে কেউ কিছু ট্রাই করে থাকলে দূরে গিয়া মরেন, কারণ এইটার কপিরাইট কেবল আমার।
এইটা মূলতঃ রান্নার ইম্প্রোভাইজেশন।
উপকরণঃ
১) আগের দিনের বেঁচে যাওয়া ভ...
ধর্মান্তরঃ একটি ফ্যাশন!
ওর নাম ছিলো আন্দ্রে, আন্দ্রে অমুক (পারিবারিক নামটা মনে নেই)। লম্বা ট্যাং ট্যাঙে ঢ্যাঙা ধরণের একটা পোলিশ অরিজিন ছেলে। তার সাথে ভালো করে পরিচিতি বেড়েছিলো ২০০৬ এর 'বিশ্বযুবদিবসে'-র সময়টাতে। সেসময় আমার ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করার কথা থাকলেও পরে আর করা হয়নি। কিন্ত আন্দ্রে করেছিলো।
গলায় লাল রঙের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ঝুলিয়ে আন্দ্রে ঘুরে বেরায় কোলন-বনের ব ...
আবঝাব-১
শিরোনামটা হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা জাতীয় কিছু দিতে ইচ্ছে হচ্ছিলো, কিন্তু পাবলিকের গণপিটুনির ভয়ে সেই পথ আর মাড়ালাম না। একবার এই দুঃসাহস করছিলাম বছর কয়েক আগে। অবস্থানগত কারণে একবার এমএসেএনের স্ট্যাটাসে দিছিলাম লাগায়ে। ব্যস শুরু হয়ে গেলো, জায়গা বেজায়গা থেকে টোকা, কেউ জিগায় 'কাহিনী কী!' কেউ জিজ্ঞেস করে 'ঘটনা কী!' কেউ শুধায় 'হৈ মিয়া বাঁশী বাজাও নাকি?' কেউ হাঁকায়, 'হালার পো কদম্ব...
আকাশে যখন বিরাট একটা চাঁদ উঁকি দেয় পাতাহীন গাছের ফাঁকে তার ধূসর হলুদ বর্ণ নিয়ে, তোকে খুব মনে পড়ে জানিস। প্রকাণ্ড সূর্য তার গনগনে আলোয় ভরিয়ে দেয় চারদিক, বছরের দীর্ঘ একটা সময় সূর্যহীন থেকে রৌদ্রস্নাত বেলায় হঠাৎ করেই মনটা দুম করে ভালো হয়ে যায় যখন, তখনও তোকে মনে পড়তে থাকে, মন পুড়তে থাকে তোর জন্য। "বার্নট আ লিটল ইনসাইড" নিয়ে বাইরে একটা খোশ খোশ খোলস ধরে রাখতে হয়, জানিসই তো জীবন হালায় বহমান...
১.
সেদিন পোস্টস্ট্রাসে আর মুনস্টারস্ট্রাসের কোণা দিয়ে ফুচকি দিয়ে বের হয়ে মাত্র বিড়িটা ধরাইছি। একটা টান দিছি মোটে, অমনি পিছন থেকে সুমিষ্ট কণ্ঠের ডাক। "কুকিলা কণ্ঠে এই ভর দুপুরে আমারে ক্যাডা ডাকে রে!" ভেবে চোখে হাজার পাওয়ারের লাইটের জ্যোতি নিয়ে ফিরে খাড়ালাম। আমারেই ডাকে তো দেখি এই পরীয়সী ললনা। সৃষ্টিকর্তার এ আবার কোন তামশা! হঠাৎ করে আবার মনে 'ডর'ও ভর করলো। টাংকিবাজী তো কম করি নাই, ...
স্মৃতিগুলো ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু ঘটনা আংশিক ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়ে গেছে। কিছুতেই সেই অংশগুলো আর মনে করতে পারি না এখন। ঘুমাচ্ছিলাম, হঠাৎ ঘুম গেলো ভেঙে। খানিক চেষ্টার পরেও ঘুম না আসায় ভাবলাম মস্তিষ্কের ব্যাড সেক্টরে পড়ে যাওয়ার আগেই কয়েকটা ঘটনাকে ডিজিটাল ডায়েরীতে টুকে রাখি ডিজিটাল বাংলাদেশের অ্যানালগ নাগরিক এই আমি!
জীবনের প্রথম আকাশপথে ভ্রমনের অভিজ্ঞতা আর সিঙ্গ...