বিচ্ছিন্ন থাকাটা আমার জন্মগত অসুখ । ছোটবেলা থেকেই আমি প্রায়ই বাইরে খেলা বাদ দিয়ে ঘরে বসে একা একা কথা বলতাম, একা একা খেলতাম। আমার বাবা মা আত্মীয়স্বজন বন্ধুদের অনেক প্রচেষ্টার পরও এই রোগ থেকে আমি মুক্ত হইনি, এখন আর কেউ চেষ্টাও করে না আমাকে ঠিক করার। শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আমি অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হই, অনেক বন্ধুদের হারিয়ে ফেলি,অনেক প্রিয় মানুষদের কষ্ট দেই, অনেক সুন্দর সুন্দর দিন একা একা আনমনা থেকে কাটিয়ে দেই। হটাত হটাত ভাবি আর এমন থাকব না, গা ঝাড়া দিয়ে উঠে খুব সামাজিক হওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু এখন সেখানেও সমস্যা, চাচাকে ফোন করে যদি প্রশ্ন করি সে কেমন আছে, সে ব্যাপক অবাক হয়ে আমাকে প্রশ্ন করে, আমার কি খুব মন খারাপ নাকি? বন্ধুরা ফোন করলে আমি একবারে ফোন ধরলে তারা এমন ভাব করে যে সূর্য আজকে মাটি ফুড়ে বের হয়েছে । কাজিনদের ফোন করলে বলে, কি, কোন সমস্যা? আম্মুকে অফিসে খোঁজ নিতে ফোন করলে বলে, বল কি আনতে হবে। আমার অসামাজিকতাতে সবাই এত অভ্যস্ত যে চাইলেও পারব না এখন আর ঠিক হতে। ( আমি আসলে খুব একটা চাইও না)
আমি যখন মেডিকেলে ১ম বর্ষে তখন একবার একটা কার্ড ফাইনাল পেন্ডিং হল। যথারীতি ক্লাস টিচার ডেকে ঝাড়ি দিয়ে ডিপার্টমেন্টাল হেডের কাছে পাঠিয়ে দিল। লতিফ স্যার অনেকক্ষণ জেরা করল, কেন আমি পরীক্ষা দিলাম না,পড়াশুনা করতে কি ভাল লাগে না নাকি, না লাগলে কেন লাগে না, পড়াশুনা না করলে কি কি হবে ইত্যাদি ইত্যাদি, শেষে হাল ছেড়ে সত্যি কথা বলে দিলাম যে আমি জানতামই না যে পরীক্ষা ছিল। এই মোবাইলের যুগে সেটা কি করে সম্ভব স্যার বোধহয় ভেবে পাচ্ছিল না। আমার ক্ষেত্রে যে সবই সম্ভব এটা স্যারের জানার কথা না। সেদিন আমার মোবাইল বন্ধ ছিল। আমি ঢাকায় ছিলাম, আমার রুমমেট বাসার ডিজিটালে ফোন দিয়েও পায়নি,কারণ আমি ধরিনি, এবং যাওয়ার পর সে আমার দিকে যে অগ্নিদৃষ্টি বর্ষণ করেছে, নেহায়েতই আমার সৌভাগ্য আছে মাঝে মাঝেই লোকজন আমাকে অগ্নিদৃষ্টিতে ভস্ম করার চেষ্টা করে,তাই আমার কিছুই হয় না, সেদিনও কিছু হয়নি। সব শুনে লতিফ স্যার কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকল , স্যারের সেই চাহনি কখনই ভুলব না আমি, তারপর বলল তোকে দিয়ে কিছু হবে না, যা এখন পেন্ডিং দেয়ার জন্য স্যারদের পিছন পিছন ঘোর। আমি অবশ্য তার কথা তেমন একটা গায়ে মাখিনি। কারণ আমাকে দিয়ে যে কিছু হবে না সেটা আমি আগে থেকেই জানি এবং মানি। এবং অন্য সব কিছু ভুলে গেলেও এটা ভুলি না । ভুলে যাওয়ার উপায় আছে নাকি ,আমার মা একাই প্রতিদিন সেটা কয়েকশো বার করে মনে করিয়ে দেয়।
এভাবেই বিদঘুটে অভ্যাসের কারণে আমি পরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকেছি, বন্ধুদের আড্ডায় অনুপস্থিত থেকেছি , গুরুত্বপূর্ণ সব খবর দেরি করে পেয়েছি। ক্যাম্পাসের সব রঙচঙা ঘটনাগুলো আমি জানতাম সবার পরে, যখন সেটা পুরনো হয়ে যেত । আমি সবসময়ই যে কোন ফর্ম পূরণের জন্য শেষ দিন গিয়ে হাজির হই,কারণ একটাই, আমি জানতাম না। কোথাও দাওয়াত থাকলে প্রায়ই আমি জানি যখন বাসার সবাই সাজগোজ শুরু করে তখন, কারন তারা বলেছে, আমি খেয়াল করিনি। সেদিন পুরনো এক বন্ধুকে ফেবুতে প্রশ্ন করতে যাচ্ছিলাম বিয়ে করবে কবে,হটাত চোখে পড়ল ওর ১ মাসের বাচ্চার ছবি, সবাই লাইক দিয়েছে আমি ছাড়া,কারণ একটাই, আমি আগে খেয়াল করিনি । ইদানীং আমার এ সমস্ত আচরণে আমি অথবা আমার আশেপাশের কেউই আর খুব একটা অবাক হই না। অভ্যস্ততা বড় ভয়ানক জিনিস, মানুষতো হিরোশিমাতেও খাপ খাইয়ে নেয় একসময়।
এবার হাচল হওয়ার গল্পটা বলি। আমি সচলায়তনে সময় কাটাই প্রায় এক বছর। যদিও এখানে প্রথম লিখেছি মাত্র ৩ মাস আগে। আসলে লেখার সাহস করে উঠতেই অনেক সময় লেগেছে। এত অসাধারণ সব লেখক, কত জ্ঞানী গুনি সব মানুষ, চমৎকার সব পোস্ট, গল্প, কবিতা,ছবি, ব্লগর ব্লগর, আমি পড়ি আর মুগ্ধ হই। কারো একটা লেখা ভাল লাগলেই তার আগের সব লেখা পড়ে ফেলি। এমনকি ফাঁকিবাজের খাতায় নাম আসলেও ফাঁকিবাজ হওয়ার আগে সে কি কি লিখেছে পড়ে ফেলি। তাই এখানে প্রায় সবাই পরিচিত আমার কাছে। কিন্তু কয়লা ধুলে কি ময়লা যায়, তাই এখানেও মাঝে মাঝে হারিয়ে যাই আমি। কখনও কখনও সব কাজ ফেলে সারাদিন সচলদের লেখা পড়ি আবার কখনও কখনও দিন পার হয়ে যায় ,আমি উঁকিও দেই না। গত সপ্তাহেও এভাবেই নিজের মধ্যে ডুবে কাটিয়েছি। আজ সকালে সচলে ঢুকে গত কয়েকদিনের পোস্ট পড়ছি, হটাত দেখি ফাঁকিবাজের দলে ধূসর জলছবির নাম। এই নামে আমার আগে আরও কেউ লিখত এবং এখন সে না লিখে লিখে ফাঁকিবাজ হয়ে গেছে, আর সচলের এতগুলো মানুষ কেউ আমাকে একবারও জানাল না যে এই নামে আর একটা আইডি আছে ! খুব অভিমান হল সবার উপর। মন খারাপ করে উঠে গেলাম। গাধা তো তাই মাথায়ই আসেনি যে ওটা আমি হলেও হতে পারি। সারাদিন ভেবেছি এরপর লিখলে আমি কি নামে লিখব। সন্ধ্যায় মেইল দেখতে বসে ডিনামাইট আবিষ্কার করলাম, আর একটু হলে আমার মাথার ভিতরটা ফেটেই যেত। সচলায়তন থেকে আমার কাছে মেইল এসেছে,তাও ৩ দিন আগে। লগ ইনের জন্য ঢুকে দেখি ওখানে লেখা শেষ সময় ২৭/৩/২০১২, ৭.৫০ অপরা-নহ । ফাইনাল প্রফের ফলাফল আনতে গিয়েও এত পালপিটেসন হয়নি আমার। অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভেবেই পাচ্ছিলাম না কি করা উচিৎ এখন। আর হাচল হওয়া হল না ভেবেও বুকে সাহস ভর করে পাসওয়ার্ড দিলাম, এবং বোধহয় আমার মত বেকুবের উপর দয়া পরবশ হয়েই, হয়ে গেল লগইন।
আমি এখন সচলের গর্বিত হাচল। সমস্যা একটাই, হাচল হিসেবে লগইন করার আগেই নাম ফাঁকিবাজের খাতায় উঠে গেল। কি আর করা, ঢেঁকি নাকি স্বর্গে গেলেও ধানই ভাঙ্গে।
মন্তব্য
হাচলত্বের অভিনন্দন জানুন ধুসরদি।
এতো সহজেই হাচল হলেন দেখে খানিকটা ঈর্ষাও জাগলো মনে। আমরা তো হাচল হয়েছিলাম কিবোর্ডে আঙ্গুলের কয়েকপ্রস্থ চামড়া খুইয়ে তারপর।
আমি স্বভাবে ছিলাম ঠিক আপনার উল্টোটা। হৈ হুল্লোড় ছাড়া থাকতেই পারতাম না। ঘরে একদমই মন টিকতো না, দিনময় আড্ডায় মেতেছি, দূর দূরান্তে কনসার্ট করতে ছুটেছি, ক্রিকেট খেলতে গিয়েছি- যাকে বলে একদম ভাদাইম্যা।
তবে প্রত্যেকের কাছেই তার সুখের উৎসগুলো আলাদা। মেতে থাকুন নিজের পছন্দের জগতে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অসংখ্য ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয়দা ।
আপনিও অনেক ভাল থাকুন সবসময়ই।
রাতঃস্মরণীয়'দার "প্রত্যেকের কাছেই তার সুখের উৎসগুলো আলাদা" কথাটা খুব মনে ধরল।
হাচলত্বের অভিনন্দন। লেখা চলুক।
ধন্যবাদ
হাচলত্ব প্রাপ্তির অভিনন্দন রইল।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধন্যবাদ রাজা মশাই।
কনগ্র্যাটস!

যতোই অগ্নিদৃষ্টি হানুক, আপনি ভস্ম হইয়েন না।
আমারো স্বভাব খানিকটা আপনার মতোই।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কিউট এক্ষান লেখা।
জারি রাখেন লেখা। কি-বোর্ড ফাডাইয়ালান। আর রাতঃ'দার মতো আমারও কথা আপনারা অনেকেই অনেক সৌভাগ্যবান যে এত তাত্তারি সচল হলেন। সো, এই পথে আপনার চলা জারি থাকুক। আর কানে কানে কইয়া যাই, প্রথম দিকে লেখায় যে কথাগুলো কইলেন তার মোটামুটি নব্বইভাগ মিলে যাবে আমার সাথে। এই দুনিয়ায় যদি কোনদিন অসামাজিক মানুষেরে নোবেল দেওয়া হয়, তখন আমার নাম মনোনয়নে আসবেই আসবে।
ডাকঘর | ছবিঘর
হাচলত্বে অভিনন্দন !!
আমার মনে আছে, ঠিক চারখানা লেখা দেয়ার পরে, মুর্শেদ ভাই খবর দিলেন হাচল হবার !! আমার চোখ রসগোল্লা হয়ে গিয়েছিলো !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমিও ঠিক চারখানা লেখা দেয়ার পরই হাচল হলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও চার। হাচল হতে পারা যে খুব আনন্দের ব্যাপার তাও কিন্তু ঠিক ভাবে বুঝতে পারি নি। সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছে দেখে বুঝলাম কিছু একটা হয়েছে।
লিখতে থাকি, দেখি মডুরা কবে সদয় দৃষ্টি দেন। পাঁচ খান তো হয়ে গেল।
লিখতে থাকুন, হয়ে যাবে।
আমি তিনটা লেখা দেয়ার পরেই পাইছি।
পুরান লেখা গুলার নাম ধামও খেয়াল নাই যে মডুরে আবদার করব একাউন্টে ঝুলায় দেন। 
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কৈলে বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, আমি ২২ খান লেখা দেওয়ার পর হাচলের সন্মান অর্জন করেছি। এসব নির্ঘাৎ পারশিয়ালিটি!
প্রতিবাদ জানায়ে গেলাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এইবার লেইখা ফাডায়ালান, দেখি কেডা আপ্নেরে ফাঁকিবাজ কয়
..................................................................
#Banshibir.
শুরু করলাম। দেখি কি হয়।
স্বাগতম
, লেখা চালু থাকুক, চমৎকার হয়েছে বর্তমানটিও !
facebook
অসংখ্য ধন্যবাদ
অভিনন্দন। লেখা চলুক।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ
অভিনন্দন! সচলায়তন পড়ি ৪ বছর প্রায় ! এখনো কিছুই লিখতে পারলাম না
- পাচল ক্যাটাগরি একটা থাকা উচিত ছিল 
ধন্যবাদ
পাচলের আইডিয়াটা খারাপ না। আপনি চমৎকার ব্যানার বানিয়েছেন কিছুদিন আগে দেখলাম। লেখাও শুরু করে দিন। 
একটা পাচল ক্যাটাগরির স্বপ্ন আমার বহুদিনের !

অভিনন্দন , আপনার সাথে আমার অনেক মিল এইজন্য
চমৎকার , নিজের মত অনেককে পাচ্ছি।
পাচল না ভাই-- এইটা অচল ক্যাটাগরি হৈবো---
অভিনন্দন
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ধন্যবাদ
অভিনন্দন
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
অভিনন্দন। সচল থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ
ফুলপাতানদীনালা জাতীয় এতো এতো হাজারে বিজারে নাম থাকতে আপনে আর নাম খুঁইজা পাইলেন না! আমার আকিকা দেওয়া নামটারে এক্কেবারে জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশনের আওতায় ফেলে দিলেন!
যাইহোক, শুভকামনা থাকলো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ, উনারে ধুসর গোলাপি নাম দিলে ভালো হইত।
গোলাপি নামটাতো আমার জানামতে ম্যাডামের জন্য সংরক্ষিত , আপনি আমাকে এই নাম দিতে চান জানলে উনি ব্যাপক মাইন্ড খাবেন কিন্তু। (ইনোসেন্ট ভাবের ইমো হবে )
ধুগোদা,
আপনার কষ্ট বুঝতে পারছি। আমার প্রিয় নামটা আপনি আগেই আকিকা করে রেখেছেন

শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ
শুভকামনা
এইবার লিখে ফাটাই ফেলেন আমরা পড়ে ফুটাই ফেলি।
আপনি সাহিত্যিক আর প্রফেসরদের বাঁশ দেয়ার লেখাটার জন্য আমাদের ধৈর্যের আর কত পরীক্ষা নিবেন বলেন তো ?
হাচলত্বের অভিনন্দন। অনেক অনেক লিখুন, আর প্রতিবারই উৎকর্ষতায় নিজেকে অতিক্রম করে যান, এই কামনা করি। বিচ্ছিন্নতাবোধ বা এলিনিয়েশন কিন্তু একটি রাজরোগ। অসম্ভব প্রতিভাধর কিছু মানুষের মাঝে এই রোগ লক্ষ্য করি। প্রমাণস্বরূপ এই দেখুন না,
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অসংখ্য ধন্যবাদ , রাজরোগ বলেই তো এটাকে যত্নে পালন করি।
। এই কবিতাটা আমি যতবার পরি ভাবনায় ডুবি।
অভিনন্দন, চলুক লেখালেখি।
ধন্যবাদ ।
হাহা ! কমন পড়ল অনেক কিছু ! অভিনন্দন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার লেখা পরেও আমার মনে হয়েছে এটা, অনেক কমন পড়েছে । ধন্যবাদ।
চমৎকার লাগলো কিন্তু লেখা টা।
বেশ কিছুদিন সচলায়তনে হাঁটতে হাঁটতে হটাৎ লেখাটা ব্যাপক আনন্দ দিলো।
ধন্যবাদ। কাউকে আনন্দ দিতে পারার মত পূণ্যের কাজ আর কিছু নেই। খুব ভাল লাগল শুনে।
অভিনন্দন।
লেখাটাও ভাল লাগল। আপনার অন্য লেখাগুলো পড়া হয়নি। লিঙ্ক দেয়া যায়?
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/43624
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/42938
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/43252
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/42696
অভিবাদন।।।।।।।।
আমি ও খানিকটা এরকম। ঘরকুনো মনে হয় বলা যায়। অনেক সময় ভ্রমনের চেয়ে ভ্রমন কাহিনী পড়াটাকেই আনন্দজনক মনে হয়। অবশ্য এটা প্রাথমিক, ভ্রমনে গেলে কিন্তু ব্যপক ফুর্তি অনুভব করি। অনেক ক্ষেত্রে জোর করে মনের বিরুধ্যে সামাজিকতা রক্ষা করি।
কিছুটা প্রশান্তি পেলাম যে, আমার মত আরও অনেকেই আছে। লেখাটা ঝকঝকে। ভাল লাগল । ধন্যবাদ।
আমি বিচ্ছিন্নতাবাদী হলেও ঘুরতে খুব বেশি পছন্দ করি। পুরো পৃথিবী ভ্রমণের একটা খায়েশ আছে মনে। ধন্যবাদ আপনাকে।
অভিনন্দন!!!
হাচল থাকুন সচল রাখুন। আরেকজন ধূসর যুক্ত হলো সচলায়তনে।
আসার আগেই ফাঁকিবাজের তালিকায় নাম উঠে যাওয়ায় আরেকদফা অভিনন্দন। জানেন তো নিশ্চয়ই ফাকিবাজরা বরাবরই সেলেব হয়
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ , আমি বরাবরই ফাঁকিবাজ ।
অভিনন্দন
ধন্যবাদ
অভিনন্দন। আমরা এখন একই শ্রণীভুক্ত। তবে আমি কিনা ফেল্টু মার্কা। একুশটা লেখা প্রকাশ হবার পর হাচল হয়েছি। আর এ জনমে সচল হয়ে ওঠা হবেনা। হা, হা, হা।
একুশটা
।আপনিই তো সবচেয়ে সচল। ধন্যবাদ 
অভিনন্দন
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধন্যবাদ
আমি কবে হাচল হবো ।
লিখতে থাকুন।
এরকম জোশ একটা লেখা যে পোস্ট করতে পারে তার না-লিখাটাও যে একটা মস্ত অপরাধ, এটা নিশ্চয়ই কেউ স্মরণ করিয়ে দেয়নি আপনাকে, তাই না ? ওরাও অপরাধী !
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রনদীপদা, আপনি এই কথা বললেন, আমি সত্যি সত্যিই অনেক সাহস পেলাম লেখার।অসংখ্য ধন্যবাদ।
এইরকম নিজের কাছে নতজানু হবার অভিজ্ঞতা আমার বয়েসের সমান পুরনো। যাক। সাহস পেলাম আজ-- এমন অভিজ্ঞতা আরও মানুষেরও আছে!!
হাচলত্বর অভিনন্দন।
------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---
সেটাই, আমিও আপনাদের পেয়ে সাহস পেলাম।অনেক ধন্যবাদ
অভিনন্দন
আহা, ফোন বন্ধ করে রাখা যে কি আনন্দের একটা কাজ
ধন্যবাদ
। খাটি আনন্দ 
প্রথমেই জানাই অভিনন্দন ।
আপনি আর নিলয়দার সাথে আমিও হাচল হয়েছি ।
আর খুশি হবার সাথে সাথে লজ্জাও পাচ্ছি ।
আপনারা দুজন তবু হাচল হয়ে দুটো পোষ্ট দিয়ে দিলেন ।
আমার তো তাও দেওয়া হল না ।
কত ভাবি, এই লিখব - সেই লিখব, লেখা আর হয় না ।
আপনাকে দেখে বুকে বল পেলাম ।
খুব ভাল থাকুন ।
শুভেচ্ছা ।
আপনার সেই লেখাটায় আগাম অভিনন্দন জানিয়ে রাখলাম !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ দাদা
আপনাকেও অভিনন্দন । এবার লিখে ফেলুন তাড়াতাড়ি ।
স্টকে তাহলে আমরা তিনজন ছিলাম।
প্রদীপ্ত, আর দেরী নয়। দেশের আমি... লেখাটার মতো কিছু একটা চাই।
কিন্তু ধুসর দিদি, আপনার অন্যান্য লেখাগুলো কোথায় পাব?
... ও আচ্ছা, শাব্দিকের মন্তব্যের জবাবে লিংক পেয়ে গেছি।
মনে তো হয় স্টকে তিনজনই ছিলাম ।
আপনি যে আমার লেখাটার নাম এখনও ভোলেননি !!
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
নতুন ব্যাচ তাইলে! নতুন ব্যাচ দেখলেই কেন জানি র্যাগ দিতে ইচ্ছা করে। সচলের সিনিয়রদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তিন জনকেই অভিনন্দন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমারেও র্যাগ দেন না একটু, আমিও নতুন
আপনারে কেউ র্যাগ দিতে পারছিলো?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ ।
এই লিখে ফেললাম বলে।
অভিনন্দন।
ধন্যবাদ
১। আপনার পুরান লেখার লিঙ্কগুলো এবার মডু বরাবর পাঠিয়ে দিন, আপনার নিজের একাউন্টে পাচার করে দেবেন তাঁরা
২। আগের লেখাগুলোর তুলনায় এ লেখার স্বাদটা একটু আলাদা। স্বছন্দ আনন্দ বলেই হয়ত!
৩। এভাবেই সচল হয়ে যাবেন একদিন, শুভকামনা রইল
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার মন্তব্য প্রথম থেকেই আমাকে উৎসাহ জুগিয়েছে , অসংখ্য ধন্যবাদ।
সচলে স্বাগতম !
হাচল হওয়ার চেষ্টায় আছি, দোয়া করবেন ।
ধন্যবাদ । শুভকামনা রইল।
আপনাকে আমার বেশ পছন্দ হয়েছে!

লিখুন নিয়মিত। Happy Blogging!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অভিনন্দন
আর আমার এখনও কিছুই হইলো না!! কপাল খারাপের ইমো!!
ধন্যবাদ।
অভিনন্দন, লেখা চলুক।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ধন্যবাদ কল্যাণ দা
নতুন মন্তব্য করুন