চায়ের সাথে আমার বন্ধুত্ব আমার ২ বছর বয়স থেকে। আব্বু আম্মু অফিসে থাকার কারণে এবং বাসায় আর কোন বাচ্চা না থাকার কারণে আমাকে দিনের বেশীরভাগ সময় চাচাদের সাথে থাকতে হত, সঠিক করে বললে বলতে হয় চাচাদেরকে আমার সাথে থাকতে হত। তাই আমার অনেক বদভ্যাসের মত চা খাওয়ার বদভ্যাসটাও আমি তাদের কাছ থেকেই পেয়েছি। কেন যেন আমার ধারনা ছিল চা বড়দের খাবার তাই ওটা আমাকে খেতেই হবে। বড় হওয়াটা কত কষ্টের , বড় মানুষেরা কতটা হতভাগা এসব জানতাম না বলে আমি তখন শুধু বড়ই হতে চাইতাম। এজন্যই ছুটির দিনে আমি বারান্দায় চা হাতে বসে বাবার মত এক মনে খবরের কাগজ পড়তাম(যদিও আমি তখন পড়তে জানিনা), এক হাতে চা আর এক হাতে পানির মগ নিয়ে আম্মুর মত ফুলের টবে পানি ঢালতাম,বলা বাহুল্য সেই পানি টবে কম মাটিতে বেশি পড়ত,রাস্তায় চা এর দোকান গুলোতে চাচাদের কারো সাথে বসে চা খেতাম উদাস মুখে, আবার কখনও কখনও গম্ভীর মুখে দাদুকে হুকুম করতাম “আমাকে এক কাপ চা দিও তো”। কোথাও বেড়াতে গেলে ছোট ভেবে অবহেলা করে যখন আমাকে চা দেয়া হত না তখন এহেন অভদ্র আচরণের আমি তীব্র প্রতিবাদ করতাম কেঁদেকেটে একাকার করে। তখন থেকেই চা আমার বড় হওয়ার সাথী।
অনেকে চা খায় ঘুম তাড়াতে, কেউ গলা ঠিক করতে, কেউ ঠাণ্ডা সারাতে, কেউ আড্ডা মারার মাধ্যম হিসেবে, অনেকে খায় অভ্যাসে, কেউ বদভ্যাসে, আবার কেউ খায় এমনি এমনিই। আমি চা খাই চায়ের সাথে কিছুটা সময় কাটাতে। এমনিতে একা থাকতেই আমার ভাল লাগে। কেউ আমার একাকীত্ব নষ্ট করার চেষ্টা করলে তাকে আমি মনে মনে ১০ টা অভিশাপ দেই,কিন্তু এরপরও কেন যেন হটাত হটাত আমার প্রচণ্ড একা লাগে। চারপাশে কথা বলার মত হাজারও মানুষ তবুও কথা বলার কাউকে খুঁজে পাই না, ঘুরতে যেতে ইচ্ছে হয়, ঠিক সেই মুহূর্তে কোথায় যাওয়া যায় ভেবে পাই না, কিছু একটা কাজ করতে ইচ্ছে হয় কিন্তু হাতে অজস্র কাজ জমে থাকা সত্ত্বেও কি করব বুঝে উঠতে পারি না । এবং এরকম অদ্ভুত অস্থির সময়গুলোতে আমি চা বানাই, তারপর ধোঁয়া উঠা কাপ হাতে সময়গুলোকে ফু দিয়ে উড়িয়ে দেই।
ঘরে বানানো চা খেয়ে চায়ের স্বাদ কখনই পুরোপুরি বুঝা যায় না। চা খেতে হয় রাস্তায় , মাঠে ঘাটে, ব্রহ্মপুত্রের চরে। স্কুলে থাকতে রাস্তার চায়ের দোকানগুলোতে চা খেতে খুব ইচ্ছে হত। ততদিনে চাচারা সব যে যার মত ব্যস্ত হয়ে গেছে। মনের ইচ্ছের কথা বন্ধুদের বললে তারা এমনভাবে তাকাত যেন আমি তাদের নিষিদ্ধ ফলের জুস খেতে বলছি। আমার তখনকার দিনের বন্ধুরা সব এলিট শ্রেণীর এলিট মেয়ে ছিল তো! তবে হটাত করেই ১০ম ক্লাসে উঠে আমার মত একজনকে খুঁজে পেলাম যার মাথায় এলিট ব্যাপারটা বুঝার মত যথেষ্ট বুদ্ধি নাই এবং যাকে স্যারের বাসা থেকে বের হয়ে মোড়ের দোকানটাতে চা খাওয়ার কথা বলার সাথে সাথে তার সব দাঁত বের হয়ে গিয়েছিল। এরপর প্রতিদিন আমরা বিভিন্ন দোকানে চা খেয়ে বেড়াতাম। পরবর্তী সময়ে অনেক দামি রেস্তরায় চা খেয়েও সেই স্বাদ কেন যেন পাই নি। হয়ত তখনকার সেই চায়ের কাপে কিছুটা চিনি আর দুধের সাথে অনেকটা স্বাধীনতার স্বাদও মিশান থাকত।
চা নিয়ে অনেক পাগলামি করেছি মেডিকেলে ঢুকার পর থেকে। যখন ইচ্ছে যেখানে ইচ্ছে চা খেতে চলে যেতাম। কপালগুনে কিছু পাগলও জুটে গিয়েছিল সাথে, যাদের আমার মতই বুদ্ধি কম, ইচ্ছে বেশি,লজিক বুঝে কম, স্বপ্ন দেখে বেশী । একবার আমার ছোটবেলার এক বান্ধবী আমার কাছে বেড়াতে গেল , আমি ওকে বললাম সে চা খাবে কিনা ,সে বেচারী সরল মনে বলল হ্যাঁ। আমরা প্রথমে রিক্সায় করে এগ্রি ইউনিভার্সিটি গেলাম তারপর নৌকায় করে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দিলাম, তারপর হেটে কিছুদূর গিয়ে একটা ছাপরার দোকানে বসে পা দোলাতে দোলাতে যখন আমি চায়ের অর্ডার দিচ্ছি, আমার বান্ধবী ততক্ষণে কয়েকশো বার বলে ফেলেছে আমার মত উন্মাদকে পাগলা গারদে আটকে রাখা উচিৎ, বাঁধনহীন ভাবে রাখাটা নিরাপদ না। আমার কাছে কিন্তু মনে হয়েছে ওরাই নিজেরা নিজেদের গারদে ভরে রাখে সবসময়।
অনেকেই বলে চা খেলে ঘুম হয় না। আমার অসম্ভব বুদ্ধিমতী এক রুমমেট ছিল যে পরীক্ষার আগে ঠিক সময় হিসাব করে চা খেত কারণ চা খাওয়ার পর ঠিক এত ঘণ্টা এত মিনিট পর্যন্ত তার ঘুম আসবে না। ওর মত হিসাববিজ্ঞানী মেয়ে আমি জীবনে দেখিনি,সে প্রেমও করত সময় ধরে হিসাব করে। মেডিকেলে না পড়ে হিসাববিজ্ঞানে পড়লে সে নোবেল পেয়ে যেত নিশ্চিত। আমি যেহেতু হিসেবে কাচা, তাই আর সব কিছুর মত আমার চা খাওয়ার সাথে ঘুমের হিসেবেও গণ্ডগোল আছে। প্রায়ই দেখা যেত আমি খুব উৎসাহ নিয়ে বই খাতা ছড়িয়ে চা বানিয়ে পড়তে বসতাম, এবং অবধারিত ভাবে তার কিছুক্ষণের মধ্যেই গভীর ঘুমে হারিয়ে যেতাম।
চা খাওয়ার আর একটা সমস্যা হল চা বেশি খেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, ব্রণ বাড়ে। এটা আবার সুবিধাও। যে চা খোর লোকজন তাকে দেখে ভাবে সে বিশাল চিন্তাবিদ, মাথার ভিতরই সব সমস্যার সমাধান করে ফেলছে,বন্ধুরা ভাবে সে পড়াশুনা করে ফাটিয়ে ফেলছে,ফল প্রকাশের দিন ফল আনতে ট্রাক ভাড়া করতে হবে। নিজেকে জ্ঞানী এবং চিন্তাশীল হিসেবে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে চা একটি সহজ মাধ্যম। এজন্যই আমি যত বড় গর্দভই হই না কেন আমাকে দেখে প্রথম প্রথম কেউ সেটা বুঝতে পারে না।
চা নিয়ে আমার অজস্র স্মৃতির মধ্যে সবচেয়ে মধুর আবার সবচেয়ে বেদনার হল আমার বাবার সাথে চা খাওয়ার স্মৃতিগুলো। বাবার একটু ঠাণ্ডা এলারজি ছিল, রাতে প্রায়ই লাল চা খেত,সাথে অবশ্যই আমি থাকতাম। মাঝে মাঝেই আমরা বাপ বেটি মিলে অনেক রাত পর্যন্ত বারান্দায় চা হাতে বসে থাকতাম আর পৃথিবীর সব আউল ফাউল বিষয় নিয়ে অহেতুকই কথা বলতাম, জোর গলায় তর্ক করে বাসার সবার ঘুম ভাঙ্গাতাম। বাবা মারা যাওয়ার পর আমি অনেকদিন লাল চা খেতাম না ,বারান্দায়ও যেতাম না, কষ্ট হবে ভেবে। তারপর একদিন মনে হল কষ্ট হবে তো কি হবে, আমার বাবার জন্য আমি কষ্ট পাব না তো কে পাবে? তাই এখনও মাঝে মাঝে অনেক রাতে চা হাতে বারান্দায় বসে থাকি, তারা দেখি , কথা বলি, তর্ক করি ,নিজের সাথে,একা একা।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমার বিশ্বাস হত না, কিন্তু এখন বুঝি যে আমি অনেক বড় হয়ে গেছি। ঠিক যতটা বড় হলে একটা মানুষ নিজের কাছে অচেনা হয়ে যায়,সব প্রিয় মানুষ,সমস্ত প্রিয় মুহূর্ত ভুলে যাওয়ার ভান করতে পারে, অপ্রিয় অপছন্দনীয় বাস্তবতায় ডুবে থাকে দিনের পর দিন, আমি এখন ঠিক ততটাই বড়। তবুও মাঝে মধ্যে কোথা থেকে জানি এসে ছোটবেলাটা উকিঁ দিয়ে যায়, লুকিয়ে রাখা আবেগগুলো ভিতর থেকে প্রতিবাদ করে উঠে, টেনে নিতে চায় গভীরে শিকড়ের কাছে। সেই সময়গুলোতে আমি বড় অস্থির হয়ে যাই, যে অস্থিরতার কথা বোঝাতে পারিনা প্রিয় বন্ধুকেও। বুঝে যাই, আমার আসলে আর এক কাপ চা খাওয়ার সময় হয়েছে।
মন্তব্য
"হয়ত তখনকার সেই চায়ের কাপে কিছুটা চিনি আর দুধের সাথে অনেকটা স্বাধীনতার স্বাদও মিশান থাকত।" - চমৎকার
দেশে থাকতে আমিও চা খেতাম ভয়াবহ রকমের। বাসা, ক্যাফে, হোটেল, টংএর দোকান থেকে শুরু করে কিছুই বাদ থাকত না, বানানো লাগত নাতো! এখন বানানোর আলসিতে শুধু র-টি ছাড়া আর কিছু খাওয়া হয় না।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ আপনাকে । আমার অবশ্য অন্য সব কাজে আলসেমি থাকলেও চা বানাতে কেন যেন আলসেমি নেই।
আপনার লেখার শেষটা পড়ে মনটা বিষন্ন হয়ে গেল -- বড় হয়ে যাওয়ার বিষাদময় জ্বালা নিয়ে প্রতিনিয়ত জ্বলতে থাকা জীবনে নিজেকে কখন যে সমর্পন করেছি - মনেও নেই। বিশের কোঠায় থাকতে ১২/১৪ কাপ চা ছিল আমার নিত্য সংগী - যদিও তা এখন নেমে এসেছে একের কোঠায়। এবার দেশে গিয়ে বাবার সাথে সময় করে চা খেতে হবে, যাতে সময় থমকে যাওয়ার আগেই নিজেকে খুঁজে পেতে পারি আবার। ধন্যবাদ আপনার চমৎকার লেখার জন্য।
- শফকত ...
অবশ্যই খাবেন, শুভকামনা রইল। বেচে থাকার কঠিন সময়গুলোতে এই সোনালি স্মৃতি গুলোই আমাদের টিকিয়ে রাখে।
ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ।
আমার কেন যেন মনে হচ্ছে সঙ্গে আরো কিছু বিষয় উল্লেখ থাকলে মন্দ হতোনা। যেমন- ধরণের চা বেশি পছন্দ, যখন খুব বেশি ইচ্ছে করে এই বন্ধুর পাশে থাকতে অথচ তাকে পাওয়া সম্ভব হয়না তখনকার অনুভূতি, তারপর ধরুন বেশ আয়োজন করে বাইরে গেলেন চা খেতে অথচ খেতে যেয়ে দেখলেন চায়ের মান প্রত্যাশার চেয়ে খারাপ তখনকার বিরক্তি ইত্যাদি।
লেখা ভালো লেগেছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে লেখাটা লিখেছি হুট করে। যখন পাশে থাকতে চাই , তখন না পাওয়ার অতৃপ্তি অথবা মান খারাপ হলে বিরক্তি ,এসব ঘটনা তো অবশ্যই আছে । কিন্তু আমার সমস্যা হল আমি প্রিয় কোন কিছু নিয়ে লিখতে গেলে কেন যেন শুধু ভাল লাগার স্মৃতি গুলোই মনে পড়ে। আপনার কথায় এখন আরও অনেক ঘটনা মনে পড়ল। ভবিষ্যতে নাহয় চা খাওয়া নিয়ে অতৃপ্তি আর বিরক্তির ঘটনাগুলো নিয়ে কিছু লিখব। আর চায়ের ব্যপারে আমি সর্বভুক , সব ধরনেই ভাল লাগে তবে সেটা মুডের উপর নি্ভরশীল । সেটা লিখতে গেলে আর এটা ব্লগ লেখা হয়ে যাবে। ভালও থাকবেন ।
লেখা খুবই ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ ।
চমৎকার!
লেখার শেষাংশটুকু বিশেষ করে, খুব ভাল লাগল।
একটু বিজি আছি এই মুর্হূতে, পরে মনে করে একটা চায়ের কাপের ছবি দিয়ে যাব।
সচল থাকুন, সচল রাখুন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথীডোর ।
বাংলাদেশে টং-এর দোকানের চা বোধহয় জাতীয় খাবার(পানীয়) হিসেবে বিবেচ্য হতে পারে। কেউ এলাকায় আসলো, বা পুরনো কোন বন্ধুর সাথে দেখা- ব্যাস- চল চায়ের দোকানে, সাথে সিগ্রেট- চলুক আড্ডা। এরকম কুইক আপ্যায়ন চা দিয়েই সম্ভব। টং-এর দোকান জিন্দাবাদ।
ক্রেসিডা
ঠিক কথা
"ঠিক যতটা বড় হলে একটা মানুষ নিজের কাছে অচেনা হয়ে যায়,সব প্রিয় মানুষ,সমস্ত প্রিয় মুহূর্ত ভুলে যাওয়ার ভান করতে পারে, অপ্রিয় অপছন্দনীয় বাস্তবতায় ডুবে থাকে দিনের পর দিন, আমি এখন ঠিক ততটাই বড়।"
খুবই ভাল লেগেছে
হুম, ধন্যবাদ।
প্রচন্ড কাছের মনে হলো কথাগুলো, পড়ে অবধি আচ্ছন্ন হয়ে আছি...। একা থাকা আর চা খাওয়ার মুহূর্তগুলোতেই মনে হয় আমি 'আমি' থাকি। অবস্থা এমন দাড়িয়ে গেছে যে পড়ালেখা করে একটা প্লাটফর্মে যেতে চাই যেন চা খাওয়াটা আমার আজীবন নির্বিঘ্ন থাকে...
যেন চা খাওয়াটা আপনার আজীবন নির্বিঘ্ন থাকে সেই শুভকামনা রইল।
লতা হারবাল নিয়মিত মাখা শুরু করেন। চা-এর উপর চাপ কমান। দেশে এমনিতেই অনেক বুদ্ধিজীবী হয়ে গেছে, ওখানেও চাপ কিছুটা কমান।
আপনার লেখার শেষের দিকের প্যারা কয়টা নিচের গানটা ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। কিংবা কে জানে, হয়তো যখন রাতে বারান্দায় চা হাতে নিয়ে গিয়ে বসেন, গুনগুন করে হয়তো নিচের গানটাই আপনি গাইতে থাকেন...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হারবাল দিয়ে আর কিছু ঠিক হবে না। আমার চেহারার শুষ্ক, বুদ্ধিজীবী ছাপ চিরস্থায়ী হয়ে গেছে। তবে দেশের বুদ্ধিজীবী সংখ্যা বাড়বে না, কারন বুদ্ধি খালি আমার চেহারাতেই , মাথায় কিছু নেই।
গানটার জন্য ধন্যবাদ দিব না। কিছু কিছু ব্যপারে কথা বলার কিছু থাকে না, এ ক্ষেত্রেও তাই। আপনি ভাল থাকেন ধুগোদা ।
আমার যদিও চায়ের নেশা নাই, তেমন একটা খাইটাই-ও না (মানে, পান করি না), তবে রাস্তার ধারের টং দোকানের চায়ের স্বাদ অন্যরকম, বাসাবাড়িতে এমনটা পাওয়া যায় না সেভাবে।
অবশ্য শুধু চা-ই না, কোনোকিছুরই নেশা নাই আসলে। বৃথা এ জীবন!
বলেন কি? আপনার কাছে আমার দীক্ষা নিতে হবে। আমিতো যাই করি নেশা নিয়ে করি। তবে কিনা বই, মুভি আর চা এ ৩ টা ছাড়া আর কোন নেশাই বেশিদিন টিকে না। নেশাহীন জীবন যাপনের চেষ্টা করছি, হচ্ছে না। আমাকে দিয়ে হবে না।
বন্ধুবান্ধবের সাথে চা খাওয়া হয়, কিন্তু নেশা নেই।
আপনার লেখাটা হাসি হাসি মুখ করে পড়তে পড়তেই শেষের অংশটুকু বিষাদ ছুঁয়ে দিয়ে গেলো।
"বুদ্ধি কম, ইচ্ছে বেশি, লজিক বুঝে কম, স্বপ্ন দেখে বেশী" - এইসব গুণাবলী নিয়ে আপনার সাথে আছি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ডাগদর আমারে চা-চু খাইতে বারণ কচ্চে।
ডাকঘর | ছবিঘর
আমিও কতজনরে বারন করি । খবরদার চা খাবেন না।
"হয়ত তখনকার সেই চায়ের কাপে কিছুটা চিনি আর দুধের সাথে অনেকটা স্বাধীনতার স্বাদও মিশান থাকত।" - দারুণ!
খুব মন ছোঁয়া লেখা, আরো লিখতে থাকুন উজাড় করে। দেশে গেলে চা বাগানে একদিনের জন্য হলেও যাওয়া হয়, এরচেয়ে সুন্দর মানবসৃষ্ট জায়গা আর আছে বলে মনে হয় না।
facebook
ধন্যবাদ গুরুজি।
(গুড়)
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ধন্যবাদ ।
হাচলাভিনন্দন
ধন্যবাদ
অসাধারণ লেখা। আপনার বাবার সাথে আপনার চা খাবার অভিজ্ঞতাটা ও হদয় ছোঁওয়া। আমিও আমার মাকে কিছুদিন আগে রাস্তার টং এ চা খাইয়েছি। প্রথমে না বললেও চা খাবার পর বুঝতে পারলাম মার অনেক ভাল লেগেছে।
"চা খেতে হয় রাস্তায়, মাঠে ঘাটে, বহ্মপুএের চরে।" বহ্মপুএের চরে চা না খাওয়া হলেও আমার চা খাবার প্রিয় জায়গা হল রাস্তার টং এর দোকানগুলো। এককাপ ধোঁয়া উঠা চা হাতে রাস্তায় ব্যস্ত মানুষ দেখার মত মজা খুব কমই পাওয়া যায়।
খাটি কথা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন