আমি জন্ম নেয়ার পর থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত হতে চেয়েছি অনেক কিছুই তবে ছোটবেলাতে সবচেয়ে বেশী যেটা মনে মনে হতে চেয়েছি তা হল সিন্ডারেলা। সেটা কি সিন্ডারেলার গুনে নাকি তার রাজপুত্রের রূপের গুনে সেটা এখন আর মনে নেই। সিন্ডারেলা হওয়ার জন্য আমি কি না করতাম ! নিজের সাথে সারাক্ষণ মিলাতাম সিন্ডারেলাকে। সবই তো ঠিক আছে, আমিও তো কত ভাল, কত সুন্দর, কত বুদ্ধিমতী(এখন এসব ব্যাপারে মনে সন্দেহ থাকলেও তখন প্রায় নিশ্চিত ছিলাম)। পরক্ষণেই আবার মন খারাপ হত , ধ্যাত, আমার তো বাবা মা সবই আছে, অথচ কোন সৎ মা নেই। দুটো সৎ বোনও তো নেই, আছে একটা ছোট ভাই, যে বাবা মায়ের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে দেয়া আমার সবচেয়ে প্রিয় উপহার। কোথায় আমার সৎ মা আমাকে চাল ডাল মিলিয়ে বেছে দিতে বলবে , তা না, আমিই উলটো রান্নাঘরে গিয়ে চাল ডাল উল্টে দাদুকে বাছতে দেই। আমার চাচারা আমাকে আদর দিয়ে দিয়ে মাথায় উঠায়, এবং আমি মাথা থেকেই আর নামি না। তাহলে কিভাবে হবে? ইচ্ছেগুলো যে অপূর্ণই থেকে যায় বেশীরভাগ সময়, সেটা আমি তখনই টের পেয়েছিলাম। যা চাই হয় ঠিক তার উল্টো। কি করে সেই চির সুখী রাজ্যের অদ্ভুত সুন্দর রাজপুত্রটা আমাকে এসে জুতো পড়িয়ে দেখবে , তারপর সব দুঃখ কষ্ট থেকে সরিয়ে হাত ধরে নিয়ে যাবে তার প্রাসাদে, যদি আমার কোন দুঃখ কষ্টই না থাকল তো !
কিশোরী হওয়ার পরও ছোটবেলার সিন্ডারেলা না হওয়ার দুঃখটা একটু একটু ছিল । তারপর হটাৎ একদিন আবিষ্কার করলাম আমার খুব কাছেই একটা সত্যিকারের সিন্ডারেলার বসবাস । খুব বেশী কাছে বলেই আমি হয়ত একদমই টের পাই নি । সেই সিন্ডারেলাটির মাত্র ১১ মাস বয়সে মা মারা যায়, ২ বছর বয়সে তার বাবা যথারীতি আর একটা মা নিয়ে আসে। তাই তার ১০ বছর বয়স পর্যন্ত সে জানতই না সে যে আসলে সিন্ডারেলা, এবং এটা যে তার সৎ মা। যখন মাঝে মাঝে স্কুল থেকে ফিরে সে দেখত বাসায় সব খাবার দাবার আটকে তার মা বাইরে চলে গেছে, তার কথা মনেই নেই , সকালে ঘুম ভেঙ্গে দেখত তার স্কুল ড্রেস পানিতে ভিজানো যাতে সে স্কুলে যেতে না পারে ,সে খুব অবাক হত । তার ছোট ভাই বোন গুলোকে যখন তার মা বিভিন্ন মজার জিনিস কিনে খাওয়াত সেও গিয়ে আবদার করত, তারও চাই, বড়জোর একটা ধমক খেত, সে তখন বুঝত না তার এমন কি অপরাধ! তার ১০ বছরের ছোট্ট মাথাটা কোনভাবেই এটা ভেবে বের করতে পারত না, কেন একটা ছোটখাটো জমিদারের নাতনী হওয়ার পরও, তার বাবার অঢেল সম্পত্তি থাকার পরও তাকে মাঝে মাঝে না খেয়ে থাকতে হয়।
জানার পরও প্রথমে কিন্তু সে একদমই বিশ্বাস করেনি। সে তবুও নানা ভাবে চেষ্টা করত এই মা টাকে খুশি রাখার, ভালবাসা আদায়ের, যদিও সফল হয়নি কখনই। তার সৎ ছোট ভাইবোনগুলোকে সে এত বেশী ভালবাসত যে ওরা তাকে ছাড়া কিচ্ছু বুঝত না। এখনও সেইভাবেই ভালবাসে। সে মহৎ ছিল না, সে ছিল বোকা আর ভালবাসার কাঙ্গাল । তারও বোধহয় সিন্ডারেলার মতই মনে হত যে সে যদি সবাইকে অনেক অনেক বেশী ভালবাসে সবাই নিশ্চয়ই তাকে কিছুটা হলেও ভালবাসবে। তাই সে ভালবাসা ছড়িয়ে বেড়ায়, পাত্রে অপাত্রে সবখানে।
তার বাবা তাকে যথেষ্টই ভালবাসত। তাকে একসাথে ৫/৬ টা ড্রেস কিনে দিত, দোকানের সবচেয়ে দামী জুতোটা কিনে আনত, কিন্তু তার মেয়ের সেসবে মন ভরত না। তার মেয়েটা যা পেলে সবচেয়ে খুশী হবে, সেটা কিনে দেওয়ার সামর্থ্য তার বাবার ছিল না। মায়ের ভালবাসা তো আর দোকানে কিনতে পাওয়া যায় না ! এভাবেই সে যুদ্ধ করে টিকে থাকে দিনের পর দিন,একসময় বড়ও হয়, কিন্তু সেই দিনগুলিতে তার ঠিক কতটা রক্তক্ষরণ হয়েছে সেটা সে ছাড়া আর কেউ জানে না, জানবেও না। আমিতো কখনই না ,আমাকে সে জানতে দিবে না। জানতে চাইলেও ধমকে দেয় । পাছে তার বোকা মেয়েটার মন খারাপ হয় ।
পড়াশুনা শেষ করেই সে চাকরীতে ঢুকে। এর মধ্যেই তার আমার বাবার সাথে পরিচয় হয়, তাদের দুজনের বিয়ে করার ব্যাপারটা আমার নানাজান খুব একটা ভাল চোখে দেখেননি , আমার বাবা কিনা অসচ্ছল স্কুল মাষ্টারের ছেলে । তার মেয়েকে দোকানের সবচেয়ে দামি জিনিসটা কিনে দেয়ার সামর্থ্য আমার বাবার তখন ছিল না । কিন্তু সেসবের তো তার মেয়ের কোন দরকারও ছিল না । তাই সে হাত ধরে চলে এসেছিল , প্রাসাদে না , কুঁড়েঘরে । এই বাড়িতে এসেও সে সবাইকে ভালবেসে আপন করে নিয়েছিল। এখানে অবশ্য অনেকটা ভালবাসা সে ফেরতও পেয়েছে । তার দেবররা এখনও তাকে ভালবাসে অনেক, তার কিছু হলেই সবার আগে দৌড়ে চলে আসে, তাকে ফোন করে হাসায় , খোঁচায়, সময় দেয় । অনেক অনেকটা বছর এভাবেই সে সেই হাত ধরেই কাটিয়ে দিল , সুখে দুঃখে, আনন্দ, সঙ্কটে। খুব যে আরামে ছিল তা কিন্তু না, কারণ এই সময়ের মধ্যেই তাকে আমাদের মত দুটো পাগলাটে, অলস, উদাসীন, আনমনা, অস্থির, অলক্ষ্মী ছেলেমেয়েকে ঠিকঠাক মত মানুষ করে ফেলতে হয়েছে , এতেই তো তার দফা রফা হয়ে যাওয়ার কথা !
শেষটা গল্পের মতই হত যদি আমার বাবা কথা না রাখার মত বেইমানী কাজটা না করত। সব দায়িত্ব শেষে ঠিক যে সময়টাতে তাদের চন্দ্রিমা উদ্যানে হাত ধরে আবার হাটার কথা, কক্সবাজারে হানিমুনে যাওয়ার কথা, আবার পার্কে বসে বাদাম খেতে খেতে প্রেম করার কথা(এবার তো মাঝে মাঝে তারা ফাস্টফুডেও বসত নিশ্চিত), ঠিক সে সময়টাতেই সব প্রতিজ্ঞা ভুলে কেন আমার বাবার এত তাড়াহুড়ো করে চলে যেতে হল আমি বুঝিনা। তবে এটুকু বুঝি, তার সিন্ডারেলাটাকে একা রেখে চলে যাওয়াটা তার একদম ঠিক হয়নি।
আমি কখনই আমার মাকে বলিনি যে আমি তাকে খুব ভালবাসি । আমার ভাই তো আরও বলবেনা, তাকে কেউ শিখিয়েছে যে ভালবাসা লুকিয়ে না রাখলে কমে যায়, তাই অন্য সব ব্যাপারে অলস হলেও এই কাজে তার কোন আলসেমি নেই । এবং আমরা জানি তাকে বলতে হয় না কিছুই । সে সারাজীবন যতটা ভালবাসার কাঙ্গাল ছিল আমরা দুইজন মিলে যে তাকে তার চেয়েও অনেক অনেক বেশী ভালবাসি এটা সে বুঝে । আমার আম্মুও কিন্তু বড় হওয়ার পর আর কখনও আমাকে বলেনি সে আমাকে খুব ভালবাসে। যদিও এখনও সে প্রতি বেলা ফোন করে আমার খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়, রাতে শোয়ার আগে ফল কেটে আমাকে খাইয়ে তারপর ঘুমোতে যায় , যখন বই পড়ি, গান শুনি বা এমনি ডুবে যাই নিজের মধ্যে সে আমার দিকে মুগ্ধতা আর মায়া নিয়ে তাকিয়ে থাকে অকারণেই , উদ্ভট উদ্ভট কারণে অথবা কোন কারণ ছাড়াই যখন মন খারাপ করে জানালার পাশে বসে থাকি, সে ঠিক এসে পিঠে হাত রাখে, কোন ঝড় কখনই সামান্য ধাক্কাও দিতে পারেনি আমাকে, কারণ মাঝখানে সে দাড়িয়ে ছিল আমাকে আগলে , আমার চলার পথের সব কাঁটাভরা রাস্তাগুলোকে সে ভালবাসা দিয়ে মুড়িয়ে রাখে, তাইতো আমি খালি পায়েই হেটে বেড়াই এতো অনায়াসেই।
এজন্যই কখনও সিন্ডারেলা হওয়া হয় না আমার , খুব দুঃখী একটা মায়ের অতি আদরের একটা মেয়ে হয়ে জন্মালে কেউ কি সিন্ডারেলা হতে পারে কখনও ?
( মনে থাকে না বলেই আমি কোন দিবস মানতে পারিনা। যথারীতি কালও দিনশেষে ফেবু খুলে বুঝলাম যে মা দিবস। সবাই অনেক অনেক কিছু লিখে রেখেছে দেখেই হয়ত কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে হল। পৃথিবীর সব অসাধারণ মা গুলোর জন্য তাদের বোকা সন্তানগুলোর পক্ষ থেকে অনেক অনেক ভালবাসা । )
মন্তব্য
লেখাটা পড়ে চোখে পানি চলে আসল।
ভীষণ ভালো লাগলো।
আপনার মায়ের জন্য শুভকামনা রইলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ। পৃথিবীর সব মায়েদের জন্য শুভকামনা।
অসাধারন একটা লেখা।
আপনার আম্মাকে সালাম দিবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা।
এই ভাবে কেন মন খারাপ করিয়ে দাও ??????
বাবা সারা জীবন মাকে নিয়ে মেতে থাকছে আর আমরা বাবাকে নিয়ে ?
বাবা নেই , , , তাই মাকে আর খুজে পাইনা । অন্তমুখি এই মানুষটা হয়তো নিজেকেই খুজে পায়না।
ভাল থেক মা ,
এককথায় অসাধারন
অসাধারণ । অনেকদিন কোন কিছু পড়ে এভাবে স্তব্ধ হইনি। আপনার মায়ের জন্য শুভকামনা। ভাল থাকুক উনি অনেক।
ধন্যবাদ। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল
#অনেক সুন্দর।।
আশরাফুল কবীর
হৃদয় ছুয়ে গেলো আপনার লেখা। অসাধারণ হয়েছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
কিছু কিছু লেখায় প্রশংসা করে কোন কিছু লেখা সম্ভব হয় না।তবু মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
সিন্ড্রেলা এর কষ্টটুকু আপনার জন্যে অধরা হোক। তার লাবন্য আর মোহনীয় রূপকথার সবটুকু ভালো আপনার জীবনে মিশে থাকুক।
ক্রেসিডা
ধন্যবাদ । আমি চেষ্টা করি আমার জীবনের লাবণ্য টুকু তার জীবনে ছড়িয়ে দিতে। পারি না। সে শুধু দিতেই শিখেছে, নিতে জানে না।
লেখাটার শব্দে শব্দে এত মায়া জড়ানো যে খুব আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লাম।
এত চমৎকার একটা পরিবারের কথা জানতে পেরে মন খারাপ হবার বদলে ভালো হয়ে গেলো।
আপনার মার প্রতি শ্রদ্ধা।
_____________________
Give Her Freedom!
আপনার মন ভাল হয়েছে শুনে ভাল লাগল। কারও মন খারাপ করিয়ে দিতে চাই না, তাও হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
কি মায়া ঘেরা আবেগ ! অসাধারণ হয়েছে।
facebook
মাকে নিয়ে লেখা তো, আবেগ মায়া এই শব্দগুলি তো মায়েদের জন্যই । ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
লেখাটাতে অনেক অনেক লাইক দিলাম, আর সিন্ড্রেলার ছোট্ট পুতুলটাকেও!
অসংখ্য ধন্যবাদ। পুতুলটা এখন যদিও অনেক বড় হয়ে গেছে, তবুও মায়ের কাছে তো পুতুলই। ভাল থাকুন ।
অসাধারণ লাগলো। আপনার মা'র জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ধন্যবাদ তাসনীম ভাইয়া।
লেখাটা মনকে ছুঁয়ে গেল । আপনার মার জন্য শ্রদ্ধা আর আপনার জন্য শুভকামনা ।
আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা রইল।
মন খারাপ করা রকমের অসম্ভব সুন্দর একটা লিখা।
আপনার মা র জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে। জগতের সকল দুঃখী মায়েরা ভাল থাকুক।
অসাধারন লিখেছেন। খালাম্মার জন্য রইলো শ্রদ্ধা আর শুভ কামনা।
ধন্যবাদ। অসাধারণ একটা মানুষকে নিয়ে লিখেছি বলেই হয়ত অসাধারণ লাগছে। ভাল থাকুন।
কি আর বলবো
সেটাই, কিছুই বলার নেই আসলে।
আপনার বাস্তবের সিন্ডেরেলার জন্য অনেক শুভকামনা। আপনার লিখাটার লাইনে লাইনে উনার জন্য যে ভালোবাসা জড়িয়ে আছে সেটা বুঝতে আমার এক্টূ ও কষ্ট হয়নি। আপ্নারা দুজনেই অনেক অনেক ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ। আমি আসলেই চাই তাকে ভালবাসায় জড়িয়ে রাখতে সবসময়। কতোটুকু পাড়ি জানিনা।
তাড়াহুড়োর মধ্যেও শুধু এই লেখাটার জন্য লগালাম।
পাঁচ তারা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অসাধারন।।।।
ধন্যবাদ তিথীডোর ।
অসাধারণ ।
ধন্যবাদ।
বাহ। এবং আহ।
আপনার লেখাটি পড়ে শুধু আমার আয়ের কথা মনে হচ্ছে।আমি কত অকারনে আমার মায়ের সাথে রাগ করি, চিৎকার করে কথা বলি, মা কিন্তু রাগ করেনা। একটু পরে আবার ফোন দিয়ে জানতে চায় আমি ভালো আছি কিনা।
মনে হয় আমি আসলেই আমার মায়ের কষ্টগুলোকে নিতে পারিনা আমার মাঝে।
নিতে পারেন না তা কিন্তু না। নিশ্চয়ই আপনার ভিতরে সেটার বোধটা আছে কিন্তু ওইভাবে কখনও ভেবে দেখেননি। আর ভালবাসা সবসময়ই নিম্নগামী, আপনি যতই ভালবাসেন আপনার মা আপনাকে সবসময়ই তার চেয়ে বেশিই ভালবাসবে।
কী যে ভীষন হৃদয়স্পর্শী লেখা!
অনেক দিন সচল থেকে দূরে ছিলাম। আজ কেবল আপনার লেখাটাই আমাকে টেনে আনল এখানে।
আপনার অসাধারণ মা-কে কুর্ণিশ জানাই। সেই সাথে কুর্ণিশ করছি এই পৃথিবীর সকল মা-কে---যারা অকুন্ঠ ভালবাসায় এই ধরার ধুলিতে আমাদের জন্যে নামিয়ে এনেছেন অলোকধাম।
শুভেচ্ছা অহর্নিশ।
অনেক ধন্যবাদ অনিকেতদা, প্রিয় ব্লগারের কাছ থেকে মন্তব্য পেয়ে খুব ভাল লাগল। শুভেচ্ছা রইল।
মন খারাপ করা লেখা। তবে এইরকম মন খারাপেরও দরকার আছে।
আম্মাকে আমার প্রণাম জানাবেন।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা।
ভাল থাকুন সবাইকে নিয়ে। লিখাটা সত্যি ছুঁয়ে গেল ।
আপনিও ভালও থাকুন।
অপত্য স্নেহে সব মা-ই বিশেষ....অনুভূতি প্রকাশের জন্য কতগুলো শব্দই যথেষ্ট যদি তারা অবয়ব হয়ে ওঠে...ভাল থেকো মা......খুব ভাল।
ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা রইল।
অসাধারণ!
লগ ইন করে মন্তব্য করাটা আমার মতো ব্যস্ত অথচ অলস মানুষদের পোষায় না।
তবু আপনার লেখা পড়ে লগ ইন করতে বাধ্য হই।
এই ধরনের কিছু বাক্য থাকে বলেই আপনার লেখা একটা অন্য মাত্রা পেয়ে যায়।
আপনার মায়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রইল।
অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকুন অনেক । ভাল থাকুক সব মায়েরা।
লেখার প্রত্যেকটা শব্দে কি যে ভীষণ মায়াজড়ানো!
অনেক অনেক ভালো থাকবেন আপনার মা'কে নিয়ে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক ধন্যবাদ শিমুলাপু , আপনিও অনেক ভাল থাকুন সবসময় ।
আপনার মায়ের জন্য অনেক ভালোবাসা।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন আপু।
চমৎকার। মা-ঝি'র জন্য শুভকামনা।
ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা আপনাকেও।
পৃথিবীর সব মায়েদের প্রতি রইল ভালোবাসা।
সেটাই, পৃথিবীর সব মায়েদের জন্য রইল ভালবাসা।
আমি যে একটা থাম্বস আপ দিয়া গেলাম সিডা গেলো কো যাকগা আবার দেই
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
সচলে ভুতের উপদ্রব দেখা দিয়েছে।
মায়ের প্রতি ভালবাসা সব কিছুর উপরে। মাকে ভালবাসি অনেক।আপনার লেখা অসাধারন হয়েছে।আপনার আম্মাকে আমার সালাম জানাবেন।
মা ডাকটি মিষ্টি মধুর
নেইকো ডাকের শেষ,
মাকে ভালবাসি অনেক
যা কখনও হবেনা নিঃশ্বেষ।
হ, ডরাইলেই ডর
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
দলছুট তো একটা আইকন হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে
চোখ ভিজে যায়
চোখ ভিজে যায়
চোখ ভিজে যায়
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
মাকে নিয়ে এত সুন্দর করে কেউ লিখতে পারে!!
এত দেরীতে পড়লাম চমৎকার এই লেখাটা। ভাষা নেই মন্তব্যের।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আবেগগুলো বিশুদ্ধ বলেই হয়ত লেখাটা সবার ভাল লেগেছে। আমার তো মনে হয় মাকে নিয়ে যেই লিখবে তার লেখাই সুন্দর হবে, মা ই যে সুন্দর তাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।
এত যত্নভরা, মায়াভরা আবেগ মাখা লেখা খুব কম পড়েছি।
অনেক ধন্যবাদ।
লেখাটা পড়ে চোখ বাস্পে ভরে গেল। আপনার মাকে সালাম। জগতের সকল মা ভাল থাকুক। আপনি আরও অনেক অনেক লিখুন।
মন খারাপ করিয়ে দেয়ার জন্য দুঃখিত। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। জগতের সকল মা ভাল থাকুক। আপনিও ভাল থাকুন।
বিষাদমাখা সৌন্দর্য
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ রিশাদ।
বরাবরের মতই অসাধারণ লেখা। পৃথিবীর সব মায়েদের জন্য শুভকামনা।
লেখা টা আবার পড়লাম..... প্রার্থনা রইলো.....তার পূর্বের ভালোবাসার ঘাটতি যাতে পুরণ করা যায়
হুম
আমি আবেগ সান্ত্বনা এগুলা প্রকাশে খুব অদক্ষ। বাবা-মাকে নিয়ে লেখা কিছু আমি চুপ করে পড়ি, নিজে খুব একটা ভালো সন্তান হয়ে উঠতে পারিনি সেটা বুঝতে পেরে আর মন্তব্য করার কিছু খুঁজে পাই না। আপনার মা-র জন্যে শুভাশিষ, তার ছেলেমেয়েরা তার জীবন কানায় কানায় ভরিয়ে দিক আনন্দ আর পরিতৃপ্তি দিয়ে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমার লেখা পড়ে হয়ত আমাকে আবেগি মনে হয়, কিন্তু লেখা না পড়ে এমনিতে আমার আসে পাশে যারা থাকে তাদের কাছে আমি আবেগহীন , অন্তত যারা আমাকে খুব ভাল না চিনে তারা তাই ভাবে। একমাত্র লিখেই আমি আবেগ প্রকাশ করতে পারি, আর কোন ভাবে না।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি নিজেও সন্তান হিসেবে মোটামুটি ব্যর্থ কিন্তু আমার মা সবসময় বলে বাবা মা নাকি তার দুর্বল ব্যর্থ সন্তানটিকেই সবসময় বেশী ভালবাসে।
এই লেখাটা কি চোখ এড়িয়ে গেছিল? পাঁচতারা দেয়ার জন্যে ঢুকলাম। ভাল থাকুন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন