হ্যালো ।
ইমন ভাইয়া? আমি কল্পনা দিদি।
আরে, সিস্টার আপনি? আপনার আজকে নাইট?
হ্যাঁ।
কিন্তু এতক্ষণ দেখলাম না যে?
ওটি তে ছিলাম, একজন রোগী এসেছে , একটু নিচে আসেন ।
ইমন উঠে হাত মুখ ধুয়ে নিতে গেল, মাত্রই ঘুমটা এসেছিল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত তিনটা। গত পাঁচ দিন ধরে টানা ডিউটি করে আজ আর শরীর চলছে না। নাহ , এভাবে ডিউটি করা বাদ দিতে হবে মনে হচ্ছে। যদিও গত আট মাস ধরে এভাবেই ডিউটি করে আসছে ও সিলেটের এই হাসপাতালটাতে । মাসে পাঁচ দিন টানা ডিউটি করে এখানে, ওদের ভাষায় খ্যাপ মারে। এতে সুবিধা হল মাসের বাকি দিন গুলিতে পরীক্ষার প্রিপারেসন নেয়া যায়, সিলেটে বলে ঢাকা থেকে আসা যাওয়ায়ও সুবিধা, উপরন্তু এখানে বেতন ভাল আবার রোগীও তুলনামূলক কম থাকে, অসুবিধা একটাই পাঁচ দিন টানা হাসপাতালে কাটাতে হয়। এখন অবশ্য ইমনের অভ্যাস হয়ে গেছে। কিন্তু আজ কেন যেন ওর শরীরটা ভাল লাগছে না। ইসরার সাথে ঝগড়াটাও একটা কারণ হতে পারে। ইসরার কথা মনে পড়াতে আবারও সামান্য মেজাজ খারাপ হল। সেই থার্ড ইয়ার থেকে মেয়েটা জ্বালিয়েই যাচ্ছে। অথচ মেডিকেলে ক্লাস শুরুর প্রথম দিনই ওর প্রেমে পড়েছিল ইমন। প্রথম ওকে দেখার পর থেকে ইমনের কেবলই মনে হত এই মেয়ে পাশে না থাকলে ওর জীবন অর্থহীন হয়ে যাবে। এখন সেই মেয়েই ওকে জীবনের অর্থ হাড়ে হাড়ে টের পাওয়াচ্ছে প্রায়ই ।
হাত মুখ ধুয়ে নিচে নামতে থাকে ইমন। এই হাসপাতালটা চার তলা। নিচ তলাতে রিসেপসন ডেস্ক, এক্সরে রুম, আলট্রাসাউন্ড রুম, ফার্মেসী, দোতালায় ওটি আর পরীক্ষার ল্যাব , তিন তলাতে ওয়ার্ড আর ডাক্তার, সিস্টারদের রুম, আর চার তলায় কেবিন ব্লক আর ডিউটি ডাক্তারদের রাতে থাকার জন্য একটা রুম। ইমারজেন্সি রোগী ডাক্তারদের রুমে বসেই দেখে ওরা, তারপর প্রয়োজন বুঝে যেখানে দরকার পাঠায়। তিন তলাতে নেমে চারপাশে তাকায় ইমন, কল্পনা দিদিকে দেখে না কোথাও। ডাক্তারদের রুমের সামনে একজন মহিলা দাড়িয়ে আছে আপাদমস্তক বোরকায় ঢাকা, বয়স বোঝা যাচ্ছে না , শুধু চোখ দুটি বের হয়ে আছে। মহিলার কোলে একটা বাচ্চা, একটা তোয়ালে দিয়ে পেঁচানো , দেখে মনে হচ্ছে এক মাস বয়স হবে বেশী হলে।
দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে ও মহিলাকেও ভিতরে ডাকে।
আপনার বাচ্চা?
কোন কথা না বলে শুধু সম্মতিসূচক মাথা নাড়ে সে ।
বয়স কত?
আট দিন।
কি সমস্যা বাচ্চার?
“দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিছুক্ষণ পর পর ” – মহিলার গলার স্বরটা ক্ষীণ কিন্তু পুরুষালী, কথায় কোনও আঞ্চলিক টান নেই, যেটা এই অঞ্চলে মোটামুটি বিরল ব্যাপার। ইমন দেখে বাচ্চাটা অস্থির হয়ে আছে এবং বাচ্চার শ্বাসের সাথে বুকের উঠানামা খুব দ্রুত গতিতে হচ্ছে। ভয়ানক শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বুঝাই যাচ্ছে।
কতক্ষণ থেকে শুরু হয়েছে এই সমস্যা?
গতকাল থেকে।
বাচ্চা কোথায় হয়েছে, বাসায় না হাসপাতালে ?
বাসাতেই।
এই জন্যই তো এই অবস্থা , বাসায় বসে ডেলিভারি করাবে , শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার একদিন পর হাসপাতালে আনবে, তারপর মরে গেলে বলবে ডাক্তার মেরে ফেলেছে। ভাবতে ভাবতে কয়েকবার বেল বাজায় ওয়ার্ড বয় ডাকার জন্য। কিন্তু কারও সাড়া না পেয়ে উঠে গিয়ে ডাকে নাম ধরে। নাহ, রাত হলে এদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না সহজে। বাচ্চাটাকে ইমেডিয়েট অক্সিজেন দিতে হবে তারপর বাকি চিকিৎসা। গেল কোথায় সব । ওর অবাক লাগছে কল্পনা দিদির কাণ্ড দেখে। রোগী এসেছে বলেই খালাস। এরকম তো করেনা সাধারণত সিস্টাররা। আবারও বেল বাজায়। রোগী ফেলে রেখে ও তো যেতেও পারছে না এখন ।
ওর তাড়াহুড়ো দেখেই হয়ত মহিলা উঠে দাড়িয়ে বলে, “ ডাক্তার সাহেব কি সমস্যা” ?
“আপনার বাচ্চাটাকে এই বিছানায় শোয়ান, আমি পরীক্ষা করে দেখবো , কিন্তু ওকে আগে অক্সিজেন দিতে হবে”, বলেই আবার ওয়ার্ড বয়ের নাম ধরে চিৎকার দেয় ইমন।
“অক্সিজেন কোথায় বলেন, আমি গিয়ে নিয়ে আসি” -মহিলা হটাত বলে বসে।
আপনি পারবেন? আচ্ছা আমি ওকে পরীক্ষা করছি, আপনি দোতালায় যান , ওখানে যাকেই পান, ঘুমিয়ে থাকলে দরকার হলে ধাক্কা দিয়ে উঠিয়ে বলবেন , ডাক্তার অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসতে বলেছে তাড়াতাড়ি, বলবেন রোগীর অবস্থা ভাল না। বলেই আপনি চলে আসেন, আপনাকে লাগবে এখানে। হিস্ট্রি নিতে হবে আপনার বাচ্চার ।
মহিলা বাচ্চাটাকে শুইয়ে দিয়ে চলে যায়। বাচ্চাটা এখন শান্ত-মত ঘুমোচ্ছে, কি অদ্ভুত, এখন মনে হচ্ছে না যে একটু আগে অবস্থা এত খারাপ ছিল। ইমন স্টেথোস্কোপটা নিয়ে বাচ্চাটার বুকে রাখার সাথে সাথে বাচ্চাটা চোখ মেলে তাকায়। বাচ্চাটা ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে, কিন্তু সেই হাসিটা কেন যেন স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। কি যেন একটা আছে হাসিটাতে, কেমন একটা তাচ্ছিল্যের হাসি, এত ছোটো বাচ্চা এভাবে হাসবে কেন?
স্টেথো সরিয়ে নিজের চোখ কয়েকবার পিটপিট করে ও। বাচ্চাটাও ওর দেখাদেখি চোখ পিটপিট করছে। এবং সেই সাথে হাসছে, এখন হাসিটা আরও অদ্ভুত। প্রাণহীন, ক্রূর, বড়দের মত। এবং এই কথা মনে হওয়ার সাথে সাথে ও দেখে বাচ্চাটার চেহারাটাও বড়দের মত হয়ে গেছে, মনে হচ্ছে কোনও ছোটো বাচ্চার শরীরে বড় কারও মাথা বসানো , খুব ক্রূর কোন ব্যক্তির। এতক্ষণ কি এরকম ছিল? তাহলে ও খেয়াল করল না কেন?
কি আজব, হল কি ওর, হ্যালুসিনেসন হচ্ছে কেন ? মাথা ঝাঁকিয়ে নিজেকে ঠিক করার চেষ্টা করে ইমন। আবার বাচ্চাটার বুকে স্টেথো রাখে , কিন্তু এবার ও ধাক্কার মত খায়। কোন শব্দ নেই, কিচ্ছু না, কোনও হার্ট সাউন্ড, ব্রেথ সাউন্ড , কিচ্ছু না। আরে, স্টেথোটা কি নষ্ট হয়ে গেল। সারাদিন তো ঠিক ছিল। অন্য একটা নিয়ে আসি ভাবতে ভাবতে ও হাত উঠাতে যায় , আর ওকে ভয়ানক চমকে দিয়ে বাচ্চাটা ওর হাতের তর্জনীটা চেপে ধরে, বাচ্চারা সেটা ধরতেই পারে, কিন্তু চমকানোর কারণ হল এই বাচ্চাটা ওর আঙ্গুলটা চেপে ধরেছে অসম্ভব জোরে। এইটুকু বাচ্চার এরকম অবিশ্বাস্য শক্তি, ও কিছুতেই আঙ্গুলটা ছাড়াতে পারছে না। এবার সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে যায় ইমন। কি হচ্ছে এসব?
শিরদাঁড়া বেয়ে হিম একটা স্রোত নেমে যায় নিচে , আতঙ্কের এরকম অনুভূতির সাথে ওর পরিচয়ই ছিল না এতদিন। হৃদপিণ্ডটা এমন ভাবে লাফাচ্ছে স্টেথো ছাড়াই পরিষ্কার শুনতে পাচ্ছে তার শব্দ। ওর লজিকাল মাথা অন্ততপক্ষে এই মুহূর্তে সব লজিক হারিয়ে ফেলেছে। প্রাণপণে ও চেষ্টা করতে থাকে হাতটা ছাড়ানোর। কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর ও শেষে মরিয়া হয়ে নিজের সব শক্তি দিয়ে বাচ্চাটাকে একটা ধাক্কা মারে। আঙ্গুলটা ছেড়ে দেয় বাচ্চাটা। এখনও হাসছে সেই একই তাচ্ছিল্য মেশানো ক্রূর হাসি । ইমন এক দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে আসে খুব জোরে চিৎকার করতে করতে। ওর ভয়ানক চিৎকারেই বোধহয় সিস্টারদের রুম থেকে একজন সিস্টার বের হয়ে আসে , ওপাশের ওয়ার্ড থেকে একজন রোগীর আত্মীয়ও বের হয়ে আসে।
কি হয়েছে ডক্টর ?
আরে , আপনারা কই থাকেন? এত বার বেল বাজালাম, কাউকে পাচ্ছি না। একজন রোগী এসেছে।
কিন্তু , রিসেপসন থেকে তো আমাকে কেউ কিছু জানাল না। রোগী আসল আপনি কি করে আগে জানলেন। আপনি তো চার তলাতে ছিলেন?
"আমাকে কল্পনা দিদি ফোন করেছে"। ইমন এখনও হাঁপাচ্ছে।
সিস্টার রিমা অবিশ্বাসের দৃষ্টি নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ, তারপর বলে “ কল্পনা দিদি তো গত সপ্তাহে চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে গেছেন”।
"মানে কি? আমাকে তাহলে কে ফোন দিল" ? এবার ওর অবিশ্বাসের দৃষ্টি নিয়ে তাকানোর পালা।
এরমধ্যে আরও কয়েকজন লোক জমে গেছে। নিচে থেকে এক ওটির ওয়ার্ড বয় একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার হাতে উপরে উঠে আসে।
“কই থাকো তোমরা”, ইমন ওকে দেখেই খেঁকিয়ে উঠে “প্রয়োজনের সময় একটাকেও পাওয়া যায় না”।
“স্যার ,দোতালায় পোস্ট অপারেটিভের সামনে বসে ছিলাম , এক বোরকা পরা মহিলা বলল আপনি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসতে বলেছেন, বলেই নিচে নেমে গেল, তাই নিয়ে আসলাম।
ঠিকাছে যাও রোগীকে অক্সিজেন লাগাও।
আজব মহিলা বাচ্চা রেখে নিচে নেমে যাবে কেন, ভাবতে থাকে ও। কোনও কিছুই মাথায় ঢুকছে না। ছোটো একটা বাচ্চা রোগী নিয়ে এরকম ভয়াবহ হ্যালুসিনেসন ওর কেন হল? নিজের উপরই রাগ হচ্ছে এখন।
সিস্টার আর ওয়ার্ড বয় ভিতরে ঢুকে কয়েক মুহূর্ত পরেই আবার বের হয়ে আসে। দুজনের চোখে মুখেই কেমন যেন একটা হতবিহবল দৃষ্টি। কি ব্যাপার ওদেরও কি হ্যালুসিনেসন হচ্ছে নাকি? ভাবতে ভাবতে ভিতরে যায় ইমন। এরপরে যেই দৃশ্যটা ও দেখে , বাকিটা জীবন হাজার চেষ্টা করেও সেই দৃশ্যের স্মৃতি ভুলতে পারবে না সে, এবং হাজার মাথা খাটিয়েও হয়ত এর ব্যাখ্যা খুঁজে পাবে না কখনই। বিছানাটার উপর একটা তোয়ালে দলা-মোচা করে ফেলে রাখা, কোথাও কোনও বাচ্চার চিহ্ন নেই।
(এটা একটা শোনা গল্প। কিন্তু কিছুটা পরিবর্তিত। আশেপাশের শোনা গল্পগুলোকে একটু ঘষে মেজে লিখে ফেলতে ইচ্ছে করে ,এটা তারই প্রয়াস। )
মন্তব্য
মহিলাটি বাচ্চা ফেলে পালাবে- এটা বুঝতে পারছিলাম শুরুতেই। তবে বাচ্চাটা যে ভয়ানক কামেল- এইটা ধরতে সময় লাগছে-
পথিক পরাণ
মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম।
একটা প্রশ্ন, সিসটারের নাম "কল্পনা দিদি"।
এথেকে ধরে নেয়া যায় যে , সিসটার হিন্দু ধর্মালমম্বী? প্রায়ই যে সাব গল্পে সিসটারদের উল্ল্যেখ থাকে, তাদের দেখা যা্য় হিন্দু ধর্মের। (সব না, তবে মোটামুটি যতটুকু মনে পড়ে, এরকম ই আমার অভিজ্ঞতা।) এটা কেন? কৌতুহুল থেকে জিজ্ঞেস করা। আপনার বেলা কেন এটা অন্য কিছু না?
ভালো থাকবেন।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
সিস্টারদের সাধারণত আমরা দিদি বলেই ডাকি। এটা জাস্ট একটা প্রচলিত ডাক আর কিছু না। আপনি খেয়াল করলে দেখতেন আমার গল্পে দুটো সিস্টার আছে , আর একজনের নাম রিমা। সে হিন্দু না। লেখার সময় হিন্দু মুসলমান মনে ছিল না। যা মাথায় আসছে লিখেছি।
মুগ্ধতা জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনি ডাক্তর না? এইসব যে লেখেন, নিজে রাতে ডিউটি করতে সমস্যা হয় না?
নাহ, আমি অনেক সাহসী মানুষ
সিলেটের এইরকম এক গল্প শুনেছিলাম । আশ্চর্য- যতদূর মনে পড়ছে একই রকম...
হুম-
আরে, সেইম গল্প রেডিও ফুর্তির ভুত এফ এম প্রগ্রামে এক ডাক্তার একেবারে নিজের অভিঙ্গ্গতা হিসেবে বলে গেছে কয়দিন আগের এপিসোডে!!! এর পর নাকি সেই ডাক্তার সিলেটের হাসপাতালের চাকরি ছেড়ে দিছে
আমি যেহেতু রেডিও শুনি না তাই সেটার উল্ল্যেখ করিনি। আমি শুনেছি আমার এক কাজিনের কাছে একটা ঘটনার কথা , ঘটনাটা এরকম ছিল যে একজন ডাক্তার রাতে রোগী দেখতে যাওয়ার পর বাচ্চা রোগীটা তার হাত চেপে ধরে, মহিলাকে ডাক্তার নিজেই ওষুধ আনতে নিচে পাঠায়। কিন্তু সেই মহিলা বা রোগীকে আর কেউ দেখে না, সেই সিস্টারের উপস্থিতি নিয়েও কিছু শুনিনি। যেটাকে পুরোপুরি হ্যালুসিনেসন বলা যায়। কিন্তু আমি আমার গল্পে সেই মহিলার উপস্থিতির প্রমান রেখেছি ওয়ার্ড বয়কে দিয়ে, সিস্টারের অনুপস্থিতির প্রমান রেখেছি , ঘটনাটাকে যাতে অলৌকিক কিছু বলা যায় তাই । যেহেতু আমি রেডিওতে শুনিনি তাই সেটার কথা লিখিনি। আর যেহেতু আমার গল্পের টুইস্ট আলাদা তাই সত্য ঘটনা অবলম্বনে এটাও লিখিনি। লেখা উচিৎ ছিল কিনা বুঝতে পারছিলাম না । তবে এখন শোনা গল্প এটা উল্ল্যেখ করে দিলাম । আশা করি পাঠক ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে।
আপনি তো গল্পই লিখেছেন, তা অন্য কোন ঘটনার সাথে মিলে যেতেই পারে । আমি কিন্তু শুধু বলেছি যে এই রকম ঘটনা আমি শুনেছিলাম, আবার না হয় আপনার লেখনিতে পড়লাম ।
"ক্ষমাসুন্দর" শব্দটার জন্য একটু- একটু বিব্রত বোধ করছি । ধন্যবাদ ।
আপনাকে বিব্রত করার কোন ইচ্ছেই ছিল না। দুঃখিত। আপনাকেও ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
ভালো লেগেছে গল্পটা। @ক্রেসিডা, কাউকে দিদি/দাদা ডাকলেই ঐ মানুষটি একটা ধর্মের পোষাক পড়ে ফেলে নাকি?
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
সুমাদ্রী ভাই@ নাম দিয়ে বা ডাক দিয়ে ধরে নেয়া যায় না। তাই নিচের পুরো প্রারাটাই একটা প্রশ্ন। প্রশ্ন বেশী বড় হয়ে যাওয়ায় আর পাংচুয়েশন চিহ্নের জন্যে হয়তো এই কনফিউশন!!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
অনেক ধন্যবাদ।
একটু গা ছম ছম করলো ভয়ে। এরকম সত্যি হয় নাকি হাসপাতালে । ভয়ংকর হ্যালুসিনেশন।
ভালো লাগলো অনেক বরাবরের মতই ।
অনেক ধন্যবাদ।
হ্যালুসিনেসন কোথায় আমিতো ভুতের গল্প লিখলাম নাহ, আপনাদের মত অবিশ্বাসী মানুষ নিয়ে এক সমস্যা, তেনাদের কথা বিশ্বাস করতে চান না।
ভালো লেগেছে, সকালে পড়লাম তাই ভয় পাইনি যদি ও। আরো এমন ভূতুড়ে গল্প আসুক আপনার লেখায়।
দিনের বেলা ভুতের গল্প পড়া ঠিক না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ উৎসাহ দেয়ার জন্য।
সৌরভ কবীর
ভাল লাগল পড়তে। ভাল থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভাল থাকুন অনেক।
ধন্যবাদ কোনোরকম দূর্ঘটনা না ঘটানোর জন্য :)। বাচ্চাটি যখন ইমনের হাত ধরেছিলো, আমিতো আরো খারাপ কিছু ভেবে নিয়েছিলাম।
কেমন আছেন? অনেকদিন পরে লিখলেন।
নাহ, ইমনের ভয়ে আত্মা শুঁকিয়ে গেছে, এটাই তো যথেষ্ট।
আছি ভালোই, বেচে বর্তে। আপনি কেমন আছেন?
আছি (আকর্ণ বিস্তৃত হাসির ইমো)।
বলতে ভুলে গেছি, "রাতের অতিথি" নীহাররঞ্জনের একটা রহস্য উপন্যাস আছে, (আমাদের বাসায় পুরানো বইএর তাকে ছিলো অনেকদিন:) ) কিন্তু যখন প্রথম মন্তব্য করলাম তখন এটা মনে পড়লনা কেনো আমার?
হায় হায় বলেন কি? আমি ঐ বইটা পড়িনি। বা পড়লেও মনে পড়ছে না। এই গল্পের নাম প্রথমে রাতের রোগী দিব ভাবছিলাম, কিন্তু রোগীদের আমরা প্রায়ই অতিথি বলি, আবার রাতের অতিথি বললে ভুত প্রেতও বুঝানো হয়, এই কারনেই নামটা দেয়া। বদলে দিব নাকি?
নাহ! বদলাবেন কেন? লেখকের নিজস্ব অনুভূতি থেকেই নামকরন হয় তার লেখার। সেখানে প্রভাব ফেলতে পারে গল্পএর প্লট, অর্ন্তনিহিত বক্তব্য বা অন্যকিছু। উপন্যাসের সেই অতিথি ছিল ডিটেক্টিভ নিজেই আর যার অতিথি হয়ে গিয়েছিল সে মহিলাই ছিল ভিলেন আর আপনার গল্পে তো অতিথিই রহস্যময়।
ভালো থাকবেন। আরো লিখতে থাকুন।
ধন্যবাদ ।
ইয়ে... মানে গল্পটা মৌলিক কি?
এই একই গল্প তো মাস দু' তিন আগে রেডিও ফূর্তিতে শুনলাম!
মৌলিক না হলে গল্পের উৎস জানিয়ে দেয়াই ভাল মনে হয়।
আমি রেডিওতে শুনিনি, অন্য একজনের কাছে শুনেছি, সেটাতো উল্ল্যেখ করেছি লেখার নিচে। আসে নি?
এসেছে। সম্পাদনায় যোগ করার পরে।
ভাল লেগেছে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ।
ভালো লাগল।
আপনার নিজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে কিছু লিখুন।
অনেক কিছু জানতে পারব তাহলে।
অপেক্ষায় থাকলাম।
অনেক ধন্যবাদ। হাসপাতালের অভিজ্ঞতা গুলো আসলে অধিকাংশই খুব মন খারাপ করা , অথবা আমারই মন খারাপের স্মৃতিগুলো বেশী করে মনে থাকে। দেখি কখনও হয়ত লিখে ফেলব দুয়েকটা। উৎসাহ দেয়ার জন্য
এভাবে ভয় দেখানোর মানে কি? এখন তো নাইট করতেই ভয় লাগবে আপু ।
আরে ব্যাপার না। ভুত হাত চেপে ধরলে একটা সেডিল ইনজেকশন মেরে দিবা। ভুত বেটা ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।
এমনিতেই ডাক্তার ভয় পাই, আর আপনি তো ডাক্তারদেরই ভয় পাইয়ে দিচ্ছেন মনে হচ্ছে । রেডিওতে ঘটনাটা শুনেছিলাম, কিন্তু আপনার লেখার মধ্যে ঝরঝরে একটা ভাব আছে। আর গল্পের টুইস্টটাও ভাল লেগেছে। আরও লিখুন।
ধন্যবাদ।
ভালো লাগল।
ডাক্তার ম্যাডাম, অনেক দিন পর।
মুখবইেও যে দেখি দেখা যায় না। আর ইয়ে মানে ইস্কুলের কথা মনে আছে তো? প্রমিস করছিলেন, হে হে
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ। মাঝে মাঝে হারিয়ে যাওয়া আমার বদভ্যাস , এটা হবেই, হারানোর জন্য কোনও কারন লাগে না আমার । স্কুল নাতো কোচিং এ ভর্তি করানোর কথা ছিল আপনাকে, প্রেম, লুকোচুরি, ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান আহরণের জন্য। । কোন সমস্যা নাই।
হ। কি সাঙ্ঘাতিক স্মৃতিশক্তি আপনার! বলিহারি পেতিভা, ইয়ে মানে প্রতিভা। ইল্লেগাইঐ আফনে ডাগদর হৈছেন আর আমি নিছক রুগী।
ডাকঘর | ছবিঘর
যেটা মনে রাখা দরকার সেটা মনে থাকে না, আর প্রমিস করলে ভুলে যাওয়া নিয়ম বলেই ভুলি না। আমার স্মৃতিশক্তি উল্টাপাল্টা।
উঁহুঁ। ভুল্লে ছৈলত ন ম্যাডাম। ঘটমা হৈল আফনার কোচিং শুইন্যা আমি বনজঙ্গল ছাইড়া ডাঙায় উইঠ্যা আইছি, আফনারা যাকে লোকালয় বলেন । তয় এখন শুধু একটাই গান গাই - কি আশায় বাধি খেলাঘর ...... বেদনার বালুচরে... হে হে
ডাকঘর | ছবিঘর
আমি রেডিও শুনিনা। তাই আপনার লেখা গল্পটিই আমার কাছে মৌলিক। গল্প ভাল লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ।
ভয়ের চোটে... আরেকটু হলেই আয়াতুল কুরসী অধ্যয়ন করা শুরু করছিলাম!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অসাধারণ
আরো ভুতের জন্ম হোক
হবে ।
ডরাইছি রে ভাই!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আপনের ভয় কি, ভুত আসলে হাড় জোড়া লাগানোর বদলে কয়েকটা ভেঙ্গে দিবেন
আমি তো ভাবছিলাম এই বুঝি পিচ্চিটা লাফ দিয়ে উঠে কামড়ে জুগুলার ভেইন ছিঁড়ে নেবে, সেইটা হয় নাই দেখে তাও একটু স্বস্তি পাইছি যা হোক
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
জুগুলার ভেইন ! এই যে শুরু হয়ে গেল ডাক্তারদের গল্প !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি হাসপাতালে একটা বিলাই পুষি, পুশকিন নামে, ব্যাটার হাবভাব এক্কেবারে মানুষের মতো। খেকশিয়াল প্রায়ই বলে ওকে নিয়া একটা কাইদান, মানে জাপানি ভুতের গপ্পো, লিখতে। জাপানি ভাষায় ভুতুড়ে বেড়ালকে নাকি বলে বাকেনেকো।
প্লট তো আছে, কিন্তু বানিয়ে বানিয়ে কিছু লিখতে পারছি না দেখে হয়ে উঠছে না।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
বিড়ালের নাম পুশকিন । লিখে ফেলেন তাড়াতাড়ি ।
এই জন্মে মনে হয় শেষ হবে না। দুই পৃষ্ঠা লিখে তিনটে খুনের পরে এখন আমি রাইটার্স ব্লকে ভুগছি (খুব বড় রাইটার কি না )
আর এইযে পুশকিন
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
দুই পৃষ্ঠায় তিনটা খুন? আপনার বেড়াল কে কি ডেক্সটার বানিয়ে দিবেন নাকি?
আরে বেড়ালটাইতো প্রোটাগনিস্ট। খুনগুলো ওই করাচ্ছে আরকি।
আর ডেক্সটার কি খুন করে নাকি? আমি তো জানতাম ম্যানডর্কের সাথে ওর গিয়ানজাম, কিন্তু সেইটা খুন করার লেভেলে না। ডিডি ঝামেলা করে অবশ্য। কিন্তু ওকে যখন অ্যালিয়েনদের কাছে স্পেসিমেন হিসেবে দিয়ে দিছিলো, তখন আবার অনুশোচনায় ভুগে আবার ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হুম, আমিতো ডেক্সটার মরগ্যানের কথা বললাম, জেফ লিন্ডসে এর লেখা ডার্কলি ড্রিমিং ডেক্সটার এর সিরিয়াল কিলার। স্টার ওয়ার্ল্ডের কিছুদিন আগে সিরিয়াল টা দেখিয়েছে। এখনও দেখায় মনে হয়।
উপস আমি ভাবছিলাম আপনি ডেক্সটার অ্যানিমকেশনটার কথা বলছেন।
টেলিভিশনের ব্যপারে আমি একটু ব্যাকডেটেড। বেশি দেখা হয় না।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আরে না ডাক্তার হয়ে ডাক্তার কে কামড় খাওয়াবো, স্বজাতির সাথে বেইমানী করা ঠিক হত না।
প্রচেষ্টা ভালো হয়েছে তবে ময় মশলা আরেকটু দিলে মন্দ হতোনা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মানে আরও ভূত ঢুকাতে বলছেন। নাকি সত্যি সত্যি জুগুলার ভেইন ছিঁড়ে ফেলানো দরকার ছিল।
দারুণভাবে শুরু করছিলেন, ভয় পাইছি! কিন্তু মনমত শেষ হইলো না। লিখেন লিখেন আরো লিখেন।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আপনার কাছ থেকে উৎসাহ পাওয়া অনেক বড় ব্যপার আমার জন্য । অসংখ্য ধন্যবাদ। গল্পটা হুট করে ঝোঁকের মাথায় লেখা। চেষ্টা করব আরও ভাল কিছু লিখতে।
ভুতের গল্প ভালো পাই, ফাটাফাটি লাগল ডাক্তার সাব, আরও চাই।
অনেক ধন্যবাদ আরজু। তোমাকে তো বললামই লিখতে চাই, কিন্তু যাই ভাবি দেখি আগে কেউ লিখে ফেলেছে।
নতুন মন্তব্য করুন