মনে আছে কবরী তোমার,
ছেলেবেলা ডুব দিত জলে,
স্নানরত স্নানরতা, আমরা দুজন, নির্ভয়ে, কাঁটাঝোপ নেই
মনে পড়ে কবরী তোমার,
ছেলেবেলা ডুব দিতো পেপারের ফাজিল ছবিতে? পেপার ছেলেটা এসে মেয়েটাকে ছুড়ে দিত ঝড়,
পেপার-ছেলেটা ছিল ঝড়ের বিরতি...
মেয়েটার কাঁধ বেয়ে চিকণ ভ্যানিটি নেমেছিল...
তুমি শুধু বাসে উঠেছিলে...
ওই ওঠা, বাসে ওঠা, ওটা কি দ্বিতীয় বার হয়?
সে-মেয়েটা মুছে গ্যাছে, মুছে গ্যাছে বাসে-ওঠা স্মৃতি...
বৃষ্টির জলে ধুয়ে মরে গ্যাছে কাকতিমিনতি
ছোট্টো মেয়েটা পড়ে, পুরুরাজ কেমন মানুষ,
কেমন সালটা ছিল পাঁচ ছয় ছয়,
ইতিহাসে চোখ ভারী হয়...
ওকেই তো পড়া দেওয়া, ওর থেকে পড়া নেওয়া,
বর্ণে বর্ণে ভিজে তারই প্রস্তুতি
অঙ্ক করবে আজ? আজ কি অঙ্ক করা যাবে?
স্কুলে যায় ঘুম নিয়ে, ঘুমের ঘোরেই ফেরে,
বইখাতা জুতোমোজা ঘুমে জড়োসড়ো।
বকবো কিন্তু! শীগ্গির! প্রশ্নমালা পাঁচ বের করো!
কত বকাঝকা আর একটু একটু করে আমার নুইয়ে পড়া,
দারুণ নুইয়ে পড়া, চোখ ভরা জলসিঁড়িদিঘি
সিঁড়ি ভেঙে নেমে যাই, আমরণ নেমে যাই, নির্ভয়ে,
কাঁটাঝোপ? নেই!
মেয়েটার চুলে বিলি কাটি। হাতে লেগে জেগে ওঠে ঘুম, সেই ঘুম ছুটে যায়, কাবাডি কাবাডি বলে, দূর হতে দূরে,
শরতের আকাশেতে সোনা রোদ-দূরে...
সোনা রোদ্দুরে সেই ছেলেমেয়ে পুকুরের ধারে বসে থাকে,
অবাক অবাক্ দ্যাখে -
কী করে ঘাট ও জল নির্ভয়ে কাঁটাঝোপে থাকে...
আসলে সেই যে-ছেলে, আমরণ বাড়ি-বাড়ি
পেপার বিলায়, তার কাছে, পুরুরাজ কেমন মানুষ,
সে তো জানাই হল না। জানা কি আদৌ হয়,
কেমন সালটা ছিল পাঁচ ছয় ছয়?
সেই ছেলে, যাকে আমি এতটুকু কাল থেকে চিনি,
তার কাছে কবরীরা, তোমরা কবরীরা,
চিরকাল গ্রহীতা ও ঋণী...
মন্তব্য
আহা!
অসাধারণ লাগল। কথাগুলো নদীর স্রোতের মত, কেমন মৃদু ভাবে এগিয়ে গেল। ঠিক যেন গাড়ির চাকার মত ঘুরে এসে দেখা আগের জায়গাতে আর নেই।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
নতুন মন্তব্য করুন