অনেকদিন ধরেই অরকুটে বিভিন্ন গ্রুপে বিভিন্নজনের প্রোফাইল দেখে আমার ধারণা হয়েছিল যে বাংলাদেশ বুয়েটে অন্তত অর্ধেক ছাত্রই আসে নটরডাম কলেজ থেকে। আরো কিছু সার্চের পরে, আজকেই একটা ফোরামে পড়তে গিয়ে দেখলাম বাংলাদেশের অগ্রণী প্রতিষ্ঠান বুয়েটে প্রবেশিকা পরীক্ষায় সুযোগ পাওয়া প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ ছাত্রই নটরডাম কলেজের। একই রকমের মেয়েদের যে ক’টি প্রোফাইল দেখা যায় বুয়েটের, তারাও অধিকাংশই ভিকারুন্নিসা স্কুলের। বাংলাদেশের এই দুটো স্কুল যথেষ্ট নামকরা, কিন্তু যে হারে এরা ডমিনেট করে পরবর্তী কেরিয়ার – সেটা দেখে আমি বিস্মিত।
এখানে (পশ্চিমবঙ্গে), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী সাধারণত ভাল স্কুলেই সবাই পড়তে চায়। গ্রামের ছাত্ররা মূলত নিকটবর্তী শহরের স্কুলে গিয়েই পড়াশোনা করে। এর সাথে সমান্তরালে আছে ইংরেজী মাধ্যম স্কুল। ইংরেজী মাধ্যম স্কুল আবার দুরকম, একদল পড়ে রাজ্যের সিলেবাসে ও আমাদের মতই প্লাস টু হিসাবে উচ্চমাধ্যমিক দেয় প্রথম ভাষা হিসাবে ইংরেজী নিয়ে। আর আরেকদল সরাসরি জাতীয় সিলেবাসে পরীক্ষা দেয়। উচ্চমাধ্যমিকের সাথে সাথেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স (এই পরীক্ষার মাধ্যমে সব ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারী কলেজে প্রবেশ করে) পরীক্ষার র্যাঙ্ক অনুসারে ডাক্তারী বা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সবাই সুযোগ পায়। একই সাথে অনুষ্ঠিত হয় আই-আই-টি প্রবেশিকা পরীক্ষা, আর জাতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা। আবার এক রাজ্যের ছেলে অন্য রাজ্যের প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও বসতে পারে – যেমন অন্ধ্রের ৮২ হাজার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সিট অনেকটাই আসে বাইরের রাজ্যের থেকেই।
কিন্তু এখানে কয়েকটা স্কুলের এতটা আধিপত্য নেই। যেমন ধরুন আমি পড়েছি শিবপুর বি-ই কলেজ থেকে (মোটামুটি পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয়)। কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে আমরা ৩২ জন পড়তাম। শুধুমাত্র দুটো স্কুলের দুজন করে ছাত্র ছিল, বাকি সবাই যার যার স্কুলের একমাত্র প্রতিনিধি। সবাই আসে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অংশ থেকে – বিভিন্ন স্কুল থেকে। শহরের স্কুলের আধিপত্য থাকলেও গ্রামের স্কুলের থেকে আসা ছাত্রও কম নয়। যেমন দুর্গাপুর, মেদিনীপুর বা শিলিগুড়ির ছাত্র সংখ্যায় যথেষ্ট বেশীই থাকত। গোটা কলেজে আমাদের একই ব্যাচের চারশ ছাত্রের মধ্যে কোনো স্কুলের কুড়ি-ত্রিশজনের বেশী পাওয়া দুষ্কর বলে আমার ধারণা। সবথেকে বেশী ছাত্র আসে কোলকাতা সাউথ পয়েন্ট হাই স্কুল থেকে – তাও ব্যাচের ১০ শতাংশেরও কম।
এবার আমার প্রশ্নে আসা যাক। একই স্কুল থেকে এত ছাত্র আসছে কি ভাবে? ধরে নেওয়া যাক সব ভাল ছাত্রই নটরডামে ভর্তি হয়। কিন্তু তার মানে কি এই নয় যে বাকি মফস্বলের কলেজগুলোয় কেউ পড়াশোনা করতে উতসাহী নয় নাকি তাতে ভাল পড়াশোনা হয় না। আমাদের এখানের মত আশা করি বাংলাদেশেও প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি প্রাইভেট টিউশন আর ব্যক্তিগত প্রস্তুতি-নির্ভর। সেক্ষেত্রে, কলেজ কি ভাবে এতটা পার্থক্য তৈরী করতে পারে? আর সরকার কি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে একই স্কুলের এতটা আধিপত্য খর্ব করার জন্য?
এখানে একটা সময় পর্যন্ত কলকাতার ছাত্ররাই আধিপত্য বজায় রেখেছিল। কিন্তু আশির দশকে সরকারি হস্তক্ষেপে কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই চাকা ঘুরিয়ে দেওয়া। গবেষণা করে দেখা গেল গ্রামের দিকে ইংরেজী আর অংকেই ছাত্র-ছাত্রীরা বেশী কাঁচা। তাদের সুবিধার্থে সিলেবাসে ওই দুটি সাবজেক্ট সোজা করে দেওয়া হল – যাতে সবার পড়াশোনায় কিছুটা হলেও আগ্রহ থাকে। এর ফলে পাশের হার বাড়তে থাকে আর আস্তে আস্তে উতসাহ পেয়ে কিছুটা গ্রামের পাশের হার বাড়তে থাকে। অপরদিকে শিক্ষার মান পড়ে যায়, আগের মাধ্যমিক পাশ আর পরের মাধ্যমিক পাশের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত দেখা দেয়। নব্বই-দশকের শেষের দিকে জয়েন্ট-এন্ট্রান্সেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করে গ্রামের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু মনে করা হয় সর্বভারতীয় পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের স্থান ক্রমাগতই পিছিয়ে গেছে। প্রথম দশে এখন একজনও আসে না সবসময়।
আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হল মফস্বলের ছাত্ররা তাহলে কি ভাবে নটরডামে আসে? আমার তো অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ঢাকার ছাত্ররা এতে অনেকটা সুবিধা পেয়ে যায়, কারণ তারা হোমগ্রাউন্ডে বসে পড়াশোনার সুবিধা পায় বেশীদূর পর্যন্ত। তাছাড়া, মফস্বলের ছাত্ররা শুনলাম ঢাকায় আসে প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির কোচিং-এর জন্য। সেটাও তো সমস্যার বিষয়। এ নিয়ে সরকারের কোনো প্ল্যান আছে কি?
আমার ব্যক্তিগত ধারণায় বাংলাদেশের পড়াশোনা এখনো ঢাকা-নির্ভর। এখনো স্বচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারই ডমিনেট করে আর কয়েকটা নামী-দামী স্কুলেই ভাল ফলাফল করে। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে কিন্তু সংখ্যায় বড় কম বলেই মনে হচ্ছে। আমি এই বিষয়ে পুরো জানিনা, তাই পাঠকেরা আলোকপাত করলে খুশী হব। আর প্লিজ কেউ মাইন্ড খাবেন না।
মন্তব্য
আমি নিজেও নটরডেম কলেজ আর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র (ফরাসী নোতরদাম গোছের উচ্চারণ আর করা হয় না, আমেরিকান পাদ্রীদের উচ্চারণই মেনে নিয়েছে সবাই) ছিলাম।
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে নটরডেম কলেজের ছাত্রদের আধিক্যের একটা কারণ হতে পারে, নটরডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ছাত্রসংখ্যার কারণে। আমরা যখন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করি, তখন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রায় সাড়ে আটশো ছাত্র উত্তীর্ণ হয়েছিলো, এখন বোধহয় এ সংখ্যা বেড়ে বারোশোর কাছাকাছি হয়েছে। ঢাকা বা ঢাকার বাইরে অন্যান্য কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ হয়তো এতো বড় নয়। আর নটরডেম কলেজের ছাত্রদের সম্ভবত প্রকৌশলবিদ্যার প্রতি কোন একটা আকর্ষণ থাকে, কলেজের বেশির ভাগ বিজ্ঞানের ছাত্রই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে থাকে। সম্ভবত নটরডেমে বছরভর পরীক্ষা দেয়ার অভ্যাসের কারণে পরবর্তীতে প্রস্তুতি এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় তারা ভালো করে। গত কয়েক বছরে দেখেছি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতেও নটরডেমের ছেলেরা এগিয়ে।
নটরডেম কলেজে এক সময় ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হতো, এখন নেয়া হয় কি না জানি না, তবে কিছুদিন আগে কলেজের বর্তমান প্রিন্সিপাল ফাদার ডি কস্তা এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, নটরডেমে মফস্বলের ছাত্রদের জন্যে আলাদা কোটা থাকে। একেবারেই ঢাকার সেরা ছাত্রদের জন্যে এ কলেজ নয়।
তবে কোন একটি কলেজের ছাত্রদের পারফরম্যান্সে আঙুল দেয়ার জন্য কোন পরিকল্পনা সরকার এখনো করেনি বলেই জানি।
বাংলাদেশে একেবারে ঢাকা কেন্দ্রিক না হলেও, গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার ব্যাপারটা বিভাগীয় শহরকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। অতীতে মফস্বলের একটি স্কুল থেকেও হয়তো মেধাতালিকায় স্থান অর্জন করেছে অনেকে, কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থার মান ক্রমান্বয়ে শিক্ষাবাণিজ্যের কাছে পর্যুদস্ত হচ্ছে বলে সেরা কলেজগুলিই এখন নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছে, মফস্বল বা গ্রামের স্কুলকলেজগুলি ধুঁকছে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আর তার আগে ছিল ক্যাডেট কলেজ।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
"তার আগে ক্যাডেট কলেজ" মানে বুঝি নাই।
ক্যাডেট কলেজে সেভেন থেকে টুয়েলভ একটানা পড়তে হয়। সুতরাং এস এস সি-তে অন্য স্কুল থেকে স্ট্যান্ড করে ক্যাডেট কলেজে ঢুকার কোন সম্ভাবনা নেই। ক্যাডেটরাও নিজেদের কলেজেই বহাল তবিয়তে থাকে, কোন এডমিশান টেস্ট ছাড়াই।
যে কোন ক্ষেত্রেই (ইঞ্জিনিয়ারিং মেডিক্যাল বিবিএ বা আর যেসব সাবজেক্টকে দামী বলা হয়) মোট সংখ্যার দিক থেকে ক্যাডেট কলেজ এক নম্বরে থাকে না। কারন একেকটা কলেজের একেকটা ব্যাচ থেকে বের হয় সর্বোচ্চ পঞ্চাশ জন। মানে সবগুলো ক্যাডেট কলেজ মিলেও ঢাকা কলেজ বা নটরডেমের সমান ছাত্র হয় না। অবশ্য পার্সেন্টেজ হিসেবে ব্যাপারটা আলাদা, সেদিক দিয়ে মনে হয় ক্যাডেট কলেজগুলো এগিয়ে আছে।
দিগন্ত যে অনেক ফোরামেই নটরডেমিয়ান+বুয়েট খুঁজে পেয়েছেন তাঁর পেছনে পড়ালেখার মান অবশ্যই একটা বড় কারণ, সেই সাথে ছাত্র সংখ্যাও। আবার যদি এটা বিবেচনা করা হয় তাহলেও নটরডেম ক্রেডিট এখানেও যে এত ছাত্র নিয়েও তারা এত ভাল রেজাল্ট করে যাচ্ছে।
পরে আরো বিস্তারিত লিখবো আশা করি।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
এটা আমাদের সময়ও কমবেশি ছিলো। অন্যান্য শিক্ষাবোর্ড থেকে স্ট্যান্ড করা অনেক বন্ধু ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়েছে। নটরডেমে আমার মতো মিডিওকারদের সংখ্যা বেশি ছিলো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ব্যাপারটা অনেকটা বুঝলাম। কিন্তু তাও একই কলেজ থেকে অর্ধেক ছাত্র আরেকটা কলেজে আলাদা প্রবেশিকা দিয়ে ঢুকে পড়ছে সেটা আমার কাছে কিছুটা অবিশ্বাস্যই থাকছে। যেমন ধরুন, যদি বলি নটরডামে পড়াশোনা প্রবেশিকা-মুখী হয়, তাহলে প্রশ্ন হল বাকি কলেজে সেটা হয় না কেন? আর প্রবেশিকার প্রস্তুতি কি কলেজ ছাড়া নেওয়া যায় না?
আমার ব্যক্তিগত ধারণা নটরডামের কয়েকটি শাখা কয়েকটি মফস্বল শহরে খোলা উচিত। পশ্চিমবঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশনের শাখা সব জেলাশহরে খোলার ফলে সবাই উপকৃত হয়েছেন।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
নটরডেমে পড়ানোর ধরনটা ঠিক প্রবেশিকামুখী নয়। বিভিন্ন পড়ার কাজ দিয়ে ছেলেদের জীবনটা মোটামুটি ভেজে ফেলা হয় দেড় বছর। ফলে তারা বিশ্রাম নেয় একেবারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে।
ক্যাডেটকলেজের ছাত্ররা মূলত সশস্ত্রবাহিনীতে অফিসার পদে যোগ দেয়ার ব্যাপারে এগিয়ে থাকে, কারণ তাদের ছাত্রজীবনে শরীরচর্চা আর সামরিক শৃঙ্খলার ওপর জোর দেয়া হয়, পরবর্তীতে সামরিক বাহিনীর বাছাইয়ের জন্যে তা তাদের কাজে আসে। নটরডেমে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার প্রবেশিকার জন্যে ছাত্রদের তৈরি করতে দেখিনি কখনো, বরং পাঠ্যক্রমে যা আছে তা রয়েসয়ে পড়ানোতেই জোর দেয়া হয়।
আমি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আগে দেড় মাস কেবল স্থিতিবিদ্যা আর গতিবিদ্যা শিখেছিলাম আমাদের কলেজের গণিতশিক্ষকের বাড়ি গিয়ে, এর বাইরে কোন শিক্ষকের কাছে আমার প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন হয়নি। নটরডেমে ক্লাসে আমাদের বেশ যত্নের সাথে সব শেখানো হয়েছে, ব্যবহারিক ক্লাসগুলির মতো কড়াকড়ি পেয়েছি কেবল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রারম্ভিক যন্ত্রকৌশল আর উচ্চবিভব ব্যবহারিক ক্লাসে।
আমি বলছি না যে বাংলাদেশের অন্যান্য কলেজে এসব হয় না (কারণ আমি জানি না বাংলাদেশের আর কোন কলেজে কী হয় না হয়), কিন্তু কলেজে পড়ার চাপটা সুষমভাবে থাকে বলেই হয়তো বিশেষ করে নটরডেমের বিজ্ঞানবিভাগের ছাত্ররা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকায় তুলনামূলকভাবে ভালো করে। আমি নিশ্চিত, একইভাবে অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য কোন উচ্চমাধ্যমিক কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যাধিক্য দেখা যাবে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
দিগ্ন্ত খুব চমতকার একটি বিষয় নিয়ে এসেছেন সেজন্যে আপনাকে ধন্যবাদ। তবে আমার আগ্রহ অন্যখানে, আমাদের সিলেবাস এবং শিক্ষা ব্যাবস্থা!
আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞ্তায় আমি দেখেছি আমাদের এস এস সি এবং এইচ এস সির সিলেবাস খুব-খুব ভাল এবং প্র্যাক্টিক্যাল!(অবশ্য যদি বানরের বাশ বাওয়া ঠাওয়া বাদ দেয়া যায়!) ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান এবং আমাদের সময়কার এস এস সির ধর্ম শিক্ষা বইটাতো ফাটাফাটি! কিন্তু এসব বুঝেছি অনেক পরে! স্কুলে কলেজে এগুলো মোটেও মজা পেতাম না! আসলে স্যাররা নিজেরাই মজা পেতেন নাতো পড়িয়ে আমাদের আনন্দ দেবেন কিভাবে!!! এখন দেখি তখন যা যা পড়িনি তার তার কিছুই কাজে লাগাতে পারতাম! অন্যদিকে ইংলিশ মিডিয়ামের নামে আমাদের দেশে যা হয়ে আসছে সেটাতো নিছক ভদ্র ভাষায় বললেও বলবো গরুর পশ্চাতদ্দেশে মাথা ঢুকিয়ে মানুষের এ্যানাটমি শেখার মত (আমি বলছি না সবগুলোরই একই অবস্থা তবে অধিকাংশই) ১১ জন ছাত্র-ছত্রী নিয়ে স্কুলের সেই স্কুলের আবার প্রিন্সিপাল আবার অভিভাবকরাও সে স্কুলে বাচ্চাদের পাঠায়! না ইংলিশ মিডিয়ামে না পড়ালে জাত থাকে না!
হিমু যথার্থই বলেছে নটরডেমের বিজ্ঞান বিভাগে বিশাল ছাত্র সংখ্যা আর তাদের প্রকৌশলবিদ্যা পড়ার ইচ্ছাই বুয়েটে তাদের সংখ্যাধিক্যের কারণ। মেডিকেল কলেজগুলির পরিসংখ্যান নিলে হয়তো দেখা যাবে ভিন্ন পরিস্থিতি। উদাহরণস্বরূপ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (র্যাংকিং করলে ডাক্তারীতে তৃতীয়) উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী আসে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে। আমাদের সময়ে (এবং সম্ভবত এখনো) চট্টগ্রাম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪২০ জন (যেখানে নটরডেমেই ৯০০ ছাত্র ছিল বিজ্ঞানে)। এদের অধিকাংশ যায় ঘরের পাশের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (যদিও প্রথম পছন্দ ঢাকা মেডিকেল কিন্তু এখানেও ঢাকার কলেজগুলির আধিপত্য বেশী ), ১০-২০ শতাংশ যায় বুয়েটে, বাকীরা দেশের অন্য মেডিকেল কলেজ, ঢাকা বা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়া একটা উল্লেখযোগ্য অংশ যায় চট্টগ্রাম বি আই টি এবং এরপর অন্য বি আই টিগুলোতে। আমার মনে হয় দেশের অন্য প্রধান শহরগুলোর প্রধান কলেজগুলোর অবস্থা অনেকটা এই রকম। তাই বুয়েটে নটরডেমের আধিপত্য নিয়ে সরকারের তেমন চিন্তার কারণ দেখি না
========
"পুনরায় রৌদ্রহীন রৌদ্রে আমি, পথহীন পথে"
দিগন্ত,
ইংরেজী মিডিয়াম পড়াশোনা সম্পর্কে উপরের মন্তব্যের মত অনেক বেহুদা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য শুনবেন। এর কারন আসলে জানা নেই, তবে ইংরেজী মিডিয়ামের ছাত্রদের কাছে এসব মন্তব্য অনেকটা সয়ে গেছে। অনেকে ধারণা করেন যে ইংরেজী মিডিয়ামে কেবল আলালের ঘরের স্টুপিড দুলালেরাই পড়ে। অনেকে ধারণা করেন ইংরেজী মিডিয়ামের পড়া আসলে কোন পড়া না - ও-লেভেল এ-লেভেল এসবের কোন মূল্য নেই। আবার কেউ কেউ বলেন যে এস এস সি এইচ এস সি'র তুলনায় ইংরেজী মিডিয়ামের পড়াশোনা ঢের সহজ, তাই আমরা বাংলা মিডিয়ামের ছাত্রদের সাথে পাল্লায় পারবো না। আবার অনেকে বলেন যে দশজনের সাথে ক্লাস করে এটা কোন ক্লাস হলো না কি। এরকম অনেক কিছু। প্রতিটা কথাই অবান্তর এবং বাস্তবের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। মানে বেসিকালি ভুয়া আর কি। ইংরেজী মিডিয়াম সম্পর্কে অস্বচ্ছ বা স্টেরিওটাইপ ধারণা থেকে এসব কথা আসে। অনেকে আবার স্টেরিওটাইপটা ধরে রেখে আমাদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেও সুখ পান। এর সঠিক কারন জানা নেই। তবে আমরাও যে আর সবার মত মানুষ, এটা প্রমাণ করতে আমরা সর্বদাই সচেষ্ট।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ইংলিশ মিডিয়াম নিয়ে এইরকম আপত্তিকর ও বাজে মন্তব্যের কোন কারণ খুঁজে পেলাম না।
আপাতত প্রতিবাদ করে গেলাম, পরে বিস্তারিত লিখছি।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
নটরডেম কলেজ থেকে বুয়েটে চান্স পাবার আরও একটি অন্যতম কারন আছে বলে আমি মনে করি। অন্যান্য কলেজে (যেমন ঢাকা কলেজ) নির্ধারিত সিলেবাসের বাহিরে পদার্থ, রসায়ন ও গনিতের কোন কিছু পড়ানো হয় না। কিন্তু এমন অনেক বিষয় আছে (এখন বুঝি) যা বুঝার জন্য শুধু সিলেবাসের বিষয়গুলো পড়লেই চলে না, আনুষাঙ্গিক আরও কিছুও পড়া দরকার। এই সুবিধাটা সব সময়ই নটরডেম কলেজের ছাত্ররা পেয়ে আসছে।
ভাল ছাত্র বেশি নটরডেমে ভর্তি হয় বিষয়টা এমন ভাবে না দেখে বরং নটরডেম ভাল ছাত্র বেশি তৈরি করে এমন কথাটাই মনে হয় নটরডেম এর জন্য বেশি মানান সই। আর আমার নিজের কলেজ (ঢাকা কলেজ, চামে জানাইয়া দিলাম আর কি ) মনে হয় দেশের অন্যতম ফাঁকিবাজির কলেজ।
কি চমৎকার। আপনার অবজারভেশনের সাথে আমিও মিলে গেলাম। প্রথমে নটরডেম কলেজ, এর পর এখন পড়ছি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আমার নতুন করে কিছু বলার নেই। তবুও ২ টা ব্যাপার বলি আবার---
১) নটরডেমে এমন ভাবে পড়ানো হয়, বই এর আগা থেকে গোড়া যে সিলেবাসের কিছুই বাকি থাকে না। কুইজ ( সাপ্তাহিক পরীক্ষা ) এর মাধ্যমেই পুরা বই একবার শেষ হয়ে যায়। এই কুইজের একটা ভালো অংশ প্রভাব ফেলে মূল রেজাল্টে। আর ব্যবহারিক ক্লাসের কথাতো বলাই বাহুল্য। আমার জানা মতে বাংলাদেশের আর কোন কলেজে এইভাবে তা করানো হয় না। সবচেয়ে কাজে লেগেছে যা, তা হচ্ছে, নটরডেম কলেজের থেকে পাওয়া প্রেশার হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি। কলেজ জীবনেই আমরা ব্যবহারিক ক্লাস এবং নিত্য পরীক্ষার জ্বালায় এমন অস্থির থাকতাম, এত চাপে থাকতাম যে, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যখন এত এত পরীক্ষা আর ব্যবহারিক পরীক্ষার চাপে নন-নটরডেমিয়ান বন্ধুরা চ্যাপ্টা হচ্ছে, আমরা তখন শান্তিতেই বসে আছি,কারন এমন চাপ আমরা আগেই দেখে এসেছি।
২) ইংরেজী মিডিয়ামের সম্পর্কে মন্তব্যটা ঠিক নয় বলেই আমি মনে করি। ইংরেজী মিডিয়ামের অনেককেই আমি চিনি যারা অনেক মেধাবী। তবে সেই সাথেও এটাও ঠিক, অনেক ধণীর দুলালেরা, যারা ইংরেজী মিডিয়ামে পড়ে, এই সিস্টেমকে এক্সপ্লয়েট করে। কারন আমার জানা মতে ইংরেজী মিডিয়ামের পড়াশোনার মূলনীতি হচ্ছে কম জিনিশ পড়ানো হোক ( বাংলা মিডিয়ামের সাথে তুলনামূলক ভাবে), কিন্তু তা ভালোমত বুঝানো হোক, যাতে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে কোন সমস্যা না থাকে। কিন্তু অনেকেই, এজন্য একদমই কম পড়াশোনা করেই পার পেয়ে যায়। এমনটা আমি নিজে বেশ কিছু দেখেছি। কিন্তু তাই বলে ঢালাওভাবে মাধ্যমকে দোষারপ করাও ঠিক নয়।
----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
অন্য সব বিষয়ে যথেষ্ট দ্বিমত অনেকেই দেখাচ্ছেন। কিন্তু, আপনার এই পর্যবেক্ষণটুকু ভুল বলে মনে হয় না।
আমি মফস্বলে বড় হয়েছি, স্বায়ত্বশাসিত একটা ব্যাংকে চাকুরি করা আমার বাবার চাকুরির সূত্রে। কলেজও ছিলো মফস্বলে। অর্থনৈতিক দিক চিন্তা করে নটরডেম এর কথা ভাবিওনি। আমার বন্ধুদের অনেককেই দেখেছি হুটহাট ঢাকায় পাড়ি জমাতে।
তারপর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার কথা চিন্তা করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় আসতে হয়েছে। যদিও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব অল্প সময় ছিলাম।
শেষ পর্যন্ত ঢাকায় আসতেই হবে - এই অবস্থাটা বদলানোর উপায় নেই আসলে।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
কয়েকটা সিদ্ধান্ত পাওয়া যাচ্ছে এখান থেকে।
১) বাংলাদেশে পড়াশোনা এখনও অনেকটা স্কুল-ভিত্তিক, আমাদের এখানকার মত কোচিং-ভিত্তিক এতটা নয়। এখানে লোকে হায়ার-সেকেন্ডারী স্কুলে এনরোল করে শুধু স্কুলের নাম নেবার জন্য। বাড়িতে প্রাইভেট টিউশনে পড়ে।
২)
দু-দশক পরে এখন আমি যখন আমার পড়াশোনোর দিকে ফিরে তাকাই, তখন মনে হয় ইংরেজী মাধ্যমে আমার পড়াশোনা বিন্দুমাত্র খারাপ হত না, ভাল তো হতেই পারত। ওদের পড়াশোনা গভীরে হয়ত কিছুটা কমই যায়, কিন্তু অনেক জিনিস কভার করে যা নিয়ে আমাদের অল্প জ্ঞানও নেই (যেমন অর্থনীতি, ব্যাঙ্কিং, কম্পিউটার)। আর ওদের পড়াশোনা শেখানো হয় অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে। সবথেকে বড় কথা, চাকরির বাজারে ইংরেজী দামী। যাহোক, বাঙালী হুজুগে জাতি, তাই এখন ভুল বুঝতে পেরে সবাই সবার ছেলেমেয়েকে পড়াচ্ছে ইংরেজী মিডিয়ামে - সে স্কুল ভাল হোক বা ব্যাঙের ছাতার মত গজানো হোক।
৩)
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বাংলাদেশেও এখন পড়াশোনা ঠিক এরকম স্কুল-ভিত্তিক নয় কিন্তু। আমি মফস্বলের স্কুল-কলেজে পড়েছি। আমি দেখেছি কি বিপুল হারে ছাত্র-ছাত্রী এবং তার চাইতেও বেশি তাদের বাবা-মায়েদের প্রাইভেট টিউটর এবং কোচিং সেন্টারের প্রতি ঝোঁক। মফস্বলে হাতে গোনা কয়েকজন স্টুডেন্ট পাওয়া যাবে যারা শুধু মাত্র স্কুল বা কলেজের পড়ার ওপর নির্ভর করে, বাকিরা বিশেষ করে কলেজ পর্যায়ে সেই একইভাবে কলেজে নাম লিখিয়ে কোচিং বা প্রাইভেট নির্ভর হয়ে পড়ে। এটা শুধুমাত্র মফস্বলের চিত্র বলেও আমি মনে করি না। এই যে ভিকারুন্নিসার এত নাম-ডাক, আমি তো খুব কাছের থেকে অনেক ভিকারুন্নিসার স্টুডেন্টকে জানি যারা প্রায় সব বিষয়েই টিউটরের কাছে দৌঁড়ায়, নোট-সাজেশন-সিলেবাস...এই তো পড়াশোনার হাল। বাংলাদেশে সম্ভবত কেবলমাত্র নটরডেম এবং হলিক্রস এই দু'টো কলেজের স্টুডেন্টরাই সিলেবাসের বাইরেও যা আছে তা পড়ে, যেটা সবচেয়ে বেশি কাজে দেয় পরবর্তীতে।
আর
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
আমি আমার পূর্বপর্তি মন্তব্য বুঝিয়ে লিখেতে পারিনি বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
আমার বিদ্বেষ সেই সব ইংরেজি মাধ্যমের প্রতি যাদের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ১০ থেকে ৩০ বা বড়জোর ৪০-এর ভিতর সিমাবদ্ধ;সেই সাথে যে সকল মা-বাবা মনে করেন ইংরেজি মাধ্যমে না পড়ালে তাদের প্রেষ্টিজ ঢীলা হয়ে যায় এবং এই সব স্কুলের নাম সর্বস্ব 'প্রিন্সিপাল'-এর ব্যাপারে আমার তীব্র খোব রয়েছে!
বিনয়েড় সাথে বলছি দেশে আমি খানিকটা শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলাম এবং ইংলন্ডে এসে পড়া-লেখা এবং ট্রেনিং-এর জন্যে স্কুলের সাথে আমার সম্পৃক্ততার কারনে দেখেছি আমাদের দেশের, এমনকি একটু ভাল বাংলা এবং ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ বরং এইদেশের লেখা পড়া অনেক সহজ মনে হয়। মোদ্দা কথা হল আমি কোনভাবেই বলছি না আমাদের দেশের কোন মাধ্যমেই সিলেবাস কম ভাল। কথা হচ্ছে কিছু অভিভাবক এবং ঐসব 'নামে ইংলিশ মিডিয়াম'-এদের এ্যাপ্রোচটা বদলাতে হবে!
আমার বাসা ধানমন্ডিতে। ভাল স্কুলের পাশাপাশি এখানে প্রচুর স্কুল আছে যাদের ষ্টূডেন্ট খুবই কম অথচ ডোনেশন দিয়ে দিয়ে সেখানে বাচ্চাদের ভর্তি করানো হচ্ছে! এত বাজে কোয়ালিটির একটি বাংলা মাধ্যম স্কুল কিন্তু টিকতেই পারতো না যেহেতু তকমাটা ইংরেজী তাই.........
আবারো বলছি, আমার কথাগুলো ঠিকভাবে আগে ব্যাখ্যা না করার জন্যে আমি দুঃখিত।
- অনুপাত সমান থাকার অর্থই তো ঢাকা কেন্দ্রিকতা, কারণ জনসংখ্যায় অনুপাতটা প্রায় ১:১০, তাই না? আমি জানি তৃতীয় বিশ্বে এই অনুপাত লাভ করতে এখনো আরো ১০০ বছর চলে যাবে।
তবে আলোচনা থেকে আমার অনেক ভুল ধারণা মিটল বলে সবাইকে ধন্যবাদ।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
- আপনি ঠিকই বলেছেন। আর এ থেকেই বোঝা যায় বাঙালী এপারে ওপারে একইরকম হোমসিক। আমাদের দেশে বাঙালীদের একই ব্যাপারে বদনাম আছে। খড়গপুর আই-আই-টি তে ভাল কিছু না পেলে যাদবপুরে ঢুকবে তবুও রাজ্যের বাইরে পড়তে যাবে না। নাঃ, আপনার সাথে একমত না হয়ে পারলাম না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাটা আসলে শহরভিত্তিক-সুযোগসুবিধাভিত্তিক। সেটিকে স্কুলভিত্তিক বা কোচিংভিত্তিক বলার চাইতে এভাবে বললে ভালো হয়। কারণ দেখা যায়- যে স্কুল বা কোচিং শিক্ষার্থীদের সবচাইতে বেশি সুযোগ-সুবিধা দিতে পারছে, তারাই ভালো ফলাফল করছে। যে কারণে গ্রামের চাইতে শহরের বিদ্যালয়গুলো এগিয়ে যাচ্ছে। আর এক্ষেত্রে ঢাকার বিদ্যালয়গুলো তো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আপনার লেখার বিষয়টি দারুণ। এ নিয়ে আপনার কাছ থেকে আরো লেখা আশা করছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন