কোন দেশে রকেট উৎক্ষেপণের আগে বিজ্ঞানীকুল মন্দিরে পূজো দিতে যান? যে সে বিজ্ঞানী নন, একেবারে মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কর্ণধার সহ তাবড় তাবড় মহাকাশ বিজ্ঞানী। উত্তর শুনে এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন যে দেশটা ভারত আর তার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হল ইসরো। ২০০৫ সালে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের আগে তিরুপতির মন্দিরের আশীর্বাদ ভিক্ষায় গিয়েছিলেন ইসরোর প্রযুক্তিবিদেরা। কে ছিল না সেখানে - কস্তুরিরঙ্গন থেকে শুরু করে মাধবন নায়ার - সব্বাই। আজকাল কানাঘুষো শোনা যায় প্রতি সফল উৎক্ষেপণে নাকি ইসরো থেকে দানধ্যানের খাতে তিরুপতিতে কয়েক লাখ টাকা আসে। যে মন্দিরের দৈনিক আয় কয়েক কোটি টাকা - তার কাছে এটা নগণ্য হলেও ঈঙ্গিতটা খুবই স্পষ্ট - কৃত্রিম উপগ্রহের ভাগ্যের সাথে তিরুপতি মন্দিরের কার্যকারণ সম্পর্ক।
সম্প্রতি এই দেশের বিজ্ঞানীদের নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল কয়েকটি দেশী-বিদেশী সংস্থা। উদ্দেশ্য, বিজ্ঞানীরা কতটা ধার্মিক সেটা নিয়ে ধারণা করা। সর্বমোট ১১০০ বিজ্ঞানী নিয়ে এক সমীক্ষার ফলাফলে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা সসম্মানে 'উত্তীর্ণ' হয়েছেন। দেশের বিজ্ঞানীদের ২৫% বিজ্ঞানী ঈশ্বরে বিশ্বাসী - মনে করেন কোনো এক মহান শক্তির নির্দেশে চালিত হচ্ছে মহাবিশ্ব। শুধু তাই নয়, (ছবি)প্রতি ১০০ জনে কর্ম ও জন্মান্তরে আস্থা রাখেন যথাক্রমে ২৯ ও ২৬ জন, আর ভূতে বিশ্বাসীদের সংখ্যা মাত্র ৭ (ভূতের প্রতিশোধ কাম্য)। আর ওপরের তিরুপতির মন্দিরে পূজো দেবার ঘটনাকে সমর্থন জানিয়েছেন শতকরা ৪১ জন। এছাড়াও ধর্মের বাইরেও বিভিন্ন শাখায় বিশ্বাসের প্রশ্নে খেলা কম দেখা যায় নি। হোমিওপ্যাথি থেকে প্রার্থনা, ইউরিন থেরাপি থেকে বাস্তু ও জ্যোতিষ - কোনোকিছুই বাদ পড়েনি বিশ্বাসের কোটা থেকে। এরা সবাই কিছু কিছু বিজ্ঞানীদের মনে স্থান করে বসে আছে। ৭০%-এরও বেশী বিজ্ঞানী আবার কলেজে আয়ুর্বেদ পড়ানোর সমর্থনও জানিয়েছেন। ৩৮% বিজ্ঞানী ঈশ্বর-প্রভাবিত অতিপ্রাকৃতিক ঘটনায় বিশ্বাসী আর এমনকি ২৪% মনে করেন মহাপুরুষেরাও এরকম কিছু মিরাক্যাল দেখাতে পারেন।
তবে কিছু কিছু ভাল তথ্যও পাওয়া গেছে। অধিকাংশ বিজ্ঞানীই পরমাণু বা জীবাণু বোমা তৈরীর বিজ্ঞানে কাজ করতে চান না অনৈতিক বলে। আর প্রায় ৭৫% বিজ্ঞানী মনে করেন মেয়ে-বিজ্ঞানীর সংখ্যা কম হবার কারণ ছোটবেলায় মেয়েদের অযত্ন। বিবর্তনবাদ মেনে নিতেও অধিকাংশেরই কোনো আপত্তি নেই। স্টেম সেল রিসার্চ বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মত বিষয় নিয়ে কাজ করতেও কারো বিশেষ একটা আপত্তি নেই। সরাসরি বিজ্ঞান-বিরোধী ধর্মীয় বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে সরাসরি সংঘাতে প্রস্তুত ৪৪% বিজ্ঞানী।
নিন্দুকেরা বলবেন এসব সত্ত্বেওতো দেশের বিজ্ঞানে অগ্রগতি হয়েছে। আমি এ কথাটা অস্বীকার করি না, কিন্তু তার মানে নিশ্চয় মেনে নিতে হবে না যে ঈশ্বরের বিশ্বাসের কারণেই এই অগ্রগতি। ইসরো যেমন অনেক ব্যয়বহুল বিজ্ঞানের শাখা হওয়া সত্ত্বেও তুলনামূলক ভাবে অনেক কম খরচেই দেশে মহাকাশ বিজ্ঞানের চর্চা জারী রেখেছে, এমনকি এখন লাভের মুখও দেখা শুরু করেছে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে। ষাটের দশকে একসময় দেশে উৎক্ষেপণের আগে রকেট সাইকেলে করে বয়ে নিয়ে যাওয়া হত (ছবি)। সেই জায়গা থেকে আজকের বিদেশী স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে লাভের মুখ দেখেছে - সে জন্য তাদের নিশ্চয় কৃতিত্ব প্রাপ্য। কিন্তু তা বলে মন্দিরে পূজো দিয়ে কার্যকারণ সূত্রকে গুলি মেরে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকি সত্যিই বিজ্ঞানমুখী চিন্তার পরিচায়ক? আমরা কি সত্যিই আরেকটু বিজ্ঞানমুখী হতে পারি না?
(মজার কথা তিরুপতির মন্দিরে আজকাল দর্শনের জন্য ইন্টারনেটে দর্শনের সময় বুক করতে হয়, আর প্রণামীর টাকাও ক্রেডিট কার্ডেই দিয়ে দেওয়া যায়। ঢোকার মুখে দর্শনার্থীদের রীতিমত বায়োমেট্রিক তথ্য নিয়ে তবেই ঢুকতে দেওয়া হয়।)
মন্তব্য
মন্দিরে যাওয়াটাই আপনার কাছে বেশি আপত্তিকর মনে হইতেসে বলে আমার মনে হইল , বিশ্বাসীরা কত কিছু করে, মন্দিরে যায়, মসজিদে যায়, চার্চে যায়, যাউক না , সমস্যা কি ? আমি আপনে না গেলেই তো হইলো
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
মন্দিরে যাওয়াটা আপত্তির কিছু নেই, তবে সাংগঠনিক ভাবে কৃত্রিম উপগ্রহের 'মঙ্গল'কামনায় মন্দিরে যাওয়াতে যথেষ্ট আপত্তি আছে।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ঠিকাছে, কিন্তু সাংগঠনিক ভাবে গেসে তা কিন্তু বলেন নাই ! দলে পালে যাইতেই পারে, মুচি থিকা বিজ্ঞানী সব ফিল্ডেই পাগল আছে ।
মন্দির মসজিদ চার্চ সবই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান , মনের শান্তির নিমিত্তে এইখানে ঘুরাঘুরি ঠিক আছে, টাকাপয়সা ঢালাঢালি না, এইখানে সাংগঠনিক ভাবে গেলে অসুবিধা হ্যাজ ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
সে তো আবদুল কালামের সকালের গীতাপাঠ নিয়ে তো আমি কিছু বলিনি। কিন্তু ব্যাপারে কার্যকারণ সম্পর্ক আর সংগঠন জড়িয়ে গেলেই সমস্যাটা। শান্তির জন্য মন্দিরে যাওয়া আর স্যাটেলাইটের সাফল্যের জন্য যাওয়ার ব্যাপারটা আলাদা।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ওটাই তো বললাম
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ধর্মসম্মত বিজ্ঞান! না, বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম?
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
এটি সেই তাত্বিক বিতর্কে নিয়ে যাচ্ছে যে মানুষ কেনো ধর্মে বিশ্বাসী হয়।
পশুরা তো কোন ধর্মে বিশ্বাসী নয়। তবে তারা তাদের পালের নেতার শক্তিতে বিশ্বাস করে ও তাকে মানে। এটি নৃতাত্তিক গবেষণার বিষয় প্রস্তর যুগ থেকে মানুষ কেন কোন কিছুকে পুঁজো করে আসছে।
আমার মনে হয় এটি আসে মানুষের ভয় থেকে। মানুষ যে জিনিষকে ইন্টারপ্রেট করতে পারে না তাকেই অসীম শক্তির কিছু ভেবে বসে এবং মনে করে তার বশ হলেই তার মঙল। এটি একটি সারভাইভাল ইন্সটিন্কট ও বলা যায়।
মাত্র এক হাজার বছর আগেই থিয়োলজি বিজ্ঞান হিসেবেই পরিগণিত হত। কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষ জানল যে পৃথিবী গোল ইত্যাদি অনেক কিছু। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সত্যগুলোকে বিশ্বাস করলে ধর্ম গুরুত্ব হারায়।
তবুও মানুষের ভয়ের শেষ নাই। তারা কোন কিছুকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চায়। এমনকি বিজ্ঞানকেও ধর্ম বানিয়ে বসে আছে।
আর ধর্মের প্রকাশগুলো হয় সাংস্কৃতিক। আমাদের দেশে শুক্রবারে জুমার নামাজ যে পরিমান লোকে পড়ে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ (যেটি ধর্মিকভাবে অবশ্য পালনীয়) সেটি তার কিয়দংশই পড়ে। মিলাদ যদিও একটি দেশীয় সংস্কৃতি (এর ধার্মিক রিকোয়ার্মেন্ট নাই) ধর্ম পালন করুক নাই করুক আকসারই এই জিনিষটি পালন হতে দেখা যায় (নতুন দোকান উদ্বোধন, গৃহ প্রবেশ ইত্যাদি)। তেমনি পুঁজো দেয়াও আমি মনে করি সংস্কৃতিরই অংশ।
যারা ধর্মকে বাদ দিতে চায় জীবন থেকে তাদের জন্যে সামাজিক চ্যালেন্জগুলো খুব বড়। সেজন্যেই অনেকে এই ঝামেলায় যেতে চায় না। আমাদের জীবনের অনেকগুলো হিপোক্রেসীর মত হয়ত কারো কারো কাছে এমনভাবেই ধর্ম বিরাজ করে।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
"সংস্কৃতিরই অংশ", সংস্কৃতি হিসেবেই ঠিক আছে, ধন্যবাদ নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের জন্য ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
দেখুন সংষ্কৃতির অংশ হিসাবে ঠিক আছে, কিন্তু কার্যকারণ সম্পর্কে হিসাবে তো ঠিক নেই। তারো বড় কথা, এই প্রমুখ বিজ্ঞানীরা দেশের তরুণদের সামনে কি আদর্শ দাঁড় করাবে? উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সাফল্যের জন্য সাংস্কৃতিক কোনো আচার-অনুষ্ঠান প্রয়োজন?
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
অবশ্যই, কার্যকারণ সম্পর্কে হিসাবে ঠিক নেই, তবে যতক্ষন পর্যন্ত সবাই বুঝবে এটা শুধুই সংষ্কৃতি ততক্ষন ঠিক আছে , বড় কথা হল বুঝতে হবে । এখানে যদি রকেটের গায়ে কেউ নারিকেল ফাটায়, অথবা শ্যাম্পেনের বোতল ফাটায় ( গায়ে ফাটাতে হবে এমন কথা নাই, রকেট ভাইঙ্গা যাইতে পারে হাহাহাহা ) তবে ক্ষতিবৃদ্ধি কিন্তু কিছুই হয় না, মজা হয় শুধু, সাংস্কৃতিক মজা । তবে ওই যে বললাম, পূজা দিলেই যে রকেট দৌড়াবে এমনভাবাটা ঠিক নয়, এটাই বুঝতে হবে ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হ্যাঁ কিন্তু ভূত আর জন্মান্তরের ব্যাপারটা তো শুধু ভয় থেকে আসে না। সমাজে শুরু থেকে এরকম বিশ্বাস পড়ে আছে যা আজো দূর করা যায় নি। এই কুসংষ্কারগুলো দূর করা জরুরী।
[সায়েন্টোলজির সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক নেই। সায়েন্স শব্দের অর্থ জানা, সায়েন্টোলজির মানে হল আত্মাকে জানার ধর্ম।]
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
জন্মান্তর জানি না, তবে ভুত মনে হয় ভয়ের সাথে জড়িত, অজানার ভয় । তবে ভুত আর জন্মান্তর দুটাই কর্ম আর কর্মফল বিশ্বাসের সাথে জড়িত । এগুলো নিয়ে নাকি এখনো রিসার্চ চলে, যাই চলুক , আমি না দেখে শুনে মানুষের এঁটো কথায় বিশ্বাস করি না ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বিজ্ঞানী হবার আবশ্যিক শর্ত যেহেতু বস্তবাদী হওয়া নয়, সেহেতু গায়েবি শক্তিতে ভক্তি তো স্বাভাবিকই। আমাদের দেশে তাবলীগ হচ্ছে সবচে পশ্চাদপদ বিশ্বদৃষ্টির ঘাঁটি। এখানে কিন্তু গরিব-অশিক্ষিতদের থেকে শিক্ষিত ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ররাই বেশি!
ধর্মের আধ্যাত্মবাদ থেকে কেউ ঈশ্বরবাদী হন আবার কেউ তা থেকে উত্তরিত হয়ে দর্শনের স্তরে আসেন। একজন আস্তিক দার্শনিকের থেকে একজন অলৌকিকে বিশ্বাসী বিজ্ঞানী বেশি পশ্চাদপদ বলে মনে হয় আমার। দার্শনিক শিক্ষাহীন বিজ্ঞান আসলে কতটা বিজ্ঞান? কয়েকটা থিওরিতে দক্ষতা বা কয়েকটা প্রযুক্তিতে উতকর্ষতাকেই বিজ্ঞান বলব কেন? এমনকি আজকের যুগে খোদ বিজ্ঞানই আসলে কতটা বৈজ্ঞানিক চেতনাসম্পন্ন।
একটা মজার তথ্য শেয়ার করি, পাকিস্তানের জিয়াউল হক দেশটির ইসলামাইজেশনের প্রধান পুরোহিত। তাঁর আমলে পাকিস্তানে উচ্চপর্যায়ে একটা গবেষণা হয়েছিল যে, কীভাবে জীন থেকে শক্তি তৈরি করা যায়। জীন যেহেতু আগুনের জীব, অতএব তা থেকে শক্তি তো পাওয়া যেতেই পারে!
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
এই হইল ঘটনা
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
Pope once said:
''SCIENCE IS SIMPLY TOO YOUNG TO UNDERSTAND RELIGION''
(religion is too old to believe and science is simply too young to understand)
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
গত ৫০ বছরে বিজ্ঞানের মৌলিক অগ্রগতি হয় নাই।
- তার আগে হয়েছিল তার কারণ তার আগে অসম্ভব খারাপ জায়গায় ছিল বিজ্ঞান। এখন মোটামুটি যেখানে পর্যবেক্ষণ সেখানেই থিয়োরী। তাই স্যাচুরেশন। পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা এগোলে থিয়োরীও কিছুটা করে এগোয় ... এভাবেই চলে।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
হ্যাঁ তাই-ই। কিন্তু কোন খাতে গবেষণা হবে, কী মাত্রায় হবে তার ওরও র্নিভর করে কতটা পর্যবেক্ষণ জমবে।
আবার দেখা যায় দার্শনিক প্যারাডাইম পাল্টালে_যেমন মিসরে বা গ্রিসে বা রেঁনেসার ইওরোপে, বিজ্ঞানেরও একধাপ উল্লম্ফন ঘটে। এক্ষেত্রে মনে হয় একটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
বিজ্ঞানী আর প্রযুক্তিবিদ শব্দ দুটোর মধ্যে বিস্তর ফারাক নয় কি ? যাদেরকে বিজ্ঞানী বলা হচ্ছে এখানে, আসলে কি বিজ্ঞানী তাঁরা ? আমি তো বলি প্রযুক্তিবিদ। পরিভাষার্থে প্রকৌশলি। যা হতে প্রয়োজন মেধার সাথে দক্ষতা। ওখানে ধর্মীয় সংস্কার বিষয়টা অনুঘটক নয়।
কিন্তু একজন বিজ্ঞানী মানেই তো সংস্কারমুক্ত স্বাধীন চিন্তার ধী সম্পন্ন সৃজনশীল মানুষ । এবং পরিভাষার্থে দার্শনিকও। ধর্মীয় কূপমণ্ডূকতা নিয়ে বিজ্ঞানী হয় কী করে ?
ভারতের এরা মূলত প্রযুক্তিবিদ। মুখের টানে বুঝে না বুঝেই আমরা বিজ্ঞানী বলে ফেলি হয়তো।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
শরিষার ভুত এরেই কয়!!!
কি মাঝি? ডরাইলা?
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ধর্ম ও বিজ্ঞানের আজগুবি সমন্বয় বোধহয় উপমহাদেশের একটা ব্রান্ড আইডেন্টিটি
এর সবগুলো দেশেই ইস্কুলে বাচ্চারা একই সাথে বিজ্ঞানে পড়ে মানুষের বিবর্তনবাদী সৃষ্টিতত্ত্ব আবার ধর্মের বইয়ে পড়ানো হয় ধর্মীয় সৃষ্টিতত্ত্ব
এবং এই প্রক্রিয়া এগোতে এগোতে গিয়ে কেউ বিজ্ঞানী হলেও তার মধ্যে এসব বিষয়ে কোনো সিনথেসিস হয় না
সমান ভাবে দুটোই বিশ্বাস করে
ধর্মের সামনে বসলে ধর্মকে বিজ্ঞানমুখী করার চিন্তা করে
আর বিজ্ঞানের পাশে বসলে চিন্তা করে বিজ্ঞানকে ধর্মমুখী করার
হ খুব কম লোকই এই কনফ্লিক্ট নিয়া সিস্টেমের বাইরে বসে চিন্তা করে আর বের হয়ে আসে
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এই সুন্দর ফুল, সুন্দর ফল
মিঠা নদীর পানি
খোদা তোমার মেহেরবানী।
কি মাঝি? ডরাইলা?
ইয়া ইলাহী, দে পানাহ্!!!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনারা কি সব হুর পরীর লগে সুডোকু খেলার লেইগা হামদ নাদ করতাসেন ? আমিও করি তাইলে ,
পথ হারায়া কাঁদিছে রাহী, দে পানা দে পানা
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এদের আর দোষ কী কন? আইনস্টাইনের পথেই আছে .....
"Science without religion is lame. Religion without science is blind."
কি মাঝি? ডরাইলা?
- এই আইনস্টাইনই তো ওপাস দেই এর একজন সদস্য ছিলেন, তাই না?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহা, আইন্সটাইনের ধর্ম অন্যরকম, আমার আগের লেখা দেখতে পারেন এ নিয়ে।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ইয়া হাবিবি! কত অজানারে জানাইলেন। যারা মন্তব্য করেছেন তাদের সবাইকেও অনেক ধন্যবাদ।
সবগুলো ধর্মই খুব আধুনিক হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আধুনিক যুগ তো তাদের নয়। এই যুগ বিজ্ঞানের। দেখা যাক কি হয়।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
নতুন মন্তব্য করুন