প্রথম যখন সারা পৃথিবীতে উষ্ণতা বৃদ্ধির তথ্য আসতে থাকল, তখন থেকেই অনেক বিজ্ঞানী সন্দেহ করছিলেন যে এই প্রভাব অনেকভাবেই ক্ষতি করবে আমাদের পরিবেশকে। একের পরে এক পরিবেশবিদ একেক ধরণের মডেলিং ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর কুপ্রভাব দেখাতে থাকলেন - কেউ বললেন সমুদ্রের লেভেল ওপরে উঠতে থাকবে, কেউবা বললেন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘনঘন বন্যা হতে শুরু হবে। কিন্তু যত দিন গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের খারাপ দিকগুলো ততটাই সামনে এসেছে। আমার এই লেখার বিষয় হিমবাহ ও নদীর জলের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।
পৃথিবীর চার ভাগ জল ও এক ভাগ স্থল হলেও কার্যত মাত্র ৩% জলসম্পদ মানুষের কৃষি ও পানীয় হিসাবে কাজে লাগতে পারে। এই স্বাদু জলের দুই তৃতীয়াংশই জমে আছে মেরুতে ও হিমবাহগুলোর মধ্যে। হিমবাহগুলো থেকে সৃষ্ট নদীই হল মানবসভ্যতার আদি প্রাণকেন্দ্র। নদীর ও লেকের জল মিলিয়ে হল ভূপৃষ্ঠের জলপ্রবাহ - এর আট ভাগের সাত ভাগই আছে বড় বড় কয়েকটি লেকে - যেমন লেক বৈকাল আর আমেরিকার পঞ্চহ্রদ। সুতরাং, পৃথিবীর সবথেকে জনবহুল অঞ্চল ভারতীয় উপমহাদেশ ও চিনের জন্য বরাদ্দ জলের পরিমাণ খুবই কম। এই দুই অঞ্চলে জলের প্রাপ্যতা আবার অঞ্চলভেদে ও ঋতুভেদে পরিবর্তিত হয়। গরমকালে যেখানে জলের জন্য হাহাকার থাকে, সেখানে বর্ষায় বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এই অঞ্চলে গরমকালের জলের একমাত্র উৎস হিমালয় ও তিব্বত মালভূমির হিমবাহগুলোই।
একটা প্রশ্ন এখানে আসা স্বাভাবিক - উষ্ণতা বৃদ্ধির কি প্রভাব পড়তে পারে এই হিমবাহগুলোতে? এরা কি গলে ছোট হয়ে যাবে? এটা বোঝার আগে জেনে নেওয়া যাক হিমবাহের সাম্য কিভাবে নির্ধারিত হয়। শীতে তুষার পড়লে হিমবাহ আকারে বাড়ে, গরমে গলে গিয়ে আবার ছোটো হয়। গড় উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে গরমকালের সময়কাল শীতের তুলনায় বাড়তে থাকে, তুষারও কম পড়ে, তাই হিমবাহ সারা বছরে যতটা বাড়ে তার থেকে বেশী হারে কমে - মোটের ওপর হিমবাহের দৈর্ঘ্য কমতে থাকে। হিমবাহ থেকে প্রাপ্ত নদীর জল যেহেতু হিমবাহে জমে থাকা বরফের ওপর নির্ভরশীল, তাই সেই জলও কমতে থাকে। হিমালয় থেকে আসা নদীগুলো সম্মিলিত প্রবাহের মাত্র ৫% হিমবাহের বরফগলা জল হলেও গরমকালে গঙ্গার জলের ৭০% আসে গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে। সুতরাং, এর প্রভাবে গরমে গাঙ্গেয় অববাহিকায় গরমকালে জলের পরিমাণ কমবে। এই নিয়ে প্রথম আলোচনা শুরু হয় নিউ সায়েন্টিস্টের ১৯৯৭ সালের প্রতিবেদনের পর থেকেই। এই প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞ সৈয়দ হাস্নেইন ভবিষ্যতবাণী করেন আগামী চল্লিশ বছরের মধ্যে হিমালয়ের অধিকাংশ হিমবাহ এতটাই ছোট হয়ে যাবে যে হিমালয় থেকে নেমে আসা নদীগুলো গরমকালে কার্যত জলশূন্য হয়ে যাবে।
এবার হিমালয়ের হিমবাহগুলোর দিকে একটু নজর দেওয়া যাক। নেপালের বিভিন্ন অংশে গড় তাপমাত্রা বাড়ছে। মোটের ওপর গড়ে মাত্র ০.৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হলেও হিমালয়ের উচুঁ অংশগুলোতে এই হার বছরে ১ ডিগ্রি বা কখনও তারও বেশী। বরং দক্ষিণ নেপালের তরাই অঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার কম। (ছবিতে দেখুন) পরের ছবিতে দেখতে পাবেন কাঠমাণ্ডুর তাপমাত্রা ওই একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলের গড় তাপমাত্রার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে চলেছে, আর আশির দশকে এসে সেই বৃদ্ধির হার রীতিমত ঘোড়া ছুটিয়েছে। তবে সৌভাগ্যের কথা, এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি আপাতত বৃষ্টিপাতের ওপর কোনো প্রভাব রাখে নি, তবে অদূর ভবিষ্যতে মৌসুমী বৃষ্টির হারও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শরং হিমলে নেপালের একটি বড়সড় হিমবাহ অবস্থিত। অপেক্ষাকৃত কম দুর্গম অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এর আশেপাশের তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত থেকে হিমবাহের আকার - সবই কিছুদিন ধরে পরিমাপ করা সম্ভব হয়েছে। প্রথম ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৯ সালের সময়কালে হিমবাহের দৈর্ঘ্য হ্রাসের হার ততটা ছিল না, কিন্তু ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে সেই হিমবাহ প্রায় দ্বিগুণ হারে ছোটো হয়ে চলেছে। (ছবি দেখুন)
সবথেকে ইন্টারেস্টিং হল রিকা-সাম্বা হিমবাহ। এই হিমবাহ কালি-গন্দকী নদী অববাহিকায় অবস্থিত ও এই নদীর জলের মূল উৎস। ১৯৭৪ সালে প্রথম হিমবাহটির জরিপ করা হয়, তার পর থেকে এর দৈর্ঘ্য ক্রমাগত কমেই চলেছে। ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে পরবর্তী জরিপগুলোতে দেখা যায় এর দৈর্ঘ্যহ্রাসের হার ক্রমাগত বাড়ছে। মজার কথা, প্রায় একই হারে কালি-গন্দকী নদীর জলও কমে চলেছে। (ছবিতে দেখুন) তবে হিমালয়ের নদীগুলোর মোট জলপ্রবাহের ৭৫% আসে মৌসুমী বৃষ্টি থেকে - জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। তাই বড় নদীগুলোর মোট প্রবাহে বিশেষ কোনো তারতম্য চোখে পড়ে না।
ভারতের অবস্থাও তথৈবচ। এমনিতে গঙ্গোত্রী সহ হিমালয়ের হিমবাহগুলোর দৈর্ঘ্য ১৮৫০ সালের আগে থেকেই কমছিল। ১৯৩৫ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে এর দৈর্ঘ্য গড়ে প্রতিবছরে১৫ মিটার করে কমে গেছে। এখন এই কমার হারও ক্রমবর্ধমান - ১৯৮৫ থেকে ২০০১ এর মধ্যে গড়ে ২৩ মিটার হারে গঙ্গোত্রীর দৈর্ঘ্য কমছে। নাসা থেকে প্রকাশিত একটি ছবিতে এই হ্রাস সুন্দরভাবে ধরা পড়েছে। (ছবি দেখুন) তবে গঙ্গোত্রী প্রায় ৩২ কিমি দীর্ঘ, তাই এখনও এই হারে দৈর্ঘ্য কমলেও অনেকবছর এটি বিলীন হবে না - তবে শুখা মরসুমে গঙ্গায় জলের পরিমাণ ক্রমাগত কমতেই থাকবে। গঙ্গার আরো একটি উপনদীর উৎস দোক্রিয়ানি নামে আরো একটি হিমবাহ ১৯৬২ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে ২০% আয়তন হারিয়েছে। এর মধ্যে ১৯৯১ সালের পরে আয়তন হ্রাসের হার ১০% বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ এই গঙ্গা অববাহিকায় পৃথিবীর ১২ ভাগের এক ভাগ জনসংখ্যা বসবাস করে।
তিব্বত মালভূমিতেও হিমবাহগুলোর দশা একই। চিনের ইয়োলো রিভার আর ইয়াং সিকিয়াং-এর জলও একই ভাবে কমে যাচ্ছে। তবে আশার কথা, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার নদীগুলোর উৎসমুখের হিমবাহগুলো এখনও দৈর্ঘ্যে ততটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় নি। আর ব্রহ্মপুত্রের জল হিমবাহের ওপর ততটা নির্ভরশীল নয়। তাই ব্রহ্মপুত্রের জলপ্রবাহ কমে যাওয়ার আপাতত সম্ভাবনা কম। তবে আই-পি-সি-সির অপর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত প্রায় ২০টি হিমবাহের দৈর্ঘ্য খুবই দ্রুতহারে কমছে।
শুধু এই পর্যবেক্ষণেই সমস্যার শেষ নয়। সম্প্রতি জার্নাল অব ক্লাইমেটে প্রকাশিত আরো একটি পেপারে ১৯৪৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ৯২৫টি বড়বড় নদীকে নিয়ে সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের মডেলিং করে গবেষকেরা দেখিয়েছেন মানুষের নিজস্ব কাজকারবারে জলের প্রাপ্যতা তো কমছেই, কিন্তু তার চেয়েও বেশী করে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদীতে জলপ্রবাহ কমে যাচ্ছে। পেপারের মূল লেখক দাই বলেন -
"মধ্য থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ বিভিন্ন অঞ্চলে নদীর জলপ্রবাহ কমতে থাকবে - মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য।"
অনুমান করা হয় পৃথিবীতে ১৯৯৫ সালে ৩৯০৬ ঘনকিমি জল মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেক দেশেই সব মানুষের জন্য সমানভাবে জলের বন্দোবস্ত করা যায় নি। দ্রুত নগরায়ণের ফলে অনেকেই শহরে পানীয় ও সাধারণ ব্যবহারের জল পর্যাপ্ত পরিমাণে পান না। তাদের সমানভাবে জল সরবরাহ করা হলে ২০২৫ সাল নাগাদ এই জলের চাহিদা অন্তত ৫০% বৃদ্ধি পাবে। সেক্ষেত্রে এই নতুন জল কোথা থেকে আসবে? ভারত ও চিনের কৃষিকাজ সম্পূর্ণরূপে নদীর জলের ওপর নির্ভরশীল - খুব কম অংশেই এখনো শুধুমাত্র বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভর করে চাষাবাদ হয়। নেপালের মাত্র ২৫% জনগণ বিদ্যুতের সুবিধা পান। পানীয় জলের প্রাপ্যতাও খুব খারাপ। তাদের সবার জন্য পানীয় জলের সুবিধা যেমন কমবে তেমনই বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার জন্য সবথেকে সহজ রাস্তা জলবিদ্যুত উৎপাদনের সম্ভাবনাও কমে যাবে। জলবায়ু পরিবর্তন দেশের সীমানা মানে না। হিমালয়ের হিমবাহ গলে যেতে থাকলে ভারত-চিন-নেপাল সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই একমাত্র আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সমঝোতার মাধ্যমেই এর করালগ্রাস থেকে দরিদ্র জনগণকে বাঁচানো যেতে পারে।
সূত্র -
১) উইকিপিডিয়া
২) হিমালয়ের হিমবাহগুলো নিয়ে ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের উদ্যোগে পেপার।
৩) নদীর জল নিয়ে সমীক্ষা
৫) বিশ্ব হিমবাহ পর্যবেক্ষণ সংস্থার রিপোর্ট
* পুরো লেখায় কোথাও বাংলাদেশের নাম আসেনি কারণ যে দুটো মূল পেপার থেকে আমি লেখা প্রস্তুত করেছি তাদের কোনোটিতেও বাংলাদেশের নাম নেই। তবে বাংলাদেশেও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা বলাই বাহুল্য।
** হিমবাহের দৈর্ঘ্য হ্রাসে নদীর বাৎসরিক জলপ্রবাহের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না - এরকম দেখে আমি আগে প্রথম পেপারটা নিয়ে মাথা ব্যাথা করিনি, ভেবেছিলাম ক্লাইমেট চেঞ্জ নিয়ে আবার একটা অতিরঞ্জিত কোনো লেখা। কিন্তু সচল জাহিদের সাথে আলোচনায় ও তার পোস্টে জানতে পারলাম শুখা মরসুম ও বর্ষায় জলের পরিমাণের প্রভেদ আমার ধারণার থেকেও অনেক বেশী। তাই বাৎসরিক প্রবাহে হিমবাহের বরফগলা জলের অবদান খুবই কম (হিমালয়ে আনুমানিক ৫%)। এর পরেই আবার পুরোনো পেপার খুলে আবার লেখা - সুতরাং লেখার জন্য সচল জাহিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল।
মন্তব্য
উরি বাপস! এতো কাণ্ড!!
---
আবারো অনেক জটিল কথা সুন্দর করে সহজ কথায় বলেছেন। শাবাশ।।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আমি বুঝিনা মানুষ কিভাবে নির্লজ্জের মতো নিজেকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ প্রাণি দাবী করে! অনেক প্রাণিই বুদ্ধিমত্তার অভাবে বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু মানুষ এতো বেশি নির্বোধ যে, তারা নিজের সর্বনাশ তো করেছেই, তার সঙ্গে কেবলমাত্র অন্য প্রাণিদেরকে নয় পুরো পৃথিবীটাকেই ধ্বংসের দ্বারে নিয়ে এসেছে।
আর নির্বোধ এবং গোঁয়ার এই মানুষ জেনে শুনেও গত ৫০ বছরে নিজেকে রক্ষার কোন চেষ্টা করেনি !!!
এই ক্ষোভ থেকে একটা লেখা লিখেছিলাম, কিন্তু সেখানে শুধু ক্ষোভের প্রকাশ-ই ছিল। বৈশ্বিক উষ্ণতা ছাড়াও বায়োকেমিক, মাইক্রোবায়াল আর বায়োএকিউমুলেশন জাতিয় বিষয়ে আপনার এমন তথ্যবহুল লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
এটা যদি নানা ক্ষমতাধর (বা ক্ষমতাহীন) রাষ্ট্রের নিয়ন্তারা বুঝতেন ... সবাই মিলে বাঁচা ছাড়া, বাঁচার আর দ্বিতীয় কোনো পথ তো নেই।
--------------------------------------------------------------------------------
The philosophers have only interpreted the world in various ways; the point, however, is to change it.
[MARX : Theses on Feuerbach]
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এই রিপোর্ট বেরিয়েছে অনেককাল হল। এরপরে ভারত নেপাল বা চিনের সরকার বিশেষ কিছু করেছে বলে তো মনে হয় না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এসব ব্যাপারে আমার একটা হাঞ্চ হল, মানুষ মনে করছে তারা এসব সমস্যার সমাধান নিজেরাই করতে পারবে দিন যাওয়ার সাথে সাথে; বেশ অপটিমিস্টিক একটা আউটলুক নিয়ে আছে, তাই বিশেষ পাত্তা দিচ্ছে না।
তা যদি হয় তা হলে তো খুবই ভাল, না হলে ব্যাপক খবর হবে আর কি। কার্ল সাগানের কথা আবার প্রমাণিত হবে: টেকনোলজিকাল সিভিলাইজেশনগুলা সেল্ফ ডেস্ট্রাক্ট করে।
এ পর্যায়ে আমি আসলে ওই অপটিমিস্টিক আউটলুকের গড্ডালিকা প্রবাহেই গাঁ ভাসিয়ে দিচ্ছি। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি?
আমার কাছে অপটিমিস্টিক আউটলুক হল টেকনলজি দিয়েই লড়তে হবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং - এর সাথে। এই একটা বিষয়ে মানুষের দক্ষতা বেড়ে চলেছে - সেটাকেই কাজে লাগাতে হবে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
গা বানানটা ঠিক করছিলাম, ওমা আগের পোস্টটাই গেল গা। যা হোক, দুঃখিত!
এরকম রেফারেন্সযুক্ত লেখাগুলো খুব কাজের।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
অনেক কিছু জানাগেলো এবং শঙ্কাও বাড়লো .........
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
নতুন মন্তব্য করুন