বাংলাদেশে কোনো বিকল্প শক্তির সৌরবিদ্যুতের মত সম্ভাবনা তাত্বিকভাবে অন্তত নেই। বাংলাদেশে গড়ে বছরে ২৫০-৩০০ দিন সূর্যালোক আসে, বর্ষার তিনমাস বাদ দিয়ে বাকি সময়ে সূর্যালোক যথেষ্ট নিরবিচ্ছিন্ন ও প্রখর। প্রতিদিনে গড়ে ৫ কিলোওয়াট-ঘন্টা শক্তি বাংলাদেশের প্রতি বর্গমিটার জমিতে আছড়ে পড়ে।(সূত্র) ভূপতিত এই সৌরশক্তির মাত্র ০.০৭% বিদ্যুতশক্তিতে রূপান্তর করা গেলেই বাংলাদেশের সব বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। (সূত্র) সৌরবিদ্যুত পরিবেশ-বান্ধব ও একবার বিনিয়োগ করে বিদ্যুত উৎপাদন শুরু করা গেলে রক্ষণাবেক্ষণের ন্যূনতম কিছু খরচা ছাড়া বিদ্যুত উৎপাদনের আলাদা কোনো খরচা নেই।
বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুতের কথা আলোচনা করতে গেলেই প্রথমে সবাই জিজ্ঞাসা করবেন - কেন সৌরবিদ্যুত? তাদের প্রশ্নটাও সঙ্গত, কারণ সৌরবিদ্যুত উৎপাদক প্লান্ট বসানোর প্রাথমিক বিনিয়োগ অন্যান্য নবায়নযোগ্য শক্তির তুলনায় অনেকটাই বেশী। বায়ুশক্তির তুলনায় এই খরচা প্রায় দ্বিগুণ। সৌরবিদ্যুত বলতেই একটা ল্যাম্পপোস্টের মাথায় পাতের মত লাগানো ফোটোভোল্টেইক কোষের ছবি ভেসে ওঠে। সৌরশক্তিকে আহরণ করার প্রচলিত পদ্ধতি হল সিলিকন নির্মিত ফোটোভোল্টেইক কোষ ব্যবহার করা। মূল উপাদান সিলিকন উৎপাদনে যতটা বিদ্যুত খরচা হয়, ততটা বিদ্যুত এই সিলিকন দিয়ে নির্মিত কোষ এক থেকে দু'বছরে উৎপাদন করে। তাহলে সৌরবিদ্যুত কেন? এই উত্তরটা লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের বিদ্যুত ব্যবহারের ধারায়। বাংলাদেশের বিদ্যুত ব্যবহার সর্বোচ্চ হল মার্চ থেকে অক্টোবরের মধ্যে। (সূত্র) এর মধ্যে মার্চ থেকে মে মাসে সেচের কাজেও বিদ্যুত ব্যবহার হয়। এই কারণে বিদ্যুত ঘাটতি এই তিন মাসেই সর্বোচ্চ হয় - যার ফলশ্রুতিতে লোডশেডিং আর দুর্বিষহ কষ্ট। সেচের জন্য বিদ্যুতও পর্যাপ্ত পাওয়া যায় না।
জলবিদ্যুত ও বায়ুশক্তি উৎপাদিত বিদ্যুতের ক্ষেত্রে বর্ষাকালই হল পিক সিজন - এই সময়েই কাপ্তাই বাঁধে সর্বোচ্চ বিদ্যুত উৎপাদন হয়, বায়ুশক্তি-চালিত টারবাইন বসানো হলে তা-ও এ সময়ে সর্বোচ্চ বিদ্যুত উৎপাদন করবে। অন্যদিকে শীতকালে চাহিদা যথেষ্ট কম আর দিনের বেলায় লোডশেডিং-এর প্রভাব ততটা দুর্বিষহ হয় না, তবে সেচের কাজ যথেষ্টই মার খায়। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে গরমকালের তিনমাসে বিদ্যুত ঘাটতি অন্যান্য সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ থাকে। সৌরবিদ্যুতের সুবিধা হল এর পিক সিজন হল গরমকালেই, কারণ গরমকালেই সূর্যের বিকিরণ সর্বোচ্চ হয় (ছবি) - এই সময়ে নিরবিচ্ছিন্ন-ভাবে বিদ্যুত উৎপাদন সম্ভব সৌরবিদ্যুত। আবার দিনের ২৪ ঘন্টার বিদ্যুত ব্যবহারের মধ্যেও অন্য একটা প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়। সৌরবিদ্যুত যদি সঞ্চয়ের কোনো ব্যবস্থা না-ও করা হয় তাহলেও তা দিনের বেলাতেই সর্বোচ্চ হারে সরবরাহ করা যেতে পারে - যা সরাসরি সেচের কাজে ও কলকারখানা চালানোর কাজে লাগানো যেতে পারে। একইভাবে শীতকালে সেচের কাজের জন্য বিদ্যুত উৎপাদন সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়েই করা সম্ভব।
ফটোভোল্টেইক কোষ নিয়ে আগেও অনেক আলোচনা হয়েছে - এর সুবিধা অসুবিধা অনেকেই জানেন। এর মূল অসুবিধা হল প্রাথমিক খরচা। আর সুবিধা হল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেখানে বিদ্যুত দরকার সেখানেই উৎপাদন করা সম্ভব বলে বিদ্যুত পরিবহণ-জনিত খরচা ও লিকেজ বাঁচানো সম্ভব। তাই এ নিয়ে আমি আর বিস্তারে কিছু না লিখে সৌরবিদ্যুতের অন্য আরেকটি দিক নিয়ে লিখতে চাই। একে বলা হয় সৌরতাপ শক্তি - এর প্রাথমিক বিনিয়োগ বায়ুশক্তির তুলনায় বেশী হলেও ফটোভোল্টেইক কোষ থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের তুলনায় এটি অনেক সস্তা পড়ে (চার্ট দ্রষ্টব্য)। তাহলে এই সৌরতাপ শক্তি বস্তুটা কি?
ছোটোবেলায় অনেকেই আমরা আতস কাঁচ দিয়ে সূর্যের আলো কেন্দ্রীভূত করে কাগজে ফেলে কাগজ পুড়িয়েছি। আর্কিমিডিস বড় আতস কাঁচ দিয়ে শত্রুজাহাজ পুড়িয়ে দেবার ব্যবস্থা করেছিলেন জানা যায়। এই সৌরতাপ শক্তির মূলনীতি সেই পোড়ানোর থেকে কোনো অংশে আলাদা নয় - কেন্দ্রীভূত সৌরশক্তিই এতেও ব্যবহার হয়। তবে সৌরশক্তি কেন্দ্রীভবনের জন্য এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় প্যারাবোলিক প্রতিফলক (ছবি)। আর তার কেন্দ্রীয় অংশ দিয়ে একটি নলের মাধ্যমে জল যায়। কেন্দ্রীভূত সৌরশক্তি জলকে গরম করে তোলে, জল থেকে বাষ্প হয় - আর সেই বাষ্পে টারবাইন ঘুরিয়ে উৎপাদন হয় বিদ্যুত। পদ্ধতিগতভাবে খবই সহজ। এই ছবিটা দেখলে ব্যাপারটা আরো স্পষ্ট হতে পারে। ভিন্ন নকশার উৎপাদক অবশ্য সৌরবিদ্যুতকে একটা স্তম্ভের ওপর কেন্দ্রীভূত করে ও সেই স্তম্ভেই জল গরম করার ব্যবস্থা থাকে। সৌরবিদ্যুতের বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে সৌরতাপ পদ্ধতির বিদ্যুত উৎপাদন দক্ষতা সর্বোচ্চ। (সূত্র)
বর্তমান বিশ্বে ক্যালিফোর্নিয়ার মরুভূমিতে অবস্থিত একটি বড় সৌরতাপ শক্তি উৎপাদক প্ল্যান্ট আছে। ইউরোপ থেকে ভূমধ্যসাগর পেরোলেই সাহারা মরুভূমি। ইউরোপের ইতিহাসের পাতায় সাহারা মরুভূমি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বহীন বলে বিবেচিত হত। কিন্তু সম্প্রতি এই কেন্দ্রীভূত সৌরশক্তির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এখানে বিশ্বের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুত প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। হিসাবে দেখা গেছে, ইউরোপের পুরো জনসংখ্যার জন্য বিদ্যুত উৎপাদনের সাহারা মরুভূমির ১% এলাকাই যথেষ্ট। আর ৩৫,০০০ বর্গমাইল এলাকায় প্রকল্প করা গেলে তা থেকে পৃথিবীর বর্তমান বিদ্যুত উৎপাদনের সম-পরিমাণ বিদ্যুত উৎপাদন করা সম্ভব। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ডেসার্টেক। খরচা ধরা হয়েছে ৫৯ বিলিয়ন ডলার - উৎপাদিত হবে ১৮০ গিগাওয়াট বিদ্যুত। (সূত্র ১, সূত্র ২, প্রস্তাবিত ম্যাপ) একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিন গোবি মরুভূমিতে ও ভারত রাজস্থানে বিদ্যুত উৎপাদন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ভারতীয় প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা ২০ গিগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন। (সূত্র)
বাংলাদেশে মরুভূমি নেই, তবে সূর্য আছে - সূর্যের তেজও আছে। তাই প্রতিফলক বসিয়ে কিছু বিদ্যুত উৎপাদন করা খুব একটা শক্ত কাজ নয়। তবে এই পদ্ধতিতে বিদ্যুত উৎপাদনের আরো একটা সুবিধা আছে। একে সহজেই প্রচলিত তাপবিদ্যুত ব্যবস্থার হাইব্রিডের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলা যায়। এই ব্যাপারটা কেমন? বর্তমানেও তাপবিদ্যুত কেন্দ্রে বয়লারে জল ফুটিয়ে বাষ্পশক্তি বানানো হয়। জল গরম করার পুরো শক্তিটাই আসে কয়লা বা প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। কিন্তু এই জলকে যদি কেন্দ্রীভূত সৌরশক্তির মধ্যে দিয়ে আনা যায় তাহলে এর উষ্ণতা আগেই বৃদ্ধি পাবে, ফলে বিদ্যুত উৎপাদনে কয়লা বা গ্যাস কম পোড়াতে হবে। অথবা, কিছু পরিমাণ জলের বাষ্পীভবন সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে করা হবে, বাকিটা জ্বালানী পুড়িয়ে (ছবি)। বাংলাদেশে বর্তমানে যে তাপবিদ্যুত প্রকল্পগুলো আছে সেগুলোকে প্রয়োজনে এইভাবে হাইব্রিডে রূপান্তর করা সম্ভব। ভারতেও অনেক তাপবিদ্যুত-কেন্দ্রকে সৌর-তাপ বিদ্যুত-কেন্দ্রে পরিবর্তিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে সৌরশক্তি ২০-৫০% অবদান রাখতে পারে। বর্ষায় সূর্যের তেজ কমে গেলে বেশী জ্বালানী ব্যবহার হবে বিদ্যুতকেন্দ্রে, গরমকালে বা শীতকালে জ্বালানীর প্রয়োজন কমবে। একই ভাবে, সৌরশক্তি ধরে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই, জ্বালানীর যোগাণ সন্ধ্যার পরে বাড়িয়ে দিলেই হবে, আপনা হতেই বিদ্যুত উৎপাদন অপরিবর্তিত থাকবে।
সম্প্রতি ইউরোপের পরমাণু-গবেষণাগারের প্রধান নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী স্টেনবার্জার দাবী জানিয়েছেন বায়ুশক্তির তুলনায় সৌরতাপশক্তি অনেক বেশী গ্রহণযোগ্য ও ভবিষ্যতে দ্বিতীয়টির সাফল্যের সম্ভাবনাই বেশী। সৌরতাপ-সম্ভাবনার ম্যাপে বাংলাদেশকে ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলের মত "সম্ভাবনাময়" হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত মতেও সৌরতাপ শক্তিই বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য সঠিক পদক্ষেপ হতে পারে। সরাসরি না হলেও হাইব্রিড আকারে বাংলাদেশের জন্য গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করা সম্ভব। অনেকেই বলে থাকেন সৌরশক্তি আহরণের জন্য প্রয়োজনীয় ফাঁকা জায়গা বাংলাদেশে তেমনভাবে নেই। আমার বক্তব্য প্রতিফলক গুলো তো জায়গা নিয়ে নেয় না - প্রতিফলক তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের ছাদেও বসানো সম্ভব। যদি আরো বেশী সৌরশক্তি আহরণের প্রয়োজন হয়, তাহলে জনবহুল অঞ্চলের বাড়ির সারি-সারি বাড়ির ছাদেও প্রতিফলক বসানো সম্ভব। আজ থেকে ৩০ বছর আগেও মানুষ ফ্ল্যাটবাড়ির ধারণা বুঝতই না - জমির মালিকানা ছাড়াও যে সম্পত্তির মালিক হওয়া যায় তা জনসংখ্যার চাপে সম্ভব হয়েছে। স্থানাভাব দূর করার জন্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে এমনিতেই অনেক কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। সারি-সারি বাড়ির ছাদে প্রতিফলক জল গরম করছে - এখন এই চিন্তা কষ্টকল্পিত মনে হলেও ভবিষ্যতে সত্যি হয়ে দেখা যেতেই পারে।
অতিরিক্ত কিছু লিঙ্ক -
১) ভারতের সৌর-তাপ প্রকল্প নিয়ে
২) ভারতের বিদ্যুত উৎপাদনের বর্তমান অবস্থা
মন্তব্য
দারুণ কিছু তথ্য জানলাম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
দারুণ লেখা!
শুরুর খরচই কি সৌরশক্তি ব্যবহারের প্রধান বাধা? সেটা যদিও বড় একটা বাধা, কিন্তু এর সমাধানও তো বলেই দিলেন - গরমকালে বেশি করে সূর্য।
আমি ফেসবুকে এ নিয়ে লিখেছি এবং লেখায় কমেন্টও পেয়েছি। আমার এক ছোটভাই বললো যে সৌরশক্তিতে নাকি খরচ সাধারণের চেয়ে অনেক বেশি পড়ে। আর জায়গাও লাগে অনেক বেশি। এ কারণেই নাকি সর্বজনগ্রহীত হচ্ছে না।
দাঁড়ান, আরো বিস্তারিত দেই, এ নিয়ে সামহোয়্যারে একটা ড্রাফটও সেভ করা ছিল, একটা লেখা রেডি করছিলাম:
"এবার আসি সৌরশক্তি প্রসঙ্গে। এই ধারনাটা ভাল হলেও বর্তমান প্রযুক্তিপর্যায়ে বাস্তবসম্মত নয় বলে ধারনা করা হয়। কেন?
সাধারনত ৫০ স্কয়ার ফিট সৌর প্যানেলিং-এ ১ কেভি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। এ হিসেবে, ১৬০০০ টাকার একটি আইপিএস যে পরিমান বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সে পরিমান বিদ্যুৎ সৌরশক্তি দিয়ে উৎপাদন করতে অন্ততপক্ষে ৫০০,০০০ টাকা লাগবে, (তথ্যসূত্র: রহিমাফরোজ রিনিউয়েবল এনার্জি; উৎপাদনকেন্দ্রের ওয়্যারিং এবং কন্ট্রোলারের খরচ ধরা হয়নি) জায়গার কথা না হয় বাদই দিলাম।
সুতরাং বড়সড়ভাবে সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন জায়গা এবং খরচের কারনে করা বাস্তবসম্মত নয়।"
মূল ইংরেজিটা পড়লে আরো সুবিধা হতে পারে:
"Now, a solar power plant is not really a bad idea, just a highly impractical one. Consider, it takes about 50 sqft of solar paneling to produce 1 KV of electricity. Consequently, on a large scale, it is impossible. Not only is the spatial requirements galling, but the cost constraints are severely limiting. To generate the same amount of power as aBDT 16,000 IPS, one would require solar paneling worth at least BDT 500,000. This is the official figure from Rahimafrooz Renewable Energy, and does NOT take into account the cost of wiring and the controller, which I'm sure would be several orders of magnitude more complicated for a commercial power plant."
ও কি ভুল বলেছে?
আমি জানি সৌরশক্তি কনভার্ট করার অনেকগুলো পদ্ধতি আছে যাদের ক্ষেত্রে খরচা ভিন্ন, উনি কোন পদ্ধতি ধরে হিসাব করেছেন জানলে ভাল হত, তুলনামূলক একটি গ্রাফ আমি লেখার সাথে দিয়েছি। এছাড়াও, সৌরশক্তির রানিং কস্ট তেমন কিছু নেই। সূর্যের আলো থাকলেই বিদ্যুতও আসবে। তাও বাংলাদেশে এক ধাক্কায় অনেক টাকা বিনিয়োগ করে সৌরশক্তির প্ল্যাণ্ট বসানো এখনও যুক্তিসঙ্গত নত, সেজন্যই আমি হাইব্রিডের কথা লিখেছি। হাইব্রিড ব্যবস্থায় বর্তমান প্রচলিত পদ্ধতিকেই একটু পরিবর্তিত করে খরচা কমানো সম্ভব।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দোস্ত, আইপিএস বিদ্যুত উপাদন করে না। আইপিএস বিদ্যুত জমা করে রাখে, যখন বিদ্যুত থাকেনা তখন সরবরাহ করে| সেই জন্য এত ব্যাটারী লাগে। সাথে এসি টু ডিসি আর ডিসি টু এসি পরিবর্তনের কাজ করে। রহিম আফরোজ দেখি লোকজনকে ভোদাই মনে করে যা খুশি লিখতেসে। আমাদের দেশের বিদুৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ এইটা । সময় পাইলে আরেকদিন বোঝাবো নে । এখন বাংলা কী বোর্ড নিয়ে ঝামেলায় আছি ।
আদিল (আদিল বিন শাহেদ?; মোস্তফারও ডাক নাম কিন্তু আদিল!),
এখানে কিন্তু সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টের কথা বলা হইছে। আইপিএস কি সেটাও কিন্তু আমি জানি।
যাই হোক, আমি রেফারেন্স ছোটভাইকে এই পোস্টের কথা জানাচ্ছি, দেখি ও কি বলে।
সৌরতাপের অনেক সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশে। ইয়োরোপে দেখলাম তাপ কেন্দ্রীভবনের দিকে তারা অতটা আগ্রহী নয়, তারা গার্হস্থ্য ব্যবহারের জন্যে কালেক্টর তৈরির দিকে গবেষণা ঘুরিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে বেশ সহজেই অনেক ভবনের ওপরে প্যারাবোলিক কনসেন্ট্রেটর বসানো সম্ভব।
তবে এই পদ্ধতিও কম খরুচে নয়। এতে ব্যবহৃত ম্যাটেরিয়ালগুলি যথেষ্ঠ খরুচে, তাপ পরিবহন এবং নিরোধের উপকরণগুলি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অনেক দামী। সৌরতাপব্যবস্থার এফিশিয়েন্সি আবার কমে আসে তাপ পরিবাহী তরলের উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে, ফলে বাংলাদেশে যেখানে গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ৩৫-৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে, সেখান থেকে হয়তো আরো কুড়ি ডিগ্রী বেশি, অর্থাৎ ৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রিহিট করে বয়লারে পানি পাঠানো সম্ভব।
সৌরশক্তি সবথেকে খরচসাপেক্ষ সেটা আমি প্রথমেই বলে নিয়েছি, প্রদত্ত গ্রাফেও সেরকমই দেখাচ্ছে। তাও বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা যে সময়ে থাকে সেই একই সময়ে সৌরবিদ্যুত উৎপাদনের সম্ভাবনাও বেশী - এই হিসাবে আমার কাছে সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনা বেশী মনে হয়েছে। কল্পনা করুন আজ থেকে পঞ্চাশ বছর পরে বাংলাদেশে গরমকালে অনেক বাড়িতেই এসি চলবে - তাই বিদ্যুতের চাহিদাও গরমে অনেক বাড়বে। তুলনায় শীতে বা বর্ষায় ততটা বাড়বে না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক।
সাধারণত স্টার্লিং সাইকেল ব্যবহার করা হয় এ ধরনের তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্যে। ছোট আকারের স্টার্লিং এঞ্জিন দেখতে একটা ফ্রিজের মতো, অনায়াসে বাড়ির ছাদে বা গ্যারেজে বসানো যেতে পারে।
সৌরশক্তির জন্য মূল সমস্যা হচ্ছে আসলে জায়গা। ধরুন প্রতি বর্গমিটারে দিনে গড়ে পাঁচ কিলোওয়াটঘন্টা পাওয়া যাচ্ছে ইনসোলেশন (=ইনকামিং সোলার রেডিয়েশন)। আপনার প্ল্যান্টের দক্ষতা দিয়ে একে গুণ করুন। যদি মেরেকেটে ৪০ শতাংশ হয়, তাহলে বর্গমিটার পিছু দুই কিলোওয়াটঘন্টা আউটপুট পাওয়া যাবে। ঢাকায় গ্রীষ্মে একটি পরিবারের কেবল কুলিং লোড দাঁড়াতে পারে ন্যূনতম পাঁচ কিলোওয়াটঘন্টার মতো। শুধু শরীর জুড়াতেই সেক্ষেত্রে আড়াই বর্গমিটার কালেক্টর লাগবে। এক একটা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে যদি দশটি পরিবার থাকে, সেক্ষেত্রে পঁচিশ বর্গমিটার। ছাদে এইটুকু জায়গা নিয়ে অনায়াসে বসানো যায় একটা ৫ × ৫ বর্গমিটার কালেক্টর। কিন্তু যে বিশাল খরচ, সেটা আদৌ ঢাকাবাসী বহন করতে রাজি হবেন কি না, সেটাই প্রশ্ন।
রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ছাড়া বিকল্প শক্তি ব্যবহার প্রায় অসম্ভব। আমার মনে হয় বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে হাইব্রিড দিয়েই কাজ শুরু করা যেতে পারে। সরাসরি জ্বালানীভিত্তিক বিদ্যুতকে দূরে ঠেলে দেওয়া এখনই বাস্তবসম্মত নয়।
আমার প্রস্তাব ছিল শুরুতে তাপবিদ্যুত কেন্দ্রগুলোতে হাইব্রিড বসানো। তারপরে দরকার পড়লে সেই হাইব্রিডগুলোকে বিস্তৃত করে লোকালয়ে পৌঁছন।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
যতটুকু জানি দিগন্তদা যে Parabolic trough reflectors ধরণের সৌরশক্তি concentrator এর কথা বলেছেন তার চাইতে Fresnel reflectors অনেক সস্তা। প্রথমত আয়নাটা সমতল, দ্বিতীয়ত জল বহনকারী নলের জটিলতাও অনেক কম। তাই অদক্ষ। Parabolic trough reflectors এ evacuated tube ব্যবহার করা হয়। এই ছবিটা দেখতে পারেন Fresnel reflectors এ জল বহনকারী নল কেমন হয় তার জন্য। ঠিক কতটুকু সস্তা তা মনে নেই, discovery channel এ দেখেছিলাম।
আর এটাতে মনেহয় PV solar cell এর আকারটা ভাল বোঝা যায়।
অনুগ্রহ করে বিস্তারিত উইকি তে পড়ুন।
পড়লাম। আপনার দাবীর সাথে আংশিক দ্বিমত আছে (আমি যখন পড়েছিলাম তখনও ফ্রেসনেলএর ব্যবহার শুরু হয় নি ) তবে তা নিয়ে আলোচনা করতে আমি ইচ্ছুক নই। সত্যি বলতে কোন প্রযুক্তি ব্যবহার হবে তা নিয়ে এখনই চিন্তাভাবনা করার কারণ নেই। কারণ বাংলাদেশ যতদিনে কাজ শুরু করতে হবে ততদিনে আরো কিছু প্রযুক্তি চলে আসবে। সুতরাং প্রযুক্তির ব্যাপারটা যখন উদ্যোগ নেওয়া হবে তখনকার জন্যই ফেলে রাখা ভাল। উদ্যোগ শুরু করে দরপত্র আহবান করলে অনেক টেকনলজি আসবে, তখন ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সময়োপযোগী লেখা।
ভালো লাগলো।
চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে, ঘরের ছাদে প্যানেল বসিয়ে অন্তত সন্ধ্যাবেলার বাতির জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ যদি সৌরবিদ্যুৎ থেকে উৎপাদন করা যায়, তাহলেও অনেকটুকু চাপ কমবে।
=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!
=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;
অনেকদিনপর আবারো আপনার সেই রকম চিন্তাশীল লেখা পেলাম।
কিন্তু কবে যে আমাদের নীতিনির্ধারকদের ঘুম ভাঙবে!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকান - জানুয়ারি ২০০৮ সংখ্যাটা দেখতে পারেন। এতে অ্যামেরিকার "সোলার গ্র্যান্ড প্ল্যান" নিয়ে খুব তথ্য-ছবিবহুল একটা প্রবন্ধ আছে। প্রবন্ধের তথ্যমতে:
- ২০৫০ সালে আমেরিকার বিদ্যুতের ৬৯% এবং মোট শক্তির ৩৫% আসবে সৌরশক্তি থেকে।
- দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অনেক ফটোভোল্টায়িক সেল বসানো হবে। দিনের আলো কমপ্রেসড গ্যাসের মাধ্যমে মাটির নিচে সংরক্ষণ করা হবে। এতে ২৪ ঘণ্টা প্ল্যান্ট চালানো সম্ভব।
- বিশাল বিশাল সৌরতাপ কেন্দ্রীভূতকরণ প্ল্যান্টও বসানো হবে।
- দেশজুড়ে নতুন বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন তথা গ্রিড বসাতে হবে। এই গ্রিডের মাধ্যমে ডিসি কারেন্ট সরবরাহ করা হবে।
- তবে অনেক অর্থ লাগবে। ২০১১ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ৪২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাগবে।
মূল প্রবন্ধটা পড়তে পারেন। খুব ভাল লিখেছে। সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকানের লেখা অবশ্য সবসময়ই ভাল হয়।
আরেকটা মজার জিনিস দেখিয়েছে: বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বছরে ৬।১ বিলিয়ন টন CO2 নিঃসরণ করে। জীবাশ্ম জ্বালানী ও কয়লা ব্যবহার চালিয়ে গেলে ২০৫০ সালে এই নিঃসরণ বেড়ে দাড়াবে ৯.৪ এ। কিন্তু এই সৌর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে ২০৫০ সালে দেশটির বার্ষিক CO2 নিঃসরণ দাড়াবে ২.৩ বিলিয়ন টনে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
পড়েছি এটা। বড় প্ল্যান, আমার মনে হয়না এ জাতীয় পরিকল্পনা বাংলাদেশের এখনই করা দরকার। এর থেকে হাইব্রিড থেকে শুরু করলেই ভাল। সফল হলে সব দিক খতিয়ে দেখে তারপরে বড় পরিকল্পনা।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দিগন্ত দা, আপনা এই লেখাটি কি অনুগ্রহ করে শক্তি বিষয়ক ইবইয়ের পৃষ্ঠায় যোগ করে দেবেন?
***
কোনো পোষ্টকে ইবইতে যোগ করতে হলে ইবইয়ের পাতা হিসেবে সেটিকে লিখুন এবং প্যারেন্ট হিসেবে ইবইটাকে সিলেক্ট করে দিন।
চমৎকার লিখেছেন।
খরুচে ব্যাপার হলে ডোর টু ডোর সিস্টেমের চাইতে সেন্ট্রালাইজড সিস্টেমই বেশি কস্ট-এফেক্টিভ হওয়ার কথা।
এই বিষয়ক যতোগুলো লেখা পড়লাম, প্রত্যেকটায়ই খরচের ব্যাপারটা সামনে এসে যাচ্ছে। খরচটা আপেক্ষিক, কারণ, দেশে গ্যাস-কয়লা ফুরালে বিদ্যুতের দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে, সেটা দেখার বিষয়। আচ্ছা, এই প্ল্যান্টগুলোর খরচ টাকার অঙ্কে কেমন হবে? আমাদের বাজেটে যেসব আকাইমা খাত আছে, সেগুলো থেকে একটু কাটছাট করে কি কোনোভাবে ম্যানেজ করা যাবে না? যেমন, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দেশপ্রেমের পরাকাষ্ঠা দেখানোর সুযোগ দিয়ে তাদের বাজেট ২০% কমিয়ে এভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে লাগালে কি পরিমাণ চাহিদা মিটবে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তারপরও খরচের ব্যাপারটা আরেকটু ডিটেলস কেউ তুলে ধরতে পারলে ভালো হয়, অন্তত পরবর্তীতে যারা অর্থনৈতিক পোষ্ট দেবেন, তাদের এনালাইসিস করতে সুবিধে হবে। প্রতি কিলোওয়াট-ঘন্টা শক্তি পেতে হলে কী পরিমাণ ইনভেষ্টমেন্ট এবং অপারেটিং কষ্ট লাগবে, কতটুকু জায়গা লাগবে, ইত্যাদি।
সত্যি কথা বলতে এই খরচাগুলো একেক দেশের ক্ষেত্রে একেক রকমের হবার কথা। প্রযুক্তি আর কাঁচামালের খরচা আলাদা - শ্রমের দাম আরো বেশী করে আলাদা। তাও আমার ব্লগে একটা তুলনামূলক চার্ট দিয়েছি, আবার দিচ্ছি। এটা আমেরিকার সাপেক্ষে খরচা।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেকে হয়তো জানেন না - বাংলাদেশে ঢাকার অদূরে করিমপুর নামে একটা গ্রাম আছে - সেখানে পুরো গ্রামের বিদ্যুত সৌরশক্তির সাহায্যে সরবরাহ করা হয়। আমি বুয়েটে থাকা অবস্থায় সে গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ইচ্ছে থাকলে যে সমস্যা সমাধান সনভব - তা করিমপুর গ্রামে গিয়েই বুঝেছিলাম। করিমপুরে কেন সৌরশক্তি ব্যবহার করা হল? কারণ নদী পেরিয়ে গ্রীড নিতে সেখানে সমস্যা। এধরোনের রিমোট জায়গাকে টার্গেট করে সরকার এগুতে পারে ছোট ছোট স্কেলে। তবে খরচের ব্যাপারটা অতিশয়োক্তি নয়। তারপরও প্রাকৃতিক জ্বালানী ফুরোলে সৌরশক্তিই হবে মূল ভরসা। কাজেই বিকল্প শক্তির ব্যাপারটাকে মাথায় রাখতে হবে এখন থেকেই। আমাদের দেশের সমস্যা হল - কোন কিছুরই অগ্রিম কোন পরিকল্পনা করা হয় না। হুর মুর করে কাজ শুরু করি যখন সব ঘারের উপর ভেঙ্গে পরে। তিতাস গ্যাস ফুরালে কি হবে এখন এ নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই। ভাবখানা - আছে তো - চলুক না। দেখি না কি হয়। দেখতে দেখতে আর কিছু বাকি থাকে না শেষ পর্যন্ত।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
তথ্যবহুল লেখার জন্য ধন্যবাদ। চলুক।
সৌরশক্তির ব্যবহার চাই।
______________________________________
বৃষ্টি ভেজা আকাশ
______________________________________
লীন
দারুন লিখেছেন দিগন্ত।
দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীর কখনও আসলে পাওয়ারের সমস্যা হবে না। তেল, কয়লা, গ্যাস, ইউরেনিয়াম শেষ হয়ে গেলেও অসুবিধা নেই। কারণ অফুরন্ত শক্তির আঁধার সূর্যকে এখনও সেভাবে আমরা ব্যবহার শুরু করি নাই। নিকট অদূরে নিউক্লিয়ার ফিউশন দিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে- কাঁচামালের অভাব নেই, ওয়েস্টও রেডিওএকটিভ নয়।
নবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে সৌরতাপ শক্তিই সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে সাহারা মরুভূমির যে পরিসংখ্যানটা দেখালেন-
বাংলাদেশের হাই রাইজ বিল্ডিংগুলোতে এখন থেকেই সৌরতাপ শক্তির ব্যবহার শুরু করা যায়। সম্পূর্ণ বিল্ডিং এর ২০% লোডও যদি বিল্ডিং থেকে উৎপন্ন করে ফেলা যায় তাহলে তো বিশাল ব্যাপার। তবে সেক্ষেত্রে যেহেতু ইন্সটলেশন কষ্ট অনেক পড়ে যাচ্ছে, উৎপন্ন বিদ্যুতের দামও বাজার দরের চেয়ে অনেকগুন বেশি- সরকার আইন করে দিতে পারে, যে করতেই হবে। এটলিস্ট ২০%।
নতুন মন্তব্য করুন