বিশ্বকাপ এসে গেল, আমার লেখাও চলে এল। ফুটবলের বিশ্বকাপ নিয়ে আমি যতটা মাথা ঘামাই, এ নিয়ে আমি তার কানাকড়িও না। সত্যি বলতে, ক্রিকেটপাগল এক দেশে না জন্মালে আমি এই সাড়ে সাত ঘন্টার খেলা দেখার মানুষ হতামই না। তবে বলে নেওয়া ভাল, ছোটবেলায় যে ক্রিকেট খেলা দেখতাম, তার তুলনায় এখন অনেক ভাল। তখন পাঁচদিনের ভার্সান দেখাই যেত না, একদিনের ভার্সান প্রায়ই একঘেয়ে হয়ে যেত। এখনও মাঝে মাঝেই একদিনের খেলা একঘেয়ে হয়ে যায়, কিন্তু সংখ্যায় কম।
কি পাল্টেছে ক্রিকেটে? পাওয়ার-প্লে। এটাই আমার একদিনের ক্রিকেটের সবথেকে আকর্ষণীয় কুড়ি ওভার বলে মনে হয়। বোলারদের জন্য খারাপ হলেও দর্শকদের কাছে ম্যাচটা আকর্ষণীয় করে তুলেছে। আর স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখনকার নিয়ম অনুসারে এই কুড়ি ওভারের মধ্যে দশ ওভার বাধ্যতামূলকভাবে প্রথম দশ ওভারে, পাঁচ ওভার বোলিং টিমের ইচ্ছানুসারে আর আরও পাঁচ ওভার ব্যাটিং টিমের ইচ্ছামতন। সাধারণভাবে দেখা যাচ্ছে বোলিং টিম চায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাওয়ার-প্লে নিয়ে নিতে, আর ব্যাটিং টিম চায় যথাসম্ভব দেরী করে নিতে। তবে এর ব্যতিক্রম কম নেই, আরো ব্যতিক্রম দেখার আশায় আছি এই বিশ্বকাপে। পাওয়ার প্লে যদিও ১৯৯২ এর বিশ্বকাপ থেকেই আছে, কিন্তু একটু অন্যরকম ভাবে ছিল তখন। প্রথম পনের ওভার জুড়ে পাওয়ার প্লের দাপাদাপি, ১৯৯২ সালে গ্রেটব্যাচ, ১৯৯৬-এ কালু-জয়সূর্য জুটি খুবই ভালভাবে এর সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।
এখনকার পাওয়ারপ্লে ক্যাপ্টেন-কোচসহ থিঙ্কট্যাঙ্ককে একটু বেশীই চিন্তায় ফেলে দেয়। ধরা যাক ওপেনাররা এসে বেধড়ক পেটাচ্ছে, কিন্তু দশ ওভার চলে গেছে। কি হবে? ফিল্ডিং টিম কি নেবে পাওয়ারপ্লে? আবার ধরা যাক ত্রিশ ওভার এ পাঁচ উইকেট চলে গেছে, দেখে মনে হচ্ছে না পঞ্চাশ ওভার অবধি গড়াবে ম্যাচ। ব্যাটিং টিম কি নিয়ে নেবে পাওয়ারপ্লে?
এমনিতে এবারের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে নক-আউট, এর মানে ভবিষ্যতবাণী করা নিতান্তই মূর্খের কাজ। ১৯৯৬ সালে শেষ যেবার এই ফরম্যাটে খেলা হয়েছিল তখন কোয়ার্টারে সেবারের ফেবারিট দক্ষিণ আফ্রিকা আন্ডারডগ ওয়েস্ট-ইন্ডিজের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল। আরেকটু হলেই তারা অস্ট্রেলিয়াকেও হারিয়ে ফাইনালে উঠে যাচ্ছিল। সুতরাং কিছুই বলার উপায় নেই।
তাও সবার লেখায় দেখি ফেবারিট এবারে ভারত। এমনিতে দেশের মাঠে খেলা। উপমহাদেশে দুটো জিনিস খুব কাজে আসে - স্পিন বোলিং আর মারকাটারি ব্যাটিং। ভারতের এবারে দুটোই মোটামুটি আছে। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কারও যেমন ছিল। প্রথম পাওয়ার-প্লে তে আছে শচিন-শেহবাগ (সহবাগ নয়), পরেরটাতে আছে ইউসুফ পাঠান, ধোনি। বরং মাঝখানটা নড়বড়ে। ভারত আগের দুবারেই দেশের মাটিতে সেমিফাইনালে হেরেছে। এবারেও সেমির খেলা পড়বে মোহালিতে, যেখানে বল শুরুতে বাউন্স করে। আগে ব্যাট করলে ভারত ওখানে সমস্যায় পড়তে পারে। অন্যদিকে হরভজনের চোট হলে দ্বিতীয় স্পিনার খুব একটা ভাল কেউ নেই। আর পেস বোলিং এ একা জাহির খান কিছুটা দেখে, বাকিরা নেই বললেই চলে।
আমার অন্য ফেবারিট হল অস্ট্রেলিয়া। ওদের সমস্যাটা একটু অন্যরকম, ওদের ভাল স্পিনার নেই, ব্যাটসম্যানেরা খুব একটা স্পিনিং ট্র্যাকে পরীক্ষিত নয়। তাও আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন-আপ এখনও বিশ্বসেরা। আর উপমহাদেশে ব্যাটিং করতে পারলে আর লাগেটা কি? এছাড়া বোলিঙ্গার বা জনসন দুজনেই ভাল বোলার। ফিল্ডিং-এও কানাকড়ি গলাবে না অসিরা। তাত্ত্বিকভাবে এরাই আমার ফাইনালিস্ট - ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া - এটাই দেখতে চাই ফাইনালে।
এবারের বিশ্বকাপে আমার কালো ঘোড়া পাকিস্তান। ১৯৯৬ সালে আমার ঘোড়া ছিল শ্রীলঙ্কা, তারা চমকে দিয়েছিল কাপ জিতে। এবারের পাকিস্তান টিমটা পাওয়ার-প্লের জন্য একেবারে আদর্শ। পাওয়ার-প্লে তে বল করবে উমর গুল। ব্যাটে আসবে আফ্রিদি বা রাজ্জাক। মাঝে ধরে দেবে মিসবাহ। ওপেনিং পেয়ারটা পাকিস্তানের একটু দুর্বল জায়গা বটে, কিন্তু বর্তমান জুটি ভালই কাজ করছে। তাছাড়া উপমহাদেশের পরিচিত পরিবেশে শুরুতে মারকাটারি ব্যাটিং করতে ওদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
অন্যান্য দলগুলোও যথেষ্ট ভাল। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং ভাল হলেও স্পিনারদের বিরুদ্ধে দুর্বলতা দেশের মাটিতেও ধরা পড়ছে, নিজেদের দলেও কোনো ভাল স্পিনার নেই। ইংল্যান্ডেরও স্পিন বোলিং এর বিরুদ্ধে দুর্বলতা আছে। শ্রীলঙ্কা দল সবদিক থেকেই ভাল, দেশে খেলার সুবিধাও পাবে কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক রেকর্ড খুব একটা ভাল নয়। শ্রীলঙ্কাকে আমি আমার তৃতীয় ফেভারিট হিসাবে রাখব। ওয়েস্ট ইন্ডিসের দল ততটা ভাল নয়, তবে তাদের কিছু ভাল প্লেয়ার আছে। এছাড়াও কিছু কিছু প্লেয়ার তার দেশের হয়ে এক বা একাধিক ম্যাচ একাই জিতিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। যেমন শ্রীলঙ্কার এঞ্জেলো ম্যাথুস, বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান বা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্র্যাভো।
অঘটনের সম্ভাবনা এবারে আমি কমই দেখছি, অঘটনের সম্ভাব্য ক্যান্ডিডেট ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ওই গ্রুপে কেনিয়া, জিম্বাবোয়ে বা কানাডার দল ওদের হারানোর মত যথেষ্ট নয়, হয়ত আয়ার্ল্যান্ড বা হল্যান্ড ওদের গ্রুপে থাকলে ওদের হারাতে পারত। অন্যদিকে, দেশের মাঠে বাংলাদেশ সহজেই আয়ার্ল্যান্ড বা হল্যান্ডকে হারাবে। আর অন্য ম্যাচ জিতলেও সেটাকে ঠিক অঘটন বলাটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। পরের রাউন্ড থেকে অঘটনের কিছু নেই, যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। গত বিশ্বকাপে যেমন অস্ট্রেলিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব চ্যালেঞ্জ করার মত কোনো দেশই ছিল না, এবার সেরকম নয়।
সবশেষে বলে রাখি, এবারে উপমহাদেশে বিশ্বকাপ হবে বলে সবাই উপমহাদেশের দলগুলোকে এগিয়ে রাখছে ঠিকই কিন্তু আই-পি-এল এর কল্যাণে এখন সব দেশের বেশ কিছু প্লেয়ারই উপমহাদেশে নিয়মিত খেলার সুযোগ পায়। তাই কার্যক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা বা ইংল্যান্ডের কাছে উপমহাদেশ আগের মত অতটা অপরিচিত জায়গা নয়, বরং এই দেশগুলোর প্লেয়াররা এখানের পিচে যথেষ্ট ভাল খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেছেন। আমিও অন্যান্যদের মত উপমহাদেশের দলগুলোকে এগিয়ে রাখলেও সতর্ক থাকার পরামর্শও দিই।
প্রিয় কিছু ম্যাচের হাইলাইটস লিঙ্ক -
ভারত-পাকিস্তান ২০০৩
ওয়েস্ট ইন্ডিস বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯৯৬
ওয়েস্ট ইন্ডিস বনাম অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৬ - লিঙ্ক পেলাম না।
দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৯
পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড ১৯৯২
ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া ১৯৮৭ - লিঙ্ক পেলাম না।
মন্তব্য
প্রথম রাউন্ড পার হয় কিনা আগে দেখেন...নাকি গতবারের মতো
নাহ, এবার ফার্স্ট রাউন্ডটা আর গতবারের মত প্রায়-নকআউট না তো, তাই বেঁচে গেলেও যেতে পারে, তয় আমরা ঠিকই "ধরে দিবানি"।
১৯ তারিখ অব্দি খাড়ান ... শেহবাগ এর মধ্যেই কমেন্ট করা শুরু করে দিয়েছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ভারতের বিশাল বিশেষজ্ঞ স্তাবক বাহিনী যাই বলুক ভারত এইবার কোনভাবেই ফেভারিট না; টিমটা বোলিংয়ে বেশ দুর্বল! শেহবাগ-ইউসুফ ভাল না খেলতে পারলে কপাল ছাড়া জিতবে না...সুবিধা শেহবাগ-শচীন ২০ওভার টিকলে খেলা অর্ধেক শেষ! কিন্তু বোলিংয়ে, বিশেষত স্পিনে আর জহির খান ছাড়া পেস বোলিংয়ে একদমই ফালতু!
আমার ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলংকা-পাকিস্তান...শ্রীলংকা আপাতত ভাল ফর্ম না থাকলেও টিমটা পরিণত-ব্যালান্সড! আশা করছি ওরা ফর্মে ফিরবে! অস্ট্রেলিয়া মিনিমাম সেমিফাইনাল খেলবে বলে আমি নিশ্চিত...রাতের বেলা স্পিন খুব একটা কাজে আসবে না, আর তাদের পেস এটাক বেশ ভাল... পাকিস্তানের আশা দেখছি কারণ ওদের পেস এটাক বেশ ভাল, আর টিমটা বিশ্বকাপের আগে গুছিয়ে উঠেছে! দক্ষিণ আফ্রিকা'র সব ভাল কিন্তু স্পিনের বিরুদ্ধে বেশি দুর্বল বলে আশা করতে ভয় হয়। তবে তাদের একেবারে হিসাবের বাইরে রাখা ঠিক না...আমলা-স্মিথরা দাঁড়িয়ে গেলে যেকোন কিছুই হতে পারে...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
১৯৯৯-এর পরে দক্ষিন আফ্রিকা জিতবে এই আশা বাদ দিসি। চোকারস।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
শ্রীলঙ্কা ফর্মে নেই - বলেন কি? এই তো নভেম্বরেই অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল। মার্চ মাসে রাতে শিশির পড়বে কি না আমি নিশ্চিত নই, দক্ষিণে বা শ্রীলঙ্কায় পড়বে না, মোহালিতে পড়তে পারে। তা না হলে স্পিনাররা ভালই করবে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার মুরলী আর ব্যাস ছাড়া বোলার ছিল না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বহুদিন বাদে আবার ক্রিকেট... আমেরিকায় চলে আসার পর থেকে ক্রিকেটের সাথে ডিভোর্স হয়ে গেছে। সারা রাত জেগে খেলা দেখা কুলায় না আর। তবুও কিছু হলেও তো দেখতে হবে। বিশ্বকাপ বলে কথা। অন্তত নিজের দেশের খেলাগুলো দেখবো।
আমার কাছে এবারের ফরম্যাটটা একেবারেই ফালতু লাগছে। ফুটবল বিশ্বকাপে ৩২টা দেশ মিলে খেললো ৬৪ ম্যাচ, আর ক্রিকেট বিশ্বকাপে মাত্র ১৪টা দল মিলে খেলবে ৪৯ ম্যাচ!! কোয়ার্টার ফাইনালে যাচ্ছে দুই গ্রুপ থেকে সেরা ৪ দল করে ৮ দল। বেশি বেশি দেশ অন্তর্ভুক্ত করতে গিয়ে খুবই অপচয়-ভরা টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। মাঝপথে ঝুলে যাওয়ার ভয় পাচ্ছি তাই। একটা 'প্রতিষ্ঠিত/ফেভারিট' দল প্রথম দুই ম্যাচ খারাপ খেললেই নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে যে তারা পরের রাউন্ডে যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় বাকি খেলাগুলো রেখে কী লাভ? নক-আউট রাউন্ডের জন্য সেরা প্লেয়ার ও পূর্ণ উদ্দম জমিয়ে রাখা খুবই স্বাভাবিক কৌশল হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আমি উইলো টিভির সাবস্ক্রিপশন নিচ্ছি। অনলাইনে দেখব। খেলার ফরম্যাটের ব্যাপারে এক্কেবারে একমত। প্রথম দফার খুব একটা চার্ম নেই, এসোসিয়েট দেশগুলোও এবারে খুব একটা কিছু চমক দেখাতে পারবে বলে মনে হয় না। তিনটে নক-আউট ম্যাচ পরপর জেতাই আসল হয়ে দাঁড়াবে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
উপমহাদেশের চারদল (বাংলাদেশ-শ্রীলংকা-পাকিস্তান-ভারত) এবার অন্যান্য দলগুলো হতে এগিয়ে থাকবে ।
বাংলাদেশ এখন অনেক ভালো খেলে ; তাই কোন কিছুকে কোনভাবেই অঘটন বলা যাচ্ছে না ।
ওডিআই ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে ওভাররেটেড কনসেপ্ট। খুব কম ম্যাচের ভাগ্যই পাওয়ার প্লে দ্বারা নির্ধারিত হয়। পাওয়ার প্লেতেও বলের গুণাগুণ বিচার করে খেলতে হয়। একটাই বাড়তি সুবিধা, তাহলো আউটফিল্ডে ফিল্ডার কম।
ইন্ডিয়া এবার সবচেয়ে ব্যালেন্সড টীম। ব্যাটিংয়ে শেভাগ, গম্ভীর, টেন্ডুলকার, ইউভি, ভিরাট, ইউসুফ/রায়না, ধোনি - কোনো উইক লিংক নাই। রায়না ছাড়া সবাই ফর্মে। বোলিংয়ে জহির এবং মুনাফ চরম ফর্মে। ভারতের মাটিতে আশ্বিন নিয়মিত উইকেট টেকার, হরভজনও সাধারণত ফ্লপ করে না। থার্ড সিমার হিসেবে প্রাভিন বা নেহরার অফ ডে খুব কমই আসে।
শ্রীলংকার শক্তি তাদের বোলিং। ব্যাটিং অনেকটা ভঙ্গুর। দিলশান ফর্মে নাই। যা করার সাঙ্গাকারা আর জয়াবর্ধেনেকে করতে হবে।
পাকিস্তানের কোনো চান্স নাই। তাদের বোলিং মোটামুটি, ব্যাটিং ভুয়া।
অস্ট্রেলিয়া চমক দেখাতে পারে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বিশ্বকাপের সময় লেখাটা পড়েছিলাম। এবার আবারো পড়লাম। সামগ্রিক বিবেচনায় বলাইদাকেই প্রকৃত ক্রিকেটবোদ্ধা মনে হচ্ছে।
আরেকটু বড় করে লিখতেন !! ক্রিকেটতো সাহিত্যেরই খেলা !!...
ফেভারিট ভারত- অস্ট্রেলিয়া- শ্রীলঙ্কা- দঃআফ্রিকা...
ভারত সব দিকেই ব্যালান্সড। সমস্যা তাদের মিডিয়ার তৈরী করা মাত্রাতিরিক্ত হাইপ। এই চাপেই ভারতের কাজটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
দঃআফ্রিকাও যথেষ্ট ব্যালান্সড। সমস্যা বহু পুরোনো, ভাগ্যের সাথে তাদের ঝাকানাকা-বদ্রুখা সম্পর্ক আর চাপে ভেঙ্গে পড়া।
শ্রীলঙ্কার অনভিজ্ঞতা ভোগাতে পারে।
অজিদের কোনকিছুই ঠিক গোছানো নেই। তবে, জানেন তো- শেষ বলের আগ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া হারে না !!
ভাই বাংলাদেশ প্রথম round পার হতে পারলে আমি খুশি ।
------------------------
sad stories
আবেগ দিয়ে খেলা বুঝি আর ভাবি। হিসাব নিকাশের ধার ধারি না। আমার। বাংলাদেশ কাপ্পাইতাছে এইবার। না পাইলেও সেটা এট্টুর জন্য পাইবো না।
তয় লেখা ভাল্লাগছে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনার সবটাই জাতীয়তাবাদী ডিসকোর্সের সাথে রিকনসিলিয়েসন হয়ে গেল ...
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
নতুন মন্তব্য করুন