অপরাধী কে? সন্ত্রাসী না সমব্যাথী?

দিগন্ত এর ছবি
লিখেছেন দিগন্ত (তারিখ: শনি, ২০/১০/২০১২ - ৪:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘটনার সূত্রপাত গতকাল। ব্রেকিং নিউজ হিসাবে সব টিভি চ্যানেল প্রচার করা শুরু করে এক বাংলাদেশী তরুণ ফেডারেল রিজার্ভে বোমা রাখতে গিয়ে ধরা পড়েছে। আরো সময় গেলে বের হয়ে আসে পুরো ব্যাপারটাই একটা স্টিং অপারেশনের ফসল। রেজয়ানুল নাফিস মার্কিন দেশে এসেছে মাত্র নয় মাস আগে। গত জুলাই মাসে ফেসবুকে তার কমেন্টের সূত্র ধরে তার ওপর নজরদারি শুরু হয়। এই অবস্থায় নাফিস মার্কিন দেশে বোমা হামলা চালানোর উদ্যোগ নিলে এফ বি আই-এর এজেন্ট তাকে নিষ্ক্রিয় বোমা সরবরাহ করে। নাফিস সেই ১০০০ পাউন্ড বোমা ফেডারেল রিজার্ভ (বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক ও ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সমতুল্য) -এর সামনে রেখে পাশের একটি হোটেলে বসে তাকে দুর-নিয়ন্ত্রকের সাহায্যে সক্রিয় করার চেষ্টা করে। এই পর্যায়ে বোমাটি ফাটে না এবং মার্কিন এজেন্ট তাকে গ্রেফতার করে মার্কিন আদালতে পেশ করে (গুয়ান্তানামো বে তে পাঠায় নি)।

এই পর্যন্ত ঘটনা কাল অবধি জানা ছিল। যেহেতু নাফিস স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল, তার পরেই আমেরিকায় প্রশ্ন উঠতে থাকে স্টুডেন্ট ভিসা এত সহজে পেল। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ও ছাত্র-ছাত্রীরা শংকিত হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০১ এ টুইন টাওয়ারে হামলা পর থেকে ২০০৫ অবধি আমেরিকায় বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ সিকিউরিটি চেকের মধ্যে দিয়ে যেতে হত। অনেকেই মনে করছেন সেই অবস্থা আবার ফিরে আসতেই পারে, স্টুডেন্ট ভিসা সহ অন্যান্য ভিসা পাওয়াও এর ফলে শক্ত হয়ে যাবে। সমস্যা শুধু আমেরিকাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না ভিন্ন ভিন্ন দেশেও বাংলাদেশী নাগরিকদের যাওয়ার সময় অতিরিক্ত স্ক্রুটিনির সম্মুখীন হতে হবে তাও এখনও পরিষ্কার নয়।

অন্যদিকে, নাফিসের পরিবারবর্গ স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ব্যথিত এবং মানতে নারাজ যে তাদের ঘরের ছেলে এ ধরনের নাশকতামূলক কাজকর্মের সাথে জড়িয়ে থাকতে পারে। আমেরিকাতেও অনেকেই স্টিং অপারেশনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন - তাদের বক্তব্য হল নাফিসের উদ্দেশ্য জানামাত্র তাকে ডিপোর্ট করা উচিত ছিল, তাহলে ঘটনা এতদূর এগোত না, সাজানো ঘটনায় টেররিস্ট ধরে মার্কিন নিরাপত্তার কোনও উন্নতি হবে না।

আজ এসে দেখতে পেলাম পুরোদমে দুই শ্রেণীর মতামত ফেসবুকে চলছে। দুই শ্রেণীর মূল বক্তব্য একই - আমাদের দোষ না, যত দোষ আমেরিকার। প্রথম শ্রেণীর বক্তব্য পুরো ঘটনা সাজানো হয়েছে যাতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত আরো জোরদার করা যায়। আরেকশ্রেণীর বক্তব্য পুরো ঘটনাই সাজানো হয়েছে ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে - বিশ্ববাসীর কাছে ইসলামের নামে সন্ত্রাসের ছবি তুলে ধরার জন্যই এই ছক। সবশেষে জানা গেল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মতামত রেখেছেন যে নাফিসের পরিচিতি নিয়ে উনি নিশ্চিত নন, নাফিস বাংলাদেশে বসবাসকারী অবৈধ রোহিঙ্গাদের মধ্যে একজন হতেও পারেন (যদিও নাফিসের বাবা কি ভাবে ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সে প্রশ্ন ওনাকে করাই অবান্তর)।

দুই ধরনের যুক্তিই আমার কাছে অন্তঃসারশূন্য লেগেছে। প্রথম কথা স্টিং অপারেশন আমেরিকায় অনেকদিন ধরেই চলে আসছে। এমনকি ভারতেও স্টিং অপারেশনে অনেক মন্ত্রী-আমলা ইতিপূর্বে ধরা পড়েছে। এই ধরনের অপারেশনে অপরাধের "ইন্টেন্ট" বা ইচ্ছা/চেষ্টা আছে এরকম যে কোনও ব্যক্তিকে তার অপরাধ সংঘটনে ছদ্ম-সাহায্য করা হয় যাতে সে কতদূর অবধি অপরাধ করতে পারে সেটা দেখে তাকে হাতে-নাতে ধরা হয়। অনেকেই প্রশ্ন করবেন বাংলাদেশে এ ধরনের স্টিং-অপারেশন কি চলে? এই উত্তরটা আমার সঠিক জানা নেই কিন্তু তৃতীয় বিশ্বে অপরাধের ইন্টেন্ট থাকলে অনেক সময়েই তাকে লক-আপে ঢুকিয়ে পিটিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় যার থেকে স্টিং অপারেশন শতগুণে ভাল। দ্বিতীয় কথা, নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব ল এন্ড সিকিউরিটির পরিসংখ্যান মতে, সেপ্টেম্বর ১১-র ঘটনার পরে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ১৫৬ টি কেসের মধ্যে ৯৭টিতেই এজেন্টদের ব্যবহার করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডিফেন্স ল'ইয়ার চেষ্টা করেছে "আসামীকে ট্র্যাপ করা হয়েছে" - এই যুক্তি ব্যবহার করতে, কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই সফল হয়নি। এর থেকে প্রমাণিত যে শুধুমাত্র নির্বাচন আসন্ন বলেই এই অপারেশন চলছে তা নয়, সবসময়েই স্টিং অপারেশন চলছে - তার কনভিকশন রেট ১০০%।

স্টিং অপারেশন যে শুধু "মুসলিমদের সন্ত্রাসী বানানো"-র কাজে ব্যবহার হয়েছে তাও না। কখনও ড্রাগ-পেডলারদের ট্র্যাপে ফেলা হয়েছে, তারা যখন ড্রাগ ডেলিভারি করতে গেছে - পুলিশ হাতেনাতে ধরেছে তাদের। ফেসবুকে অপ্রাপ্তবয়স্ক সেজে বসে থাকা এফ-বি-আই এজেন্ট-এর সাথে যৌণ-সম্পর্কে লিপ্ত হবার প্রচেষ্টার কারণে জাভা প্রোগ্রামিং ল্যানগুয়েজের অন্যতম প্রণেতা প্যাট্রিক নটন (যার লেখা বই আমাদের অনেকেই পড়েছে) ধরা পড়ে শাস্তিও পেয়েছেন। অপরাধ লঘু হবার কারণে অনেক কম সাজা পেয়ে উনি ছাড়া পেয়ে গেছেন বটে কিন্তু স্টিং অপারেশন চালানোর কারণে তার অপরাধ লঘূতর করে দেখানোর প্রচেষ্টা সফল হয় নি। এবং এই ঘটনা ২০০১ সালে টুইন টাওয়ার হামলার আগেই ঘটেছে। সব স্টিং-অপারেশনেই যে "মুসলিমদের সন্ত্রাসী বানানো"-র সফল অপারেশন ঘটে তাও না। দক্ষিণ ক্যালিফোর্ণিয়ার একটি মসজিদে এক প্রাক্তন ড্রাগ-পেডলারকে এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ দেয় এফ বি আই। তার কিছুদিনের মধ্যেই মসজিদের অন্য কিছু ব্যক্তি সেই এজেন্টের আচরণ "সন্দেহজনক" বুঝে উল্টে এফ বি আই-কে রিপোর্ট করে। বাধ্য হয়ে ও সমস্যা নেই বুঝে তদন্ত বন্ধ করে দেয় এফ বি আই। আমি আমেরিকান হলে স্পষ্টতই স্টিং অপারেশনের সমর্থন করতাম, কারণ এই ধরনের অপারেশন শুধু বড় জোট গঠন হবার আগেই তাকে ভেঙে দিচ্ছে তাই না, আল-কায়দা সহ জঙ্গী গোষ্ঠীদের মধ্যেও যথেষ্ট "ডাউট" তৈরী করছে, যার ফলে "নিউ রিক্রুট" করার আগে তারা দশবার ভাবছে।

কিছুদিন আগেই মালালা ইউসুফজাই নামে পাকিস্তানী এক বালিকাকে তালেবানী "শিক্ষাব্যবস্থার" সমালোচনা করার কারণে গুলি খেতে হয়েছে। তালিবানী মুখপাত্র ঘটনা স্বীকার করে তার স্বপক্ষে যুক্তিও উপস্থাপন করেছেন। পাকিস্তানী সমাজেও ঘটনাটার বেশ নিন্দা শোনা যায়। কিন্তু ওই পর্যন্তই, কিছুদিনের মধ্যেই অসংখ্য ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হাজির হয় বাজারে ও পাকিস্তানী মধ্যবিত্ত নির্দ্বিধায় সব দোষ তালেবানের জায়গায় মার্কিন যড়যন্ত্রের ওপর চাপিয়ে দেয়। পাকিস্তানের সমস্যা অশিক্ষিত তালিবানেরা যত, তার থেকে ঢের বেশী গুণে এই সব অর্ধ-শিক্ষিতরা - যারা নিজের দোষ ঢাকতে সব-সময়ে ষড়যন্ত্রের কথা বলে বেড়ান। একই ঘটনা এখন বাংলাদেশেও ঘটছে - যদিও পাকিস্তানের দশায় যেতে অনেক দেরী আছে, কিন্তু অংকুরেই এসব বিনাশ করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

শুরুতেই বলেছি এফ বি আই আজকাল ফেসবুক সহ সোসাল মিডিয়ার ওপর কড়া নজরদারী করছে। সুতরাং এই ধরনের মতামত প্রচার করে বেড়ালে তাদের এই ধারণা বদ্ধমূল হবে যে এই নাফিসের পেছনে অসংখ্যা সমব্যাথী আছে যাদের অনেককেই হাতে বোমা তুলে দিলে তা মার্কিণ দূতাবাসে বা স্টক-এক্সচেঞ্জে আক্রমণ চালাতে দ্বিধা করবে না। নাফিস একা যতটা ভাবমুর্তির ক্ষতি করেছে, তার সমব্যাথীরা সমষ্টিগতভাবে তার বহুগুণ ক্ষতি বয়ে আনবে দেশের ওপর।

শেষটা করার আগে একটা উপায় নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করে যাই। রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারের বদলা হিসাবে রামু-উখিয়াতে যারা বৌদ্ধ-হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ চালিয়েছিলেন, সেই কয়েকশ' উৎসাহীদের সবাইকে হাতে বোমা ধরিয়ে দিলে তাদের মধ্যে কিছু লোক থাকতেই পারে যারা এই বোমা জাপানী বা থাই বৌদ্ধদের মারার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। আবার তাদের মধ্যে দু-একজন এমনও পাওয়া যাবে যারা সত্যি অর্থেই থাইল্যান্ড বা জাপানে যেতে সক্ষম। এই দুইয়ের মিল হয়ে গেলেই কিন্তু সর্বনাশ - বিদেশে গিয়ে বোমা ফাটিয়ে কেউ না কেউ দেশের নাম উজ্জ্বল করে আসবে। সুতরাং, এই ধরনের অপরাধীদের দেশেই জেলে পুরে ফেলা ভাল যাতে বিদেশে গিয়ে তারা ধরা না পড়ে। এদেরকে ধরিয়ে দিন - দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখুন। বিদেশে ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে গেলে দেশের বিচার ও আইন-ব্যবস্থা ভাল করতেই হবে। আইনের শাসনের কোনও বিকল্প নেই।

নাফিসের ওপর অভিযোগ - সরকারী সূত্র


মন্তব্য

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমি সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় অনেক বন্ধুস্থানীয় মানুষের প্রকৃত মনোভাব জানতে পেরে চরম বিস্মিত হয়েছি। আমরা যতই বলি আমরা ধর্মনিরপেক্ষ, আমাদের আশে পাশে অনেক মানুষের ভেতরেই ধর্ম নামের একটা দানব বাস করে।

আমি এটা দেখেই সবচেয়ে অবাক হয়েছি, এই সব ঘটানাগুলাতে নিন্দার তুলনায় সমব্যাথীর পরিমাণ অনেক অনেক বেশি। তারপরেও আমার ধারণা আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না অন্যান্য মাধ্যমে যাদের সাথে যোগাযোগ হয় নিয়মিত তারা অনেকেই সমমনা। কিন্তু প্রকৃত অবস্থা আসলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে যাচাই করা সম্ভব না। আর এই ধরণের মানসিকতা মনে হয় শিক্ষিত/অর্ধশিক্ষিত লোকজনের মধ্যেই বেশি, এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা।

শেষ পর্যন্ত এই অ্যাপোলজিস্টারি আরও বেশি বেশি করে নাফিসদের তৈরি করবে।

অফটপিক হয়তঃ
আরেকটা পর্যবেক্ষণ কথা প্রসঙ্গে বলতে চাই। এই কথা নিয়ে হয়ত বিতর্ক হবে বা অনেকে তথ্য প্রমাণ চাইবেন। তাই আগে থেকে বলে রাখছি এটা অনেকটা ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ।

বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটিতেই হুজুর গ্রুপ থাকে (শিবিরের কথা বলছি না)। কিন্তু কিছু পার্টিকুলার ইউনিভার্সিটিতে এই গ্রুপগুলাকে আমার কাছে খুব র‍্যাডিক্যাল মনে হয়েছে। আমি দেখেছি খুব সাধারণ কিছু মানুষকে একেবারে বদলে যেতে। বুয়েটের তাব্লীগ গ্রুপের প্রভাবে আমি একেবারে র‍্যাডিক্যাল চেঞ্জ খুব কম দেখেছি। যতটা দেখেছি কিছু বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গ্রুপগুলার প্রভাবে কিছু খুব চেনা মানুষের একেবারে র‍্যাডিক্যাল চেঞ্জ। আমি এই টাইপের চেঞ্জগুলা নিয়ে শঙ্কিত। আমি যতদূর বুঝি, যাদের চেঞ্জ কহুব র‍্যাডিক্যাল হয় তাদের চেঞ্জের গভীরতা খুব কম থাকে। তাদেরকে যে কোন কিছুতে মোটিভেট করা খুব সহজ হয়। আমার মনে হয় এখন এরকম তথাকথিত শিক্ষিত র‍্যাডিক্যাল গ্রুপগুলো নিয়ে ভেবে দেখার সময় এসেছে।

আমি জানি আমার পার্সোনাল অব্জার্ভেশান কোন ডিসিশান টানার জন্যে যথেষ্ট না, সেটা আমি টানতেও চাচ্ছি না। আলোচনার দরজা খোলার জন্যে বিষয়টার অবতারণা করলাম।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সাত্যকি এর ছবি

বুয়েটের তাব্লীগ মানুষের মধ্যে র‍্যাডিকেল চেঞ্জ আনতে সক্ষম নয় ? বলেন কি ? একবার দেশে এসে দেখেন। ক্যাম্পাসে কালা পাগড়ি সাদা জোব্বাওয়ালা পুরোদস্তুর তালিবানদের সাথে আপনার ধাক্কা লাগবেই।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অবস্থা এতটা খারাপ হইছে নাকি?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি এই টাইপের চেঞ্জগুলা নিয়ে শঙ্কিত। আমি যতদূর বুঝি, যাদের চেঞ্জ কহুব র‍্যাডিক্যাল হয় তাদের চেঞ্জের গভীরতা খুব কম থাকে। তাদেরকে যে কোন কিছুতে মোটিভেট করা খুব সহজ হয়। আমার মনে হয় এখন এরকম তথাকথিত শিক্ষিত র‍্যাডিক্যাল গ্রুপগুলো নিয়ে ভেবে দেখার সময় এসেছে।
চলুক

আপনার সাথে সহমত , ত্রি ক দা।

অমি_বন্যা

সাইদ এর ছবি

বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে “বিচারে যদি প্রমাণিত হয় যে, নাফিস সত্যিকার অর্থেই যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা করতে চেয়েছিলেন, তাহলে আমরা তার যে শাস্তি হবে, তা মেনে নেব।”

অতিথি লেখক এর ছবি

শাস্তি হবে সারাজীবন জেলে সাবান তোলা।

ডিমপোচ

ইম্রান এর ছবি

ফেসবুক-এ দেখলাম একজন বুদ্ধি দিল ইউনুস নবী-রে ধইরা লবি করানর। তবে উনার সঙ্গে নাকি যোগাযোগ করা যাইতেছে না। কিছু আর বললাম না!

অতিথি লেখক এর ছবি

শুরুতেই বলেছি এফ বি আই আজকাল ফেসবুক সহ সোসাল মিডিয়ার ওপর কড়া নজরদারী করছে। সুতরাং এই ধরনের মতামত প্রচার করে বেড়ালে তাদের এই ধারণা বদ্ধমূল হবে যে এই নাফিসের পেছনে অসংখ্যা সমব্যাথী আছে যাদের অনেককেই হাতে বোমা তুলে দিলে তা মার্কিণ দূতাবাসে বা স্টক-এক্সচেঞ্জে আক্রমণ চালাতে দ্বিধা করবে না। নাফিস একা যতটা ভাবমুর্তির ক্ষতি করেছে, তার সমব্যাথীরা সমষ্টিগতভাবে তার বহুগুণ ক্ষতি বয়ে আনবে দেশের ওপর।[//b]

[b]আপনার সাথে একাত্ততা প্রকাশ করে সবাইকে আহ্ববান করছি দেশের ভাবমুর্তি যাতে রক্ষা হয় সেই চেষ্টা করা।

ধন্যবাদ দিগন্ত, আপনার যৌতিক উপস্থাপনার জন্য।

দিগন্ত এর ছবি

ধন্যবাদ।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অতিথি লেখক এর ছবি

সোসাল মিডিয়ার উপর কড়া নজরদারী করছে

সত্যি করছে? আশ্চর্য হল, এই সোশাল মিডিয়ার এক অংশে বেশ দাপটেই আছে মৌলবাদী গোষ্ঠী। তো এরা কিভাবে টিকে আছে, দিগন্ত ভাই? আর একটা অবাক করা ব্যাপার হল, যে পশ্চিমা বিশ্বকে ধ্বংস করে দিতে বদ্ধ পরিকর এই মৌলবাদী গোষ্ঠী, তারাই পশ্চিমা প্রযুক্তি ব্যবহার সবচেয়ে আগুয়ান!

যারা নিজেদের দোষ ঢাকতে সবসময় ষড়যন্ত্রের কথা বলে বেড়ান।

নাফিসের পিতার কান্না দেখে মনে পড়ে যাচ্ছে অনেক আগে সচলে লেখা [url=http://www.sachalayatan.com/guest_writer/43092 ]'ষড়যন্ত্র! ষড়যন্ত্র!' [/url]গল্পটির কথা। ওখানে এক মৌলবাদী পিতার কথা ছিল, যে সর্বদাই ষড়যন্ত্র থিয়োরি কপচাত। কিন্তু যখন তার ছেলে বোমাবাজি করতে গিয়ে ধরা পড়ল, তখনও সে বলছিল, 'সব ষড়যন্ত্র! সব ষড়যন্ত্র!', 'আমার ছেলেকে ওরা ব্যবহার করছে।'
আজ যারা নাফিসের সমব্যথী, তারা বুকে হাত দিয়ে বলুক যে, তারাও নাফিসের মত বিশ্বাস করে না, তাদের ধর্মটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর সে কারণে মুমিন মুসলিম হিসেবে একমাত্র কাজ হচ্ছে শয়তান আমেরিকার উপর আঘাত হানা। আসলে নাফিসের সাথে এই সমব্যথীদের পার্থক্য নাফিস এদের চেয়ে সাহসী, তাই বিশ্বাস বাস্তবায়নে ময়দানেও নেমে পড়ে।

আর বিপদটা সেখানেই। স্টিং অপারেশন বৈধ কিনা, নাফিসকে ফাঁসানো ঠিক হবে কিনা, নাফিসের জন্য আমেরিকায় বাংলাদেশিদের এক্সসেস ডিফিকাল্ট হবে কিনা, এগুলোর চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে নাফিসদের মত তরুণদের ফেরানো যায়। অসংখ্য নাফিস আমাদের চোখের সামনেই বড় হচ্ছে। ধর্মনেতারা তাদের কানে অহর্নিশি ঢালছে যে, দেশ, পরিবার বা নিজের জন্য কোন দায়িত্ব নেই নাফিসদের, একমাত্র দায়িত্ব হল ধর্মের অপমান-কারিদের শায়েস্তা করতে জিহাদের প্লেনে চড়া।

অন্যদিকে, নাফিসদের সাম্প্রদায়িকতার প্রথম পাঠ হয় পরিবারেই, অনেক সময় সাম্প্রদায়িক পিতা বা চাচার কাছ থেকে। এরা নিজেদের অজান্তে সন্তানের অন্তরে বিষ-বাষ্প ঢেলে দেন, যা পড়ে বিস্ফোরিত হয়।

অনেক আগে এই সচলেই আর 'বিসমিল্লায় গলদ' নামে একটি গল্প লিখেছিলাম, যার মূল উপজীব্য ছিল নাফিসদের বিকৃত মনোজগৎ আর চরিত্র তুলে ধরা। অথচ ঐ গল্প লেখার কারণে অনেকে আমাকেই মৌলবাদী বানিয়ে ফেলেছিল (আমি নাকি মৌলবাদীদের এজেন্ডা প্রচার করছি!)। আমার উদ্দেশ্য ছিল, নাফিসের মত অসংখ্য তরুণ আমাদের চোখের সামনেই কি বিকৃত মানসিকতা নিয়ে গড়ে উঠেছে, তা তুলে ধরা। আমি মনে করি, আজকের বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় কাজ হল, এই তরুণদের সাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা থেকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের রাস্তায় ফিরিয়ে আনা। এদের কমিটমেন্ট হোক পরিবার ও দেশের উন্নয়ন। যে অদৃশ্য মরীচিকার পেছনে এরা ধাবমান, সেখান থেকে এদের ফেরাতে হবে।

নইলে আরও অসংখ্য নাফিসের ঘটনা আমরা ঘটতে দেখবে। আসল বিপদ সেখানেই। দেশের জন্য।

কাজি মামুন

দিগন্ত এর ছবি

ফেসবুকে সক্রিয় হয়ে থাকলেই সে অভিযোগে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না, অন্তত ইউরোপ বা আমেরিকার অধিকাংশ দেশের আইন সেরকমই। তাই নজরদারি করলেও কাউকে জেলে পোরা হয় না।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সত্যপীর এর ছবি

ফেডারেল কোর্ট আদেশ করলে ব্যাঙ্ক আসামীর অনুমতি ছাড়াই কাগজপত্র আদালতের কাছে দিতে বাধ্য থাকে শুনেছিলাম। ইন্টার্ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হলে তা মানা হয় কিনা নিশ্চিত নই অবশ্য। ইবে পেপ্যাল এদেরকেও নাকি সমন পাঠাতে পারে আদালত। ফেসবুকের ক্ষেত্রে কি তাই? ফেসবুক কি কোন তৃতীয় পক্ষকে আইনগতভাবে তথ্য দিতে বাধ্য?

নজরদারির কথা বললেন তাই মনে হল। ঠিক কি পন্থায় নজরদারিটা করা হয়?

..................................................................
#Banshibir.

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

"বিদেশে ভাবমূর্তি" একটা ভ্রান্ত ধারমা। Just saying. হাসি

দীপু এর ছবি

একমত

দিগন্ত এর ছবি

হয়ত বা আপনিই সঠিক হাসি


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

আহুরা মাজদা এর ছবি

ভাই, কি বলবো বুঝতেসিনা, ফেসবুকে আমার কিছু বন্ধুর সাথে আমার বিশাল তর্কা তর্কী লাগসে, ওরা ছেলেটাকে নির্দোষ প্রমান করতে ঊঠে পড়ে লাগসে, আমার শিক্ষিত বন্ধুদের এমন আচরন দেখে আমি মর্মাহত, মানুষ এতো ভোদাই কেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

মর্মাহত কেন? মানুষের বিভিন্ন ধরনের মতামত থাকতে পারে। আপনার মতের সাথে অমিল হলে ভোঁদায় হবে? এখানে আমি সবকিছু সাদা-কালো ভাবে দেখতে পারিনা। Conspiracy Theorist রা এখানে অনেক theory বের করতে পারে। ইলেকশন, এফবিআই এর বাজেট, বাংলাদেশকে একটা বাঁশ......। কে জানে কি হইছে। বলদটা ধরা খাইছে আর পুরা দেশটাকে পুটু দিছে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমেরিকার দিক থেকে একটা সহজ উপায় হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসার সাক্ষাতকারের সময় কোন এফবিআই কর্মকর্তার উপস্থিত থাকা।

আর বাংলাদেশে যা করা প্রয়োজন সেটা করার রাস্তা রাষ্ট্রই একভাবে বন্ধ করে রেখেছে।

হাসিব এর ছবি

এইখানে ইস্যু দুইটা -
১। নাফিস
২। কোন রাষ্ট্র ইন্ধন যোগানোর কাজটা করতে পারে কিনা এবং সেইটা করলে সেইটা বৈধ কিনা।

নাফিস সম্পর্কে উপসংহারে আসা সহজ। সে দোষী। আমাকে কেউ হাতে ছুরি ধরিয়ে দিয়ে অপছন্দের কাউকে খুন করতে বললে আমি কি সেটা করবো?

দ্বিতীয়টা একটু গোলমেলে। জার্মানিতে নিও নাতসিদের একটা দলকে নিষিদ্ধ করা যায়নি ঠিক এই কারণে যে সেই পার্টির ভেতরে পুলিশের এজেন্টরা তাদের পার্টি সিদ্ধান্তে কতটা প্রভাব ফেলেছে সেটা পরিস্কার করা যায়নি।

অপরাধ প্রবণতা অনেকের মধ্যেই আছে। কিন্তু সেইটাতে মেন্টাল স্টিমুলাস যোগানো কি রাষ্ট্রের কাজ হওয়া উচিত?

দিগন্ত এর ছবি

উত্তর আপনি অর্ধেক দিয়েই দিয়েছেন। বাকিটা আমি দিই।

"অপরাধ প্রবণতা অনেকের মধ্যেই আছে। "

- ঠিক কথা, এদেরকে আমি জেলে পাঠাতে চাই। এতে সমস্যাটা কোথায়?
অন্যদিকে, আমেরিকায় এই স্টিং অপারেশন বহুকাল ধরে চলে আসছে (আমি ১৯৯৯ সালের উদাহরণ দিয়েছি), হঠাৎ করে এখন সমস্যা হচ্ছে কেন? আমেরিকায় গেলে তো মার্কিণ আইন মেনেই চলতে হবে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

হাসিব এর ছবি

- স্টিং অপারেশন কথাটা নিয়ে খামোখা মুলোমুলি হচ্ছে। এই স্টিং অপারেশন মানে ভুলিয়েভালিয়ে লোকজনকে বিপথে নেয়া এমনতো না। এর আওতায় তো অনেক কিছুই হয়।

সংযুক্তি: একটা কারণ হতে পারে যেহেতু এইবার নিজেদের কেউ এর জালে আটকা পড়েছে সেহেতু স্টিং অপারেশন নামটা আসছে বারবার। তবে স্টিং অপারেশন নাম দেয়া হোক আর হিঙ অপারেশনই হোক ফাদে পা দিতে পা'টা নিজেরই এগিয়ে দিতে হয় প্রথমে। এই কারণে নাফিসরে বেইল দেবার কোন সুযোগ নাই।

- সমস্যাটা কোথায় সেটা উপরে রাগীব বলেছে। প্রবণতা থাকা এবং অপরাধ করা দু'টো এক জিনিস না।

- আমেরিকায় গেলে মার্কিন আইন মেনে চলতে হবে বুঝলাম। তবে পৃথিবীর কোন দেশের আইনই ফুলপ্রুফ ১০০% তর্কাতীত না। প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে।

দিগন্ত এর ছবি

" প্রবণতা থাকা এবং অপরাধ করা দু'টো এক জিনিস না।"

১০০ ভাগ সহমত, সেইজন্য আইনের দণ্ডবিধিও আলাদা। ২০০৯ সালে ইহুদীদের উপাসনালয়ে (নকল) বোমা রেখে আসার জন্য সাজা হয়েছিল ২৫ বছরের জেল, আসল বোমা হলে মৃত্যুদণ্ডের কম কিছু হত না, বড়োজোর কমিয়ে ৯৯ বছরের জেল হত। প্রশ্নাতীত কিছুই না, কিন্তু প্রশ্নের পয়েন্টটা ঠিক কোথায় আমি বুঝছি না। অপরাধ-প্রবণতা বা ইন্টেন্ট যাদের আছে তাদের জেলে রাখাই সমাজের জন্য মঙ্গলজনক।
মার্কিণ আইনে স্টিং অপারেশনে ধরা পড়া আসামীদের হাতে দুরকম ডিফেন্স থাকে - প্রথমত, তার ইন্টেন্ট ছিল না প্রমাণ করা, দ্বিতীয়ত ইন্ডাকশন প্রমাণ করা। দুটোর কোনোটাই এখানে খাটছে না। মার্কিণ আদালত ইন্ডাকশন প্রমাণ করতে পারলে বেকসুর খালাস করে দেবে - আইন অন্তত সেরকমই বলছে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

savage_mountain এর ছবি

"অপরাধ-প্রবণতা বা ইন্টেন্ট যাদের আছে তাদের জেলে রাখাই সমাজের জন্য মঙ্গলজনক।"

এই কথাটা খুব strong statement। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাকে কেউ হাতে ছুরি ধরিয়ে দিয়ে অপছন্দের কাউকে খুন করতে বললে আমি তার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে তাকে মেরে আসবো, এইটা মানা যায়। কিন্তু আমাকে কেউ হাতে ১০০কেজি বোমা দিয়ে অপছন্দের কাউকে খুন করতে বললে আমি তাকে এবং আশেপাশের আরো ১০০ জন নির্দোষ কে মেরে ফেলব এইটা কেম্নে মানি ।

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

মন মাঝি এর ছবি

আমার এক তরুন বন্ধুর অফিসে ঢুকতে ঢুকতে দেখলাম তার নিজস্ব অফিসের প্রায়-অশিক্ষিত দুই তরুন পিয়ন এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা করছে সামনের লবিতে বসে। পরিকল্পিত ঘটনার নৃশংসতা ও অজস্র নিরীহ মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনায় স্তম্ভিত হয়ে তাদের একজন রেগেমেগে বল্লো, "মরুক শালা, পইচ্যা মরুক!" (নাফিস প্রসঙ্গে)। আমি ভাবলাম এরা হয়তো সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলি ভালমত জানে না বা বুঝে না। ভিতরে ঢুকে বন্ধুর সাথে আলাপ প্রসঙ্গে তার সাথেও এই প্রসঙ্গটা উঠলো। আমার দেশবিদেশ ঘুরা বন্ধু ধনী, উচ্চশিক্ষিত, স্মার্ট, অতি আধুনিক তরুন। ভাবলাম তার কাছে হয়তো আরও অগ্রসর বিশ্লেষন পাব। সে জানালো - এইসব মুসলমানদের হেয় ও ধ্বংস করার জন্য পুরাই আম্রিকার ষড়যন্ত্র। এরা আমাদের পিছে লাগছে। ৯/১১ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এইসব বুমাবাজির বেশির ভাগই নাকি আসলে মুসলমান বা ইসলামি মৌলবাদিরা করে না - বেবাক ইহুদী/নাসারাদের সাজানো শয়তানি আর বজ্জাতি। হয় তারা ভুয়া ফাঁসায়, নয়তো নিজেদের এজেন্ট দিয়ে করায়ে মুসলমানদের উপর চাপায়ে দেয়, ইত্যাদি। তবে হ্যাঁ, বুমাবাজি নৈতিকত ওদের প্রাপ্য বটে - তবে মুসলমানেরা সেটা করেনা। (তাহলে কে করে, নিজেরাই নিজেদের উপর বুমা ফাটায় নাকি - এসব প্রশ্ন মনে আসলেও মুখে আসেনি)।

আমি আর এনিয়ে তর্ক করি নাই। সব সময় সেটা স্বাস্থ্যকর থাকে না। তবে একটা প্রশ্ন মাথায় না এসে পারল না - ঢাকায় প্রায় নবাগত ও প্রায়-অশিক্ষিত পিয়নটা তার গাট-ফিলিং দিয়ে যা বুঝল ও যে অবস্থানটা নিতে পারল, আমার অতি শিক্ষিত ও সচেতন, দুনিয়া দেখা, স্মার্ট আধুনিক বন্ধুটা সেটা কেন বুঝে না বা পারে না? সমস্যাটা কোথায়?

গত নির্বাচনে ভোটের দিন রিক্সায় মিরপুর যাওয়ার পথে এক রিক্সাওয়ালার সাথে কথা হচ্ছিল। তার বক্তব্য - তারা চিরকাল জামাতে ভোট দিয়ে এসেছে, অথবা জামাতের সাপোর্টে বিয়েম্পিকে। কিন্তু এইবার জেএমবির বোমাবাজি ইত্যাদিতে চূড়ান্ত ভাবে বিতৃষ্ণ হয়ে প্রথম বারের মত দলবেধে আম্লীগে ভোট দিয়েছে। তাদের জঙ্গিবাদি/মৌলবাদি/ছাগুদের প্রসঙ্গে মোহমুক্তি ঘটেছে। কিন্তু এই প্রসঙ্গেও (দেশি জঙ্গিবাদ) তখন দেখেছি কিছু আধুনিকদর্শন শিক্ষিতদের নানারকম ধোঁয়াশাপূর্ণ ব্যাখ্যা, আম্রিকা/আম্লীগ/ভারতের নানাপদের ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব, ধর্মের প্রকৃত-অপ্রকৃত/সঠিক-বেঠিক প্রয়োগের অজুহাত, এবং আরও হরেক কিছিমের কথাবার্তা নিয়ে হাজির হতে। এবং ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের সব কথার সরাসরি-না-বলা আসল কথা হলো ছাগুদের ছাগলামি কোন না কোন ভাবে রেহাই দেয়া বা হাল্কা করা।

সমস্যাটা হল, যেসব 'শিক্ষিত'-দের কথা বললাম, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বা বক্তব্য যে সব সময়ই সজ্ঞান অসদুদ্দেশ্য, মিথ্যাচার বা ভণ্ডামিপূর্ণ - তা মনে হয়নি। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? অনেক অশিক্ষিত লোকই যেটা পারে, এরা সেটা পারে না কেন?

****************************************

Atahar এর ছবি

সমস্যা হলো নাফিসের পক্ষ বিপক্ষের অবস্থান দিয়ে শিক্ষিত অশিক্ষিত যাচাই করা যায় না।

ধুসর জলছবি এর ছবি

আপনার মত এ ধরনের অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে, হয়ত সবারই আছে। ইদানীং কেন যেন শিক্ষিত লোকজনের মধ্যে ছাগু স্বভাব অথবা ছাগুদের ব্যপারে নমনীয়তা বেশি দেখি।

সমস্যাটা হল, যেসব 'শিক্ষিত'-দের কথা বললাম, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বা বক্তব্য যে সব সময়ই সজ্ঞান অসদুদ্দেশ্য, মিথ্যাচার বা ভণ্ডামিপূর্ণ - তা মনে হয়নি। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? অনেক অশিক্ষিত লোকই যেটা পারে, এরা সেটা পারে না কেন?

এ চিন্তা আমারও, সমস্যা টা কোথায়?

দ্রোহী এর ছবি

১.
যে দেশে নরপশু হাসান সাঈদ সুমনের অ্যাপোলজিস্টের অভাব হয় না সে দেশে নাফিস যে বীরের মর্যাদা পাবে সেটা বুঝা কঠিন কোন ব্যাপার না।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ২১ বছরের যে ছেলে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে ও দৈনিক কোরান হাদীস পড়ে তার সমস্যা আছে। কথাটা হাস্যকর হলেও সাইকোঅ্যানালিস্টরা এ বিষয়ে একমত হবে।

সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে পৃথিবীতে কতজন মানুষ পাওয়া যাবে যাদের ফুসলিয়ে বোমা ফুটাতে রাজি করা সম্ভব? যারা নাফিসকে নিষ্পাপ দাবি করে আমেরিকার ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে বেড়াচ্ছে তারাও ক্ষেত্রবিশেষে মানুষ মারতে বোমা ফুটাতে রাজি হবে বলেই আমার ধারণা। এদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গারদে ভরতে পারাটাই পৃথিবীর জন্য মঙ্গলজনক।

অনেকে আবার স্টিং অপারেশনের এথিক্যাল পয়েন্ট অব ভিউ নিয়ে সন্দিহান। মনে রাখতে হবে এথিকস নির্ভর করে সময়কালের উপর। দুই হাজার বছর আগে ভাই-বোনের যৌনসম্পর্ক খুব স্বাভাবিক বিষয় ছিল যা বর্তমানে চিন্তা করাটাও আনএথিক্যাল। সুতরাং, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা যে নাজুক অবস্থায় আছে তাতে করে স্টিং অপারেশন অবশ্যই যৌক্তিক।

বাংলাদেশের প্রায় ৫-৬ লাখ ছেলেমেয়ে আমেরিকায় পড়াশোনা করে। তাদের সবার পিছে যদি এফবিআইয়ের চর লাগাতে হয় তাহলে প্রায় ৬ লাখ এজেন্টের প্রয়োজন পড়বে এফবিআইয়ের। নাফিস নিজেই তাকে সাহায্য করার জন্য আল-কায়েদা খুঁজে বেড়াচ্ছিল। এফবিআই সুযোগ বুঝে তার সাথে ভিড়ে গেছে এবং অপারেশন সফল করার জন্য প্রয়োজনীয় রসদের যোগান দিয়েছে। যদি এফবিআইয়ের বদলে নাফিস সত্যিই কোন আল-কায়েদা এজেন্টের সাথে ভিড়ে যেত তাহলে আজ হয়তো তার কাজটা ৯/১১-র পর সবচাইতে বড় সন্ত্রাসী হামলা হিসাবে গন্য হত। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভবিষ্যত পরিণতি হতো ভয়াবহ। অবশ্য এখনই কোন অংশে কম হবে না।

যারা বলছেন এতসব নাটকের প্রয়োজন কী ছিল? সরাসরি নাফিসকে গ্রেফতার করে নিলেই হতো। তাদের একটু বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে। তাদের বুঝতে হবে থট ক্রাইম আর ক্রাইম এক জিনিস না। নাফিস মোবাইলে বারবার কল দিয়ে বোমা ডেটোনেট করার চেষ্টা করছিল যা তার অপরাধকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছে। গাড়িতে আসল বিস্ফোরক থাকা না থাকায় নাফিসের অপরাধ কোন অংশে লঘু হয় না।

২.
সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে আমাদের রাজনীতিবিদেরা দুই দিন পরেই আবার বলবে, দেশে কোন জঙ্গী নাই। সব মিডিয়ার সৃষ্টি।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

যে দেশে নরপশু হাসান সাঈদ সুমনের অ্যাপোলজিস্টের অভাব হয় না সে দেশে নাফিস যে বীরের মর্যাদা পাবে সেটা বুঝা কঠিন কোন ব্যাপার না।

চলুক

সাফিনাজ আরজু  এর ছবি

চলুক

সাবেকা  এর ছবি

চলুক

কৌস্তুভ এর ছবি

চলুক

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক

ধুসর জলছবি এর ছবি

চলুক

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

চলুক

---------------------
আমার ফ্লিকার

তারেক অণু এর ছবি
পুতুল এর ছবি

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ২১ বছরের যে ছেলে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে ও দৈনিক কোরান হাদীস পড়ে তার সমস্যা আছে।

আমি মনোবিজ্ঞানা, কিন্তু আপনার কথাটা মানলাম। এই বয়সটায় ব্যাপক গবেষণা করেছি ধর্মের অর্ধম নিয়ে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চলুক

বাংলাদেশের ভূমিকা কী থাকবে এটা চিন্তা করতেছি।


_____________________
Give Her Freedom!

কড়িকাঠুরে এর ছবি

চলুক

১. কিছুদিন আগে আমি যে কলেজে পড়তাম তাতে নতুন একজন অধ্যক্ষ হিসেবে এসেছেন। এ নিয়ে আমার দেয়া স্ট্যাটাসে অবাক করে দিয়ে এক বন্ধু বললো, “একজন নন-বিলিভার কীভাবে একটি কলেজ চালাবে?”...

২. এরপর রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আর একজন বেশ উগ্র স্ট্যাটাস দিয়ে আমাকে আহ্বান করলো এ ব্যাপারে কিছু বলার জন্য।...

৩. তারপর “ইনোসেন্ট” ঘটনা। আর একজন বেশ লম্বা-চওড়া জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস দিল। দুটো দলের সর্বোচ্চ নেতাদের নিয়ে কেউ কিছু বললে যেখানে তাদের অনুসারীরা রাজপথ কাঁপিয়ে ফেলে সেখানে তাদের ধর্মীয় এবং সবক্ষেত্র মিলিয়ে সর্বোচ্চ মানুষটিকে নিয়ে এরকম ঘটনায় সবাই কেন চুপ? তাদের কী মান-সম্মানে কোথাও ঘা লাগছে না- ইত্যাদি বৃত্তান্ত সহকারে জিহাদি স্ট্যাটাস।...

উপরে উল্লেখিত তিনজনই বেশ ভাল জায়গায় লেখাপড়া করছে, আধুনিক মানে এ যুগের তরুণ বলতে যা বলা হয়। একসাথে যখন পড়তাম তখন তাদের অতোটা ধার্মিকও মনে হয়নি। বড়জোর ধর্মের প্রতি তাদের আনুগত্য থাকতে পারে এরকম ভাবতাম। কিন্তু ধীরে ধীরে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।

স্টিং অপারেশনের ক্ষেত্রে আমার মনে হয় যে, যেহেতু অপরাধীকে ধরা হচ্ছে একদম অপরাধ সংগঠনের আগ মুহূর্তে, সেক্ষেত্রে সন্দেহভাজন অপরাধীর সাথে আর কে কে জড়িত আছে তা বের করা সহজ হয়। প্রাথমিক অবস্থায় ধরে পিটিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে হয়তো অনেক খবর বের করা যায়, কিন্তু সময় নিয়ে অপরাধী কে সাহায্য করে- তার উপর কড়া নজরদারীর ব্যবস্থা করে- তার সাথে আর কারা সংশ্লিষ্ট তা খুঁজে বের করা অনেক সহজ বলেই মনে হচ্ছে আমার কাছে। অবশ্যই ব্যক্তিগত মত।

অরফিয়াস এর ছবি

দেশে জঙ্গি আছে কেডায় কয়? সবাই দুধ-ভাত !!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

অসাধারণ হয়েছে লেখাটা। ফেইসবুকে না জেনে বা অর্ধেক জেনে বহু মানুষকে বিজ্ঞের মতামত দিতে দেখছি। তাদের জন্য এই লেখাটা খুবই গঠনমূলক একটা জবাব।

কৌস্তুভ এর ছবি

এই নিয়ে সচলে একটা লেখা আসা দরকার ছিল। ধন্যবাদ।

তানিম এহসান এর ছবি

চলুকচলুক

ধুসর জলছবি এর ছবি

চলুক চলুক

ডাউটফুল  এর ছবি

যারা বলছেন এতসব নাটকের প্রয়োজন কী ছিল? সরাসরি নাফিসকে গ্রেফতার করে নিলেই হতো। তাদের একটু বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে। তাদের বুঝতে হবে থট ক্রাইম আর ক্রাইম এক জিনিস না। নাফিস মোবাইলে বারবার কল দিয়ে বোমা ডেটোনেট করার চেষ্টা করছিল যা তার অপরাধকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছে। গাড়িতে আসল বিস্ফোরক থাকা না থাকায় নাফিসের অপরাধ কোন অংশে লঘু হয় না।

কি প্রমান দেখে বিশ্বাস করলেন যে সেদিন সকালে "ক" সময়ে ফেড রিসার্ভ ব্যাংকের "খ" অংশের সামনে "গ" মডেলের একটা ভ্যান নাফিস নামের একটা ছেলে পার্ক করেছে এবং পরে সেটার ভেতরে ডামী এক্সপ্লোসিভ পাওয়া গেছে ?

আমরা কি এখনো পর্যন্ত নাফিসের মুখ থেকে কিছু শুনেছি ?

না।

বোমা হামলা কি হয়েছে ?

না

একটা ভ্যান চালিয়ে নাফিস সেটা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সামনে পার্ক করেছে সেটার কোন রেকর্ডেড ভিডিও ক্লিপ্স আছে ?

না

আন্ডার কভার এফ বি আই এজেন্ট যদি নাফিসকে নিয়ে এই গেইমটা খেলতে পারে , তাকে অ্যারেস্ট করার সব সেটআপ রেডি রাখে , তাহলে প্রমান হিসেবে পথচারির বেশে গোপন ক্যামেরা দিয়ে এটা ভিডিও রেকর্ড করলো না কেন - যে নাফিস একটা ভ্যান চালিয়ে সেটা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সামনে পার্ক করেছে ?
যুক্তি মেলে ?

না

নাফিস কে অ্যারেস্ট করার পর কোন পথচারী যারা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সামনে দিয়ে আসা যাওয়া করেছে তাদের কেউ কি মিডিয়াকে ফোন করে এখনো জানিয়েছে যে - এই রকম একটা ভ্যান আমরা ফেড রিজার্ভ ব্যাংকের সামনে পার্ক করা দেখেছি ?

না

তাহলে সেখানে কি আদৌ কোন ভ্যান ছিলো ?

তাহলে আমরা কি দেখে বিশ্বাস করলাম যে নাফিস নামের ছেলেটা বোমা হামলা করতে চেয়েছিল?

সারা পৃথিবীতে এখন সিসিটিভির ক্যামেরা বেড়ে গেছে। কেন ?
আনসার্টেন সন্ত্রাসী হামলা গুলোতে সাসপেক্টকে পরে যাতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বের করা যায়।
লন্ডনে ৭/৭ বোম্বিং এর সময় টিউব স্টেশনের সিসিটিভির ফুটেজ দিয়ে পাকিস্তানী বোম্বার পোলাপান গুলাকে সনাক্ত করা হইসিলো।

নাফিসের ঘটনাটা আনসার্টেন ছিলো না।
আন্ডারকভার এফবিআই এজেন্ট সব জানতো , সবই সার্টেন ছিলো।
কবে , কখন , কোথায় কিভাবে ঘটনাটা ঘটবে- সবই সে জানতো।
সেভাবে তার সেটআপ ছিলো - পয়েন্ট "এ" তে এজেন্ট "এ" , পয়েন্ট "বি" তে এজেন্ট "বি" , চারদিক থেকে ঘিরে ধরে নাফিসকে আটকানো হয়েছে ।

এরকম একটা সার্টেন ঘটনায় এফ বি আই এজেন্ট হিডেন ক্যাম ব্যবহার করলো না কেন পুরো ঘটনার চাক্ষুষ প্রমান রাখার জন্য।
আমরা তাহলে সেই রেকর্ডেড ভিডিও ক্লিপসে দেখতে পারতাম - নাফিস নামের ছেলেটা একটা ভ‌্যান চালিয়ে এসে ফেড রিসার্ভ ব্যাংকের সামনে পার্ক করেছে এবং পার্ক করে গাড়ী ছেড়ে অন্য দিকে সরে যাচ্ছে।

বাংলাদেশী আম্পায়ার নাদির শাহের ম্যাচ ফিক্সিং কিংবা তেহেলকা ডট কমের এজেন্টের কাছ ইন্ডিয়ান মন্ত্রির ঘুষ খাওয়ার ঘটনা গুলোর হিডেন ক্যাম ভিডিও আছে , এরকম আরো অনেক পাওয়া যাবে একই ধরনের ঘটনায়।

নাফিসের বেলায় পাওয়া গেলোনা কেন ?

এফ বি আই / সি আই এ - এরা কি সত্যবাদী যুধিষ্ঠির এ ধরনের ঘটনা গুলোতে?

দ্রোহী এর ছবি

কাইন্দেন না ভাই। নাফিস এম এ জলিল অনন্ত না যে তার পিছে হলিউডি ক্যামেরা ঘুরবে আপনেরে সিনেমা দেখানির লাইগা। নাফিস ২১ বছরের একটা দামড়া যে কিনা গেলমান পোন্দানির লোভ করতে গিয়া নিজেই পোন্দানি খাইতেছে। এফবিআইয়ের কাছে কিছু একটা আছে যার ভিত্তিতে তারা আপনেরে না ধইরা নাফিসরে ধরছে। আপনে দেখতে চাইলে তো আগে দেখতে চাওয়ার যোগ্য হইতে হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কি কোন প্রমাণ দেখতে চাইছে? পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বলছে নাফিস রোহিঙ্গা হইলেও হইতে পারে। তাইলে এফবিআই কেন আপনেরে প্রমাণ দেখাইতে যাবে? দরকারটা পড়ছে কী? তারা কী আপনের তালুই লাগে?

আবার মিল্লাত বামদের মত কইয়েন না যে আমেরিকা বাংলাদেশে ঘাঁটি গাড়ার জন্য ইঙ্গ-মার্কিন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে নাফিসরে বলির পাঁঠা বানাইছে। আমেরিকার বাংলাদেশ আক্রমণ করার কষ্ট করার দরকার নাই। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে নোবেল বিজয়ী পর্যন্ত আমেরিকার কাছে পুটকি বাগা দিয়া থুইছে। দেখেন না দুইদিন পর পর বিচার দিতে আমেরিকায় যায় তারা।

এফবিআই/সিআইএ সত্যবাদি হইতে যাবে কোন দুঃখে? তারা তাদের দেশের নিরাপত্তা দেখবে। সেইটা দেখতে গিয়া দুই/চারজন জিহাদিরে পুটকি মারতেও তারা দ্বিধা করবে না।

তা আপনেরে সুযোগ দিলে বোমা হামলা কইরা ইসলাম কায়েম করবেন কি না এইটা আগে কন?

অতিথি লেখক এর ছবি

হাততালি ভাল লিখেছেন দ্রোহী।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইজানের মুখ খারাপ হইলে ও কথাগুলা চরম পছন্দ হইছে-"বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে নোবেল বিজয়ী পর্যন্ত আমেরিকার কাছে পুটকি বাগা দিয়া থুইছে" "এফবিআই/সিআইএ সত্যবাদি হইতে যাবে কোন দুঃখে? তারা তাদের দেশের নিরাপত্তা দেখবে। সেইটা দেখতে গিয়া দুই/চারজন জিহাদিরে পুটকি মারতেও তারা দ্বিধা করবে না।"

সাবেকা  এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

সত্যপীর এর ছবি

বাংলাদেশী আম্পায়ার নাদির শাহের ম্যাচ ফিক্সিং কিংবা তেহেলকা ডট কমের এজেন্টের কাছ ইন্ডিয়ান মন্ত্রির ঘুষ খাওয়ার ঘটনা গুলোর হিডেন ক্যাম ভিডিও আছে...নাফিসের বেলায় পাওয়া গেলোনা কেন ?

আন্ডারকভার অপারেশন নিয়া আপনের জ্ঞান শূন্যের কোঠায় বুঝা যাচ্ছে। অডিও ভিডিও ছাড়া স্টিং অপারেশন হয়না, ভিডিও আপনে ইউট্যুবে সার্চ দিয়া পাননাই দেখে নাই ধরে নিলে চলবে? এইখানে প্রেস রিলিজ দেখেন, এফবিআই পরিষ্কার বলতেসে স্টেপগুলান। প্রতিটা স্টেপ যদি তারা অডিও ভিডিও সহকারে প্রমাণ করতে না পারে তাইলে আপনের বিলাভেড নাফিস বেকসুর খালাস!

বোমা হামলা কি হয়েছে ? না

বুকটা ফাইটা যাইতেছে ভাইডি? বোমা ফাটলে মনডা শান্ত হইত?

আবাল কুনহানকার।

..................................................................
#Banshibir.

দ্রোহী এর ছবি

আপনে তো খাড়ার উপ্রে দিয়া দিলেন। ভাইজানের ডাউট পুরা ফুল হয়ে গেছে।

বাংলাদেশের জ্ঞানীগুণী লোকজন যেমন গুগলের কাছে চিঠি লেখে তেমনি করে উনিও নিশ্চয়ই এফবিআইয়ের কাছে চিঠি লিখতে গেছেন।

সত্যপীর এর ছবি

হালারা খালি ডাউটই দিব।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক চলুক

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

স্যাম এর ছবি

চলুক

ফারাসাত মাহমুদ এর ছবি

আপনি যে পয়েন্ট গুলোতে "না" বলছেন কিসের ভিত্তিতে বলছেন তা দয়া করে প্রকাশ করুন। এফ বি আইয়ের সাথে আপনার কি যোগাযোগ হয়েছে? তাদের থেকে কি আপনি প্রমাণ চেয়েছেন? তারা আপনার কাছে স্বীকার করেছে যে তাদের কাছে কোন প্রমান নেই? তারা শুধু "চোর ডাকাত বাবু নাফীস" প্র্যাক্টিক্যালী খেলার জন্য তাকে ধরেছে??
ঠিক বুঝলাম না আপনি কি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন?? ভিডিও ক্লিপ থাকলেই সেটা কি মিডিয়া তে ছেড়ে দিতে হবে অথবা আপনার কাছে মেইল করে দিতে হবে নাকি?? বিচার তো এখনো শুরুই হয়নি। আর পৃথিবীর দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের তথ্য প্রমাণ আদালতে পেশ না করে জনগনের সামনে প্রকাশ করে?? আপনি তেহেলকা ডট কমের সাথে এফ বি আই অথবা সি আই এ কে মেলাচ্ছেন কেন? একটা হচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আরেকটা হচ্ছে একটা মিডিয়া প্রতিষ্ঠান। দুটোর কার্যপরিধি দুই রকম।

"নিশ্চয় জ্ঞানী ব্যাক্তি গানা তে জন্মগ্রহন করে"।

ফারাসাত মাহমুদ

সত্যপীর এর ছবি

"নিশ্চয় জ্ঞানী ব্যাক্তি গানা তে জন্মগ্রহন করে"।

হাততালি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

..................................................................
#Banshibir.

দ্রোহী এর ছবি

এমন করেন কেন? ভাইজান প্রচুর হলিউডি সিনেমা দেখে।

ধুসর জলছবি এর ছবি

"নিশ্চয় জ্ঞানী ব্যাক্তি গানা তে জন্মগ্রহন করে"।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি শয়তানী হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক চলুক গড়াগড়ি দিয়া হাসি

হিমু এর ছবি

আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন, কোনো রকম ভিডিও ক্লিপস না দেখেই কিন্তু আপনি বিশ্বাস করেছেন যে আল্লাহ আছেন এবং মুহম্মদ আল্লাহর রসূল। কেন করেছেন?

ফারাসাত মাহমুদ এর ছবি

আমি একটা পয়েন্ট যোগ করি।

নাফীসের সাথে কি বুদ্ধমূর্তির ছবি পাওয়া গেছে?? - "না"

ডাউটফুল এবার কনফার্ম ডুমুরের ফুল হয়ে যাবে!! চোখ টিপি

ফারাসাত মাহমুদ

শুভায়ন এর ছবি

চলুক

অরফিয়াস এর ছবি

একটা প্রশ্ন-

"সলিড আবাল" রপ্তানি কি আমাদের দেশের জন্য নতুন একটি সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে?

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাবেকা  এর ছবি

হো হো হো

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সকালে উঠে ঠা ঠা করে হাসলাম। গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মন মাঝি এর ছবি

একটু উপ্রে আমার আগের একটা কমেন্টে ইদানিং শিক্ষিত তক্‌মাধারী লোকের অশিক্ষিত আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন রেখেছিলাম। এত দ্রুত যে এখানেই তার হাতেনাতে উদাহরণ পেয়ে যাব কল্পনাও করিনি। কোন এক পণ্ডিত বলেছিলেন, স্কুল-কলেজে পড়ার আসল ফায়দা হল এটা মানুষকে চিন্তা করতে শিখায়। এটুকুই নীট প্রাপ্তি। বুঝা যাচ্ছে এক্ষেত্রে আপনার প্রাপ্তিযোগ শুধু শুন্যের কোঠায় না, বরং মাইনাসের ঘরে। সরকারি তদন্তকারি সংস্থা তথ্যপ্রমান ও তদন্তের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ আদালতে পেশ করার আগে পাব্লিক ডোমেনে ছেড়ে দিবে এটা আপনি ভাবলেন কি করে?!! বাংলাদেশেও তো এটা হয় না। আদালত-ফাদালত তুলে দিয়ে আইনি বিচারকার্য কি এখন ব্লগ, ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউবে বা হাটেবাজারে-চায়ের দোকানে হবে নাকি? নাকি এটা হলিউডের কোন ডিটেক্টিভ সিনেমা? আমি স্তম্ভিত আপনার চিন্তার দৌড় দেখে। উইথ অল ডিউ রেস্পেক্ট অর আদারওয়াইজ, আমার অকাট অশিক্ষিত কাজের লোকটারও এর থেকে কাণ্ডজ্ঞান আর বোধবুদ্ধি বেশি। আমি শুধু ভাবছি এবং আগের কমেন্টেও প্রশ্নটা রেখেছিলাম, স্কুল-কলেজ (ভার্সিটি?)-এ পড়ালেখা করেও আমাদের 'শিক্ষিত' মানুষদের বেসিক কাণ্ডজ্ঞান ও বোধবুদ্ধির এত অভাব দেখা যাচ্ছে কেন ইদানিং - এতটাই যে মনে হয় 'পড়ালেখা' না করলেই বরং কাণ্ডজ্ঞানের এই ঘাটতিটা একটু কম হত? সমস্যাটা কোথায়?

****************************************

Muhammad Sadek এর ছবি

"why don't you use it to grow some fucking food!", মার্কিন রাজনৈতিক কমেডিয়ান বিল মেহের নিউ ইয়র্ক এ ১০০০ পাউন্ড সার দিয়ে ফেড ব্যাঙ্ক ভবন উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনাকারী গ্রেফতার হওয়া নাফিসকে নিয়ে মন্তৈব্য করেছেন। বুঝতে পারছি না মন্তৈব্যটি মজার না রাসিস্ট !

সুকান্ত  এর ছবি

আবার জিগস! ভাই আপনাদের অনুভুতি এত স্পর্শকাতর হয় কেম্নে? সার দিয়ে মানুষ চাষবাস ছাড়া আর কি করে বলে মনে হয়? আর যদি এইটাও বুঝায় থাকে যে বাঙালি চাষার জাত তাহলে বরং খুশি হওয়া উচিত। আপনার কোনো আইডিয়া নাই আমেরিকান চাষারা কি পরিমান বড়লোক।

আরেকটা মাগনা উপদেশ। জাতি হিসাবে হিসাবে আমরা খুব ভালো কিছুনা, গত কয় মাসের ঘটনা থেকে আশাকরি বুঝেছেন। কেউ যদি সেটা চোখে আংগুল দিয়ে দেখাতে আসে তাইলে মনেহয় সেটা মেনে নেয়া ছাড়া খুব বেশি একটা করার নাই।

হেমন্ত এর ছবি

আপনাদের প্রথমেই বুঝতে হবে যে এইটা ঘুষ বা পতিতাদের খদ্দের ধরার মত রেগুলার ক্রিমিন্যাল এ্যাক্ট না। এখানে এফবিআই এজেন্টের সমর্থন ও সহযোগীতা না পাইলে ঘটনা এতদুর যেতো কি না সেটাই নিশ্চিত না।

নাফিস জঙ্গীভাবাপন্ন ছিল, কিন্তু তাকে পরিকল্পনা ও সরঞ্জাম সরবরাহ করে জঙ্গী বানিয়েছে এফবিআই। এই সত্যিটুকু স্বীকার করতে আপনাদের বাঁধে কোথায় ???

হিমু এর ছবি

আপনাকে পরিকল্পনা বা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হলে আপনি এক হাজার পাউণ্ড বোমা দিয়ে কোনো ব্যাঙ্ক উড়িয়ে দিতে যাবেন? যদি যান, তাহলে আপনি যে একজন জঙ্গি, সেটা স্বীকার করতে আপনার সমস্যা কোথায়?

শুভায়ন এর ছবি

চলুক

হেমন্ত এর ছবি

নাফিস যে জঙ্গি তা স্বীকার করতে তো কারোই সমস্যা হচ্ছে না, কিন্তু আপনারা তার এই পরিনতিতে এফবিআইয়ের ভূমিকাটুকু স্কিপ করে যেভাবে তাকে একক দোষী বানাচ্ছেন সেটা শুধু সত্যের অপলাপ বা সুবিচারের বরখেলাপই হচ্ছে না বরং বাঙালীদের ভেতর এক ধরনের হীনমন্যতাবোধও ছড়াচ্ছে!

এফবিআইয়ের ভূমিকাটুকু তুলে ধরলে আমাদের ন্যাশনাল ডিফেন্সও হয় সেই সাথে নৈতিকভাবেও দৃঢ় থাকতে পারি।

তবে এটা সত্য এফবিআইয়ের ভূমিকার ন্যায্য সমালোচনা করলেও এক অর্থে মৌলবাদ কিছুটা সমর্থন পেয়েই যাবে।

তাই সবশেষে এটা আপনার-আমার ব্যাক্তিগত নৈতিকতার প্রশ্ন যে, নাফীসের বিষয়টাকে মৌলবাদ দমনের স্বার্থে কন্টেম্পোরারী এ্যাপ্রোচ থেকে ডিল করবো নাকি সত্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে নর্মেটভ এ্যাপ্রোচ গ্রহন করবো।

সত্যপীর এর ছবি

সত্য বলার জন্য যদি নাফিসের মত হারামজাদা জঙ্গীর বিপক্ষে কেস নড়ে যায় আর নাফিসকে চৌদ্দশিকের মধ্যে পোরা না যায়, তাহলে এফবিআই দেশের স্বার্থে এরকম ফাঁদ পাততেই পারে।

এই পন্থা নতুন কিছু নয়, মৌলবাদী জঙ্গী ধরার বহু আগে থেকে এই এনট্র্যাপমেন্ট ড্রাগ ডিলার বা পেডোফাইল ধরার ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত। এক্সট্রিম সিচুয়েশন এক্সট্রিম মেজার।

..................................................................
#Banshibir.

হেমন্ত এর ছবি

আবারো বলতে হচ্ছে, একটা টেরিরিস্ট এ্যাক্ট আর ঘুষখোর বা পেডোফাইল বা ড্রাগ ডিলিং এক জিনিস না! তাই এই কেসে স্টিং অপারেশনের সমর্থনে কিছু বলাটা গুরুতর ভুল।

ঘুষখোর-পেডোফাইল বা ড্রাগ এডিক্টসরা তাদের ক্রাইমে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং রেগুলার। কিন্তু টেরিরিস্ট এ্যাক্টটা উক্ত টেরিরিস্টের জন্য রেগুলার না এবং নাফীসের কেসে স্বয়ংসম্পূর্ণ তো নয়ই বরং ফেইলড এটেম্পটার সবচেয়ে ক্রুশিয়াল পার্ট, লজিস্টিক সাপোর্টটাই এসেছে অথরিটির কাছ থেকে। যা না হলে নাফীস এই হামলা পর্যন্ত যেত কি না সেটাই প্রশ্নবিদ্ধ। বোতাম চাপাটাই নাফীসের ক্রাইম কিন্তু পুরো হামলার যোগারযন্ত্র করেছে এফবিআই।

সুতরাং, দয়া করে ঘুষখোর-পেডোফাইল বা ড্রাগ ডিলিংয়ের সাথে নাফীসের কেসটা মেলাবেন না। এটা ভুল হয়।

তারপরও বলছিনা যে নাফীস নির্দোষ। যেহেতু আমি নর্মেটিভলি দেখছি বিষয়টা তাই বলছি, নাফীসকে এককভাবে দায়ী করা সঠিক না।

হিমু এর ছবি

টেররিস্ট অ্যাক্টকে তো রেগুলার হওয়ার কোনো দরকারও নাই। আপনার মনকলা ছিলে দেওয়ার জন্য কি এখন রেগুলার সত্যিকার বোমা ফাটানো পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এফবিআই?

আপনার মূল দুঃখ হচ্ছে নাফিসকে এফবিআই ক্যান ভুয়া বোমা গছাইলো। আপনি বারবার বলছেন, এই লজিস্টিক সাপোর্ট না পেলে নাফিস এই হামলা পর্যন্ত যেতো কি না তা নিশ্চিত না। তাহলে আপনি এই যুক্তিতে নাফিসের বাপকে কেন দায়ী করছেন না? তার লজিস্টিক সাপোর্ট না পেলে তো নাফিস মার্কিন মুল্লুকে কামলা দিয়েই কূল পেতো না, বোমা ফাটানোর তোড়জোড় নেওয়া তো দূরের কথা। আপনি নর্মেটিভলি ঐটুক পর্যন্ত দেখতে চাইছেন না কেন?

ঘুষখোর-শিশুধর্ষক-মাদকচালানীদের কেসের সাথে নাফিসের কেসের কোনো পার্থক্য নাই। আপনার ধারণা স্টিং অপারেশনে এদের ক্ষেত্রে শুধু আকামের মাঝখানে বমাল গ্রেফতার করা হয়? বমাল গ্রেফতার করার জন্য তো এফবিআইয়ের রেগুলার অপারেশনই আছে, স্টিং অপারেশন লাগবে কেন? স্টিং অপারেশন তো সেটাই যেখানে এফবিআইয়ের নিজস্ব অ্যাসেট অপরাধীর সহযোগীর অভিনয় করে তার উদ্দেশ্য এবং ক্রিয়া, দুটো সম্পর্কেই প্রমাণ সংগ্রহ করে তাকে পাকড়াও করে। এই উদ্দেশ্য আর ক্রিয়া বোমা ফাটানোর জন্য নাকি ঘুষ আদায়ের জন্য, সেটা আলোচ্য নয়।

সত্যপীর এর ছবি

বোমা না ফাটা পর্যন্ত এদের শান্তি নাই।

..................................................................
#Banshibir.

হিমু এর ছবি

আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, নাফিস আজকে পাকিস্তানে বা মগবাজারে বা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বোমা ফাটাতে গেলে এই লোকই এসে নর্মেটিভ বিশ্লেষণ করে নাফিসের পুটু বরবাদ করে দিতো। কম্পাসের কেবলা ঠিক করে রেখে হেগেমুতে একাকার করে গোড়ায় নর্মেটিভ চিকা মেরে দিলেই পয়সা হজম।

সত্যপীর এর ছবি

যেই হারামজাদা একহাজার পাউন্ডের বোমা মাইরা হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু চায় সে ড্রাগ ডিলার পেডোফাইলের থেকে কুনদিক দিয়া ভালো হইল? কি বালের কথা বলেন? ড্রাগডিলার পেডোফাইলকেও একইরকম ফাঁদে ফেলা হয়, তারাও একচুয়াল ক্রাইম করার আগেই ধরা পড়ে। নাফিস কোনদিকদিয়া এদের থেকে ভালো হইল?

ঘুষখোরের কথা আমি বলিনাই আপনি বলছেন। ঘুষখোরকে ধরার জন্য স্টিং অপারেশন হয় শুনিনাই, স্টিং অপারেশন হয় টেররিস্ট ড্রাগ ডিলার পেডোফাইল এরকম ভয়ংকর আসামী ধরার ক্ষেত্রে।

..................................................................
#Banshibir.

হিমু এর ছবি

আপনি কি এফবিআইয়ের অভিযোগপত্রটি পড়ে দেখেছেন? যদি সেটা পড়ে এফবিআইয়ের ভূমিকা আলোচনা করতেন, ভালো হতো না?

আপনি এবং আপনার মতো আরো অনেকে বলছে যে এফবিআইয়ের সাহায্য না পেলে নাফিস এতদূর যেতে পারতো না বা যেতো না। কেন নাফিস এতদূর যেতে পারতো না বা যেতো না, তার পেছনে শক্ত কোনো যুক্তি নেই। আর আপনার যুক্তিতে তো নাফিসের বাপকেও আপনি দায়ী করতে পারেন। তিনি ভূমিকা না রাখলে নাফিস তো দুনিয়াতেই আসতো না। কিংবা লেখাপড়া শিখতো না। কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারতো না।

কপালের ফেরে নাফিস নামকাওয়াস্তে বোমা ফাটানোর কাজটা এফবিআইয়ের স্টিং-এর সহযোগিতায় করেছে। সেটা এফবিআই না হয়ে এমন কেউ হতে পারতো যে নাফিসকে খাঁটি বোমা সরবরাহ করতে পারতো। দাখিল করা অভিযোগপত্র পড়লে আপনি দেখতে পাবেন, নাফিসের নিজের কনট্রিবিউশন এই গোটা ঘটনায় কতটুকু। এফবিআই তাকে ফুসলি দিয়েছে, এই যুক্তিটা এই কারণে টেকে না যে এফবিআই তাকে এফবিআই পরিচয়ে ফুসলি দেয়নি। আর নাফিসও বোমাটা এফবিআইয়ের নামে বা খাতিরে নয়, ইসলাম-জিহাদ-আলকায়দার খাতিরে ফাটাতে গিয়েছিলো।

এই অভিযোগের সত্যাসত্য নিয়ে মার্কিন আদালত এখন মাথা ঘামাবে। কিন্তু স্টিং অপারেশনের জন্য এফবিআইকে অভিযুক্ত করে নাফিসকে "পরিস্থিতির শিকার" যারা বানাতে চায়, তাদের মতলববাজির কিসিমটাও আমাদের বুঝতে পারা জরুরি। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার টাকা ধোলাইয়ের একটা চাঞ্চল্যকর মামলা চলমান, যেটাতে এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে একজন কর্মকর্তা সাক্ষী। কাজেই নাফিসের কেসে এফবিআইকে প্রশ্নের মুখে ক্রমাগত ফেলতে পারলে ঐ মামলা সম্পর্কে মিডিয়া মানুষের মনধোলাইয়ের কাজেও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। আপনি কি ঐ লাইনেই বাক্যক্ষয়ের ধান্দায় এসেছেন?

এফবিআইয়ের ভূমিকা এখানে শঠে শাঠ্যং।

আমাদের ন্যাশনাল ডিফেন্সের লুঙ্গি নাফিসের এই কেস ছাড়াই নানাভাবে উত্তোলিত। আর নৈতিকভাবে দৃঢ় থাকার জন্য একটা চ্যাংড়া আবালরে এফবিআইয়ের চেয়ে বেশি ক্রেডিবিলিটি দিতে হয় না। নাফিস বোমা মারতে গিয়ে ধরা পড়ে হোগামারা খেলেও আমাদের নৈতিকভাবে দৃঢ় থাকার পথ আছে, সেটা হচ্ছে নাফিস এবং নাফিসের অ্যাপোলজিস্টদের ডিনাউন্স করা।

আপনি যদি তারেক জিয়ার পিছনদিক বাঁচানোর জন্য অ্যাপ্রোচের পিছনে লাগানোর মতো অ্যাডজেকটিভ নিয়ে পানি ঘোলা করতে চান, ঝেড়েকেশে সেটা বললেই পারেন। তখন দেখবেন অ্যাডজেকটিভের অভাব পড়বে না। আর সচলে মন্তব্য করতে চাইলে দয়া করে একটা নিক ফিক্স করেন। নর্মেটিভ অ্যাপ্রোচ মারাইতে চান, একটা পরিচয় নেন। একেকদিন এসে একেক নিকে কথা বলেন, আপনার কি নিজেকে ছোটো লাগে না? মানুষের তো এইটুকু আত্মসম্মান থাকা উচিত।

ফারাসাত মাহমুদ এর ছবি

এই সত্যটুকু তো কেউ অস্বীকার করছে না। কিন্তু আপনি চিন্তা করে দেখুন এফ বি আই এজেন্টের জায়গায় যদি কোন জঙ্গীগোষ্ঠী সমর্থন ও সহযোগীতা দিতো তাহলে পরিণতি কি হতো?? এরপর ওই দেশে বসবাসরত লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশীদের কি হতো?
মুহম্মদ জাফর ইকবালের একটা গল্পের "মহাকাশে মহাত্রাস" এ ভিলেন হারুন হাকশী তার হাতে আটককৃত নায়কদের কে ৩ বার সুযোগ দেয় তাকে হত্যা করার জন্য। শর্ত ছিলো একটাই - যে মূহুর্তে নায়করা তাদের পরিকল্পনার সময় নির্ধারণ করবে সেই মূহুর্তে একটা সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে মনে করা হবে। এখানেও ঘটনা টা সেরকমই। নাফীস রিমোট কন্ট্রোলের বাটন টিপেছে মানুষ হত্যা করার উদ্দেশ্য নিয়ে। এতেই কিন্তু তার হত্যাচেষ্টার অপরাধ প্রমাণিত হয়।

পুতুল এর ছবি

লেখাটার জন্য ধন্যবাদ দিগন্তদা। আমার মনে হয় বিষবৃক্ষের ফলের চেয়ে বৃক্ষটা বেশী ভয়ঙ্কর। সেই বৃক্ষ বা ইসলামী জঙ্গীবাদের কারণ নির্ণয় অনেক বেশী জরুরী। সে দিকটা আলোচনায় আসলে আরো ভাল লাগতো।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

আইলসা এর ছবি

লেখাটা খুব ভালো হইছে। আমি ঠিক এই কথাটাই বলতে চাইছিলাম- সুতলি অপারেশন বা চাক্কু অপারেশন যাই হোক- নাফীস তো রিমোটে চাপ দিছে। বোমাটা আসল হইলে তো হাজার খানেক নিরীহ মানুষ মরতো। সুতরাং ওরে আছিলা বাশ দেয়া উচিত। গাধা কোনহান কার। কেউ কেউ আবার এফবিআই এজেন্টরে দোষ দিতাছে!! আরে এফবিআই এজেন্ট কি ওরে জোর কইরা বোম দিছে। আর কেউ কইলেই কি আমি যাইয়া গু খামু। নাফিরে বাপ-মারে কান্দন উচিৎ পোলা আল কায়দা এই জন্য না বরং পোলাটা একটা রামছাগল এই দুঃখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক চলুক

হাসান এর ছবি

নাফিসের আব্বহুজুর দেখলাম ছেলের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে বলছেন তার ছেলে "পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়ে"। গলদের গোড়া এইখানেই। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া মানেই ভালো মানুষ এই ধারণা বাংলাদেশী মুসলমানের মনে সিমেন্টের মতো জমে গেছে। ইসলাম থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে যারা বোমা হামলা আর অন্যান্য জিহাদী তরিকায় মানুষ খুন করতে চান, নামাজীর পরিমান তাদের মধ্যেই বেশী। আগেও বলেছি, আবারও বলি- গলদের গোড়া ইসলাম ধর্মে।

পিয়াল এর ছবি

"পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া মানেই ভালো মানুষ এই ধারণা বাংলাদেশী মুসলমানের মনে সিমেন্টের মতো জমে গেছে। "
চলুক

স্যাম এর ছবি

"পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া মানেই ভালো মানুষ এই ধারণা বাংলাদেশী মুসলমানের মনে সিমেন্টের মতো জমে গেছে। " চলুক চলুক

রু এর ছবি

আগেই পড়েছি. মন্তব্য করা হয়নি। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় এটা নিয়ে আবার বলার কি আছে?! কয়েকজন এপলোজিস্ট যখন দর্শন দেয়, তখন এর প্রয়োজনীয়তাটা বোঝা যায়।

দিগন্ত এর ছবি

প্রথম আলোর সম্পাদকীয়তে সরাসরি স্টিং অপারেশনের সমালোচনা করে বলা হচ্ছে যে -

" যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) যোগসাজশে তাঁকে যে প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা নিয়ে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই সমালোচনা রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গোয়েন্দা ফাঁদ পেতে; এফবিআইয়ের একজন সদস্য সন্ত্রাসবাদীর ছদ্মবেশে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করেছেন; সন্ত্রাসী তৎপরতায় উৎসাহ জুগিয়েছেন এবং ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ভবন উড়িয়ে দেওয়ার কথিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য এক হাজার পাউন্ড ওজনের নকল বিস্ফোরক তাঁকে সরবরাহ করেছেন। এ ধরনের পদ্ধতিকে আমরা সমর্থন করি না।"

কেন পদ্ধতি তারা সমর্থন করছেন না সে বিষয়ে অবশ্য কোনো বিশদ আলোচনা করা নেই প্রবন্ধে।

তার ওপর "ধরি মাছ না ছুঁই পানি" গোছের কথাবার্তাও আসছে, যদিও সন্ত্রাসবাদ ও বাদীদের সমালোচনাই করা হয়েছে, তাও মোড় অন্যদিকে ঘোরানোর প্রচেষ্টাও আছে -

"তাঁর পারিবারিক সূত্রে যেটুকু তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে তাঁর মতো নরম প্রকৃতির তরুণের পক্ষে এ ধরনের ব্যাপক-বিধ্বংসী সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত থাকাকে অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়।"

প্রথম আলো সক্রিয়ভাবেই নাফিসকে সমর্থন করে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

স্যাম এর ছবি

প্রথম আলো সক্রিয়ভাবেই নাফিসকে সমর্থন করে যাচ্ছে --- সে আর বলতে !
সাথে আরেকটা লেখায় এক 'বিশিষ্ট' লোক এর একটু খানি -
"একটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হলো, একটু একটু করে প্রমাণ মিলছে যে ব্যাংকের সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই লোপাট-কাণ্ডের হোতা। কর্মকর্তারা হল-মার্ক গ্রুপকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন, বিনিময়ে প্রাপ্তি যোগ ঘটেছে তাঁদেরও। গণমাধ্যমে এসবই পুরোনো সংবাদ। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হলো মানুষের নীরবতা। শাসক দলের স্তুতি, বিরোধী দলের নিষ্ফল হুংকার আর শিক্ষিত সম্প্রদায়ের গা বাঁচিয়ে চলার ক্লীবতর দিনরাত আমাদের জন্য কোন ভবিষ্যতের ইঙ্গিত করে? যে পাকিস্তানকে নিয়ে, তাদের নিজস্ব ও তালেবানি বিশৃঙ্খলা নিয়ে আমরা মুখ টিপে হাসি, মালালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই পাকিস্তানে কী অসাধারণ প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে! ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে মুক্তবাক মানুষ, অন্তঃপুরবাসিনী নারী থেকে শুরু করে অভিজাত পুরুষ, কে নেই সেই প্রতিবাদ ও সংহতির মিছিলে? ধর্মের নামে কত বড় অধর্ম ঘটছে এখানেও। আমাদের প্রতিবাদ কই? একটা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের জন্য না একাত্তরে কত বলিদান হলো এই দেশে? তার বিনিময়ে এই লুটপাটের স্বর্গরাজ্য? ধর্মের নামে হিংসা-বিদ্বেষের এই স্বদেশ?" - আহা আহা আহা

সবজান্তা এর ছবি

চীনের মেলা থেকে ফেরার পর থেকে দেখি রাখ ঢাক কমে গেছে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অচল এর ছবি

গুরু গুরু

Emran manwithnoname844@yahoo.com এর ছবি

স্টিং অপারেশান নিয়ে সমালচনা থাকতে পারে, কিন্তু নাফিস-এর দায়িত্ব এড়ানো যায় না। আমরা যতদূর জানি, সে নিজেই হামলার জন্য সহযোগী খুঁজে বেড়াচ্ছিল। এফবিআই আভাস পেয়ে স্টিং অপারেশান শুরু
করে। আমেরিকাতে বাংলাদেশি কম থাকে না। সচলের অনেকেই আমেরিকা প্রবাসি। তাদের কয়জনকে এফবিআই বোমা হামলার উস্কানি দিসে, জানতে মন চায়। নাফিসের বিরুদ্ধে স্টিং অপারেশান কোন রানডোম ইভেন্ট বলে মনে হয় না। এ ধরনের অপারেশানের আরেকটা লক্ষ্য থাকে "অপরাধি" কি একা কাজ করছে, নাকি তার পিছে দলবল আছে, সেটা জানা। এজন্য "অপরাধি"-কে পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে দেয়া হয়। নাফিসের ক্ষেত্রেও হয়ত এই চিন্তা কাজ করতে পারে। যাই হক, এটা কিন্তু এখন বিচারাধীন মামলা। স্টিং অপারেশানের বৈধতা এবং নাফিসের দায়িত্ব আমেরিকান কোর্ট নিরূপণ করবে। আলুর কথার কোন গুরুত্ব নাই এখানে। আর বাংলাদেশ সরকার নাফিসের ব্যাপারে হাত ধুয়ে ফেলসে বইলেই মনে হয়।

দ্রোহী এর ছবি

বাঙালি একটা জাতি বটে!

এই দেশে হিটলারকে পছন্দ করার মতো মানুষের অভাব হয় না! এই দেশে হাসান সাঈদ সুমনের মতো নরপিশাচের জন্য মানুষ কান্দে! এই দেশের মানুষ নাফিসের মত জঙ্গী লোকজনকে বীর মনে করে! এ দেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে গেলে মানবতা লঙ্ঘিত হয়!

পৃথিবীতে এত এত দেশ থাকতে আমাকে এই দেশে জন্ম দেয়ার জন্য ঈশ্বরের মাকে ুি। রেগে টং

মাহবুবুল হক এর ছবি

দিগন্তকে চমৎকার লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। তারচেয়ে বেশি ধন্যবাদ যারা এতে অসাধারণ মন্তব্যগুলো করেছেন। মন্তব্য না বলে বিশ্লেষণ বলাই যুক্তিসঙ্গত। নাফিস অপরাধি কিনা জানি না, ভুয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমেরিকা বাগদাদ ধ্বংস করে দিল একথা যেমন আজকে প্রমাণিত আবার স্টিং অপারেশন এর কার্যকারিতা যে অনেকবার প্রমাণিত হয়েছে একথাও ঠিক। হয়ত নাফিস একজন বাংলাদেশি বলে আমাদের খারাপ লাগছে কিন্তু তার উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই মহৎ ছিল না। হয়তো তার বয়সের অপরিপক্কতা তাকে ফাঁদে পা দিতে সাহায্য করেছে কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছের সেই কথাটি ভুলে যাই কী করে - ‌খোঁড়ার পা খানায় পড়ে সে কেবল খানার দোষ নয় খোঁড়ার পায়েরও সেদিকে পড়ার প্রতি বিশেষ ঝোঁক আছে।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

দিগন্ত এর ছবি

প্রথম আলোর আজকের লেখায় স্টিং অপারেশনের সমালোচনা আছে। কিছু উল্লেখযোগ্য লাইন -

"এ পর্যন্ত তাঁর ‘কৃতকর্ম’ সম্পর্কে দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে যা কিছু প্রকাশিত হয়েছে, তারও একমাত্র উৎস এফবিআই।"

কারণ এখনও কোর্টে কেস ওঠেইনি।

"ওই ঘটনার মামলায় একজন বিচারক এফবিআইয়ের এই কর্মপদ্ধতিকে ‘ক্রিয়েটিং টেরোরিজম’ বা সন্ত্রাসবাদ তৈরি করা হিসেবে বর্ণনা করে এর সমালোচনা করেছিলেন।"

এই বক্তব্যটা হোলসেলে ব্যবহার হচ্ছে কিন্তু কেউ লিখছে না ওই বিচারক আসামীর শাস্তি বহাল রেখেছিলেন।

"ফেডারেল রিজার্ভ ভবনে হামলা চালানোর মতো বাস্তবিক সামর্থ্য মাত্র ২১ বছর বয়সী এই তরুণের ছিল না, যিনি মাত্র নয় মাস আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র গেছেন পড়াশোনা করতে। একা এমন সাহসও হয়তো তাঁর ছিল না, তাঁর বাবার বর্ণনা থেকে অন্তত সে রকমই মনে হয়।"

একইভাবে নাফিস হামলা চালিয়েছে - এরকম মর্মে তার ওপর কোনও অভিযোগ আনা হয়নি। সাহসে আসত কিনা সেটা এফ বি আই-এর জায়গায় আল-কায়দার সাথে জড়িত হলে আরও ভালভাবে বোঝা যেত, কিন্তু বোঝা না যাওয়ার কিছু নেই এখনও।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অতিথি লেখক এর ছবি

বাঙালীরা আপনারা কি একটু কম বুঝেন? হাতে নাতে ধরা পরার পরও সন্দেহ? অনেকের আচরন দেখলে মনে হয় যদি আল কায়েদার সাহায্যে করত আর বোমটা ফাটাই দিত তাহলে খুশী হতেন। যেমনি তারা খুশী হয়েছিলেন কিছুদিন আগে সংগঠিত হয়ে যাওয়া হ্যারিকেন স্যান্ডিতে। তাদের দেশ কি করছে কেন করছে সেটা অন্য ব্যাপার। কিন্তু মানুষ হয়ে কিভাবে মানুষের বিপর্যয়ে আমরা খুশী হতে পারি??

jatra shuru

অতিথি লেখক এর ছবি

কেউ হাসছেন, কেউ মজা করছেন --- আল্টিমেট রেজাল্ট কি?
সবথেকে কষ্টের ব্যাপার হলো, আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ই সত্য কে জানার চেষ্টা করি না তারপর ও যদি জানতে পারি তাহলে তা আমাদের মন মতো না হলে আমরা তাকে মানতে পারি না ।।।।
নিজের স্বার্থের বিপক্ষে যা কিছু তার পুরো দায়ভার আমরা দিয়ে দেই অন্যের কাঁধে ।।।
আমাদের শিক্ষা টা আসলে সুশিক্ষা হয়নি ।।। আমরা শিক্ষিত তো হয়েছি কিন্তু সুশিক্ষিত এবং ন্যায় বোধ সম্পন্ন হতে পারিনি।।।
নিজের দেশ টা কে যে কই নিয়ে যাচ্ছি জানি না ।।।
আল্লাহ্‌ আমাদের কে সৎ বুদ্ধি দিক । আমরা যেন মানবতাবোধ কে কাজে লাগিয়ে প্রতিটা পদক্ষেপ নিতে পারি এবং নিজের ও নিজের দেশের সম্মান কে সমুন্নত করতে পারি।।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।