বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও তার প্রভাব নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হচ্ছে। আমি সেই বিষয়ে কিছু ইনফোগ্রাফ ও তথ্য-সংকলন শেয়ার করতে চাই। ল্যাটেখে এখনও ততটা পারদর্শী নই বলে সাধারণ এক্সেল আর গুগল চার্টের তথ্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকছি আপাতত।
প্রথমে বাংলাদেশের ঠিক কতটা উন্নয়ন দরকার। বিতর্কে বলা যেতে পারে যতটা এগোনো যায় ততটাই ভাল, কিন্তু এর একটা মাপকাঠি নিয়ে রাখা ভাল। বাংলাদেশের মাথাপিছু গড় আয় (ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্যের অন্যতম নির্ণায়ক) পাশাপাশি কিছু উন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের থেকে পিছিয়ে।
বাংলাদেশ ঠিক কতটা পিছিয়ে আছে বা কতটা “ক্যাচ-আপ” করতে হবে - সেটা দেখা যাচ্ছে প্রথম গ্রাফে। আমি এই জন্য চারটি দেশকে বেছে নিয়েছি - ভারত, চিন, মালয়েশিয়া ও কোরিয়া।
দ্বিতীয়টিতে দেখে নিই এই দেশগুলো বাংলাদেশের অবস্থানে কত বছর আগে ছিল। দেখা যাচ্ছে মালয়েশিয়া বা কোরিয়া ঠিক বাংলাদেশের তুলনার রেঞ্জে আসে না, বরং চিনকে লক্ষ্য করাই সঠিক হবে। গত আট বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু গড় আয় দ্বিগুণিত হয়েছে। বর্তমান চিনের পর্যায়ে যেতে গেলে ঐ একই হারে প্রবৃদ্ধি হলে বাংলাদেশের সময় লাগবে প্রায় ২২ বছর। একইভাবে, বর্তমান ভারতের পর্যায়ে যেতে হলে সময় লাগবে সাত বছর। এর অবশ্যই বিকল্প আছে, বাংলাদেশ যদি ব্যক্তিগত স্বাচ্ছন্দ্যের নির্নায়ক হিসাবে মাথাপিছু আয়ের পরিবর্তে অন্যকিছু (গ্রস হ্যাপিনেস?) ব্যবহার করে, তাহলে এই দৌড়ে সামিল হবার দরকার পড়ে না।
এর পরের চার্টে দেখব বাংলাদেশের দুর্বলতা। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বাৎসরিক যে তথ্য প্রকাশ করে, তা অনুসারে বাংলাদেশের কম্পিটিটিভনেস বাকি চার দেশের থেকে পিছিয়ে আছে। কিন্তু এই পশ্চাদপদতা সবক্ষেত্রে সমান নয়। চার্টে প্রকাশ বাংলাদেশের দুর্বলতা বেশী হল পরিকাঠামোতে। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বাংলাদেশ প্রায় এদের সমকক্ষ।
উন্নয়নের ক্যাপাসিটি কন্সট্রেইন্ট তত্ত্ব অনুসারে, বাকি তিন ক্ষেত্রে উন্নয়ন এলেও তার সম্পূর্ণ সুবিধা সাধারণ মানুষ পাবে না যতক্ষণ না দুর্বলতম অংশেরও উন্নয়ন হয়। অর্থাৎ, পরিকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। পরিকাঠামোর অন্যতম পিলার হল বিদ্যুত-পরিকাঠামো। এখানেও বলে রাখা ভাল, পরিকাঠামো ছাড়াও উন্নয়ন সম্ভব। বাংলাদেশের অর্থনীতির দুটি মূল স্তম্ভ - তৈরী পোশাক রপ্তানী ও জনশক্তি রপ্তানী। এর মধ্যে প্রথমটিতে পরিকাঠামো আবশ্যক কিন্তু দ্বিতীয়টিতে ততটা নয়। পরিকাঠামো দুর্বল হলে উন্নয়নের ভারসাম্য ধীরে ধীরে প্রথমটি থেকে দ্বিতীয়টিতে সরে যাবে। এই কারণে ম্যাকিন্সের রিপোর্টে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক রপ্তানীর সম্ভাবনার পথে সবথেকে বড় বাধা ধরা হয়েছে রাস্তা-ঘাট ও বিদ্যুৎ (এনার্জি) সেক্টরকে।
তাহলে বাংলাদেশকে যদি আগামী ২২ বছরে আজকের চিনের জায়গায় যেতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার আজকের চিনের কাছাকাছি পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। পরের গ্রাফে তাহলে দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশের মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার অন্যেদের সাথে কিভাবে তুলনীয়।
এর সাথেই দেখে নিই বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবহার অন্যদের তুলনায় কত বছর পিছিয়ে আছে।
শুধু এখানেই শেষ না, পরের গ্রাফে দেখব, বাংলাদেশের ৫৩% পরিবারে এখনও বিদ্যুতের সুবিধা পৌঁছয়নি, যেটা ভারতের ক্ষেত্রে ২৫% আর বাকিদের নগণ্য।
স্পষ্টতই মাথাপিছু আয়ের তুলনায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশী পিছিয়ে আছে। অর্থাৎ, বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে তা কমজোরি পরিকাঠামো নিয়েই হচ্ছে। সুতরাং, আগামী ২২ বছরে এই বাকি ৫৩% পরিবারে বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়া অবশ্য-কর্তব্য - শুধু আয়-বৃদ্ধির জন্য নয়, মানবিকতার খাতিরেই।
এর পরে দেখি, ঠিক কতটা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে? ইন্টারনেট ঘেঁটে পেলাম ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুত উৎপাদন ক্যাপাসিটি ৭৫০০ মেগাওয়াটের মত। আরও কত মেগাওয়াটের ইন্সটলড ক্যাপাসিটি থাকলে বাংলাদেশ এই দেশগুলোর সমান বিদ্যুতের ব্যবহার করতে পারত? লস ও অন্যান্য ফ্যাক্টর বাদ দিয়ে আরেকটা চার্ট বানালাম।
বিরাট পার্থক্য - ভারতের পর্যায়ে যেতে হলে দরকার হত মাত্র দশ হাজার মেগাওয়াট আর কোরিয়ার পর্যায়ে যেতে হলে দরকার পড়বে ৯৮ টেরাওয়াট। চিনের দিকে যখন লক্ষ্য রাখছি, সেই পর্যায়ে যেতে গেলে আরও ১৭৬ গিগাওয়াট ইন্সটলড ক্যাপাসিটি চাই। বলে রাখা ভাল, এখানে আমি ক্যাপাসিটি-ফ্যাক্টর, লস-ফ্যাক্টর ও জনসংখ্যা - এদের সরিয়ে রেখেছি। এই দুটো জুড়ে কেউ আরও ভাল হিসাব করে দেখতে পারেন, আমি আপাতত এই সংখ্যা নিয়েই এগোবো। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, বিদ্যুৎ সবটাই দেশে উৎপাদন করতে হবে এমন কোনো মানে নেই। ঘাটতি মেটাতে বিদ্যুৎ আমদানীও করা যেতে পারে।
আপাতত বাজার গরম রামপালে কয়লা-চালিত তাপবিদ্যুত কেন্দ্র নিয়ে। সেখানে তৈরী হচ্ছে ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুত-কেন্দ্র। তার সাথে আসছে কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার দূষণ, মার্কারি আর প্রচুর ছাই। এই রকম কতগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসালে চিনের পর্যায়ে (১৭৬ গিগা-ওয়াট) পৌঁছনো যাবে? পরের চার্টে দেখে নিই।
অর্থাৎ, চিনের পর্যায়ে যেতে হলে আগামী ২২ বছরে ১৩৩টি রামপালের মত বিদ্যুত-কেন্দ্র তৈরী করতে হবে। ভারতের পর্যায়ে যেতে গেলে আর সাত বছরে সাতটি রামপাল হলেই হবে। নাসার রিপোর্টে দেখি এই বিদ্যুতকেন্দ্র-গুলো মূলত ১৫ মাইল রেডিয়াসের অঞ্চলে ব্যাপক দূষণ সৃষ্ট করে। পরিবেশ রক্ষার্থে যদি প্রতি ৩০ মাইলে একটি করে এরকম বিদ্যুতকেন্দ্র বসাতে হয়, তাহলে ভারতের পর্যায়ে যেতে গেলেই বাংলাদেশের ১০% অঞ্চল ব্যাপক দূষণ কবলিত হয়ে পড়বে। আর এই উপায়ে চিনের পর্যায়ে যাওয়াই সম্ভব নয়।
তাহলে রামপাল খারাপ, এবার রূপপুর দেখি। সেখানেও পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের তোড়জোড় চলছে। প্রায় চার হাজার মেগাওয়াটের ইন্সটলড ক্যাপাসিটি গ্রিডে যুক্ত হবে রূপপুরে কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ হলে। সেখানেও সমস্যা আছে। তেজষ্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ কোথায় সরানো হবে সে নিয়ে কোনো পরিষ্কার হিসাব নেই এখনও। তার ওপর কোনো তেজস্ক্রিয় লিক দেখা দিলে আশেপাশের অঞ্চল থেকে মানুষজন সরিয়ে ফেলতে হবে। ফুকুশিমার মত কোনো ট্র্যাজেডি হলে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে মোটামুটি কিছুটা অঞ্চল অব্যবহারযোগ্য হয়ে পড়বে। তাও চার্টে দেখি কতগুলো রূপপুর দরকার বাংলাদেশের।
আজকের চিনের পর্যায়ে যেতে হলে বাংলাদেশের দরকার হবে আরও ৪৪টি রূপপুর। ৪৪টি রূপপুর বানালে বাংলাদেশের অর্ধেকের ওপর অঞ্চল সর্বদা ঝুঁকির ওপর থাকবে। রামপালে সারা দেশে দূষণ আর রূপপুরে ঝুঁকি - কোনোওটাই ভাল চয়েস বলে মনে হল না।
এর পরে থেকে যাচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনে হয় এটাই সবথেকে ভাল চয়েস। কিন্তু এর ওপরেও কিছু “কিন্তু” থেকে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ছাড়াও পরিবহণ ও রান্নার কাজে ব্যবহার হয় (তুলনায় অনেক কম)। সুতরাং, গ্যাসের যোগান ধীরে ধীরে কমে আসবে। প্রাকৃতিক গ্যাস বর্তমানে বাংলাদেশের স্থানীয় - পরে আমদানী করতে হলে দুটো রাস্তা আছে - পাইপলাইন ও এল-এন-জি। প্রথমটি সাশ্রয়ী হলেও বাংলাদেশের আশেপাশের কোথাও থেকে আমদানী করা চট করে সম্ভব না। একই ভাবে, এল-এন-জি আমদানীর জন্য টার্মিনাল বানানোর খরচা আছে আবার এর দামও আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের সাথে সাযুজ্য রেখে ওঠানামা করে। কোনোভাবে দাম বেড়ে গেলে বাংলাদেশ একই বাস্কেটে সব ডিম রাখার সমস্যায় পড়বে। ফুকুশিমার পরে পূর্ব এশিয়ার এল-এন-জি আমদানী বেড়েই চলেছে, তাই চট করে এই দাম নেমে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। উল্টোদিকে আমেরিকায় শেল গ্যাসের উত্তোলনের পরে স্থানীয় বাজারে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম পড়ে গেছে। এই অদ্ভুত দুনিয়ায় এখন আমেরিকার তুলনায় এশিয়ায় প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ছয়গুণ। পরে আরও বাড়তে পারে। উল্টোদিকে, আমেরিকা কয়লার ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেওয়ায় বরং কয়লার দাম কিছুটা হলেও স্থিতিশীল। উলটে আমেরিকা কয়লা রপ্তানী করা বাড়ালে বরং দাম আরও কিছুটা পড়ে যেতে পারে। এই সুযোগ নেবার প্রচেষ্টায় আছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া - তাদের সবাই প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিবর্তে ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার কয়লা ব্যবহার করার দিকে ঝুঁকছে। চার্টে দেখে নিন কয়লা বনাম তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের দামের অনুপাত। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, পাইপলাইনের গ্যাসের তুলনায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের দূষণের প্রভাব ২০-৪০% বেশী। সুতরাং, কয়লার পরিবর্তে বিলিয়ন ডলার খরচা করে যদি গ্যাস-টার্মিনাল তৈরী করা হয় মংলায়, তাহলে পরিবেশের প্রভাব মেপে নেওয়া ভাল। অন্যদিকে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম আমূল নেমে যেতে পারে যদি আরও কিছু গ্যাস-ক্ষেত্র আবিষ্কার হয় বা চিন নিজের শেল গ্যাস-ক্ষেত্র থেকে উত্তোলন শুরু করে।
অন্যদিকে থাকে নবায়ণযোগ্য উৎসগুলো - জলবিদ্যুত, বায়ু-বিদ্যুত ও সৌরবিদ্যুত। এদের দৌড়ে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে। এই তিনের বিকাশের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন পড়ে। তাছাড়া, এদের ইনভেস্টমেন্ট ঝুঁকি বেশী কারণ অধিকাংশ ক্যাপিটাল শুরুর দিকে লাগে। তাছাড়া বছরের সব-সময়ে সমভাবে এরা বিদ্যুৎ উৎপাদন লাগে না। বায়ু ও জল থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বর্ষাকালে বেশী, যেখানে সৌর-বিদ্যুত আসবে গ্রীষ্মকালে বেশী। সৌর ও বায়ু-বিদ্যুতের জন্য অনেক জমির প্রয়োজন, যদিও সেই জমির ব্যবহার অন্যান্য ব্যবহারের সাথে সাংঘর্ষিক নাও হতে পারে।
কয়লাকে উৎস হিসাবে ভারত-চিন-বাংলাদেশে দেখার অন্যতম প্রধান কারণ হল দাম। প্রতি ইউনিট দামের হিসাবে ধরলে বিভিন্ন উৎসের একটা তুলনামূলক চিত্র পাওয়া গেল - যদিও এটা আমেরিকার সাপেক্ষে। এই ধরণের চিত্র বাংলাদেশে কেমন - তা জানা দরকার।
এই চিত্র আমূল পরিবর্তন হয়ে যায় যদি এদের কার্বন ফুটপ্রিন্ট হিসাবের মধ্যে নেওয়া হয়। প্রাকৃতিক গ্যাস এখন কয়লার তুলনায় অনেক কম দামী বলে মনে হয়। সতর্ক করে রাখা ভাল, এই দুই হিসাবই আমেরিকার সাপেক্ষে করা এবং আমেরিকায় গ্যাসের দাম এশিয়ার তুলনায় অনেকটাই কম। বাংলাদেশের সাপেক্ষে একই চিত্র তৈরী করলে হয়ত কয়লা কমদামে থেকে যাবে।
তাহলে সংক্ষেপে যা দাঁড়ায় -
সবশেষে আসি “নো-ফ্রি-লাঞ্চ” তত্ত্বে। পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। বর্তমানে আমরা পরিবেশ সম্পর্কিত সব বিষয়ে সচেতন হয়েছি, তাই জেনে গেছি যে সাধারণ একটা রাস্তা তৈরী করলেও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তা হলে কি রাস্তা তৈরী হওয়া উচিত নয়? সেটা ঠিক নয়। বরং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব যতদূর সম্ভব কমিয়ে তবেই রাস্তা তৈরী করা উচিত। উন্নয়ন, বিশেষত দ্রুত উন্নয়নের বলি হয় পরিবেশ। এতক্ষণ চিন, কোরিয়া ও মালয়েশিয়ার উন্নয়নের যে চোখ-ধাঁধানো চিত্র দেখলাম, তার সাথে যোগ করে দেওয়া যায় শেষ একটা চার্ট - ম্যানগ্রোভ বন কিভাবে হারিয়ে যাচ্ছে এই অঞ্চল থেকে।
পূর্ব এশিয়ায় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার সবথেকে বেশী, তাই ম্যাংনগ্রোভ বনও কমেছে সবথেকে দ্রুত হারে। অন্যদিকে আমাদের দক্ষিণ এশিয়াতে ধুঁকে ধুঁকে উন্নয়ন এসেছে, তাই ম্যানগ্রোভের আয়তন ততটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এদের মাঝে আছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এই চিত্র চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে সুন্দরবনের জন্য ভালবাসা থাকলেও উন্নয়নের পেছনে দৌড়ে হয়ত তাকে অপূরণীয় ক্ষতি থেকে বাঁচানোর রাস্তা না-ও থাকতে পারে।
লেখাটার অনুপ্রেরণা - ফাহিম হাসান। ফাহিমের লেখায় সমস্যাগুলোর সমাধান-সূত্র নিয়ে সুন্দর আলোচনা আছে।
বিশদ বিবরণ গ্রাফ ও চার্টগুলো নিয়ে
১) মাথাপিছু গড় আয়ের চার্ট জাতিসংঘের তথ্য দিয়ে বানানো
২) একই টাইম-সিরিজ থেকে বানানো কত বছর আগে এদের মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের সমতুল্য ছিল
৩) ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বাৎসরিক তথ্য প্রকাশ করে কম্পিটিটিভনেস নিয়ে, সেখান থেকে বানানো। অন্যান্য দেশগুলোর স্কোর থেকে বাংলাদেশের স্কোর বাদ দিয়ে সংখ্যাগুলো দিয়েছি যাতে গ্যাপটা বোঝা যায়।
৪) মাথাপিছু গড় বিদ্যুৎ ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যায় জাতিসংঘ থেকে
৫) একই টাইম-সিরিজ থেকে বানানো কত বছর আগে এদের মাথাপিছু গড় বিদ্যুৎ ব্যবহার বাংলাদেশের সমতুল্য ছিল
৬) জনসংখ্যার কতভাগের বিদ্যুত-সুবিধা পায় সেই তথ্য পাওয়া যায় জাতিসংঘ থেকে
৭) পরের গ্রাফের জন্য আমি কিছুটা অনুমানের সাহায্য নিয়েছি, যে কারণে দু-রকম গ্রাফ পাচ্ছি প্রতি ক্ষেত্রে। প্রথম প্রক্রিয়া - বাংলাদেশের তুলনায় অন্যান্য দেশগুলোর মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার কতগুণ এবং সেইমত ব্যবহার নিয়ে যেতে হলে ইন্সটলড ক্যাপাসিটিও ততগুণ করতে হবে - এই অনুমান নিয়ে বানানো। দ্বিতীয় প্রক্রিয়া - বাংলাদেশের তুলনায় অন্যান্য দেশগুলোর মাথাপিছু ইন্সটল্ড ক্যাপাসিটি কতগুণ সেটার ওপর নির্ভর করেছি। বাংলাদেশের মাথাপিছু ইন্সটলড ক্যাপাসিটি ওই পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে আরও কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদক ইন্সটল করতে হবে - সেই হিসাব করেছি।
দ্বিতীয়টিতে শুধু ইন্সটল্ড ক্যাপাসিটি ম্যাচের কথা ভাবা হয়েছে। প্রথমটিতে কনসাম্পসন ম্যাচের কথা ভাবা হয়েছে। প্রথমটিতে আমি লগ-স্কেলে ডেটা দেখিয়েছি।
৮) এর পরের দুই গ্রাফ রামপাল ও রূপপুরের ইন্সটলড ক্যাপাসিটি দিয়ে আগের পর্যায়ে প্রাপ্ত সংখ্যাকে ভাগ করে পাওয়া।
৯) জাতিসংঘের কমোডিটি ডেটাবেস থেকে পাওয়া অস্ট্রেলিয়ান কোলের প্রতি মেট্রিক টনের দামকে এল-এন-জি-র (প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) দাম দিয়ে ভাগ করে বানানো। ২০০৫ এর রিয়েল প্রাইস ব্যবহার করা হয়েছে।
১০) ওপেন ই-আই প্রজেক্টের ডেটাবেইস থেকে বানানো। উৎসাহীরা অন্যান্য সূত্র থেকেও দেখতে পারেন। মাথায় রাখবেন অনেক সার্ভেতে কিন্তু স্থানীয় সরকারী ট্যাক্স বেনিফিট হিসাবের মধ্যে নিয়ে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়।
১১) হ্যামিল্টন প্রজেক্ট।
১২) সূত্র।
১৩) আই-টি-টি-ও র তথ্য এফ-এ-ও থেকে নেওয়া।
মন্তব্য
খুবই ভালো লাগলো লেখাটা। বিশেষ করে গ্যাপ-এর গ্রাফটা বেশ দরকারি লেগেছে আমার নিজের বুঝার জন্য।
গ্যাপ নিয়ে কিছু চার্ট আপডেট করলাম। মাথাপিছু ব্যবহারের পরিবর্তে মাথাপিছু ইন্সটিলড ক্যাপাসিটি নিয়ে হিসাব করলে মনে হচ্ছে মিনিংফুল সংখ্যা আসছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
রূপপুরের তেজষ্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ রাশিয়া তার দেশে নিয়ে যাবে চুক্তিতে এরকম আছে পড়লাম কোথায় যেন। এমন হলে তো এটা আর কোন সমস্যা নয়?
কথা সত্য। কিন্তু দেশের অন্যান্য অঞ্চলের পরিবেশ আর সুন্দরবনের মধ্যে পার্থক্য আছে। অন্যান্য এলাকার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হলে সেটা শুধু সে এলাকায় প্রভাব ফেলবে। কিন্তু সুন্দরবন দেশে একটাই। এর কোন ক্ষতি হলে তার ফল ভোগ করতে হবে পুরো দেশকে।
খবরে আমিও সেরকমই পড়েছি। কিন্তু রাশিয়ার আইনে যে কোনো দিন পরিবর্তন আসতে পারে। আগে এটার ওপর ব্যান ছিল - ২০০০ সালে সেটা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
শুধু কি সুন্দরবন একটাই? বান্দারবন-রাঙামাটি-হাওর-বিল-বুড়িগঙ্গা থেকে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র - সবাই একটাই।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
আপনার লেখা অনেক গোছানো এবং তুলনামূলক ভাবে সাজানো বলে সহজে অনেক কিছু বোধগম্য হয়েছে।
দেশের অন্যান্য জায়গার সাথে সুন্দর বনের মৌলিক একটা পার্থক্য আছে। আপনি ইচ্ছে করলে দেশের যে কোন জায়গায় শত শত মাইল সবুজ বনায়ন করতে পারেন, কিন্তু পারবেন না একটা সুন্দরবন তৈরি করতে। তাই সুন্দর বন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু জীববৈচিত্র্য নয়, প্রাকৃতিক দুর্যগ মোকাবিলায় সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার প্রধান ভিত্তি। আর যারা নয় মাস উত্তর মুখী আর তিনমাস দক্ষিনমুখী বাতাসের ব্যাখ্যা দিয়ে রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র পরিবেশের কোন ক্ষতি করবে না সাফাই গাইছে তারা আসলে পরিবেশ বিজ্ঞান, বাস্তুতন্ত্র, জীববৈচিত্র্য, খাদ্য শক্তিস্তর কিভাবে কাজ করে তার কোন ধারণা রাখে না। তাই সুন্দর বনকে আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
মাসুদ সজীব
ভালো লাগল। ফাহিম-এর লেখা এই মাত্র পড়ে এলাম। তার সাথে এই লেখা চমৎকার ভাবে পরিপূরক লেগেছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
চমৎকার পর্যালোচুলমূলক লেখা, আমার নিজের বোঝার জন্য কাজে লাগলো
ইসরাত
চমৎকার বিশ্লেষণ। তবে সুন্দরবনকে কিন্তু বাঁচাতেই হবে। কারণ একটা সুন্দরবন বাংলাদেশের পরিবেশের উপর এতটাই প্রভাব বিস্তারি যে কোন উন্নয়ন দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।
তাহসিন রেজা
গ্রাফগুলো ভীতিকর। বাংলাদেশ আসলেই অনেক পিছিয়ে আছে।
সরকারে একটা বিভাগ করা দরকার, যারা শুধু তথ্য উপাত্ত নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করবে এবং সমস্যা মোকাবেলা করার দিক নির্দেশনা দেবে।
সরকারের কোন বিভাগ কি এইরকম একটি বিশ্লেষণমূলক লেখা তৈরী করতে সক্ষম? আমি সন্দিহান
অন টপিকঃ তিন নম্বর চার্টে কোন নীল দাগ দেখা যাচ্ছে না। এটা কি প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কোন গ্যাপ নেই বলে?
বাংলাদেশের সাথে বাংলাদেশের গ্যাপ সর্বত্রই শূন্য।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
তথ্যবহুল লেখাটা ভাল লাগলো। গ্যাস বা কয়লার বৈশ্বিক মজুদ কেমন?
কয়লার তুলনায় গ্যাসের মজুদ অনেক বেশী বলে ধারণা। পরিসংখ্যান দেব।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আমি ভুল, তথ্য পাচ্ছি এরকম।
ছবিতে -
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
রামপাল ইস্যুতে ফাহিমের পোষ্টের পর এই পোষ্ট অন্যতম গুরুত্বপূর্ন সংযোজন। এই তথ্যগুলো জ্বালানী সংকট নিয়ে আমার মস্তিষ্কের বেশ কয়েকটা জট খুলতে সাহায্য করেছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক তথ্য উপাত্ত দিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট দিয়েছেন, ধন্যবাদ। একটা বিষয় ঠিক পরিষ্কার হলো না, আপনার
কনক্লুশণ কি? মানে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হওয়া উচিত কি না? এবং বাংলাদেশে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হওয়া উচিৎ কি না? আপনি কি বলতে চেয়েছেন যে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যূতের চেয়ে সস্তা? সেটা বাংলাদেশে অন্ততঃ সঠিক নয়। বাংলাদেশে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কয়লার তুলনায় দুই থেকে তিনগুন বেশী।
প্রতি ত্রিশ বর্গমাইলের ব্যাপারটা বুঝলাম না, আগামী একুশ সালে বিদ্যুতের চাহিদা হিসাব করা হয়েছে চল্লিশ হাজার মেঃ ওঃ। সেই হিসাবে রামপালের মত কাপাসিটির মোট বিশটা হলেই তো আপাততঃ হয়ে যায়?
রামপালের জন্য আমার কোনো কনক্লুশন নেই ও তার জন্য দায়ী সরকারী রিপোর্ট। যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে কেউ এসে থাকলে তার সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু র্যান্ডম সিলেকশনের কি সমালচনা করি?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ধন্যবাদ এই গবেষণধর্মী লেখার জন্য। বাংলাদেশ তথা বিশ্ব সম্পর্কে কিছুই জানি না এই উপলব্ধি শুধু হল।
গ্রীনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কিভাবে বেড়েছে শিল্পোন্নয়নের ফলে সেটা দেখুন -
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তেই থাকবে। আমি মনে করি যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ১/২টা পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বসাতেই হবে। পুরা দেশ জুড়ে না বসিয়ে কোন একটা জায়গাকে বেছে নিয়ে সেখানে বড় ক্যাপাসিটি বসানো উচিত। কিন্তু এই এলাকা বাছাই করতে গেলেই আপনি প্রতিবাদের মুখে পড়বেন। এত ঘনবসতি পূর্ণ একটা দেশে ফাকা জায়গা পাওয়াই মুশকিল। আমাদের মনে হয় নবায়ন যোগ্য উতপাদন পদ্ধতি গুলো নিয়ে এখন থেকেই বড় আকারে ভাবা উচিত ভবিষয়তের প্রস্ততি হিসেবে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
নবায়ন যোগ্য খাতগুলার ভিতর, সোলার পাওয়ার আমাদের দেশে একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারে কিন্তু সমস্যা হল বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে কোন Distribution level - এ কোন সাপ্লায়ার খুব সহজে ঢুকতে পারে না, সরকারের ক্লোজড মার্কেট পলিসির কারনে।
আমাদের ন্যাচারাল গ্যাসের মুল ব্যাবহার হতে হবে সার উৎপাদন যাতে ভর্তুকি দিয়ে সেই গ্যাস আমরা পুড়িয়ে ফেলি বিদ্যুৎ তৈরীতে যা ফুড সিক্যুরিটির অন্তরায়।
আমাদের নিজেদের কিছু প্রযুক্তি দরকার... জমি নষ্ট না করে সোলার প্যানেল বসানোর প্রকল্প ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে... আরও তাড়াতাড়ি হবার স্বপ্ন দেখি আপাতত
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আরও দুটো ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের খোঁজ পেলাম। প্রথমটা হল বিশ্বব্যাঙ্কের ডুইং বিসনেস র্যাঙ্কে বাংলাদেশকে "গেটিং ইলেক্ট্রিসিটি" পর্যায়ে সর্বশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়টা একটু জটিল - আসছে এডিবির এনার্জি আউটলুক রিপোর্ট থেকে। বাংলাদেশের ৯১% পরিবার রান্নার জন্য বায়োমাস ব্যবহার করে যা উন্নয়নশীল এশিয়াতে বিরল। এই বায়োমাসের অধিকাংশ (৮২%) আসে জ্বালানী কাঠ থেকে - অর্থাৎ বন ধ্বংস করে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
নতুন মন্তব্য করুন