মেঘের গর্জন, ঘনঘটার আনুষ্টানিকতা শেষ করে ঝড়ে পড়ার আগেই জগৎ-এর জল নির্ভর প্রাণী- কূলের প্রাণ রক্ষার সব আয়োজন শেষ করার নিয়ম। সেটা জলে ভাসা পদ্ম থেকে মধু আহরণের মৌমাছির যেমন, ক্ষেতের আইলে গর্ত করে লুকিয়ে থাকা ইঁদুরটির বেলাও তেমন। এসময় ইঁদুরেরা ক্ষেত ছেড়ে মানুষের বসত-ভিটায় আশ্রয় নেয়। সেখানেও ইঁদুরের নিজের থাকবার জায়গাটি নিজেকেই তৈরী করতে হয়।
বসন্তে বাহারী ফুলের সম্ভার দেখে প্রানী জগৎ নিজের ভূবনটি সাজিয়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখে। বর্ষায় প্রানের জোয়ার আসে। সরীসৃপের অনেক সুবিধা বিধায় প্রজননের জন্য এ সময়টি বেছে নেয়। তাদের যৌন ক্রিয়ায় সহযোগীতা করাই জলজ উদ্ভীদের মূল লক্ষ্য। হয়ত সে কারনেই কদম ছাড়া আর কোন ফুলকে এসময় পাঁপড়ি মেলতে দেখা যায় না তেমন।
মানুষকে প্রকৃতির অংশ বিধায়, অনিচ্ছায় অজান্তে অনেক প্রজাতির প্রজননে সহযোগী হতে হয়। ইঁদুর আগ বাড়িয়ে খাল কেঁটে কুমীর আনার মত গৃহস্তের ঘরে গর্তটি করেই রাখে। কেউটে সেখানে গর্তটি আশ্রয় আর ইঁদুরটি আহার হিসাবে পায়। নিজের শরীরের রক্ত শীতল, তাই প্রজনন লব্ধ ডিমটি বংশ রক্ষার জন্য তা দেয়ার দায়ীত্বটি মানুষের হাতে ছেড়ে আসে। শেরালীদের মত যারা মাটিতে বিছানা পেতে শোয় তাদের গায়ের ওমেই এসব মেরুদন্ডহীন সরীসৃপেরা ডিম থেকে বের হয় ছোবল দেয়ার জন্য।
অতি বর্ষণে প্লাবিত মাঠ-ঘাটের পিঁপড়েরা দলা বেঁধে জলে ভাসে, গাছ-পালার গায়ে আশ্রয় পাওয়ার আশায়। কেঁচো মাটির তলা থেকে বেরিয়ে আসে শুকনো কোন আশ্রয়ের সন্ধানে। কিন্তু নতুন পানির জোয়ারে রাজ্য বিস্তার করে এগিয়ে আসে মাছ আর অন্য সব জলজ প্রাণী। কেঁচো বা পিঁপড়ের দলা এদের উপাদেয় খাদ্য। এ সময়ে প্রায় সব মাছের পেটেই ডিম থাকে। ডিম-ওয়ালা মাছেরা খুব দ্রুত পালাতে পারেনা। শেরালী সে সুযোগে খুব পটু শিকারী না হয়েও অনেক মাছ কোচ-এ গেঁথে ফেলে।
জল ও স্থলের মাঝামাঝি কালো রেখার মত ভোরের আলোয় জলের সীমানার মতই, কিন্তু তার থেকে একহাত দূরেই মনে হয় শোল মাছটা। সেটাকে খুব কাছে থেকে নিশ্চত হয়ে গাই দিতে গিয়েই জল আর স্থলের রেখাটায় পা পড়ে যায় শেরালীর। এই সুতোর মত একটু খানি রেখা মাত্র। সেটাও ফনা তুলে তেড়ে আসে! একেই বলে কাল কেউটে। দুধ-কলা যতই দাও না কেন, সুযোগ পেলে ছোবল মারবেই।
বৃষ্টির জলে মাঠ-ঘাট থৈথৈ অবস্থাটা আর নেই। দেখতে দেখতে জল ডালিমের রসের মত স্বচ্ছ হয়ে উঠেছে। মাটির উপড় বৃষ্টির ফোঁটা পরে যে কর্দমাক্ত ঘোলাটে জলের সর ছিল তা আর নেই। মাছের আনাগোনা তেমন টের পাওয়া যায় না। জলের গভীরতার সাথে তাদের চলনে স্বাচ্ছন্দ এসেছে। মরিচ আর তিল ক্ষেতের সব গুলো গাছ কেটে নেয়ায় তাদের নীচে লুকিয়ে থাকা আমনের সবুজ পাতা জল ও পলিতে একটু গাড়হ সবুজের সতেজতা পেয়েছে। কেটে নেয়ার পরে পাটের জমিনগুলো শাপলার পাতায় পদ্মদিঘীর মত দেখাচ্ছে। অবশ্য ফুল এখনো ফোঁটেনি। পাতায় ঢেকে দিয়েছে জলের তল। শাপলার কুঁড়িরা সময় মত পাঁপড়িটি মেলে দেবে চাঁদের আলোয়।
বৃষ্টির জলে মাটি খুব নরম হয়ে গেছে। দমকা বাতাসে হেলে-দুলে পড়ছে কলা গাছ। শেরালীদের ছনের ঘরটা পোক্ত করে বরাগ-বাঁশের খুঁটি দিয়ে ঠেস দিয়ে রেখেছে। এ সময়টাতে একটু সাবধান থাকতে হয়। কখন "জলস্তি" আসে কে জানে!
একদিন সন্ধ্যায় বাজ পড়ল একটা বিকট শব্দে! মাঝে মাঝে আলোর রেখা আকাশে ফাঁটল ধরিয়ে দিচ্ছে! কাঁসার থালা-বাসনে খটখটি আর ডুবানী মালা পিটিয়ে যত্তসব অদ্ভূত শব্দে জলস্তি-কে তাড়ানোর চেষ্টায় মেতে উঠেছে গাঁয়ের লোক। হিন্দু-পাড়ায় কুলু দিচ্ছে মেয়েরা। হুরুনি "লাইলাহা ইন্নিকুন্তু মিনাজ জোয়ালেমী" অবিরাম ভাবে বলে যাচ্ছে! মায়া কোন কারন না বুঝেই ভয়ংকর কিছুর আশংকায় মায়ের কোমর জড়িয়ে রেখেছে। শেরালী তার-স্বরে চিৎকার করে খোয়াজ খিজির সহ সব পীর-মুর্শীদের দোহাই দিচ্ছে আর কাসার বাসন পেটাচ্ছে, উঠোনে নেমে।
ওদের প্রচেষ্টায় কাজ হয়েছে। গ্রামের ভেতর জলস্তি ঢুকেনি। কিন্তু তার গায়ের বাতাস লেগেই অনেক দুর্বল খুঁটার ছনের ঘর হেলে পড়েছে। তবুও বালুচর গ্রামের মানুষের সৌভাগ্যই বলতে হবে। কারন; বোয়ালমারী বাজারের প্রায় সব কিছুই দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে জলস্তি। দোকানের চালার টিন পেঁচিয়ে দিয়েছে তালগাছে! উড়ন্ত গাছ, ঘরের রুয়া-আদল, টিনের চালের আঘাতে আহত হয়েছে অনেক মানুষ।
সপ্তাহ খানেক বাদে চিকিৎসকের দল সহ অনেক সাহায্যকারী মানুষ এসেছে এলাকায়। এসব সাহায্য কোন ভাবেই যাদের কাজে আসেনি, তাদের একজন হল মতির মা। নিজেদের নিয়েই মানুষ এত ব্যস্ত যে আপদ কালে মতির মায়ের খোঁজ নেয়া কারো পক্ষে সম্ভব হল না। বুড়ি এমনিতেই হাড়ের উপড় চামড়ার ছাউনিটি নিয়ে লাঠির পর ভর করে পাড়া বেড়াত। কেউ সেধে কিছু খাওয়ালে খেত। কিন্তু ভিক্ষুকের মত "আল্লাহর ওয়াস্তে খয়রাত" চাইতো না। "বিদেশে বিরাজ্যে যাগো পোলা মারা যায়, পাড়ার লোকে না জানিতে আগে জানে মায়"। কিন্তু ছনের চালার নীচে চাপ পড়ে মা মারা গেলে সে খবর সবার আগে ছেলে পায় না। মতিও সে খবর পায়নি। অভাবের তাড়নায় কাজের সন্ধানে শহরে গিয়েছিল মতি। বোয়ালমারী বাজারে তালগাছে পেঁচিয়ে থাকা চালের টিন-এর ছবি ছাপা হয় খবরের কাগজে। সাহেবরা বলে টর্নেডোতে বোয়ালমারী বাজার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, আশপাশের গ্রাম সহ। ঠেলাগাড়ী রেখে মতি তাই চলে এসেছে গ্রামে। হয়তো অসহায় মায়ের খোঁজেই। মতির চিৎকারে সবাই জানল; মতির মা-র অনাহার শেষ হয়েছে।
"গরিবে আবার একটা মরন! কোন রহমে চোখ বুইঞ্জা থাহন।" বিদগ্ধ গ্রাম বাসীর এমন মন্তব্য একেবেরে অমূলক নয়। কোন ভাবে কাফনের কাপড় যোগাড় হলেও, গোরস্থানে কবর দেয়া সম্ভব হলনা। কারন পুরো গোরস্থান এখন জলের নীচে। ক্বারী সাহেবের পরামর্শ মতে জানাজা দিয়ে মতির মাকে গোমতীর গভীর জলে ডুবিয়ে দিয়ে এল কয়েকজন মিলে। চারদিন মুরদার ঘরে চুলা জ্বালানোর নিয়ম নেই। মতির ঘরের চালার ছনে সপ্তাখানেকের মধ্যেই পচন ধরেছে। নতুন বাঁশ আর ছনের চালা ছাউনি দেয়ার টাকা মতির টেকে নেই। হুরুনী বুজির গলা ধরে মতির কান্না! গাঁয়ের সবাই কোন না কোন ভাবে কারো ভাই বোন। বন্ধুত্ব শব্দটা এখানে তেমন চেনা নয়। বন্ধুত্ব হয় দুই অচেনা মানুষের চেনার মধ্যদিয়ে। বংশানুক্রমে যারা গাঁয়ের লোক তারা সবাই জন্ম থেকেই কেমন যেন এক রকম আত্মীয়তায় বাঁধা। সে বাঁধনেই এখন হুরুনী মতির ক্রন্দনে চোখের জল মুছাতে মুছাতে ধমক দিয়ে বলে; পুরুষ-পোলা এত নরম অইলে চলে!
মতি চোখে প্রশ্ন নিয়ে হুরুনীর দিকে তাকায়। হুরুনী সব প্রশ্নের উত্তর জানেনা। কিন্তু আপাত করনীয় "শোকের ভেতর ভুক(ক্ষিধে) বেশী", তার নিবারনে ব্রতী হয়। জানাজার সময় মুরদার হিতানে পুরায় দেয়া চালগুলো মতির গলায় গামছা বাঁধা দইয়ের মত ঝুলছে। হুরুনী সেটা নিয়ে রান্নার আয়োজন নামে।
সেই থেকে হুরুনীর তিনজনের সংসারে চারজন হয়। টর্নেডোর ক্ষয়ক্ষতির সাহায্য হিসাবে শহরের বিত্তশালী মানুষের সাহায়্যের ছিটেফোঁটায় কিছু নগদ টাকা আর ঠেলাগাড়ীর চাকা ঘুড়িয়ে কামানো অর্থ মিলিয়ে মতি একটা নাও কিনে। আপাতত হুরুনীর বাঁশের মাচায় শোয়ার অধিকার পেয়ে বাসস্থানের বদলে কর্ম সংস্থানেই মতি বেশী গুরত্ব দিল। হতে পারে সেটা হুরুনীর পরামর্শেই।
উজলা নাওয়ে মতি মাল আর মানুষ দুটোই বোঝাই করে ভাসিয়ে নিয়ে চলে ইচ্ছের বন্দরে। খেয়ে-দেয়ে নতুন সংসার নিয়ে মতি সুখেই আছে। জলের যৌবনে মাঝির কদর বাড়ে। প্রায় সমস্ত স্থল ভাগ জলের তলে থাকায় নাগিনীরা নতুন আশ্রয় খোঁজে। মানুষের সাথে সংঘাতের বিপদ উপেক্ষা করে একটু খানি জলের উপর ভেসে থাকা বসত ভিটায় উঠার চেষ্টা করে। তার অংশ হিসাবে পাঁচ হাত লম্বা একটা পানক সাপ শেরালিদের সদর দরজায় ফনা তুলে উঁকি দেয় দিনদুপুরে! শেরালী কোচের গুতো, সাপের গায়ে লাগল কিনা বোঝা গেল না। কিন্তু আপাতত আপদ বিদেয় হয়েছে। আর এদিকে শেরালীর ভয় বাড়ছে। লোকে বলে সাপ রাতের অন্ধকারে মরন ছোবল দিয়ে তার ব্যাথার প্রতিশোধ নেয়।
বাহিরে কুন্ডলী ভেতরে চাঁক
যেখানের সাপ সেখানেই থাক।
মন্ত্র পড়ে দেয়াশলাইয়ের চারটি কাঠি মতি কাকু সাপের মাথায়, বুকে, মাজায় আর লেজে গেঁথে দিয়েছে।
"যদি আমার এই মন্ত্র নড়ে চড়ে
মহাদেবের জটা ছিঁড়ে ভূমিতে পড়ে,"
-বলে মতি কাকু যে নিশ্চয়তা দিলেন তাতে শেরালী খুব আস্বস্ত হতে পারে না। ভয় থেকেই স্বপ্নে মাথায় মনি নিয়ে পানক সাপ ফনা তোলে। ভয়ে শেরালী শিহরীত হয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠে।
হাত দিয়ে মা বা মতি কাকুকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু মায়াকে ছাড়া আর কাউকে হাতের নাগালে পায় না।
দরজার ফাঁক দিয়ে পদ্মপাতায় যৌনমত্ত ঘাষ ফড়িঙ-এর মত দুটি মানব শরীর আবিষ্কার করে শেরালী স্তম্ভিত! জোছনার স্নিগ্ধ আলোয় রুপোর কৌটায় রাখা মোমবাতির মত, পদ্মফুলের দ্যুতি ঢেউ খেলে যাওয়া মানবদেহের প্রসস্তি গাইছে। কামক্যালীর কসরতে নিতম্বের উঠানামায় নাওয়ের সাথে দুলছে জল। শেরালীর হৃদয় বেয়ে সে জল গড়াচ্ছে চোখ দিয়ে। শেরালী বুঝতে পারে না মানুষ কেন এমন হয়!
কিন্তু শেরালী জানেনা আজ রাতে মানুষ সব দেনা পাওনার কড়িগন্ডার হিসাব শুধু প্রেমালিঙ্গনেই মেটাবে না! মতি মামুর রাম-কুন্ডলীতে কোন কাজ হয়নি। কাল সাপেরা আজ রাতে আরো উজানে তাদের ফনা তুলেছে। মহাদেবের মত দেবতা না হয়েও আপাতত সব বিষ যিনি পান করলেন, তিনি জানেন না; সে বিষ তার দেহ, গলিত গরলে রুপান্তরিত করবে। সে বিষ ঢেকে দেবে এ ভূ-ভাগ মন্থন করে উত্তোলিত অমৃত। এখানে সুন্দরের ক্রন্দন কোন দিন থামবে না। তিরিশ লক্ষ মানুষের পলির উপর একটি আশার কুসুম অঙ্কুরিত করেছিল দুলাখ মেয়ের ইজ্জত। বিতারিত শয়তানেরা সে কুসুমটি তাদের বিষদাঁতে পিশে ফেলেছে। শত বর্ষের সাধনায় কোন জাতির জীবনে এমন একটি আশার আলো ঝিলিক দেয়, যা এই মাত্র মুছে গেল।
চলবে...
মন্তব্য
পুতুল, আপনার এই উপন্যাস টি বই হিসেবে প্রকাশ করছেন না কেন?
এবারের বইমেলাতেই করুন ।
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভাই, এমন করে বললে কষ্ট পাই যে!
আমার বই, তাও আবার উপন্যাস! সেটা কে প্রকাশ করবে?
কি ভাবে কী কী করলে প্রকাশ করা যায় তাওতো জানি না।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এইসব বিনয় ঝেড়ে ফেলে দিন তো ।
প্রথম উপন্যাস নিজের পয়সায় প্রকাশের অর্থনৈতিক ঝুঁকি যদি নিতে পারেন-তাহলে বিনয়টিনয় বাদ দিয়ে লেগে পড়ুন ।
প্রকাশনার জন্য বাইরের লোকের কাছে যাবেন কেনো?
সচলদের মধ্যেই প্রকাশনা জগতের বস লোকজন আছেন । মাহবুব লীলেন-আহমেদুর রশীদরা আছেন কেনো?
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আগে টাইপ করার কাজটা শেষ করি, তার পর গুরুদের চরণ ধরবো। ঠিক বলেছেন, সচলের এতো বস থাকতে অন্য কোথাও ধর্ণা দেব কেন?
অর্থনৈতিক ঝুকিতো একটু নিতেই হবে।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
অসাধারণ!
জীবনের প্রয়োজনে অনেক কিছুর সঙেই জড়িয়ে যায় মানুষের নিয়তি। তেমনই মুখ বুঁজে থাকে না তার চাহিদাও। খুবই ভালো লাগলো। অনেক চেনা শব্দ-জল-মাটি-শব্দ-ঝড়ের গন্ধ এমনকি মন্ত্রও। তবে এ ধরনের মন্ত্র-তন্ত্র আমার কাছে খুবই অদ্ভূত মনে হয়। পুরোপুরি বিশ্বাস হয় না। আবার কোথাও যেন একটু সন্দেহ জড়িয়ে থাকে আঁশের মতই।
***********
এত পেছনে পড়লেন কেন?
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাই, সময় খুব কম পাই লেখার জন্য। আগের পর্বগুলো টাইপ করাই ছিল, তাই প্রায় প্রতিদিন একটা প্রষ্ট করতে পেরেছি। কিন্তু এখন টাইপ করে দিতে হচ্ছে। তাই একটু পিছিয়ে পরেছি। এখন অন্তত সপ্তাহে একটা পর্ব পোষ্ট করার চেষ্টা করবো।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি...
পড়তে হবে।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
এ পর্ব পড়ার জন্য ধন্যবাদ। সবটা লেখা হলে পিডিএফ করে দেব ভাবছি।।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
নতুন মন্তব্য করুন