তিন সচলের তীর্থ যাত্রা
শিল্পের সংকট নিয়ে সচলদের দুশ্চিন্তার সমাধান কল্পে প্রবীণ তিন সচল মাহবুব লীলেন, আরিফ জেবতিক, “ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল” নাজমুল আলবাবকে নিয়ে মিটিংএ বসলেন।
মুঠোফোন, বাচ্চাদের চেঁচামেচী, বউদের ধাতানীতে আলোচনা অসম্ভব হয়ে পড়ল! কোন উপায় না দেখে মাহবুব লীলেন প্রস্তাব করলেন, চলো সচল কীর্তিনাশা আর আখতারুজ্জামানের মত বেড়িয়ে পরি।
নাজমুল আলবাবের প্রস্তাব মোতাবেক তিন সচল পদব্রজে কৈলাশ টিলায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। কীর্তিনাশা আর আখতারুজ্জামানের ভ্রমন বৃত্তান্ত পড়ে তার দ্বিচক্রযান ভ্রমনের অনুপযোগী বিবেচনা করলেন। অবশ্য নাজমুল আলবাব অনেক ভেবেচিন্তে প্রস্তাব করেছেন। এখানে মাহবুব লীলেন আর আরিফ জেবতিকের শারীরিক ওজনের ব্যাপারটা প্রধান্য পেয়েছে। বাংলাদেশে সব জিনিস নকল। সেক্ষেত্রে ভেজাল লোহা আর রাবার দিয়ে তৈরী সাইকেল তাদের ভার বইতে পারবে বলে নাজমুল আলবাবের মনে হয়নি।
পথের পাথেয় কিছু চাল-ডাল, বিড়ি, দেয়াশলাই। জনমানবের কোলাহল এড়িয়ে কৈলাশ টিলায় যেতে টাকা পয়সার দরকার নেই। সবাই বাড়ি থেকে (গিন্নীদের কাছ থেকে) ছুটি না চাইতেই মন্জুর। গিন্নীরা বলে তোমরা বাড়ী থেকেই লাভ কী! সারাদিন অন্তর্জালে সচল থাক। বাইরে থেকে বেড়িয়ে আস। আমাদের কিছু বিশ্রাম হোক তোমাদেরও খোলা হাওয়া গায়ে লাগুক। যদি কিছুটা সংসারী ধ্যান, সন্নাসীরা তোমাদের মাথায় ঢোকাতে পারে!
কাঁধে ঝোলা হাতে একতারা নিয়ে নাজমুল আলবাব পথে নেমে গান ধরলেন;
বাউলা কে বানাইল রে,
হাসন রাজা রে
বাউলা কে বানাইল রে।।
মাহবুব লীলেনের হাতে কোন বাদ্য যন্ত্র না থাকায় তিনি শুরু করলেন;
হাসন রাজায়
গাইছে গান
হাতে তালি দিয়া।।
আরিফ জেবতিক আগের দুজনের পাল্টা থামাতে ধরলেন;
সত্য বল
সু পথে চল
ওরে আমার মন।।
তাদের ত্রীকন্ঠের গানে মুগ্ধ হইয়া পথিকরা আনা, আধুলিতে ঝোলা ভরে দিল। মাহবুব লীলেন ভাবলেন ব্যবসা মন্দ না। পরবর্তী সচল প্রকাশনায় পয়সাগুলো কাজে লাগবে। অতি উৎসাহে তিনি নতুন গান ধরলেন;
বাবু ও বাবা একটি পয়সা দেরে....
আরিফ জেবতিক হায় হায় করে উঠলেন; তুই দেখি একেবারে ফকিরের খাতায় নাম দিয়ে দিলি! ফকির ইলিয়াস ক্ষেপে যাবে যে!
নাজমুল আলবাব একতারায় তাল ঠুকে, মাহবুব লীলেনের চোখ বন্ধের অপেক্ষায়, মাহবুব লীলেন পলক ফেলেতেই (সে এই পলকটাকে চোখ বন্ধের আলামত ভেবে) পরের লাইন ধরে ফেললেন;
আখু আন্ধা.....
আরিফ জেবতিক পড়লেন মহা ঝামেলায় একটাকে থামায় তো আর একটা গেয়ে উঠে!
কোন রকমে গা বাঁচিয়ে টিলার দিকে হাঁটা দিলেন তিন জনে।
শরীরের ওজন, ঝোলার ওজন, নাজমুল আলবাবের হাতে আবার একতারা, পাহড়ি পথের চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে সেদিন আর বেশী দূর এগুতে পারলেন না তাঁরা। অগত্য সেখানেই রাত্রি কাটানোর সিদ্ধান্ত হল। গাছ-গাছালির ফাঁকে শহর অন্ধকার দেখে তিন জনে বুঝে নিল; আজ বাড়ি থাকলেও কোন লাভ হতো না। বিদুৎ নেই। অন্তর্জালে সচল হওয়া যেত না।
আরিফ জেবতিক এর মধ্যেই পদ্মাসনে বসে গেছেন। মাহবুব লীলেন বিরক্ত হয়েই বললেন; তোকে নিয়ে আর পারা গেল না! অত সাধ্য-সাধনা করে বাড়ি থেকে বেড় হলাম সংস্কৃতির সংকট নিয়ে আলাপ আলোচনা করব। আর তুই ধ্যনে বসে গেলি!
আরিফ জেবতিক (মৃদু হেসে) : বুঝলি, সচল রনদিপম বসু ইয়োগার কথা লিখেছিল পড়েছিস! পড়লে বুঝতি, দেহ মনের জন্য ইয়োগা কত জরুরী বিষয়!
অবস্থা বেগতিক দেখে নাজমুল আলবাব খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিতে বললেন: অন্ধকারতো ঘনিয়ে এল, রান্না-বান্নাতো কিছু করতে হবে! নাকি যোগ ব্যয়ামে পেটও ভরবে!
তাইতো তিনজনেই ঝোলায় হাত ঢুকালেন।
আরিফ জেবতিক ঝোলা হাতড়ে বের করলেন চিপ্সের প্যাকেট। মাহবুব লীলেন সিকি আধুলির ফাঁকে পেলেন একটা বিস্কিটের প্যাকেট। নাজমুল আলবাব বের করলেন চিড়ার ঠোঙ্গা আর গুড়ের পুটলি।
ঠকিয়েছে, বেগমরা কেউ ঝোলায় চাল-ডাল, হাড়ি-পাতিল কিছুই দেয়নি। আরিফ জেবতিক (দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে) বুঝলি, মুক্তি নেই, এ সংসারের মহামায়া থেকে মুক্তি নেই।
সব মিলিয়ে খাবার যা হয়েছে, তাতে আরিফ জেবতিকের কোন রকমে পেট ভরতে পারে! তিন জনে মিলে খেতে গেলে কারওই পেটতো ভরবেই না উপরন্ত ক্ষিধা আরো বাড়বে।
সর্ব সম্মতিক্রমে সিন্ধান্ত হল; ক্লান্তি দূর করার জন্য আপাতঃত একটু ঘুমিয়ে নেয়া যাক। এর মধ্যে যে সব চেয়ে ভাল স্বপ্ন দেখবে তাকে পুরো খাবার দিয়ে, বাকী দুজন উপোষ করবে। প্রস্তাব মাহবুব লীলেন আর আরিফ জেবতিক খুশী মনেই মেনে নিলেন। কারন খারাপ স্বপ্ন দেখলে অন্তঃত ওজন একটু কমবে।
আরিফ জেবতিক ক্ষিধেয় এপাশ ওপাশ করছে। মাহবুব লীলেন আর নাজমুল আরবাব নাক ডেকে ঘুমোচ্ছেন।
প্রথমে ঘুম ভাঙ্গল মাহবুব লীলেনের। আড়মোড়া দিয়ে তিনি নাজমুল আলবাবকে ডেকে তুললেন।
কিরে কো স্বপ্ন-টপ্ন দেখলী? নাজমুল আলবাব চোখ রগরে বললেন পুরোটা দেখার আগেই যে তুই ডেকে তুললি!
মাহবুব লীলেন: যেটুকু দেখেছিস তাই বল, বাকীটা আমরা ভেবে নেবো।
নাজমুল আলবাব: আরিফকে ডেকে তোল।
মাহবুব লীলেন: ও হয়তো এখন স্বপ্নের শুরুতে আছে, ও স্বপ্ন দেখতে থাকুক তুই তোরটা বল।
নাজমুল আলবাব: বুঝলি, কী আর বলব! হাসন রাজার কবরের কাছে গেছি, অমনি তিনি আমার হাত থেকে একতারা কেড়ে নিলেন!
মাহবুব লীলেন (আশ্চর্য হয়ে) বলিস কিরে!
নাজমুল আলবাব: হ, তিনি বললেন, আমার গান তোদের গাইতে হবে না, তোদের এ দেশের বাউলদের জন্য একটা ফোক একাডেমী পর্যন্ত করতে পারলি না।
আমি বললাম: আপনার গানতো এদেশের মানুষের অন্তরে অন্তরে লেখা আছে। এদেশের মানুষের মনি কোঠায় আপনাদের গান সুরক্ষিত আছে!
রেগে গিয়ে তিনি বললেন: আর মিথ্যা শান্তনা নিজেকে দিও না।
আমি কী যেন বলতে যাচ্ছিলাম অমনি তুই ডেকে তুললি। এবার বল তোরটা শুনি।
মাহবুব লীলেন: আরিফকে আর একবার ডাকতে! তাহলে আমার স্বপ্নটা আর দুবার বলতে হবে না।
নাজমুল আলবাব প্রথমে ডাকলেন; আরিফ, এই আরিফ! কোন সারা শব্দ না পেয়ে ধাক্কা দিলেন। কিন্তু আরিফ জেবতিক নো নড়ণ-চড়ণ।
অগত্য মাহবুব লীলেন বলতে শুরু করলেন: বুঝলি, সাইঝি গাইছেন আমি হাত তালি দিচ্ছি। জানিসতো আমি কোন যন্ত্র বাজাতে পারি না। তালিটাই সম্বল। এদিকে এক বাউল কল্কী ধরিয়ে দিল হাতে। ফিরিয়ে দিলে বেয়াদপী, হবে ভেবে টান দিলাম। সব মানুষ চুপ-চাপ, কানের মাছিটি কেউ তাড়াচ্ছে না। সাইঝি এবার নতুন গান ধরবেন!
কিন্তু তিনি কোন গান না ধরে, সারিন্দাটা আমার হাতে দিয়ে বললেন; এর হেফাজত করো। আমি হাতজোড় করে কত মিনতি করলাম! আমি আপনার এ দায়ীত্ব কিছুতেই পালন করতে পারব না!
তিনি বললেন বেয়াক্কেল, তোকে সারিন্দা বাজাতে হবে না। সারিন্দার দর্শণকে লালন করতে কারো আঙ্গিনায় যাসনে। আমি কি কেবল সারিন্দা হাতে গান করেছি! এর আর কোন দিক নেই! অন্য কোন ভাবে তোরা এর লালন করতে পারিস না? তোরা কত কিছু করছিস! একটা “লালন ভাষ্কর্য ভেঙ্গে দিল, তাতে কী! তোরা ফোক গানের জন্য একাডেমী না কি কয়! ঐ জাতীয় কিছু একটা কর।
মসজিদ- মন্দিরে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। এমন একটা জায়গা কর যেখানে সব মানুষ “মানুষ” হতে পারে।
আমি আবার হাতজোড় করতে যাচ্ছালাম, অমনি মশার কামড়ে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল!
এবার আরিফকে ডাক! আমাদের স্বপ্নতো সমান সমান হয়ে গেল! দেখি ও কি বলে! আরিফ এই আরিফ উঠ!
আরিফ জেবতিক উঠে বসলেন। মাহবুব লীলেনের তাড়া! বল কো স্বপ্নটপ্ন দেখেছিস নাকী! ক্ষিধে পেয়ে নে চটপট বলে ফেল।
আরিফ জেবতিক: কী আর বলবো বল! দুদিক থেকে সমানে দুই বাউল গেয়ে উঠল;
“অজ্ঞানী যায় জ্ঞানীর ধারে”
তাদের দেহের জোতি বন আলো করে ফেলেছে। আমি তন্ময়। ডানে বায়ে দেখি তোরা কেউ নেই।
তাঁরা বলে আগে দেহ সাধন কর! তাঁদের নির্দেশমত আমি দেহ সাধন করতে সবগুলো খাবার খেয়ে ফেলেছি। এবার তোরা আমাকে যা খুশী শাস্তিদে।
নাজমুল আলবাব আর মাহবুব লীলেন এক সাথে: তুই আমাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপ দিবি।
আরিফ জেবতিক: তথাস্ত, কিন্তু তোদের সহযোগীতা চাই।
নাজমুল আলবাব আর মাহবুব লীলেন: সব রকমের সহযোগীতা পাবি।
মন্তব্য
আরিফ জেবতিকের পেটের ছবি আমি দেখেছি। না, এভাবে বললে ভুল হবে, ছবিতে তার পেট দেখেছি। তিনি পদ্মাসনে বসতে পারলে বুঝতে হবে যে কায়ামৎ আসলেই নজদিক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
থাই বা চায়নিজ বুদ্ধের মূর্তি দেখলে ব্যাপারটা আর এত জটিল মনে হবে না হিমু ভাই। দেখবেন সে সব দেশের বুদ্ধের পেটের কী অবস্থা!
মন্ত্যবের জন্য ধন্যবাদ।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ইহা অতীব সুসংবাদ যে সচলায়তনের সবচে' বিশালদেহী সচল শেষ পর্যন্ত আমার ইয়োগা লাইনে এসে গেছেন।
প্র্যাকটিক্যাল সিরিজ ছাড়ার আগেই থিওরীটিক্যাল সিরিজেই এতো গুনাগুন ! তাহলে তো এবার বাকি সিরিজগুলো ছাড়া শুরু করতে হয় !
সচল আরিফ জেবতিকের ইয়োগাচর্চা লাইনে সবাই দলে দলে যোগ দিন। অশেষ ফজিলত হাসিল করুন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমিন!
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
লেখক নিঃসন্দেহে নজমূল আলবাবের কাছ থেকে ঘুষ খেয়েছে না হলে আলবাব যে স্রেফ ওজনের কারণে ফিফটি সিসি মোটর সাইকেল চেঞ্জ করে টু-ফিফটি সিসি নিয়েছে সেটা তিনি উল্লেখ করতেন...
০২
বাকিটর সম্পর্কে অনেক কিছু বলার থাকলেও কৈলাশ টিলার নাম বলায় ছেড়ে দিলাম
সেই পিচ্চিবেলার চা বাগানের সেই কৈলাশ টিলা...
১
হা হা হা, গুরু ঘুষ না, ঘুষির ডরে নাজমুল আলবাবের ওজনের কথা চেপে গেছি। সেই রকম একটা যদি আমার গায়ে লাগে তাহলে আমি উড়েই কৈলাশ টিলায় পৌঁছে যাব।
২
সিলেট শহরের আশে-পাশের কিছু টিলায় গিয়েছি। কৈলাশ টিলায় যাওয়ার সুযোগ কখনো হয়নি।
মাফ করে (ছেড়ে) দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
লেখায় ভুল তথ্য পরিবেশনের জন্য মাইনাস ।
১. পদ্মাসন সংক্রান্ত বিষয়ে হিমুর তথ্যই পেটোধার্য ।
২. আমার গানের গলা মন্দ নয় । ছাত্র জীবনে " সিগারেট দিবি নাকি একটা গান গাইয়া ফেলামু " এমন হুমকি দিয়ে নিয়মিত সিগারেট আদায় করতাম । সেই গলায় লালনের বেইজ্জতি করে নূরানী হুজুর হওয়ার কোন আকাংখা নাই ।
তাই গল্পকারের তথ্যে মারাত্মক তথ্যবিকৃতি আছে । এমন হলুদ ব্লগিংয়ের নিন্দা জানাই ।
লেখা খুবই ভালো হইছে , এজন্য পঞ্চতারকা দিতে বাধ্য হইলাম ।
মাইনাসের জন্য দুঃখ নাই। কিন্তুক...
যদি আমাকে আপনার পেটের অংশ বিশেষ ধার দিতেন!
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আলবাব ভাইয়ের মতো বাচ্চা মানুষকে সিনিয়র-ক্লাবে ঠেলে দেয়ার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
লেখা চমেৎকার হয়েছে।
সেরা অংশ ছিলো আরিফ ভাইয়ের পদ্মাসন।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
পরতিবাদ বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলে প্রেরীত হইল।
মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
অপু আরিফ ভাইয়া আর লীলেন ভাইকে
তুই তোকারি করছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আহা। আহা।
এর থেকে আনন্দ আর কী হতে পারে??????????
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা , এখানে যুক্তি হচ্ছে দুইটা ।
প্রথমটা হচ্ছে সেই আদিও অকৃত্রিম "প্রান্তিক ল " । ৫২ কিলোমিটার দূরে গেলে , অথবা স্টেজের কাজে রাত ১২টার পরে আপন পর ভেদ নাই ।
এই হিসেবে ৫২ কিমির পরে এই বেয়াদবী হজম করতেই হয় । সিলেটে আর প্রান্তিক জায়গাটা নাই , কিন্তু প্রান্তিক ল তো মানতে হবে ,তাই না ?
দ্বিতীয় যুক্তি হচ্ছে , কর্মক্ষেত্রে বয়েস নয় পারফরমেন্সের মাধ্যমে সিনিয়ারিটি জাজ হয় ।
এই হিসেবে চিন্তা করে দেখ :
১. নজমুল আলবাব বিবাহিত এবং বাচ্চার বাপ প্রায় ৬ বছর আগে ।
২. আমি বিবাহিত ৪ বছর আর বাচ্চার বাপ ৬ মাস ।
৩. লীলেন ভাই , বিবাহিত নয় এবং বাচ্চার বাপ হিসেবে বাজারে কোন কানাঘুষাও নেই ।
সুতরাং পারফরমেন্স বিচারে লীলেন ভাই জুনিয়র , আমি মধ্যম , আর গ্রেট নজমুল আলবাব আমাদের বড় ভাই ।
হায় হায় কন কি! আর মাস তিনেক পরে আমিও তাইলে মাহবুব লীলেনের সিনিয়র হয়ে যাব, পারফরমেন্সের দিকে থেকে!
প্রন্তিক ল বজায় রাখতে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় সংলাপ গুলো লিখতে চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছি।
সেই আদিও অকৃত্রিম "প্রান্তিক ল " টা কিন্তু আমার বেশ লাগে! যদিও তার প্রয়োগ কখনো করতে পারি না।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
রানা মেহের;
আনন্দ দেয়ার উদ্দেশ্যেই লিখেছিলাম।
আনন্দ ধারা বহে যাক ব্লগে!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
লেখায় জাঝা
উত্তম ঝাঝার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
রানা মেহের এবং অমিত আহমেদ এর কমেন্ট দুটো মুছে দেয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাই। উপাদেয় একটা লেখাকে এরা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
তুই কইরা কথা কইতে এত্তো মজা আগে বুঝিনাই।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হক কথা, তয় গনতন্ত্র বলে কথা! জনগনের মতামততো শুনতেই হয়, নাকী কন!
তয় তুই কইরা কওনের মজাটা আমিও নিতে পারি না।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
বেড়ে হয়েছে! মজাদারও!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
মজা পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
লেখা সাংঘাতিক হইছে!!! তবে মনে হয় আরো একটু লম্বাইতে পারতেন....
.....................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
পাঠকের ধৈর্য্যের কথা বিবেচনা করে লম্বার দিকটা খাটো করতে হল। পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
লেখা অত্যন্ত উপাদেয় হইয়াছে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
থেংকু ভাইয়া।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
বাহ্ চমৎকার লাগলো!
এরকম "ঢু মারতে এসে.." খুব ভালো লেখা পড়া গেলে ভালোই লাগে। আপনাকে অভিনন্দন।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ধন্যবাদ ঢু মারার জন্য।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
বউয়ের ঠিক কোন ভাষার এবং কোন মাত্রার ধাতানি খেয়ে মান্যবর লীলেন উপায়ান্তর না দেখে সাইকেলের পিঠে বেরিয়ে পরার প্রস্তাব করলেন, এইটা আরো ডিটেইলস লিখলে ভালো হতো না, পুতুল ভাই?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হা হা হা... খারান কইতাছি,
না কদ্দুর টাইম লাগব। লীলেন ভাইয়ের বউ খুইজ্যা পাওয়া একটু কঠিন হইয়া পরছে। এব্যাপারে আপনার কোন আইডিয়া থাকলে উপকৃত হই। আমার কল্পনা আর কতদূর আগায়!
আসলে লেখার পরে আরিফ জেবতিকের মন্তব্য পড়ে বুঝলাম ব্যাপার তাহলে এই! লেখার সময় ধরে নিয়েছিলাম তিনি আমার মতই গৃহপালিত পুরুষ!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ইন্দুরের দেশে নির্বাসনে আছি আপাতত:। লেখাটা পড়লাম, নিজের নির্বাসনের দু:খটা কিছুটা কমলো। বড়ই উপাদেয় হইছিল, হালুম হুলুম কইরাই খাইলাম। পোড়ার দেশে খাওন দাওনও সুবিধার না। কালকে যে রেষ্টরেন্টে খাইলাম, সেইখানে সব ইন্দুর ধরার স্পেশালিষ্ট রা বইসা আছিল। আজকে গিয়া দেখি, তারাও নাই।
ফোক একাডেমীর কতা তলাইয়া গেল হ্যামিলনের ইন্দুরের মতোই, হাজার কতার চাপে। এইডাই দুষ্কের!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আলবাব ভাইয়ের মতো বাচ্চা মানুষকে সিনিয়র-ক্লাবে ঠেলে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
পরতিবাদের জন্য ধন্যবাদ। পরের লেখায় ইহা মনে রাখিব।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আহা! এরা সিলেটী মানুষ। আমার বউয়ের বাড়ির লোক।
লেখা মজাদার হয়েছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আহা, শ্বশুর বাড়ীর লোক কলে কথা।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
বুড়াগুলারে নির্বাসনে পাঠায়া ভালোই করছেন... বুড়া মানুষ আমি দেখতেই পারি না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা হা হা,
তাইলে নিজে একটু সিনিয়ার সাজতে পারেন! তাইতো!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ নজুভাই।
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
নতুন মন্তব্য করুন