নাহ্, অনেক ভেবে-চিন্তেও প্রথম যাত্রা পালার নাম মনে করতে পারলাম না! তবে সে “পালায়” রাণীর অকাল মৃত্যুতে নাবালক রাজকুমারের জীবন দুয়োরাণীর দুষ্টচক্রে কেমন দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে, তা দেখে অনেক গাঁয়ের বঁধূ আঁচলে চোখ মুছতেন। আর নির্বোধ রাজার উপর গনরোষ ঘনীভূত হতো।
আমি সেই দুঃখি রাজকুমার। বড় ভাই এক রকম জোড় করেই আমাকে ধরে নিয়ে যান যাত্রার মঞ্চে। তখন আমি চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র।
তারপর প্রতি বছর গ্রামের সরল মানুষদের একমাত্র বিনোদন “যাত্রা পালা” নির্বাচনে এমন সব কাহিনী বাছাই করা হতো; যেখানে আমার একটা চরিত্র থাকে।
কিন্তু রহিম বাদশাহ্ ও রূপবান কন্যাই বার বার ঘুরে-ফিরে আসতো। রমু কাকু চলতি সংলাপ শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী সংলাপ বলে দিতেন। এভবে তিনি গাঁয়ে মাষ্টার উপাধী লাভ করেন। মঞ্চের একদিকে ব্যান্ড পার্টি অন্য দিকে সারি বেঁধে বসতো দোহারীর দল।
দাঁড়ি-গোফ গজায়নি তখনো; বার বছরের রূপবান কন্যার চরিত্রে অভিনয় করতে, গায়ে একটা শাড়ী পেঁচিয়ে, রিহার্সেলে ঠেলে দিল আমাকে! কিন্তু একটু লজ্জা পাচ্ছিলাম (এদেশে কে স্বেচ্ছায় মেয়ে হতে চায়)! আর এ লজ্জার কারনেই গ্রামের যাত্রীরা আদর্শ রূপবানকে পেয়ে গেল আমার মাঝে।
সমস্যা হল গান নিয়ে (গলা তখনো এত বাজখাই হয়নি তো), এযাত্রায় রূপবানের ১৬০টা গান! অভয় দিয়ে গলা বাড়ালো দোহারীর দল। আমি এক কলি গাই তার পর দোহারীর দল সেটা আবার গায়, এভাবে বেশ সময় পাওয়া যায়। সাথে বাজনাতো আছেই। ডিসেম্বরে পরীক্ষা শেষে রিহার্সেল শুরু হতো, মঞ্চস্থ হতো বসন্তের কোন এক রাতে।
তার পর কত যাত্রা পালায় কত চরিত্রে অভিনয় করেছি! দাঁড়ি-গোফ গজিয়েছে, শৈশব কৈশোরের কৌমার্য্য যৌবনের তারুন্যে বিতারিত হয়েছে। রূপবানের চরিত্র অন্য কেউ করেছে। তরবারী হাতে রহিমের ভূমিকায় দুষ্ট সেনাপতিকে কুপোকাত করতে করতে কখন নিজেই সেনাপতির ভূমিকায় উত্তীর্ণ হয়েছি!
হয়তো আজো বাংলার গাঁয়ে বঁধূরা রূপবানের দুঃখে আঁচলে চোখ মোছে। হয়তো বক-ধার্মিক মোল্লাদের কঠোর পীড়নে যাত্রা আর কেউ করেনা। যাত্রা শেষ হলে পরের দিন মসজিদে আমাদের ডাক পড়তো। হামিদ ক্বারী এমন ভাব করতো যেন এতদিন তিনি জানতেনই না যে, লোকের ঘুম হারাম করে আমরা প্রতি রাত রিহার্সেল দিতাম। তওবা করিয়ে ছেড়ে দিতেন। এই প্রশ্রয়টুকুর জন্য লোকটাকে এখনো শ্রদ্ধা করি।
অনেক যাত্রার ভীড়ে রহিম বাদশাহ্ আর রূপবান কন্যার কথাই বেশি মনে পরে। বনবাসে রহিমকে বাঘের থাবা থেকে কেড়ে আনে রূপবান। করম আলী জেঠা বাঘের অভিনয় এত নিখুত ভাবে করতেন যে, লোকে বাঘা করমালী নামে তাকে ডাকতেন!
অনেক সময় একটা গান শেষ হলেই গ্রীন রুমের পথ আগলে ব্যবস্থাপকদের কেউ দর্শকদের একজনকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। মাইকে ঘোষনা করে বলতেন; “রূপবানের গানে মুগ্ধ হইয়া অমুক বেপারী পাঁচ টাকা উপহার দিলেন।“ এভাবে রূপবানের গান গেয়ে অনেক উপহার পেয়েছি! একটা অদ্ভূত ঘটনার কথা এখনো মনে পড়ে! যাত্রা শুরু হয় দুপুর রাতে, শেষ হয় ভোরের দিকে। যাতে দর্শকরা দিনের আলোয় বাড়ি ফিরতে পারেন। যাত্রা শেষ। ড্রেস দেখে, গুনে গুনে বাক্সে সাজিয়ে রাখছে ডেকোরেটর। ঝুলন্ত হেজাক লাইট নিভে গেছে। ব্যান্ড পার্টি পাওনা-গন্ডা বুঝে নিয়ে যন্ত্র বগল দাবা করে বাড়ী যাচ্ছে। মঞ্চের সামিয়ানা, চৌকি, বাঁশ খোলা হচ্ছে একে একে। এমন সময় এক মাঝ বয়সী দর্শক গো ধরলেন তিনি মঞ্চের একটি বিশেষ বাঁশ কিনে নিতে চান। সে বাঁশে ধরে রূপবান তার প্রিয় মানুষটির মঙ্গল কামনায় একটি গান গেয়েছে।
এখনো মনের অজান্তে বিশেষ কোন মুহুর্তে সে রকম কোন কোন গানের কলি স্মৃতির পর্দা ভেদ করে বাজখাই গলায় আছড়ে পরে! বউ হায় হায় করে সাবধান করে; কেউ শুনে ফেলবে তো! কিন্তু একজন মানুষের পৃথিবীর পথে যাত্রার প্রাককালে অজানা আশংকায় মন ছটফট করে। এ বিশ্বকে এ শিশুর বাস যোগ্যতো এখনো করা গেল না! অন্ততঃ সে অতিথিকে এ বিশ্বের যোগ্য পথিক কি করে করতে পারি! সে ভাবনায় দুঃখ জাগানিয়া যাত্রার গান আপন মনে গেয়ে উঠি!
লিরিকটা ভাল মনে নেই.....
মন্তব্য
'রূপবান' নাম তো আসলে পুরুষদেরই হবার কথা, তাইনা? যেমন ধনবান,বলবান ।
আমাদের শহরে একজন সুদর্শন রাজনীতিবিদ ছিলেন , সিরাজউদ্দীন নাম । '৭০ এর নির্বাচনে শেখ মুজিব সিলেট এলে তাকে দেখে বলেছিলেন - 'কিরে তুই তো দেখি রূপবান' । সেই থেকে ভদ্রলোক পরিচিত ছিলেন 'রূপবান সিরাজ' নামে ।
আমাদের পুতুল ও নিশ্চয় 'রূপবান'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হা হা হা
রূপে আমার বেড়া ঠেলে, যৌবন ভরা কাঁথার তলে
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
বাহ্... আপনি দেখি যাত্রার্টিস্ট... সেলাম। মজা লাগলো...
প্রথম যাত্রা দেখছিলাম পলায়া... তবে যাত্রার সাথে বেশি পরিচিতি আর যাত্রা শিল্পীদের সাথে বেশি আলাপ হয় আবু সায়্যিদ যখন কীর্তনখোলা সিনেমাটা বানায়। সেটার শুটিংয়ে ঘুরতে গেছিলাম... দুইদিন থাকছিলাম। বগুড়ায়। সেখানে যাত্রা প্যান্ডেল বানায়া... অরিজিনাল মেলা সাজায়া... অরিজিনাল যাত্রাশিল্পীদের দিয়া অভিনয় করানো হইছিলো। তখন অনেক মজার মজার কাহিনী শুনছিলাম।
সেখানে শোনা গান 'গাজরা মোহাব্বতওয়ালা' এখনো কানে বাজে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দুর্ভাগ্য যে, যাত্রাটা আমাদের দেশ থেকে একেবারে উঠে গেল! ঢাকায় এসে যাত্র দল না পেয়ে যোগ দিলাম নাটকের দলে। কিন্তু মহারাজ বলে যাত্রার ডায়লগের শুরে নাটকের সংলাপ শুনে সবাই হা হা হি হি করে হেসে উঠলো। তারপন শুরু হল উচ্চারণ নিয়ে পোংটামী। আমার উচ্চারণ আজো আমার গাঁয়ের গন্ধ শরীর থেকে মোছতে পারে নি।
তবে নাটক করে খুব ভাল লেগেছিল। সেটা নিয়ে আর একদিন একটা পোষ্ট দের।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ নজু ভাই।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
নাটকের কোন দল করতেন?
কোন কালে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সে অনেক অনেক কাল আগের কথা, তখন টিএসসি-তে ঘোড়ার গাড়ি চলিত আর কিছু বাদাইম্যা পোলা মাইয়া "দেশ নাটক" নামে পথ নাটকের একটা দল করিত। এরশাদের পতন হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি তাহাদের সাথে ছিলাম। তাহারা হয়তো এখনো আছে। আমি আছি এই পরবাসে।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
প্রিয় পুতুল, আপনার বলা গল্প আমাদের জানা অনেক গল্পের সাথে মিলে যায়। কারন, একসময় আমাদের মানুষগুলো মোটামুটি একই ধাঁচের ছিল (বিভিন্নতাসহ)। এই গল্পগুলো জানা থাকলেও এই প্রথম কোন "ফার্স্টহ্যাণ্ড" বর্ণনা শুনলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।
উন্নাসিক শহুরে মঞ্চকর্মীরা যাত্রাপালা বা তার উপস্থাপণ পদ্ধতি নিয়ে যে হা-হা-হি-হি করে, তাতে তাদের অজ্ঞানতাই প্রকাশ পায়। পরিতাপের বিষয় এই যে এই অজ্ঞানেরাই নাগরিক সুবিধা বলে মাঠ দখল করে ফেলে। সময় আর পারিপার্শ্বিকের সাথে অভিযোজনে অসমর্থ "যাত্রাপালা" হারিয়ে যায়, আর মঞ্চ দখল করে স্বল্পবসনা প্রিন্সেসরা।
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খুব দুঃখ হয়, সাধারন মানুষদের একটা বিনোদন এভবে হাড়িয়ে যাচ্ছে।
যাত্রার ছেলে ঢাকায় এসে প্রথম হাসির পাত্র হলেও পরে সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ছিলাম। ভালও লাগতো পথ নাটক করতে। আমাদের ইচ্ছে ছিল নাটক করে মানূষকে সচেতন করে তোলা। যারা মঞ্চ গিয়ে নাটক দেখে তারাতো সচেতন (?) হয়েই আছে! যারা সে সুযোগ পায় না, নাটককে তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এই মন্ত্রটা খুব মনে ধরেছে।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ভাল লাগল।
এই ব্যাপারটি আরও বলুন না। জানতে ইচ্ছে করছে।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
মানে গ্রামের মানুষের সতস্ফূর্ত সম্পৃক্ততার কারনেই হোক বা তিনি যদি মনে করে থাকেন যাত্রা করা কোন পাপ নয়, অথচ এর প্রক্ষেতী মসজিদের একটা অবস্থানতো থাকতেই হবে, সেটা প্রমান করতেই আমাদের মসজিদে ডাকতেন। তওবা করিয়ে ছেড়ে দিতেন। কোন কঠিন শাস্তি বা এই ধরনের কোন ঝামেলা বাড়াতেন না।
আর প্রতি রাতে খুব জোরে সোরেই রিহার্সেল হতো। আশে পাশের গ্রামের মানুষ জানতো এবং রিহার্সেল দেখতে আসতো। ধর্মের দোহাই দিয়ে হামিদ ক্বারী তখনই আমাদের যাত্রায় বাধা দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি দিতেন না।
অপেক্ষা করতেন ফাইনাল পর্যন্ত। যাতে তার তওবা করায় আমাদের যাত্রার কোন ব্যঘাত না ঘটে। আবার তওবা ও করানো যায়। এবং এ ব্যাপরটি প্রতি বছর ঘটতো।
ধর্ম এবং সংস্কৃতির সহ অবস্থান সম্ভব হতো। এখন তো ধর্ম সব কিছু দখল করে ফেলেছে!
দুর্ভাগ্যক্রমে দুর্নিতীও এখন ধর্মাবতারদের দখলে!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
উদ্ধৃতি:
এক মাঝ বয়সী দর্শক গো ধরলেন তিনি মঞ্চের একটি বিশেষ বাঁশ কিনে নিতে চান। সে বাঁশে ধরে রূপবান তার প্রিয় মানুষটির মঙ্গল কামনায় একটি গান গেয়েছে।
-লোকমুখে প্রচলিত গল্প হিসেবে শুনেছি যে, লোকটি দশটাকা দিয়ে বাঁশটি কিনেছিলেন।
-এখন অবাক হচ্ছি এই ভেবে যে, ঘটনাটি নিছক গল্প নয় তাহলে!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ভেবে দেখেন তখন দশ টাকার কত মূল্য ছিল!
লোকটা গোয়ালের গাই বিক্রি করে সে টাকা যোগার করেছিল বলে শুনেছি!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আপনার এই লেখাটা খুব ভালো লাগলো।
এটা কে এখানেই না থামিয়ে সিরিজ হিসেবে সামনে নিয়ে যান।
আপনার অভিগ্গতাগুলো শেয়ার করি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ রান মেহের,
ভাই অনেক লেখা শুরু করে রেখেছি কিন্তু শেষ করতে পারছি না। সিরিজ হয়তো লিখতে পারব না কিন্তু আর একটা পোষ্ট দেবার কথা ভাবছি!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
নতুন মন্তব্য করুন