গরু-বাছুর নিয়ে কৃষকেরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। অন্ধকারের চাদর চরাচর ঢেকে দিয়েছে! কৃষাণীরা ঘরে ঘরে পিতলের প্রদীপ জ্বেলেছে। নবান্নের উৎসব পার হয়েছে কবে! ক্ষেতে নতুন ফসলের বীজ বোনার সময় এখন। সব জমিতে লাঙ্গল চলছে। গোল্লাছুট খেলার মত কোন জমি নেই। তাই বৈরাগ্যার মাঠে দাঁড়িয়াবাধা খেলছি।
মাঠের মাঝখানে বটগাছটায় পাখিদের কলকাকলী আর আমাদের চেঁচামেচীতে আজানের শব্দ বা আরতিদির ডাক কোনটাই কানে ঢুকেনি। অজিত গোত্তা দিয়ে আমার পাহাড়া কাটিয়ে পরের থল্লায়। এমন সময় আরতিদি অজিতকে না পেয়ে আমাকেই ধরলেন। এবার খেলা শেষ করতেই হল।
কানমলা খেয়ে অজিত দিব্যি ভাল মানুষ সেজে সব দোষ আমার ঘাড়েই দিচ্ছে। আমিই নাকী খেলার জন্য এতক্ষন অজিতকে ধরে রেখেছি! আমি চুপচাপ। আরতিদী আমাকে শুধু জিজ্ঞেস করলেন; এহন বাইত যাবি কেইমতে?
এবার মাথায় বাজ পড়ল! তাইতো! গাঁয়ের মাঝখানে একটা জঙ্গল অজিতদের বাড়ী থেকে আমাদের বাড়ীটা আড়াল করে রেখেছে। দেবদারু, আম-জাম-জামরুলের সারিকে দুভাগ করে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে একটা পায়ে চলার পথ। গরুর গাড়ি চলার মত প্রস্থ। বাঘ-ভাল্লুক-বানরের ভয়। তার চেয়ে বড় ভয় ডাকাতের। হাট ফিরতি মানুষের ওড়ার কলা নিয়ে লাফিয়ে গাছে ওঠতো বানর। গাছের আড়াল থেকে বল্লম উঁচিয়ে তেড়ে আসতো ডাকাত। অজিতের ঠাকুরদাকে নাকী একবার বাঘে ধরেছিল। অজিতের ঠাকুরদা রঘু নাথ তালুকদার বাঘের টুটি চেঁপে ধরে, একেবারে বাড়ি নিয়ে এসে শিকল দিয়ে সে বাঘকে বেঁধে রেখেছিলেন। স্বদেশী আন্দোলনে জেল খেটেছে রঘু নাথ তালুকদার।
এখন অবশ্য বাঘের ভয় তেমন নেই। কিন্তু অন্ধকারে ভূতের ভয়তো থাকবেই। মাঝে মাঝে দুএকটা বানর আমাদের সাথে এখনো পাল্লা দিয়ে ফলফলাদির উপর রাজত্ব করে যাচ্ছে। তবে তাদের সংখ্যা এতকম যে, কালে-ভাদ্রে লড়াই বাঁধে।
ঠনা-য় কুপি রেখে মা কাঁসার থালায় ভাত বেড়েছেন। আমি অজিত আর আরতিদি খাচ্ছি। আগেও অনেক বার এবাড়ীতে খেয়েছি। তখন মনে এত ভয় ছিল না। এই তো সেদিন দুর্গাপূজার সময়! পালা গানের আসর হয় আমাদের উঠানে। মা অজিত আর আরতিদী সেদিন আমাদের বাড়ীতেই থেকে যান। পুজার সময় আমরা এবাড়ীতে থাকি। এত অবারিত দ্বারেও আজ আমার কেমন যেন অস্বস্তি হচ্ছে! মা বোধ হয় ব্যাপারটা ধরতে পেরেছেন। অভয় দিয়ে বললেন; ফজল দুধের জগ নিতে আইছিল, হের দারে খবর পাডাইছি। তোর মায়েরে যাইন কইয়া দেয়; তুই আমাগ বাইতে থাকবি।
সীথিতে সিঁদুর আছে বলেই মায়ের মুখ খানা মন্ডপের দূর্গার মূর্তির চেয়েও সুন্দর আর করুনাময়ী মনে হয় । থালায় তরকারী দিতে দিতে, মায়ের হাতের শাখার টুংটাং শব্দ কানে অভয় বানীর মত বাজে। খিরের বাটি হাতে নিয়ে দিদি অপেক্ষা করেন। থালার সব খাবার ভালমত চেটেপুটে খেলেই তবে খির পাওয়া যাবে।
আমরা দিদিকে গল্প বলার বায়না ধরি। দিদির মুখে সীতার বনবাসের কাহিনী শুনে রাবন বধের প্রতিজ্ঞা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।
একদিন ঘুম ভেঙ্গে দেখি অজিত ম্লান মুখে আমার বিছানার পাশে বসে আছে। আমি অবাক! কিন্তু তখনো বুঝতে পারিনি আরো কত অবাক আমাকে হতে হবে! অজিত প্রথমে বলল; দিদিকে রাবন ধরে নিয়ে গেছে। কী সর্বনাশ! রাবন বধে আমরা অনেক দেরী করে ফেলেছি! আমার মা ক্রন্দসী আরেক মাকে বুকে জড়িয়ে শান্তনা দেয়ার বৃথা চেষ্টা করে চলেছে। বিলাপের ফাঁকে ফাঁকে যে দুএকটি কথা বুঝাগেল, তার অর্থ খুব ভয়ংকর। বাজারে অজিতদের দোকান লুট করে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে! আরো অনেকের সাথে অজিতের বাবাকে গুলি করে মেরে ফেলেছে! এ খবর বাড়ী এসে পৌছতে না পৌছতেই পাক আর রাজাকার বাহিনী অজিতদের বাড়ী হামলা করে! দশাননী দূর্গার মত দিদি মাছ কাঁটার বটি নিয়ে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু বটি উঁচিয়ে কোপ দেয়ার আগেই রাজাকার আর পাক বাহিনী দিদিকে কাবু করে ফেলে। বাড়ী-ঘরে আগুন লাগিয়ে দিদিকে ধরে নিয়ে যায়!
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে মুক্তিবাহিনী একটা বদ্ধ ঘর থেকে আরো কয়েকজন মেয়ের সাথে আরতিদিকে উদ্ধার করে। গাঁয়ের লোকের সাধ্যাই বা কতটুকু! আর শুধু কি অজিতদেরই সব গেছে! তবু সাধ্যমত চেষ্টা করে সবাই মাথা গোঁজার জন্য একটা ছনের চালা তুলে দিয়েছে। পথের পাশে বাড়ি বলে, সবার পরামর্শ মতে অজিত পথের ধারে একটা টুল বিছিয়ে চা বিক্রি করে। আমি টুংটাং বেল বাজিয়ে সাইকেল চালিয়ে অজিতের চায়ের দোকানের সামনে দিয়ে স্কুলে যেতাম। মাঝে মাঝে নিতান্তই দয়াপরবশ হয়ে সাইকেল থেকে নেমে অজিতের দেয়া চা-বিস্কুট খেতাম। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর দুতিন মাসের ব্যবধানে বাড়ি আসতাম। তখন মা নাড়ুটা খেতে দিলে আমার অজিতদের কথা মনে হতো। মায়ের মুখে শুনতাম আরতি পাগল হয়ে গেছে। রাস্তায় পুরুষলোক দেখলে তেড়ে আসে। গালি-গালাজ করে। আমার মনে পরে যেতো আরতিদির বলা সীতার বনবাস! দীর্ঘশ্বাষ ছেড়েই দায়ীত্ব শেষ করতাম।
অনেক বছর পর এবার দেশে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেই, অজিতদের সাথে দেখা করবো। কিন্তু অজিতদের বাড়ি খুঁজে পাওয়াই মুস্কিল! এত বছর পর দেশের উন্নতি দেখে চক্ষু চড়কগাছ! বড় বড় গাছগুলো আর নেই! ক্ষেতে কেবল সবুজের সমারোহ। সরিষা-গর্জণ-কলাই-মটর কোন রবিশষ্যই বাহারী রং মেলে চোখ ধাঁধিয়ে দেয় না। যতদূর দৃষ্টি যায়, দিগন্ত বিস্তৃত ইরি ধানে সবুজের মহাসমুদ্র। জঙ্গল বলতে তেমন কিছু আর অবশিষ্ট নেই। ধানের জমি আর মানুষের ঘর-বাড়ির ফাঁকে নিতান্তই নিরীহ গোছের দুএকটা তাল-শুপোরির গাছ দাঁড়িয়ে আছে। অনেক কষ্টে বৈরাইগ্যার মাঠ বলে আমি যে জায়গাটা চিনতাম সেখানে পৌছতে পারলাম। দাঁড়িয়ে চারপাশটা একটু দেখে নিচ্ছি। পথের ধারের খালের পানিটা কেমন কালো! কচুরিপানা তো দূরের কথা এতটুকু শ্যাওলা পর্যন্ত নেই। কেমন আষ্টে একটা গন্ধ! অথচ এই খালে আমি সাতার কাঁটা শিখেছি। এখন সে জলে পুঁটি মাছও সাতার কাটেনা! চোখ ধাঁধাঁনো ডাইং ফ্যাক্টরীর সাইনবোর্ড দেখেই বোঝা যায়, কত উন্নতি এর মধ্যে ঘটে গেছে! অবশ্য খালের পানির উপর নির্ভর করে ইরি ধানের চাষ হচ্ছে না। ডিপ টিউবঅয়েলের পাতালপূরীর পানি দিয়ে সেচ কাজ চলে। গোবর সারের ঝামেলা কে পোহাবে! রাসায়নিক সার আর কীটনাশক বাড়তি ফলনের দায়ীত্ব নিয়েছে।
রামকৃষ্ণপুর গাঁযের নামেই জামে মসজিদের নাম করন করা হয়েছে। আগে যেটা বৈরাইগ্যার মাঠ ছিল মসজিদটা সেখানেই। দেয়াল ঘেরা মসজিদের সামনের রাস্তায় রিক্সা-মোটর সাইকেলের যাওয়া-আসার ফাঁকে ছেলেরা ক্রিকেট খেলছে। তাদের একজনকে জিজ্ঞেস করতেই সে মসজিদের পেছনে আরু পাগলনীর ডেরা দেখিয়ে দিল।
উঠোনে দাঁড়িয়ে পূব আর উত্তর মুখী দুটো ছনের চালা দেখে ইতস্তঃ করছি, কোনটাতে থাকেন আরতিদি? এমন সময় সাত-আট বছরের একটা মেয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলো; আন্নে (আপনি) কেডা? ছিন্ন মলিন জামা-প্যান্ট, উসকো-খুসকো চুল মেয়েটির। মনে হল পেছন থেকে প্রশ্নটি কেউ তাকে শিখিয়ে দিয়েছে। জবাব দিতে আমার দেরী দেখে, এখন ওপাশে মুখ ফিরিয়ে পরবর্তী নিদের্শের জিজ্ঞাসু দৃষ্টি ঘুরিয়ে আবার আমার দিকে তাকালো। আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম; তোমার নাম কি? এবার খুশী হয়েই বললো খুকি; আমার নাম জয়ীতা। আমি আবার প্রশ্ন করলাম; তুমি কি অজিতের মেয়ে? হ, আন্নে বাবারে চিনেন নি?
হ্যা, তোমার বাবা আমার বন্ধু। এবার মেয়ের মা ব্যস্ত হয়ে বললেন; মেজনরে (মেহমানকে) বইতে দে।
আত্মীয়ের মত ঘরে নিয়ে বসাল অজিতের বউ আমাকে। একে একে সব খবর পেলাম বৌদির মুখে। মা আর বোনের চিকিৎসায় অজিত পৈত্রিক সম্পত্তির প্রায় সবটুকু হারিয়েছে। ছেলের প্রতি দয়াপরবশ হয়েই মা স্বর্গবাসী হয়েছেন। দিদির কোন উন্নতি হয়নি। গায়ে তেমন বল নেই, তাই উৎপাৎ খুব একটা করেন না। কিন্তু ছেড়ে দিলে কোথায় চলে যান, খুঁজে-বেঁধে আনাও অনেক কষ্টের, অজিত ডাইং ফ্যাক্টরীতে কাজ করে। তার অত সময়ও নেই যে, দিদির খোঁজে... বলতে বলতে বৌদির চোখ ভিজ এল।
দিদি তখন পাশের ঘরে শুয়ে ছিলেন। আমাদের কথা-বর্তা শুনেই বোধ হয় উঠে হাঁক-ডাক শুরু করলেন! সীতারে তরা বাইন্দা রাখবি! তগ লংকায় আগুন লাগাইতে রাম আইতাছে! রাবনের লংকা ছাড়খাড় অইব!
বৌদি বললেন; দিন রাইত এই কতা। নাইলে জুত কইরা বইয়া থাহে। কোন কতা কয় না। জয়ীতা ছাড়া কেউই কাছে যাইতারে না।
বৌদি বার বার বারন করেও দিদিকে দেখার আগ্রহ দমাতে পারেননি। আমি দিদির সামনে বসে জিজ্ঞেস করি; দিদি কেমন আছো?
রাবনের জাত! আইছত মজা খাইয়া যা, আর আবিনি কইয়া যা! বলে কষে একটা চড় বসালেন গালে। মাথাটা কেমন ঝিম মেরে গেল।
থাপ্পরটা খেয়ে মনে হয় কিচ্ছুক্ষনের জন্য জ্ঞান হারিয়েছিলাম! বৌদি জলের ঝাপটা দিয়ে কী চেতনা ফিরিয়ে আনলো!
মন্তব্য
চেতনা ফিরেছে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মনে তো হয় না!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
পুতুল ভাই কিছু মনে না করলে,
বীরাঙ্গনা বানানটা দয়া করে ঠিক করে দেন। শিরোনামে থাকায় চোখে লাগছে...
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ধন্যবাদ ভাই রাফি। আরো অনেক ভূল হয়তো পাওয়া যাবে কিন্তু শিরোনামে ভূলটা খুব মর্মান্তিক। মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ...
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আপনাকেও
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ভালো লাগলো... কষ্টও।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
ধন্যবাদ তারেক ভাই।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
অসাধারন লিখেছেন পুতুল ভাই।
মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা। মন খারাপ করা লেখা।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ কীর্তিনাশা ভাই, হয়তো আমি খুব আবেগী মানুষ বলে এর চেয়ে ভাল করে লিখতে পারলাম না। আইডিয়াটা পেয়েছিলাম লীলেন ভাইয়ের কাছ থেকে, কিন্তু গল্পের অবস্থা এর চেয়ে ভাল হতে পারতো।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
নতুন মন্তব্য করুন