পূর্ণমুঠি পাঠ!

পূর্ণমুঠি
পূর্ণমুঠি পাঠের কথা করিব বর্ণন
শোন সচল ভাই বোন।।
ডাকে পাইলাম চিঠি একটা
পার্সেল আনতে যাই
বাক্স মেইল্যা দেখাইলাম ভাই
হেরা পড়তে পারে নাই
দুএক কথা কইলাম ভাইরে
বিদেশী ভাষায়
লেখার ভিতরে খূন-খারাবীর কোন নক্সা নাই।
বিশ্বাস কইরা দিল বইটা হাতে নিলাম তাই।
কত কষ্ট কইরা বইটা পাইলাম এত দিনে!
তিন বারে ছোড ভাই শুদ্ধ স্বর চেনে।
তাও পূর্ণ মুঠি নমঃ কইয়া দিছলাম একটা পোষ্ট
লীলেন ভাইয়ে দিল তখন শুদ্ধ স্বরের খোজ!
গত হইল ছয়টা মাস ভাই পথের দিকিল চাইয়া
পূর্ণ মুঠি হাতে পাইয়া গেলাম দুঃখ ভুইল্যা।
একে একে পাতা উল্টাই মাটি খোরের খোজে
আগে পিছে ভাল লেখা পৃষ্ঠা ভরে ভরে
এতো ভাল লেখার মাঝে মাটি খোর দেখে
আনন্দে না দুঃখে চোখের পানি ঝইরা পরে।
প্রচ্ছদের কথা আর কী কমু নতুন
অরুপ কামাল করছে কাম তুলনা রহিত।
সম্পাদনায় উভয় হাসান নূরুল ও মোরশেদ
তেত্তিরিশ গল্পেতে মুঠি সাজাইছে বেস।
নিখিল বাবুর কথা দিয়া গল্প করছে শুরু
অভ্র পথিক অবক্ষয়রে করছে দুরু দুরু।
তার পরেতে অমিত সচল জুতা পালিশ কইরা
দেখাইলো আমাদের ক্ষয় এখনো শেষ হয় নাই।
ঈশ্বরের স্বপ্ন ভাঙ্গতে টোকাইর হাত দিয়া
ছাইড়া দিল গায়েবী তীর তীরন্দাজে গিয়া।
নিলুফার তো মইরা গেল! আ.সা. শিমুল কয়
গল্প একটা লেখছে ভাইরে পড়িলে ভয় হয়।
লুহার তালা ভাঙ্গতে গিয়া আ. মুস্তাফিজে ভাই
এই জবানার পোলা-মাইয়ার ইজ্জৎ রাখে নাই।
মাধব একটা বই লেখছিল জে. আরিফ কয়
বইয়ের ব্যাবসা বেবাক লোকের মনে নাহি লয়!
টুলু-ভুলুর গল্প দিয়া এম. আ. মুকিত ভাই
ফাটাবাঁশে রঙবাজীরে তুইল্যা করছে তামাসাই।
গল্পে গল্পে নগরীতে রাইতের অন্ধকারে
কি মুষ্কিলে মা বইনেরা যাতায়ত করে!
সেই কথাটা ক্যামেলিআপু কইছে সত্য কইরা,
সচলাদের লেখা শুরু হইছে তাঁরে দিয়া।
বউ নিয়া ঘুরতে যাইব হেইডা মনে কইরা
রিক্সা কিনছে রিক্সা ওয়লা বউরে ঘরে থুইয়া
বউ রাইখ্যা ভাড়া টানে পেটের ভাতের লাইগ্যা
গৌতমে কয় দুঃখে বুকটা যায়গা আমার ফাইট্যা।
টম জেরীর হাঁসের ছানা ছেলের হাতে দিয়া
রেবে-র অত্যাচারে বাপে কান্দে পথে বইয়া
নাজমুল আলবাব ধরছে কথা গল্পের পেচ দিয়া।
নিঘাত তিথির মাথায় বইয়া সুকুমারে কয়
সান্তিয়গো মরা মাছের পেটি বইয়া খাও।
পূর্ণমুঠির কথা কিছু এইখানে রাখিয়া
নাওয়া খাওয়ার ব্যাবস্থাটা কইরা আসি গিয়া
বাকী কথা কাল হইবে আজ এদ্দূর থাক
নইলে মোর কপালে আর না ঝুটিবে ভাত!
আগামী কল্য সমাপিতব্য...