একদিন নপুংসক হবে!!!

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: রবি, ১৬/০৮/২০০৯ - ৪:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রজ্জব আলীর মেয়ের বয়স কত হবে?
৯ কি আঠারো মাস........
ক্ষেতমজুর ছিল সে,
চাষবাসের ফাঁকে কেড়াইয়া বাইতো।
এক ঘাটের মানুষ আরেক ঘাটে পৌঁছে দিত।
তখন যুদ্ধ, শত্রু-মিত্র চেনা বেশ কঠিন।

শিশু কন্যাকে বাগে রাখা অসম্ভব।
মইরম বিবি, রজ্জব আলীর বউ
স্বামীর জন্য ভাত রেঁধেছে,
দিনের লগ্গী ঠেলায় রজ্জব ভীষণ ক্লান্ত ।

বাতি জ্বালানো নিষেধ সে কথা ভুলে,
কুপি জ্বেলে রজ্জব ভাত গিলতে বসেছে।
বর্ষায় কাঁচা লংকা ছিলনা বলে,
মইরম বিবি হুলারা মরিচ খোলায় টেলে রেখেছে।

সেটাই খেতে গিয়ে নাদানের মত
বাতি জ্বেলে নিয়েছে রজ্জব,
কে জানে হয়তো একসিলম তামাকও খেতো!

রাজাকার এবং খানসেনারা তখন জোনাকী দেখলেও গুলি ছোঁড়ে।
রজ্জবের ভাত খাওয়ার সময় কুপির আলো লক্ষ্য করেই গুলিটা ছোঁড়া হয়েছিল।
তাতে যুক্তিবাদী মানুষের কোন সংশয় থাকার নয়।
আবার তাঁরাই বলে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে পারে।

হয়তো সেভাবেই মেয়েটা গুলিবিদ্ধ হয়।
কি যেন নাম!
আজকাল কিছুই মনে থাকে না
নিকট অতীত এখনো ইতিহাস হয়নি তো!

সে যাক, রজ্জব আলী রাতভর কেঁদে
ভোরে মেয়েটাকে কোলে নিয়ে
গিয়েছিল স্থানীয় মিলিটারী ক্যাম্পে।

রক্তটা শুকিয়ে গেছে বলে
পিতার কোলে কন্যার লাশ
দেখতে আর তেমন ভয়ঙ্কর মনে হয়না।

অনেক দিন কেঁদেছিল রজ্জব আলীর বউ
হয়তো এখনো কাঁদে, কে জানে!
এই সব নাদানেরা শুধু কাঁদতে জানে!

আধুনিক বুদ্ধিজীবি গং খান সেনা
আর তার দোসর রাজাকারদের
কি করে এ দেশে পূর্ণবাসন সম্ভব
তা নিয়ে নস্যি নমস্কার করছেন।

রজ্জব আলীর শিশুকন্যার হত্যার বিচার
এখানে অনভিপ্রেত।
এরা তো মানুষ নয়
মানুষ হল গোলাম আযম
তাদের সাথে তোয়াজ করে কথা বলতে হবে।

কিছু দুষ্ট ছেলে বিপথগামী হয়ে
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে
ফলক বিলি করেছে পথে প্রান্তরে।
আমি উপযাচক, তাই এই সব বিপথগামী
তরুনদের হয়ে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই
হে বুদ্ধিজীবি গং!

আপোষ কামিতা একটা ক্ষমতার নাম,
সেটা এখনো এই পাড়ার মূর্খের দল রপ্ত করেনি!
সময় দিন, এখনোতো রক্তের দাগ মুছে যায়নি
দেখবেন এরাও আপোষকামী সুশীল
হতে হতে একদিন নপুংসক হবে!


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।