দূরের কোন গাঁয়-১

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: রবি, ২৫/১০/২০০৯ - ৭:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(এই গল্পটা গুরু মাহবুব লীলেনকে)
হনুমান গাছে বসে সাপ আর বেজীর ঝগড়া দেখতো। জৈন্তা পাহাড়ের লামায় গরু ঘাস থেকে নাকে লেপ্টে থাকা সবুজ চিনা জোঁক জিহ্বায় চেটে দাঁতের ফাঁকে আনার চেষ্টা করতো, জাবর কাটার জন্য। তার থেকে আরো সমতলে ধান ক্ষেতের আইলে নির্মল একমনে বসে বাঁশি বাজাত। মা মরা ছেলেটা কারো সাথে খুব বেশী কথা কইতো না। সব কথা বাঁশির সুরে বাতাসে ছড়িয়ে দিত। দুপুরের ঘুঘুর ডাকের মত প্রকৃতির স্বাভাবিক কলকাকলির সাথে তা মিলিয়ে যেতো। আলাদা করে বাঁশি বলে মনে হতো না।

অলকার তাতে কিছুই আসতো যেত না। বাঁ হাতে মরিচের গুড়া মেশানো লবণ নিয়ে ওড় বড়ই গাছের তলায় পা ছড়িয়ে ভুতিজাম খেতে খেতে মুখটা কালো করে ফেলতো। দিনের শেষে রাক্ষসেরা রান্না চড়ালে ঠাণ্ডা ধোঁয়ায় টিলাগুলো ঢেকে যেতো। সূর্য্যটা রাক্ষসদের চুলোয় তাপ দিতে নীচে নেমে গেলে নির্মলের গরুগুলো অলকাদের বাড়ির সামনের চাতালে এসে পরেছে এমন সময়ে মা ডাকতো। নির্মলের মুখটা দৃষ্টিতে আসার আগেই অলকা উঠে যেত। অবশ্য এ নিয়ে অলকার আফসোস আছে, এমন বলা কঠিন।

সন্ধ্যায় নিমাই জ্যাঠা খঞ্জিরা, খোল, ঢোল বা ঠমক বাজিয়ে ভজন-কীর্তন গেয়ে প্রতিবেশীদের বিরক্ত
করতো। অলকার বাবা নিমাই জ্যাঠার অনুরোধ উপরোধ ফেলতে পারতো না বলে মাঝে মাঝে সেখানে যেত। সিদ্ধি খেয়ে বাড়ি এসে মাকে বকতো। যেখানে স্বধর্মের জ্ঞাতি ভাই বলতে গেলে নেই-ই সেখানে জাতপাতের পার্থক্য এনে আরো একঘরে হওয়ার কোন মানে হয়! নিমাই জ্যাঠার সিদ্ধি খেয়ে বাবার বুদ্ধি দেখে মায়ের সঙ্গে অলকাও স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত; বাবার সিদ্ধি খাওয়ার পুরো দোষ শুধু নিমাই জ্যাঠার। কাজেই তাঁর ছেলে নির্মল সে অভিযোগ থেকে অলকার দৃষ্টিতে নিষ্কৃতি পেতে পারে না। এম্নিতে কিছু করার নেই, কিন্তু দুষ্ট লোকের থেকে দূরে থাকাই ভাল। অলকা মা বাবার ঝগড়া দেখে নিজে নিজেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।

নিমাই গাঁয়ে গাঁয়ে হেঁটে চামড়া সংগ্রহ করতো। কোনদিন পেত কোন দিন পেতো না। গাব গাছের শেকড় দিয়ে বাট লাগানো ছুড়িটা সব সময় কোমরে গুজে রাখতো। রাখাল মিস্তিরি ঢোল, খোল, দোতারা কত কিছু দিয়ে যেত! নিমাই সে সব যন্ত্রে ছাউনী লাগিয়ে রাখতো। অনেক সময় রাখাল মিস্তিরি খদ্দেরকে সাথে নিয়েই আসতো। সেখানেই একটু বাজিয়ে যন্ত্রের জোয়ারী হতো। আজকাল পূঁজোর সময়েও এই সব যন্ত্রের তেমন চাহিদা নেই। দিন বদলেছে। শাহজালালের আযানে গৌড়গোবিন্দের সিংহাসন ভেঙ্গে পরার পর ওই তবলা বায়া ছাড়া আর কোন যন্ত্র কেউ তেমন একটা বাজায় না। কাজেই নিমাইয়ের তেমন কাজ নেই। অবশ্য নিমাই যে কাজের জন্য খুব আফসোস করে, তা নয়।

কতো আর বয়স হবে, দুই না কী তিন! নিমাই মনে করতে পারে না। কেউ না এলে নিমাইয়ের এমনটা হয়। ছেলের সাথে কথাবর্তা তেমন হয় না। ছেলে নিজেই গরুর জলদেয়। গোয়ালে ধোঁয়া দেয়। বাপ ছেলে মিলে নিমাইয়ের রান্না করা শাকান্ন খায়। তারপর নিমাই সিদ্ধিটা ধরায়। আজও তাই হল। কি যেন ভাবছিল নিমাই, ও নির্মলের বয়স তখন কত ছিল! মালতীর প্রসব হচ্ছেনা! লোকেন বাবু বললো সদরে নিয়ে যাও। সদরে বললেই কি আর নিয়ে যাওয়া যায়। খোয়াই নদীর উজান ঠেলে জামালগঞ্জ এক দিনের পথ। সেখান থেকে লঞ্চে সুনামগঞ্জ যেতে লাগে আরও একদিন। কিন্তু নিমাই গিয়েছিল। নির্মলকে সাথে নিয়েই গিয়েছিল। মাকে ধরে বসে ছিল ছেলেটা। কিন্তু মা শোনেনি নির্মলের কথা।

তার পর কি যে হল! আবার বিয়ে করতে ইচ্ছে হল না। মালতী কষ্ট পাবে, না কি নিজে! এই সব ভাবতে ভাবতে সময় চলে গেল! এখন ছেলের বউ এসে নিরামিষটা রেধে দিলেই হয়। কিন্তু ছেলেকে এসব বলা হয় না। সেবার ছেলেকে সাথে নিয়ে চামড়ার খোঁজে বেড়িয়েছিল। একটা চামড়াও পেয়েছিল। কিন্তু গাঁয়ের লোক যে ভাবে তেড়ে এলো। দেখে ভয়ই পেয়েছিল। গরু মরেছে অভাগার, সেতো আর বউ মরা ভাগ্যবান (?) চামাড়ের দোষ নয়! সে থেকে ছেলেতো যায়ই না, নিজেও আর আগের মত বের হয় না। কেউ এসে খবর দিলে তখন যায়। কিন্তু এমন খবর বছরে দু’একটা আসে।

নিমাই খুব ভোরে উঠে। মায়ের (গরুর) ঘরদোর পরিষ্কার করে, জল দেয়। রোদ উঠার আগেই গাই দোয়ানো শেষ করে দুধ বালতিতে ভরে নির্মলকে ডেকে তোলে। স্নান সেরে বাপছেলে মিলে শাকান্ন খায়। তারপর নির্মল দু’তিনটে বাঁশের বাঁশি বগলে চেপে গরু নিয়ে বের হয়। নিমাই দুধ নিয়ে আড়ং-এ যায়। এর ব্যতিক্রম হয় না এমন নয়। বিয়ে-শাদী, পূজা-পার্বণে প্রতিবেশীরা আগেই বলে রাখে এবং বাড়ী এসে দুধ নিয়ে যায়। কিন্তু আজ এতো বেলায় বাবা ডাকলনা দেখে নির্মল একটু অবাকই হল। বাইরে রোদের ঝিলিক অথচ বাবা এখনো উঠছেনা দেখে নিমাই একটু বিরক্ত হল। দু’একবার ডেকেও সাড়া না পেয়ে, বিরক্তি রাগে উপনীত হল। তার পর বাইরে গিয়ে নিজেই কাজে হাত দিল। বার বার ঘরের দাওয়ায় বাবার অপরাধী মুখখানা কামনা করেও কোন লাভ হল না। কাল সন্ধ্যায় হয়তো মাল একটু বেশী টেনেছে। বিড়বিড় করতে করতে দুই হাঁটুর চিপায় বালতি রেখে গরুর বানে চাপতে লাগল। আধা বালতির বেশী দুধ হল না। কিন্তু এখনই আড়ং-এ না গেলে আজ ভাতের বদলে শুধু দুধ খেয়েই থাকতে হবে। কাজেই এবার বাবাকে ঘুম থেকে তুলতেই হবে।

কিন্তু ভগবান সবার প্রতি সমান সদয় হন না। নিদ্রিত নারায়ণের মত, নিমাইয়ের চিরনিদ্রা থেকে জাগানোর সাধ্যও নির্মলের নেই। যদিও বাবাকে এখন তার খুবই দরকার। মৃত্যুর সংবাদ প্রতিবেশীদের মধ্যে ছড়ায় বিলাপের করুণ সুরে। নিমাই বা নির্মলের করুণ সুরে বিলাপ করার কেউ নেই। নির্মলের অসহায় অশ্রু প্রতিবেশীদের কানে, তার বাঁশির সুরের মতই অশ্রাব্য থেকে গেল। দুপুর বেলায় আড়ং থেকে ফেরার পথে নিমাইকে আড়ং-এ না দেখে নিতান্তই কৌতূহল বসে অলকার বাবা নিমাইদের বাড়ির উপর দিয়ে যাওয়ার সময় নিমর্লের অসহায় অবস্থা আবিষ্কার করে স্তম্ভিত হন।

ভগবানের লীলা কে বুঝিতে পারে! কিন্তু অলকার মা ঠাকুর্দার ঠাকুর্দা, গৌড়গোবিন্দ রাজার রাজ পুরোহিত ছিলেন সে গর্ব বুকে নিয়েও তার পাশে নির্মলের জন্য একটু মাতৃমমতা অনুভব করলেন। হোক নির্মল অচ্ছুৎ মুচির ছেলে। এখনতো সে পিতৃ-মাতৃহীন একটা ছেলে বই কিছু নয়। সেটাই হল অলকার কাল।
(চলবে)
(কোন ভুল বানান চোখে পড়লে দয়া করে জানাবেন)


মন্তব্য

আলমগীর এর ছবি

পড়লাম, বেশ ভাল লাগল।
বানান দেখতে বলছেন, এগুলা পেলাম:
----------------------------------
ঘাষ -> ঘাস
জাবুর -> জাবর
বা হাতে -> বাঁ হাতে
লবন -> লবণ
ঠান্ড -> ঠাণ্ডা
সাদী -> শাদি/শাদী
হাটুর -> হাঁটুর
নারায়নের -> নারায়ণের
করুন -> করুণ (ণ না হলে করুণের আর্তি আসে না চোখ টিপি )
কউ -> কেউ
------------------------------
টুকটাক টাইপিং-প্রমাদ আছে।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ আলমগীর ভাই।
বানানগুলো মনে রাখার চেষ্টা করবো। আরো মনোযোগ দিলে সহজ বানানগুলো অন্তত ভুল হতো না।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সাফি এর ছবি

লেখার সময় shift চাপার ভুলে বানান ভুল আমারও খুব বেশী হয়, তবে লেখা চূড়ান্ত করে ফেলার পরে একবার পড়লে মোটামুটি ধরা পড়ে। আর বাকীভুলগুলো প্রায়ই থাকে আমার অজ্ঞতাজনিত। আপনার লেখায়ও বানানের ভুলের চেয়ে টাইপোই বেশী চোখে পড়েছে।
আর ধারাবাহিক লেখা চলুক, মন্তব্য সময়করে করা যাবে হাসি

পুতুল এর ছবি

সাফি ভাই ঠিক ধরেছেন। তবে আমি অনেক বানান জানিই না। অনেক সময় বানান না জানার কারণে সেই শব্দটাই ব্যবহার করি না। আপাতত ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম। পরের পর্বে আশা রাখি আবার কথা হবে।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুকনা!!!!!!!!!!!!!!
পড়া শুরু করতে না করতেই শেষ হয়ে গেল যে।
এস হোসাইন

---------------------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"

পুতুল এর ছবি

গল্পটা একটু বড় হয়ে যাচ্ছে, সেটা ভেবে ছোট পর্বে দিলাম। আশা করি পরের পর্বগুলোও পড়বেন। উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ এস হোসাইন।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অন্যরকম। সহজপাচ্য নয়। তবুও পড়ে ভালই লাগল।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

পুতুল এর ছবি

মুর্শেদ ভাই ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভালোই লাগলো। একটু কঠিন গল্প মনে হচ্ছে যদিও। শুরুর দিকে প্রকৃতির বর্ণনা খুবই ভালো লেগেছে।

জৈন্তা পাহাড়ের লামায় গরু ঘাস থেকে নাকে লেপ্টে থাকা সবুজ চিনাজোক জিহ্বায় চেটে দাঁতের ফাঁকে আনার চেষ্টা করতো, জাবুর কাটার জন্য। তার থেকে আরো সমতলে ধান ক্ষেতের আইলে নির্মল একমনে বসে বাঁশি বাজাত। মা মরা ছেলেটা কারো সাথে খুব বেশী কথা কইতো না। সব কথা বাঁশির সুরে বাতাসে ছড়িয়ে দিত। দুপুরের ঘুঘুর ডাকের মত প্রকৃতির স্বাভাবিক কলকাকলির সাথে তা মিলিয়ে যেতো। আলাদা করে বাশিঁ বলে মনে হতো না।

পুতুল এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই ধন্যবাদ। প্রকৃতির বর্ণনা প্রকৃতিপ্রেমিকের কাছে ভাল লাগল জেনে আনন্দিত হলাম। গল্প তেমন কঠিন কোন বিষয় নিয়ে নয়। হয়তো আর দুটো পর্বেই শেষ হয়ে যাবে। তবে পরের পর্বটা পড়লেই গল্পটা চেনা মনে হবে। আমাদের চারাপাশে প্রতিদিন যা ঘটে তাই লিখতে চেষ্টা করছি। ছোট গল্পে প্রকৃতির বর্ণনা বেশ কঠিন। কিন্তু অনেক সময় এড়িয়ে যেতে পারি না। আপনার মন্তব্যে মনে হল প্রকৃতিকে পাশ কাটিয়ে না গিয়ে ভালই করেছি। ভরসা পেলাম। সামনের দিকে কাজে লাগবে।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বলেন কি? পাশ কাটিয়ে যাবেন মানে? আমিতো 'হনুমান' দিয়ে লেখা শুরু হয়েছে দেখেই ঢুকে পড়লাম। আপনার লেখার হাত শক্তিশালী, আপনার বর্ণনা পড়ে ভালো লেগেছে।

লীলেন ভাইয়ের এরকম একটা লেখা ছিলো। আপনি সেই লেখার জন্যই এই লেখাটি ওনাকে উৎসর্গ করেছেন, তাইনা?

পুতুল এর ছবি

প্রকৃতির বর্ণনাটাই একটু পারি। আর ছোট গল্পে পরিসর কম হওয়ায় তেমন সুযোগ থাকে না। আমার গল্প সাধারণত বিষয় ভিত্তিক। অনেক সময় গল্পও হয়ে উঠে না। কিন্তু চেষ্টা করি।
আপনার মন্তব্যের দ্বিতীয় অংশে কিছুটা সত্যতা আছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

রণদীপম বসু এর ছবি

এখানেই গল্প শেষ হয়ে গেলেও গল্পের কোন ক্ষতি দেখছি না আমি। অবশ্য আপনার অন্য কোন ম্যাসেজ থাকলে ভিন্ন কথা।

সোনামগঞ্জ হবে না, হবে সুনামগঞ্জ।
জোক-এর জায়গায় জোঁক হবে।
চতলে না কি চাতালে হবে, আমি নিশ্চিত না, যদি আপনি কোন আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহার করে থাকেন।
গোরগুবিন্দ এর বদলে কি গৌরগোবিন্দ বা গৌড়গোবিন্দ হবে না ?
নাকী > না কি (দুই নাকী তিন)
ধূঁয়া > ধোঁয়া
রেধে > রেঁধে
কৌতূহল বসে > কৌতূহল বশে
ঠার্কুদা > ঠাকুর্দা
করুন > করুণ

এসব ভুল এখনো রয়ে গেছে এবং বললেন বলেই তা চিহ্ণিত করলাম। তাই বলে আমাকে আবার পণ্ডিত-টণ্ডিত বলে গালমন্দ করবেন না যেন !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পুতুল এর ছবি

রণদা অন্য মেসেজটার জন্যই গল্পটা শুরু করেছি।
তবে একটা ধারাবাহিক গল্পে কোন পর্ব কোথায় এনে থামিয়ে দিলে "চলবে" কথাটা লেখা যায় সে নিয়ে আমার ভীষণ দুর্বলতা আছে। আমি ঠিক বুঝতে পারি না, কোথায় থামানো যায়। শেরালী উপন্যাসে মাহবুব লীলেন ঠিক এই কথাটাই বলেছিলেন।
যাই হোক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

না রণদা অনেক বানান জানিনা এখন থেকে সব লেখার নীচে বানান ঠিক করে দেয়ার অনুরোধটা রাখব। তাতে ভুল বানান অনেক কমে। আর প্রতি দশটা বানানে অন্তত পাঁচটাতো মনে থাকবে। এভাবে একদিন হয়তো নির্ভুল বাংলা লিখতে পারব। সঠিক বানানগুলো লিখে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তীরন্দাজ এর ছবি

লেখাটি ভালো হয়েছে। কাহিনী, উপমার ভাজে ভাজে যথেষ্ট শিল্পময়তা লুকোনো। বেশ জমজমাট লাগলো। বাক্যের গাঁথুনি নিয়ে আরেকটু ভাবলে গল্পের পরিবেশন আরেকটু শিল্পময় হতো।

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ তীরুদা,
বিশেষ করে শুরুর দিকে একই টাইপের বাক্য পর পর এসে গেছে অনেক বার।
সুন্দর সুচিন্তিত পরামর্শের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরের পর্বে বিষয়টা মাথায় রাখার চেষ্টা করব।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।