কল্পনা নগর

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: রবি, ২১/০৩/২০১০ - ৫:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

-পূব-দক্ষিন কোনে সব চেয়ে উপরের ফ্ল্যাটটা কিন্তু আমাদের জন্য বুকিং দিতে ভুলো না।

যাত্রার সময় পিছন থেকে ডাক অশুভ জেনেও না তাকিয়ে উপায় নেই! মেয়েদের মাথায় যদি এতটুকু জ্ঞানবুদ্ধি দিতো ঈশ্বর! কোটি কোটি টাকার ব্যবসায় দুইচার লাখ টাকার কথা চিন্তা না করে ভাবতে হয় এক, আধ পার্সেন্টের কথা। পিছন থেকে মায়ের বদলে বউয়ের ডাকে যাত্রা ভঙ্গ হলো কিনা বোঝা যাবে মিটিং-এর শেষে।

এতো বড় কাজে আমি এই প্রথম। গাড়ির চাবিটা রিসিপশনে জমা দিতে দিতেই চোখ পড়ে চৌধুরী সাহেবের টেবিলে। দূর থেকে সহাস্যে মাথা ঝাকাই। লং কোট খুলে টাইস্যুট ঠিকঠাক করতে করতে এগোই টেবিলের দিকে।

করমর্দন করে নির্ধারিত চেয়ারে বসলাম। কাপে কফি ঢেলে দুধের পট কাত করতেই নো মিল্ক নো সুগার বলে ধন্যবাদ দিলাম মি. ভাগনারকে। চৌধুরী সাহেব মুগ্ধ হয়ে দেখেন ইউরোপীয়ানরা কতো খাতির করে আমাকে। না করে উপায় আছে? জিম্যান্স, এন.আ.এন থেকে ব্রায়ার পর্যন্ত সবাই জানে, এই অধমকে ছাড়া বাংলাদেশে কোন সরকারী টেণ্ডার তাঁরা পাবে না। যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসুক তাতে কিছুই যায় আসে না। সব দলের লোক আমার কাছে সমান। সবাইকে সমান চাঁদা দেই আমি।

সরকারী কাজে লাভ তেমন থাকে না। দলীয় নেত্রী-নেতা-আমলা-মন্ত্রীদের দিতে দিতে নিজের পকেটে লাভের এক পার্সেন্ট ঢোকানোই কঠিন। তবে এবারের কাজে তেমন ঝামেলা নেই। রসুন্ধরা প্রাইভেট কোম্পানী, এখানে এসেছেন মেইড ইন জার্মান যন্ত্রপাতির খোঁজে। এন.আ.এন কোম্পানীর মি. ভাগনারকে আমি এখনো বলিনি যে, কাজটা বেসরকারী। আমলা-মন্ত্রীদের কথা বলে যদি অতিরিক্ত এক আধ পার্সেন্ট বের করা যায়, ক্ষতি কী! এতো বড়ো স্কেলের কাজ দেখলে ওরা সরকারীই ধরে নেয়। তৃতীয় বিশ্বে এতো বড় প্রজেক্ট করার মতো কোম্পানী কোথায়।

ইউরোপিয়ানদের এই বিষয়টা আমার খুব ভাল লাগে। একটু স্মলটকের পরেই ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজে। ল্যাপটপ খুলে সব রেডী করে আমাদের কথা শেষ করার সময় দিচ্ছিলেন মি. ভাগনার। চৌধুরী সাহেব কফির কাপ ঠোঁটের কাছে নিতেই মি. ভাগনার বুঝে নিলেন আমাদের কথা শেষ। এবার কাজে এগোনো যায়। প্লে বাটনে চাপ দিয়ে এবার আমাদের পেছনে এসে দাঁড়ালেন তিনি।

ফিল্মটা শেষ করে ল্যাপটপ বন্ধ করে কাগজ কলম নিয়ে মি.ভাগনার বসলেন আমাদের মুখোমুখি। দেশের আর্কিটেক্ট দিয়ে আঁকানো ল্যাণ্ডস্কেপ মি. ভাগনারের সামনে, স্কেল দেখে ভাঁজ পড়ল তাঁর কপালে। বিশাল ব্যাপার! খুব ইন্টারেষ্টিং। কিন্তু তোমরা পাহাড়গুলো ভাঙ্গতে চাও কেনো? প্রশ্নটা করে আমাদের দিকে তাকালেন তিনি।

আমাদের দেশে টিলার উপর বাড়ি বানিয়ে কোন লাভ নেই। পাহাড়ী ঘর বাড়িতে যাতায়াতের জন্য লাগে গাড়ী। একটা গাড়ী এবং বাড়ি কেনার সাধ্য আছে এমন ক্রেতা আমাদের দেশে খুব কম। বেশীর ভাগ মধ্যবিত্ত একটা ফ্ল্যাট কিনতেই নাকানি-চুবানি খায়। কাজেই পাহাড় কেটে রিক্সা চলাচলের উপযোগী কিন্তু ঢেউ খেলানো জমিতে বানাতে হবে ফ্ল্যাট। পরিস্থিতিটা ব্যাখ্যা করে দেই আমি।

ঠিকাছে কোন অসুবিধা নেই। আগে তোমাদের পাহাড় থেকে গাছ কাটতে হবে। তার পর বুলড্রেজার দিয়ে সমান করতে হবে মাটি। দুটোই আছে আমাদের। আশ্বস্ত করেন মি. ভাগনার।

তাই তো তোমাদের যন্ত্রপাতি কিনতে চাই আমরা। ফিল্মে গাছ কাটার যে ট্যাংক দেখলাম, সে রকম দুটো হলেই চলবে আমাদের। গাছ কাটার ট্যাংক দেখে মুগ্ধতা চেপে রাখতে পারেন না চৌধুরী ।

দশ হাজার একর পাহাড়ের গাছ কাটতে অনেক দিন লাগবে এই ধরনের ট্যাংকে। তাছাড়া ট্যাংক গুলো রক্ষিত বনের পরিকল্পিত গাছ কাটার জন্য তৈরী। সে কারণে গাছের ফাঁক-ফোকড় দিয়ে চলতে হয় বলে আকারে খুব ছোট।

জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকান চৌধুরী সাহেব।

ধরো গাছ কাটার জন্য আমাদের প্রয়োজন মতো দুটো ট্যাংক তোমরা তৈরী করে দেবে। গাছ কাটা শেষ হলে সে গুলোই আমরা আবার মাটি কাটার জন্য ব্যবহার করতে পারবো।

তা করা যায়। কিন্তু তার জন্য নিতে হবে আমাদের সব চেয়ে ক্ষমতা সম্পন্ন বুলড্রেজার। কারণ তোমাদের জায়গা সমতল নয়। পাহাড়ী এলাকার জন্য চেইনের বদলে আমাদের চাকা ওয়ালা বুলড্রেজার গুলো অনেক বেশী এফেক্টিভ। পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রী এঙ্গেলে দশ টন নিয়ে উঠা নামা করতে পারে অনায়াসে, এমন গোটা দশেক লরী লাগবে, কাটা গাছগুলো স’মিলে পৌঁছে দিতে। গাছ কাটা শেষ হলে আমরা করাত খুলে কোদাল লাগিয়ে দেবো বুলড্রেজার গুলোতে। গাছ টানার লরী তখন মাটি টানবে।

কিন্তু আমাদের তো ফ্ল্যাট তৈরীর কাজও শুরু করতে হবে। পুরো প্রজেক্ট শেষ করতে আমাদের হাতে আছে মাত্র চার বছর। চৌধুরীর মুখে উৎকণ্ঠার ছায়া।

তা হলে তোমরা চারটা বুলড্রেজার নাও। আট দশ একর জায়গার গাছ কেটে দেবে এক সপ্তায়। মাটি কেটে সমান করতে হয়তো সপ্তাহ দুই লাগবে। মাটি সমান করার ষ্টিমরোলার আছে আমাদের। সে গুলো রাস্তা তৈরীর কাজেও ব্যবহার করতে পারবে তোমরা। মি.ভাগনারের কাছে রেডি আছে সমাধান।

কিন্তু এতো গাছ আমরা কি করবো?

চৌধুরীর ছেলেমানুষী প্রশ্নে সৌজন্যবোধ বজায় রেখে কথা বলা মুস্কিল! বিরক্তি যতটা সম্ভব চেপে রেখে বললাম; ফিল্মের শেষটা ভাল করে দেখেন নি? ঐ যে দশটনি লড়িগুলো গাছ নিয়ে একটা দিঘীর মতো গামলায় ফেলে। তারপর স্বয়ংক্রিয় ভাবে সেগুলো স”মিলের গহবরে ঢুকে। লেজার দিয়ে ডাল-পালা কাণ্ডের বয়স, কাঠের ঘনত্ব, কাজের উপযোগীতা যাচাই বাছাই করে, কোনটাকে পাঠায় আসবাব পত্রের কাঠ বানাতে, কোনটাকে দেয়াশলাই বানাতে, বাকী গুলো যায় কাগজের কারখানায়। ঐ সিস্টেমে আপনার দশ হাজার একর বনের কাঠ, বছর খানেকের মধ্যে সাইজ হয়ে যাবে।

তাই তো! আমাদের ফ্ল্যাটের দরজা জানালা বানাতেই তো অনেক কাঠ লাগবে। কাঠের আসবাব পত্র ও লাগবে এক লাখ ফ্ল্যাটের জন্য। “তালেরকণ্ঠ” পত্রিকার জন্য নিজেরাই তৈরী করবো কাগজ। অনেক বিষয়েই আমরা পরনির্ভর। কিন্তু কাগজের উপড় সম্পূর্ণ স্বনির্ভর হতে চাই আমরা।

সে কথা মাথায় রেখেই টোপটা ফেলেছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকার একটা নতুন প্রজেক্ট শুরু হলো। চিটাগাং-এ এশিয়ার সর্ববৃহৎ কাষ্ঠ-কাঠামো নির্মানটা করতে পারি আমরাই। জলপথে সুন্দর বনের কাঠ আনার এবং বিদেশে রপ্তানী করার জন্য খুব উপযুক্ত জায়গা। পার্বত্য এলাকার কাঠ তো আছেই। বার্মার কাঠের যোগানটা ঠিক মতো ফিট করতে পারলে তো কোন কথাই নেই। চাইলে কিন্তু আমরা একটা আধুনিক আসবাব পত্রের ফ্যাক্টরী ও খুলতে পারি। চৌধুরীকে উৎসাহিত করতে যোগ করি আমি।

আরে সেই জন্যই তো আপনার সাথে যোগাযোগ করেছি আমি নিজে। হাতে সময় কম। দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে কাজ। মাস ছয়েকের ভেতর শুরু করা যাবে? মি.ভাগনারের দিকে মুখ ঘুড়িয়ে প্রশ্নটা করলেন চৌধুরী।
একটু ভেবে সম্মতিসূচক মাথা নাড়লেন মি.ভাগনার।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে কিছু প্রতিক্রিয়াশীল মহল মিডিয়ায় বক্তৃতাফক্তৃতা দিচ্ছে। সেনা বাহিনী অযথা ক্ষেপিয়ে তুলেছে আদীবাসি পাহাড়ীদের। পাহাড়ের পরিস্থিতি অশান্ত। কাগজে পড়লাম কি যেনো নাম ঐ ছেলেটার যাকে খুনের দায় আপনার কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছে দেশের একটা বিশেষ মহল। এই পরিস্থিতিতে...।
চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রস্তুতিটা নিশ্চিৎ হওয়ার জন্য, টুথপিকের মতো দাঁতের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা উচ্ছিষ্ট বের করতে গুতোটা দেই আমি।

কফিতে চুমুক দিয়ে চৌধুরী সাহেব আমাকে আশ্বস্ত করার জন্যই বোধ হয় বললেন; আপনি এই সব নিয়ে ভাববেন না। রাজনৈতিক নেতারাইতো অনুকূল পরিবেশ তৈরী করবেন। ল্যাণ্ড, লেডি, লিডারশীপ নিয়েই তো যতো গণ্ডগোল। খুনের দায়ে আমার সাজা হয়েছে। তাতে ব্যবসা থেমে গেছে? না কি জেল খাটতে হয়েছ? “তালেরকণ্ঠে” নবীন-প্রবীণ সব সাংবাদিকই কাজ করতে সমান উৎসাহী। ক্ষমতাসীন এবং কয়েকটা বিরোধী দলের সাথে কথা পাকা। কিছু লেখালেখি তো পক্ষে-বিপক্ষে হবেই। বামপন্থীদের দিয়ে বেকার সমস্যা আর পরিবেশের উপর লাভ-লস দুটোই তুলে ধরবো তালেরকণ্ঠে। ঠিকাছে?

পাহাড়ের সবচেয়ে উঁচু জায়গাটায় একশ ফুট লম্বা মূর্তি হবে কল্পনা চাকমার। একটা পাহাড়ী যাদুঘর থাকবে তার পাশে। আর আমাদের প্রকল্পের নামই হবে কল্পনা নগর। এই সব তো রাজনীতিবিদরাই ঠিক করে দিয়েছেন। এতে প্রকল্পটা সর্মথন করা তাদের পক্ষে সহজ হয় আর কি। গাছ, মাটি কাটার কাজে লাগিয়ে দেবো আদীবাসিদের। প্রজেক্ট শেষ হলে শপিংমলের সেলস গার্ল, দারোয়ানের কাজগুলো সংরক্ষিত থাকবে ওদের জন্য।

কিন্তু আদীবাসিদের দাবী দাওয়া আদায় কমিটির আন্দোলন, ধীরে ধীরে একটার পর একটা দাবী আদায় করে নেবে আমাদের কাছ থেকে। প্রধানমন্ত্রী কল্পনা চাকমার মাকে নিয়ে উদ্বোধন করবেন কল্পনা নগর। কখন কে কতো পাবে এই সব পাঁকা করেই তো হাত দিতে হয় কাজে। বিজ্ঞের মতো মাথা দোলান চৌধুরী।

যাক, ফসকে যাওয়ার ভয় নেই। কাজটা একদম পারফেক্ট। বউয়ের ইচ্ছাটা এবার বলা যায় চৌধুরীকে। জীবনের শেষ সময়টা পাহাড়ের শীতল হাওয়ায় ভালই কাটবে। বউয়ের ডাকে যাত্রা ভঙ্গ হয় নি, বেচারীকে ক্রিষ্ট থেকে একটা হীরের সেট কিনে দেবো প্রথম কিস্তির টাকাটা পেলেই।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পে আদীবাসিদের বিষয়টা ভালো লেগেছে হাসি

"মুক্ত বিহঙ্গ" [অতিথি লেখক]
মোঃ জিয়াউর রহমান ববি

পুতুল এর ছবি

সচলায়তনে স্বাগতম। সামহয়ারইনে মুক্ত বিহঙ্গ নিকে লিখতেন না?
ভালা লাগার জন্য ধন্যবাদ।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতিথি লেখক এর ছবি

@ পুতুল - না, 'সচলায়তন' আমার এখন পর্যন্ত প্রথম এবং একমাত্র ব্লগ । সামহয়ারইনে 'মুক্ত বিহঙ্গ' অন্য কেউ ।

[আমি তো ভেবেছিলাম, আমার নিক-নামটা অনন্য !! তাহলে এই নিকে আরো কেউ আছে !! মন খারাপ ]

"মুক্ত বিহঙ্গ" [অতিথি লেখক]
মোঃ জিয়াউর রহমান ববি

পুতুল এর ছবি

মুক্ত বিহঙ্গ নামে এখানে কেউ নেই, অনন্য নিকটাও চোখে পড়ে নাই। লেখা দেন, পড়ি।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতিথি লেখক এর ছবি

আহ ! 'সচলায়তন'-এ 'মুক্ত বিহঙ্গ' নামে কেউ নাই শুনে নিশ্চিন্ত হলাম !

সম্প্রতি একটা লেখা পাঠিয়েছি; প্রকাশের অপেক্ষায় প্রহর গুনছি ! এই অপেক্ষার পালা যে কখন শেষ হবে !! হাসি

"মুক্ত বিহঙ্গ" [অতিথি লেখক]
মোঃ জিয়াউর রহমান ববি

তিথীডোর এর ছবি

তালের কন্ঠ আর রসুন্ধরাকে জবর ঠুকেছেন!! দেঁতো হাসি
উত্তম জাঝা!

পূর্ব
কোণ
ঝাঁকাই
লরি
উপর
পাকা
গুঁতো
বুলডোজার
আদিবাসী... ইয়ে ভাইয়া, প্লিজ একটু দেখবেন শব্দগুলো?

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

পুতুল এর ছবি

ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। একটু দৌড়ের উপ্রে আছি। সময় পেলে ঠিক করে নেবো। আর পরের লেখার জন্য এই বানানগুলো শিখে নিলাম।
উত্তম জাঝার বদলে আপনাকে কি দেওয়া যায় তাই ভাবছি। আপাতত শুভেচ্ছা।

**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতিথি লেখক এর ছবি

একটানা পড়লাম।সময়ের সাথে মেলানো গেলো সহজেই। আপনার কলমে, থুড়ি, কিবোর্ড থেকে এমনি লেখা পাবার প্রত্যাশা রইলো।

মর্ম

পুতুল এর ছবি

থেংকু মর্ম। চেষ্টা করবো।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

দ্রোহী এর ছবি

এতো একেবারে "উত্তুইরা হলট" দিলেন।

পুতুল এর ছবি

কয় কী!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

পুতুল এর ছবি


**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল বিষয়। এ নিয়ে বড় একটা লিখা দিতে পারেন,দাদা? ভাল হয় তাহলে। আমার মনে হল,অল্প পরিসরে অনেক কিছু বলতে গিয়ে কেমন একটা তাড়াহুড়ো ভাব চলে এসেছে গল্পের মাঝে...পরের লিখার অপেক্ষায় থাকলাম।

-স্নিগ্ধা করবী

পুতুল এর ছবি

লেখা খুব ছোট করতে গিয়ে বক্তব্য প্রধান হয়েছে। লতাপাতা বাদ দিতে গিয়ে কোন কোন জায়গায় ছেটে দিয়েছি ফুলটাও। পরের লেখায় ধৈর্য্য রাখতে চেষ্টা করবো। গঠন মূলক পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ দিদি মনি।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

বাউলিয়ানা এর ছবি

গল্পের প্লটটা অসাধারন লাগল।

চমতকার লিখেছেন পুতুল ভাই।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ বাউলিয়ানা।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সচল জাহিদ এর ছবি

যদিও ট্যাগে গল্প কিন্তু আমি বলব স্যাটায়ার। চমৎকার প্লট, ভাল লেগেছে। 'রসুন্ধরা' বা 'তালেরকন্ঠ' ব্যবহার না করেও গল্পের মূল বক্তব্যটাকে সবাই ধরতে পারত।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

পুতুল এর ছবি

থেংকু বস। তাড়াহুড়ার করণে রসুন্ধরা বা তালের কণ্ঠের বিকল্প ভাবি নাই।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নাশতারান এর ছবি

খুব গুছিয়ে লেখা। ব্যাপারগুলো জানি কিন্তু এভাবে উপস্থাপণ করতে পারব না হয়তো। ভালো লেগেছে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ বুনোহাঁস।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

বইখাতা এর ছবি

চলুক চলুক

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ বইখাতা।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

সুন্দর লিখেছেন... আমি নিজে এভাবে গুছিয়ে লিখতে পারলে ভালো লাগতো!

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

পুতুল এর ছবি

কয় কী!
কোন অজুহাত নয়, লিখতে শুরু করুন। কোন গড়মিল পেলে ধরিয়ে দেবো। বিষয় গুলো নিয়ে ভাবুক মানুষ।
হা হা হা, অনেক উপদেশ দিলাম। এই নিন তার সাথে একটু ধন্যবাদ ও দিই।

**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।