এই লেখায় অশ্লীল এবং ভুল বানানের শব্দ আছে, তার পরেও পড়তে চাইলে নিজ দায়ীত্বে পড়ুন।
কয়েকদিন ধরে সচলায়তন একটু অস্থির। এর কারণ কম বেশী আমরা সবাই জানি। সেদিকে আর গেলাম না।
১৯৭১ জনৈক রাজাকার একজন মুক্তিযোদ্ধাকে তার (রাজাকারের) গাড়ির পেছনে বেঁধে শহর প্রদক্ষিণ করেছেন। তাদের নামধাম খোঁজ করলে আপনারা পাবেন।
একজন নাপিতকে বাজারের গাছে বেঁধে ভোঁতা বেয়নেট দিয়ে মুসলমানী করানো হচ্ছে। তার অপরাধ সে হিন্দু।
একজন পারুলকে পালা করে ধর্ষণ করা হচ্ছে। দিনের পর দিন।
একজন মুনির চৌধুরীকে পিছমোড়া করে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে।
এমন নতুন কোন কথা নয়। আপনারা সবাই তা জানেন। এ ও জানেন এ কয়টা কেবল উদাহরণ। এমন ভাবে হত্যা করা হয়েছে তিরিশ লাখ মানুষ। ধর্ষণ করা হয়েছে দুই থেকে চার লাখ মা-বোনকে। এদের কেউ যদি আপনার মা-বোন, পিতা, ভাই কেউ হয়ে থাকেন। আপনার অনুভূতিটা একবার কল্পনা করুন দয়া করে।
না। আমরা কোন যুদ্ধাপরাধীকে খুনের বদলা খুন করিনি। প্রতিশোধ চাই নি; বদলা নেই নি।
যুদ্ধাপরাধের বিচার চাইতে গেলেই এমন ভয়ঙ্কর কিছু জ্ঞানী মানুষের উদয় হয়। ইনিয়ে বিনিয়ে ত্যানা প্যাঁচিয়ে তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার এমন ভাবে চান যেনো বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল বিচারের কারণে নেতৃত্ব শূন্যতায় না ভোগে।
কবি শাহীন হাসানের ভাষায়; “হাত তুললে থাপ্পর হয়ে যায়” তাই চুপ থাকি। প্রতিবাদ করার ভাষা ছাগু বা বরাহ শিকারে মেটে না।
একেক জনের জ্ঞান দেখলে স্তম্ভিত হতে হয়। পৃথিবীর ইতিহাসটা তাদের নখদর্পণে। হযরত মতিউর রহমান নিজামী ওয়াজ ফরমাইসিলেন এই বলে যে, “৭১ -এ কিছু হইসিলো নাকী আজকাল কিছু মনে থাকে না”। আমাদের আলোচ্য জ্ঞানী লোকেরা কয় “ নিকট অতীতের কথা ভাবি নাই”।
তখন ঠাণ্ডা মাথায় শুদ্ধ ভাষায় আয়াতের শানেনূযুল দাবী করার মানসিকতা থাকে না। গালি দিলে সেটা আবার মডুরা মুছে সর্তক করে দেবে। সচলরা নিন্দা করবে। চুপ করে থাকা ছাড়া পথ নাই।
এমন পরিস্থিতিতে হিমুদের কাঁঠাল পাতা দিয়ে ছাগুদের ঠাণ্ডা করতে হয়। দেখা যায় হিমু -ধূগো গং (সাথে আরো অনেকেই থাকে) আপত্তিকর শব্দে ভাসিয়ে দিচ্ছে সচলায়তন। এমন কি তারা একজন নির্মলেন্দু গুন কে ও ছাড়ে না।
আমার জানায় ভুল না থাকলে শহীদ বুদ্ধিজীবি মুনির চৌধুরীর ভাই কবির চৌধুরী ও নয়া দিগন্তে বিছিয়ে দিয়েছেন শরীর। নয়া দিগন্তের মতাদর্শে বিশ্বাসী বেশ্যারা বলে বেড়ায় বুদ্ধিজিবীদের হত্যা করেছে, পূর্বপাকিস্তানে অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় সেনা বাহিনী। আপনাদের সামনে রেখে এরা মিথ্যা প্রচার করে চলেছে। একটা মিথ্যা একশ বার শুনলে সেটাই সত্যি মনে হবে। এই সব মহা জ্ঞানীদের নাম দেখলে মানুষ মিথ্যাটাকে বিশ্বাস করবে।
একজন মইত্যা রাজাকারের পক্ষে যা কখনো করা সম্ভব নয়, আপনাদের নামটি দিয়ে সে কাজটা আপনারা কতো সহজে করে দিচ্ছেন। আসলে আপনাদের মরে যাওয়া দরকার ছিলো। এই দেশের অনাচার থামাতে ছাগু, কুত্তা- বিলাই এই সব শব্দ যথেষ্ট নয়। শুয়োরের পাল হালাল খাদ্য হিসাবে ভোজ্য তেলে ভেজে খাওয়া জায়েজ হওয়া উচিৎ। তবুও হিমুরা ছাগু ফাগু কিছু বলে একটা প্রতিবাদ জানায়। ভদ্রলোকেরা তাতেই ছি ছি করেন!
আমাদের অনেক ছি ছি শুনতে শুনতে অরূপ এখন অজ্ঞাতবাসে। আসুন আমারা আরো ছি ছি করি যাতে হিমু ধূগো ও গং পালাতে বাধ্য হয়!
প্রতিভাধর কথা সাহিত্যিকরা তখন কোন গিয়াঞ্জাম ছাড়াই ছাগু বিষয়ক বালছাল আচঁড়াইতে পারিবেন।
আমিন।
মন্তব্য
আমি অনুরোধ করবো পোস্টটা সরিয়ে নিতে। এই তর্ক হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গ আর সামনে না আসুক। আমাদের সামনে আরো জরুরি কাজ আছে।
ব্লগে ক্ষোভটা ভালই প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু পুতুল ভাই, কিছু কিছু বানান একেবারেই দৃষ্টিকটু লাগছে। ঠিক করে দিলে ভালো হবে। আমি আর সেগুলো উল্লেখ করলাম না।
নতুন মন্তব্য করুন