ঘরের চালের ছন বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা ঝরছে বৃষ্টির পানি। মা রান্না চড়িয়েছেন। পিঁড়িতে বসে মাথায় উঁকুন খুঁজছে ছোট বোনটা। চুলার সামনে জলচকিতে বসে শীত শীত ভাবটা খুব মিষ্টি লাগে আমার। শুকনো খড়ির অভাবে মা চুলোয় দিয়েছে স্যাঁতস্যাতে নাড়া। তুষের ছিটায় আগুন জ্বলে মাঝে মাঝে। বাকী সময় কেবল কুয়াশার মতো ধোঁয়া। বৃষ্টির ফোঁটা, ছিটে ছিটে ঢেকে দিয়েছে আমনের সবুজ পাতা, কুমড়োর মাঁচা। গাব পাতার পাতলা মাথায় বাবা ঘাস ফড়িং ধরছে কাঁশবনের ওপারে। ধোঁয়ায় নাও ঢাকা পরেছে। তাই মনে হয় জলের উপর ভর করে হাঁটছেন বাবা। ভাতের ফেনের মতো ধোয়ার রং। তার উপর আমরা সবাই ভাসছি।
আষাঢ় মাসের এই স্থবির অবস্থাটাই কেন মনে আসছে এখন! বাইরে ধোঁয়ার উপর ধ্রুপদ নৃত্য করে চলেছে স্মৃতিরা। সাথে অবিরাম বৃষ্টির মতো এক ঘেয়ে ছমছম ছমছম শব্দ। মা, বাবা, ভাই, সদ্য কৈশোর পেরিয়ে উদ্ধত যৌবনে পা রাখা ছোট বোনটা, উঁকি দেয়, মুখ দেখার আয়নার মতো খিড়কী দিয়ে। আষাঢ়ের ঘন মেঘের আকাশের মতো ধোঁয়া ধোঁয়া দেখি সামনের জীবন।
-কিছুক্ষণের মধ্যে করাচী বিমান বন্দরে এক ঘন্টার যাত্রা বিরতী!
বিকট শব্দে হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গলে যেমন হয়। ঘুমে না থেকেও ঘোষণাটা শুনে ভ্যাবাচেকা খেলাম ভীষণ। মনে পড়ল এমদাদ, সোবহান ভাই, গিয়াসুদ্দীন সহ আমাদের গাঁয়ের পাঁচ যুবক মহা ভারত পাড়ি দিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিল, জীবিকার সন্ধানে। এই তো সেদিন। ঊনআশি কিংবা আশির দিকে। মাথা পিছু পাঁচ হাজার টাকা দিতে হয়েছিল পথ খরচ।
আমি দিয়েছি একলাখ পঁচিশ হাজার। কারণ গন্তব্য আরো পশ্চিমে। অবশ্য যদি পাকিস্তানে কোন ইমিগ্রেশন চেক না হয়। গলা কাটা পাসপোর্ট। ভিসার সিলটাও নকল। আসল কেবল অন্য কোন খানে যাওয়ার ইচ্ছেটা। ঢাকা থেকে বলা হয়েছিল আমাদের গন্তব্য ফ্রাংকফোর্ট। এখন শুনি করাচী! বোম্বাইয়া হাজ্বী হয়ে না আবার দেশে ফিরে যেতে হয়!
ট্রাকের ধাক্কার ভয়ে রিকসা পাঁকা রাস্তা ছেড়ে নীচু কাঁচা রাস্তায় নেমে গেলে যেমন থেক্না খায়। সেই রকম একখান থেক্না খেয়ে পুরান ঢাকার এবড়ো থেবরো রাস্তায় ছয় নম্বর মুড়ির টিনের মতো লক্কর ঝক্কর এগিয়ে থামলো বাংলাদেশ বিমান করাচীতে। বিমান থেকে কাউকে না নামতে অনুরোধ করা হলো। শুনে একটু আশা জাগলো মনে। দুই নম্বরী যাত্রী পাকিস্তানে ধরা পড়লে মানসম্মান রাখা মুস্কিল! নিরীহ গোছের কয়েকটা লোক টয়লেট পরিস্কার করে নেমে গেল। যাত্রী উঠা-নামা নজরে এলো না।
বেল্ট লাগানই ছিল। “কি করিলে কী হয়” টাইপের নির্দেশনা আসছে সাউণ্ড বক্স থেকে। তার সাথে নীচু মানের নৃত্য শিল্পীর মতো অঙ্গভঙ্গী করে যাচ্ছে বিমানবালা। চটকলের ছুটির হুইসেলের মতো বিকট শব্দে লাগাম ছিড়তে চাইছে টাট্টুঘোড়া। এক সময় ছেড়ে দেয়া হলো লাগাম। প্রথমে দ্রুত তারপর অতিদ্রুত বেগে চলতে চলতে পাকিস্তানের মাটি পায়ের তলায় রেখে আমাদের পেটে নিয়ে টাট্টুঘোড়া উড়াল দেয় আকাশে।
পাহাড় না হলে আকাশে হেলান দিয়ে ঘুমানো কঠিন বৈকী! ঘুম আসে না। চোখ বন্ধ করলে সিনেমার পর্দায় দেখি হারানো জীবন। দমকা হাওয়ায় গুড্ডির ডুরি ছিড়ে গেলে ধানক্ষেত, খাল, জলা পেরিয়ে থামতে হতো খড়স্রোতা গোমতীর তীরে। পাঁচানি গ্রাম পেরিয়ে নদীর ওপারে গাছের আড়ালে গুড্ডিটি অদৃশ্য। গোমরা মুখে ফিরে আসতাম ঘরে।
সব হারানোর জ্বালা যদি এমন হতো। “কঁচিকাঁচা” ছেড়ে গড়লাম “খেলাঘর”। সেখানেই নতুন সমাজের স্বপ্ন। গলার আওয়াজ বাজখাই হলো কেবল। রশিদ ভাই রাজপথে আমাদের একা রেখা চলে গেলেন এরশাদের রংমহলে। সঠিক পড়ালেখার সংগ্রামেই শেষ হলো ছাত্রজীবন। ঠুঁটো জগন্নাথের বারান্দায় আড্ডাদিয়ে লজিংএ আর ফেরে নি জহির। তার বাবার সাথে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গিয়ে সনাক্ত করলাম জহিরের জড়দেহ। খবর পেলাম স্বপন ভাই কামালকে খুঁজছে। মহসিন হলে তাকে পেলাম না। জলপাই রং ট্রাকের কালো চাকা আরো কতো ছেলেকে পিষ্ট করেছে!
জমির কথা থাক। ভাত কাপড়ের ব্যবস্থাই তো হলো না! বাসস্থান চিকিৎসা সবই আছে। এমনকি শিক্ষাও। শুধু যে নিতে পারে তার জন্য। আমাদের সে সাধ্য ছিল না। হৈ চৈ হট্টগোলের মাঝে মার্ষ্টাসে ভর্তি। টিউশনি লজিং-এর ফাকে সং সাজতে যেতাম দেশ নাটকে। ফ্রি থিয়েটার করার মতো পয়সা যোগাড় করতে পারলাম না। গ্রাম থেকে সব বন্দোবস্ত পাঁকা করে বাবা এসে বললো,
- এই নাও তোমার মূলধন। নিজেও চলো আমাগো ও চালাও।
সুজাত ইটালী যাবে। কেন? তার অনেক টাকার দরকার। আরে আমারও তো কাড়ি কাড়ি টাকা লাগবো! কিন্তু কোন ভাবেই এক লাখ পঁচাত্তর হাজার যোগাড় হলো না। কি আর করা আশি হাজার নগদ। বাকী পয়তাল্লিশ হাজার জার্মানীতে কাম কইরা শোধ করতে হবে ছয় মাসে। আদম বেপারী গেরামের মানুষ। কথা বিশ্বাস করলো। পাঁচজনের সামনে দিলাম লিখিত অঙ্গীকার।
৪ মার্চের, ১৯৯১। মহিলা সমিতির সামনে খাড়াইয়া আমারে বকুল ভাই কয়,
- কি করবা এহানে থাইক্যা!
-হ, ঠিক কইছেন। যাইগা ভাই।
গ্রাম থেকে বড় ভাই এলেন এগিয়ে দিতে বিমান বন্দর পর্যন্ত। রাত বারোটার দিকে বললাম,
-ভাই, যান এলা। বেশী রাইতে গাড়ি পাইবেন না।
ভাই চলে গেলেন। সিগারেটের নেশা। পকেট হাতরে পাঁচ শলা স্টার সিগারেট কেনার পয়সা পেলাম। প্রজাপতি দেয়াশলাই সাথেই ছিল।
রাত দুটোর দিকে আসলেন জয়নাল আংকেল। লাইনে খাড়াইলাম। এবার হাতে দিলেন একখান সবুজ রং-এর বই। কাউন্টারে ইমিগ্রেশনের ভদ্রলোক জিগায় নাম কী আপনার। বইয়ে কি নাম লেখা আছে সেটা আর খুলে দেখার সময় পাই নি। কইলাম নিজের নাম। কিন্তু তাতে কিছু গোলমাল আছে বলে মনে হলো না। ভদ্রলোক হাসলেন একটু।
ভোরের দিকে ছাড়ল প্লেন। এখন পকেটে আছে মাত্র একটা সিগারেট। টানছি খুব হিসেব করে। আবার কখন কোথায় সিগারেট পাবো কে জানে! আষাঢ়ের বৃষ্টির মতো স্থবির সময়। সাতশো তেতাল্লিশ মাইল ঘন্টায় চলতে গেলে সব কিছু এমন স্থির। রাইট ব্রাদার্সের প্রশংসা না করে উপায় আছে!
বেশী ক্ষুধায় সইল্যা মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খেতে যেমন লাগে, এতো আরামে বসে আমার ঘুমের চেষ্টা কিছুটা সে রকমের। সব ঠিক হয়ে গেছে। ফ্লাইট হতে যে সময়টুকু লাগবে তার অপেক্ষায় অস্থির কেটেছে কয়েকটা সপ্তাহ। ব্যাকুল থেকেছি উৎকণ্ঠা আর উত্তেজনায়। কোথায় কার কাছে যাবো কিছু না জেনেই পা বাড়ালাম অজানায়!
আট ঘন্টা পরে আমাদের পরবর্তী যাত্রা বিরতী লণ্ডনের হিথ্রো বিমান বন্দরে। এবার আর ধাক্কা না, একেবারে ধরাশায়ী। একটা পিঁপড়েও হিথ্রোর ইমিগ্রেশন অবৈধ কাগজ পত্র নিয়ে পার হতে পারে না। এ যাত্রায় জার্মান যাওয়ার চেষ্টা এখানেই শেষ।
দেশে ফিরে গিয়ে মুখ দেখাবো কি করে!
দালাল কি বলবে?
বাপের জমিটা গেলো!
আদম ব্যাপারীদের কাছ থেকে সব টাকা আদায় করা সম্ভব না। যা দেয় দশের চাপে তাও পাঁচশ -হাজার এই হারে। নাহ্, সুজাতের দোকানটা নিলেই ভাল ছিলো। এখন আফসোস ছাড়া আর কিছু করার নেই!
চলবে?
মন্তব্য
অবশ্যই। ভাল লাগছে পড়তে।মনে হচ্ছে কতদিনের চেনা এই গল্প, চিরন্তন। অভিবাসীদের ডিসপ্লেসমেনট আর শেঁকড়ছেঁড়ার কাহিনি তো অনেকটা একই রকম হয় তাই না?
-----------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
হরফ,
পড়তে ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। শেঁকড়ের টান টা বড় অদ্ভূত! সব ছিন্ন হয় কিন্তু শেঁকড়? তবে ডিসপ্লেসমেন্টের ব্যাপারটা ঠিক বুঝি না। স্বেচ্ছায় চলে এসেছি, তবুও অনেক সময় খুব খারাপ লাগে। যারা ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাস্তভিটা থেকে উৎখাত হয় তাদের না জানি কেমন লাগে? মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার নিকটা খুব পছন্দ হলো।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
চলবে। চলবে। চলবে।
থেংকু আনন্দী কল্যান,
সম্ভবত ইমন কল্যান নামে একটা রাগ শুনেছিলাম। হয়তো সে কারণেই আপনার নিক থেকে একটা সংগীতের আবহ আন্দাজ করি। সচলায়তনে স্বাগতম।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ভাইয়া,ভাল লাগছে পড়তে; পরের পর্ব তাড়াতাড়ি লিখুন ।
ধন্যবাদ সুমি,
চেষ্টা চলছে।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
বস্, নতুন উপন্যাস শুরু করেছেন দেখে ভালো লাগলো। তবে "শেরালী"র খবর কী?
সচরাচর উপন্যাসে এই ভাষা দেখা যায়না। উপন্যাস আকারে বড় বলে পাঠকের মন-মাথায় যেন চাপ না পড়ে তার জন্য উপন্যাসে আরেকটু বর্ণনাত্মক ভাষা ব্যবহার করা হয়। এই ভাষায় যদি উপন্যাসটা চালান তাহলে ধারাবাহিকের পাঠকদের একটু কষ্ট করতে হবে। ভাষার এমন নীরিক্ষাগুলো মন্দ না। উপন্যাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাই শেষ কথা বলা ঠিক হবেনা।
ক্যারি অন বস্!
পুনশ্চঃ আত্মজীবনী লেখার সময় গল্প লেখা যেমন কঠিন, সৎ থাকাও তেমন কঠিন। আপনি এই দুটো কঠিন বিষয়েই সাফল্যের সাথে উৎরে যান সেই কামনা করি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডবদা,
শেরালীর কথা মনে রেখেছেন দেখে ভাল লাগছে। লেখাটা শেষ। কিন্তু ফাইনাল করার আগে আপনার মতো একজন পাঠকের পরামর্শ দরকার। ঘন্টা দু'একের মধ্যে পড়তে পারবেন। অভয় দিলে পাঠাই শেরালীকে?
কিছু কিছু যায়গায় কেবল ছুঁয়ে গেছি, আভাসটাও ঠিকমতো আসে নি। নিজের আলস্য আর অনুগল্পের প্রভাব থেকে হয়তো এই প্রবনতাটা এসেছে। এখন থেকে খেয়াল রাখব। কথাটা এখন বলাতে অনেক উপকার হলো।
সমস্যাটা বিরাট। খুব সৎ থাকতে গেলে গল্প হয় না, গল্প বলতে গেলে সৎ থাকা দায়। দুটোর মিল রাখার চেষ্টা থাকবে।
খুব জরুরী কিছু পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ পাণ্ডবদা।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
পাঠিয়ে দেন বস্। আমার ই-মেইলের ঠিকানা তো জানেনই। যদিও দৌড়ের উপর আছি, তবুও সময় করে পড়ে জানাব।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অবশ্যই চলবে। ভালো লাগছে পড়তে।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
থেংকু বস,
মেলা দিন বাদে!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ঠিক এই উপন্যাসটাই খুঁজতেছিলাম।
শেরালিও নাইমা পড়ুক।
আর এইটা তো চলবোই .....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
লুদমিলারে দেখতে গিয়া যে চিকন শোলাটা দিছিলেন, এই শুরুটার পেছনে তার একটা বিশেষ ভূমিকা আছে। সময় মতো কমু। শেরালী-র কিছু পরামর্শ দরকার। অভয় দিলে ওয়ার্ড কপি পাঠামুনে।
বস শেষ পর্যন্ত উপন্যাস থাকে কি না সেটা নিয়ে একটু ভয়ে আছি। কিন্তু লড়াই চলবে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
- ভালো কথা মনে করাইছেন তো পুতুল ভাই। লুদমিলারে দেখতে যাওয়ার আরেকটা ইন্তেজাম করা দরকার। আগেরবার খিচুড়ি খাইতে পারি নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
- উপন্যাস হিসেবে কেমন হচ্ছে, এখনই বলতে পারবো না। কিন্তু আত্মজীবনী হিসেবে দারুণ হচ্ছে। চলবে অবশ্যই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তীর্থের কাক'এর ২৯ পর্বে ঢুকে মনে হলো প্রথম পর্ব থেকেই শুরু করা যাক! পড়া শুরু করে দিলাম ভাইয়া।
প্রথম প্যারাটা একটু দেখবেন? ওটা দু'বার এসে গেছে। খুব ভালো হচ্ছে লেখা!
ধন্যবাদ আয়নামতি, ঠিক করে দিলাম।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
সচলায়তনে এটাই আমার প্রথম মন্তব্য যদিও অনেকদিন থেকেই সচলায়তনে বলতে গেলে প্রায়ই ডু দেওয়া হয়
আজকে হটাৎ আপনার "তীর্থের কাক-৩৩" পড়ছিলাম,পড়ে মনে হল অসাধারণ।
আস্ত সিরিজটাই পড়তে হবে মনস্থির করে ফেললাম
-স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
নতুন মন্তব্য করুন