জলিল মাষ্টারের রাইস মিল থেইক্যা ধান ভাঙ্গাইয়া মকবুল মেম্বরের গদিতে যাইতে যাইতে হিসাব করতাম; কয় সের চাইল বেচলে ধরা পরার সম্ভবনা শূন্য। সের পাঁচেক বেইচ্যা বাড়ি গিয়া মার সামনে মাথা থেইক্যা বস্তাটা ফালাইয়া ঘামটা মুছতাম গামছা দিয়া। কিছুটা পরিশ্রম আর কিছুটা সফল চুরির আনন্দে ধড়ফড় কইরা উঠত বুকটা।
মেলা দিন বাদে সন্দ করি ঢেপ কইরা মাথার তেনে চাইল নামানোর মতো শব্দে কি একটা পড়ল! শুভরে আমি জিগাই; হেগা শব্দটা কেমন জানি চিনি চিনি লাগে...?
হেতি কয়; মোবাইল চার্জে দিয়া তোমার লগে কথা কইতে কইতে তারে প্যাচ খাইয়া পইরা গেছিগা।
পইড়্যা গিয়া যহন কথা কইতে পারে, তয় গায়ের জখম তেমন ব্যাপক না। মনে মনে নিজেরে কই; নে চণ্ডি ...
কিন্তুক মাছের টানে চণ্ডিরে যাওন লাগব স্বদেশ। গাছে কাঁঠাল রাইখ্যা, গোঁফে তেল দিয়া কাটলাম টিকেট। বাংলাদেশের এম্বিসির আফায় দূরালাপনিতে কয়; চিন্তা কইরেই না দেশী ভাই; মুই আইজ আপনের পাসপুটে ভিসা মাইরগা, দিমু ডাকে ছাইরগা।
শনিবারতক পাসপোট ডাক হরকরা আর নিয়ে আসে না। রবিবার ফ্লাইট হবে না। শুভ কয় কথা দিয়া কথা রাখলা না।
মুস্কিল আছান করতে রাইতের হোয়ারে গেলামগা বার্লিন। রবিবারে ফ্লাইট ক্যানসেল করতে নিলো তিনশ ইউরো। কি আর করা আমার মতো বেক্কলেই তো বাংলাদেশের এম্বিসির মাইনষের বিশ্বাস কইরা দিব াছা মারা।
অহন সেই আফা তো মোরে আর ছেনে না! ভিসা অফিসার কয় আপনের পাসপোর্ট আমাদের কাছে আসে নাই। হায় হায় কয় কি! মাথাভাঙ্গা-র কিছু দেশী ভাইরে জানাইলাম ঘটনা। হেরা দলে দলে আইয়া কয় বেক্কল তুই আগে কবি না! দেশী ভাইয়েরা আমারে ধমক টমক দিয়া বেফানা করতে করতে দেহি আফায় আমার পাসপোর্ট এক্কেরে লাইফ লং ভিসা দিয়া লইয়া আছে। মনে মনে কই; বাবাজী ঠেলা ছাড়া বাংলাদেশ বুঝি অচল!
এইসব যন্ত্রণা সামাল দিয়া কই, শুভ আইতাসি। হুনেন ছেমড়ি কি কয়! হ তুই আয়, আমি ভিজাইছি। তর মতো ছেড়ার লাইগ্যা আমার মনডা তারেনারে করে!
আবার কি বেড়া লাগল! আমি নদীর কোন কুল-কিনারা পাই না। সুমিরে কই; কাহিনী কী?
সুমি কয় ভাই, ছেড়িরা এমন ষোলকলা দেখা-ই। আর শুভ না করলে বাইচ্চা যাই। ঈমানে কইতাছি ভাই। কতো সোন্দর সোন্দর মাইয়া দেশে ঘাটা খায়।
আমি সুমিরে কই; দেহ একটা মিলঝিল করতালে খুব ভালু। আমারতো সোন্দর সোন্দর মাইয়ার দরকার নাই। দরকার শুভরে। সুমি কয় ভেবে দেখব।
এই ছলাৎ ছলাৎ উথাল-পাতাল মনডা লইয়া দেশে গেছি, একটা হাপ্তা কুনু আহার নিদ্রা নাই। রাইতটা কোন রহমে গেলো। বেলা উঠার পর শুভ আর আহে না, ফোন তুলে না। কি মুছিবৎ! বেলা বাজে বিকাল চাইরটা!
অবশেষে ক্ষেইপ্যা গিয়া ফুন দিয়া সুমিরে কয় শুভ; তর এই বেক্কল লইয়া জার্মান যাইগ্যা। বাইত্যে বিয়ার কথাবার্তা পাকা করতাছে মুরুব্বীরা। আমি এর মাধ্যে কেমনে বাইর অই! একটা রাইত তার সহ্য হয় না!
মনে মনে কই আলহাম্মদুলিল্লাহ! সেই থেকে শুভর লগে গণ্ডগোলের শুরু, তৃতীয় শরিক আঁচল আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার। এইটা ছাড়া আর কোন বিষয়ে আমরা কখনো একমত হতে পারি নি। কিন্তু আজ শুভর জন্মদিন। কাইজ্যা-কেরাঙ্গাল আইজকার জন্য মুলতবী।
শুভ জন্মদিন, শুভ।
মন্তব্য
আপনাদের জন্য অনেক শুভ কামনা ।
ওলি
ভাবীর জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
শুভ জন্মদিন শুভ আপা!
আর আঁচলকে অ-নে-ক আদর।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
শুভকে শুভ জন্মদিন ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
শুভ জন্মদিন শুভ ভাবী
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শুভ জন্মদিন বৌদি! ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন