এই লাগারের নীচে কারিতাসের একটা ঘর আছে। বিলিয়ার্ড, টেবিল টেনিস খেলার ব্যবস্থা আছে সেখানে। কিছু বিশ্বাসী চার্চের মানুষ চা-বিস্কুটের ব্যবস্থা করেন। সাথে আমাদের উদ্দেশ্যে জার্মান কর্তৃপক্ষের লেখা চিঠির অনুবাদ এবং প্রয়োজনে জবাব লিখে দেন তাঁরা। প্রতিটা বিকাল ভালই কাটে সেখানে। তাদের সাথে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা ইংরেজীতেই হয়। তাঁরা প্রথমে জার্মানেই শুরু করে। একদম বুঝতে না পারলে তবেই ইংরেজীতে আসেন। বিদ্যা জাহির করার জন্য কখনো ইংরেজীর চর্চা করতে দেখিনি জার্মানদের। সিগি এবং সাবিনা নামে দুই তরুণীর সাথে বেশ ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গেল কয়েক দিনেই। তাদের বয় ফ্রেণ্ড মাইক আর মার্টিনের সাথেও পরিচয় হয়ে গেল। সিগি এবং সাবিনা সমাজ কল্যাণের ছাত্রী। একটা সেমিস্টার তাদের হাতে কলমে কাজ করে অর্জিত অভিজ্ঞতা দাখিল করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। চার্চের লোকদের পাশাপাশি তারাও আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান করে দেয়। নিজে না পারলে বন্ধুদের দিয়ে করিয়ে দেয়। মাইক চিঠিপত্রের জবাবের পাশাপাশি আইনি পরামর্শও দেয়। কারণ সে আইনের ছাত্র।
তাদের মিলিত প্রচেষ্টায় আউগসবুর্গ শহর প্রদক্ষিণের দিন ধার্য হল। বংশানুক্রমে এই শহরের বাসিন্দা টমি দায়িত্ব নিল আমাদের শহর ঘুরিয়ে দেখানোর।পরের দিন সকালে খুব উৎসাহ নিয়ে গেলাম টমির সাথে আমরা কয়েকজন শরণার্থী। বাঙ্গালীদের মধ্যে আমি একাই। সবার মতো আমিও টুকটাক ইংরেজীই জানি। কিন্তু লেগে থাকি নাছোড় বান্ধার মতো। কিছু বুঝি, বেশীর ভাগই বুঝি না। কিন্তু না বুঝলেও একটু অনুমান আর একটু বোঝার ভান করে থাকি। অনেক সময় বক্তার কথা বোঝার পরে মুখের ভাব যেমন হওয়ার কথা তেমন না হলে পাল্টা প্রশ্ন করে “বুঝতে পেরেছ”? যদি বলি বুঝতে পেরেছি, তাহলে প্রশ্ন করতে পারে “কী বুঝেছ”? সেই ভয়ে স্বীকার করি, আসলে ঠিকমতো বুঝতে পারি নি। তখন অনেক ধৈর্য নিয়ে ধীরে ধীরে বেশী শব্দ করে সহজ ইংরেজীতে টমি আবার বলে।
শহরের কাঠামো পাল্টে গেছে অনেক। শহরের চারিদিকে পরিখা খনন করে রাখা। পরিখা শব্দটা ঠিক হল না বোধ হয়। আসলে শহরের চারিদিকে একটা খাল। শহরের ভেতরের দিকটায় আবার মসজিদের মিনারার মতো উঁচু টাওয়ার। শহর রক্ষীরা সেখান থেকে লক্ষ রাখতো কোন আক্রমণকারী আসছে কিনা। আসলে গির্জার ঘণ্টা বাজিয়ে শহরের বাইরে ক্ষেতের কাজে যাওয়া মানুষ সতর্ক করা হতো। তাঁরা শহরে ঢোকার জন্য পরিখার উপড়ে অস্থায়ী কাঠের ব্রিজ থাকতো। শহরের সব বাসিন্দা শহরে ঢোকার পর কাঠের অস্থায়ী ব্রিজ টেনে শহরের ভেতরে নিয়ে আসা হতো। যাতে আক্রমণ কারীরা শহরে প্রবেশ করতে না পারে।
এমনই একটা আক্রমণের ইতিহাস সংরক্ষণ করা আছে আউগসবুর্গ বাসীর জন্য।সময়টা ঠিক মনে নেই তবে মধ্যযুগে বা তার আগে হতে পারে। শিল্প বিপ্লব তখনো শুরু হয়নি। পশুপালন আর চাষাবাদে পটু মানুষ যাযাবর জীবন ত্যাগ করে নির্দিষ্ট জায়গায় থিতু হয়ে বসবাস শুরু করেছে।প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সম্পত্তির উপর ব্যক্তিগত অধিকার। সম্পত্তি ও সম্পদের অধিকার নিতে কিছু মানুষ আবিষ্কার করেছে ভিন্ন জনপদ দখল লুণ্ঠনের মতো সহজ পন্থা।ভাস্কো দাগামা আর আমেরিগো ভেসপুচি দূরদেশের জলপথে তখনো বাদাম তোলেননি। পাশের দেশ সুইডিশরা কোন মতে সাগর পারি দিয়ে আশেপাশের স্থলভূমি লুণ্ঠন, দখলের চেষ্টা করছে।
তাদের এবারের মিশন আউগসবুর্গ শহর। জার্মানের সর্বপ্রাচীন শহরের মানুষ সময় মতো শহরের ভেতরে ঢুকে পরেছে। পরিখার বাইরে দাঁড়িয়ে সুইডিশ তীরন্দাজরা তেমন সুবিধা করতে পারছে না। নগররক্ষীরা পাল্টা তীর আর ইটপাটকেল ছুড়ছে। এমতাবস্থায় নিরাপদ দূরত্বে তাঁবু ফেলে শহর অবরোধ করে রাখল সুইডিশরা।ক্ষেতের ফসল, শাক-সবজিই জীবিকার প্রধান উপায় তখন। সামারে ফসল কাটা শুরু হয়েছে কেবল। তাই খাদ্যের অন্বেষণে তারা নগরের বাইরে আসতে বাধ্য হবে। এবং নগরে প্রবেশের সুযোগ পাবে সুইডিশরা। এছাড়া নগরবাসীর আর কোন উপায় থাকবে না। এদিকে তিনদিন পার হতে চললো। নিজেদের শিবিরেও খাদ্য বাড়ন্ত। অথচ জোর করে শহরে প্রবেশেরও কোন উপায় নেই। শুধু ঘোড়ার পিঠে করে এতো-বড় বাহিনীর অনেক দিনের খাদ্য-পানীয় আনা সম্ভব না। আজকের ভেতরে শহরে ঢুকতে না পারলে ফিরতি পথ ধরতে হবে। না হলে খাদ্যের জন্যই আউগসবুর্গবাসীর কাছে আত্মসমর্পণ করে কৃতদাসের জীবন বেছে নিতে হবে, বেঁচে থাকতে চাইলে।
নগর বাসীর অবস্থাও তথৈবচ। যা খাবারদাবার আছে তা এর মধ্যেই শেষ। অনেকে কিছু সর্তের বিনিময়ে অবরোধকারীদের শহরে ঢুকতে দিতে চায়। তাদের মতে এখনো রাতটা কোন ভাবে পার করা যাবে। কাজেই দখলদারদের সাথে দর কষাকষি সম্ভব। খাদ্য একেবারে ফুরিয়ে গেলে বিনা সর্তে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
যেখানে দাড়িয়ে কথাগুলো বলছে টমি, তার পঞ্চাশ গজ দূরেই নগররক্ষীদের টাওয়ার দেখা যাচ্ছে। সুইডিশ অবরোধ বাহিনীর তাঁবু ফেলা নিচু সমতল চাষের জায়গায় সারিসারি লাল-টালির ছাদ আমাদের পায়ের সমতলে। কারণ পরিখার পরে শহরটা অনেক উঁচু। আর শহরের বাইরে অধুনিক বাড়িগুলো অনেক নিচুতে তৈরী। অবরোধের তৃতীয় দিন বিকেলে দুই পক্ষের অবস্থানে বিরক্ত হয়ে একটা পাগল তার হাতের শুকনো-বাসি রুটিটি ছুড়ে দেয় সুইডিশ অবরোধকারীদের দিকে। রুটি দেখে অবরোধকারীরা ধরে নেয়;নগরবাসীর হাতে এখনো যথেষ্ট খাদ্য মজুত আছে। কাজেই আর বৃথা সময় নষ্ট না করে;তল্পিতল্পা গুটানো দরকার এখনই। এই যে দেখ; এই পাথরের মূর্তিটি সেই রুটি ছোড়া পাগলের। টমির পেছনে পেছনে এগিয়ে গেলাম। দেখলে মনে হয় ছোড়ার জন্য ডিসকাস হাতে নিয়ে বসে আছে লোকটা। কতো যত্নে রক্ষা করে রেখেছে শহরবাসী তাদের ইতিহাস!
অবরোধ ঠেকানোর জন্যই শহরের সীমাটা এতো উঁচু। ধীরে ধীরে আমাদের কাফেলা শহরের ভেতরের দিকে এগুচ্ছে আর শহরটা ভেতরের দিকে একটু একটু করে ঢালু হচ্ছে।একটা খালের সামনে দাঁড়ালো টমি। শহরের ভেতরে নগর রক্ষার পরিখার সমান্তরাল নালাটা অনেকগুলো বাড়ির নীচে দিয়ে এসে; আমাদের সামনে দিয়ে পরিখার সঙ্গে মিলেছে, একটু বাঁকা হয়ে। বোঝা যায়; নগর রক্ষার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে নালাটি জোর করে তার সাথে মিলিয়ে দেয়া হয়েছে।
যে বাড়ি গুলোর নীচ দিয়ে নালাটা এসেছে; সেগুলোতে এক সময় ইহুদিরা থাকতো। রবিবারের প্রার্থনায় তাদের স্নান করতে হতো চলতি জলে। সাধারণের ব্যবহারের জলে তাদের স্নানের অধিকার ছিল না প্রকাশ্যে। কাজেই সব বাড়ির নীচ দিয়ে জলের প্রবাহ রাখার জন্য এই নালা তৈরী হয়। শহরে যত্রতত্র ঘোরা ফেরার কোন অনুমতি ইহুদীদের ছিলনা। থাকতে হতো নিজেদের পাড়ায়।যেখানে সেখানে বাড়ি তৈরীর বা ভাড়া নেয়ার অনুমতিও তাদের ছিল না।
এখানে বেশী সময় ব্যায় না করে আমরা এগিয়ে গেলাম একটা বিশাল চার্চের দিকে। এই ডোমটা তৈরী ইটালিয়ানদের হাতে। সামনে হাতি সমান একটা ঘোড়ার পিঠে উল্টোকরে ক্রসটা তরবারির মতো করে ধরে তাক করে আছে আমাদের দিকে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কোন অশ্বারোহী সৈনিক এখনই আক্রমণ করবে আমাদের।ডোমের প্রবেশ পথে এই মূর্তিটি দেখে অনুমান করি চার্চের রক্ষায় কতো শক্তি-সময়-অর্থ-শিল্প ব্যায় করেছে খৃষ্টান ধর্ম।হাজার খানেক বছর আগে তৈরী হয়েছে চার্চটি।আকাশ সমান উঁচু তার ছাদ। ইচ্ছে করলে মহান এবং বিশাল ঈশ্বর এসে যেন আশ্রয় নিতে পারেন; সেই সম্ভবনা মাথায় রেখে কাজ করেছেন চার্চের ইটালিয়ান কারিগররা।খোদার ঘর বলে কথা। অনেক উপরে প্রায় ছাদ ঘেঁসে কিছু রঙ্গিন কাঁচের জানালা। ইটালিয়ানরা তখন কাঁচ রঙ্গিন করার কৌশল শিখেছে মাত্র।
রঙ্গিন কাঁচের জানালার নীচে ক্রুশবিদ্ধ যিশু। ব্লণ্ড।শুনেছি মুসা মিশর থেকে দলবল নিয়ে পালিয়ে এসেছেন পেলেস্তিনায়।তাদের সবাই হয়ত কালো আফ্রিকান ছিলেন তখন।সাদা হওয়ার জন্য পেলেস্তিনা খুব উপযুক্ত জায়গা না। হত্যার সময় নীরব থেকে যে ভুল ইয়োরোপিয়ানরা করেছিল; তা শোধরাতেই আপনার লোক করে নেয়ার সময় একেবারে ব্লণ্ড করে দলে নিয়েছে মৃত যীশুকে। মাথায় পেঁচানো তারকাটার তার।সৌন্দর্য হানি এড়াতে শিল্পী তারকাটার খোঁচা থেকে রক্তপাত বন্ধ রেখেছেন। হাত আর পায়ের পেরেক থেকে ফোটা ফোটা রক্ত দেখলে মনে হবে যিশুর পায়ে এখনই মারা হয়েছে পেরেকগুলো।দেহের গঠন দেখলে মনে হয় যিশু কোন যোদ্ধার নাম, মহা মানবের না। বা মহা মানব হতে হলেও আর্নল্ড স্ভারসেনেগার মতো হতে হয় শরীর। দুর্বলের কথা মানুষ বিশ্বাস করতে চায় না।
মানুষের চেঁচামেচি একদম পছন্দ করেন না ঈশ্বর। প্রর্থনারত মানুষের সংখ্যা নগণ্য হওয়ায়; অনেক প্রার্থনারত পাদ্রীর মূর্তি দাড় করানো দেয়ালে দেয়ালে। হয়তো তাদের পাহারায় বা প্রার্থনায় বিঘ্ন না ঘটাতেই নীরব সবাই।ফিসফিস করে কথা বলছে টমি। অনেকটা প্রার্থনার মতই। ঢংঢং করে বেজে উঠল ঈশ্বরের ডঙ্কা। আমাদের নীরবতার তোয়াক্কা না করেই। ঘণ্টা বাজছে তো বাজছেই। দশটা মাইকে আজান দিলে এমন বিকট শব্দ করা সম্ভব না।
আমরা টমিকে অনুসরণ করে বাইরে এলাম। ক্যাথলিক ডোমের সামনে দাঁড়িয়ে টমি দেখাল প্রটেষ্টান চার্চ।পাঁচশ মিটার দূরে একেবারে সামনা সমানি অবস্থান।ক্যাথলিক আর প্রটেষ্টানরা যুদ্ধ করেছে তিরিশ বছর।একই ঈশ্বরের অনুসারীদের মধ্যে এতো বিগ্রহ! শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শক্তির সমতা আসায়।ঈশ্বর কোন অহি নাজিল না করে বরং নীরবই ছিলেন।যুদ্ধের পরে শান্তিতে তৈরী হয়েছে বলে প্রটেস্টান্ট চার্চ সাঙ্কট উলরিখের কারুকাজ আরো মনোহর।
সকালের দিকে এতো গরম লাগে নি। সূর্য এখন মাথার উপরে। মনে হচ্ছে আরো কিছুক্ষণ থাকলে মাথার মগজ গলতে থাকবে। সবাই একটু অমনোযোগী। যেখানে আমরা মিলিত হয়েছিলাম, সেখানেই থামলাম সবাই। শহরের নাভি এই জায়গাটার নাম কৌনিগ প্লাট্স। ছোট একটা পার্কের মতো। অনেকগুলো বড় গাছ। নীচে সবুজ গালিচার ফাঁকে ফাঁকে নয়নকারা বাহারি রঙ্গের ফুল বাগান। বিশেষ ভাবে সাজানো। চৌকোণা পার্কের সব দিকে গাড়ি চলার রাস্তা। এমন একটা রাস্তা পার হলাম টমির পেছনে পেছনে। গায়ে গায়ে লাগানো আধুনিক দালান। দেয়ালের বাইরেটা পলিস করা পাথর দিয়ে বাঁধানো একটা দালানের বারান্দায় থামল টমি। সব দালানের মতো এটারও ফটক বন্ধ আজ। দেখে মনে হয় শহরের সব থেকে পুড়ানো স্থাপত্য। একতলা দালানের উপর মসজিদের মতো তিনটে গম্বুজ। নীল আর সবুজের মাঝামাঝি (আসুর ব্লাউ) গম্বুজের রং। গম্বুজ গুলো সাদা রং করে পাশে একটা মিনারা বানিয়ে দিলে ঠিক মসজিদ হয়ে যাবে। কিন্তু বাইরেটা মসজিদ মন্দির গির্জা বা প্যাগোডার মতো উন্মুক্ত নয়। খুব মজবুত লোহার পাত দিয়ে বিশাল তোরণ। দেখে মনে হয় কোন সুরক্ষিত জেল খানা। তোরণের সাথে মিল রেখে নির্বাচন করেছেন লোহার তালা। সামনে দিয়ে ট্রাম চলার রেল লাইন। তার পর ফুটপাত। সব কিছুই সমান্তরাল। টমি ডেকে নিয়ে গেল জানালার কাছে। লোহার রড দিয়ে জানালা গুলো সুরক্ষিত। ভেতরে তেমন আলো নেই। জানালার রড গলে চোখ দিয়ে ভেতরে দেখলাম একটা বড় বেঞ্চির উপর একটা মোম-দানী। একটা স্ট্যান্ডের দুই দিকে তিনটে করে শাখা। মূল দণ্ডসহ তার উপর সাতটা মোম রাখা আছে। আমি ঠিক বুঝতে পারলামটা কেন টমি আমাদের এখানে নিয়ে এলো! বুঝতে না পারলেও অনেক সময় বোঝার বান করে থাকি। কিন্তু এবার না বোঝাটা আর লুকানোর কোন চেষ্টা করলাম না। টমি বললো; এটা সিনাগোগে। ইহুদীদের প্রর্থনালয়।
অবাকই লাগল। ইহুদীরা এই দেশ এই সমাজের অংশ হয়েও যেন কিছুই না। তুর্কীরা শ্রমিক হয়ে জার্মানে এসেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। তাদের জন্য মসজিদ নেই। মানলাম। কিন্তু ইহুদীদের প্রর্থনালয় এমন সুরক্ষিত একটা দালানে!যেখানে মানুষের প্রবেশাধিকার নেই। অথবা যারা ভেতরে আছে তাদের বের হবার উপায় নেই। এমন বদ্ধ খাঁচায় ঈশ্বর স্বয় দম বন্ধ হয়ে মারা যাবেন! অথচ তার পরে আসা খৃষ্টান ধর্মের প্রার্থনার জন্য এমন গির্জা, যা দেখে মনে হয় ঈশ্বর সেখানে বাস করতে পারেন!
সবার ধৈর্য এবং টমির সময় শেষ হয়ে এলো। প্রকৃতির ডাকও পেলাম আমি। হাটা পথে এগুচ্ছি গন্তব্যের দিকে। মাইল খানেক পথ যেতে যেতে রাস্তার দুই দিকে প্রায় গোটা দশেক গির্জার দেখা পেলাম। শুনেছি মসজিদের শহর ঢাকা। সেখানেও কিছু মন্দির আছে। এমন কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা গুরু-দুয়ারা ও দেখেছি। চার্চ তো আছেই। কিন্তু এই শহরে গির্জা ছাড়া আর কোন ঈশ্বরের আবাস নেই!
মন্তব্য
বাংলাদেশে সংখ্যা লঘু ধর্মাবলম্বী রা যে পরিমান স্ট্যাটাস আর স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারে তা আর বিশ্বের কয়টি দেশেই বা বিদ্যমান আছে ?
ভালো লেগেছে জানাবার জন্য লগ-ইন করলাম। তুমি সময় করে অবার লিখছো, তাই তোমাকে ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------------------------------
ধন্যবাদ ভাবী।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
মানে কি??
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ধন্যবাদ বস।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
নতুন মন্তব্য করুন