মাঝে মাঝে রাগ হয়। অনেক সময় রাগটা যে কার উপর সেটা ঠিকমত বুঝি না। কাল রাতে কোন কারণ ছাড়াই চুনু ভাই মাতাল হয়ে এসে কাকে যেন বকে গেলেন। বেশ ভাল রকমের মুসলমান চুনু এবং লিচু ভাই। আমাদের মালকীনের আরো একটা রেস্টুরেন্ট আছে। সেখানে লিচু ভাই কুক। চুনু ভাই পিসসা বেকার। আমি ভিকি সিং-এর পাল্লায় পরে প্রতি রাতে গোটা তিনেক বিয়ার খাই। কিন্তু তাওহীদ ভাই কোন এলকোহল খায় না। শুনেছি লিচু ভাই খাবারের লবণ দেখেন না। ওয়াইন ঝোল থাকে অনেক খাবারে। বেশীর ভাগ খাবার তৈরীই হয় শুকরের মাংস দিয়ে। কাজেই লবণ দেয়ার ব্যাপারে আন্দাজই একমাত্র ভরসা। লিচু ভাইয়ের সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকে কখনো বিরক্ত হয়ে কোন কথা বলিনি। চুনো ভাইকেও কখনো কিছু বলেছি বলে মনে করতে পারলাম না। লিচু ভাই আমাকে পাঁচ হাজার মার্ক কর্জ দিয়েছেন একটা বিশেষ কাজের জন্য। কাজটা হয়নি। কিন্তু টাকাটা আর ফেরত পাব না। সেটা তো আমার সমস্যা। কর্জ দেয়ার সময় তো লিচু ভাই বলেন নি যে টাকাটা এনখই দিতে হবে। কাজ হয়নি বলে তিনি টাকা এখনই ফেরত চাইলে আমি দেব কোথা থেকে। সেটা তো সবাইকে বুঝতে হবে। তাই আকারে ইঙ্গিতে চুনু ভাই আমাকেই আসলে একটা ধমক দিয়ে গেলেন।
রানা ভাই মুখ কাঁচুমাচু করে বিরক্তি প্রকাশ করল। লোকটার অসহায় ভাবটা দেখে রাগ বেড়ে গেল। এর আগে তিনি থাকতেন পাশের ছোট একটা শহরে। এখানে বদলী হয়ে এসেছেন আরো দু জনের সাথে। ওনার দুই সঙ্গী রিপন আর জাবেদ বাইরে চলে গেছে। উনি ঘরে একা। দোতালায় আমাদের সবার রান্নার জন্য যে ঘরটি আছে তাতে ডাস্টবিন উপচে পরে এক দিনেই। প্রতি ঘরের লোকদের সেটা ফেলতে হয় নীচে বড় কন্টেইনারে। এই সপ্তাহে রানা ভাইদের ফেলতে হবে। রানা ভাইকে পছন্দ করার অনেক কারণ। সামাজিক বিজ্ঞানে কী একটা বিষয় নিয়ে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে। কথা বলেন খুব সুন্দর করে। দুনিয়ার সব কিছুর উপর রাগ করার অধিকার এই লোকটার আছে।
এতো ভাল মানুষ এবং পাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার পরেও দেশে তাঁর একটা চাকরী হল না। আসতে হল আমাদের মতো মূর্খের দলে। তাও শরীরটা ভাল নেই। এবং দুনিয়ার কোন চিকিৎসা তাঁর শরীর ভাল করতে পারবে না। ক্র্যাচে ভর করে হাঁটেন। মিষ্টি কুমড়ার মতো শরীরটা বাড়ছে। অথচ সে ভার বইবার পা-দুটো কাঠির মতো চিকন। যেখানে আমাদের সাথে তিনি তিনতালায় থাকেন সেই বাড়ির কাঠের সিঁড়ি মানুষের পায়ের তলায় ক্ষয় হতে হতে নীচের দিকে ঢালু হয়ে গেছে। আমরাও পিছলে পড়তে পারি এমন অবস্থা। তাঁর দুটো ক্র্যাচের তলা লোহার পাত দিয়ে বাঁধানো। কাঠের ক্র্যাচের ক্ষয় তাতে রোধ হয় ঠিকই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সিঁড়ি দিয়ে উঠা নামার সময় লোহার পাত পিছলে যেতে যেতে পারে। রিপন আর জাবেদ থাকে কে কীসে বড় সেই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। শক্তি দেখাতে গিয়ে জাবেদ ঘুসি মেরে ষ্টিলের আলমারির দরজা ভেঙ্গে ফেলেছে। ভীষণ ভীষণ বিব্রতকর অবস্থা। তাই রানা ভাইকে নিয়ে ওদের কোন চিন্তা নাই। কাছা-কাছি সময়ে বাইরে যাওয়ার সম্ভবনা থাকলে আমি রানা ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করি। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় রানা ভাইয়ের সামনে থাকি, যাতে পরে গেলে ঠেকাতে পারি। বাইরে থেকে ফেরার সময় তাঁর পেছনে থাকি, একই কারণে। রানা ভাই অস্বস্তি বোধ করেন। তিনি যতটা সম্ভব স্বাভাবিক থাকতে চান। আমার মাঝে মাঝে খারাপ লাগে এই ভেবে যে; তার প্রতি তার শারীরিক অসামর্থ্যের কারণে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে তাকে সত্যি সত্যি পঙ্গু করে ফেলছি নাতো। কিন্তু রানা ভাই মনে হয় বুঝতে পারেন যে; তাকে আমি কিছুটা পছন্দও করি। তাই আমার অতিরিক্ত মনোযোগ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতেই দেখেন।
আমি নিজের উপর ভীষণ বিরক্ত। বোনটার জন্য পাঁচশ মার্ক পাঠিয়েছিলাম। সে টাকা সে পায় নি। জার্মান ডাক বিভাগে অভিযোগ করারয়, তারা টাকা তুলে নেয়ার সময় আমার বোন যে সই করেছে তার কপি পাঠিয়েছে আমাকে। সুন্দর করে বোনের নাম তাতে লেখা। কিন্তু এটা আমার বোনের সই নয়। আমি তার লেখা চিনি। পাল্টা অভিযোগ করলাম। কোন এক অদ্ভুত কারণে আমদের দেশ মার্ক নেয় না বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে। ডলারে কনভার্ট করে দেয় জার্মানরাই। কিন্তু যেহেতু ডলার। তাই আমার বোনের সই আমেরিকান এমব্যাসি সত্যায়িত করে দিলেই, জার্মান ডাক বিভাগ আমাকে টাকা ফেরত দেবে। কাজটা ঢাকাতেই বা বাংলাদেশেই হয়েছে। জালিয়াতি করে আমার টাকা মেরে দিয়েছে। অথচ তার জরিমানা দেবে জার্মান ডাক বিভাগ। উপায় নেই আমার কষ্টের টাকা আমি চাই। সেটা যেই মেরে থাকুক আমার তাতে কিছু যায় এসে না।
সেভাবেই সব নির্দেশনা দিয়ে বোনকে লিখেছি। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা সব চেয়ে বিরক্তিকর দিকটা হচ্ছে; বাংলাদেশে আমাদের মতো পরিবারের অভিভাবকরা বুঝতে পারে না যে মেয়েদেরও হাত খরচ লাগে। বোনটা কলেজে পড়ে। বই –পত্র ছাড়াও কোন চাহিদা থাকতে পারে। সেটা ভেবেই গোপনে তার কাছে, তার নামে টাকাটা পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেশের সব লোক জানে এই খবর। তার অপারেশনের জন্য আলাদা করে টাকা পাঠিয়েছি বাবার নামে। তিনি ওর টাকাটা নিয়ে নেবেন। আর আমিও এমন করে আর টাকা পাঠাব কীনা ভাবতে হবে।
চিঠি আসে এই লাগারের নীচে একটা অফিসে। তারাই রান্না ঘর পরিষ্কারের প্লানটা তৈরী করে। রানা ভাইয়ের কাছে দেশ থেকে অনেক সময় পত্র-পত্রিকাও আসে। তিনি খুব আগ্রহ নিয়ে ডাকের অপেক্ষা করেন। লাঠি ভর করে আজকেও গিয়েছিলেন চিঠির জন্য। কিন্তু অফিস থেকে বলা হয়েছে ডাস্টবিন না ফেললে চিঠি দেয়া হবে না। আড়াই মন ওজনের প্লাস্টিকের ময়লার বস্তা দুই হাতে ক্র্যাচে ভর করে রানা ভাই তুলতে পারবেন না কখনো। রিপন আর জাবেদ জানে যে ওদের ময়লা ফেলতে হবে। কিন্তু গত চারদিন যাবত ওরা ফেলেছে, হয়তো এই কারণেই আজকের দায়ীত্ব রানা ভাইকে দিয়ে বাইরে চলে গেছে। কাজে যাব দেরী হয়ে যাচ্ছে। তবুও এই আবর্জনাটা সাফ করতেই হবে। ময়লা ফেলে চিঠি নিয়ে এসে রানা ভাইকে দিলাম। গিয়ে লাভই হল। আমারও চিঠি এসেছে দুটো। একটা জার্মান ডাক বিভাগ থেকে আরেকটা দেশ থেকে। রানা ভাই চা নিয়ে চিঠি খোলেন। আয়েস করে পড়েন। বেশীর ভাগই মায়ের চিঠি। উত্তেজনায় পারলে পিয়নের সামনেই চিঠি খুলি। আজ আর তা হল না। চিঠি পকেটে নিয়ে ছুটলাম কাজে।
মন খারাপের যথেষ্ট কারণ আছে। সেটা আমার বোকামি। বোনের চিকিৎসার জন্য সব টাকা পয়সা দেশে পাঠিয়েছি। হাত একেবারেই খালি। এমন সময় লিচু ভাই কথাটা তুললেন। কোন এক পাকিস্তানীর কাছে একটা মেয়ে আছে। পাঁচ হাজার মার্ক দিতে হবে এক কালীন। কাগজ হওয়া পর্যন্ত দিতে হবে মাসিক পাঁচশ মার্ক। কন্ট্রাক্ট মেরেজের কথাটা শুনেছিলাম। এখন নিজেই সেটা করতে যাচ্ছি। কিন্তু সমস্যা হল টাকার। এক সাথে এখন পাঁচ হাজার মার্ক পাই কোথায়? লিচু ভাই অবতার হয়ে এলেন। টাকার জন্য ভাবনা নাই। টাকা তিনি দিয়ে গেলেন নিজে এসেই। ঝামেলা না রেখে আমি সেই সন্ধ্যায় পাকিস্তানীকে টাকা দিয়ে দিলাম। তার পর থেকেই পাকিস্তানীর আর পাত্তা নাই। একেবারে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। অনেক কষ্টে একদিন তাকে পেলাম। সে জানাল; টাকা নিয়ে সেই মেয়ে ভেগে গেছে। তার কিছুই করার নেই। গেলাম উকিলের কাছে। সাক্ষী থাকলে মামলা জেতার বিপুল সম্ভবনার কথা জানাল উকিল। বড় আশা ছিল অন্তত লিচু ভাই সাক্ষী হবেন। কিন্তু আইনের মারপ্যাঁচে যেতে তিনি কিছুতেই রাজি হলেন না। সেই জন্যই লিচু ভাই গত রাতে চুনু ভাইকে পাঠিয়েছিলেন। কষ্ট হচ্ছে। টাকার জন্য কষ্ট কার না হয়। কাজটা খুব ভাল। মানে বেতন ভাল। দুটো মাস খাটলেই লিচু ভাইয়ের টাকা দিয়ে দিতে পারব। কিন্তু লিচু ভাইয়ের এই ব্যাপারটা ভাল লাগল না। ব্যথার মতো। পাওয়ার সাথে সাথে অসহ্য লাগে কিন্তু সময়ের সাথে গা সওয়া হয়ে যায়। আমারও হয়ে গেছে। কিন্তু আর কোন খারাপ খবর শুনতে চাই না।
জানি না। বোনের অপারেশন ঠিকমত হল কী না। হয়তো এই চিঠিতেই সব লেখা আছে। ঠিকানা তার হাতেই লেখা। অপারেশন ঠিকমত হয়েছে; তবে। তবেটা শুনেই ভয় পেয়ে গেলাম। কিন্তু ঝড়ের পরে ক্ষয়-ক্ষতি দেখার মতো বাকীটা জানার আগ্রহও বাড়ল। ভাল খবর হচ্ছে জরায়ুতে কোন কিছুই হয় নি। অথচ জরায়ু না থাকলেও বিশেষ কোন ক্ষতি নাই। যে কোন শিশুকে সন্তান ভাবলেই যে কোন একটি শিশুর মায়ের চেয়ে বেশী মহতী মা হওয়া যায়। এমনি কত উদাহরণ দিয়ে বহু সান্তনাসূচক বাক্যে ভরে আমার জীবনের সব চেয়ে কঠিন এবং দীর্ঘ চিঠিটি লিখেছিলাম বোনকে। হার্নিয়া হয়েছিল। সেটা ধরা পরেছে পেট কাটার পর। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অপারেশন থিয়েটার থেকে ফোন করে দিয়েছেন পেট বিশেষজ্ঞকে। তিনি এসে অপারেশন করবেন। ততক্ষণ রোগী পেট খোলা অবস্থায় অপারেশন থিয়েটারে অজ্ঞান হয়েই আছে। এদিকে নার্স এসে বলছেন রোগীর রক্ত লাগবে কমপক্ষে আরো দুই বেগ। অপেক্ষমাণ স্বজনদের মধ্যে ভাগ্যগুণে ছোট দুই ভাইয়ের রক্তের গ্রুপ মিলে গেল বোনের রক্তের গ্রুপের সাথে। এক ঘণ্টা পরে পেটের ডাক্তার এলেন। আমার বোনটা বেঁচে গেল।
ভাইয়ের পায়ের ছবি পাঠিয়েছে। পা ভাল হয়ে গেছে। ঘাম দিয়ে জর ছাড়ল। বাসে বসে চিঠি পড়ে পড়ে মনটা ভাল হয়ে গেল। দুটো মাস কষ্ট করলেই লিচু ভাইয়ের ঋণটা শোধ হয়ে যাবে। এখন টাকা না দিয়ে আমি পালীয়ে যেতে পারি বলে বেচারা একটু দিশে হারা। তারও তো আমার মতোই কষ্টের টাকা। কিন্তু প্রথম মাসের বেতনটা লিচু ভাইয়ের হাতে দিলেই তিনি বুঝতে পারবেন; আমি টাকা না দিয়ে পালিয়ে যাবার মতো বোকা নই।
মন্তব্য
এক নিশ্বাষে পড়ে ফেললাম, দুইটা নিশ্বাষ ফেলতে পারলে ভাল হত। আপনার সিরিজটা পড়ার সময় সবসময় ভয়ে থাকি এই প্যারাটাই মনে হয় আজকের শেষ প্যারা। কবে যে পুরোটা একসাথে পড়ব।
--শহরবন্দী
ধন্যবাদ শহরবন্দী। এই বছরের শেষ দিকে শেষ করার পরিকল্পনা আছে। দেখি এতটুকু আগাতে পারি।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ভাইয়া,
আপনি কোন শহরে থাকেন? এখানে কি এখনো মার্ক চলে?
-- ঠুটা বাইগা
রাইখমার্ক গেছে, মার্ক গেছে, এখন খালি ইউরো!!!
--বেচারাথেরিয়াম
ঠুটা বাইগা, আপনার নিকটা কি মাধুকরি উপন্যাস থেকে নেয়া।
আমি মিউনিখে থাকি। ৯১-৯২ সালের ঘটনা, তাই মার্ক।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ঘটনা বাড়ান বস্! তরুণ মজুমদার হয়ে যাচ্ছে। ঋত্বিক ঘটক বা ৭০ দশকের মৃণাল সেনে আসেন। তথ্য দেন। তথ্যের বর্ননা দেন। হয়তো তাই দিতেছেন। কিন্তু আমি পাঠক হয়তো আরেক্টু চাইতেছি .....
অজ্ঞাতবাস
মৃণাল সেন আবার ভূবন সোমও বানাইছে। তবে সেইটা আবার পুরাই অন্য জিনিস।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
নীল আকাশের নিচেও বানাইছে।
আমি আমার সুবিধামতো সিদ্ধান্ত নেই।
আমার প্রিয় ছবি >
কোলকাতা ৭১
পদাতিক
কোরাস
মৃগয়া
খণ্ডহর
জেনেসিস
একদিন প্রতিদিন
খারিজ
আকালের সন্ধানে
আর এক্টাও না .....
অজ্ঞাতবাস
খণ্ডহরটা এই বছর মাত্র দেখছি। ম্রাত্মক। কোরাস দেখি নাই। আমি যোগ করতে চাই : চালচিত্র। মহাপৃথিবী দেইখা একটা মোচড় খাইছিলাম। কিন্তু আপনে ইন্টারভিউ বাদ্দিলেন ক্যান? আমার ইচ্ছা ছিল মৃণাল সেনের উপ্রে উচ্চতর গবেষণা করা। কিন্তু নানান ফ্যাকড়ায় হয় নাই। মৃণাল সেন সাংঘাতিক অবচর্চিত।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ইন্টারভিউ বাদ গেছে এইটা ঠিক ... মহাপৃথিবী, একদিন আচানক ইত্যাদি পছন্দের তালিকায় নাই ...
অজ্ঞাতবাস
যারা অতীতে কখনো মৃণাল সেনের ছবি দেখেন নাই তারা এইখানে শুরু করতে পারেন -
অজ্ঞাতবাস
কথা বেড়ে যায় বস, সেজন্য অনেক কিছু একটু সর্টকার্টে মেরে দিচ্ছি। মনে রইল আপনার পরামর্শ। কিন্তু আমাকে এত এত বড় বড় লোক-লেখকদের সাথে তুলনা করলে বিব্রত হই।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ভাল্লাগছে পুতুল ভাই। কিন্তু সেই বোতলগুলার কি হইলো সেই খবরটা পাইলাম না তো।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
এই ব্যাপারে আমারও আফসোস্ আছে। আঙুরের খ্রাপ জুসের পাঁচ লিটারের বোতল!!! জীবনে চোখেও দেখি নাই!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কল্যাণ, পাণ্ডবদা, বোতলগুলো রেখে দিয়েছি। শেষ পর্ব পরিবেশিত হবে আপনাদের সেবায়।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আপনার এই সিরিজের লেখাগুলো আমি মাঝেমধ্যেই পড়ি। ছবির মত ভাসে। মন্তব্য করা হয় না।।।
ধন্যবাদ কর্ণজয়।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ স্যাম।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
..........
রংতুলি
ধন্যবাদ রংতুলি।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এই সিরিজে 'তীর্থের কাক' ট্যাগ মারেন পুতুল ভাই. প্রথম থেকে পড়ে আসতে ম্যালা কষ্ট হইল, ট্যাগ থাকলে সুবিধা হইত. ভবিষ্যত পাঠকের কথা ভেবে হইলেও করেন.
..................................................................
#Banshibir.
তীর্থের কাক ট্যাগ হইতে পারে, বিষয়টা জানা ছিলনা বস। এই পর্বে ট্রাই মাইরা দেখি কাজ হল। এখন সব পর্বে লাগাবো।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ বস।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এই পর্বটা খুব ভাল হয়েছে। বই কিন্তু করতেই হবে
লেখায় দারুণ এক গতিশীলতা.... ভালো লাগছে খুব..
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
নতুন মন্তব্য করুন