ভাটির দেশে যাও যদি তুমি
হিজল তলীর ঘাটে।
হেথায় আমার ভাই-ধন থাকে
আমার খবর কইও তারে
নাইয়র নিতো আইয়া।
কোন দূরে যাও চইলা
নাইয়ারে নাওয়ের বাদাম তুইলা।।
স্বাধীনতার পর আমাদের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। আমরা সেই স্কুলের প্রথম ছাত্রছাত্রী, যারা পঞ্চম শ্রেণীর শেষ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছি। আমাদের বিদায় বা স্কুলের সাফল্য দেখানোর জন্য পরীক্ষার পর একটা বিশেষ অনুষ্ঠানে গানটা গাওয়ার কথা ছিল ফজিলতের। সে ভাবেই সব প্রস্তুতি হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ বেঁকে বসল ফজিলতের বাবা। মেয়ের বিয়ে ঠিকঠাক। এর মধ্যে এই ধরণের বেপর্দা কাজে জড়িয়ে গেলে পাত্রপক্ষ বেঁকে বসতে পারে। চতুর্থ শ্রেণীতে থাকতেই যাত্রাপালায় হাতেখড়ি আমার। বড় ভাই ছিলেন আমার বাবার চরিত্রে। মেয়ে সাজিয়ে আমাকেই মঞ্চে তুলে দেয়া হল। ফজিলত দর্শকদের সাড়িতে বসে চোখ মুছছিল, হয়ত গানটা শুনেই। তার জীবনের হিসেব-নিকাষ তখনই শেষ। হয়তো ভাইকে দেখার বা বাপের বাড়িতে নাইয়র আসার জন্য বাদাম তোলা নাওয়ের মাঝির কাছে খবর পাঠানো ছাড়া আর কোন উপায় শ্বশুরী-ননদীদের জ্বালায় তার থাকবে না। আমার বোনরা হয়তো এখন এমনই ভাবে ভাইকে দেখার জন্য অধীর হয়ে থাকে। কে জানে!
আমাদের কর্পোরেট জীবনে এই সস্তা আবেগের কোন জায়গা নেই। ঘুম থেকে উঠি, কফি খেতে খেতে বউয়ের তাড়ায়, জামা-কাপড়ের ভেতরে ঢুকাই নিজেকে। আঁচলকে কিণ্ডার গার্টেনে দিতে হবে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে খরচ লাগে না, কিন্তু মেয়েকে কিণ্ডার গার্টেনে দিতে দুইশ ইউরো দিতে হয় মাসে। তাও মেয়েটা কিছু শেখুক। আমাদের মতো বেশি শ্রম যেন অল্প দামে বেচতে না হয় তাকে। আঁচলের চুল বাঁধা নাস্তা খাওয়ানো কাপড় পরানোতে বেগম গলদঘর্ম। ঘর থেকে বের হয়ে পথ রোধ করে মেয়ে বলে “বাবা কাঁধে উঠবো”। একবার বলে ফেললে আর উপায় নেই। কাঁধে করেই নিয়ে যেতে হবে। ব্যায়ামটা মন্দ না। আবার কাজ থেকে ফিরলে বাবার আসার অপেক্ষায় জমিয়ে রাখা খেলাগুলো নিয়ে আসে। কিন্তু শারীরিক কিছু করতে আর ভাল লাগে না। শরীরে কোন কিছু করার বল আর তখন থাকে না। কিন্তু করতে হয়। কোন কোন দিন বাবার মুখে গল্প না শুনে ঘুমাবে না। গল্প বলতে হবে নতুন নতুন। কোন বই থেকে পড়ে শোনালে হবে না। গল্প এমন ভাবে বলতে হবে যেখানে আঁচল নামের মেয়েটির সাথে খেলার জন্য বাঘ-ভাল্লুক-হাতি-ঘোড়া নিজেদের মধ্যে বিবাদ শুরু করে দিয়েছে। ছলে-বলে-কলে-কৌশলে আঁচল তাদের সবাইকে নিয়ে খেলে, এক সময় ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরতে চায়। বেশীর ভাগ গল্প শেষ হওয়ার আগেই সে নিদ্রা পরীদের দেশে চলে যায়, আশা করি সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে।
ছুটির দিন কাটে হাট-বাজার আর সংসারের বাকী কাজ করে। মাঝে মাঝে এই চক্র থেকে বের হতে ইচ্ছে করে। বিলাসিতার মধ্যে আমি একটু লিখি-টিখি। সেটা করতে যেতে হয় বাইরে কোথায়ও। কারণ ঘরে থাকলে আঁচলের কাছ থেকে কী-বোর্ডের দখল নেয়া সম্ভব না। বেগম সুযোগ পেলে আমাকে মাঝে মাঝে ছুটি দেয়। সাধারণত রবিবারে। আমি তখন মনের সুখে অদ্ভুত সব যাত্রার বা পল্লির গান ধরি। “সেথায় আমার ভাই-ধন থাকে, আমার খবর কইও তারে” শেষ করার আগেই দেখি জলে ভরে গেছে শুভর চোখ।
বুঝতে পারি; প্রায় পাঁচটা বছর বেচারী ভাই-বোন-বাবা-মা দেখেনি। মেয়েটা এখনো কিণ্ডার গার্টেনে যায়। স্কুলে গেলে বাৎসরিক ছুটি ছাড়া দেশে যাওয়া সম্ভব না। ইচ্ছে ছিল শীতের সময় দেশে পাঠাব। কিন্তু সময় মত সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম না। কী আরা করা যাও গরমেই।
ভয় ছিল আঁচলকে নিয়ে। লাল-সবুজের কোন কিছু দেখলেই সে চেঁচিয়ে বলে; দেখ মা, বাবার বাংলাদেশ। তো বাবার বাংলাদেশে এখন যথেষ্ট গরম। উড়োজাহাজে মার পাশে শান্ত ভাবে বসে থাকার মেয়ে আঁচল নয়। পরিবারের নতুন সদস্য পেটে নিয়ে আঁচলের মা চটকরে এদিক ওদিক ঘুরতে পারে না। আমার সাথে থাকলে মেয়ে দুনিয়ার সব দৌড়-ঝাপ, লুটোপুটি, লোকচুরী নিয়ে আমাকে প্রায় প্রতি সেকেন্ড ব্যস্ত রাখে। না জানি কী প্রতিক্রিয়া হয় আঁচলের হাওয়াই জাহাজে উঠে। কিন্তু না, সে রকম কিছুই হল না। সে বরং মায়ের পাশে বসে সিট বেল্ট বেঁধে হাত ধরে মাকে অভয় দিচ্ছে; ভয়ের কিছু নেই মা, আমি আছি তো।
ঢাকা বিমান বন্দরে বাংলাদেশ বিমানের গায়ে লাল-সবুজের পতাকা দেখে চেঁচিয়ে উঠে; দেখ মা, বাবার বাংলাদেশ। বিমান বন্দর থেকে খালা মনির কোলে উঠে বুঝে গেছে, এরা আপনার লোক। সেই থেকে এখন আর মায়ের দরকার হয় না আঁচলের। রাতে ঘুমোতো যায় এক এক দিন এক এক খালা-ফুপু-মামি-মামানির সাথে। মা জিজ্ঞেস করে; আঁচল বাবার বাংলাদেশ কোনটা? আঁচল এখন বুঝে গেছে; বাংলাদেশ মানে, যেখানে সবাই আপনার লোক। যেখানে শিশুদের দায়-দায়ীত্ব কেবল মা-বাবার নয়। পাড়া-প্রতিবেশীরাও ডাক-খোঁজ করে। তাই বলতে পারে; এইটাই তো বাবার বাংলাদেশ।
অবসর পেলে কত কাজ যে করতাম। কিন্তু পুরো অবসরের মাঝে সত্যিকারের অবসর বড় দুর্লভ জিনিস। কিছুতেই মন বসাতে পারি না। রাতদুপুরে যেন আঁচলের কান্নার আওয়াজ পাই। ঘুম ভেঙ্গে দেখি, আমি একা সোফায় ঘুমিয়ে পরেছি। দেশে গিয়েও কত কিছু করব ভেবে রেখেছি। হয়তো কিছুই করা হবে না। কত অদ্ভুত সব শখ জমিয়ে রাখে মানুষ দেশের জন্য। কেউ ভাড়া গাড়ি নিয়ে ঘোরে। কেউ ঈদের সময় দেশে থাকতে চায়। স্বাধীনতার পরের প্রথম একুশে ফেব্রুয়ারির কথা মনে পরে আমার। আমাদের শহীদ নগর বাজারের এক মাত্র বট গাছটির প্রতিটি পাতায় বর্ণমালা লিখে সাজিয়ে ছিলেন কামাল ভাই আর তাঁর বন্ধুরা। সেই শীতের শিশির সিক্ত নগ্নপায়ে শহীদ মিনারে গাব ফুলের শ্বেতশুভ্র মাল্য দান এ জীবনে আর হবে না কখনো। সেই ভালোলাগা, শীতের উপভোগ্য সেই কষ্ট, শহীদ ভায়ের স্মরণে সেই বেদনায় রুদ্ধ হয়ে আসা কণ্ঠের আবেগ, আমার মেয়েকে দিতে বা বোঝাতে পারব না কখনো। বসন্তে ফুল ফুটল, বা আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে গানের সাথে খোল হারমোনিয়াম গলায় ঝুলিয়ে নেচে-গেয়ে প্রভাত ফেরী করার অভিজ্ঞতাও তাকে বোঝাতে পারব না। তবুও ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে, যাই সেখানে, মনের বসত যেখানে। কিন্তু তা কী আর হয়। একবার অন্তত একবার ষোলই ডিসেম্বর কিংবা একুশে ফেব্রুয়ারি দেশে থাকতে চাই। আমার মেয়েকে আমার বাংলাদেশের অহংকারের-গৌরবে-শোকের কিছু দেখাই। ফেব্রুয়ারিতে হয়তো হবে না। তাই ষোলই ডিসেম্বরে আশা করি এবার দেশে থাকতে পারব। একুশ বছর পর।
মন্তব্য
আবেগী লেখা। খুব ভাল লাগল।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধন্যবাদ। আবেগটা আমার ভেতরে একটু বেশীই।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
তবুও ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে, যাই সেখানে, মনের বসত যেখানে।
আবেগ যাদের খাঁটি তাদের আমি শ্রদ্ধা করি। আঁচলের জন্য শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ তানিম এহসান।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
হোক না তবু একুশ বছর পর।
ধন্যবাদ বস।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
একটা জিনিষ, শুধু একটা জিনিষ। আপনার লেখা পড়লে শুধু গায়ে কাঁটা দেয় আর ......
এত্ত সতেজ ও সুন্দর করেও বলা যায়, তা আপনার লেখা না পড়লে বুঝতাম না। মাঝেমাঝে লিখবেন এইভাবেই, থামবেন না প্লীজ
ডাকঘর | ছবিঘর
থেংকু বস। চেষ্টা করব।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
অমি_বন্যা
ধন্যবাদ আমি_বন্যা।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
তাহলে এবারের ডিসেম্বরে আমাদের দেখা হচ্ছে এমনটা কি আশা করতে পারি?
যদিও প্রচণ্ড গরম তবুও কাউকে আসল বাংলাদেশ চেনানোর সবচে' ভালো উপলক্ষ হচ্ছে পহেলা বৈশাখ আর বৈশাখী মেলা, এর পর হচ্ছে একুশের প্রভাতফেরী আর ফেব্রুয়ারীর বইমেলা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কোন বিরাট দুর্ঘটনা না ঘটলে নিশ্চই দেখা হচ্ছে।
আঁচল স্কুলে যাওয়া শুরু করলে গরমের ছুটিই দেশে যাওয়ার একমাত্র ভরসা। পহেলা বৈশাখ তখন দেখাব। দিনকাল যতদ্রুত যাচ্ছে সেদিন মেয়ে হল, আর এই জানুয়ারীতে চার হয়ে যাবে।
বই মেলায় নিয়ে যাব নিশ্চই কোন এক সময়, যখন আমার মেয়ে উপহার হিসাবে আপনার লেখা বই পাবে। তার আগে নয়।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
লেখাটা ভাল লাগল পুতুল ভাই। আশা করি দেখা হবে সামনের শীতে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আশা করি।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এই ডিসেম্বাবরে আচঁল বাংলাদেশকে দেখবে। বিজয়মিছিলে।
বিজয় মিছিল কখন (সময়) কোথা থেকে বের হয় সেটা জেনে নিয়ে এবার আঁচকে নিয়ে বিজয় মিছিলে যাওয়ার একটা গোপন বাসনা আছে। আশা করি তখন দেখা।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আমার তো বুঝতে সমস্যা হইতাসে ভাইজান, একুশ বছর পর দেশে আইবেন, নাকি একুশ বছর পর ষোলই ডিসেম্বর দেখবেন?
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
একুশ বছর পর ষোলই ডিসেম্বর দেখব। তবে দেশ (আমাদের গ্রাম) দেখিনি দশ বছর হয়ে গেল। কী ভাবে সময় চলে যায়!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এইতো মাত্র সেদিনের কথা। ছোট্ট মেয়েটা এর মধ্যেই এত্তো বড় হয়ে গেলো!
ছবিতে তো বেশ বড়বড় লাগছে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এ ভাবেই দিন চলে যায়! মেয়েটাও বেড়ে চলে। সামারে যা কাপড় কিনেছি ভাবেছিলাম দেশে এখনও গরম, সেগুলো নিয়ে গেলেও চলবে। যাওয়ার সময় দেখি কোন কাপড়ই আর মেয়ের গায়ে লাগে না। সব ছোট হয়ে গেছে। ছবিটা বেস কাছে থেকে তোলা, আমার মোবাইলে।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
পুরোনো কাপড় দিয়ে পাড়ি দেবেন!
তা হবে না, তা হবে না।
প্রতি সামারে নিত্য নতুন কাপড়-চোপড় নিয়ে আঁচল দ্রুত বেড়ে উঠুক।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
তার কী আর উপায় আছে! প্রতি তিন মাসে নতুন কাপড় কিনতে হয়। মেয়েটা মনে হয় বাতাসে বেড়ে উঠছে!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
মনকে ছুঁয়ে যাওয়া লেখা...
ধন্যবাদ বস।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
কৌস্তুভের মন্তব্যে ডিটো। মন ছুঁয়ে গেল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঢাকায় যাওয়ার সম্ভবনা কী ঐ সময়ে নাই? হলে খুব মজা হতো।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
উজ্জ্বল সম্ভবনা আছে। প্রায় ৪ বছর যাই না। এই ডিসেম্বরে যাওয়া হবে আশারাখি। দেখাও নিশ্চয় হবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ষোলই ডিসেম্বর সম্ভব হলে ফ্রী রাইখেন। এক্টা আড্ডা-টাড্ড ঐ দিনটাতে হতে পারে। সবার ছুটি তো। খুব ভাল লাগছে। দেখা হবে।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
পুতুল ভাই, আপনার "তীর্থের কাক" সিরিজ টার কি হলো?
সিরিজ চলছে। আশা করি আগামী উইকেন্ডে পরের পর্ব দিতে পারব। অনেক কিছু ভেবে চিন্তে খোঁজ খবর নিয়ে লিখতে হয়তো। তাই ব্লগেরমতো চট করে লিখে ফেলতে পারি না। তীর্থের কাকের কথা মনে রাখার কৃতজ্ঞ আপনার কাছে জীবনযুদ্ধ।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
"তীর্থের কাক" সিরিজ টা আমি খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়ি, এক সময় অনেক স্বপ্ন দেখতাম জার্মানি যাবার, ভাষা টাও কিছু শিখেছিলাম ঢাকায় থাকতেই, কিন্তু যাই হোক..ছিটকে পরলাম পৃথিবীর অন্য প্রান্তে, এখন আপনার ওই সিরিজের জানালা দিয়ে ফেলে আশা স্বপ্ন গুলোকে খুজি মাঝে মাঝে....
মাঝে মাঝে মনে হয় এসে ভালই করেছি। কিন্তু নিজের যা পছন্দ তার কিছুই তো এখানে করতে পারছিনা। গুড, এখন ব্লগ হয়েছে লিখতে পারছি। কাজ-ঘুম ছাড়া তো এখানে আমার আর কিছু করার নেই। এই সমাজ রাষ্ট্রে আমার কোন অংশ গ্রহন নেই। অথচ আমি একজন ভীষণ রকমের ক্রিয়েটভ মানুষ (নিজের বড়াই আর কী)। সব জায়গায় আমি যে বিদেশী এবং এখানকার কেউ নই সেটাই প্রকাশ করতে সব বিনয় অবিনয়। আত্মার শান্তি এখানে নেই। আমার স্বপ্নকে আমি এখানে খুঁজে পাইনি। টাকার দরকার ছিল, সেটা শেষ করে দেশে ফিরে গেলেই আমার ভাল হতো বলে এখন মাঝে মাঝে মনে হয়। আপনি কোন দেশে আছেন?
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ওইদিন তো ঠিকমতো আলাপই করতে পারলাম না, তাহলে দেখা হচ্ছে ডিসেম্বারে
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এবার যেন একটু শান্তভাবে বসে দুটো মনের কথা বলতে পারি।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
putul via ame apnar sob laka pore...amr kasa apnar lakha kub e valo laga....ai likha tao kub valo lagaca....assa via apne ''terthar kak'' 31 ar por r liksan na kano? ame kub e dukkito bangla fonta likta pare na ame..
নতুন মন্তব্য করুন