গোধূলির মতো। শুধু মাঠ থেকে গরুর পাল নিয়ে বাড়ি যাওয়া রাখাল বা কৃষকের দেখা নেই। মনে হয় আমাদের গ্রামের কোন মাঠে ক্ষেত পাহারা দিতে আসা কৃষকের মতো ক্ষেতের কোনায় বসে আছি কাঁথা বালিশ নিয়ে। পাখির কলকাকলিতে মুখরিত আমাদের মাথার উপর গাছের ডালগুলো। দূর থেকে ভেসে আসা রাখালের বাঁশির অচেনা সূরের মতো একটা মিষ্টি গন্ধ। কনুইয়ে ভর দিয়ে মাথা ঠেকিয়ে রেখেছে সোনিয়া। সূর্য ডুবে গেছে কিন্তু এখনো অন্ধকার হয়নি। সোনিয়ার মাথাটা আমার মুখের উপর। তার চুলের গোছা ঝুলছে আমার নাকে-মুখে। গন্ধটা কচুরীপনার ফুলের গন্ধের মতো। আসছে সোনিয়ার চুল থেকে।
সান্ত্বনা দেবার মতো আদর করে আস্তে আস্তে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আমার গালে-মুখে। আমি একটা সিগারেট ধরানোর জন্য উঠে বসলাম। প্রসঙ্গ পাল্টানোর মতো করে সোনিয়া প্রশ্ন করল: আচ্ছা, খান নামে কোন বাংলাদেশী ছেলেকে চেন তুমি?
চিনব না মানে! এই শহরে হাতে গোনা ক’জন বাঙ্গালী আছে। তাদেরকে না চেনার কোন কারণ নেই। আর খান-কে তো এই সে দিন কিছু টাকাও ধার দিলাম। অচেনা মানুষকে টাকা ধার দেয় নাকী কেউ!
আশ্চর্য! খান তো তোমাকে চিনে না! অবাক হল সোনিয়া।
কিন্তু তুমি খান কে চিনলে কী করে? কিছুটা বিস্ময় আর কিছুটা ঈর্ষা নিয়ে আমার আক্রমণাত্মক প্রশ্ন।
যেখানে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল; প্রথম কয়েক দিন সেখানেই পায়চারী করেছি, যদি তোমার দেখা পাই, সেই আশায়। সেখানে তোমাকে না পেয়ে গিয়েছিলাম, তোমাদের লাগারে। যাকেই জিজ্ঞেস করি ২২৩ নম্বর রুমের বাংলাদেশী কায়সারকে চেন? সবাই বলে এই নামে এখানে কেউ থাকে না। তুমি আমার সাথে চল। ব্যর্থ হয়ে আবার ফিরে এসেছি আমাদের প্রথম দেখার জায়গায়।
সে খানেই একদিন দেখলাম খান কে। আমেরিকান সৈন্যদের মতো বাটি ছাট চুল। গায়ে একটা হাতা কাটা গেঞ্জি। কিন্তু রাতদুপুরে বেশ ঠাণ্ডাও লাগছিল। একটু অদ্ভুত দেখাচ্ছিল খানকে। দেখতে অনেকটাই তোমাদের দেশের মতো মানুষ খান। তাই তাকে জিজ্ঞেস করলাম; বাড়ি কোন দেশে? সে বাংলাদেশ বলায় খুশি হলাম। কিন্তু তোমার কথা বলায়; সে তোমাকে চিনতে পারল না। তার পরেও আমি তার সাথে কথাবার্তা বললাম। কারণ; সে হয়তো অন্য কোন বাংলাদেশী চিনে, যে হয়তো তোমাকেও চিনে। এভাবে তার বাড়ি পর্যন্ত গেলাম একদিন। সেখানে রিপন নামে এক ছেলে তোমাকে চিনল। কিন্তু আমার ধৈর্য শেষ হয়ে আসায় তোমাকে ফোন করে ফেললাম।
বিজয়ীর হাসিতে পূর্ণ আমার বদন খানা দেখতে পায়নি বেচারি। এই বিজয় সামলাতে সময় লাগল একটু। সোনিয়া অবাক হয়ে বলল; তুমি ঈর্শ্বfনিত্ব হচ্ছ না! খান তো আমার সাথে অন্তরঙ্গ হতে চেষ্টা করেছে!
নারীর মন আর যুদ্ধ জয়ে সব কিছু জায়েজ। খান তোমাকে জয় করতে চেষ্টা করেছে। এতে ঈর্শ্বনীয় হবার মতো কী আছে! সাংঘাতিক রকমের নিশ্চয়তা নিয়ে কথা বলছি এখন।
কিন্তু খান যদি আমাকে জয় করেই ফেলতো তখন? কৌতূহল সোনিয়ার প্রশ্নে।
আমি কেন যেন ঈর্শ্বনীয় কোন কিছু পেলাম না খান নামের মানুষটার ভেতর। আমাকে ঈর্শ্বনীয় করে মানুষের ভেতরের মানবতা, মহত্ব, মহানুভবতা। অবশ্য অনেক সময় বিশেষ দক্ষতা; যেমন যদি কেউ একটা যন্ত্র বাজাতে পারে, বা গান-কবিতা জানে এমন মানুষকে ঈর্ষা করি।
তা ছাড়া যে মেয়েটা আমার খোঁজে এতো কিছু করল; এখানে প্রেমে তৃতীয় পক্ষের বাঁধা নেই বললেই চলে। একমাত্র মরণ ছাড়া আমার কাছ থেকে কেউ তাকে ছিনিয়ে নিতে পারবে না। বোকা হলেও এইটুকু বুঝতে পেরেছি, এতক্ষণে।
গদ্যে শরত বাবু, পদ্যে, গানে রবীন্দ্র নজরুলের প্রভাব লিখতে পড়তে জানা বাঙ্গালীকে স্তন্যপায়ী শিশুর মায়ের মতো প্রভাবিত করে। অন্তত আমাকে করেছিল। তাদের মতো করেই বললাম;
যদি আরো কারে ভালবাস, যদি আর ফিরে নাহি আস, তবে তুমি যাহা চাও, তাই যেন পাও। আমি যত দুঃখ পাই গো। খানকে অনুরোধ করতাম; আমার প্রিয়ারে, আমার অধিক ভালবাসিও।
বাহ্ বেশ কবি তো তুমি! সোনিয়ার কণ্ঠে মুগ্ধতা।
আমার ইংরেজী আমার মতই ভীষণ রকমের হাবা-গবা। কিন্তু সোনিয়া বুঝতে পেরেছে। এই বোঝার বিপদ হল; সে আমাকে সত্যি সত্যিই এই মানের কবি মনে করতে পারে। যা সময়ের সাথে ফানুসে পরিণত হবে। তখন বুঝে যাবে যে; আমি আসলে একটা মাকাল ফল। তাই একটু ত্রস্তে বললাম; আরে নাহ, আমি কিসের কবি। আমাদের কবিদের গানের কলি, খুব সহজ ভাবে অনুবাদ করে বললাম তোমাকে।
তাতে কী! আমার খুব ভাল লেগেছে। আচ্ছা, তোমাদের ভাষায়, একটা গান শোনাও না।
এইবার ঠেলা সামলানো কঠিন হয়ে গেল। শুনতে ভাল লাগলেও নজরুল বা রবীন্দ্র সংগীত গাওয়ার মতো মনন আমার তৈরী হয়নি। কৈশোর প্রায় পার করে পরিচয় ঘটেছে রবীন্দ্র-নজরুলের গানের সাথে। তার আগে বয়াতিদের কবি বা পলা গান এবং যাত্রার গানই কিছুটা জানা শোনা ছিল। সেইটাই আমি বুঝতে এবং গাইতে পারি। যদিও দশম শ্রেণী পাস করার পরে শিক্ষিত হয়ে সেই সব গানকে আর আমার করার বা শোনার উপযোগী মনে হয় নি। কিন্তু মাঝে মাঝে ভাবী সেই নিরক্ষর মানুষগুলো কী অদ্ভুত সাবলীলতায় প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে কোথাও না শিখে এই সব গান গায় বা বাজায়!
যথেষ্ট সময় নিয়েও গাওয়ার মতো কোন গান নির্বাচন করতে পারলাম না।
সোনিয়া বলল; আমি জানি তুমি পেশাদারী কোন গায়ক নও। হয়তো কখনো গানও শেখনি। আমি শুধু তোমার কণ্ঠটা শুনতে চাই। মানে গান করলে তোমার কণ্ঠ কেমন শোনায় আর কী।
সেভেন বা এইটে পড়ার সময় যাত্রার গান গেয়েছিলাম। “রাত্রি নিশির কালে” কথাটায় সুর দিতে চারবার আট মাত্র ঘুরে আসে। এত কিছু বুঝতাম না। এখনো বুঝি না। কিন্তু অসীম ধৈর্য নিয়ে মজনু কাকু অনেক সময় নিয়ে শিখিয়ে ছিলেন। সেটাই মনে আসছে বার বার। গানটা ঠিক বাংলা গানের প্রতিনিধি নয়। তবুও সেটাই মনে আসছে বার বার, হয়তো রোমান্টিক নয় বলেই। জানা বিষয় প্রয়োজনের সময় মনে না এলো যেমন লাগে, সেই ধরণের একটা অস্বস্তি নিয়ে অনেক রবীন্দ্র-নজরুলের গানের কথা ভেসে যাচ্ছে মনে। কিন্তু যেটা গাইতে চাই সেটা আর আসছে না। অনেক চেষ্টায় বহুবার শোনা এবং চাঁদনী রাতে বর্ষায় নৌকা নিয়ে শাপলা তোলতে গিয়ে হেরে গলা ছেড়ে দিয়ে গাওয়া নজরুল গীতিটা মনে পড়ল;
মোর প্রিয়া হবে এসো রানী
দেব খোপয় তারা ফুল।।
কর্ণে দোলাব তৃতীয়া তিথির
চৈতি চাঁদের দোল।।
জোছনার সাথে চন্দন দিয়া
মাখাব তোমার গায়
রংধনু হতে লাল রং ছানি
আলতা পরাব পায়।।
আমার গানের সাত সুর দিয়া
তোমার বাসর রচিব লো প্রিয়া
সব সুর গলায় আসে না। সুরের সাথে মুখ, মাথা উঁচু, নিচু এবং আগে পিছে নিয়ে যতটা সম্ভব কাছাকাছি যেতে চেষ্টা করেছি। একমাত্র শ্রোতা মনযোগ দিয়েই শুনছে মনে হয়।
উচ্চাঙ্গ সংগীত বা অপেরার মতো মনে হচ্ছে। জানাল সে।
উচ্চাঙ্গ সংগীতের কথা বলে লজ্জা দিওনা। আমাদের উচ্চাঙ্গ সংগীত গাওয়া এতো সহজ না। অনেক সাধ্য-সাধনা লাগে উচ্চাঙ্গ সংগীত গাইতে। বললাম আমি।
ইটালিয়ান অপেরার কথাও বুঝতে না পেরেই মুগ্ধ হয়ে শুনি। অথবা এই যে ইংরেজী গান, তার কথা কী আমরা সব বুঝি? অথচ আমাদের গান শোনা দেখলে যে কোন মানুষ ভাববে আমদের ভাষাটাই বুঝি বা ইংরেজী। তুমি খুব দরদ দিয়ে গেয়েছ গানটা। হয়তো খুব ভালবাস বলেই। কথাটা অনুবাদ করা কী সম্ভব?
কথাটা অনুবাদ করার পরে; তার গলার সূতার মতো চিকন একটা রুপার চেন খুলে আমার গলায় পরিয়ে দিয়ে বলল; তোমার মতো এতো সুন্দর করে প্রিয়াকে সাজানোর মতো গান-কবিতা আমার জানানেই। এই চেনটি দিয়েছিলেন আমার দাদী, সেটাই তোমার গলায় পরিয়ে দিলাম।
কী বিপদ! উপহারতো তাকে আমারই দেবার কথা! এখন তো উল্টো হয়ে গেল। মনে ভিন্ন পরিকল্পনা চলে এলো দ্রুত। সেটা বাস্তবায়নের জন্য মোক্ষম মূহুর্তের অপেক্ষায় থাকতে হবে কয়েকদিন। কিন্তু এই মধু লগনেও কবি আমাকে বঞ্চিত রাখলেন না। মনে পরে গেল;
তোমার বুকের ফুলদানীতে, ফুল হব বঁধু আমি।।
শুকাতে হয় শুকায়িব ঐ বুকে মুখ রাখি।।
অনুবাদ করার পর, সে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরল। কিন্তু শুধু মিঠা কথায় চিড়া ভিজিয়েই আমি ক্ষান্ত হতে চাই না। এখানে জন্মদিনটি বেশ গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হয়। ভাবলাম; তার জন্মদিনে সুন্দর কিছু উপহার দেব। কিন্তু সেই দিনটির জন্য কতদিন অপেক্ষা করতে হবে?
ছোট শিশুর মতো সব চেয়ে জানা ছড়াটাই যে ভাবে বার বার বলতে চায়; সেভাবেই আমার যাত্রার গান এই মুর্হূতে গাইতে ইচ্ছে করছে। আমার সব চেয়ে ভাল জানা বিষয়টা, সবচেয়ে ভাল পারি এমন গুনটা যেন তাকে জানাতেই হবে সে ভাবেই ধরলাম;
রাত্রি নিশির ও কালে
কাক ও কোকিলায় ডাকে
ঐ কদম ডালে
তোমারই নামের মালা
জপি নিরালায়
তারে নি ভাল
রাখিবেন খোদায়।
দুঃখ যে মনের মাঝে
আনিল আমার।।
গানটা মঞ্চে গাওয়ার সময়, আমার গাওয়া শেষ হলে সেই কলিটি কয়েকজন দোহারি মিলে কোরাসে গাইতেন। সেই অবসর এখানে নেই, তাই পায়ে তাল রেখে, শ্রোতাকে ইংরেজীতে অনুবাদ করে শোনাচ্ছিলাম। কিন্তু দুঃখের কথায় এসে সে, একটু থতমত খেয়েই জানতে চাইল;
দুঃখ কেন!
দুঃখ, হচ্ছে প্রিয় মানুষটির প্রতি এক ধরণের সজাগ দৃষ্টি। তার দুঃখে দুঃখী হওয়া। সুখের সময় সাথীর অভাব হয় না। কিন্তু দুঃখের সময় মানুষ পাওয়া কঠিন। সেই দুঃখের সাথীর জন্য এক ধরণের অকারণ আশংকায় থাকা। তার সর্বময় মঙ্গল কামনা করা। দুঃখ হচ্ছে; প্রিয় মানুষটির জন্য হৃদয়ের তন্ত্রীতে এক অসীম টান অনুভব করা, তার কোন ক্ষতি হলে, নিজের ক্ষতি হচ্ছে, এমন মনে হওয়া। হয়তো এর নামই ভালবাসা।
ভাল বলেছ। আমাদের ভোগবাদী সমাজে সে অবসর নেই। আচ্ছা তুমি আর কতদিন থাকতে পারবে জার্মানে? যেন কোন বিশেষ কাজের কথা; সেভাবেই জানতে চাইল সে।
সাধারণত বছর তিনেক সময় পাওয়া যায়। সে ভাবে চললে আরো বছর দেড়েক সময় আমাদের হাতে আছে।
কিন্তু তার আগে যদি তোমাকে জোড় করে ধরে পাঠিয়ে দেয়?
আমার ঠিকানা লিখে তোমার কাছে দিয়ে রাখবো। জোড় করে ধরে পাঠিয়ে দিলে, তুমি অন্তত আমাকে চিঠি লিখতে পারবে।
তোমাকে দেই নি বলে, রাগ করেছ মানিক? কিছু অনুতাপ, কিছু কৈফিয়ত মেশানো কণ্ঠ তার।
অবশ্য দিলেও যে, আমার নেওয়ার ক্ষমতা হতো সে নিশ্চয়তা ছিল না যদিও। এক ধরণের অভিমান নিয়ে চুপ করে থাকলাম।
শোন মানিক; আমার হৃদয়ে ছোট একটা ফুটো আছে। সেটা অপারেশন করতে হলে, আমার ওজন কমাতে হবে। ওজন কমানোর জন্য ছোট্ট একটা অপারেশন করে পাকস্থলীতে রিং পরিয়ে দেবে; যাতে পেট ছোট হয় এবং আমার ক্ষিধে কম লাগে। এ ভাবে অল্প খেয়ে ওজন কমাতে হবে কুড়ি কিলো। তারপর হৃদয়ের অপারেশন হবে।
আমি ব্যাপারটা আবহ সংগীতের মতো শুনলাম। বিপদ জনক কিছু মনে হল না।
সোনিয়ার আরো একটু যোগ করল; কনডমের বিশ্বাস নেই। যখন তখন ফেটে যেতে পারে। তা ছাড়া কোন প্রকার পর্দা দিয়ে আমি তোমার সাথে মিলতে চাইনা। আমি তোমাকে সম্পূর্ণ অনুভব করতে চাই, মানিক একটু ধৈর্য ধর।
আমাদের দেশে আমি নিজেও প্রেমে পরেছি অনেক মেয়ের। কিন্তু সে কথা ঐ মেয়েকে কখনো বলি নি। এক সময় তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। কলেজে পড়ার সময় তাদের ছেলে মেয়ে নিয়ে সামনে দিয়ে যেতে দেখে, হেসেছি মনে মনে। তার পর ভাল লেগেছে অনেক মেয়েকেই। কিন্তু বুঝতাম যে, এই ভাল লাগার কোন ফল নেই। অনেক বন্ধুকে প্রেম করতে দেখেছি, বছরের পর বছর। চিঠি চালাচালি, মাঝে মাঝে পালিয়ে দেখা, সাক্ষাত। শোনা কথা; দেওয়ান রজকে রজকিনীর আশে বার বছর বাইল বড়শি শুকনা পুকুরে। সেই সংস্কৃতির মানুষ আমি; এতো কাছে বসা সোনিয়ার জন্য একটু সময় অপেক্ষা করতে পারবনা ।
সোনিয়া ব্যকুল হয়েই বলেছে। মেয়েটার জন্য মায়াই হলো। কে জানে হয়তো তাকে ভালও বেসেছি। জীবনে এত কাছে আর কোন মেয়ে আসেনি। অভিজ্ঞতার অভাবেও এইটাকেই ভালবাসা বলে ভ্রম হতে পারে। বুকের ভেতর কী এক শূন্যতা তৈরী হল! সোনিয়াকে সেখানে ঢুকাতে না পারলে মনে হয় সে শূন্যতা পূর্ণ হবে না। সে ভাবেই বুকের ভেতর টেনে নেয়ার জন্য চেপে ধরলাম। ডুরি ছেড়া ঘুরির পেছনে ছুটে চলা বালকের মতো। এর চেয়ে মূল্যবান পৃথিবীতে যেন আর কিছু নেই। নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্য বাতাসে ভেসে চলা ঘুরির পেছনে দৌড়াই নীচে কী আছে তা না দেখেই। ক্ষেতের আইলের বেড়ার মান্দারের কাটা পায়ের চামড়া ছিলে রেখে দেয়, টেরও পাই না। এত শক্ত করে বুকের সাথে তাকে চেপে রেখেও মনে হয়, তাকে ঠিক মনের ভেতরে ঢুকাতে পারছিনা। মনের মানুষ যেখানে থাকে, সেই হৃদয়ের শূন্য কোটর পূর্ণ হয়নি। অতৃপ্ত কামনার মতো কোথায় যেন একটা অপূর্ণতা রয়েই গেল।
মন্তব্য
ধন্যবাদ, নীল আকাশ।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
শেষের অনুচ্ছেদে এসে কথা খুঁজে পাচ্ছি না।
ভালো থাকবেন।
আপনিও ভাল থাকবেন।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
এত সহজে কিভাবে লিখে যান বলেনতো? প্রকৃতি আর মানুষ একেবারে মিশে যায় আপনার লেখায়, একটুও বাড়তি বা খামতি কোথাও নেই। চলুক পুতুল ভাই। খুবই ভালো লাগছে।
ফারাসাত
ধন্যবাদ।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
অনেক দিন পরে দিলেন বস।
পড়তেছি ...
অজ্ঞাতবাস
একটু দেরী হয়ে গেল!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ভালো লাগল !
ভালো লেগেছে
ধন্যবাদ সাফিনাজ আরজু।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ gorgori, আপনার নীকটা কী গড়গড়ি হুক্কা ?
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
কাল রাতেই পড়েছি আপনি, কমেন্ট করতে পারছিলাম না। প্রতি লেখাতেই একটা জিনিষ খেয়াল করলাম ভাইয়া, আপনি শেষের প্যারাতে এসে অপূর্ব সুন্দর কিছু লিখে ফেলেন যেটা চিন্তা করতে গেলে বেশ খানিকটা ভাবতে হয়। সোনিয়ার জন্য শুভকামনা আগামী পর্বগুলোতে।
শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ বেচারাথেরেরিয়াম।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
পুতুল ভাই, কখনো মন্তব্য করা হয় না। তীর্থের কাক সিরিজটার একনিষ্ঠ পাঠক আমি। এতো অকৃত্তিম, সোজাসাপ্টা কিন্তু দুর্দান্ত লেখা পড়ার সৌভাগ্য খুব বেশি হয় নাই। ভালো থাকবেন।
এই কথাটিই আমি বলতে চেয়েছিলাম।
ঘাসফড়িং, আপনার নিকটা খুব পছন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ খাইশুই।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
খুবই ভালো লাগছে।
-আলিফ অরণ্য
ধন্যবাদ আলিফ অরণ্য।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
চমৎকার উপস্থাপনা, ভাল লাগল।
শুভ কামনা রইল।
তুহিন সরকার
tuhin_preeti@yahoo.com
ধন্যবাদ তুহিন সরকার।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
নতুন মন্তব্য করুন