>বাবা! তুমি আবার ঐ পাঁজী গুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছ!<
বিপদ আর কাকে বলে! আঁচলকে নিয়ে গিয়েছিলাম গান শেখাতে। সেখান থেকে ফিরছি। ভেবেছিলাম ছুটির দিনে রাস্তা এত ব্যাস্ত থাকবে না। কিন্তু পথে নেমে দেখি; কাজের দিনের চেয়ে ভীড় কম না। প্রতি দিকের তিনটি করে গাড়ি চলার লাইন। তারপরেও গাড়ি গুলো পথ পাচ্ছে না। কর্পোরেট জীবনে ছুটি বলে কোন কথা নেই। সবাই ছুটছে। কীসের পেছনে?
কাচ্চা-বাচ্চা যাদের আছে তাদের তো ঘুমের সময়ও কাজ। কখন কোন মেয়ে কেঁদে উঠে তার কোন ঠিক-ঠিকানা নেই। আঁচল কাঁদে না। শুধু ডাকে > "বাপু"। সেটাই আমার কাছে চরম পত্র। কিন্তু এখন রাস্তার এই চরম পত্রের সাথে নতুন পরিচয়। আমি সাধারণত খুব আস্তে-ধীরে গাড়ি চালাই। এখনও সেই ভাবেই চালাচ্ছি। কিন্তু গাড়িতে নতুন দিগদর্শন যন্ত্র লাগানো হয়েছে। সে আবার গতি নির্দেশকের কাজও করে। শহরের ভেতরে ৫০ কি.মি.-এর চেয়ে দ্রুত গাড়ি চালানো অপরাধ। কিন্তু ৫১ বা ৫৫, অনেক সময় ৬০ হয়ে গেলেও, কোন অঘন না ঘটলে তেমন কঠোর ভাবে দেখা হয় না। কিন্তু নতুন দিগদর্শন যন্ত্র ৫১ কি.মি. হয়ে গেলেই মন্দিরার মতো ছোট্ট একটা টুং করে। আর আঁচল ভেবে নেয় বাবা দ্রুত গাড়ি চালাচ্ছে। টুং শব্দটা আমি আলাদা করে শুনিই না। কারণ গাড়িতে "সোনা সোনা সোনা, লোকে বলে সোনা" গানটা অনবরত ভাবে বেজে চলেছে। গানটার সাথে মন্দিরাও বাজে। দিগদর্শন যন্ত্রের মন্দিরা অনেক সময় গানের মন্দিরার সাথে মিলে যাচ্ছে। আমাদের কথা-বার্তায় ব্যাঘাত না ঘটায়, এমন উচ্চতায় গানটা চালিয়ে রেখেছি। আজকে আঁচল এই গানটা শিখতে শুরু করেছে। চেষ্টা করছি এই আবহটার ভেতর কিছুক্ষণ অন্তত থাকুক।
মেয়ের চোস্ত জার্মান শুনে ভয় পেয়ে গেছি কর্তা-গিন্নী দু'জনেই। আমাদের সব চেষ্টা মাঠে মারা গেল দেখছি! আমার সাথে সে বাংলায় কথাই বলে না! সব বাঙ্গালী বাচ্চারা এক সাথে হলেও যোগাযোগের ভাষাটা জার্মান। আর মেয়েকে গান শেখানোর সাধ তো ছিলই। জার্মান গানের স্কুলে এক বছরের বেতন অগ্রিম দিয়ে ভর্তি করিয়ে ছিলাম আঁচলকে। পুরো টাকাটাই জলে গেল। মেয়ে যেতে চায় না। কী আর করা। আশার আলো হয়ে দেখা দিল আউগসবুর্গের গানের স্কুল। বিধি বাম। সেটা আলোচনা পর্যন্ত এসেই থেমে গেল। আমাদের বাসা থেকে আউগসবুর্গ প্রায় ৮০ কি.মি.। যাওয়া আসায় ১৬০ কি.মি.। তার পরেও যেতাম যদি সে স্কুলটা হতো। আমরা ঘরেই একটু চেষ্টা করে দেখলাম। হারমোনিয়ামের চাবিতে মেয়ের পছন্দ মতো রং-বেরং এর ছবি লাগানো হল। চারু (ছোট মেয়ে) গিয়ে আবার সেগুলো তুলে নিজের গালে লাগালো। হুলুস্থুল কাণ্ড। "সা" আর "রে" পর্যন্ত যেতে পারে না। কী আর করা। সময় আসলে দেখা যাবে। চারু আর একটু বড় হোক, দু'জনকে একত সাথে শেখাব। এই পরিস্থিতিতে এক আসরে দেখা হয়ে গেল তুষার ভাইয়ের সাথে।
তাঁর পরিকল্পনার সাথে মিলে যাচ্ছে আমাদের স্বপ্ন। মেয়ের সখ ছিল নাচ শেখার। এমন কাউকে পাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। না বলা বাণীর ভাষা, সুরটা অন্তত মেয়েকে শুনিয়ে রাখি। শিশুরা পথিক। শৈশবের শেকর ছিন্ন করেই তারা নিজের পথ খুঁজে নেবে। সব কিছু তাদের পাথেয় হয়তো হবে না। কিন্তু সুযোগ যখন হলই, গানের ভাষার সাথে তার পরিচয়টা করিয়ে দেবার চেষ্টাটা করে দেখি। সংগীত একটা সমন্বিত প্রক্রিয়া। এমন কী, একজন একক সংগীত শিল্পীর জন্যও। মানুষ কখনো স্বাধীন প্রাণী হবে না। সমষ্টির ভেতরেই তাকে বাঁচতে হবে। গান শেখা মানে কয়েকটি আলাদা বিষয়কে এক সাথে করতে শেখা। পশ্চিমা মনোবিজ্ঞানীরা আজকাল গান-বাজনা শেখার কথা খুব বলছেন। তাতে নাকী শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বাড়ে।
বুদ্ধিমত্তা বলে কোন বস্তু আছে কীনা আমি জানি না। আমার ধারণা; কোন বিষয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরী হলে, সেটা করতে বা শিখতে যা কিছু প্রয়োজন মানুষ তাই করে। সেটা নিয়েই সব সময় ভাবে। এবং এক সময় সেই বিষয়ে অনেক কিছু জানতে এবং বুঝতে পারে। তাকেই আমরা সংক্ষেপে বুদ্ধিমত্তা বলি। আরোপিত নয় পৃথিবীতে এমন কোন কিছু খুঁজে পাওয়া যাবে কীনা আমি জানি না। আমি পছন্দ করি, এমন কোন বিষয় শৈশবে আমার হাতের নাগালে ছিল না। আমার মেয়ে নাচের মতো, এমন কোন বিষয় বড় হয়ে হয়তো মিস করবে। কিন্তু আমাদের সাধ্যের ভেতরে যা আছে তা মেয়েকে সেধে দেখি। যদি তার ভাল লেগা যায়!
এই ভাল লাগার জন্য, একজন মোসার্ট বা একজন পিকাসাও যেন অনাবিস্কৃত থেকে না যায়, তার জন্য জার্মানরা আঁকা এবং সংগীত স্কুলের বাধ্যতামূলক বিষয় করে রেখেছে। আর আমি ছুটির একটি দিনের অংশ বিশেষ বিসর্জন করতে পার না! গিন্নীর তাড়া খেয়ে বাপ-বেটী সেই সকালে বের হয়েছি। তুষার ভাইদের বাড়ি শহরের আমরা যে অংশে থাকি তার বিপরীত দিকে। আমি গাড়ি চালিয়ে গিয়ে বের করতে পারব না। সে জন্য দিগদর্শন যন্ত্রের সাহায্য নিতে হল। আমরা মোটামুটি সময় মতো পৌঁছুতে পেরে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
শুরু হলো "সোনা সোনা সোনা, লোকে বলে সোনা " গানটার কথা গুলো বাচ্চাদের শেখানো। সবাই ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারে না। তুষার ভাই গানের কথা এবং সঠিক উচ্চারণ একজন একজন করে প্রতিটা বাচ্চাকে শেখাচ্ছেন। রোদেলা বা আরিব সব সময় তুষার ভাইকে পাত্তা দেয়না। গুটি-শুটি হয়ে মায়ের কোলে বসে থাকে। কোন কথা বলে না। তুষার ভাই বলেন; রোদেলা মনে মনে বলেছে, আমি শুনেছি। লাবিবা, সিমিন, আঁচল, তানিশা এবং রুয়ানারা সেই সুবিধা পাচ্ছে না। তারা বড়, তাই তাদের বলতে হয়। বলার পরে একটা হাত তালি পায়। নাদিয়া সবার বড়। সে সব পারে। তার জন্য একক গান "বড় আশা করে এসেছি গো"। আমি এত বড় আশা নিয়ে আসিনি বলেই যা শিখছে আমার মেয়ে তাতে যারপর নাই আনন্দিত।
গানের স্থায়ী সহ একটা অন্তরা প্রায় সবাই মুখস্ত করে ফেলেছে। সবাই গাইছে, এখন তাল দিতে হবে। চেষ্টা করছি ঠিক জায়গা মতো মাত্রার বাণীটিই যেন বাজে। অভ্যাস বসত চতুর্থ মাত্রায় না বানীর আগে বাকী তিন আঙ্গুল যেন তবলায় না লাগে। শিশুদের কিছু শেখানো পৃথিবীর সব চেয়ে কঠিন এবং একই সাথে সব চেয়ে আনন্দের কাজ। "কত মার ধন মানিক রতন, কত জ্ঞানী গুনি কত মহাজন"এ এসে আবেগে আমার চোখ বন্ধ হয়ে গেল। বেলী ভাবী মন্দিরায় টুং করলেন। আমি ফিরে গেলাম আমার শৈশবে। ৭২ সালের প্রভাত ফেরী। আমাদের শহীদ নগর বাজারের বুড়ো বটগাছটার প্রায় সব কটি পাতা বর্ণমালা লিখে সাজিয়ে ছিলেন কামাল ভাইরা। তুলসীদার গলায় ঝোলানো খোলের সাথে "রক্তশয্যা পাতিয়া ইহারা ঘুমায়েছে পরিপাটি" গাইতে গাইতে শহীদ মিনারে দিয়ে এসেছি ক্ষেত থেকে তুলে আনা সরিষা ফুল। তখন আঁচলের মতো আমিও কী গাইছি তার সব কথা বুঝতে পারতাম না। হয়তো এখনো বুঝি না। কিন্তু খুব আনন্দ পেয়েছিলাম।
যা শেখানো হয়েছে সেটিই বার বার গাইছে সবাই। এবার রোদেলা, আরিবও সবার দেখা দেখি গাইতে শুরু করেছে। সব সতর্কতা পরিহার করে আমি প্রতি মাত্রায় চারটা করে খোলের বাণী বাজাতে শুরু করলাম। স্বপ্না ভাবী কখন রং চা দিয়ে গেছে খেয়াল করিনি। একটা চুমুক দিয়ে মনে হল অমৃত। শীতের শেষের দিকে, ফুল ফোটার আগে সব গাছ-পালা, তরু-লতার নতুন পাতা গজায়। যার ভেতরে ফুলের কলিরা আবৃত থাকে। বিকেল বেলায় এমন গাছ-পালার নীচ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার মতো অনুভূতি হল, অনেক অনেক বছর পরে।
আমরা এখন বড় সড়কে। গতিসীমা নেই। আঁচল একটু ক্লান্ত মনে হয়। চুপ-চাপ বসে আছে। জিজ্ঞেস করলাম
> মা গান গাইতে ভাল লেগেছে?
> হ্যাঁ বাবা, অনেক মজা পেয়েছি।
গান কখনো সহজ ছিল না। কখনো হবেও না। কিন্তু এই মজাটা পেলেই কঠিন কাজটা সহজ হয়ে যায়। শিশুদের গান বলে কিছু নেই। সবাই মিলে হইচই করার মতো, সবাই গান করেও যদি মজাটা পাওয়া যায়। তা হলে সেটাই গান শেখার সহজ পদ্ধতি। প্রার্থনা করি, এই মজাটা আমার মেয়ে অনেক দিন উপভোগ করুক।
মন্তব্য
ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকি আর গান -দু'টোতেই মারদাঙ্গা রকমের খারাপ ছিলাম
আমি এই দুটোর কোনটাই এখনও পারি না।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আপনার লেখায় আমাদের তিনজনের মিলিত ছোটবেলাটায় মানে প্রায় সিকি শতাব্দী আগের এই তখন-পরবাস-এখন-স্ববাসভূমিতে বাবা-মা-সন্তানের একসাথে জীবন শুরু করার দিনগুলোতে ফিরে যাই। পৃথিবীর আরেক প্রান্তে আরও কত পরের যুগের আপনাদের অভিজ্ঞতার সাথে তার মিল দেখে কি অবাক যে লাগে! খুব ভাল করছেন এই দিনলিপিগুলি ধরে রেখে। কুঁড়ের হদ্দ আমি, কয়েকটা ছবি ছাড়া আমার এখন শুধু স্মৃতিই সম্বল, তাও বেশিটাই কন্যা আর তা মা যে অনুপুঙ্খ ছবি ধরে রেখেছে তাদের মনে তাই অবলম্বন করে। খুব ভাল লাগে আপনার এ স্মৃতিচারণ।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ বস, আমার মনে হয় সব খানে এই কাচ্চা বাচ্চা নিয়ে জীবনের শুরুটা একই রকম হয়। আলসেমী না করে সেই সব পুড়ানো ছবি দিয়ে একটা স্মৃতিচারণ লিখে ফেলুন। ভাল থাকবেন।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
বড় মামা আমার বড় বোনকে হারমোনিয়াম বাজিয়ে দেখাতেন, গেয়ে দেখাতেন। কখনো বোন নিজেই গেয়ে-বাজিয়ে মামার কাছে পরীক্ষা দিতেন, কাহারবা তালে ভৈরবী রাগে -
ওগো অকরুণ, কী মায়া জানো,
মিলনছলে বিরহ আনো।
চলেছ পথিক আলোকযানে আঁধার-পানে
মনভুলানো মোহনতানে গান গাহিয়া ॥
আমরা ছোট তিনজন হারমোনিয়াম ঘিরে বসে গান শুনতাম। মামা কখনো বলতেন, এবার তোমরা তিনজন গাও তো দেখি। আমরা মাথা দুলাতে দুলাতে দাদরা তালে ইমন-ভূপালী রাগে গেয়ে উঠতাম,
আমরা চলব আপন মতে, শেষে মিলব তাঁরি পথে,
মোরা মরব না কেউ বিফলতার বিষম আবর্তে--
নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কী সৌভাগ্য আপনাদের!
মিলনছলে বিরহ আনো। ওগো অকরুণ, কী মায়া জানো, এত এত ভাল লাগা একটা গান! একদিন সময় নিয়ে শুনব আপনার কণ্ঠে।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আমি 'সুর' না, আমি 'অসুর'। আমার গান শুনতে হলে জীবনবাজী রাখতে হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মহাভারতের মতে ভারতের আদিবাসী মাত্রই অসুর। অসুরের গান শোনার জন্য দারকার হলে জীবন বাজী রাখব।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
মানুষের জীবনে যে আকাঙ্খা পুরণ হয়না তা সে সন্তানের মাঝ দিয়ে পুরণ করতে চায়। আমিও সেরকমটাই চাই।
লেখাটা মনে দাগ কেটে গেল।
ধন্যবাদ বস। আমরা যে সব সুযোগ পাইনি, সেটা যেন আমাদের সন্তানরা পায়, সেই চেষ্টা সব বাবা-মাই করে।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আমাদের দেশে বিষয় মাত্রই প্রায়ই হয়ে ওঠে শিশুদের নির্যাতনের হাতিয়ার। তাছাড়া ছবি আঁকা বা সঙ্গীতে প্রকৃত শিক্ষা ও মূল্যায়নও দেশে হয় না। এসব না থাকলে অবশ্যই বলব ছবি আঁকা ও সঙ্গীত বাধ্যতামূলক বিষয় হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
এখানেও অনেক বিষয় নির্যাতনের পর্যায়ে চলে যায়। তবে সংগীত বা ছবিআঁকার ব্যাপারে বাধ্যতামূলক বিষয় হ্ওয়া সত্বেও পাস নাম্বার দেয়ার সময় খুব একটা কড়াকড়ি করে না। বাচ্চাদেরকে শুধু সংগীতের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়াটাই মূখ্য। মোট কথা; কোন শিশু যেন এই সব বিষয় শেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়। আমাদের দেশে বাধ্যতামূলক বিষয় করার আগে দরকার অভিবাবকদের সচেতনতা।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
নতুন মন্তব্য করুন