রথের ঘোড়াগুলো অলস ভাবে পায়চারী করছে মেঘের উপড়। কয়েকটা মুড়ি সহ সামনের ফাঁকা আসনে হাত থেকে ছেড়ে দিলেন পুড়াটি। ফেরেস্তারা বেস্ত হয়ে এগিয়ে ধরল সুরাবান্তহুরার পেয়ালা। দীর্ঘ চুমুক দিয়ে পাশে ধরে রাখা চায়ের পেয়ালা হাতে নিলেন বঙ্গবন্ধু। ফেরেস্তাদের মুখস্ত হয়ে গেছে বঙ্গবন্ধুর অভ্যাস। তাই মেঘ না চাইতেই জলের মতো এগিয়ে এলো পাইপ। একটা লম্বা টান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়লেন বটে কিন্তু সে ধোঁয়া দেখ পেলেন না। মেঘের রংয়ের সাথে মিলে যায় বলে মেঘের উপড় স্থাপিত ভাসমান স্বর্গে ধোঁয়া দেখা যায় না।
দ্বিতীয় টান দেয়ার জন্য পাইপ মুখের কাছে নিতেই দূর থেকে ক্ষীণ কণ্ঠে ভেসে এলো কার যেন করূণ আর্তনাদ! আমি দোজখে যাওয়ার আগে একবার মুজিব ভাইয়ের লগে দেহা করবার চাই। কেমন যেন পরিচীত মনে হল কণ্ঠটা বঙ্গবন্ধুর কাছে। কিন্তু ঘোড়ার পিঠে চাবুকের শব্দের মতো কোন একটা শব্দ মিলে কণ্ঠস্বরটা পরিষ্কার ভাবে শনাক্ত করতে দিচ্ছেনা বঙ্গবন্ধুর কানে। ভাবতে লাগলেন বঙ্গবন্ধু। চিনা-চিনা মনে হয়; কার কণ্ঠ হতে পারে!
গোলাম আজমের বেহায়াপনা দেখে ফেরেস্তারা যেন একটু দয়া পরবশ হলো। রথের পেছনে দড়িঁ দিয়ে হাত বাঁধা গোলাম আজমেরে রক্তাক্ত পিঠে ফেরেস্তাদের চাবুকও বন্ধ হলো। "মোবারক হো, মুজিব ভাই।" বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারলেন এটা গোলাম আজমের কণ্ঠ। রাগে অগ্নিশর্মা বঙ্গবন্ধু বললেন; তুই কী বলতে চাস রাজাকারের বাচ্চা! মুজিব ভাই, আপনি আমি যা করতে পারি নাই, সেটা সফল ভাবে এগিয়ে নিচ্ছে আপনার মেয়ে "শেখ হাসিনা"। তিনি বাংলাদেশকে একটি মুসলিম দেশে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন! আলহামুলিল্লাহ। বঙ্গবন্ধুর রাগি চেহারা দেখে ভয়ে, ফেরেস্তারা গোলাম আজমের রথ চালিয়ে দিল। বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠথেকে দীর্ঘস্বাশের মতো বেরিয়ে এলো; „কোন ভূল করছে নাতো মেয়েটা"! সেটা গোলাম আজম শুনতে পেয়ে দূর থেকে উচ্চস্বরে বলল; "মা, হসিনার কথা আপনি একদম ভাববেনা মুজিব ভাই। আপনার মেয়েকে আমি শফির হাওলা করে এসেছি।
মন্তব্য
জনগন ভাল-মন্দ কিছু না কইয়া খালি লাইক বাটনে চাপ দিয়া পিছলাইয়া যায়! এই লাইক বন্ধ হোক। আলোচনা ঝগড়া-ফ্যাসাদ না হইলে ব্লগিং করার কোন মানে নাই।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ঢাকার কোন এক জায়গায় কোন এক দেয়ালে একটা লেখা দেখেছিলাম -
হাত খুলে যা খুশি লিখি
৫৭ ধারা মাথায় রাখি
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনার মন্তব্য পড়ে ৫৭ ধারার উদৃতি পড়ে দেখলাম। সুখের দশ বছরের কারাদণ্ড। সরকারী খরচে এতদিন আরামে থাকা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। ভয হল আর্থিক দণ্ডের পরিমান দেখে। অবশ্য সে ক্ষেত্রে আমার ভয়ের কিছু নেই। অতটাকা দেয়ার সাম্যর্থ থাকলে আইন বানিয়ে নিতাম। আমি এই আইনের দ্বারা দণ্ডিত হব এমন যোগ্যতা না থাকায়, সেটাকে ভয় পাই না। খাঁচা বানায় বাঘের জন্য। আমি চড়ুই।
আইনটা কিন্তু খুব আরামের। সমস্যা হল এই আইনে কোরান সহ বহুধমর্ গ্রন্থের প্রচার প্রকাশ কিন্তু দণ্ডনীয় অপরাধ।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
চিত্ত যেথা ভয়যুক্ত উচ্চ নহে শির
সাতান্ন ধারায় মুক এবং বধির
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
নতুন মন্তব্য করুন