পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সূর্যমণি গ্রামটি আজো ভুলতে পারেনি '71-এর ভয়াবহ নির্মম স্মৃতির কথা। যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র মাসখানেক আগে নভেম্বর মাসের 6 তারিখ রাতে অর্ধ শতাধিক রাজাকার সদস্যের একটি দল মঠবাড়িয়া ও আঙ্গুলকাটা গ্রামে হামলে পড়ে। রাজাকাররা এখান থেকে ঘুম থেকে উঠিয়ে 37 জন সংখ্যালঘুর একটি দলকে গর"-ছাগলের মতো দড়িতে বেঁধে নিয়ে যায় কিটিকাটা ইউনিয়নের সূর্যমণি গ্রামের বাঁধের ওপর। রাজাকাররা 37 জন সংখ্যালঘুর এই দলটি থেকে বিত্তশালী 7 জনকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। বাকি 30 জনকে বাঁধের ওপর লাইন ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের ব্রাশফায়ারে হত্যা করে। সবার মৃতু্য নিশ্চিত জেনে রাজাকাররা চলে গেলে ঐ মৃতু্য উপত্যকা থেকে জীবনত্দ বেড়িয়ে আসেন 5 জন। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে 25 শহীদের ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত লাশ।
সূর্যমণি গ্রামটি আজো কাঁদে। '71-এর এই ভয়াবহ নির্মম ঘটনার পর ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গেছে 35টি বছর। অনেক দীর্ঘ সময়। কিন' সূর্যমণিতে শহীদ সূর্যসনত্দানদের স্মরণে ঘটনাস্থলে আজো নির্মিত হয়নি কোনো সমাধিসৌধ। সরকারের কাছে মঠবাড়িয়া, আঙ্গুলকাটা ও সূর্যমণি গ্রামের মানুষের একটাই দাবি_'71-এর শহীদদের স্মরণে একটি সমাধিসৌধ গড়ে উঠুক সূর্যমণিতে। তারা তাদের সূর্যসনত্দানদের সম্মান জানাতে চান প্রতিটি বিজয় ও স্বাধীনতার উৎসবে। সমাধিসৌধের বেদিমূল না থাকলে তা কী করে সম্ভব?
গবেষণা: ড. আবুল আজাদ
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন