মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল : সাতক্ষীরা থেকে
রাজাকারের সন্তানকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উল্লেখ করে ভূমি প্রতিমন্ত্রী বরাবরে ডিও লেটার পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলার জামায়াতদলীয় দুই সাংসদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বরাবরে পাঠানো এক আবেদনপত্র সূত্রে তথ্যটি জানা গেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পার্শিমারী ও খালিসা বুনিয়া মৌজায় 29 একর সম্পত্তি স্থানীয় লোকজন সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে চিংড়ি চাষ করে আসছিল। গত বছরের 11 ডিসেম্বর জামায়াতদলীয় এমপি মাওলানা আব্দুল খালেক ও এ এম রিয়াছাত আলী এক ডিও লেটারে শ্যামনগর উপজেলার পার্শিমারী গ্রামের তালিকাভুক্ত রাজাকার মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ জোয়ারদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম মিলনকে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে উল্লেখ করে 29 একর জমি ইজারা দেয়ার অনুরোধ জানান। দুই এমপির ডিও লেটারের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের 11 ডিসেম্বর ভূমি প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা আবেদন যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। পরে যাচাই না করেই জেলা প্রশাসকের দফর থেকে মিলনের অনুকূলে ওই জমির খাস কালেকশনের অনুমতি দেয়া হয়।
ডিও লেটারে রাজাকারের ছেলেকে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে উল্লেখ করায় এমপি এম এ রিয়াছতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওই এলাকার এক ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বরাবরে গত 16 মার্চ আবেদন করেন। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারত থেকে লঞ্চযোগে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে অস্ত্র আনার সময় মিলনের বাবা ওয়াজেদ জোয়ারদার পাক হানাদারদের সঙ্গে নিয়ে সেই অস্ত্র লুট এবং লঞ্চটি ধ্বংস করে দেয়।
শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মীর আব্দুর রাজ্জাকও এক প্রত্যয়নপত্রে ওয়াজেদ জোয়ারদার মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেন বলে জানান।
মাওলানা আব্দুল খালেক এমপি ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি। তবে আশাশুনির এমপি এ এম রিয়াছত আলী জানান, আমাকে ভুল বুঝিয়ে ডিও লেটারে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। ঘটনাটি আমার নির্বাচনী এলাকার বাইরে।
সৌজন্যে: দৈনিক আমাদের সময়
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন