আমিই প্রথম এবং আমিই শেষ
আমিই সম্মানিতা এবং আমিই ধিক্কৃতা
আমিই পতিতা এবং আমিই পবিত্রা
আমিই স্ত্রী অথচ আমিই কুমারী
আমিই মাতা এবং আমিই কন্যা
আমিই আমার মায়ের সন্তান-সন্ততি
আমিই বন্ধ্যা এবং শত সন্তানের জননী
আমারই বিবাহ-উত্সব ছিল ভুবনখ্যাত
এবং আমিই কোনো স্বামী গ্রহণ করিনি
আমিই ধাত্রী এবং যে কিছুই ধারণ করে না
আমিই আমার প্রসব বেদনার শান্তনা
আমিই বর এবং আমিই কনে
আমার স্বামীই আমাকে জন্ম দিয়েছে
আমার বাবার আমিই মা এবং
আমার স্বামীর বোন এবং সে আমার অপত্য....
আমার কথায় মনোযোগ দাও
আমি সেই যে অসম্মানিতা এবং
একই সাথে শ্রেষ্ঠ।
উপরের কথাগুলো ধর্মগ্রন্থের কথাই মনে হয়। কিন্তু প্রচলিত পুরুষ-ঈশ্বরের বাণী নয় তা বক্তব্যে স্পষ্ট। এমন নারী-কণ্ঠে কোন নারী-ঈশ্বর কথা বলেছেন তা এখনও অজানা। তবে এই পবিত্র বাক্যসমূহ আবিষ্কার হয়েছে ১৯৪৫ সালে মিশরে, নাগ হাম্মাদি নামে খ্যাত দলিলগুলোর মধ্যে। এগুলো যীশু খ্রিস্ট মারা যাওয়ার দুশো বা তিনশ' বছর পরে লেখা। ধারণা করা হয় এখানো সোফিয়ার কথা বলা হয়েছে তবে ইসিসের কথাও হতে পারে এগুলো।
পুরুষ ঈশ্বরের সাথে নারী-ঈশ্বরের ধারণার মূল পার্থক্য ধরা পড়ে এখানে। নারী ঈশ্বর বহুমাত্রিক। তার চরিত্রের মধ্যে সবকিছু অন্তর্ভুক্ত। সকল বৈপরীত্য একসাথে স্থান করে নিয়েছি। নারী-ঈশ্বর তাই একই সাথে প্রাচীন ও উত্তর-আধুনিক। তার মধ্যে একসাথে আছে পুরুষ ও নারী সত্ত্বা, আছে সৃষ্টি ও ধ্বংস।
(নারীকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে একক ঈশ্বরের প্রবক্তারা-৪)
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন